Banner Advertiser

Wednesday, January 22, 2014

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] বিএনপির আপাত কৌশল ॥ মঞ্চের বাইরে জামায়াত





On Wednesday, January 22, 2014 1:20 PM, Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com> wrote:
 
বিএনপির আপাত কৌশল ॥ মঞ্চের বাইরে জামায়াত
০ তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল জামায়াত-শিবিরকর্মী এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নীরব উপস্থিতি 
০ চট্টগ্রামে জামায়াতসহ ১৮ দলের জনসভা হয়েছে
০ রাতেই জামায়াত নেতাদের ব্যানার না আনার জন্য বলা হয়
বিভাষ বাড়ৈ ॥ সরকারের কঠোর অবস্থান, জনরোধ আর আন্তর্জাতিক চাপ সামলাতে 'আপাত কৌশল' হিসেবেই জামায়াত-শিবিরকে মঞ্চের বাইরে রেখে রাজধানীতে সমাবেশ করল বিএনপি। বিএনপির সমাবেশ হলেই কেবল মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি অন্যদিকে জামায়াতকে রাখলে সহিংসতার সকল দায়ও বর্তায় নিজেদের ঘাড়ে। তাই হঠাৎই পাল্টে গেল ব্যানার। ১৮ দলের সমাবেশ হয়ে গেল শুধু বিএনপির সমাবেশ। সরকারের বিরুদ্ধে ও নির্বাচন নিয়ে জনগণকে অভিনন্দন জানাতে ডাকা সমাবেশ হয়ে গেল জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচী। জামায়াতের শোডাউনের প্রস্তুতির মধ্যেই শুধু বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশÑ এই অজুহাতে বৃহত শরিককে কৌশলে এড়িয়ে গেল দলটি। মঞ্চে ছিল জোটের অন্য শরিক দল। নেতারা মঞ্চে না থাকলেও সমাবেশে নিজস্ব ব্যানার ছাড়া নীরবে ছিল জামায়াত-শিবিরের থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে চট্টগ্রামে ঠিকই জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে হয়েছে ১৮ দলের সমাবেশ। 
জানা গেছে, স্থায়ী বিভাজন নয় বরং জামায়াতের বিষয়ে কৌশলী ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বহির্বিশ্বে কিছুটা ইতিবাচক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। জামায়াতকে ত্যাগ করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে বিএনপির ঘাড়ে। সরকার বলছে জামায়াতকে ত্যাগ করলে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় তারা রাজি। এ ছাড়াও জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোও। সরকার ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি। সেজন্য কৌশলে আপাতত জামায়াতকে ছাড়া কর্মসূচী করতে চায় দলটি। তাই হঠাৎ একা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, ১৮ দলের ব্যানারে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েও শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ তা বিএনপির নিজস্ব কর্মসূচী বানিয়ে ফেলায় ক্ষুব্ধ জামায়াতসহ বাকি শরিকরা। জামায়াত-শিবির নেতারা এই মুহূর্তেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ না জানিয়ে দু'একদিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চান। এই মুহূর্তে রাজধানীতে যারা জামায়াতের কর্মকা- পরিচালনা করছেন তারা বলছেন, সমাবেশ ছিল ১৮ দলের। ১৫ জানুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে ১৮ দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করেই কর্মসূচী দিয়েছিলেন। সে হিসেবে তাদের প্রস্তুতি ছিলও ব্যাপক। সর্বশেষ রবিবার বিকেলেও গণমাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে সমাবেশ সফল করতে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাতেই নয়াপল্টনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন। বলেন, এটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচী। এ ছাড়াও ডিএমপির পক্ষ থেকে যে ১২ শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছে সেখানে শুধু বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়। তার পরও জামায়াত আসতে পারবে কিনা তা জানাননি। এর পর রাতেই বিভিন্নভাবে জামায়াত-শিবিরের নেতাদের সমাবেশে কোন ধরনের শোডাউন বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত আটক নেতাদের মুক্তি বা অন্য কোন ব্যানার, ছবি নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবেই প্রধান প্রধান নেতাদের কাছে রবিবার রাতে বার্তা পাঠায় বিএনপি। শিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এক প্রভাবশালী নেতা জানান, সোমবার সকালে জামায়াতকে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এটি শুধু বিএনপির কর্মসূচী। সেখানে আপনাদের আসতে হবে না। কারণ হিসেবে বিএনপি বলছে, এটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচী। 
এ ছাড়াও ডিএমপির পক্ষ থেকে যে ১২ শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছে সেখানে শুধু বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয় বলে জানানো হয়। শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ ইয়াহহিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৮ দলের কর্মসূচীতে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি ছিল। সেখানে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের জমায়েতের কথা ভাবছিল তারা। হেফাজতের অন্তর্ভুক্ত বিএনপির এক শরিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি একা কর্মসূচী পালন করতে চায় এটা আগে জানালেই পারত। তবে জামায়াত ছাড়া বিএনপি কোন কর্মসূচী সফল করতে পারে না, এটা সবাই জানে। সমাবেশের আগে জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান রবিবার রাতে বলেছিলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ১৮ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কর্মসূচী চূড়ান্ত করেছেন। এমনকি আমাদের উপস্থিতিতে ১৮ দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন তিনি। বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেরা একাই কর্মসূচী করতে পারে। কিন্তু যে কর্মসূচী জোটগতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে তা একা কী ভাবে করে? সংবাদ সম্মেলন করে এটা বিএনপির কর্মসূচী বলে দিলেই তো হয় না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এটা ১৮ দলের কর্মসূচী, আমরা কাল তাতে অংশ নেব। জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, জামায়াতের কারণে বিএনপির ওপর দেশে-বিদেশে চাপে রয়েছে, কিন্তু তার দায় তো অন্য শরিকরা নিতে পারে না। 
