Please click the link below and have a glance of May 5th genocide
http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/1659/nayankhan/14887#.UYnD0UoTRSE
--
Follow me in Twitter:
https://twitter.com/NayanKhan2
http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/1659/nayankhan/14887#.UYnD0UoTRSE
এইমাত্র শাপলা চত্তরে থাকা হেফাজত কর্মীর কাছ থেকে যা শুনলাম.....
লিখেছেন নয়ন খান ০৮ মে, ২০১৩, ১২:২৭:৪৩ রাত
এরা কি সত্যি বাংলাদেশ পুলিশ বা বিজিবি'র সদস্য?
নাম দিলাম আদী। ছেলেটা খুবই গো-বেচারা টাইপের। হাফেজ হল এবার। আদীর বাবা-মা'সহ বাড়ীর সবাই তাবলীগ জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। এক ভাগ্নে শিবির করায় সারা জীবন তাকে শাসিয়েছে।বলত, এত মারামারির মধ্যে তোমরা কেন যে যাও, ইত্যাদি।
এবার ব্লগে প্রিয় নবীর শানে নাস্তিকদের কটুক্তি নিজে পড়ে আদী স্থির থাকতে পারেনি। বাবা-মা'র বাধাও মানেনি। চলে গেছে আল্লামা শফীর ডাকে মতিঝিলে।
ওর এক হুজুরের ছিল পাজামা-পান্জাবী ও টুপির দোকান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটে। ৫ই মে'র সপ্তাহ দুয়েক আগে চল্লিশ হাজার পাজামা-পান্জাবী ও টুপির অর্ডার পান হুজুর। হুজুর কষ্ট মষ্ট করে ডেলিভারীও দেয় ৪ই মে। ৫ই মে'র আগে বুঝতেই পারেন নাই এইগুলো যে ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাহিনীর অর্ডার!
স্টেজের একদম সামনে ছিল প্রায় দশ হাজার অচেনা নব্য স্বেচ্ছাসেবক। মিটিং শুরুর আগে কিছু চালাক ছেলে-পেলেরা হেজাজতের নেতাদেরকে বলেছিল ওদেরকে তারা চেনেন কিনা। তখন ওত গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কেউ ভাবেই আওয়ামী লীগ তাদের এরকম সর্বনাশ করবে। যখন পুলিশ-বিজিবি'র মোড়কে রাতের ডাকু বাহিনী পেছন থেকে হামলা চালায় তখনি পায়জামা পান্জাবী পড়া অচেনা দানবেরাও একসাথে হামলে পড়ে হেফাজতের উপর। ভিকটিমেরা বুঝতেও পারেনি কে তাদের শত্রু, কে তাদের মিত্র।
একসাথে ৫০ জন গিয়েছিল মিছিলে, ফিরেছে আদী একা। কাছের বন্ধু-বান্ধবেরা আজ শহীদী ইদগাহে। দুইদিন ধরে ওর নাওয়া খাওয়া বন্ধ। কথা বলতে পারছে না। আদীর মা আমাকে বলল, কেমন অস্বাভাবিক হয়ে গেছে ছেলেটা। আদী বলে, যারা ঢাকায় থাকে তারা কোনমতে পার হতে পেরেছে, কিন্তু যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে, তারা পালাবে কিভাবে? রাস্তা চেনে না, সব অলিগলি বন্ধ। সবই তাদের অচেনা। মাত্র একদিকে খোলা রেখে সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল রাতের বাহিনী।
