Banner Advertiser

Thursday, July 24, 2014

[mukto-mona] Re: [Bangladesh-Zindabad] The News from UK---Actual News



Please note: message attached

for <anis.ahmed@netzero.net> 
Wed, 23 Jul 2014 04:36:01 -0700 (PDT)

News story
PM meeting with Prime Minister Hasina of Bangladesh: July 2014
 
History: Published 22 July 2014


The Prime Ministers spoke about eliminating child marriage, January’s Bangladesh election, development goals and the Bangladeshi diaspora.
 
Following the meeting, a Downing Street spokesperson said:
 
"The PM met with Prime Minister Hasina of Bangladesh this morning ahead of the Girl Summit. The PM welcomed Bangladesh’s commitment to eliminating child marriage and the two leaders agreed on the need for a strong follow up on this commitment. PM Hasina also discussed the latest work on empowering and educating women and girls in Bangladesh."
 
"The PM noted our disappointment over the January 2014 Bangladesh election with more than half of constituencies uncontested. They agreed on the importance of an open society and political system in which democratic political participation and media freedoms are respected."
 
"The leaders also agreed to work together on post 2015 development goals. Finally they welcomed the important role of the Bangladeshi diaspora in the UK and the contribution they make to its cultural and economic life."
 
https://www.gov.uk/government/news/pm-meeting-with-prime-minister-hasina-of-bangladesh-july-2014


__._,_.___

Posted by: "Anis Ahmed" <anis.ahmed@netzero.net>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়ার মাজারে বিএনপির দুই নেত্রীর চুলোচুলি হাতাহাতি



শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০১৪, ১০ শ্রাবণ ১৪২১
জিয়ার মাজারে বিএনপির দুই নেত্রীর চুলোচুলি হাতাহাতি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হবে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের আগে কিংবা পরের কোন কথা নয়, আমরা পাঁচ বছর ধরেই জনগণের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছি। আন্দোলনে সাফল্যও পেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের কারণেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি।
জিয়ার মাজারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনির সঙ্গে ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা আখতার কেয়ার প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, কথাকাটাকাটি ও গালাগালি এবং পরে চুলোচুলি ও হাতাহাতি হয়। তাঁরা একে অপরকে কিল-ঘুষি মারেন। একই সময়ে মহিলা দলের সভানেত্রী নূরী আরা সাফাকে অন্য এক নারীনেত্রী ঠেলা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান। এছাড়া নেতাকর্মীদের ধাক্কায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পেছনে ছিটকে পড়ে গেলে তিনি রাগ করে জিয়ার মাজার থেকে চলে যেতে চান। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে ধমকও দেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এগিয়ে গিয়ে গয়েশ্বর রায়কে তাঁর কাছে নিয়ে এসে জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 
ফখরুল বলেন, মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। নতুন কমিটির কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন মূল কাজ সংগঠনকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনের উপযোগী করা। নতুন কমিটির নেতৃত্বে আগামী দিনে দল শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম বেগবান হবে। এবারের আন্দোলন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে। আমাদের বিশ্বাস আন্দোলনের ফলে সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
সরকার অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করা হবে। বিএনপির আন্দোলন চলছে, চলবে।
ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। দেশ ও বিশ্বের মানুষ ওই নির্বাচন গ্রহণ করেননি। তাই এ নির্বাচনের পর গঠিত সরকার বৈধ নয়। সরকার অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
জিয়ার মাজারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আগামী দিনে আন্দোলনের পরিকল্পনা হলো জনগণকে সম্পৃক্ত করে দলকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা। আর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন বেগবান করা। আমাদের বিশ্বাস এবারের আন্দোলনের ফলে সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সভা করে নতুন কমিটির কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন মূল কাজ সংগঠনকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনের উপযোগী করা।
জিয়ার মাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এসএ খালেক, আবদুল মজিদ, শামসুল হুদা, সাজ্জাদ জহির, ইউনুস মৃধা, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আজগর মাতবর, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মহিলা দলের সভাপতি নূরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহদফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১টায় ঢাকা মহানগর বিএনপির এই কর্মসূচীতে অংশ নিতে মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, শাহজাহানপুর ও বাসাবোসহ বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে গিয়ে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বেলা পৌনে ১২টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নতুন কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসসহ অন্য নেতারা জিয়ার মাজার প্রাঙ্গণে হাজির হন। দুপুর ১২টায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সেখানে যাওয়ার পর জিয়ার সমাধিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা টিভি ক্যামেরায় নিজেদের চেহারা দেখাতে সামনে থাকার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০১৪, ১০ শ্রাবণ ১৪২১

জিয়ার মাজারে দুই নেত্রীর চুলোচুলি

ইত্তেফাক রিপোর্ট
20130804-adda1_0
নিলোফার চৌধুরী মনি 

ছাত্রদল নেত্রীকে সাবেক এমপির চড়

Moni ছাত্রদল নেত্রীকে সাবেক এমপির চড়





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Naomi Wolf protest at synagogue



This is just an emotional outburst of a good human being from outside the domain of the conflict. 
Let's think about reality.

Israelis left Gaza in 2005, and gave its control to the people of Gaza. What did they do with the newly granted freedom? They hold an election, and brought the radical group, Hamas, which does not believe in the existence of Israel, to power, instead of the moderate group, Palestinian Authority, working on establishing Palestinian State at that time.

