Banner Advertiser

Tuesday, November 3, 2015

[mukto-mona] সৌদি বাদশাহর 'গোপন স্ত্রী' পেলেন আড়াই কোটি ডলার



সৌদি বাদশাহর 'গোপন স্ত্রী' পেলেন আড়াই কোটি ডলার


সৌদি বাদশাহ ফাহাদের 'গোপন স্ত্রী' জানান হার্ব
প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের 'গোপন স্ত্রী' বলে দাবিদার এক মহিলা লন্ডনের হাইকোর্টে মামলা করে আড়া্ই কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

৬৮ বছর বয়সী জানান হার্ব দাবি করেন যে সৌদি বাদশাহ ফাহাদ ১৯৬৮ সালে তাঁকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন।

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জানান হার্ব আরও বলেন, বাদশাহ ফাহাদের পরিবার তাদের বিয়ের বিরোধী ছিলেন, কারণ তিনি খ্রীষ্টান পরিবার থেকে এসেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন।

মামলায় জানান হার্ব অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালে মৃত্যুর আগে বাদশাহ ফাহাদ যখন গুরুতর অসুস্থ, তখন তাঁর এক ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় প্রিন্স আবদুল আজিজ তাঁকে আশ্বাস দেন যে, রাজপরিবার তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে।

প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদ

বাদশাহ ফাহাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রিন্স আবদুল আজিজ তাঁর সৎ মাকে ১২ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ছাড়াও চেলসীর দুটি ফ্ল্যাট দেয়া হবে বলে জানান।

কিন্তু লন্ডনের হাইকোর্টে পেশ করার লিখিত বিবৃতিতে প্রিন্স আবদুল আজিজ এরকম কোন প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন।

কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় জানান হার্বের পক্ষেই রায় দিয়েছে।

হাইকোর্ট রুল জারি করেছে যে তাকে পনের মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং লন্ডনের চেলসীতে দুটি বাড়ীর মূল্য বাবদ আরও দশ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।

http://www.bbc.com/bengali/news/2015/11/151103_late_saudi_kings_secret_wife

Related:


A woman who claims to be the secret wife of the late King Fahd of Saudi Arabia has won a ...


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Ray of hope for those who believe in freedom of speech.



That the PM has not sacked him for saying something fundamentally very different from what she usually says when such incidences occur probably indicates that there is some democracy within the party. 

Sent from my iPhone

On Nov 2, 2015, at 8:35 PM, Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 

I think the minister should have resigned from the government in protest, and then made the statements; because his government has been unwilling/unable to prosecute the murderers. It was foolish/irresponsible of him to ask people to be brave and to keep on writing on the face of getting murdered while his government is not serious about stopping/prosecuting the murderers.

SuBain

========================



On Monday, November 2, 2015 8:53 PM, "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
This is the first time that a minister has sent such a strong  message inspiring the writers and condemning the assassins. I could not but appreciate it. He has compared the  attacks to vandalizing flower gardens by pigs. 

All the leaders in history who fought and gave leadership for great causes were also 'stupid' as they could never give guarantee of safety and security of their followers. I remember a poem by a Vietnamese poet written in sixties a line in which goes like this: Give me your young son, I will give you freedom. Progressive and nationalist movements have always been like this. 

I admire the minister for being an exception. Now it is the responsibility of the PM, home affairs minister, and the law enforcement agencies to be more sincere and efficient. That should be the demand of the day. 

Sent from my iPhone

On Nov 2, 2015, at 4:24 AM, ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
This stupid Information Minister is encouraging writers in Bangladesh to go to the death rows. Has he or his government done anything to protect the writers, publishers and so forth or even to find out the murderers of slain writers? It may be alright to give lofty speeches when under guard by half a dozen armed policemen. Is he going to take personal responsibility for the security of the writers? 

Come on Minister, do something which is worthy of a human being. 