পুলিশের সাথে নিরীহ ছেলে-পুলেরা কথা বলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রাতের ডাকু বাহিনী যে বাংলা বোঝে না। ইংরেজীও না। পুলিশ, বিজিবি'র পোশাক পড়া। নিজেরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করে হিন্দী ভাষায় কথা বলে। শুরু হয় স্টেজের দিকে তাক করে মূহুর্মুহু গুলি। তখনো কমপক্ষে এক লক্ষ লোক স্টেজ ও মতিঝিল স্কোয়ার মিলিয়ে। কেউ ঘুমে, কেউবা জিকিরে। রাসুলের শানে গান গাচ্ছিল কিছু শিল্পী। সব সাবাড় করতে ওদের ঠিকই ১০ মিনিট লেগেছিল। টানা গুলি। একদিকে ট্রাক উঠিয়ে দিচ্ছিল ঘুমন্ত এবং জীবিত মানুষদের উপর আর অন্যদিকে ট্রাকে করে উঠাচ্ছিল লাশগুলো। আদীর ভাষায়, কমপক্ষে দশ হাজার শহীদ হয়েছে। এমনকি স্টেজে যারা ছিল তাদের কারো বাঁচার কথা না।
আদী প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু এ যেন বোঝা ঠেকছে তার কাছে। যেন অসাড় দেহ টেনে বেড়ানো। আদীর চাচা আযম আলী সাহেব স্থির থাকতে পারলেন না। পিলখানায় তার এক আত্মীয় থাকেন।বিজিবি'র এক বড় কর্মকর্তা। পরদিন ৬ই মে রাতে চলে যান তার কাছে। জানতে চান কেন এমন হল? উত্তর শুনে চাচার চোখ আরো ছানাবড়া। বিজিবি'র ওই কর্মকর্তা আযম সাহেবকে নিয়ে যান গ্যারেজে পার্কিং করা কিছু ট্রাকের কাছে। ট্রাক ভর্তি লাশ! তখনো ডাম্প করা হয়নি।
আযম সাহেব আর বিজিবি'র কর্মকর্তা উভয়ই নীরব। শুধু দু'গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছে।
নীচের ছবিগুলো যোগ করছি আর কাঁদছি। ছবিগুলো যোগ করার আগে বাড়ীতে ফোন দিলাম। আম্মার সাথে কথা বল্লাম। আমাদের অনেক আত্মীয় পুলিশ, বিজিবি'তে কর্মরত। আম্মা বললেন, আমার ছোট খালু যিনি কিনা পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন, তিনি বললেন উনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আছেন। আজকে হরতালে ডিউটি দিচ্ছেন। উনি বলছেন, লাশ ভর্তি ট্রাক রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও আছে! উনার শরীর কাঁপছে।
এখানে ক্লিক করুন আরো পড়ার জন্য
নাম দিলাম আদী। ছেলেটা খুবই গো-বেচারা টাইপের। হাফেজ হল এবার। আদীর বাবা-মা'সহ বাড়ীর সবাই তাবলীগ জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। এক ভাগ্নে শিবির করায় সারা জীবন তাকে শাসিয়েছে।বলত, এত মারামারির মধ্যে তোমরা কেন যে যাও, ইত্যাদি।
এবার ব্লগে প্রিয় নবীর শানে নাস্তিকদের কটুক্তি নিজে পড়ে আদী স্থির থাকতে পারেনি। বাবা-মা'র বাধাও মানেনি। চলে গেছে আল্লামা শফীর ডাকে মতিঝিলে।
ওর এক হুজুরের ছিল পাজামা-পান্জাবী ও টুপির দোকান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটে। ৫ই মে'র সপ্তাহ দুয়েক আগে চল্লিশ হাজার পাজামা-পান্জাবী ও টুপির অর্ডার পান হুজুর। হুজুর কষ্ট মষ্ট করে ডেলিভারীও দেয় ৪ই মে। ৫ই মে'র আগে বুঝতেই পারেন নাই এইগুলো যে ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাহিনীর অর্ডার!
