শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৪, ২৮ পৌষ ১৪২০
মালোপাড়ামুখী রোডমার্চে প্রজন্মযোদ্ধাদের প্রতি হাজারো মানুষের সাড়া
সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার গণজাগরণ মঞ্চ কর্মীদের
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দু'দিনব্যাপী রোডমার্চ শুরু করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে নয়টি বাসে করে এই রোডমার্চ শুরু হয়। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে এই কর্মসূচীর আয়োজন। প্রথম দিনে যাত্রাপথে সাভার, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৮টি পথসভা ও একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। পথে-পথে রোড মার্চের সঙ্গে শামিল হন অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হাজারো মানুষ। মেলে বিপুল সাড়া। আজ যশোরের মালোপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও নির্যাতিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও যশোরের চিত্রা মোড়ে সমাপনী সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফিরবেন প্রজন্মযোদ্ধারা।
পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী ও জামায়াত শিবির মিলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাসহ বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় মন্দিরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ধর্ষণের শিকার হন হিন্দু নারীরা। এই প্রেক্ষাপটে দিনের রোডমার্চ ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে মঞ্চের পক্ষ থেকে সেল গঠন করে ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়। সকালে ত্রাণের ট্রাকসহ প্রায় হাজারো মানুষ প্রজন্ম চত্বর থেকে রোডমার্চসহ যশোরে মালোপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।
মানিকগঞ্জে পথসভা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ৪৩ বছর ধরে বাংলাদেশে উগ্রপন্থী ও মৌলবাদীরা সহিংসতা চালিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সারাদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। যশোরের রোডমার্চ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুর ২টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলকে মানিকগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ঢাকা ও মানিকগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ইমরান এইচ সরকার সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান। পথসভা শেষে আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ ত্যাগ করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানান, শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে পথসভা করে গণজাগরণ মঞ্চ। ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে সভায় গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার বক্তব্য রাখেন। ইমরান এইচ সরকার বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি যশোরের তিন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীর ওপর গণধর্ষণের কথা তুলে ধরে বলেন, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন করে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূল না হবে ততদিন গণজাগরণ মঞ্চের সহযোদ্ধাদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। মুক্তিযোদ্ধাসহ পরবর্তী প্রজন্ম নতুনদের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যোদ্ধারা আমাদের একটি দেশ উপহার দিয়েছে। নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হবে মুক্তিযুদ্ধোর চেতনায় রাজাকারমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এই বাংলাদেশ হবে সব ধর্মের মানুষের একটি আদর্শ রাষ্ট্র। সে রাষ্ট্রে সকলেই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য বাপ্পাদিত্য বসু, ফরিদপুর গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য এ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, মোহতেশাম হোসেন বাবর, শওকত আলী জাহিদ, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোঃ বাবুল, খাদিজা বেগম মনিসুবল চন্দ্র সাহা, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মিজানুর রহমান মানিক। পরে গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। পথে তারা ফরিদপুরের মধুখালীর পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
রাত আটটায় ইমরান এইচ সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, প্রথম দিনে দুটি পথসভা ও একটি জনসভা নির্ধারিত থাকলেও সর্বশেষ সাতটি পথসভা ও একটি জনসভা হয়েছে। রোডমার্চে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া মিলেছে। সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধে শামিল হয়েছেন। সর্বশেষ মধুখালী ও মাগুরায় সভা শেষে যশোর শহরে রোডমার্চ অবস্থান করার করার কথা জানান তিনি। শুক্রবার প্রথম পথসভা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে, তারপর রানা প্লাজা মোড়, গোয়ালন্দ ঘাট, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর শহর, মধুখালী, যশোর, মাগুরাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সভা-সমাবেশের আয়োজন করে স্থানীয় গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শনিবার সকাল ৮টায় যশোর থেকে রোডমার্চ যাত্রা করবে অভয়নগর উপজেলার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকবলিত মালোপাড়ার উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মালোপাড়া এলাকার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন, আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রোধে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। সবশেষে ফেরার পথে বিকেল তিনটায় যশোর চিত্রামোড়ে আরেকটি সমাপনী সমাবেশ করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৪, ২৮ পৌষ ১৪২০ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা
নির্যাতন প্রতিরোধে সর্বক্ষণিক বিশেষ অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রশাসন। মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য পেলেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতনে দায়ের করা মামলা বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হতে পারে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জামায়াত-বিএনপির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা হামলা প্রতিরোধে . . .