- AR



On Monday, 2 November 2015, 2:05, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 

এটা কি সরকারের বক্তব্য না মন্ত্রি্র বেক্তিগত বক্তব্য। বহু আগেই এই বক্তব্য সরকারের দেওয়া উচিৎ ছিল।
জিতেন রায়

 

From: "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, November 1, 2015 4:33 PM
Subject: [mukto-mona] Ray of hope for those who believe in freedom of speech.

 

    প্রচ্ছদ   ক্লাসিফাইডস   মতামত  ব্লগ   টিউব 

    ভয় পাবেন না, লেখালেখি চালিয়ে যান: ইনু

    alt

    লেখকদের পর প্রকাশককে হত্যা করা হলেও ভয় না পেয়ে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

    এক প্রকাশককে হত্যা এবং আরেক প্রকাশককে কুপিয়ে আহত করার একদিন বাদে রোববার রাজধানীর রমনা রেস্তোরাঁয় এক প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। 
    জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, "মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা আছে। সভ্যতাও হোঁচট খেতে খেতে এগিয়ে যায়। সমাজ বিকাশের ধারায় দুর্ঘটনা আছে। এটাকে সহ্য করতে হয়। 
    "ভয় পেলে হবে না। দুই-একটি অতর্কিত আক্রমণে ভড়কে না গিয়ে আপনারা শিল্প সাহিত্যের চর্চা করুন। এভাবেই তারা শেষ হয়ে যাবে। আপনারা ভয় পাবেন না। লেখালেখি চালিয়ে যান।"
    শনিবার যে দুই প্রকাশকের উপর হামলা হয়েছে তারা উভয়ই বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন। 
    ধর্মীয় কুংসস্কারের বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্য হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর একুশের বইমেলার সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।  
    ইনু বলেন, উগ্রবাদীরা প্রকাশকদের উপর হামলা করছে। এরা নিজেদের মত প্রকাশের চেয়ে অন্যদের মতের উপর আক্রমণ করে বেশি।
    "হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা সভ্যতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ যায় না। এটা ফুলের বাগানে বন্য শুকরের অনুপ্রবেশের মতো। বন্য শুকরের সঙ্গে কেউ বসবাস করতে পারে না।"
    অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা ধর্মকে বাদ দিয়ে কেবল সম্প্রদায়কে নিয়েছি। এভাবেই সাম্প্রদায়িকতার জন্ম হয়েছে। সম্প্রদায়ে ধর্ম নির্বাসিত হয়েছে। ধর্মকে সম্প্রদায়ে নিয়ে আসতে হবে।"
    দুটি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে 'গ্লোবাল মিডিয়া' নামে এই প্রকাশনা সংস্থার যাত্রা শুরু হয়েছে। 
    আয়োজকদের একজন শান্তা মারিয়া বলেন, এই প্রকাশনা সংস্থা থেকে নারীবাদী, মানবতাবাদী ও প্রগতিশীল লেখকদের বই প্রকাশ করা হবে। 
    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক রাহাত খান, কবি নাসির আহমেদ ও রেজাউদ্দিন স্টালিন।

    আরও পড়ুন

     
    Copyright © Bangladesh News 24 Hours Limited All Rights Reserved
    Sent from my iPhone








    __._,_.___

    Posted by: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] Fw: Link to my article !!!!





    On Tuesday, November 3, 2015 9:30 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




    On Tuesday, November 3, 2015 9:30 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




    On Tuesday, November 3, 2015 9:29 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:











    __._,_.___

    Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] জেল হত্যা দিবস: জাতীয় লজ্জা দিবস



