Banner Advertiser

Tuesday, May 31, 2016

[mukto-mona] বিএনপি’র মিথ্যাচার



বিএনপি'র মিথ্যাচার

কবীর চৌধুরী তন্ময়১৯:২৫, মে ৩১, ২০১৬

কবীর চৌধুরী তন্ময়সম্প্রতি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি সাফাদির বৈঠক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ দেশের গণমাধ্যমেও তোলপাড় দেখা গেছে।
আর এই আলোচনা-সমালোচনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে খোদ মেন্দি এন সাফাদির দেশ ইসরায়েলভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম 'জেরুজালেম অনলাইন ডট কম' এ চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রকাশ হওয়া সংবাদ থেকে জানা গেছে, 'ইসরায়েল সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি'র প্রধান মেন্দি এন সাফাদি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। সেখানে সাফাদি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করছেন।
জেরুজালেম অনলাইন ডট কম সংবাদে জানা যায়, 'শিগগিরই সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরজা ইসরায়েলিদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে'- এমন মন্তব্য করেন মেন্দি এন সাফাদি।
এখন কথা হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের অফিসিয়াল-আনঅফিসিয়াল কোনও বৈধ যোগাযোগ না থাকা সত্ত্বেও বিএনপি'র নেতা আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর কোনও আশার কথা পরিপ্রেক্ষিতে মেন্দি এন সাফাদি শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঔদ্ধত্য দেখায় এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার ষড়যন্ত্র করে সেটা খুব সহসায় অনুমান করা যায়।
যা হোক, সরকারের কাছে থাকা ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিএনপি'র আসলাম চৌধুরীকে দেশের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা এবং পরে গ্রেফতার ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এখন বিচারের আওতায় আসে।
এদিকে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরায়েলের মেন্দি এন সাফাদির বৈঠকের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন বিএনপি'র ভাবমূর্তি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জঘন্য অপরাধের অপরাধী ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপি'র গোপন বৈঠক ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের খবর নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা টানা-হেচড়া শুরু হয়েছে, তখনই পরিকল্পিতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে।

বিএনপি'র নেতা আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরায়েলের নেতা মেন্দি এন সাফাদির গোপন বৈঠক যখন আর গোপন করা গেল না, ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপি'র আঁতাতের খবর নিয়ে যখন দেশের সচেতন মহলের সঙ্গে খোদ নিজ দলের নেতাকর্মীর মধ্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখন তারা বেছে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে।

ইতোমধ্যেই বিএনপি'র নেতা আসলাম চৌধুরীর আগেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠকের খবর গণমাধ্যমজুড়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল করতে তারা সক্ষম হয়েছে। এটা যেন প্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর চাঁদ-এ গমন করার গল্পের মতোই...!

আসুন, এবার ষড়যন্ত্রে মোড়ানো ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিয়ে একটু বলি- মেন্দি সাফাদি যে ভিডিওটি ফেইসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল করেছে, সেটি ক্রোমা স্টুডিওতে ধারণ করে গ্রাফিক্যাল এডিট করা, যা পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিওটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। মূল স্টুডিওর পেছনে সবুজ পর্দা দেখলেই যে কারোরই সহজে অনুমান করা সম্ভব হবে, ভিডিও ধারণ করার সময় ইসরায়েলের মেন্দি এন সাফাদির সামনে তখন সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনও ছবিই ছিল না, যা পরে পরিকল্পিতভাবে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকারের সময় মেন্দি এন সাফাদির কথার অসংলগ্নতাও বহুবার ফুটে উঠেছে।

আবার টাইম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেন্দি এন সাফাদি একবার বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি চিনতেন না। আবার ভিডিওটির একটি অংশে মেন্দি নিজেই বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে বলেছেন, তার (বর্তমান সরকার) সরকারকে সহায়তা দিতে মেন্দির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন জয়!

মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে জয়ের সাক্ষাতের ভিডিওটি নিয়ে ভালোভাবে খোঁজ নিলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ২৬ মে স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সাদী তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম ভিডিওটি আপলোড করেন। তখন ঢাকার সময় ২৭ মে'র সকাল ১০টা ২২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড। এর মানে ভিডিওটি ওইদিন সকাল বা ২৬ তারিখ রাতে প্রচার করা হয়েছে। যদিও এর আগে জাহিদ সরদার সাদী তার ফেসবুক পেজে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে স্ট্যাটাস দেন, 'ভিডিওসহ ব্রেকিং নিউজ আসছে, সঙ্গেই থাকুন, সত্য উন্মোচন করা হবে- ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি সাফাদি ও জাহিদ এফ সরদার সাদী।'