এর আগে ১৮ দলের অন্য সব সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ব্যানারে সেøাগানে বক্তৃতায় সরব থাকলেও সোমবারের সমাবেশে তাদের নীরব ও বিচ্ছিন্ন অবস্থানে দেখা গেছে। তারা কোন ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড বহন করছে না আর সেøাগানও দিচ্ছে না। আলাপকালে বিএনপি নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, তাদের একারই কর্মসূচী ছিল। এমনকি বিএনপি একাই বড় কর্মসূচী পালন করতে পারে তাও তারা দেখিয়ে দিতে চায়। অনেকেই বলছেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল, কোন কর্মসূচী একা সফল করতে পারে না, এজন্যই জামায়াতকে ছাড়তে চায় না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়েছিল যে কোন শর্তে একটি সমাবেশ করতে। নির্বাচনী কৌশলে সরকারের কাছে ধরা খেয়ে সারাদেশের নেতাকর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এই অবস্থায় যে কোন শর্তে বিএনপি একটি কর্মসূচী পালন করতে চেয়েছিল। তবে বিএনপি নেতারাও নিশ্চিত ছিল জামায়াতকে রাখলে সমাবেশের অনুমতি দিবে না। বাস্তবে ঘটলও তাই। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতের বিষয়টি শর্ত হিসেবে লিখিত আকারে না আসলেও জানা গেছে, জামায়াতকে না রাখার শর্তেই মিলেছে অনুমতি। এ ছাড়া আরও প্রায় এক ডজন শর্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতারা দলের দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থা বুঝতে পেরেই কোন শর্ত নিয়ে বাগড়া বাছাতে চায়নি। তাই অনেকটা সরকারের সঙ্গে আপোস রফা করেই সমাবেশের অনুমতি নেয় বিএনপি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে ১২টি শর্ত দিয়ে তাদের (বিএনপি) অনুমতি দেয়া হয়েছে। জনবিশৃঙ্খলা তৈরি করে শর্তগুলো ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, যা সমাবেশের পূর্বশর্তÑ সমাবেশের আগেই সোমবার এ কথা জানিয়ে দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল ম-ল। 
সূত্রগুলো বলছে, সমাবেশ নিয়ে বিএনপির কৌশলের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে- স্থায়ী বিভাজন নয় বরং জামায়াতের বিষয়ে কৌশলী ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বহির্বিশ্বে কিছুটা ইতিবাচক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা। জামায়াতের মতো গণধিকৃত সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য কেবল দেশে নয় বহির্বিশ্বেও সঙ্কটজনক অবস্থায় আছে দলটি। দিন দিন এ সঙ্কট আরও বাড়ছে। সরকারসহ পুরোদেশবাসী এমনকি আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের দাবি তুললেও বাধা এখন দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত। আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত গণধিকৃত উগ্রবাদী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ও সন্ত্রাসী কর্মকা- বর্জন না করলে কোন আলোচনা নয়Ñ এ কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের প্রধান প্রধান ব্যক্তিরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। দেশজুড়ে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি। বুধবার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বার্থে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য জামায়াত ও হেফাজত থেকে দূরে থাকতে বিএনপির প্রতি সুস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের ২৭ দেশের ওই সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দাবি তুলেছে, সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত দল নিষিদ্ধ কর। ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপিকে সহিংসতা এড়িয়ে চলতে বলেছেন। গত সপ্তাহ ১৮ দলের বৈঠকে জামায়াতকে সহিংসতা এড়িয়ে চলতে বলেছেন খালেদা জিয়া। এর পরও শনিবার রাতে গাইবান্ধার সুন্দরপুরে আসামি ধরতে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় দলটি। সেখানে পুলিশসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতকে নিলেও কৌশলী হতে চায় বিএনপি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা এখন জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার। জামায়াত ছেড়ে বিএনপি একটা সমাবেশ করলেই সঙ্কট কাটছে না। সমঝোতাও হচ্ছে না। বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার কোন বিকল্প নেই। বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে এবং বলতে হবে, আমরাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। তাদের আরও বলতে হবে, ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন তার জন্মদিন পালন করবে না। এ ছাড়া সমঝোতার কোন পথ এখন আর নেই।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___