ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ জঘন্যতম অপরাধ, এ অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে : মাওলানা মাসঊদ
ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ, যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মের নামে উগ্র জঙ্গীবাদকে রুখতে হলে সরকারকে এখনই জামায়াতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ ধর্মের নামে তারা উগ্র সন্ত্রাসবাদকে আমদানী করে থাকে। একদিন তারাই বলেছিল 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি'।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের শক্তির উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে পরিণত করতে হবে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোই ইসলামের শত্র" জামায়াতকে সাহায্য করে আসছে। আজ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদের ডাকা মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহাসমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈফি, বি বাড়িয়ার মুফতি মো: কেফায়েত উল্লাহ, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মাওলানা ওবায়দুর রহমান, পঞ্জগড়ের মাওলানা ওহিদুল ইসলাম অহি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা হুসাইনুল বান্না, খুলনার মাওলানা ইমদাদুল কাসেমী, রংপুরের মাওলানা হোসাইন আহমেদ, সিলেটের মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, দিনাজপুরের মাওলানা আইয়ুব আনসারী প্রমুখ।
মহাসমাবেশে মাওলানা মাসউদ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি দলমত নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণের দাবি। বিচারের মাধ্যমে সরকারকে এ দাবির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে জাতিকে দায়মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তিই নয়, ইসলামেরও শত্র"। প্রকাশ্যেই তারা নবীজীর সঙ্গে তাদের দলের নেতাদের তুলনা করছে। অথচ ইসলামের পরিস্কার আকিদা হলো নবীর সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। আল্লাহ বলেছেন- আমি নবীদের কেবল অনুসরণ করার জন্য প্রেরণ করেছি।
তিনি বলেন, অথচ জামায়াত ইসলামী আল্লাহ এবং আল্লাহ'র নবী, রাসূল, সাহাবা এবং ওলী-আওলিয়াদের বিরুদ্ধে হরহামেশাই তুলনা করা ছাড়াও বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। কিন্তু ধর্ম ভীরু মুসলমানরা কখনই তা করেন না। এ কারণেই আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি জামায়াত একটি ভন্ড দল। ইসলামের সঙ্গে এদের কোন সম্পর্ক নেই। এরা ইসলামী দল নয়, সন্ত্রাসী দল। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অতি উৎসাহী কিছু লোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের এজেন্ডা হাতে তুলে নিয়েছে। সরকারকে এসব কুচক্রীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। ইসলাম কোন ধর্মকেই খাটো করে দেখে না। যে কোন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম শতভাগ গ্যারান্টি দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি ঘোষণা করছি ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা হারাম। এ ব্যাংক ইসলামের 'মধু' গায়ে লাগিয়ে ইসলামের নামেই আবার সুদ খাচ্ছে। তাই যারা না বুঝে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করেছেন, তারা সে একাউন্ট ভেঙ্গে ফেলুন। তা না হলে এর জন্য আল্লাহ'র দরবারে হিসাব দিতে হবে। তিনি আগামী দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি জেগে উঠেছে, তাদের রুখতে জেলায় জেলায় সমাবেশ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিগুলোর সঙ্গে সংহতি পরিষদ কনভেনশন করে দেশব্যাপী শান্তির জন্য ট্রেনযাত্রা শুরু করবে। আপাতত চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও সৈয়দপুরের পথে এ যাত্রা শুরু হবে। সমাবেশ শেষে মাওলানা মাসউদ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।
__._,_.___