আসলে, প্রত্যেকটা নাটকই একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়। আর এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শুধু 'ইসরায়েলি মোসাদের কথিত গোয়েন্দা মেন্দি সাফাদির সঙ্গে ৬ মিনিটের সাক্ষাতের কারণে আসলাম চৌধুরী রাষ্ট্রদ্রোহী হলে, সেই মেন্দি সাফাদির সঙ্গে ১৫ মিনিটের বৈঠকের কারণে সজীব ওয়াজেদ জয় কেন রাষ্ট্রদ্রোহী হবেন না? -এই প্রশ্নটি জাতির সামনে উপস্থান করার জন্যেই এই ধরনের ভুয়া ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে তাদের কিছু সফলতাও যে আসেনি তা বলা যাবে না। কারণ, কিছু মিডিয়া তথ্যসূত্র নিশ্চিত করার আগেই ভাইরাল হওয়া ভুয়া ভিডিওটি নিয়ে রমরমা সংবাদ পরিবেশন করতে খুব দেরি করেনি। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরালের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে।

মূল কথা হলো, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ সম্ভ্রম বিনাসের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিথ্যাচার করতে-করতে বিএনপি এখন এতটাই ক্লান্ত! তাই এখন নিজ পলাতক নেতা তারেক রহমানের বিভিন্ন অপকর্ম, ষড়যন্ত্র ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের অপরাধ ঢাকার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়কে টার্গেট করা হয়েছে।

অন্যদিকে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ মেন্দি এন সাফাদির 'বৈঠক হয়েছে' বলে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, তা নাকচ করে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'আমার সঙ্গে সাফাদির কোনও সময়ই সাক্ষাৎ হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্য কোনও জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে।'

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদকে 'মিথ্যাচার' আখ্যায়িত করে জয় বলেন, 'বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে। আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাৎ পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? অন্য কার অফিসে?'

এই চ্যালেঞ্জ তিনি ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপি'র প্রতি।

এখন শুধু সজীব ওয়াজেদ জয় নয়, পুরো দেশবাসীর মতো আমারও খুব জানার ইচ্ছে, আসলে জয় এর অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কিভাবে এলো আবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির তথ্য অনুযায়ী সজীব ওয়াজেদ জয় কোন অনুষ্ঠানের এবং কার অফিসে? কোন তারিখে ইসরায়েলের মতো বর্বর দেশের মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে অবৈধ বৈঠক করেছেন?

মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে খানিকটা লাভবান হলেও শেষবেলায় বিএনপি'র পরাজয় বিএনপি নিজেই রচনা করবে।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)

http://www.banglatribune.com/others/news/109727/বিএনপি'র-মিথ্যাচার


আরও পড়ুন:

'ইটারভিউয়ে সাফাদি জয়ের কথা বলবে এটা পরিকল্পিত ছিলো'


'ইসরায়েলের সাফাদি-জয় বৈঠক, বিএনপির নতুন নাটক'


জয়কে নিয়ে মিথ্যা ভিডিওমূল নায়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সাদী!

তানভীর আহমেদ১৪:২২, মে ২৯, ২০১৬

On Thu, May 26, 2016 at 11:13 PM, 'javed helali' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com> wrote:

Very interesting indeed!
 

----- Forwarded Message -----
From: rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com>

Sent: Thursday, May 26, 2016 10:02 PM
Subject: {PFC-Friends} Bomb Shell !!! Joy met with same Israeli MP

What was  Shajeeb Wazed Joy   doing meeting the  same Israeli MP ??



-- 
কে  জাহিদ এফ সরদার সাদী ?

Also read:

এবার নিশার সঙ্গে বৈঠকের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি - bdnews24.com

May 24, 2015 - নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে তার কার্যালয়ে জাহিদ এফ সরদার সাদীর ভুয়া বৈঠকের খবরের সঙ্গে প্রচারিত ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস সদস্যের নামে ভুয়া বিবৃতি পাঠিয়ে বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরও দলের নামে একই ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জাহিদ এফ সর্দার সাদী

Related Links:

https://bn-in.facebook.com/ZahidFSarderSaddi

যাঁদের নাম প্রতারণা করে ব্যবহার করা হয়েছে,তাঁরা কেউ বিবৃতির সঙ্গে জড়িত না।

বিএনপি বরাবরই মিথ্যাচারে পারদর্শী :


weGbwc †Pqvicvim‡bi we‡kl Dc‡`óv Ges 

বিএনপির ˆe‡`wkK `~Z Rvwn` Gd mi`vi mv`x !

untitledti

 [জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় ৯ বছরে ২৭ বার 

গ্রেফতার হওয়া,বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিভোগকারী 

বিএনপি নেতা জাহিদ এফ সরদার সাদী] 
 









__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জয়ের নকল ভিডিও করে জালিয়াতিতে ফেঁসেছে বিএনপি ( প্রকাশিত : ৩১ মে ২০১৬)



