External pressure did little to save innocent Hindus who were attacked day after last national election. Albeit we had rather peaceful Upazila elections all over the nation. BAL can take credit for it.
Indian president's person interest in Bangladesh is not a secret (After all he is our jamai babu). However apparently he spend little too much time into our domestic issues and neglected his own party. So as per recent polls BJP will be taking over the next Indian administration.
Now if he can manage to educate other Indian politicians to give our us fair share of water, we'll become best friends in no time.
Shalom!
From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Fri, Feb 28, 2014 4:54 pm
Subject: Re: [mukto-mona] ভারতকে দেয়া কথা রাখছেন কা.সিদ্দিকি!
>>>>>>>> I am glad our big brother Pronob is looking after our country. Maybe he is spending too much time into it. After all according to recent polls his own party Congress is heading towards a beating in next upcoming election (Unless he can arrange a one party election).
Either way it is assuring that Pronob is deeply involved in our domestic politics by setting up how much "opposition" should our opposition parties should be doing.
Pronob babu sacrificed his own precious time since our politicians quit thinking about us, it is a hidden blessing indeed. Other sources also credited Pronob for "Managing" our "Thuthu baba" (AKA Ershad) to agree with last election.
Thank you Sri Pronob Mukharjee for being so thoughtful and thank you member Khan for sharing this precious article with us. For last few days, I thought everyone abandoned us. I am revealed that, India still deeply involved in our affairs and we have nothing to worry!!
For those who badmouth politicians should thank Mr. Kader Siddiqi. At least he is true to his "Protectors". He is not a "Nimakharam" person but a grateful person.
>>>>>>>> Amazing India. It can even stop arrest in a foreign country!
I think we should not underestimate India anymore and be respectful of India. America is known for abandoning allies but India is true to her followers.
Thank you India....
Peace!
[ P S - You should read this post with some sense of humor. If you don't, please do not read it ]
-----Original Message-----
From: Jamal G. Khan <M.JamalGhaus@gmail.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Mon, Feb 24, 2014 7:54 pm
Subject: [mukto-mona] ভারতকে দেয়�
__._,_.___
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
__,_._,___
[mukto-mona] ৩৭ বছরে ছাত্রশিবিরের আলোচিত ৩৪ হত্যাকান্ড
৩৭ বছরে ছাত্রশিবিরের আলোচিত ৩৪ হত্যাকান্ড
তানভীর হাসান প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৭ বছরে অন্তত ৩৪টি আলোচিত হত্যাকা- ঘটিয়েছে শিবির ক্যাডাররা। এছাড়া তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে ছাত্র-শিক্ষকসহ কয়েক হাজার মানুষ। সর্বশেষ মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার 'ঠেকাতে' তারা দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর নাশকতা চালায়। এসব কারণেই এই সংগঠনটি এবার বিশ্বের শীর্ষ সশস্ত্র সংগঠনের তালিকার তিন নাম্বারে উঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা হিসেবে পরিচিত আইএইচএস সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করে।
জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনের তৎকালীন নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে সংগঠনটির নাম পাল্টে রাখা হয় ইসলামী ছাত্রশিবির। ধর্মের ছদ্মাবরণে থাকলেও তাদের প্রকৃত চেহারা দ্রুতই উন্মোচিত হতে থাকে। প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তাদের নৃশংসতার রাজনীতি। রগ কেটে হত্যা ও চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার এক রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিও তারাই চালু করে।
২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের কাজ শুরু করলে এই সংগঠন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেদিন রাজধানীর ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত বোমায় কেঁপে ওঠে। এরপর থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা, বোমা বিস্ফোরণ ও পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত অনেক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র গোলাবারুদ। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। বাদ যায়নি বর্ডার গার্ডের সদস্যরাও। লুটপাট করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, শিবির শুরু থেকেই সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের হত্যা-হামলা-নাশকতার অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মীই এখন কারাগারে। বাকিদের কর্মকা-ের ওপর সতর্ক নজরদারি চলছে। কোনো অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিবিরকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শিবিরের রাজনৈতিক গতিপথ অন্য যে কোনো সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে হানাহানি-মারামারি নতুন কিছু নয়। কিন্তু শিবির যখন সংঘাতে জড়ায়, তা থাকে পূর্ব পরিকল্পিত। তারা টার্গেট করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে। মিশন সফল করতে নিজেদের সদস্যদের 'শাহাদত' বরণের জন্য প্রস্তুত রাখে। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে হত্যা অথবা চিরতরে পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত করার পরই শুধু তারা ফিরে যায়। হাতুড়ি, রড, ইট, মুগুর দিয়ে মাথা থেঁতলে বা হাড় ভেঙে দেয়া, ধারালো সরু লোহার শলাকা দিয়ে খুঁচিয়ে মগজ বের করা, চোখ উপড়ে ফেলা, মেরুদ- ভেঙে ফেলা, কব্জি কেটে নেয়ার মতো নৃশংস ঘটনার নজির শিবিরই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছাত্রশিবির কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান দৃঢ় করতে চাইলে প্রথমে ওই প্রতিষ্ঠানের হল, অথবা শিক্ষার্থীদের মেসে আস্তানা গড়ে তোলে। তাদের অন্যতম টার্গেট অভাবী শিক্ষার্থীরা। এমন ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে, ধর্মের উপদেশবাণী শুনিয়ে দলে ভেড়ায় শিবির। ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের সংগঠনের সদস্য করে নেয়। ইসলামী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী পন্থায় উদ্বুদ্ধ করে তাদের শেখানো হয়-'মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী'। তবে শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবেও সংগঠনের সদস্যদের জীবদ্দশায়, এমনকি মারা গেলে তার পরিবারের দায়িত্বও নেয় শিবির। এভাবে সদস্যদের 'মগজ ধোলাই' করে তাদের ঠেলে দেয় নৃশংসতার চক্রে।