    জেল হত্যা দিবস: জাতীয় লজ্জা দিবস নাজনীন খলিল

    জেল হত্যা দিবস: জাতীয় লজ্জা দিবস

    ক্যাটেগরিঃ নির্বাচিত লেখাসমূহফিচার পোস্ট আর্কাইভস্বাধিকার চেতনা

    রবিবার ০২নভেম্বর২০১৪, অপরাহ্ন ১১:৪৫


    নাজনীন খলিল

      42

    লক্ষ লাশের যন্ত্রণায়  বিদীর্ণ বুক নিয়েও যে সাফল্য অহরহ আমাদের গর্বিত করে রাখে , তা হলো আমাদের   'স্বাধীনতা' । একটি নিজস্ব পতাকা। একটি পৃথক মাণচিত্র। এবং আমাদের ভাষা আন্দোলনের সাফল্য। এই প্রাপ্তি  বিশ্বসভায়  আমাদের উজ্জ্বল এক অহংকারকে সমুন্নত করে রেখেছে।  চিরকালই রাখবে। আর সেই প্রাপ্তির পাশাপাশি যে লজ্জা  চিরকাল ম্রিয়মাণ করে রাখবে , সে হলো  জাতির জনক হত্যাকাণ্ড (১৫ আগস্ট ১৯৭৫) আর সেই চূড়ান্ত লজ্জা-দুঃখ এবং লজ্জাজনক ঘটনার ধারাবাহিকতায় জেল হত্যাকাণ্ড ( ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫)।

    জাতিকে মেধাশূন্য করার  পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৭১'এর ১৪ ডিসেম্বর ঘটেছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। এবার জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে ফেলার মহাপরিকল্পনা হিসাবে প্রথমে জাতির পিতাকে  সপরিবার-সবান্ধব হত্যা করা হলো অত্যন্ত নৃশংভাবে । দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গেলেন তাঁর দুই কন্যা, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা। যে মহানায়কের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অবদানে বিশ্ব মাণচিত্রে সগর্বে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল একটি নতুন দেশ, যে একটি অঙ্গুলির নির্দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল  দেশের লক্ষ বীর সন্তান, হাসিমুখে জীবন দিতে পিছপা হয়নি, ছিনিয়ে এনেছিল একটি স্বাধীন পতাকা, সেই মহান নেতাকে , বাংলাদেশের স্থপতিকে হত্যা করেই  ক্ষান্ত হলোনা নরপশুরা। এবার তারা মনোযোগ দিল স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাকি নেতার প্রতি।

    নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। কিন্তু যুদ্ধরত জাতি নেতৃত্বশূন্য ছিলনা। যে চার মহান নেতা সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতির শূন্যস্থান পূরণ করে রেখেছিলেন অত্যন্ত সফলভাবে  তাঁরা হলেন – সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ,এম   মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান । বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাঁরা বঙ্গবন্ধুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাঁরা ছিলেন  বঙ্গবন্ধুর আজীবন সহচর ।

    ৭১' এর ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা   ব্যাপক ধ্বংসএবং হত্যাযজ্ঞ শুরু করে দেশ জুড়ে । এরপর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়েযায় ধানমন্ডীর বাসভবন থেকে।   গ্রেপ্তারের  আগ মুহূর্তে ২৫ মার্চ দিবাগতরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ই পি আর এর একটি ছোট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। পাকিস্তানি  সামরিকজান্তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে  গ্রেপ্তার করার পরেআন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু  না , জাতির  সেই ক্রান্তিলগ্নে  হাল ধরারজন্য এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং সহযোগী বন্ধুরা। মহান মুক্তিযুদ্ধ  পরিচালনার দায়িত্ব  হাতে  তুলে নেন   সৈয়দ নজরুল ইসলাম,  তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান ।

    ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের  প্রথম সরকার গঠন করা হয় , একটি শপথ গ্রহণ  অনুষ্টানেরমাধ্যমে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে রাষ্ট্রপতি  এবংবঙ্গবন্ধুর  অবর্তমানে  তাঁর অন্যতম সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামকে  অস্থায়ীরাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।সরকারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রীতাজউদ্দীনআহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচএমকামরুজ্জামান। কর্নেল এমএজি ওসমানীকে সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে  ১০ এপ্রিল গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরস্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয়। বৈদ্যনাথতলার নাম পরিবর্তন করেরাখা হয় মুজিবনগর।

