বিজয়ের মাসে দাবি - মুনতাসীর মামুন
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০
এবার বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসটি আমাদের কাছে নতুন মাত্রা বহন করছে। আমরা যারা ছাত্র ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, তাদের শিক্ষকদের এ বিজয়ের মাসেই হত্যা করা হয়। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো, না হলে অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। গণহত্যার শুরু ২৫ মার্চ থেকে। ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্তও পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় মানুষ হত্যা করেছে। এ হিসাব আমরা গণহত্যার সঙ্গে যোগ করি না; এখন মনে হয় করা উচিত।
আলবদর বাহিনী গঠিত হওয়ার পর তারাও হত্যা শুরু করে। জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ পুরোটাই পরিণত হয়ে যায় বদরবাহিনীতে। মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন যেহেতু নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি, সে কারণে তিনি পরিণত হন আলবদর বাহিনীর প্রধান, আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যেহেতু ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রসংঘের প্রধান, সেহেতু তিনি হয়ে যান বদরবাহিনীর উপপ্রধান বা নিজামীর ডেপুটি। ঢাকার মোহাম্মদপুরে ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত বদরবাহিনীর ক্যাম্প পরিচালনা করতেন প্রধানত মুজাহিদ।
আলবদর বাহিনীর হত্যার মধ্যেও একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। তারা বেছে বেছে বুদ্ধিজীবী হত্যায় মনোযোগ দিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটি, যদি 'পূর্ব পাকিস্তান' বাংলাদেশ হয়ে যায় তাহলে সে যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। মফস্বল থেকে ঢাকা—সব জায়গায় এই প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল।
১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল থেকে এ প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছিল। মনে হয়, পাকিস্তানের ভারত আক্রমণের পর যৌথ কমান্ড গঠিত হলে ও পাল্টাআক্রমণ শুরু হলে, আলবদররা অনুধাবন করেছিল পাকিস্তান যুদ্ধে হেরে যেতে পারে। সে কারণে তারা ঢাকার বুদ্ধিজীবী হত্যার সামগ্রিক একটি পরিকল্পনা নিয়ে, তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবীদের তুলে আনতে থাকে। একই সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনাও ঠিক রাখে। সে কারণে দেখি, অধিকাংশ নেতৃস্থানীয় আলবদর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নিজামী-মুজাহিদ নেপাল হয়ে পাকিস্তানে চলে যান। ফেরেন ১৯৭৫ সালে আলবদর-বন্ধু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর।
১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে সমাহিত আমার কয়েকজন শিক্ষকের কবর জিয়ারত করতে যাই। সামনে অবসরে গেলে হয়তো আর যাওয়া হবে না। তবে ১৪ ডিসেম্বর এলে সব সময় সেই শিক্ষকদের মনে পড়ে। আমাদের পড়িয়েছিলেন ইতিহাসের গিয়াসউদ্দিন আহমদ, সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্য, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। কারণ ছাত্র ছিল তখন কম। ঢাকায় অনেক প্রতিরোধ গ্রুপের মধ্যে একটি প্রতিরোধ গ্রুপের দায়িত্ব পালন করতেন আমার বড় চাচা ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। সেই সময় অনেক দিন রাতে দেখেছি গিয়াস স্যারকে ধানমণ্ডিতে আমাদের বাসায় আসতে। তিনিও জড়িত ছিলেন এর সঙ্গে।
নির্মূল কমিটির আন্দোলনে সক্রিয় থাকার একটি কারণ, আমার শিক্ষকদের হত্যার বিচার শুরু করা। এ নিয়ে কম লেখালেখিও করিনি। জামায়াতে ইসলামী কখনো এসব অভিযোগের প্রতিবাদ জানাত না। শুধু একবার আবদুল কাদের মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবাদটিতে জানানো হয়েছিল, মুনতাসীর মামুনের শিক্ষকদের হত্যার সঙ্গে মতিউর রহমান নিজামী জড়িত ছিলেন না। তিনি যা লিখছেন তা ঠিক নয়। এই একবারই তারা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। অবশ্য আরো পরে মুজাহিদ ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১ সালে কোনো যুদ্ধাপরাধ হয়নি, সুতরাং কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই।
এখন সেই আবদুল কাদের মোল্লা ও আলী আহসান মুজাহিদ আর নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের ফাঁসি হয়েছে। নিজামীর আপিলের রায় দেওয়া হবে সামনের মাসে। তাঁর ডেপুটির রায় বহাল থাকলে তাঁরটি বহাল না থাকার কোনো কারণ দেখি না। তা ছাড়া আইন দিয়ে তো আর ইতিহাসের সত্য অস্বীকার করা যায় না। ওল্টানোও যায় না। গেলেও সেই রায় সর্বসাধারণে স্বীকৃতি পায় না।
২.
