Banner Advertiser

Friday, August 8, 2014

[mukto-mona] বিভীষণদের বিষয়ে সতর্কতা অপরিহার্য - ওয়াহিদ নবি



শনিবার, ৯ আগষ্ট ২০১৪, ২৫ শ্রাবণ ১৪২১

বিভীষণদের বিষয়ে সতর্কতা অপরিহার্য
ওয়াহিদ নবি
সাধারণ মানুষের কাছে বিভীষণ ঘরের শত্রু বলে পরিচিত। আমরা তাকে সেই হিসেবেই দেখব। শাস্ত্র যা বলে তা জটিল। তবু শাস্ত্রের কথা একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে একটু বুঝবার চেষ্টা করা ভাল। রাবণের ভাই বিভীষণ রাবণকে উপদেশ দিয়েছিল সীতাকে রামের কাছে ফিরিয়ে দিতে। রাবণ তার কথা না শোনায় সে রামের পক্ষ নেয়। সে রাবণের অনেক গোপন তথ্য রামকে জানিয়ে দেয় যা রামকে সাহায্য করে যুদ্ধে জিততে। শাস্ত্রে রাম ন্যায়ের প্রতীক আর রাবণ অন্যায়ের প্রতীক । বিভীষণ রামের পক্ষ নেয়ায় শাস্ত্র অনুযায়ী সে ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু ইতিহাস তাকে ঘরের শত্রু হিসেবেই দেখছে। সাধারণ মানুষের চোখে সে বিশ্বাসঘাতক। দীর্ঘ নিদ্রার জন্য পরিচিত কুম্ভকর্ণ রাবণকে উপদেশ দিয়েছিলেন যা রাবণ শুনেননি। যার ফলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন; কিন্তু নিজের আত্মীয়দের ছেড়ে তিনি রামের পক্ষ নেননি। এ জন্য শাস্ত্র তাকে নিন্দা করেনি। বিভীষণ আর কুম্ভকর্ণ দুজনেই ন্যায়ের পক্ষে বিপরীত কাজ করা সত্ত্বেও আমরা শাস্ত্রের এসব জটিলতার মধ্যে যাব না। আমরা নিজের মানুষদের ক্ষতি করাকে মন্দ কাজ বলে মনে করব হোক না তা তথাকথিত ন্যায়ের জন্য। ইতিহাসের রায় বিভীষণ বিশ্বাসঘাতক। আমরাও তাই বিশ্বাস করি। মত ও পথ নিয়ে নিজের মানুষদের সঙ্গে মতানৈক্য হতে পারে। নিজের মতকে জয়যুক্ত করবার জন্য আপনজনদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। শত্রুর পক্ষ অবলম্বন কিন্তু যে কোন অবস্থাতেই বিশ্বাসঘাতকতা। শত্রুর উপকার হচ্ছে এমন কাজ জেনেশুনে নিজেদের মধ্যে করা বিভীষণের কাজের মতই। 
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কথা ভাবলে এসব কথা মনে পড়ে। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি প্রধান দল। এদের ইতিহাসের দিকে তাকানো যাক। আওয়ামী লীগের জন্ম পাকিস্তানের জন্মেরও কিছুদিন পরে। ধর্মের নাম করে পাকিস্তানের কর্তারা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। প্রগতিমনা একদল মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে অসীম সাহসে। পতন অভ্যুত্থানের বন্ধুর পথে চলে এদের অগ্রযাত্রা। প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে আওয়ামী লীগ। ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৫৪'র নির্বাচন, ৯২-ক ধারা, এক ইউনিট, এক দশকব্যাপী সামরিক শাসন, শিক্ষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, '৭১-এর স্বাধীনতার সংগ্রাম ইত্যাদি দেশের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকা-ে অগ্রণী ও সংগ্রামী ভূমিকা গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। 
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে অর্থাৎ একটি বিধ্বস্তপ্রায় দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব অর্পিত হয় আওয়ামী লীগের হাতে। এই সময়ের ইতিহাসের চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কারণ এই বিশ্লেষণ আমাদের দেখিয়ে দেবে '৭৫-এর কারণ। দেখিয়ে দেবে ১৫ আগস্টের নৃশংসতার নায়কদের চরিত্র। আমরা বুঝতে পারব কেন দেড় দশক ধরে সামরিক শাসন চলেছিল। আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে কেন সামরিক নেতা গঠিত দলের উত্তরাধিকারীরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের উত্তরাধিকারীদের প্রায় সমান শক্তিশালী। ভুল বুঝলে চলবে না শক্তিশালী কথাটার । দুটি দল প্রায় সমান সমান ভোট পায়। 