I was wondering what people of Gaza wanted from the election. It was obvious to me at the time that most people in Gaza must also agree with Hamas on the non-existence of Israel.  
 
Naturally, Hamas started to prepare for the ultimate war, and, started to spend most of their revenue on building hundreds of rockets and underground tunnels, instead of housing, school, college, and business. This war was not unplanned or unexpected, and people of Gaza cannot completely escape their complicity to this crisis.
 
Now, compare the plights of people in the West Bank, controlled by Palestinian Authority; they are completely unaffected, meaning this war is not against all Palestinians or against Palestine; it's against Hamas ideology and its supporters. So, this war cannot end until one side gets completely annihilated.

Our emotion might bring a recess, but not an end to this crisis.
 
Jiten Roy



__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: JANANETRI SHEIKH HASINA , THE PEOPLE'S LEADER !!!!





On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Thursday, July 24, 2014 8:04 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


(১) কিছুদিন আগে উরুগুয়ের রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছিলাম চিকিৎসা নেবার জন্য সিরিয়াল দিয়ে সরকারি হাসপাতালে বসে আছে। ছবিটি দেখে অনেকের মত আমিও আপ্লুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম এই না হলে রাষ্ট্রপতি। উনাকে অবশ্য ১৯ বার নির্ঘাত মৃত্যর হাত থেকে বাচতে হয়নি। হলে চিত্রটা কেমন হত জানিনা। 
(২) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খুব জনপ্রিয় একটি ছবি আছে। উনি পাবলিক ট্রেনে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়তে পড়তে অফিসে যাচ্ছেন। উনিও বেশ বাহবা কুড়িয়েছেন। উনাকেও কিন্তু একবারের জন্যেও আক্রান্ত হতে হয়নি।
এবার বঙ্গকন্যার কথা চিন্তা করুন। উনি যদি উরুগুয়ে বা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে চিত্রটা কেমন হত? কল্পনা করুন।
(১) কিছুদিন আগে উরুগুয়ের রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছিলাম    চিকিৎসা নেবার জন্য সিরিয়াল দিয়ে সরকারি হাসপাতালে বসে আছে। ছবিটি দেখে অনেকের মত আমিও আপ্লুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম এই না হলে রাষ্ট্রপতি। উনাকে অবশ্য ১৯ বার নির্ঘাত মৃত্যর হাত থেকে বাচতে হয়নি। হলে চিত্রটা  কেমন হত জানিনা।  (২) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খুব জনপ্রিয় একটি ছবি আছে। উনি পাবলিক ট্রেনে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়তে পড়তে অফিসে যাচ্ছেন। উনিও বেশ বাহবা কুড়িয়েছেন। উনাকেও    কিন্তু একবারের জন্যেও আক্রান্ত হতে হয়নি। এবার বঙ্গকন্যার কথা চিন্তা করুন। উনি যদি উরুগুয়ে বা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে চিত্রটা কেমন হত? কল্পনা করুন।











__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] FW: "Hezbollah Talks Big but Bows Out of the Gaza War"



A good analysis of the present mess in the region.


To: foil-l@insaf.net
From: india-unity@yahoogroups.com
Date: Thu, 24 Jul 2014 23:17:44 +0530
Subject: [india-unity] "Hezbollah Talks Big but Bows Out of the Gaza War"

 

Hezbollah Talks Big but Bows Out of the Gaza War

http://www.thedailybeast.com/articles/2014/07/23/hezbollah-talks-big-but-bows-out-of-the-gaza-war.html

Hamas is increasingly isolated in the region as it fights its ferocious
war against Israel. In the old days Hezbollah might have helped—but not
now.

BEIRUT, Lebanon — Hezbollah boss Hassan Nasrallah made a phone call to
Hamas chief Khaled Mashaal on Monday and vowed to support "the
resistance in Gaza in any way necessary." Then Nasrallah, whose fame has
spread far and wide over the years as the head of the Iranian-backed
Lebanese "Party of God," called Palestinians Islamic Jihad leader
Ramadan Salah to talk about maintaining close diplomatic ties in the
fight against Israel.

But here's the real message from Nasrallah: Hamas, you're on your own.
This is a far cry from those days in the middle of the last decade when
Hezbollah, encouraged by Tehran, was staking out a position as the
region's preeminent leader of resistance against Israel and leader of a
pan-Islamist movement ready to defend not only Shiites but also Sunni
Muslims from, as they were wont to say, Jews and Crusaders.

In 2006, when the Israelis attacked Gaza in the south, Hezbollah started
launching rockets attacking Israel from the north and kidnapped Israeli
soldiers there, leading to a brief but brutal war in which Hezbollah
guerrillas fought the vaunted Israel Defense Forces to a standstill.
But Hezbollah has more pressing strategic imperatives today, and
Nasrallah is not known as an impulsive leader. He plots and schemes and
bides his time to strike when he thinks the stars are aligned in his
favor. Weighing in on the side of Hamas would invite massive Israeli
retaliation and force a replay of the 2006 war that, this time around,
Hezbollah would be likely to lose—not just because Israel would fight a
smarter campaign, but because Nasrallah's forces are stretched so thin
on so many fronts defending its allies—and Tehran's—in Damascus and even
in Baghdad.

