[Attachment(s) from Engr. Shafiq Bhuiyan included below]
ঢাকা, বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০ ভাদ্র ১৪২০ এবং ২৭ শাওয়াল ১৪৩৪
বিগত জোট সরকারের আমলে BNP-জামাত দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের প্রতিষ্ঠানের নামে
১৬ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি হয়েছে
এই টাকার মধ্যে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে
হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারি থেকে আরো বিশাল প্রায় ১৭,০০০ কোটি টাকা ঋণ-জালিয়াতি কেলেঙ্কারি হয়েছে
বিগত (২০০১-২০০৬) জোট সরকারের আমলে - ধরা পরেছে ২০১৩সালের আগস্টে
সোনালী ব্যাংকের তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক , জিএম, ডিজিএম, এজিএম, এসপিও, পিওসহ ব্যাংকের প্রায় ২০ কর্মকর্তার যোগসাজশে
এই ১৭ হাজার কোটির মধ্যে তত্কালীন BNP-জামাত দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে
তত্কালীন সরকার দলীয় BNP-জামাত এমপি-মন্ত্রীদের প্রতিষ্ঠানের নামে চারটি খাতে ভুয়া এলসির মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে ব্যাংকের তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুর রহমান, ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জিএম, এজিএম, এসপিও, পিওসহ ব্যাংকের প্রায় ২০ কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। দুদকের তদন্তে এ সব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে বিগত জোট সরকারের আমলে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি হয়েছে। এই টাকার মধ্যে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের কাছে দেয়া ব্যাংকের তত্কালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদারের লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দুদক কর্মকর্তারা মহাজালিয়াতির এ তথ্য পান। এদিকে হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় অডিট করে দুর্নীতির এই চিত্র দেখে সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. জায়েদ বখত যুগান্তরকে বলেন, সোনালী ব্যাংকের ওই সব শাখায় অনিয়ম হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু উদ্ঘাটন হচ্ছে এখন। বিষয়গুলো নিয়ে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের অনিয়ম ও জালিয়াতি কমানোর জন্য পরিচালনা পর্ষদ ভূমিকা পালন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখায় মেসার্স ফেয়ার উইভিং মিলসের প্রায় দেড়শ কোটি টাকা আত্মসাত্ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আরো ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে ক্যাশ এলসি ৬ হাজার ৯৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা, বিটিবি এলসি ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আইবিপি ২ হাজার ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং প্যাকিং ক্রেডিট ৫৯০ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে বলে দুদক প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পূর্বেই এই ঋণ কেলেঙ্কারি সংগঠিত হয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের (বিএনপি জোট সরকারের তিন বছর সময়ের) মধ্যে ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট বৈদেশিক বাণিজ্য বিনিময় শাখা থেকে এলসি খুলে এই অর্থ লোপাট করা হয়েছে। জালিয়াতি করা অর্থের মধ্যে ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড হিসাবের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এই জালিয়াতিতে বিগত জোট সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া দুদকের কাছে দেয়া ব্যাংকের তত্কালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদারের লিখিত বক্তব্যেও এসব তথ্য স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, তত্কালীন সরকার দলীয় BNP-জামাত এমপি-মন্ত্রীদের প্রতিষ্ঠানের নামে চারটি খাতে ভুয়া এলসির মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে ব্যাংকের তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুর রহমান, ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জিএম, এজিএম, এসপিও, পিওসহ ব্যাংকের প্রায় ২০ কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এলসি খুলে মাল না এনেও আরো এলসি খোলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে ১৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি ব্যাংকের ওই শাখার তত্কালীন এজিএম মো. মিরন মিয়া বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল সময়ে ১৫৬ কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলাটি মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে হওয়ায় শাহবাগ থানা থেকে তা দুদকে হস্তান্তর করা হয়।
কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই মামলায় আসামিরা হলেন ব্যাংকের তত্কালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হওলাদার, মেসার্স ফেয়ার উইভিং মিলসের এমডি মির্জা আবুল কাশেম এবং চেয়ারম্যান রাবেয়া আহমেদ। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দিলে মামলার আসামি এবং ব্যাংকের তত্কালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হওলাদার দুদকে একটি লিখিত বক্তব্য জমা দেন। ওই বক্তব্যের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে এইসব মহাজালিয়াতির নথিপত্র পায় দুদক।
আরো দেখুন:
http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDlfMDRfMTNfMV8yXzFfNjg2NjU=
http://www.sheershanews.com/2013/09/03/1011
http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?& page_id= 5&id=130887
সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখায় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি
ঢাকা, বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০ ভাদ্র ১৪২০, ২৭ শাওয়াল ১৪৩৪ , দৈনিক ইনকিলাব অনলাইন সংস্করণ
২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট বৈদেশিক বাণিজ্য বিনিময় শাখা থেকে এলসি খুলে এই অর্থ লোপাট করা হয়েছে। ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড হিসাবের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকাই লুটপাট করা হয়েছে।
এই জালিয়াতিতে বিগত জোট সরকারের BNP-জামাত এমপি-মন্ত্রীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দুদকের কাছে দেয়া ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদারের লিখিত বক্তব্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। ব্যাংকটির এ শাখায় মেসার্স ফেয়ার উইভিং মিলসের প্রায় দেড়শ' কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্ত করে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পায় দুদক। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পূর্বেই এই ঋণ কেলেঙ্কারি সংগঠিত হয়েছে।
সূত্র মতে, চারটি খাতে ভুয়া এলসির মাধ্যমে জালিয়াতি করে ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি আমিনুর রহমান, ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জিএম, এজিএম, এসপিও, পিওসহ ব্যাংকের প্রায় ২০ কর্মকর্তার যোগসাজসে তৎকালীন সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে এলসি খুলে মাল না আসা সত্ত্বেও আরো এলসি খোলা হয়েছে। চারটি খাতের মধ্যে রয়েছে ক্যাশ এলসি ৬ হাজার ৯৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা, বিটিবি এলসি ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আইবিপি ২ হাজার ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং প্যাকিং ক্রেডিট ৫৯০ কোটি টাকা।
মেসার্স ফেয়ার উইভিং লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত
ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ১৫৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে
জুন ১০, ২০১৩
--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
Attachment(s) from Engr. Shafiq Bhuiyan
1 of 1 File(s)
__._,_.___