বিজ্ঞজনরা প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু আলোচনা করেছেন যেগুলো মূল্যবান। কিন্তু যে বিষয়টি যথেষ্ট আলোচিত হয়নি তা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এবং সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির নিজেদের সমস্যা এবং দুর্বলতা। সহস্র মানুষের বিশাল ত্যাগের কথা বিবেচনা করেই হয়ত এই তিক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। কিন্তু আজ মনে হয় এসব বিষয়ে আলোচনা অপরিহার্য ও জরুরী হয়ে পড়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে যারা খুনী পাকিস্তানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজ দেশবাসীকে হত্যা করেছিল ধর্মকে অজুহাত করে এবং লম্পটদের হাতে তুলে দিয়েছিল নিজ দেশের মুসলিম নারীদের তাদের গাড়িতে শোভা পেয়েছিল জাতীয় পতাকা। ওদের কথা আমরা অনেক বলেছি এবং আরও বলব। কিন্তু নিজেদের কথাও বলতে হবে। কারণ আমাদের রাজনীতিতে যা চলছে তা চলতে পারে না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে স্বাধীনতার পক্ষেরই একদল মানুষ অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা প্রশাসনকে অকেজো করে দেয়। যারা জীবনবাজি ধরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেসব নওজোয়ানের অনেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে মেতে ওঠে। এদের মধ্যে সময়মতো শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়নি। ফল হয়েছিল ভয়াবহ। এদের কিছু শাস্তি না দেখে আরও অনেকে একই পথে পা বাড়াল। অনেকে প্রশ্ন করবেন এসব পুরনো কাঁসুন্দি ঘাঁটা হচ্ছে কেন। একটু চিন্তা করলেই কারণটা সবাই বুঝতে পারবেন। কারণ হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কাম্য নয়। প্রশাসনের ওপর দলীয় রাজনীতির প্রভাব কাম্য নয়। এসব ঘটেছিল বলেই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগস্ট ঘটাতে পেরেছিল। 
দলের সামান্য সংখ্যক লোকের জন্য যেন দলের ক্ষতি না হয় সেদিকে দলীয় নেতৃত্বকে সজাগ ও কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেক বিষয় জনগণ পছন্দ করে না। এর একটি হচ্ছে দুর্নীতি। দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে দল যেন তাকে সমর্থন না করে। দলের জন্য হয়ত তার বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু সেজন্য তাকে পুরস্কৃত করতে হবে অন্যভাবে, আইন ভঙ্গ করবার ব্যাপারে তাকে সমর্থন করে নয়। আর একটা জিনিস জনগণ ভীষণভাবে অপছন্দ করে আর তা হচ্ছে দলীয় ব্যক্তিদের দৈহিক বলপ্রয়োগ। হয়ত ক্ষমতায় থাকার সময় বিরোধী দলের কেউ তার ওপর অন্যায়ভাবে বলপ্রয়োগ করেছিল। তার মানে এই নয় যে, তার দল ক্ষমতায় এলে দল তাকে প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে। যদি কেউ এমন কাজ করে তবে আইন ভঙ্গের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। সাধারণভাবে কিছু কিছু অভ্যেস আছে যেগুলোকে জাতীয় অভ্যেস বললে বেশি বলা হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী যে কাজ করানোর জন্য আমার দ্বারা নিন্দিত হয়েছিল, সে কাজ আমি যেন না করি। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে একই খারাপ কাজ করে সেজন্য অজুহাত খাড়া করা। যে পরিস্থিতিগুলোর আমরা উল্লেখ করলাম সেগুলোর উদাহরণ খুঁজে পেতে কারও কষ্ট হবার কথা নয়। তাই সেগুলোর উল্লেখ করা হলো না । বিএনপির কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলতে পারে না তাদের কোন ইতিবাচক অবদানের কথা। বলতে পারে না কোন গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনার কথাও। তার পরও তারা প্রতিদ্বন্দ্বী।

