DDD 265. জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে আর কত খাওয়াবেন
Dhaka Daily Dish, 265th Issue, 17th March '15
Dear All
Today, Bangabir Kader Siddiki, BU, the legendary Freedom Fighter, now
full time politician. He is passing his 50th day long 'Sit-In Protest' against
BAL Govt Atrocities and BNP Aborodh. He is urging both parties for political
settlement of the current crisis. He writes regularly in simple sentences on
country condition. His last feature 'অভিজিৎ হত্যা কি মান্নার কথা সত্য প্রমাণের চেষ্টা?'
(DDD 256/2nd Mar 15) was with a big question to BAL Govt. 2 interesting
partes of today's feature are given below. Thanks.
Haque, Lowell, MA, USA.
জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে আর কত খাওয়াবেন
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, ০৯ মার্চ ২০১৫, উপসম্পাদকীয়, Naya Diganta
…..……পুলিশের ব্যাপারে প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাঙালির গৌরব
শ্রী জ্যোতি বসু এক মারাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পুলিশ
সিকিউরিটির ভরসা করবেন না। পুলিশরা যার নিরাপত্তায় থাকে আক্রান্ত হলে পুলিশের প্রধান
কাজ কর্তৃপকে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা। কোনো সময় দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণে কোনো ভিআইপি
আধমরা হলে অনেক সময় সিকিউরিটিরাও গুলিটুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। কারণ
আধামরা কোনো ভিআইপি নিরাপত্তা অবহেলার প্রশ্ন তুলতে পারেন। মরে গেলে সব লেঠা চুকে
যায়। শুনেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তিন-চার স্তরের সিকিউরিটি, যমদূত আজরাইল ফেরেশতাও
নাকি সেখানে পৌঁছতে পারবে না। তেমনটা হলেই ভালো। খুব ভালো সিকিউরিটি থাক সেটাই
আমরা চাই। অন্ততপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর দেশের অন্য নেতাদের প্রত্যেকের জীবন নিরাপদ
থাক, এটা আমি কায়মনে প্রার্থনা করি। কিন্তু মুশকিল হলো, যার যে দায়িত্ব এই অবয়ের জামানায়
তা তারা পালন করে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে পালিত হয়নি। জিয়াউর রহমানের সাথে
এক থালায় যারা ভাত খেতেন, সেই বন্ধুরাই তাকে খুন করেছে। তাই শঙ্কিত না হয়ে পারি না।
এই যে সে দিন কত শক্ত স্তরে স্তরে নিরাপত্তা, তার পরও বইমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ রায়
নিহত হলেন- এর কি কোনো জবাব আছে? শুনছি, ৫ হাত দূরে পুলিশ ছিল, এখানে-ওখানে সাদা
পোশাকে গোয়েন্দা ছিল, বইমেলা ক্রেতা-বিক্রেতায় ছিল ঠাসা। তাদের মাঝেই বউটা আহত এবং
অভিজিৎ রায় নিহত হলেন- এর জবাব কী? বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো- এমন তো অন্য সব …….
..….পরাধীন পাকিস্তানে আমরা কত জেল খেটেছি। রাজনৈতিক নেতাকর্মী হিসেবে রিমান্ডের কথা
চিন্তাও করিনি। স্বাধীনতা হবে পরাধীনতার চেয়ে লাখো গুণ উত্তম, স্বাচ্ছন্দ্যময়, আনন্দদায়ক।
আমাদের স্বাধীনতায় এত কদর্য কেন? আমরা তো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছি,
পথে পথে ঘাটে ঘাটে রক্ত ঢেলেছি। মায়ের পবিত্র রক্তে লুটোপুটি খেয়ে যেমনি মানবসন্তান এ দুনিয়ায়
আসে আমরা তো তার চোয়ে অনেক বেশি রক্ত দিয়ে ধুয়েমুছে পূতপবিত্র করে স্বাধীনতা এনেছি।
তবে কেন আমাদের স্বাধীনতায় এত কালিমা? আমরা গণতন্ত্রকে বাধামুক্ত করতে কত ত্যাগ স্বীকার
করেছি। সেই গণতন্ত্রের দৈন্যদশা দেখে, গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক তৎপরতা দেখে মরে যেতে ইচ্ছে
করে। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে তা-ও পারি না। আল্লাহর জীবন, তার জীবন তিনিই নেবেন।
সেখানে আমাদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু দোজখের জ্বালার চেয়ে বেশি জ্বালায় পুড়ে খাকহচ্ছে…