"In the ongoing war in Gaza, Hezbollah hardly qualifies as an
afterthought," argues Michael Young, opinion editor of Lebanon's
English-language newspaper The Daily Star and a longtime Hezbollah
critic. "The party is too involved in Syria on behalf of its Iranian
sponsors."

The Hamas leadership had worried this day might come. It warned
Hezbollah of what it saw as the distraction of intervening full-tilt in
Syria in support of President Bashar al-Assad's regime.

Over a year ago, as Hezbollah was ratcheting up its military assistance
to Assad and turning the tide of battle in his favor, Hamas urged
Hezbollah to withdraw its forces from Syria and focus on fighting Israel
instead.

But Hamas, you see, is part of the international Muslim Brotherhood—the
Sunni Muslim Brotherhood—committed to Assad's overthrow. This
inconvenient fact was something that might be glossed over if everyone
was focused on the Israeli enemy, but it couldn't be ignored in what
rapidly became Syria's Sunnis vs Shia civil war.

"We call on Hezbollah to take its forces out of Syria and to keep their
weapons directed against the Zionist enemy," Moussa Abu Marzouk, a Hamas
leader, announced on his Facebook page. He warned that Hezbollah's
involvement in Syria would stoke sectarian flames across the Mideast—as
indeed it has done.

There were even unconfirmed reports that Hamas fighters gave tips to the
Sunni insurgents in Syria about how to fight against Hezbollah in urban
combat by using tunnels (a technique Hezbollah originally had taught
Hamas, which it is now using to try to launch commando raids in Israel
and wage a guerrilla campaign inside Gaza).

Nasrallah rebuffed the advice from Hamas, saying his forces would
continue to fight alongside Assad, whose dynasty is built on the Alawite
sect of Shia Islam.

Over the last year Hamas has found itself increasingly isolated. The
overthrow of the Muslim Brotherhood government in Egypt last year not
only eliminated a vital ally, it brought to power a military-dominated
regime determined to crush the Brotherhood and its regional iterations,
especially in Gaza.

Meanwhile the Hamas rupture with Hezbollah and Tehran left the
Palestinian group cash-strapped, isolated and increasingly ostracized,
according to analyst Jonathan Schanzer of the Washington, D.C.-based
Foundation for Defense of Democracies. So Hamas started trying to patch
things up.

The rapprochement efforts even involved Meshaal trying to distance Hamas
from his previous outspoken support of the Syrian insurgency, arguing
that while people "have the right to rise up for their rights," this
"must be done through peaceful means." The Syrian rebel coalition known
as the Army of Islam responded with disdain: "He who performs jihad out
of his office should not offer advice to those in the trenches."
Quite apart from all that infighting, the fact is a confrontation with
Israel at this time suits neither Hezbollah nor Tehran.

For the Party of God the imperatives are shoring up Assad, and holding
off the threat of extremist jihadists like those of the group formerly
known as ISIS. That war has not yet been won. Far from it.

The Iranians are focused on pulling off an accord with the West over
their nuclear program, thus guaranteeing their own survival, and they
aren't inclined to risk that for the sake of Hamas. At least not now.

So, yes, Nasrallah is calling up his old protégés in Hamas and
Palestinian Islamic Jihad to offer moral support, but when he signs off
they understand the Iranian-Hezbollah message very well. "Don't call
us," he's saying, "we'll call you."

--
Peace Is Doable



__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] হিলারি ক্লিনটন : যুদ্ধে এমন একটু আধটু হয়েই থাকে



যুদ্ধে এমন একটু আধটু হয়েই থাকে -


অজয় দাশগুপ্ত : 