লেখক : রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো
প্রকাশ:  শনিবার, ৯ আগষ্ট ২০১৪, ২৫ শ্রাবণ ১৪২১


আমাদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন - ওয়াহিদ নবি

প্রকাশ: বুধবার, ২ জুলাই ২০১৪, ১৮ আষাঢ় ১৪২১
ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয় - ওয়াহিদ নবি
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১
চেতনায় ভাস্বর ৭ মার্চ
ওয়াহিদ নবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৪০ |

 


মনে রাখবা, ''রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ''।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম''।
জয় বাংলা। 

http://www.somewhereinblog.net/blog/bahar007blog/28920766
শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ॥ নতুন দেশের অভ্যুদয়বার্তা
মোঃ মুজিবুর রহমান

প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

SHONO EKTI MUJIBORER THEKE.....SONG. :

শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি 
প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি-বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে,

আবার এসে ফিরে যাবো আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো।
শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে
এমন সোনার দেশ।
বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।
'জয় বাংলা' বলতে মনরে আমার এখন কেন ভাবো,
আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো,
অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।।


7th March, 1971 Speech of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman:



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] খোলা চোখে ঘুষবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি...



খোলা চোখে

ঘুষবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি...

হাসান ফেরদৌস | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজকে গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় আনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেই কথা সেই কাজ। সরকারি হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের বেতন নাটকীয়ভাবে কমে আসে। ৩০০ টাকা থেকে হয় মাত্র ১২ টাকা। সরকারি হওয়ার কারণে শিক্ষকদের বেতন বাড়ার কথা। কিন্তু এক বছর পরেও যথাযথ সরকারি বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। এদিকে শিক্ষার্থীদের বেতন কমে যাওয়ায় স্কুলের আয় গেছে কমে। ফলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তহবিল স্কুলের নেই। সাত মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তাঁরা পড়লেন মহাসংকটে। ওপরতলার কর্তাব্যক্তিদের টু-পাইস না দিলে সমস্যার সমাধান হবে না, সে কথা বুঝতে পেরে অধ্যক্ষের মধ্যস্থতায় শিক্ষকবৃন্দ ঠিক করলেন, তাঁরা নিজেরাই টাকা তুলে মোটা একটা অঙ্কের উৎকোচ যথাস্থানে পৌঁছে দেবেন। কেউ দিলেন ১৫ হাজার, কেউ দিলেন ১০, একদম অধস্তন কর্মচারীরা দিলেন পাঁচ হাজার করে। সব মিলিয়ে বেশ ভদ্রগোছের একটা ব্যবস্থা হলো।শিকে তার পরেও ছিঁড়ল না। হবে হবে করে এত দিন যাঁরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন, তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়লেন। গত সপ্তাহে এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সাংসদকে এসে অবস্থা সামাল দিতে হলো। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারটা তিনিও জানতেন।