জয়ের নকল ভিডিও করে জালিয়াতিতে ফেঁসেছে বিএনপি

প্রকাশিত : ৩১ মে ২০১৬ 
জয়ের নকল ভিডিও করে জালিয়াতিতে ফেঁসেছে বিএনপি

শংকর কুমার দে ॥ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিডিও জালিয়াতি করতে গিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতিতে ফেঁসে গেছে বিএনপি। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠকটি ধামাচাপা দিতে গিয়ে জয়ের সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির ভিডিও জালিয়াতি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদি বিএনপির পক্ষে এর আগে সেনা প্রশিক্ষণের ভিডিও নির্যাতন দৃশ্যের জালিয়াতি করেছে। এই জাহিদ সর্দার সাদি বিগত ৯ বছরে ২৭ বার গ্রেফতার হয়েছে ভিডিও, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ রাজনৈতিক প্রতারণা ও শঠতার অভিযোগে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে ইসরাইলের এজেন্টে মেন্দির সঙ্গে দিল্লীতে বৈঠক করে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশের করা দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে মঙ্গলবার এবং মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুই মামলায় দশ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন আদালত শুনবে ৬ জুন। এই খবর দিয়েছে আদালত ও গোয়েন্দা সংস্থা।

গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে ফাঁসাতে গিয়ে মেন্দির সঙ্গে যে নকল ভিডিও তৈরি করে জালিয়াতি করা হয়েছে তার নেপথ্য নায়ক হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই সাদি শুধু এবার যে জয়েরই নকল ভিডিও জালিয়াতি করেছে তা নয়, এর আগেও সে এতই জালিয়াতি, প্রতারণা, শঠতায় পাকা যে গত ৯ বছরে ২৭বার গ্রেফতার হয়েছে। তার এই গ্রেফতারের খবরটি ঠিকানা পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে, যার প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি সাদি। সাদি যে কত বড় নকল ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার করার বিষয়ে পারদর্শী তার একটি উদাহরণ দেয়া হলো। ২০১৫ সালের মে মাসের ৭ তারিখে একটি বেসরকারী অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে 'সেনা প্রশিক্ষণের ভিডিও হলো নির্যাতন দৃশ্য' ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণের ভিডিওটিকে নির্যাতনের ভিডিও বলে ফেসবুকে চালানোর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হয় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কে এই উস্কানিদাতা তার খোঁজ নেয় গোয়েন্দা সংস্থা। খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, এই নকল ভিডিওটি জালিয়াতি করে ফেসবুকে আপলোড করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ সর্দার সাদি।

জাহিদ সর্দার সাদি ভিডিও চিত্রের ক্যাপশনে লিখেছেন, 'দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নির্যাতনের চিত্র দেখুন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীকে। তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হবে একটু ভাবুন।' সাদি তার নকল ভিডিও চিত্রে দেখায় যে, সামরিক পোশাকে একদল সেনা সদস্যের হাত ও পা পিছমোড়া করে বেঁধে একটি মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে, তাদের মুখে কিছু গুজে দেয়া হয়েছে, আর্তনাদ করতে শোনা যাচ্ছে, কয়েকজন সেনাসদস্যকে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায়। এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রটি। জাহিদ এফ সরদারের ভিডিওটি শেয়ার করানো হয় এবং লাইক করানো হয় ২০ হাজার ৫১৮টি। এই ভিডিওটি পোস্ট করার পর জানা যায়, এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডো ট্রেনিংয়ের একটি দৃশ্য। এই ড্রিল ভিডিওটাকেই সেনাবাহিনীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও বলে চালানো হয়, যেটা মিথ্যা ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মিথ্যার ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করে দেয়া হয় এবং জাহিদ এফ সর্দার সাদির এই প্রতারণামূলক ভিডিওটি ফাঁস হয়।

জাহিদ এফ সর্দার সাদির রাজনৈতিক প্রতারণা, শঠতা ও জালিয়াতির ঘটনার শেষ নেই। তার সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরও বিএনপি নেতা। এর মধ্যে বিএনপি নেতা ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার অন্যতম। এর মধ্যে আরেক বিএনপির নেতার পুত্র সিজারের তো জয় অপহরণের চেষ্টার তথ্যাদি চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে জেল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপির নেতার আরেকটি জালিয়াতির ঘটনার উদাহরণ হচ্ছে, জাহিদ এফ সর্দার সাদির সঙ্গে আরেক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান মজুমদার মিলে একটি ভুয়া বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার ছেলে তারেক রহমাননের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছিল বলে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো হয়। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে কংগ্রেস সদস্যদের একটি বিবৃতি। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ছাপানো ও প্রচারের ব্যবস্থা করেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের নামে ভুয়া বিবৃতিটি ছাপানো ও প্রচার করা হলে বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুই কংগ্রেস সদস্য। প্রবাসী বিএনপি নেতাদের প্রতারণা এখানেই শেষ নয়, অন্তহীন।