ঢাকা, ২৪ জুলাই: বড়লোকের বখাটে ছেলের দোষ চাপা দিতে কত জনেই না ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে! তারা মদ্যপ হলে দোষ ধরতে নেই। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলেও সেটা নিয়ে অযথা গোল বাধানোর দরকার নেই। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উপেক্ষা করার জন্যও উমেদারি হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি হচ্ছে সামরিক ও বিষয়-সম্পদে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের তেমনই এক বখাটে সন্তান। হিলারি ক্লিনটন গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিক্রিয়ায় তেমনটিই বলেছেনথ 'যুদ্ধে এমন একটু-আধটু হয়েই থাকে।'
তিনি চার বছর বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে আট বছর ছিলেন স্বামী বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট পদের বদৌলতে ফার্স্ট লেডি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঢাকায় সফরকালে তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের একজন শ্রমিক নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করায় আমরা তার দরদি ভূমিকায় আপ্লুত হই। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত একটি দেশের স্বল্প পরিচিত একজন শ্রমিক নেতার নামও তিনি মনে রেখেছেনথ তার প্রতি শ্রদ্ধায় নত হওয়ার এই একটি ঘটনাই কি যথেষ্ট নয়?
কিন্তু এখন আমরা কোন হিলারি ক্লিনটনের কথা শুনছি? গাজায় ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য একেবারেই সোজাসাপটা 'হামাসই এর উস্কানিদাতা।' যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এটা ছিল তার কঠোরতম একটি বিবৃতি। ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ পেতে আগ্রহী হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্য 'হামাসই ইসরায়েলকে আত্মরক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। অন্য কেউ আক্রমণ করলে যে কোনো দেশই এটা করবে। আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরীহ লোকদের ক্রসফায়ারে পড়াকে আমরা দুর্ভাগ্যজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কী বা বলতে পারি!'
হিলারি ক্লিনটন যাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলছেন, তার মাত্রা কেমন? দি ওয়াশিংটন রিপোর্টের সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর লিখেছেন 'গাজায় আঁধার নামছে' শীর্ষক প্রতিবেদন। তিনি বলেন, রমজান মাসে সন্ধ্যা নেমে আসা মানেই আনন্দের সময়। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে রোজার শেষে ইফতারের সময়। কিন্তু এবারে এমন পরিস্থিতি নেই। রাত নামার অর্থ হচ্ছে আরও ভয়ঙ্কর সময়ের মুখোমুখি হওয়া। এ সময় আকাশ থেকে বোমা হামলা তীব্রতর হয়। কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। না মসজিদ, না গির্জা। না স্কুলঘর। এমনকি হাসপাতালও নয়। ইসরায়েলের আক্রমণের তালিকায় সবকিছুই রয়েছে।
২১ জুলাই আল আকসা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করছিলেন ডা. খলিল। এ সময় বোমা হামলা হলে তিনি নিচে নেমে দেখতে পানথ ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের স্টাফথ হতাহতের তালিকায় সবাই। যারা রোগীর জন্য নিবেদিত, তারাই রোগী এবং এ জন্য দায়ী ইসরায়েলি বাহিনী।
মাত্র ১৮ লাখ লোকের বসতি গাজায়। প্রতি বর্গকিলোমিটারে দুই হাজার লোকের বসবাস। বাংলাদেশের তুলনায় ঘনবসতিপূর্ণ গাজা এলাকা। আয়তনে নিউইয়র্ক শহরের অর্ধেকেরও কম। কিন্তু এই গাজা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইসরায়েল ও মিসর ২০০৭ সাল থেকে এ ছোট্ট ভূখণ্ডকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কী দুর্ভাগ্য, সেই অবরুদ্ধ ভূমিই বারবার বর্বরতার শিকার হচ্ছে!
এখন গাজায় বিদ্যুৎ নেই। পানির সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত। খাদ্য পাওয়া দুর্লভ। পচা-দুর্গন্ধযুক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে। অপরিহার্য নাগরিক সেবার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে অর্থ নেই। ইতিমধ্যে ৬ শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত এর কয়েক গুণ। যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে উদ্বাস্তুর জীবনযাপন করছেন এক লাখ ২০ হাজারেও বেশি লোক। এ সংখ্যা বাড়ছেই। ইসরায়েল প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের উগ্রপন্থি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হামাসকে (গাজায় তারাই বেশি জনসমর্থন পাচ্ছে) ধ্বংস করতে চায় না, কিন্তু বারবার হামলায় দুর্বল রাখতে চায়থ এমন মত রয়েছে। যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, নিহতদের ৭৫ শতাংশই সিভিলিয়ান।
হামাস কৌশলগত ভুল করেছেথ তাতে সন্দেহ নেই। তারা সিরিয়ার হাফেজ আল বাশারের বিরোধী শক্তির পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ শক্তি এখন মধ্যপ্রাচ্যে খিলাফত কায়েম করতে চায়। কিন্তু বিদ্রোহীরা সফল হবেথ এমন নিশ্চয়তা নেই। শিয়াবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর কারণে ইরানও হামাসের প্রতি ক্ষুব্ধ। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড হামাসের বড় মদদদাতা ছিল। কিন্তু এখন তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত। নতুন সামরিক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এই বিচ্ছিন্নতা কাটাতেই হামাস ইয়াসির আরাফাতের সমর্থক ফাতাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের এ ঐক্যকে ভয় পায়। তারা ফাতাহ গোষ্ঠীকে হুমকি দেয়থ শান্তি চাইলে হামাসের সঙ্গে জোট বাঁধা চলবে না।