মাস্টার সাহেবরা এমন একটা কাজ করতে পারলেন জেনে স্কুলের অভিভাবকদের বিচলিত হওয়ার কথা। শুধু বিদ্যা শিক্ষা নয়, নীতিজ্ঞান লাভও শিক্ষার একটি উপাদান। ঘুষ দেওয়া-নেওয়া খুব সম্মানজনক কোনো ব্যাপার নয়। তো, শিক্ষকেরা নিজেরাই যদি ঘুষ দেওয়া অপরাধ বলে বিবেচনা না করেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের সে নীতিশিক্ষা যতভাবে দেন না কেন, কেউ তাঁদের সে কথায় বিশ্বাস করবে না। তার চেয়েও ভয়ের কথা, শিক্ষকেরা ঘুষ দেন, অতএব তাঁরা ঘুষ নিতেও পারেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধারণা সংক্রমিত হবে। সেই যুক্তিতে ভর করে ছাত্রদের পক্ষে তাদের পছন্দমতো পরীক্ষার ফল, অথবা পরীক্ষার আগাম প্রশ্নপত্র আদায় করে নেওয়া কঠিন কোনো ব্যাপার হওয়ার কথা নয়।
আমার এই উদ্বেগের কথা এক বন্ধুকে শোনাতে তিনি চোখ কপালে তুললেন। 'আমরা কোন দেশে থাকি বলে তুমি ভাব?' এরপর পাক্কা তিন মিনিট তিনি ভাষণ দিয়ে গেলেন শুধু এই কথা বোঝাতে, যে দেশে ক্ষমতাবান মাত্রই কোনো না কোনোভাবে টু-পাইস বানাতে সিদ্ধহস্ত, সেখানে বেচারা শিক্ষকদের কাছ থেকে ভিন্ন কিছু আশা করা একদমই বাতুলতা। যে সমাজের তাঁরা বাসিন্দা, তার নিয়মকানুন তাঁদের মেনে চলতেই হবে। 'নো ঘুষ-নো ফাইল', এ তো জানা কথা।
বন্ধুটি নিজে একসময় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন, নিজে কখনো ঘুষ দিয়েছেন বা নিয়েছেন, এমন অভিযোগ কেউ কখনো করেছে বলে শুনিনি। এমন নিপাট একজন ভদ্রলোক শিক্ষকদের ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারটা এত সহজে মেনে নিলেন দেখে আমার বিস্ময় গোপন রাখলাম না। জবাবে তিনি আমাকে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে পড়ে শোনালেন। খ্রিষ্টপূর্ব তিন শ সালে চাণক্য ছিলেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের সভাসদ। কৌটিল্য নামে যে 'অর্থশাস্ত্র' তিনি লেখেন, এই বিষয়ে সেটি সম্ভবত আদিতম গ্রন্থ। বন্ধু জানালেন, সেই আড়াই হাজার বছর আগেই চাণক্যবাবু টের পেয়েছিলেন, সুযোগ পেলে টু-পাইস হাতাবে না, এমন রাজকর্মচারী ভূ-ভারতে নেই। তিনি লিখছেন, পানির নিচে মাছ যেমন কখন পানি খায় তা জানা যায় না, ঠিক সে রকম রাজকর্মচারী কখন কী হাতাচ্ছে, তা জানাও অসম্ভব। খোদ রাজাকে তিনি হিসাবে ধরেননি, কারণ তিনি দেশের মালিক, অতএব তাঁর টু-পাইস হাতানোর প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু তাঁর অধস্তন প্রত্যেকেই সুযোগ পেলে মাল কামাবে।
আমি সে কথা শুনে হতবাক হলাম। প্রাচীন ভারত মুনি-ঋষির দেশ, চন্দ্রগুপ্ত অতি সজ্জন সম্রাট। তিনি অথবা তাঁর সুপণ্ডিত সভাসদ কেন এমন দুষ্ট বুদ্ধি দেবেন, সে কথা আমার মাথায় ঢুকছিল না। বন্ধু জানালেন, দুষ্টবুদ্ধি নয়। চাণক্য অতি বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন, আজকের যুগে যাদের আমরা 'প্র্যাকটিক্যাল' বলি, সে রকম। তিনি জানতেন, শুধু নীতিকথা বলে পেট ভরানো যাবে না। রাজাকে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, দুর্নীতি কমানোর একটা পথ হলো, রাজার অধীনস্থ সব কর্মচারীকে যথাযথ পারিশ্রমিক অথবা মাসোহারার নিশ্চয়তা। যাঁর যে কাজ, তাঁর সেই রকম পারিশ্রমিক চাই। আজকে আমরা যাকে 'ইনসেনটিভ' বলি, তার ধারণা চাণক্যের কাছ থেকেই পাওয়া। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার অর্থাৎ বোনাস এবং কাজে ব্যর্থ হলে তিরস্কার, প্রয়োজন হলে শাস্তি, সে ধারণাও চাণক্যবাবুর কাছ থেকে শেখা। এমনকি নজরদারি বা 'ওভারসাইট'—সে কথাও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে রয়েছে।
আমার বন্ধুর ভাষণ শোনার পর কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র নতুন করে উল্টেপাল্টে দেখেছি। নৈতিকতার বিষয়টি চাণক্য মোটেই বাতিল করেননি। তিনি মনে করতেন, নৈতিকতার ব্যাপারটা আসতে হবে রাজ্য প্রশাসনের মাথা থেকে। তারাই ঠিক করবে কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক। চাণক্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, মাছের পচন ধরে মাথা থেকে। অতএব, ওই মাথাটা পচনের বাইরে রাখতে হবে। নৈতিকতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করবেন রাজা। একইভাবে, যার যার মন্ত্রণালয়ে সেই মান প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর।