শিবিরের আলোচিত ৩৪ হত্যাকা- : প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের মার্চে শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ চত্বরেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন 'পানি-পানি' বলে কাতরাচ্ছিলেন, তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে। এর তিন বছর পর ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নাম্বার কক্ষে শিবিরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করে।
১৯৮৮ সালের ৩১ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রকাশ্যে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে শিবির। একই বছরে তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই বছরেই শিবির ক্যাডাররা সিলেটে মুনীর, জুয়েল ও তপন নামের তিনজনকে বর্বরভাবে হত্যা করে। এত হত্যার রেশ না কাটতেই দু'বছরের মাথায় ফের সহিংস হয়ে ওঠে শিবির। ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর তারা ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুককে গলা কেটে হত্যা করে।
১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীর শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করে। এ সময় আহত দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর বেশিরভাগেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা রাজেশের কব্জি কেটে ফেলা হয়। একই বছরের ১৯ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা চালায় শিবির। এতে গুরুতর আহত জাসদ নেতা মুকিম ২৪ জুন মারা যান। পরের বছর ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, নতুন নামে এক সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের তপনসহ পাঁচ ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিবিরকর্মীরা রাজশাহীর চৌদ্দপাই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি বাসে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। পরের বছর জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট দখলের জন্য শিবির ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। ১৯৯৮ সালের ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপাত্রকে হত্যা করে।
১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বহিরাগত সশস্ত্র শিবিরকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ২০০০ সালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসে থাকা আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে হত্যা করে শিবির।
১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফা হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০০৪ সালে অধ্যাপক মো. ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুই সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হলেও শিবির ক্যাডাররাই হত্যাকা-ে নেতৃত্ব দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর শিবির বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নে ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে হত্যা করে। ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাবির জামায়াতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন ও রাবি শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীনসহ চারজন হামলা চালিয়ে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাবির ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবির ক্যাডাররা।- See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=02-03-2014&type=single&pub_no=763&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=8#sthash.cZMxCy4r.dpuf
তানভীর হাসান প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৭ বছরে অন্তত ৩৪টি আলোচিত হত্যাকা- ঘটিয়েছে শিবির ক্যাডাররা। এছাড়া তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে ছাত্র-শিক্ষকসহ কয়েক হাজার মানুষ। সর্বশেষ মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার 'ঠেকাতে' তারা দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর নাশকতা চালায়। এসব কারণেই এই সংগঠনটি এবার বিশ্বের শীর্ষ সশস্ত্র সংগঠনের তালিকার তিন নাম্বারে উঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা হিসেবে পরিচিত আইএইচএস সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করে।
জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনের তৎকালীন নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে সংগঠনটির নাম পাল্টে রাখা হয় ইসলামী ছাত্রশিবির। ধর্মের ছদ্মাবরণে থাকলেও তাদের প্রকৃত চেহারা দ্রুতই উন্মোচিত হতে থাকে। প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তাদের নৃশংসতার রাজনীতি। রগ কেটে হত্যা ও চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার এক রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিও তারাই চালু করে।