গাজা ভূখণ্ডের জনগণের দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সেখানে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ। কাজ মিলবে কীভাবেথ তারা যে অবরুদ্ধ! পণ্য বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। মিসর গাজার সঙ্গে সীমান্ত পথে ব্যারিকেড সৃষ্টি করায় জ্বালানি সমস্যা প্রকট। সুড়ঙ্গ পথ বন্ধ। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থায়। হামাসের ভেতরেও সমস্যা রয়েছে। উগ্রপন্থিদের মধ্যেও আছে চরম ও নরমপন্থি। নরমপন্থিদের বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের দালাল। চরমপন্থিরা ইসরায়েলে রকেট হামলা জোরদার করেছে। কিন্তু তাদের সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলের তুলনায় যথেষ্ট কমজোরি। তারা শত শত রকেট নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলে। কিন্তু তাতে মাসাধিককালে মাত্র একজন ইসরায়েলি বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সর্বাধুনিক অস্ত্র দেয়। আর সরকারকে দেয় বিপুল আর্থিক সহায়তা। জাতিসংঘে যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব ওঠে এবং তাদের দখলকৃত আরব ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায়, তখন সাধারণ পরিষদে এর বিরুদ্ধে মাত্র দুটি ভোট পড়েছে অনেকবারথ একটি দেয় ইসরায়েল, অন্যটি যুক্তরাষ্ট্র। বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামাথ সব প্রেসিডেন্টের আমলেই নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে রক্ষায় ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২৩ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকায় সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় লিখেছেন মর্মস্পর্শী কলাম। যার শিরেনামথ 'যাও, মারো, কবর এখনও ভর্তি হয়নি।' তিনি লিখেছেন, পিশাচদের মানবতায় ফেরানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। সেই ভাবনাটাই নেহাত বাড়াবাড়ি। তার চেয়ে আমরা বরং গাজার ইসরায়েল আবু মোসাল্লেনের পাশে থাকি, যিনি হাসপাতালের দেয়ালে হেলান দিয়ে কাঁপছিলেন। কারণ এবার তাকে তিন সন্তানের কবরের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুঃসাহসী সাংবাদিকরা আমাদের জানান, গাজায় তিনটি শিশু কবুতরকে দানা দিচ্ছিল। ইসরায়েলি মিসাইল তাদের নিঃশেষ করেছে। আরেক স্থানে চারটি শিশু খেলছিল। ইসরায়েলি হামলার মুখে প্রথমবার তারা বেঁচে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় হামলা অব্যর্থ। দুরন্ত এসব শিশুর মায়েরা তখন হয়তো খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন, আর যুদ্ধের সময় খেলতে যেতে নেইথ এ কাণ্ডজ্ঞান না থাকার কারণে বকাঝকা করে চলেছেন। কিন্তু এসব শিশুর মায়েদের সারাজীবন কাঁদতে হবে ফুঁপিয়ে। তারা বুক চাপড়িয়ে বলবেনথ বাবা বুকে আয়। টিভিতে কার্টুন ছবি দেখবি, কিচ্ছু বলব না। কম্পিউটারে দিনভর ভিডিও গেম খেললেও বকব না। খাবার নিয়ে পিছে পিছে ঘুরব। কাছে আয় সোনা মানিক আমার, বুকে আয়।
এই মায়েদের কোনো সান্ত্বনা নেই। তাদের শিশুসন্তানদের ইসরায়েলি সৈন্যরা শত্রু হিসেবে গণ্য করছে। অনেকে বলছেন, ভবিষ্যতে যাতে এসব ফিলিস্তিনি শিশু তাদের মাতৃভূমিকে দখলমুক্ত করার লড়াইয়ে শামিল হতে না পারে, সে জন্যই এদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। রুয়ান্ডার গণহত্যার কথা আমরা জানি। তুতসি শিশুদের মেরে ফেলার জন্য বলা হলোথ 'বড় ইঁদুরদের মারতে হলে আগে ছোট ইঁদুরদের মারতে হবে।' এর জের ধরে প্রায় তিন লাখ তুতসি শিশুকে কুপিয়ে, গুলি করে বা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিকের যে তথ্য জানা উচিতথ এই শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেছেন রবার্ট বারসোচিনি। তিনি জানান, ২০০০ সাল থেকে ইসরায়েল বর্তমান যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত ১৫০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের গাজা গণহত্যায় ইসরায়েল ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করে। এ গণহত্যার শিকার প্রায় সবাই ছিল বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষে নিহতের সংখ্যা মাত্র ১৩, যাদের কয়েকজন মারা যায় নিজেদের লোকের গুলিতেই।
ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূখণ্ডে বসবাসের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। ইসরায়েলের জবরদখলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনার পূর্ণ অধিকারও তারা রাখে। আন্তর্জাতিক আইন তাদের পক্ষে, যেমন ছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ইসরায়েলের মতোই আমাদের ভূখণ্ডে গণহত্যা পরিচালনা করেছিল। ইসরায়েলের হাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক অস্ত্র। এর সরবরাহ বন্ধ হলে তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখবে না। কিন্তু এ অব্যাহত যুদ্ধ মানব সভ্যতার কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এ যুদ্ধ পরিহারের একটিই উপায়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলিদের সরে যাওয়া। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে। এদের বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছিল গাজা ও পশ্চিম তীরের ক্ষুদ্র ভূখণ্ড এবং মিসর, জর্ডান, লেবানন প্রভৃতি দেশে। তখন ইসরায়েলিরা উর্বর ভূমিগুলো দখল করে নেয়। বিশেষভাবে তাদের দখলে আসে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ, পানির উৎস।
লন্ডনের গার্ডিয়ানে ২০ জুলাই হেরিয়েট শেরউড একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এর সঙ্গে যে ছবিটি ছাপানো হয়েছে তার ক্যাপশন ছিল এরূপথ ইসরায়েলিরা একটি পাহাড়ের ওপর বসে গাজায় বিমান হামলা উপভোগ করছে। কয়েক মাইল দূরে বিস্ফোরণ ভালোভাবে দেখার জন্য তারা দুরবিন ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার, বিয়ার ও হালকা পানীয় সঙ্গে নিয়ে সোফায় বসে নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ দেখার জন্য প্রতিদিন ইসরায়েলিরা সমবেত হয়। ভূমধ্যসাগরে যখন সূর্য অস্তাচলে যাচ্ছিল, ইসরায়েলি সেনাদের মিসাইল বিস্ফোরণে তখন গাজা আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। জ্বলতে থাকে ফিলিস্তিনি বাড়িঘর। হতাহত হয় নারী-পুরুষ-শিশু। আর ঠিক সেই সময়েই বিকৃত রুচির একদল লোক বলে ওঠেথ বাহ, কী সুন্দর!
এ নিষ্ঠুরতা কে থামাবে? শুভবুদ্ধির জয়ধ্বনি কবে শোনা যাবে? 
Political Bestiality