    তখন যদি এই চার নেতা শক্ত হাতে লাগাম না ধরতেন তবে আমাদের সেদিনের স্বাধীনতার স্বপ্ন হয়তো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেত। পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্মম  গণহত্যা, অত্যাচার, নিপীড়নের চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে বিশ্বজনমতের  সমর্থন , প্রতিবেশি ভারতে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষশরণার্থীর আশ্রয় সুনিশ্চিত করা , মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় এবং প্রশিক্ষনেরজন্য ভারতকে রাজী করানো ,শেষপর্যন্ত ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহায়তায় দেশস্বাধীন করার মতো দুরূহতম কাজ তাঁরা সম্পাদন করেন অত্যন্ত সুষ্টূ এবং সফলভাবে।

    ৭১' এর পরাজিত শক্তি  এদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেসত্যি কিন্তু রেখে গিয়েছে তাদের রক্তবীঝের ঝাড় । তারা  আজ পর্যন্ত বিষাক্তসাপের মতো  সময়- সুযোগ মতো ছোঁবল দিচ্ছে দেশবাসীকে। এদের হাত থেকে নিস্তারপাওয়া মনে হয়না সম্ভব হবে এত সহজে ।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যে অপশক্তি বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের মুক্তির স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে , তার আজো বিপুল বিক্রমে সক্রিয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, একটি পৃথক মাণচিত্র , একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের পতাকা যা আমরা অর্জন করেছি তিরিশ লক্ষশহীদের প্রাণের বিনিময়ে , তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে- এইঅর্জনকে কতভাবে বিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন পরিসংখ্যানদেওয়া সম্ভব নয়।এরা যে ভবিষত্যের জন্য আরো কতো ষড়যন্ত্রের জাল  রচনা করছেতাও ধারণা করা সম্ভব নয় আগে থেকে।

    বিশ্বাসঘাতকের উদাহরণে পৌরাণিকযুগ থেকে আজ পর্যন্ত কোন অভাব হবেনা। রামায়নে বিভীষণকে যতই শুভবোধের নায়করূপে উপস্থাপন করা হোকনা কেন , 'ঘরের শত্রু বিভীষণ ' শব্দটা লোকমুখে আজোঘৃণা ভরেই উচ্চারিত হয়। তেমনি কুইসলিং কিংবা মীরজাফর। আর এদেশে 'রাজাকার'রা ঘৃণিত হয়েই আছে এবং থাকবে।

    ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর  পাক-বাহিনী আত্মসমর্পন করে। কিন্তু তার মাত্র দুইদিন আগেই ১৪ ডিসেম্বর ঘটেযায় চরম দুঃখজনক এক বিপর্যয়ের ঘটনা। যা ছিল এদেশের জনগণের  জন্য একমারাত্মক হৃদয়বিদারক এবং অপূরণীয় এক ক্ষতির  ঘটনা।বুদ্ধিজীবী হত্যা। এটা ছিল প্রতিহিংসা পরায়ন পাকিস্তানীদের এক ভয়াবহ পরিকল্পনার নীলনকশা। ঘটনাটিপাকিস্তানী সেনারা ঘটায় তাদের এদেশীয় তাবেদার বাহিনীর সহায়তায়।দেশকে মেধাশূন্য করে ফেলার   পাকিস্থানী   চক্রান্তকে বাস্তবায়িত করতে অগ্রণী ভূমিকাপালন করে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরেরা।

    এই রাজাকার -আলবদরেরা ছিল চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র । কিন্তু এদের থেকেঅনেক বেশি মারাত্মক আরেকটি কুচক্রী  মহল কোন  অপশক্তির হয়ে কাজ করছিল ভিতরে-ভিতরে , কারণ স্বাধীনতার অব্যবতিত পরেই একটি মহল তৎপর হয়ে উঠে নানা রকমনাশকতামূলক কর্মকান্ডে  ।এদের কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশও নিয়েছিল । আবারকেউ কেউ ছিল ভূয়া  মুক্তিযোদ্ধা। এরা প্রথম থেকেই এমন সব কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে  গেছে  যা ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বা  মুক্তিযুদ্ধের  চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ।  এরা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছিল বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা।

    পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে এসেই বঙ্গবন্ধু দেশগড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। কাজটা সহজ ছিলনা।সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটাদেশের অবকাঠামো পুনর্গঠন , বিধ্বস্তঅর্থনীতিকে আবার উজ্জীবিত করে তোলার জন্য প্রচুর সময়ের প্রয়োজন ছিল।পাকিস্তানীরা চলে যাবার আগে ধ্বংস করে দিয়েছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা,  রাস্তাঘাট, সেতু ।সেগুলো পুনর্নিমানের জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ  এবংজনবল ।সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার  আন্তরিক প্রয়াস।   মুক্তিযুদ্ধের সময়সবাই যেমন বিপুল উৎসাহ নিয়ে যুদ্ধে ঝঁপিয়ে পড়েছিল , দেশ গড়ার কাজে কিন্তু তেমন আগ্রহ ছিলনা। মনে হচ্ছিল যেন সবাই ভেবেছে যুদ্ধ জয় করলেই সব সমস্যারসমাধান হয়ে যাবে আপনা আপনি । তরুন সমাজ যেন কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে পারছিলনা। এর  মাঝে ছিল কোন অদৃশ্য শক্তির নেতিবাচক ইন্ধন। চুরি-ডাকাতি বেড়ে গিয়েছিল হঠাৎ করেই। চলছিল চরম বিশৃঙ্খলঅবস্থা।এরকম হাজার সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুকে ।

    সদ্য স্বাধীন  দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে  তিনি কিছুযুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যাতে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিনিশ্চিত হয় , তা ছিল তাঁর প্রথম এবং প্রধানতম লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করার আগেই তাঁকে সরিয়েদেওয়া হয় নৃশংস- নির্মম এক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে , যাতে বাংলাদেশ নামক এই সদ্য স্বাধীন দেশটি আর কোনদিনও স্থিতিশীল অবস্থায় না পৌঁছাতে পারে।ষড়যন্ত্রকারীদের প্রাণপণ  চেষ্টা ছিল যেন দেশকে আবার পাকিস্তান বানিয়ে ফেলাযায়।

    বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রেগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল বঙ্গবন্ধুরই অন্যতম ঘনিষ্ট আরেক সহচর   খন্দকারমুশতাক আহমদের ।  দৃশ্যতঃ  খন্দকার মুশতাক সহ কিছু  বিপথগামী  সামরিকঅফিসার ছিল এই হত্যাকান্ডের হোতা ।  ভিতরে ছিল গভীর কোন ষড়যন্ত্র, কোনঅপশক্তির নির্দেশ,  তা আজো জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরখন্দকার মুশতাক চক্র চার নেতাকে তাদের সাথে যোগ দেবার আহবান জানায়। কিন্তুতাদের এই নোংরা প্রস্তাব চার নেতা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেন । এই ঘৃণিতপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তাঁদের  গ্রেপ্তার করা হয় ।

