আবার অপপ্রচার !!
এদের লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই ! বার বার মিথ্যা বলে ধরা খায় , তার পরেও লাজ শরমের কোনো বালাই নেই, অনবরত মিথ্যা বলেই যাচ্ছে ! বলছিলাম বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থীদের "ভারতীয় জুজুর" ভয় দেখিয়ে লাগামহীন মিথ্যা অপপ্রচার এর কথা । সম্প্রতি সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় বাহিনী অংশগ্রহন করেছে বলে সেই চেনা মহলটি অপপ্রচারে সাধারণ মানুষদের আবার বিভ্রান্ত করছে ! স্বাধীনতার পর পরই তত্কালীন রক্ষীবাহিনীতে ভারতীয় সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে এই মহলটি ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছিল কিন্তু '৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর কি কোনো ভারতীয়কে পাওয়া গিয়েছিলো ? পাওয়া গেলেতো তখনকার ভারতবিরোধী সরকার ফলাও করে তা সচিত্র প্রচার করতো ! কিন্তু বাস্তবে সেই সময় কোনো বিদেশীকে রক্ষী বাহিনীতে পাওয়া যায়নি , বরঞ্চ পুরো রক্ষী বাহিনীকে ধোয়া তুলসী পাতার মত সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আসলে নির্বাচন ঠেকাতে না পেরে বিএনপি-জামাতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে ! খালেদা জিয়া বড় জোড় গলায় বলেছিলেন দেশে নির্বাচন হতে দেবেন না। কিন্তু নির্বাচন ঠিকই হয়েছে আর বিদেশীরাও ক্রমাগত বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামাতের যত রাগ আজ তাই ভোটারদের উপর বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর , আর তাই যশোর সহ বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের উপর ওরা তান্ডবলীলা চালিয়েছে। আর বরাবরের মত কয়েকদিন সময় নিয়ে এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে ! কিন্তু দেশের মানুষ আর আগের মত বোকা নয় , তারা ঠিকই জানে কোন বেগমের নির্দেশে এই ধ্বংশ-লীলা চালানো হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো বিডিআর এর মত কোনো কান্ড ঘটিয়ে তার দায় ভারত আর আওয়ামী লীগের উপর চাপাতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন !
আজ বিএনপির অবস্থা হয়েছে পরীক্ষা বর্জন করা ছাত্রের মত ! পরীক্ষা বর্জন করলে সাথে সাথে পরীক্ষা দেওয়া যায়না , পরবর্তী পরীক্ষার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে হয় ! বিএনপিকেও সেই ছাত্রের মত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হলে ! তাই এখন থেকে সুবোধ ছাত্রের মত বিএনপিকে "হোম ওয়ার্ক" করতে হবে পরবর্তী নির্বাচনে পাশ করার জন্য ।
সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া সেই আগের মত মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন মাত্র ৫% লোক ভোটে অংশগ্রহন করেছে। যদি তাই হত তা হলে এত দিনে দেশে গণ-বিস্ফোরণ হয়ে যেত ! বাংলাদেশের মানুষ অতীতে কোনো স্বৈরাচারীকে ছাড় দেয়নি। নির্বাচন ঠেকানোর ব্যর্থতার দায় নিয়ে খালেদা জিয়ার উচিত রাজনীতি পরিত্যাগ করে নির্বাসনে যাওয়া। বিএনপি একদিকে বর্তমান সরকারকে বলছে অবৈধ আবার অন্য দিকে এই অবৈধ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য আকুতি জানাচ্ছে !
এ থেকেই বোঝা যায় বিএনপির পায়ের তলায় আজ মাটি নেই , একুল ওকুল , দুইকুল হারিয়ে 'রাজনৈতিক উদবাস্তু' হয়ে গেছে তারা ! তাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে টক-শোর তথাকথিত সুশীল সমাজের গলাবাজি আর চাপাবাজি ! কিন্তু তাতেও কিছু হবে না , ধীরে ধীরে এই গেঞান পাপীরাও সহসাই বিএনপিকে পরিত্যাগ করবে। তখন সত্যি বিএনপি হয়ে যাবে পথহারা , হয়ে যাবে দেশের রাজনীতিতে 'ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা' ! আর বাংলাদেশ রুপান্তরিত হবে সত্যিকারের 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ' এ , যেখানে বসবাস করবে শুধু স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি , 'সরকারী দল বিরোধী দল' , সবাই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ,
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক ,
সহ-সভাপতি , যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
__._,_.___