২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের কাজ শুরু করলে এই সংগঠন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেদিন রাজধানীর ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত বোমায় কেঁপে ওঠে। এরপর থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা, বোমা বিস্ফোরণ ও পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত অনেক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র গোলাবারুদ। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। বাদ যায়নি বর্ডার গার্ডের সদস্যরাও। লুটপাট করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, শিবির শুরু থেকেই সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের হত্যা-হামলা-নাশকতার অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মীই এখন কারাগারে। বাকিদের কর্মকা-ের ওপর সতর্ক নজরদারি চলছে। কোনো অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিবিরকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শিবিরের রাজনৈতিক গতিপথ অন্য যে কোনো সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে হানাহানি-মারামারি নতুন কিছু নয়। কিন্তু শিবির যখন সংঘাতে জড়ায়, তা থাকে পূর্ব পরিকল্পিত। তারা টার্গেট করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে। মিশন সফল করতে নিজেদের সদস্যদের 'শাহাদত' বরণের জন্য প্রস্তুত রাখে। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে হত্যা অথবা চিরতরে পঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত করার পরই শুধু তারা ফিরে যায়। হাতুড়ি, রড, ইট, মুগুর দিয়ে মাথা থেঁতলে বা হাড় ভেঙে দেয়া, ধারালো সরু লোহার শলাকা দিয়ে খুঁচিয়ে মগজ বের করা, চোখ উপড়ে ফেলা, মেরুদ- ভেঙে ফেলা, কব্জি কেটে নেয়ার মতো নৃশংস ঘটনার নজির শিবিরই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছাত্রশিবির কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান দৃঢ় করতে চাইলে প্রথমে ওই প্রতিষ্ঠানের হল, অথবা শিক্ষার্থীদের মেসে আস্তানা গড়ে তোলে। তাদের অন্যতম টার্গেট অভাবী শিক্ষার্থীরা। এমন ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে, ধর্মের উপদেশবাণী শুনিয়ে দলে ভেড়ায় শিবির। ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের সংগঠনের সদস্য করে নেয়। ইসলামী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী পন্থায় উদ্বুদ্ধ করে তাদের শেখানো হয়-'মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী'। তবে শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবেও সংগঠনের সদস্যদের জীবদ্দশায়, এমনকি মারা গেলে তার পরিবারের দায়িত্বও নেয় শিবির। এভাবে সদস্যদের 'মগজ ধোলাই' করে তাদের ঠেলে দেয় নৃশংসতার চক্রে।
শিবিরের আলোচিত ৩৪ হত্যাকা- : প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের মার্চে শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ চত্বরেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন 'পানি-পানি' বলে কাতরাচ্ছিলেন, তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে। এর তিন বছর পর ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নাম্বার কক্ষে শিবিরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করে।
১৯৮৮ সালের ৩১ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রকাশ্যে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে শিবির। একই বছরে তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই বছরেই শিবির ক্যাডাররা সিলেটে মুনীর, জুয়েল ও তপন নামের তিনজনকে বর্বরভাবে হত্যা করে। এত হত্যার রেশ না কাটতেই দু'বছরের মাথায় ফের সহিংস হয়ে ওঠে শিবির। ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর তারা ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুককে গলা কেটে হত্যা করে।
১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীর শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করে। এ সময় আহত দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর বেশিরভাগেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা রাজেশের কব্জি কেটে ফেলা হয়। একই বছরের ১৯ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা চালায় শিবির। এতে গুরুতর আহত জাসদ নেতা মুকিম ২৪ জুন মারা যান। পরের বছর ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, নতুন নামে এক সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের তপনসহ পাঁচ ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শিবিরকর্মীরা রাজশাহীর চৌদ্দপাই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি বাসে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। পরের বছর জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট দখলের জন্য শিবির ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। ১৯৯৮ সালের ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপাত্রকে হত্যা করে।
১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বহিরাগত সশস্ত্র শিবিরকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ২০০০ সালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসে থাকা আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে হত্যা করে শিবির।
১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফা হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০০৪ সালে অধ্যাপক মো. ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুই সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হলেও শিবির ক্যাডাররাই হত্যাকা-ে নেতৃত্ব দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর শিবির বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নে ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে হত্যা করে। ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাবির জামায়াতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন ও রাবি শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীনসহ চারজন হামলা চালিয়ে রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাবির ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবির ক্যাডাররা।- See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=02-03-2014&type=single&pub_no=763&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=8#sthash.cZMxCy4r.dpuf
Related:
সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরদমনে আর কালবিলম্ব নয়- See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=28-02-2014&feature=yes&type=single&pub_no=761&cat_id=3&menu_id=19&news_type_id=1&index=2#sthash.a1DmHqwc.dpuf
শিবিরের সন্ত্রাসী তিলক : হুমকিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা!
Shibir world's 3rd top armed group - বিশ্বের 'তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির'
Also Read (Some background of Shibir):
আলবদর এখনও আছে :