প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, জয়ের নানা, মামারা ব্যাংক ডাকাত, '৭৪ সালের চেয়েও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেয়া হচ্ছে শিরোনামে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে, যা চরম মিথ্যাচার, ভুয়া, জালিয়াতি, প্রতারণার অপপ্রচার। এসব ঘটনা আবার বিএনপির নেতাদের মুখ দিয়েও বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রকাশ করে মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হয়, যা ঘটনার পর পরই আওয়ামী লীগ ও জয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোসহ চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ ও জয়ের বিবৃতির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে আসেননি। অনুরূপভাবে মেন্দির সঙ্গে জয়ের বৈঠকের নকল ভিডিও তৈরি করে জালিয়াতির ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

জয়ের সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির যে ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল করা হয়েছে, সেটি ক্রোমা স্টুডিওতে ধারণ করা এবং গ্রাফিক্যাল এডিট করে পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এডিট করে সংযুক্ত করা হয়েছে ভিডিওটিতে। মূল স্টুডিওর পেছনে সবুজ পর্দা দেখলেই অনুমান করা সম্ভব ভিডিও ধারণ করার সময় মেন্দি এন সাফাদির সামনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোন ছবিই ছিল না, যা পরে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সাক্ষাতকারে মেনদি এন সাফাদির কথাও একাধিকবার অসংলগ্ন মনে হয়েছে। টাইম টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাফাদি একবার বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি চিনতেন না। আবার ভিডিওর একটি অংশ মেন্দি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে বলেছেন, তার সরকারকে সহায়তা দিতে মেন্দির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন জয় ! একই ব্যক্তির দুই ধরনের বক্তব্য এবং ভিডিও সম্পাদনার দুর্বলতার কারণে মেন্দি সাফাদির ভিডিওটি যে মিথ্যা, ভুয়া নকল ও জালিয়াতি করা হয়েছে তা সহজেই বুঝা যায়। শুধু তাই নয়, সাফাদিকে যেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে সেখানে কোন ছবিই আদতে ছিল না। ছবি না দেখেই সাফাদি যে এক্টিং করেছে তাতে পরিষ্কার যে বিষয়টা সাজানো এবং পরস্পর যোগসাজশে তৈরি হয়েছে। আপনারা জালিয়াত জাহিদ এফ সরদার সাদীর পেজে গেলে কিছু ছবি পাবেন যেখানে খেয়াল করবেন যে ২৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে সে সাফাদির সাথে শ্যাম্পেন পানরত অবস্থায় ছবি দিয়ে বলছে ভিডিওসহ ব্রেকিং নিউজ আসছে। এরপর সে আরও কিছু ছবি দেয়, যেখানে জালিয়াত জ্যাকব মিল্টন এবং ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালকারী বিএনপি নেতা সরদার এফ সাদী একটি হাল্কা সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডিওতে সাফাদির সাথে বসে আছেন। মেন্দি এন সাফাদি ও জাহিদ এফ সর্দার সাদীর পোশাক খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একই পোশাক পরে যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনে তাদের আরও ছবি আছে। স্টুডিওর চেয়ারগুলো খেয়াল করলেও বুঝা যায় সেটাও একই। এছাড়া ভিডিও ভালভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, সব কিছুতেই বিশেষ করে সাইনি অবজেক্টগুলোতে সবুজের একটা ছায়া আছে যা পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডেরই রিফ্লেকশন। সাফাদি মিথ্যা বলছে, কারণ যখন তাকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে বলা হচ্ছে তখন আসলে ব্যাকগ্রাউন্ডে সবুজ দেয়াল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এতে প্রমাণ হয় জয়ের সঙ্গে মেন্দির বৈঠকের ঘটনাটা পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো বৈকি।

আসলাম চৌধুরীর রিমান্ডের শুনানি আজ মঙ্গলবার ॥ সোমবার তিন মামলায় আসলাম চৌধুরীকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশের আবেদন করা রিমান্ডের শুনানি আজ মঙ্গলবার। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় রিমান্ড শুনানি করেন মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন। আর মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার মামলার শুনানি করেন হাকিম গোলাম নবী ও মাজহারুল ইসলাম। আদালাভাবে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন তিনজন বিচারক। নাশকতার মামলার রিমান্ডের আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন।

ইসরাইলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে আসলাম চৌধুরীকে। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেই আসলামের আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান, যা আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। চট্টগ্রামের নেতা আসলাম চৌধুরীকে মাস খানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া। আর লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ইসরাইলের বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী এম কে আয়ুব কারার একজন সাবেক উপদেষ্টা। নিজের নামে মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস প্রতিষ্ঠানটি চালান তিনি। সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে তাদের দুজনের সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনার সূত্রপাত হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে 'ষড়যন্ত্র' করছে। তবে আসলাম বা সাফাদি কেউই ভারতে ওই সাক্ষাতের খবর অস্বীকার করেননি। সাফাদিও বিবিসির বাংলাকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আসলামের সঙ্গে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে স্বীকার করেন। তবে তাদের মধ্যে কোন গোপন বিষয়ে কথা হয়নি।

আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বলেছেন, যে ধারায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা বৈধ কি না- এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এ বিষয়টি মাননীয় আদলতকে জানালে তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুনানির দিন পিছিয়েছেন।

গত ১৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে তোলে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে ২৪ মে তাকে আদালতে হাজির করার পর নতুন করে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। মতিঝিল থানার মামলাটি গত বছরের ৪ জানুয়ারির এবং লালবাগ থানার মামলাটি গত বছরের ৫ জানুয়ারির। দুই মামলায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপর গত ২৬ মে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানি গুলশান থানায় আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন, যেখানে ফৌজদারি দন্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাতেও আসলামকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, "সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোরপ্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা ও বোমাবাজির সঙ্গে আসামি আসলাম চৌধুরীর যোগসূত্র রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীরকে রিমান্ডের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য।

https://www.dailyjanakantha.com/details/article/194465/জয়ের-নকল-ভিডিও-করে-জালিয়াতিতে-ফেঁসেছে-বিএনপি




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Britain Wants To Be A Part Of Bangladesh's Success Story !!!!



British Prime Minister David Cameron expressed his country's willingness to be part of Bangladesh's success story as he held a meeting with his Bangladesh…
albd.org


__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Monday, May 30, 2016

[mukto-mona] Fw: Prudent Leadership Lauded By The World Leaders !!!!





On Monday, May 30, 2016 4:30 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Monday, May 30, 2016 4:28 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Monday, May 30, 2016 4:27 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


হে প্রানপ্রিয় নেত্রী ,
তোমার প্রজ্ঞা বুদ্ধি বলিষ্ঠতায় বিশ্বনেতৃবৃন্দ আজ মুগ্ধ হতবাক ! সবাই জানতে চাচ্ছে তোমার নেতৃত্বে কি করে এত সব হলো ? তাইত তোমার সাথে এত আলাপ সবার !
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
Muhammad Ali Manik's photo.
Muhammad Ali Manik's photo.
Muhammad Ali Manik's photo.









__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] অনুসারী - ১৩ ভুলে�



Whether she made 13 or 30 political mistakes, its all irrelevant now? She is on the way out; she is a spent force.

It is a great misfortune for Bangladesh that an illiterate house wife had been given the highest position in the country by the bog-headed people just out of sympathy for her dead husband. Instead of serving the people and the country, she thought she had become the master of the country. She started using BNP as the family political business. The sooner such women disappear, the better it is for the country - no more dynastic rule.

- AR


On Monday, 30 May 2016, 15:29, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
[Attachment(s) from Jiten Roy included below]
I know Zia, Khaleda Zia is no Ziaur Rahman.
1) Ziaur Rahman started with a self-reliance spirit for  Bangladesh, whereas Kheleda Zia started with a self-reliance spirit for her family and friends.
2) Ziaur Rahman was broke when he was killed, whereas Khaleda Zia was billionaire by the end of her tenure.
3) Both possess complicated character-traits, which make it  hard to predict and rely on.
 
Jiten Roy



From: "'Jamal G. Khan' M.JamalGhaus@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, May 29, 2016 8:04 PM
Subject: [mukto-mona] অনুসারীদের চোখে খালেদা জিয়ার ভুল - ১৩ ভুলের শিকার খালেদা

 