The Israeli Pogrom of Gaza


'যাও, মারো, কবর এখনো ভর্তি হয়নি'

২৩ জুলাই,২০১৪


নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন







lead



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: জিয়ার যেসব কর্মকাণ্ডের কথা জানে না অনেকেই





On Wednesday, July 23, 2014 6:22 AM, SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com> wrote:



  •  ২২ জুলাই ২০১৪ ০৪:৫৩

জিয়ার যেসব কর্মকাণ্ডের কথা জানে না অনেকেই
এই যে বলা হয় জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, তার তথ্যনিষ্ঠতা কতটুকু, সে সময়ে তৎকালীন সামরিক বাহিনীতে জিয়াউর রহমানের মর্যাদা ও ক্ষমতা কেমন ছিল, তার অবস্থান কোথায় ছিল, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আদৌ তার কোনো দায়বোধ ছিল কি না, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার ছিল কি না- সত্য অন্বেষণে এসব বিষয় খতিয়ে দেখাটা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭১-এর তথ্য অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে, ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত জিয়া পরিপূর্ণভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অনুগত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সত্তরের নির্বাচনের পর দেশজুড়ে বিরাজমান অস্থিরতা, মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতা প্রস্তুতি- এসবের কিছুই তাকে প্রভাবিত করেনি। তিনি দিব্যি যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে, এমভি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে, যেখানে ইতোমধ্যে অসংখ্য বন্দর শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয় অস্ত্র খালাসে অস্বীকৃতির জন্য। বন্দরের পথে আগ্রাবাদ রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। সৈনিকরা সেসব পরিষ্কারে রত ছিলেন আর জিয়া ফুটপাতে পায়চারী করছিলেন। এসময় তার অধীনস্থ অফিসার খালেকুজ্জামান তাকে সংবাদ দেন যে, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থানরত বাঙালি সৈনিকদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। জিয়া তবুও দ্বিধান্বিত ছিলেন। যখন নিশ্চিত হন যে, তারও প্রাণাশঙ্কা রয়েছে তারপরই কেবল তিনি পক্ষ ত্যাগ করেন। তার ভাগ্য ভালো, তিনি যে ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ছিলেন সেই ৮ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে ইতোমধ্যে পাকিস্তানে বদলি করা হয়, ২০০ সৈন্য চলেও যায় এবং বাকি সৈনিকদের শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক সামাল দিতে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ষোলশহরে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়। এটি ছিল ইস্টবেঙ্গলের কনিষ্ঠতম ব্যাটালিয়ন এবং সৈনিকরা সদ্য রিক্রুটকৃত। আগ্রাবাদ থেকে ফিরে সৈনিকদের সঙ্গে জিয়া চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণে নিরাপদ অবস্থানে চলে যান। অথচ চট্টগ্রাম শহরে তখন প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। হালিশহরে ইপিআর ঘাঁটি ক্যাপ্টেন রফিকের নিয়ন্ত্রণে। বাঙালি পুলিশরাও নেমে পড়েছে। সঙ্গে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায়। ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানের ২০ বেলুচ রেজিমেন্ট অবরুদ্ধ। মাত্র একটি ব্যাটালিয়ন তখন সেখানে। পদাতিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের (ইবিআরসি) বাঙালি কমান্ড্যান্ট লে. কর্নেল এম আর চৌধুরীসহ এক হাজার বাঙালি সৈনিককে ওই রাতেই হত্যা করা হয়। এই কর্নেল চৌধুরী মেজর জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র একদিন আগেই ক্যাপ্টেন রফিকের সঙ্গে ইপিআর-এর রেলওয়ে হিল দপ্তরে দেখা করেছিলেন। ওখানে মেজর জিয়া ক্যাপ্টেন রফিককে 'বিদ্রোহমূলক' কিছু না করার পরামর্শ দেন (লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে- রফিক-উল ইসলাম পৃষ্ঠা : ৬৬)। অর্থাৎ দেখা যায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্ব দিনেও জিয়ার মধ্যে কেনো ইতিবাচক ভাবান্তর ছিল না।
