Hindu students of Dhaka university Jagannath Hall resort to violent road blockage .Action should be taken against those who insulted Prophet in the first place in Satkhira and then against those who burnt 8/9 houses of Hindu community there. Insulting Prophet is a major crime in Islam. There should be a blasphemy law penalizing proved cases of insulting Prophets/founders of religions.
Shah Abdul Hannan
"ঘটনার নেপথ্য : ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে 'হুজুর কেবলা' নামক নাটক মঞ্চায়িত হয়। নাটকে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) লোভী আখ্যায়িত করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মিলে নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা থানায় মামলাও করেন। এতে এক নাট্যকার, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে চরম উত্তপ্ত অবস্থা। নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কয়েক দফা মিটিং করে। সর্বশেষ বিক্ষুব্ধ জনতা ৩১ মার্চ 'নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ৮-১০টি ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা চলে। এতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।"
সাতক্ষীরায় নির্যাতনের প্রতিবাদ : শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রদের তাণ্ডব
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মালম্বী ছাত্রদের অবরোধ ও বিক্ষোভে গতকাল রাজধানীর সড়কগুলো তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অচল ছিল। ছাত্ররা শাহাবাগে রাস্তায় গাড়ির টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং যানবাহনে ভাংচুর চালায়। এতে নগরজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।সম্প্রতি সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে তাদের ওই প্রতিবাদ। এদিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ঘটনা সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধি জানান,
শুধু সংখ্যালঘুদের ওপর লুটপাট ও নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। '
হুজুর কেবলা'
নামক মঞ্চায়িত নাটকে হযরত মুহাম্মদকে (
সা.)
অবমাননা করায় ক্ষুব্ধ জনতা নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি-
ঘর পুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা হচ্ছে।সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে '
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের'
বাড়িতে লুটপাট ও নির্যাতনের অভিযোগে চারদফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের কয়েকশ'
ছাত্র সড়ক অবরোধ,
আগুন,
ভাংচুর ও বিক্ষোভ করে। ছাত্ররা সকালে হল থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে পৌনে ১১টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে গাড়ির টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেয়ার কথা জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। পৌনে ২টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা এ অবরোধ,
আগুন ও বিক্ষোভ চলে। এতে শাহবাগ থেকে মত্স্যভবন,
বিশ্ববিদ্যালয়,
ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিমুখী সড়কে যান চলাচল পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর অন্যান্য সড়কেও এর তীব্র প্রভাব পড়ে। হাজারো যানবাহনের তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় গতকালের পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও অভিবাবকরা বাসায় ফিরতে গিয়ে গরমের মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন। তিন ঘণ্টাব্যাগী বিক্ষোভ ও আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল নীরব। সংখ্যালঘু অজুহাতে পুলিশকে অবরোধ তুলে দিতে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঘটনাস্থলে এসে অনুরোধ জানালে পৌনে ২টায় অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর আবার যান চলাচল শুরু হয়। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। এর আগে বুধবার রাতেও একই অভিযোগে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখেছিল জগন্নাথ হলের ছাত্ররা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ : বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্ররা তাদের অভিযোগে জানায়, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়েছে—এমন অভিযোগে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালায় এবং তাদের ওপর নির্যাতন করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ হলের ছাত্র মানিক রক্ষিত জানায়, এভাবে বার বার কেন সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে? সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? মানিক রক্ষিত তাদের ৪টি দাবি জানিয়ে বলেন, কালিগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সারাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং এসব বিষয়ে প্রশাসনকে সক্রিয় অবস্থান নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বক্তব্য :
ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন,
সাতক্ষীরায় যে ঘটনা ঘটেছে তা লজ্জাকর,
বেদনাদায়ক। তারা যে দলের সদস্য হোক না কেন—
এ ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দোষীদের শাস্তির আওতায় নেয়া হোক—
এটা আমাদের দাবি। আমরা আশা করি,
সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এসএম শিবলী নোমান সাংবাদিকদের জানান,
জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা সংখ্যালঘু নির্যতনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। তবে তারা যানবাহন ভাংচুর করেনি। পুলিশের রমনা জোনের সহকারী উপ-
কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান,
আমরা তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে বলেছি,
তারা যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। তিনি জানান,
এরই মধ্যে সাতক্ষীরার ঘটনায় পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্য : ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে 'হুজুর কেবলা' নামক নাটক মঞ্চায়িত হয়। নাটকে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) লোভী আখ্যায়িত করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মিলে নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা থানায় মামলাও করেন। এতে এক নাট্যকার, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে চরম উত্তপ্ত অবস্থা। নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কয়েক দফা মিটিং করে। সর্বশেষ বিক্ষুব্ধ জনতা ৩১ মার্চ 'নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ৮-১০টি ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরপরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা চলে। এতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।