১৩ ভুলের শিকার খালেদা 




মাহমুদুল হাসান
দ্য রিপোর্ট
২০১৬ মে ২৯ ২২:৩৯:২৬
১৩ ভুলের শিকার খালেদা













গৃহবধূ থেকে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। উপমহাদেশের রাজনীতিতে এমন নজিরের অভাব নেই। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন বেশ কয়েকজন গৃহবধূর খোঁজ মেলে, যারা দোর্দণ্ড প্রতাপে দেশ চালিয়েছেন। তাদেরই একজন বেগম খালেদা জিয়া, যার স্বামী ছিলেন একজন সেনানায়ক ও রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন জিয়াউর রহমান।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমান এক রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হবার পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। গৃহবধূ থেকে হয়ে ওঠেন একজন পাক্কা রাজনীতিবিদ।
১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপি'র প্রাথমিক সদস্যপদ নেন খালেদা জিয়া। পরে দলের প্রধান হিসেবে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে কাটিয়ে দেন ৯ বছর। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর সাধারণ নির্বাচনে চমকপ্রদ বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধান নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস গড়েন।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে 'আপোসহীন নেত্রী'র খেতাব পাওয়া খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যেমন রয়েছেন অনেক সফলতার গল্প, তেমনি গত কয়েক বছরে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে রয়েছে অনেক ব্যর্থতার নজির। এমনকি রাজনীতির মাঠে অনেক 'ভুল'ও করতে দেখা গেছে তাকে।
রাজনীতির ময়দানে খালেদা জিয়ার সেসব ভুলের ব্যবচ্ছেদ করেছে দ্য রিপোর্ট।
অতীতে সফল রাজনৈতিক হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিগত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে কখনও নিজেই 'ভুল' করেছেন কখনোবা ভুলের শিকার হয়েছেন বিএনপি প্রধান। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনঢ় থেকে 'আপোসহীন' নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে 'সফল' ব্যক্তি হিসেবে অনুসারীরা তাকে 'দেশনেত্রী' হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু ১/১১ এর পর থেকে তিনি ও তার দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে বড় সংকটকাল অতিক্রম করছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দলটি।
অনুসারীদের চোখে খালেদা জিয়ার ভুল
সেনা সমর্থিত মঈন-ফখরুদ্দিনের দেওয়া নির্বাচন থেকে সব শেষ হরতাল-অবরোধে খালেদা জিয়ার অনেক সিদ্ধান্তে বেশ নাখোশ দলের অনেক নেতা-কর্মী। তারা বেশ কয়েকটি ভুলকে বিএনপির ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন। যদিও এসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে কেউই রাজি নন।
জামায়াতকে বিএনপির সঙ্গে নেওয়া
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নেওয়াটাকে দলের একাধিক নেতা ভুল হিসেবে দেখছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মন্ত্রী বানানো হয়। এটা দেশের মানুষ ভাল চেখে দেখেনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সভা সমাবেশ কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির নেতাদের সমানের সারি অবস্থান, সমবেশস্থলে বসা, ব্যানার নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি তোলা নিয়ে বিএনপির অনেক নেতাকেই বিব্রত হতে দেখা যায়।
এছাড়া 'ছাত্রদল-ছাত্র শিবির একই বৃন্তে ফোটা দুটি ফুল' দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন বক্তব্যও ভালভাবে নেননি দলের নেতাকর্মীরা।
বিচৌধুরীর অপসারণ
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণসহ দল থেকে বিতাড়িত করার ঘটনা দলের অনেক নেতাই ভাল চোখে দেখেন নি।
২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বি.চৌধুরীকে বিএনপি রাষ্ট্রপতি মনোনীত করে। এর কয়েক মাস পর ২০০২ সালের ২৯ মে, ২১তম জিয়াউর রহমানের শাহাদাত দিবসের একদিন আগে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী একটি বিবৃতি দেন। যাতে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি তাই তিনি জিয়ার মাজারে ফুল দিতে যাননি। এতেই ক্ষেপে যান দলের সব এমপি। একপর্যায়ে ২০০২ সালের ১৯ ও ২০ জুন বিএনপির সংসদীয় দলের সভায় রাষ্ট্রপতি পদ থেকে তাকে সরানোর জন্য `ইমপিচমেন্ট`- প্রস্তাব গৃহীত হয়। ওই প্রস্তাব সংসদে উত্থাপনের আগেই ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বি. চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার পর বি. চৌধুরী বিএনপি থেকেও পদত্যাগ করেন। ২০০৪ সালে বি. চৌধুরী বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বর্তমানে তিনি দলটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
'বাংলাদেশে গণতন্ত্র' বইয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ লিখেছেন, 'রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত দিবসটি বিএনপি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। ২০০২ সালের ২৯ মে, ২১তম শাহাদাত দিবসের একদিন আগে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী একটি বিবৃতি দেন। যাতে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি...।
মওদুদ আহমেদ বইয়ের আরেকটি জায়গার লিখেছেন, 'যেহেতু যখনই খালেদা জিয়া ভাবলেন যে, তার স্বামীকে অবমাননা করা হয়েছে এবং বেগম জিয়ার ধারণা জন্মেছিল যে, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আচরণ ছিল অনানুগত্য ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল তখন দলের সকলেই বুঝতে পেরেছিলাম যে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নিষ্ক্রান্ত হওয়া ছিল অবধারিত। ব্যক্তিত্বের সংঘাত এড়াতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করে আরও অনুগত, নমনীয় ও বিশ্বাসী কাউকে সেখানে বসানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।'
বইটির ৪১৯ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার পর তিনি সরকারবিরোধী হিসেবে রাজনীতিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলে বিএনপি সরকার তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। গণতন্ত্রের বাহক দলীয় নেতারা তাকে রাশ টেনে ধরার প্রয়াস পান।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থেকে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ১৯৮৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে দলের সঙ্গে মতভেদ সৃষ্টি হলে তিনি বিএনপি থেকে সরে দাঁড়ান। পরে তিনি এলডিপি (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) গঠন করেন। অলিকে দলে ধরে না রাখতে পারাও খালেদার রাজনীতির অন্যতম ব্যর্থতা বলে মনে করেন কোনো কোনো নেতা। অলির এলডিপি বর্তমানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক।