যা হোক, ২৬ তারিখ প্রত্যুষে মেজর জিয়া তার ক্ষুদ্র সেনাদলকে নিয়ে নিরাপদ অবস্থানে পশ্চাদপসরণ করেন। কিন্তু এই কাপুরুষোচিত কাজটি না করে তিনি যদি তার সৈনিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও রেজিমেন্টাল সেন্টারে আটকে পড়া বাঙালি সৈনিকদের উদ্ধারে অগ্রসর হতেন তাহলে বেলুচ রেজিমেন্টকে আত্মরক্ষায় চলে যেতে হতো এবং বাঙালি সৈনিকরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সরে আসার সুযোগ পেতেন। এটা খুবই সম্ভব ছিল, কারণ ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের লোকবল তখন ছিল আনুমানিক ৪০০ এবং এর বিপরীতে বাঙালি সৈনিক ও ইপিআর জওয়ানদের সংখ্যা ২০০০-এর মতো। জিয়া এটা তো করলেনই না, বরং পশ্চাদপসরণে গিয়ে কক্সবাজার এবং কাপ্তাই থেকে ইপিআর-এর যেসব সৈনিক আসছিলেন তাদেরও কালুরঘাটে আটকে ফেলেন। এতে করে তারা চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত ইপিআর বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি। ফলে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে মেজর জিয়ার জন্য বীরত্বগাথা তৈরির যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রকারান্তে ভীরুত্বগাথায় রূপলাভ করে। তা শুধু নয়, এক সম্ভাবনাময় প্রতিরোধ যুদ্ধের মূলেও এটা কুঠারাঘাত করে। মেজর জিয়া তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে পটিয়ার যে স্থানে অবস্থান নেন, সেই করইলডাঙ্গা গ্রামের কাছেই কালুরঘাটে ছিল চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিশন সেন্টার। মেজর জিয়া সহজেই ওই কেন্দ্র দখল করতে পারতেন। কিন্তু করেননি। এটা কি তার ভীরুতা, সীদ্ধান্তহীনতা, দোদুল্যমানতা নাকি বাংলাদেশের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার ক্ষমাহীন দায়বোধহীনতা। পরের ঘটনাসমূহে কি দেখা যায়? বেতারের কয়েকজন কর্মী তাকে করইলডাঙ্গা থেকে ধরে নিয়ে আসেন এবং তাদেরই অনুরোধে বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি তার 'ঘোষণা' প্রদান করেন ২৭ তারিখ সন্ধ্যায়। প্রথমে বুঝে হোক বা না বুঝে হোক তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করে বসেন। পরপরই অবশ্য ঘোষণার টেক্সট পাল্টে ফেলতে বাধ্য হন। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুই যে এদেশের প্রকৃত স্থপতি, তার একক নির্দেশেই যে সব কিছু পরিচালিত এবং তাকে ঘিরেই যে বাঙালির স্বপ্নসাধ আবর্তিত সেটা বুঝতে পেরে জিয়া 'মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে' স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
তো ওই ঘোষণার বদৌলতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। পুরো বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন করতে তখনকার জিয়াউর রহমানকে একটু চিনে নেওয়া দরকার। জন্মের পর পূর্ববাংলার কোথাও কখনো তার জীবন কাটেনি। তার পিতৃপুরুষের ভিটা বগুড়ার গাবতলীতে। এ ভিটার সঙ্গে তার পিতার তেমন সম্পর্কই ছিল না। প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের একজন চাচার শুধু ভিটেমাটিতে যাতায়াত ছিল। জিয়ার পিতা মনসুর রহমান চাকরি করতেন কলকাতায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ববাংলায় না এসে চলে যান করাচি। ওখানেই শুরু জিয়ার শৈশব। ভর্তি হন একাডেমি স্কুলে, যেখানে মাতৃভাষা হিসেবে আবশ্যিক বিষয় পড়েছিলেন উর্দু। সেই শুরু। পরবর্তী সময়ে তাকে কখনো বাংলা পড়তে হয়নি। বাংলায় কথা বলারও খুব প্রয়োজন পড়েনি। ১৯৫২ সালে যখন রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলন, তখন ওই বছরই তিনি আবশ্যিক ভাষা হিসেবে উর্দু নিয়ে প্রবেশিকা পাস করেন। পরে পেশাজীবন শুরু হয় সামরিক বাহিনীতে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে তার জীবনের শুরুটা কোনোভাবেই বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। আর এ কারণেই হয়ত বাংলা উচ্চারণে সাবলীলতা ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তার চিন্তা আর মননে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, বাংলার প্রতি মমত্ববোধ না থাকারই কথা। তার শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, তার বেড়ে ওঠা যে সমাজে, ছাত্রজীবনে যে ভাষা তিনি আত্মস্থ করেন সেসবের প্রতিই তো তার মমত্ব থাকবে। এতে অস্বাভাবিকতা কিছু তো নেই। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করে তিনি যে প্রফেশনালিজম আত্মস্থ করেন তাকে ছাপিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার মানুষের স্বাধীনতার অভিপ্রায় এবং তার প্রতি দায়বদ্ধতা যদি জিয়ার মন খুঁড়ে জায়গা করতে না পারে তাহলে তো দোষ দেওয়া যায় না। আর এ কারণেই যখন তিনি ২৫ মার্চ রাতে একজন বাধ্য-অনুগত সৈনিকের মতো তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ পালন করতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অস্ত্র খালাস করতে রওনা হন তাতে বিস্ময়েরও কিছু নেই।
