বগুড়ার করতোয়া কুরিয়ারে সেদিনের তাণ্ডব
সংখ্যায় তারা ১৭ থেকে ২০ জন। বয়স ১৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সবার হাতে হাতুড়ি, রড ও লাঠি। বগুড়ার করতোয়া কুরিয়ারের কার্যালয়ে ঢুকেই তারা ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে আর যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেয়।
করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের বগুড়া প্রধান কার্যালয়ের গোপন ক্যামেরায় (সিসিটিভি) ধারণ করা ভিডিওচিত্রে এই দৃশ্য দেখা গেছে। বগুড়া শহরের জ্বলেশ্বরীতলার শহীদ আবদুল জোব্বার সড়কে 'দৈনিক করতোয়া'-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়। ৩ মার্চ সকালে এই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
সিসিটিভিতে দেখা যায়, সকাল ৭টা ২৭ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে হামলাকারীরা। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা তাণ্ডব চালায়। পুরো ঘটনাই সিসিটিভিতে রেকর্ড করা আছে। কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর সিসিটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। তবে তাণ্ডবের চিত্র থেকে যায় সার্ভারে।
করতোয়ার কর্মকর্তাদের সহায়তায় বগুড়ার পুলিশ সেটি উদ্ধার করেছে। ভিডিওচিত্র দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বগুড়ার পুলিশ প্রশাসন। ভিডিওচিত্রটি দেখে পুলিশের সন্দেহের তির এখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দিকে।
করতোয়ার বগুড়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হামলাকারীরা সেদিন নগদ চার লাখ টাকা লুট করে। আর কোটি টাকার জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, 'করতোয়া কুরিয়ারে তাণ্ডব চালানোর সময় প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভিতে যে চিত্র ধরা পড়েছে, সেটা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। একটা বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কীভাবে তাণ্ডব ও লুটপাট চালানো হয়েছে, সেটা দেখার পর হামলাকারীরা কতটা ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। হামলাকারীরা প্রায় সবাই যুবক। দু-একজন ছাড়া সবাই প্যান্ট-শার্ট ও গেঞ্জি পরা। এদের আক্রমণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, এরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউ। তবে তাদের সঙ্গে অন্য কেউ হামলায় অংশ নিয়েছিল কি না, সেটা শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
বগুড়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিওচিত্র দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের শনাক্ত করা গেলে বগুড়ায় সেদিনের তাণ্ডবের হোতাদেরও বের করা যাবে। কারণ, হামলাকারীদের ওই দলটি করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর পার্শ্ববর্তী এসএ পরিবহন, এসএ কুরিয়ার সার্ভিস, এটিএন বাংলা কার্যালয়, এটিএন ইলেকট্রনিকসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল।
করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের বগুড়া প্রধান কার্যালয়ের গোপন ক্যামেরায় (সিসিটিভি) ধারণ করা ভিডিওচিত্রে এই দৃশ্য দেখা গেছে। বগুড়া শহরের জ্বলেশ্বরীতলার শহীদ আবদুল জোব্বার সড়কে 'দৈনিক করতোয়া'-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়। ৩ মার্চ সকালে এই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
সিসিটিভিতে দেখা যায়, সকাল ৭টা ২৭ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে হামলাকারীরা। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা তাণ্ডব চালায়। পুরো ঘটনাই সিসিটিভিতে রেকর্ড করা আছে। কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর সিসিটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। তবে তাণ্ডবের চিত্র থেকে যায় সার্ভারে।
করতোয়ার কর্মকর্তাদের সহায়তায় বগুড়ার পুলিশ সেটি উদ্ধার করেছে। ভিডিওচিত্র দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বগুড়ার পুলিশ প্রশাসন। ভিডিওচিত্রটি দেখে পুলিশের সন্দেহের তির এখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দিকে।
করতোয়ার বগুড়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, হামলাকারীরা সেদিন নগদ চার লাখ টাকা লুট করে। আর কোটি টাকার জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, 'করতোয়া কুরিয়ারে তাণ্ডব চালানোর সময় প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভিতে যে চিত্র ধরা পড়েছে, সেটা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। একটা বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কীভাবে তাণ্ডব ও লুটপাট চালানো হয়েছে, সেটা দেখার পর হামলাকারীরা কতটা ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। হামলাকারীরা প্রায় সবাই যুবক। দু-একজন ছাড়া সবাই প্যান্ট-শার্ট ও গেঞ্জি পরা। এদের আক্রমণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, এরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউ। তবে তাদের সঙ্গে অন্য কেউ হামলায় অংশ নিয়েছিল কি না, সেটা শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
বগুড়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিওচিত্র দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদের শনাক্ত করা গেলে বগুড়ায় সেদিনের তাণ্ডবের হোতাদেরও বের করা যাবে। কারণ, হামলাকারীদের ওই দলটি করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর পার্শ্ববর্তী এসএ পরিবহন, এসএ কুরিয়ার সার্ভিস, এটিএন বাংলা কার্যালয়, এটিএন ইলেকট্রনিকসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল।
পাঠকের মন্তব্য
পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে।
- Jewel২০১৩.০৩.১৬ ১৬:৫৫
- বাংলাদেশে এই মানুষ গুল থাকে কি ভাবে ?
__._,_.___
সাইনইন