২০০৮ এর নির্বাচনে যাওয়া
খালেদা জিয়া নিজেও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে যাওয়াটাকে ভুল বলে অভিহিত করেন।
ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সালে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বিএনপির ব্যাপক ভরাডুবি হয়।
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করা
বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, কংগ্রেস জমানায় খালেদা জিয়ার ভারত সফরের পর দেশটি তার বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন এনেছিল। ভারত সফরে খালেদা জিয়াকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অথচ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় তার সঙ্গে খালেদা জিয়া স্বাক্ষাৎ করেন নি। আজকে সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছে হচ্ছে। হরতাল প্রত্যাহার করে ওইদিন প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করা উচিৎ ছিল।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে সাক্ষাৎ না করার বিষয়ে ভারতের দ্য সানডে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, হুমকির কারণেই ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাতিল করেছিলাম। কারণ আমার প্রাণনাশের হুমকি ছিল। যদি আমার কিছু হতো (বৈঠকে যাওয়ার পথে), আমাদের বিরোধীরা এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করার পরিকল্পনা করেছিল। গত বছর ১৩ জুন সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে না যাওয়া
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়াটা ছিল খালেদা জিয়ার আরেকটা রাজনীতিক ভুল। কারণ ম্যাডামই সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ঠিক আছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আহ্বানে সাড়া দেয়নি প্রধানমন্ত্রী। তাকে কী হয়েছে? ফোন তো করেছিলেন। ওই আমন্ত্রণে গেলেই সব হয়ে যেত এমনটা নয়। ওখানে রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে।
২০১৩ সালে ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে। ওইদিন টেলিফোন সংলাপে তিনি খালেদা জিয়াকে ২৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিন দিনের হরতাল প্রত্যাহার করতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
হেফাজতের কর্মসূচিতে বিএনপির 'অস্পষ্ট' ভূমিকা
২০১৩ সালে ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা সমাবেশকালে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে না পারায় বহির্বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা গেছে বলে মনে করেন দলের নেতারা।
'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'
নেতারা বলেন, যখন তৃণমূলে আন্দোলন তুঙ্গে তখন ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচি পালন করতে সবাইকে ঢাকায় ডাকা হলো। এর ফল কী পাওয়া গেল? জিরো। এরপর ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আন্দোলন থেকে সরে আসা ঠিক হয়নি। আন্দোলন অব্যাহত থাকলে সরকার আরেকটি নির্বাচন দিতে বাধ্য হতো।'
তিনি বলেন, ''৫ জানুয়ারি 'একতরফা' নির্বাচনে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গত বছর(২০১৫) অবরোধ কর্মসূচিতে যাওয়া ঠিক হয়নি। কোনো ধরনের প্রস্ততি ছাড়াই এ ধরণের কর্মসূচিতে যাওয়া ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এর আগে ২০১৩ সালে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়াও ঠিক হয়নি। এতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কাছে ভুল বার্তা গেছে।''
২০১৪ সালের ভোট বর্জন
বিএনপি নেত্রীর ভুল নিয়ে নিজেদের মধ্যে মাঝারি সারির নেতারা সরব হলেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে কেউই রাজি নন। দলের প্রধানকে নাখোশ করতে চান না, মধ্যম সারির এমনই এক নেতা দ্য রিপোর্টের কাছে দলীয় প্রধানের ভুল নিয়ে কথা বলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, '২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক ভুল।'
এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'সেই প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট এক নয়। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১০০ আসন পেলেও আমরা বিরোধীদলে থাকতে পারতাম। ওখান থেকে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যেত। এখন আমরা সংসদেও নাই, রাজপথেও নাই।'
দলের অনেক নেতা মনে করেন, ওয়ান-ইলেভেন বিএনপির সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। সেই ধাক্কা বিএনপি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাছাড়া, খালেদা জিয়ার কাছের লোকদেরও দলের ক্ষতির জন্য দুষছেন এসব নেতা।
হঠাৎ আন্দোলন বন্ধ
নেতাদের অভিযোগ, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া হলো। এটা কেন করা হল, কার কথায় আন্দোলন বন্ধ হলো। ওই আন্দোলন চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ শর্ত অনুযায়ী ফের নির্বাচন দিতে বাধ্য হতো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের মধ্যম সারির এক নেতা দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'কোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। যা হচ্ছে সব সঠিক বলে যেতে হবে।
অপর এক নেতা মনে করেন, খালেদা জিয়াকে ভুল বুঝিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নেওয়া হয়। যে ভুলের খেসারত এখনও দিতে হচ্ছে। জামায়াতকে সঙ্গে নেওয়াই ছিল সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল। এর ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে। দলের বড় একটা অংশ জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করতে চান না।
প্রস্ততি ছাড়াই কর্মসূচি ঘোষণা
২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি দলীয় চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর কোনো ধরণের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী আসবেন খালেদা জানতেন না
২০১৫ সালে ২৫ জানুয়ারি ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়া কার্যালয়ের গেট থেকে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কার্যালয়ের গেট ছিল তালাবদ্ধ। ওইদিন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই কার্যালয়েই ছিলেন দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য কয়েকজন সদস্যসহ অনেককেই ছিলেন। কিন্তু সঠিক সময় কেউ এগিয়ে আসেননি।