শুধু মন্ত্রী নয়, এই নিয়মটা প্রসারিত করতে হবে প্রশাসনের সর্বস্তরে, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত। বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন তার প্রধান শিক্ষক অথবা অধ্যক্ষ। (কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের একটি ইংরেজি অনুবাদ পাওয়া যায়, আগ্রহী পাঠক তা এখানে পড়ে নিতে পারেন: http://bit.ly/1zOa2p1)
উৎকোচ যে রাজ্য পরিচালনায় একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, চাণক্যের অর্থশাস্ত্র থেকে তেমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন নয়। পত্রিকার প্রতিবেদন যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে শিক্ষকবৃন্দ অতি সাবধানতার সঙ্গে তাঁদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ঘুষকে একটি উপযোগী কৌশল অথবা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। আজকাল অনেক অর্থনীতিবিদ 'যদি কাজ হয়, তাহলে ঘুষ দেওয়া শাস্ত্রসম্মত' এমন ফতোয়া দিয়েছেন। কোনো কাজ যদি লালফিতার নিচে বছরের পর বছর পড়ে থাকে, আর তার ফলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গচ্চা যায়, তাহলে একটা রফা করাই তো ভালো। আজিমপুরের শিক্ষকেরা এই নীতিই অনুসরণ করেছিলেন। তাঁরা শুধু বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকেই নয়, স্থানীয় সাংসদকেও জড়িয়েছিলেন। স্কুলের পরিচালনা পরিষদের কেউ কেউও ব্যাপারটায় সমর্থন দিয়েছিলেন। সমস্যা হলো, যারা টাকা খেয়ে কাজ করে দেবে বলেছিল, তারা টাকা হজম করেছে, কিন্তু কাজ করে দেয়নি। আমার বন্ধুটি রায় দিলেন, অপরাধী যদি কাউকে বলতে হয়, তো সে হলো ওপরতলার ওই কর্তাব্যক্তিরা। চাণক্য বলেছেন, মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কর্তাদের। ঘুষ খেয়ে কাজ 'ডেলিভারি' দিতে হবে, আজকের দিনে ওই বই লিখলে চাণক্য সে কথা স্পষ্ট করে লিখে দিতেন।
বন্ধুর কথা শুনে আমি মুখ কালো করে বসে থাকি। শিক্ষক তাঁর বেতন পাবেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সে নিয়ম যদি পালিত না হয়, সে কথা নিয়ে দাবি তোলার অধিকার তাঁর অবশ্যই আছে। এ নিয়ে সাংসদের কাছে আবেদন করা যেত, মন্ত্রীর কাছে যৌথ চিঠি পাঠানো যেত, কোনো কিছুতে কাজ না হলে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতে পারতেন তাঁরা। অবস্থা তাঁদের জন্য অসহনীয় হয়ে এলে ধর্মঘটের কথা, এমনকি অনশনের কথাও ভাবা যেত। সে পথে না গিয়ে আমাদের মাননীয় শিক্ষকবৃন্দ ধরলেন সবচেয়ে সহজ পথটি। ভয় এখানেই। সবখানেই আমরা এখন শর্টকাট খুঁজছি। মাস্টার সাহেবরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের শর্টকাট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঘুষ। শিক্ষার্থীরাও শর্টকাট হিসেবে নোটবই, ফাঁস প্রশ্নপত্র বা নিজে পরীক্ষায় না বসে ভাড়াটে ছাত্রকে বসাচ্ছে। এরপর হয় আরও সহজ শর্টকাট বেরোবে। পড়াশোনা করতে হবে না, পরীক্ষাও দিতে হবে না, কিন্তু ঠিকই পাস হবে (চাইকি প্রথম শ্রেণিতে)। সবই যখন ঘুষে সম্ভব, তখন এত কষ্ট কেন?
যাঁরা এতে উদ্বেগের কোনো কারণ দেখেন না, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, এসব শিক্ষার্থী একদিন ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, বিজ্ঞানী হবে। তাদের হাতে আপনার কিডনি অপারেশন হবে, পদ্মা সেতু হবে, বহুতল ভবনের নকশা হবে। হবে বলছি বটে, কিন্তু আসলে হবে কি?
হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক৷