স্টেজের একদম সামনে ছিল প্রায় দশ হাজার অচেনা নব্য স্বেচ্ছাসেবক। মিটিং শুরুর আগে কিছু চালাক ছেলে-পেলেরা হেজাজতের নেতাদেরকে বলেছিল ওদেরকে তারা চেনেন কিনা। তখন ওত গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কেউ ভাবেই আওয়ামী লীগ তাদের এরকম সর্বনাশ করবে। যখন পুলিশ-বিজিবি'র মোড়কে রাতের ডাকু বাহিনী পেছন থেকে হামলা চালায় তখনি পায়জামা পান্জাবী পড়া অচেনা দানবেরাও একসাথে হামলে পড়ে হেফাজতের উপর। ভিকটিমেরা বুঝতেও পারেনি কে তাদের শত্রু, কে তাদের মিত্র।
একসাথে ৫০ জন গিয়েছিল মিছিলে, ফিরেছে আদী একা। কাছের বন্ধু-বান্ধবেরা আজ শহীদী ইদগাহে। দুইদিন ধরে ওর নাওয়া খাওয়া বন্ধ। কথা বলতে পারছে না। আদীর মা আমাকে বলল, কেমন অস্বাভাবিক হয়ে গেছে ছেলেটা। আদী বলে, যারা ঢাকায় থাকে তারা কোনমতে পার হতে পেরেছে, কিন্তু যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে, তারা পালাবে কিভাবে? রাস্তা চেনে না, সব অলিগলি বন্ধ। সবই তাদের অচেনা। মাত্র একদিকে খোলা রেখে সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল রাতের বাহিনী।
পুলিশের সাথে নিরীহ ছেলে-পুলেরা কথা বলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রাতের ডাকু বাহিনী যে বাংলা বোঝে না। ইংরেজীও না। পুলিশ, বিজিবি'র পোশাক পড়া। নিজেরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করে হিন্দী ভাষায় কথা বলে। শুরু হয় স্টেজের দিকে তাক করে মূহুর্মুহু গুলি। তখনো কমপক্ষে এক লক্ষ লোক স্টেজ ও মতিঝিল স্কোয়ার মিলিয়ে। কেউ ঘুমে, কেউবা জিকিরে। রাসুলের শানে গান গাচ্ছিল কিছু শিল্পী। সব সাবাড় করতে ওদের ঠিকই ১০ মিনিট লেগেছিল। টানা গুলি। একদিকে ট্রাক উঠিয়ে দিচ্ছিল ঘুমন্ত এবং জীবিত মানুষদের উপর আর অন্যদিকে ট্রাকে করে উঠাচ্ছিল লাশগুলো। আদীর ভাষায়, কমপক্ষে দশ হাজার শহীদ হয়েছে। এমনকি স্টেজে যারা ছিল তাদের কারো বাঁচার কথা না।
আদী প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু এ যেন বোঝা ঠেকছে তার কাছে। যেন অসাড় দেহ টেনে বেড়ানো। আদীর চাচা আযম আলী সাহেব স্থির থাকতে পারলেন না। পিলখানায় তার এক আত্মীয় থাকেন।বিজিবি'র এক বড় কর্মকর্তা। পরদিন ৬ই মে রাতে চলে যান তার কাছে। জানতে চান কেন এমন হল? উত্তর শুনে চাচার চোখ আরো ছানাবড়া। বিজিবি'র ওই কর্মকর্তা আযম সাহেবকে নিয়ে যান গ্যারেজে পার্কিং করা কিছু ট্রাকের কাছে। ট্রাক ভর্তি লাশ! তখনো ডাম্প করা হয়নি।
আযম সাহেব আর বিজিবি'র কর্মকর্তা উভয়ই নীরব। শুধু দু'গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছে।
নীচের ছবিগুলো যোগ করছি আর কাঁদছি। ছবিগুলো যোগ করার আগে বাড়ীতে ফোন দিলাম। আম্মার সাথে কথা বল্লাম। আমাদের অনেক আত্মীয় পুলিশ, বিজিবি'তে কর্মরত। আম্মা বললেন, আমার ছোট খালু যিনি কিনা পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন, তিনি বললেন উনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আছেন। আজকে হরতালে ডিউটি দিচ্ছেন। উনি বলছেন, লাশ ভর্তি ট্রাক রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও আছে! উনার শরীর কাঁপছে।
এখানে ক্লিক করুন আরো পড়ার জন্য
বিষয়: বিবিধ
৪০২ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১ ০৮ মে ২০১৩ রাত ১২:৪১ |
বেকার সব লিখেছেন : ami er bichar chai allah kace |
| | |
০৮ মে ২০১৩ রাত ১২:৪৯ |