    ২ নভেম্বর আবার একটি পালটা  অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুশতাক চক্রের পতন ঘটে । মুশতাক সরকারের বিরুদ্ধে পালটা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটার পরপরই   বঙ্গবন্ধুর  ঘাতকেরা কারাগারে ঢুকে  চার নেতাকে হত্যা করে। মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করাই ছিল এইচক্রটির মূলউদ্দেশ্য। মুশতাক সরকারের পতনের পরে ওরা ভেবেছে এই চার নেতামুক্তি পেলে জাতিকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগঠিত করে ফেলতে পারবেন ,  আর এমন হলে দেশের উন্নয়নের ধারাকে প্রতিহত করার তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রবাস্তবায়িত করতে পারবেনা। এদের এই হত্যাকান্ডগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধেরচেতনাকে  চিরতরে বিনষ্ট করে দেবার এক গভীর চক্রান্ত। এবং এতে যে তারাঅনেকটাই সফল হয়েছে, তা অনস্বীকার্য। যে শোষণহীন, ধর্ম বৈষম্যহীন  একপ্রগতিশীল সমাজের প্রতিশ্রুতিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তা থেকে এখন আজ আমরাঅনেক দূরে সরে এসেছি। '৭৫ এর পট পরিবর্তনের ফলেই এটা হয়েছে। ৭৫' এর হত্যাকাণ্ডগুলোর পরপরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদর্শের সাথে অসঙ্গতিপূর্ন  এক  নতুন ধারার রাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকলো। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র , যারা প্রত্যাখ্যাত  হয়েছিল দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে তারা আবার ফিরে এলোবিপুল বিক্রমে। চলতে থাকলো মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি  পতি এবং মুক্তিযুদ্ধেরচেতনা নিয়ে   ব্যাপক অপপ্রচার। তার অনেকটাই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল অতিপ্রচারের বদৌলতে।

    এই হলো বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যার মতো কুৎসিত , জঘন্য হত্যাকান্ডগুলোর উদ্দেশ্য এবং সাফল্য। আজ সেই ৩ নভেম্বর ।  বিশ্বের দরবারে জাতির এক চরম লজ্জার দিন। কালো দিন।  কারাগারের নিরাপত্তা বেষ্টনির ভিতরে ঢুকে চার নেতাকে প্রথমে গুলি করে মেরেইসন্তোষ্ট হয়নি ঘাতকেরা। পরে আবার বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমআনন্দ  লাভ করে। সেই সাথে সমাপ্তি ঘটায় স্বাধীনতার  এক উজ্জ্বল আলোকিত অধ্যায়ের।

    - See more at: http://blog.bdnews24.com/nazneenkhalil/160691#sthash.deKJtfF2.dpuf

    Related:

    ইতিহাসের নারকীয় ঘটনা জেলহত্যা
    বিশেষ প্রতিনিধি
    Published : Tuesday, 3 November, 2015 at 10:51 AM
      
    ইতিহাসের নারকীয় ঘটনা জেলহত্যাইতিহাসের নারকীয় ও কলঙ্কজনক জেলহত্যা দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তথা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী চার জাতীয় নেতাকে কারাগারের ভেতরে নৃশংসভাবে হত্যা করে '৭৫-এর আগস্ট ট্র্যাজেডি পরবর্তী অনৈতিক সরকার। সেদিন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারে থাকা কোনো মানুষকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। 
    .......................
    মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গড়ার লড়াইয়েও এই চার জাতীয় নেতা ছিলেন অগ্রণী। সে কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার একান্ত সহচর ও আজন্ম বন্ধু চার নেতাকে বিপজ্জনক মনে করে দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র। গ্রেফতার করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। পরে ৩ নভেম্বর জেলখানার ভেতর নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়। ............. 
    - See more at: http://www.manobkantha.com/2015/11/03/77382.php#sthash.SsdsIn0u.dpuf

    মঙ্গলবার ঢাকা ৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৯ কার্তিক ১৪২২, ২০ মহরম ১৪৩৭ 
    ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস

      শেখ হামযা (১৬), কুষ্টিয়া; সাদিক ইভান (১৫) ঢাকা


    Published: 2015-11-03 08:59:13.0 BdST Updated: 2015-11-03 10:49:32.0 BdST

    - See more at: http://hello.bdnews24.com/onyachokhe/article9163.bdnews#sthash.rH4xq7Ov.dpuf

    জেল হত্যা দিবস: জাতীয় লজ্জা দিবস

    ক্যাটেগরিঃ নির্বাচিত লেখাসমূহফিচার পোস্ট আর্কাইভস্বাধিকার চেতনা

    রবিবার ০২নভেম্বর২০১৪, অপরাহ্ন ১১:৪৫

    - See more at: http://blog.bdnews24.com/nazneenkhalil/160691#sthash.deKJtfF2.dpuf




    __._,_.___

    Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___