গুলশান কার্যালয় 'বলয়'
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় কেন্দ্রিক একটি 'বলয়' আছে। যে কারণে চাইলেই চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাধারণ নেতা-কর্মীরা সাক্ষাৎ করতে পারেন না- দলের বড় একটি অংশের নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগ আছে।
তাদের দাবি, গুলশান কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী বেষ্টিত। ওখানে রাজনৈতিকদের কোনো জায়গা নেই। গুলশান অফিস থেকে তথ্য ফাঁস হওয়া বা খালেদা জিয়ার রুম থেকে কথা রেকর্ড করার যন্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা তো সবারই জানা আছে। দলের এক সিনিয়র নেতা দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'ম্যাডাম(খালেদা জিয়া) ডাকলে গুলশান অফিসে যাই, নইলে খুব একটা যাওয়া পড়ে না।'
চীনও নাশোখ!
২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চীনের বৈরীরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে সখ্য গড়াও খালেদার বিদেশ নীতিতে চিড় ধরিয়েছিল। তাইওয়ানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার চেষ্টায় বিএনপির এক সময়ের বন্ধু চীন বেশ নাখোশ হয় বলেও বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান।
শীর্ষ নেতাদের ভিন্নমত
আন্দোলন-সংগ্রামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মীরা এমন ভুল খুঁজে পেলেও শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন তা মানতে নারাজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমরা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না যাওয়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। হয়তো একদিন ইতিহাস বলবে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের মতোই ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়া সঠিক ছিল। খালেদা জিয়া যে কথা বলেন, ওই কথা অনুযায়ী চলেন বলেই তিনি আপোসহীন নেত্রী।'
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, 'দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। উপজেলা, পৌর নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এটা প্রধান হয়েছে।'
জানতে চাইলে দলের আরেক স্থায়ী কমিটি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'যেখানে সমস্ত মিডিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে, তারা তো বলবেই বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। বাস্তবে সবাই জানে বিএনপির অবস্থা আরও ভাল হয়েছে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'আমাদের দল মনে করেছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলে কোনো লাভ হবে না। লোকাল নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।'
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, 'পৃথিবীর প্রায় দেশেই দলগত সুবিধার স্বার্থে জোট হয়। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। এটা রাজনৈতিক জোট, আদর্শিক না।'
জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আলোচনা-সমালোচন হতে পারে। ভুল কি ঠিক এগুলো নিয়েও কথা হয়। আসলে আমরা তো আমাদের রাজনীতি করছি, জামায়াত তাদের রাজনীতি করছে।'
গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী
১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি খালেদা জিয়া দলে প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে গৃহবধু থেকে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৮৩ সালে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ১৯৮৪ সালে ১২ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও একই বছরে ১ মে চেয়ারপাসনের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে 'স্বৈরাচারের সঙ্গে কোনো আপোস নয়' এই নীতিতে অটুট থেকে নয় বছর এরশাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যান। এরশাদের অধীনে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে যাননি তিনি। ওই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি 'একতরফা' নির্বাচন করে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসে। বেশিদিন টিকতে পারেননি তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়। পরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর ২০০১ সালের আবারও ক্ষমতায় আসে বিএনপি। ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দলটি। ২০০৭ সালে ২২ জানুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগ বয়কট করলে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। এর প্রভাবে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ১১/১ সরকার আর্বিভাব ঘটে। দুর্নীতির দায়ে সপরিবারে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়। পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান তারা। দুই ছেলেকে বিদেশে চলে যেতে হয়। বড় ছেলে তারেক রহমান এখনও দেশে ফিরতে পারেনি। আরেক ছেলে আরাফাত রহমান কোকো বিদেশীদের মাটিতেই মারা গেছেন।
সেই সরকারের দেওয়া নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ওই নির্বাচন বিএনপির বর্জন করে বিরোধী দলে থেকে ছিটকে পড়ে।
স্বজন হারানো
১১/১ এর পর থেকে স্বজন হারানোর বিপর্যয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়া। মৃত্যুর মিছিলে একে একে যুক্ত হয়েছেন তার মা, ভাই ও সন্তানসহ চারজন।
১/১১-এর সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মা তৈয়বা মজুমদার মারা যান। ওই সময় খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরদিন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখতে যান।
মায়ের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর ওই বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত দীর্ঘ ৩৮ বছর বসবাস করা ক্যান্টমেন্টের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়।
স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি হারানোর ব্যথা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার মারা যান। ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১০টায় নিউইয়র্কের ব্রুকডেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ছাড়া গত বছর ২৭ ডিসেম্বর মারা যান খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানের চাচাতো ভাই ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিতুর রহমান চৌধুরী।
সর্বশেষ ২৪ জানুযারি দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এএসটি/মে ১৫, ২০১৬)

Inline image 1












__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___