এ বছর আলবদরের ডেপুটি মুজাহিদের রায় কার্যকর হয়েছে। নিজামীর ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। এর আগে আলবদর কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে। তাতে মনের ক্ষোভ অনেকটা মিটেছে। যে বিচারের দাবি করে আসছি আজ চার দশক, তা কার্যকর হলে অখুশি থাকার কোনো কারণ নেই। তার পরও দেখি মনের জ্বালা মেটে না।
মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ১৯৭১ সালেও তিনি ক্ষমতাবান ছিলেন। তার পরও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। মন্ত্রী হয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পরও সরকার তাঁকে আরাম-আয়েশে রেখেছে। কিন্তু এই মুজাহিদ তো আমার শিক্ষকদের, অন্যদের হাত-পা কুচিকুচি করে কেটেছেন। সারা শরীর চিরে নুন-মরিচ লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রতি পলে পলে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করেছেন। আবদুর রশীদ তর্কবাগিশ বোধ হয় লিখেছিলেন, মুজাহিদের সদর দপ্তরের বাইরে এক ব্যাগ ভর্তি চোখের মণি পাওয়া গিয়েছিল। সেই মুজাহিদ বা কাদের কোনো যন্ত্রণা ভোগ না করে ফাঁসিতে চলে গেলেন। যন্ত্রণা পেলেন কয়েক মিনিটের মাত্র।
তাঁরা যেসব পরিবারের প্রধানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই পরিবারগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ৩০ লাখ পরিবার। ছয় লাখ নারী। গত ৪০ বছর এসব পরিবারের অধিকাংশ সদ্য অবমাননা-অপমানের শিকার হয়েছেন। দুঃসহ দারিদ্র্যে জীবনযাপন করেছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন। খুব কম পরিবারই আজকের অর্থে মধ্যবিত্তে স্থান পেয়েছে।
অন্যদিকে নিজামী-মুজাহিদ থেকে সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী বা আলবদর মীর কাসিম কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন বৈধ-অবৈধ দুই উপায়ে। শুধু তা-ই নয়—নিজামী, মুজাহিদ, সাকাচৌ মন্ত্রী হয়েছেন। মীর কাসিম আলীর এত টাকা যে ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ফ্যাসিভি অ্যান্ড কম্পানিকে লবিস্ট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা রাখেন। সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা এই যে খালেদা জিয়ার আমলে দেশসেবার জন্য নিজামী-মুজাহিদকে বনানী ও উত্তরায় জমি দেওয়া হয়েছে। এটি পুরো জাতিকে অপমানের শামিল। শুধু ওই কারণেই এখন তত্কালীন পূর্তমন্ত্রী, সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও খালেদার বিচার হতে পারে।
তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে বা যাবজ্জীবন হলেও তাঁদের উত্তরাধিকারীরা এই সম্পদ ভোগ করবে, বিলাস-বৈভবে কাটাবে। এটা তো ন্যায্য বিচার হতে পারে না। যাঁরা খুন হলেন তাঁদের পরিবার ভেসে যাবে আর যারা খুন করল তারা নদীর তীরে সুরম্য ভবনে দাসদাসী পরিবৃত জীবন যাপন করবে—তা আইনেরও এক ধরনের খেলাপ। সে কারণে আমরা এখন দাবি করছি, যাঁরা অভিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের সম্পত্তি (গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত) বাজেয়াপ্ত করা হোক এবং সে সম্পদ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দেওয়া হোক ভিকটিমদের পরিবারে বিতরণের জন্য। ৪০ বছরের দুঃখ-বেদনা-অপমান নিঃসরণেরও তো একটা ক্ষতিপূরণ থাকবে।
৩.
আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণার বাইরে কোনো প্রস্তাব হলে সবাই হা হা করে ওঠেন। দুটি বক্তব্য পাওয়া যায় তখন—এক. এটি কিভাবে সম্ভব এবং দুই. আইনে নেই। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যখন আন্দোলন শুরু করে তখনো এ দুটি প্রশ্ন ওঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিচার সম্ভব এবং আইনও পাল্টে যায় বা আইন করা যায়। মানুষই তো আইন তৈরি করে নিজ স্বার্থে। স্বার্থবিরোধী হলে সেই আইন পাল্টাতে কতক্ষণ! ঔপনিবেশিক আমলে মানসিক অধস্তনতা সৃষ্টির কারণে এই ধারণা ফেরি করা হয়েছিল যে আইন না মানলে সব কিছু ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। এখন ঘাতকদের বিচার মনে হচ্ছে স্বাভাবিক এবং আইন পাল্টানোটাও অস্বাভাবিক মনে হয় না। অবশ্য এ কথা ঠিক, শেখ হাসিনা না থাকলে এখনো বিচারটা অসম্ভব মনে হতো। আইন সংশোধনী বড় রকমের বিচ্যুতি বলে পরিগণিত হতো। সে পরিপ্রেক্ষিতে ঘাতকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি অনেকে এখন অস্বাভাবিক ও আইনে নেই বলে দাবি করছেন। শাহরিয়ার কবির ও আমি এই দাবি তোলার পর অনেকে মাথা নেড়েছেন। অ্যাবসার্ড বলেছেন, ৪০ বছর আগেও এ ধরনের কথা আমরা শুনেছি। আশার কথা যে এ দাবি নিয়ে এখন অনেকে বলছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কয়েকটি দাবি তুলেছে :
১. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত গণহত্যাকারীদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারী ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের 'ওয়ার ভিকটিমস কম্পেনসেশন অ্যাক্ট'-এর মতো আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২. ব্যক্তির পাশাপাশি গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সব দল ও বাহিনীর বিচার করে এসব দলের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৩. জামায়াতে ইসলামীর সব শিল্প-বাণিজ্য-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. আত্মপ্রকাশের পর থেকে জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য যেভাবে ১৯৭১ সালের কায়দায় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী, ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামা এবং সর্বোপরি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়কে হত্যা-নিপীড়ন করেছে, তাদের সম্পদ ধ্বংস করেছে, জামায়াতের জব্দকৃত সম্পদের দ্বারা তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে হবে।
এক হিসেবে এই দাবিগুলোতে নতুনত্ব তেমন কিছু নেই। বিভিন্ন দেশে এ-সংক্রান্ত আইন প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা নারীরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
আমাদের সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ দেখুন। এই অনুচ্ছেদ কার্যকর করলে আলাদা আইনের দরকার হয় না।
বিখ্যাত ন্যুরেমবার্গ বিচারের জন্য প্রণীত ২৪ নং ধারা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারালয়ের আইনের ৭৭/২(খ) ধারায় ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে।
রুয়ান্ডা, জিম্বাবুয়ে, যুগোস্লাভিয়ায় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। যে আইনে বিচার চলছে সে আইনের বিভিন্ন ধারায়ও ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি এসেছে।
রুয়ান্ডার আইনের ২৩/৩, যুগোস্লাভিয়ার আইনের ১০৬ ধারায় পরিষ্কারভাবে ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ও উল্লিখিত দেশগুলোতে যদি ক্ষতিপূরণের বিধান থাকে, তাহলে বাংলাদেশের আইনেও তা থাকলে ব্যত্যয় মনে হবে না বরং তা স্বাভাবিক মনে হবে।
আসলে ভিকটিমরা সম্পূর্ণ সুবিচার পাক তা আমরা চাই কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে ঐকমত্য হলে এই দাবি সমস্বরে তুলতে হবে। এখনই সুসময় বা দাবি তোলার যথার্থ সময়। দাবিতে সোচ্চার না হলে সরকার নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নেবে না। আমরা সোচ্চার হলে সরকার বাধ্য হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।
আলী আহসান মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী বা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্বপ্নেও কখনো ভাবেননি তাঁদের বিচার হবে, সাজা হবে এবং দণ্ড কার্যকর হবে; সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। মানুষ চাইলে কি না হয়। সুতরাং আমাদের দাবি হওয়া উচিত, শুধু বিচারদণ্ড নয়, সঙ্গে তাদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে হবে ন্যায়ের স্বার্থে। তা না হলে এই সম্পদ ব্যবহূত হবে পুনঃচক্রায়নে, অর্থাত্ জঙ্গি ও আলবদর সৃষ্টিতে। এটি মেনে নেওয়া যায় না।
বিজয়ের মাসে আমরা সমস্বরে এই দাবি তুলছি এই আশায় যে আমরা বিজয়ী হবই।
লেখক : অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়আরও পড়ুন:
আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে যাত্রা শুরু করে:
GB wkweiB †mB QvÎmsN
http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/12/18/468363.htm#.VnNEaLYrJSM
'ছাত্র সংঘ' থেকে 'ছাত্র শিবির' - সামহোয়্যার ইন ব্লগ
ছাত্র শিবিরের আমলনামা (২) - Shobuj Bangla Blog সবুজ বাংলা ...
http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040
__._,_.___