Prothom Alo





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] প্রসঙ্গ: সন্ত্রাসী দল জামাত নিষিদ্ধকরণ। সরকারের সামনে অবাধ সুযোগ। সরকারের ধীরে চলো নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার কথা বরদাশতযোগ্য নয়।



প্রসঙ্গ: সন্ত্রাসী দল জামাত নিষিদ্ধকরণ।
সরকারের সামনে অবাধ সুযোগ।
সরকারের ধীরে চলো নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার কথা বরদাশতযোগ্য নয়।


মওদুদীবাদী জামাতকে মানবতাবিরোধী অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মওদুদীবাদী জামাত ৭ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে প্রকাশ এবং দল হিসেবে জামাতকে নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস এ দেশের মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। আর পাকিস্তানী বাহিনীকে এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে মওদুদীবাদী জামাত।
সে সময় মওদুদীবাদী জামাত ও তার সহযোগী সংগঠন আল-বাদর, রাজাকার ও দলটির মুখপত্র তৎকালীন দৈনিক পত্রিকা 'সংগ্রাম' সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।
মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য যেসব সুযোগ বের করা হয়েছে এর প্রথম সুযোগ হচ্ছেÑ নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সরকার এটা বন্ধ করতে পারে। সেটা করলে তাদের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় সুযোগ হচ্ছে- সরকার চাইলে এই সংগঠনের বিগত দিনের ও ২০১৩ সালের হাঙ্গামার সময়কার বিষয় বিবেচনা করে ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, তাদেরকে নির্যাতন ও হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু সরকার চলছে ধীরে চলো নীতিতে।
এদিকে আবারো গুঞ্জন উঠেছে, সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার চেষ্টা চলছে। দলটির নায়েবে আমীর দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর আপিল বিভাগের রায়কে ঘিরেই এমন গুঞ্জন উঠেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অতিগোপনে অভিযুক্ত জামাতের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে রটনা হয়েছে। আর এতে তারা বিদেশীদের সহায়তা নিচ্ছে। জামাতকে 'ম্যানেজ' করতে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। আর জামাতের পক্ষে কাজ করছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। সে এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছে। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত সে দেশে ফিরবে না বলে জানা গেছে। কারণ রাজ্জাক বাইরে যাওয়ার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর (২০১৩) কলাবাগান থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জামাতের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেমন করে দেশের বাইরে গেলো এমন প্রশ্ন সবার। ওয়াকিবহালের মতে, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে বাইরে যেতে সহযোগিতা করেছে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও একজন বিদেশী রাষ্ট্রদূত। ওই রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে করেই তিনজন এয়ারপোর্টে যায়।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর রয়েছে, আবারো ১৯৮৬-এর নির্বাচন পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি যায়নি, কিন্তু জামাত আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়ে এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর জামাত বিএনপি'র সঙ্গে দুটি মহিলা এমপি 'পুরস্কার' নিয়ে অবস্থান নিলেও অল্প দিনের মধ্যে তারা রাস্তায় আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গী হয়। তারাই কেয়ারটেকারের ফর্মুলা দিয়ে সেটি আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জোর করে বাস্তবায়ন করে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামাতের আঁতাত বা সমঝোতা নতুন কিছু নয়। ক্ষমতার লোভে জামাত পারে না এমন কোনো কাজ নেই। কাজেই নিজেদের অস্তিত্ব এবং জনসমর্থন টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আওয়ামী লীগের উচিত, জামাতের সাথে আতাতের মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে না যাওয়া। বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ধর্মব্যবসায়ী জামাতকে নির্মূল করা।
উল্লেখ্য, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সংবিধানের ৩৮নং বিধান বলে এক্ষুনি মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করতে পারে। সরকারের সামনে এক্ষুনি মওদুদীবাদী জামাতকে নিষিদ্ধ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সরকার চাইলে তা যেকোনো সময়ে কাজে লাগাতে পারে। তবে সরকার সেটা চাইছে না। কিন্তু জনগণ এটা ভালো চোখে দেখছে না। সরকার যদি নিজেদেরকে জনগণের অভিভাবক মনে করে, তবে সরকারের উচিত ধীরে চলো নীতি না নিয়ে জামাতের সাথে কোনো সমঝোতায় না গিয়ে এক্ষুনি সক্রিয় হয়ে শক্ত পদক্ষেপে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।



__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___