Banner Advertiser

Tuesday, May 7, 2013

[mukto-mona] এবারো মাইকে গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব








মসজিদ, মাদ্রাসার মাইক থেকে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয়দের অংশগ্রহণে একই কায়দায় তাণ্ডব চালানো হয় নারায়ণগঞ্জ ও হাটহাজারীতে। কাছাকাছি সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় প্রাণ গেছে সেনাসদস্য, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্তত ২০ জনের।  
 
 4124 
 6 
 0     Print Friendly and PDF
পুলিশের ধারণা, এই পরিচিত পদ্ধতিতে গুজব ছড়ানোর পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।  
মঙ্গলবার সংঘর্ষস্থল হাটহাজারী সদর, বড় মাদ্রাসা খ্যাত আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম ও এর আশেপাশের অধিবাসী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি উঠে এসেছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দুদিন ধরে হেফাজতকর্মীরা হাটহাজারী সদরে সড়ক অবেরাধ করে ছিল। তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ বড় মাদ্রাসার সামনে  যাওয়ার পরপরই উত্তর দিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। 
একই সময়ে ওই এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইক থেকে আহমদ শফীকে গ্রেপ্তার এবং মাদ্রাসায় হামলা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।এর পর পরই শুরু হয় তাণ্ডব।
সত্যতা মিলল সোমবারের সংঘর্ষে নিহত মামুনের বাবা মো. সোলায়মানের ভাষ্যেও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "মসজিদের মাইকে ঘোষণার পরই মামুন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।"
মামুনের চাচাতো ভাই সালামও মসজিদের মাইকে গুজব ছড়ানোর কথা জানালেন। স্থানীয় দোকানদাররা জানান, মসজিদে শফীকে গ্রেপ্তার ও মাদ্রাসায় হামলার ঘোষণা দেয়ার পরই হামলা শুরু হয়।
এর আগেও ফটিকছড়িতে গুজব ছড়িয়ে হরতালবিরোধী মিছিলে হামলা চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনার পর মসজিদের মাইক ব্যবহার করে কেউ যাতে কোনো অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও পুলিশের পক্ষ থেকেও মসজিদ ও মাদ্রাসার মাইকের অব্যবহার রোধে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত এবং এর সঙ্গে জামায়াত-শিবির যুক্ত। 
হাটহাজারী থানার ওসি লিয়াকত আলী সোমবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সংঘর্ষের শুরুর দিকে হামলাকারীরা সেনাসদস্য সাইদুরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে।
ফটিকছড়ির মতো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে হাটহাজারীতেও সংঘর্ষ হয়েছে বলে মনে করেন ওসি।
অবশ্য সংঘর্ষে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আলী নিজামপুরী।
তিনি দাবি করেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ 'তৌহিদী জনতা'র উপর হামলা করেছে।
এর সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীরা জড়িত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি এ বিষয়ে অবগত নই।" তবে 'বড় হুজুর' আহমদ শফীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি 'মিজগাইড' হিসেবে উল্লেখ করেন তার ছেলে আনাস মাদানী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "সোমবার বিকালে লালবাগ থেকে পুলিশ প্রটোকলে যখন বের করা হয় তখন অনেকে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে মনে করেছিল।"
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাইকে দেয়া ঘোষণার সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জের ঘটনার। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, 'মাদ্রাসায় পুলিশ ও সরকারের লোকেরা হামলা করেছে, আমাদের বাঁচান'- নারায়ণগঞ্জের মাদানীনগর মাদ্রাসার মাইক থেকে বার বার এমন বক্তব্য দিয়ে লোকজনকে প্রতিরোধের আহ্বান জানানোর পরই হাজার হাজার মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। 

সোমবার দিনভর নারায়ণগঞ্জে মাদানীনগর, সানারপাড়, পাইনাদী, চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হন।
এতে আহত হন কয়েকশ মানুষ। আগুন দেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩টি গাড়িসহ ১০টি যানবাহনে। ভাংচুর করা হয় অর্ধশত যানবাহন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাদানীনগরের নার্সারি ব্যবসায়ী আব্দুল আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার ভোরে হেফাজতের প্রচুর নেতাকর্মী সানারপাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
"এ সময় মাদানীনগর মাদ্রাসার মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, মাদানীনগর মাদ্রাসায় হামলা চালানো হয়েছে, আমাদের বাঁচান।"
তারপরই এলাকাবাসীর প্রতিরোধের জন্য লাঠিসোটা ও দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। 
তিনি আরো জানান, সেদিন যারা এ তাণ্ডবে অংশ নেয় তাদের অধিকাংশই ছিল স্কুল-কলেজ পড়ুয়া। তাদের মাথায় টুপি বা পরনে পাঞ্জাবী ছিল না। তাদেরকে আগে কখনো এই এলাকায় দেখা যায়নি। 
মাদ্রাসার মাইক থেকে পুলিশকে প্রতিরোধের আহ্বান সেদিন শুনতে পেয়েছিলেন পাইনাদী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনও।
তিনি বলেন, "মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন পুলিশের সহায়তায় মাদ্রাসায় হামলা চালাতে আসছে। এলাকাবাসীর যার যা আছে তাই নিয়ে বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসুন এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।"
সোমবারের হেফাজতের তা-বের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নিমাইকাশারী এলাকার বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল ইসলামের ছেলে মারজানুল ইসলাম সৌরভ। তার আগামীবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
এনামুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার মাইক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়- মাদ্রাসায় হামলা চালানো হচ্ছে এবং তাদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই ঘোষণা শুনে সৌরভ সেখানে ছুটে যেতে চাইলে প্রথমে তার মা বাধা দেন।
কিন্তু মার কথা না শুনেই 'হুজুরদের রক্ষা' করতে গিয়ে সৌরভ গুলিতে মারা যান বলে জানান তার বাবা এনামুল ইসলাম।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ  হেফাজতকর্মীদের অবরোধ ভেঙ্গে তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে মাদ্রাসার মাইক থেকে বার বার ঘোষণা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। 
"মাদ্রাসার ভেতরে ও ছাদে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরে পুলিশ কাঁচপুরের দিকে এগুলো মাদ্রাসার ভেতর থেকে বের হয়ে এসে হামলা চালানো হয়।"


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___