মৌলবাদী অপশক্তি রুখো ॥ দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতনসহ সারাদেশে নারকীয় তা-ব সৃষ্টিকারী মৌলবাদী অপশক্তি জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের কঠোর শাস্তি দাবি নিয়ে রাজপথে সর্বস্তরের মানুষ। অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। দাবি উঠেছে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের। শুক্রবার সারাদেশের মতো রাজধানীতে . . .
ফরিদপুরে ইমরান এইচ সরকার
বাংলাদেশকে মৃত্যুকূপ বানাতে চায় সাম্প্রদায়িক চক্র
ফরিদপুর অফিস | আপডেট: ২০:০৭, জানুয়ারি ১০, ২০১৪
..................................................................................................................................................
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৪, ২৬ পৌষ ১৪২০ জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের রুখে দাঁড়ানোর ডাক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৪, ২৬ পৌষ ১৪২০ সোহরাব হাসান | ১৮:৫২, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪
January 06, 2014 2:02 PM
Bangladeshi protesters burn election material Sunday at a polling station in the northern town of Bogra. AFP/Getty Images
http://www.npr.org/blogs/thetwo-way/2014/01/06/260179101/deadly-violence-mars-elections-in-bangladesh
Low Turnout in Bangladesh Elections Amid Boycott and Violence
Reuters
An activist with the governing Awami League was attacked by men with the Bangladesh National Party and its ally the Jamaat-e-Islami on Sunday in Rajshahi, about 150 miles west of Dhaka.
Published: January 5, 2014
চাঁপাতলায় শুধুই কান্না
রাজীব নূর ও মাসুদ আলম, অভয়নগর (যশোর) থেকে | আপডেট: ০৩:১০, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ
খাবারের জন্য কাঁদছে শিশু বিপাশা বর্মণ। কাঁদছেন মা সঞ্চিতা বর্মণও। কারণ, ঘরে খাবার নেই। খাবার আসবে কোথা থেকে? ঘরই তো নেই! ঘরদোর, সহায়-সম্বল গেছে এমন ১২২টি সংখ্যালঘু পরিবারের। গত রোববার নির্বাচনের পর রাতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি বাড়ি। জামায়াত-শিবির এ নারকীয় হামলা চালিয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন । ছবি: এহসান-উদ-দৌলা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/117478/চাঁপাতলায়_শুধুই_কান্না
চার জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, আগুন, লুট
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও তাণ্ডবের শিকার
ইত্তেফাক ডেস্ক
নির্বাচনের পরপরই দিনাজপুর, যশোর, সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা শুরু করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। গত রবিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অনেকে প্রাণভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মন্দিরে। ....................
প্রকাশ : ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ২৪ পৌষ ১৪২০, ০৫ রবিউল আওয়াল ১৪৩৫
(
http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDFfMDdfMTRfMV8xXzFfOTk0MTU= Also read:
ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা বলেছেন, ভোট না দিতে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। ভোট দেয়ার পর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article725920.bdnews
চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর
নির্বাচনের পর দিনাজপুরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। ভোটদানে অংশ নেয়ার অপরাধে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা দিনাজপুরের
... বিস্তারিত
It has been a long 43 years. But the Hindus are still vulnerable to attacks by anti-liberation forces. They are not safe in independent Bangladesh as in East Pakistan before the Liberation War. Nobody can blame them if they feel this way after Sunday night's post-poll attacks by BNP-Jamaat men in Thakurgaon, Dinajpur, Rangpur, Bogra, Lalmonirhat, Rajshahi, Chittagong and Jessore. What will Mayarani feel? Jamaat-Shibir activists looted all her savings, even a...
http://www.thedailystar.net/hindus-under-threat-5781
BNP, Jamaat attack Hindu village in Jessore