নয়ন খান লিখেছেন : মহান আল্লাহ অবশ্যই আপনার আহবান শুনবেন। |
| |
০৮ মে ২০১৩ রাত ১২:৫৮ |
বেকার সব লিখেছেন : তা যেন হয় |
| |
২ ০৮ মে ২০১৩ রাত ১২:৫২ |
সাজজাদ রিয়েল লিখেছেন : ওহহহহ আল্লাহ |
| | |
০৮ মে ২০১৩ রাত ০১:২৬ |
নয়ন খান লিখেছেন : মহান আল্লাহ অবশ্যই আপনার আহবান শুনবেন। |
| |
৩ ০৮ মে ২০১৩ রাত ০১:৫১ |
বাকপ্রবাস লিখেছেন : আল্লাহ যেন এই কুত্তাগুলোকে শুয়োর বানিয়ে পৃথিবীকে দেখিয়ে দেয় শাস্তি কি জিনিস |
| | |
০৮ মে ২০১৩ রাত ০২:৪০ |
নয়ন খান লিখেছেন : আল্লাহ সুবহানাহু জালিমদের একটু সময় দেন।তারপর এমন পাকড়াও করবেন যা উদাহরণ হয়ে থাকবে। |
| |
৪ ০৮ মে ২০১৩ রাত ০২:১১ |
রাইয়ান লিখেছেন : কিইবা মন্তব্য করার আছে ভাইয়া, কান্না ছাড়া ! |
| | |
০৮ মে ২০১৩ রাত ০২:৪২ |
নয়ন খান লিখেছেন : আল্লাহর কাছেই একমাত্র চাওয়া ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। |
| |
৫ ০৮ মে ২০১৩ রাত ০২:৪২ |
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আল্লাহ যেন ওদের কে এমন এক অন্ধকার দুর্যোগময় রাত দিয়ে এ দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেন, এ প্রার্থনা |
| | |
৬ ০৮ মে ২০১৩ রাত ০৩:২১ |
ভালবাসার বাংলাদেশ লিখেছেন : সব ক্ষমতার জন্য.. |
| | |
৭ ০৮ মে ২০১৩ রাত ০৪:৩৭ |
সোহরাব লিখেছেন : আমি নির্বাক!! আল্লাহ একদিন তাদের বিচার করবে ইনশাল্লাহ।। |
| | |
৮ ০৮ মে ২০১৩ সকাল ০৫:৫৩ |
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সব সাবাড় করতে ওদের ঠিকই ১০ মিনিট লেগেছিল এই কথাটা কতটুকু সঠিক? |
| | |
কীবোর্ড | বিজয় ইউনিজয় ফোনেটিক ইংরেজি |
নাম: | নয়ন খান |
মন্তব্য: | |
|
কুইক কমেন্টঃ
ভালো লাগলো || ধন্যবাদ || পিলাচ || মাইনাস || অনেক ধন্যবাদ || স্বাগতম ||
কুইক কমেন্ট তৈরি করুন
ভালো লাগলো || ধন্যবাদ || পিলাচ || মাইনাস || অনেক ধন্যবাদ || স্বাগতম ||
কুইক কমেন্ট তৈরি করুন
লেখকের অন্যান্য লেখা
- কখন বুঝবে একটি দেশ ও সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে
- মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে যা বোঝায়
- কানাডিয়ান পুলিশ জয়ের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা গেছে
- মুখোশ-৩ (শেষ পর্ব): বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার উত্থান: নাস্তিকদের চ্যালেন্জ, "অলৌকিকতা বা বিষদাঁতকে ধ্বংস করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য"
- মুখোশ-২: বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার উত্থান: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই হচ্ছে এদেশে নাস্তিকতার সুতিকাগার (পর্ব-২)
- মুখোশ-১: বাংলা ভাষায় নাস্তিকতার উত্থান: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ই হচ্ছে এদেশে নাস্তিকতার সুতিকাগার
- পবিত্র কোরআনের প্যারোডি প্রণেতা শাহবাগী আনিসুল হকের মাফ চাওয়া। প্রথম আলো গংদের আরেক ভন্ডামী।
- এবার পবিত্র কোর'আনের আয়াত নিয়ে প্রথম আলো গুরু আনিসুল হকের প্যারোডি
- এটা ফিলিস্তিন কিংবা কাশ্মীর নয়, তোমার আমার সোনার বাংলাদেশ।
- পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বাদ পড়বে ১৭৭০ জন। এর দায় কি ধর্ষক লীগ নেবে না কি কূলাংগার বেনজীর, মেহেদী হাসান?
Follow me in Twitter:
https://twitter.com/NayanKhan2
__._,_.___