মুক্তিযুদ্ধের একটিমাত্র যে ঘটনা তাকে কিংবদন্তীতুল্য করে তোলে সেই তথাকথিত 'স্বাধীনতার ঘোষক' হওয়ার ক্ষেত্রেও তার নিজস্ব কোনো অবদান নেই, নেই কোনো কৃতিত্ব। শুধুমাত্র সময় এবং ঘটনার আনুকূল্য তাকে ওই অবস্থানে বসিয়েছে। পটিয়ার করইলডাঙ্গা থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে কালুরঘাটের বেতার ট্রান্সমিশন স্টেশনে যাননি। সৈন্যবাহিনী নিয়ে সেটা দখল করার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেননি। বেতার কর্মীরা বরং তাকে সেখানে নিয়ে যান। তারাই তাকে দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে 'কিছু একটা ঘোষণা' করান যাতে মুক্তিকামী বাংলার মানুষ এই ভেবে আশ্বস্ত হয় যে, বাঙালি সৈনিকরা তাদের সঙ্গে রয়েছে। যদিও এ ঘটনার অনেক আগেই জয়দেবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চুয়াডাঙ্গায় মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর আবু ওসমান চৌধুরী প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু করে দেন। এদের সমরাঙ্গনে কোনো বেতারকেন্দ্র না থাকায় দেশের মানুষ তা জানতে পারেনি। জিয়া  ২৫ মার্চ রাতে যখন চট্টগ্রামে আগ্রাবাদের রাস্তায় 'বিদ্রোহ' করেন, তার অনেক আগেই জুনিয়র সহকর্মীরা অন্যসব জায়গায় বিদ্রোহ করেন। অর্থাৎ 'বিদ্রোহের' ক্ষেত্রে তিনি সর্বকনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও প্রচারটা পেয়ে যান ১০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন একটি বেতার কেন্দ্রের সুবাদে। আর এতে করে তিনি 'স্বাধীনতার ঘোষক' বনে যান। অদ্ভুত ব্যাপার, দেশের স্থপতি একজন এবং ঘোষক আরেকজন। আর এ 'ঘোষক' কে? যিনি বাংলার মানুষের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে কখনো কোনোভাবে জড়িত ছিলেন না। যে বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি ঘোষণাটি দেন বা পাঠ করেন সেটা তার দখলকৃতও নয়। এ ঘোষণাটি এমন এক বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত তখন যার সম্প্রচার ব্যাপ্তি এলাকা আকাশ দূরত্বে সর্বোচ্চ মাত্র একশ বর্গমাইলের মতো। অর্থাৎ এ ঘোষণা দেশের একটি ক্ষুদ্র অংশের কিছুসংখ্যক সেসব মানুষই কেবল শুনতে পান, যাদের রেডিও ছিল এবং সে বৈরী সময়ে তা সচল ছিল। জিয়াউর রহমান তখন একজন মেজর পদবিধারী জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা যিনি একটি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক। লে. কর্নেল জানজুয়া ছিলেন অধিনায়ক। তিনি এই যে ব্যাটালিয়নটির দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি ছিলেন সেটি বেঙ্গল পদাতিক-এর সদ্যপ্রতিষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন যেখানে নতুন অভিষিক্ত সৈনিকরা অন্তর্ভুক্ত, যাদের প্রায় অর্ধেককে সেসময় পাকিস্তানে বদলি করা হয়ে গেছে, আর অবশিষ্টাংশ স্থানান্তরের জন্য অপেক্ষমাণ। জিয়াউর রহমানের ভাষায়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে এ ব্যাটালিয়নকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য আমাদের সেখানে পাঠাতে হয়েছিল দুইশ জওয়ানের একটি অগ্রগামী দল। অন্যরা ছিল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সৈনিক। আমাদের তখন যেসব অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ছিল তিনশ পুরনো ৩.৩ রাইফেল, চারটা এলএমজি ও দুটি তিন ইঞ্চি মর্টার। গোলাবারুদের পরিমাণও ছিল নগণ্য। আমাদের এন্টি ট্যাঙ্ক বা ভারী মেশিনগান ছিল না (একটি জাতির জন্ম, ২৬/৩/৭৪, সাপ্তাহিক বিচিত্রা)। তাহলে 'স্বাধীনতার ঘোষক' জিয়াউর রহমানের তৎকালীন পরিচয়টা কেমন? প্রথমত, তিনি বাংলার মানুষের কাছে একেবারে অপরিচিত একজন ব্যক্তি, যার মন-মননে বাঙালিত্ব প্রায় অনুপস্থিত ছিল। দ্বিতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেও যিনি সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন এবং নিয়তি তাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঠেলে দেয়। তৃতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি চট্টগ্রামে প্রতিরোধযুদ্ধে সংযুক্ত না হয়ে সৈন্যসহ কাপুরুষের মতো পশ্চাদপসরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। চতুর্থত, তিনি সেসময় একটি ব্যাটালিয়নের খণ্ডাংশের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড যেটা মুক্তিযুদ্ধের বিশাল ক্যানভাসে প্রায় গুরুত্বহীন একটি অবস্থান। পঞ্চমত, কথিত ওই ঘোষণার অনেক আগেই পেশাদার বাঙালি সৈন্যরা বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ শুরু করে দেন এবং যে বেতারকেন্দ্র থেকে ওই ঘোষণা সম্প্রচার হয় তার ক্যাচমেন্ট এরিয়া ছিল অত্যন্ত কম, ফলে ওই ঘোষণা যে মানুষকে যুদ্ধোন্মুখ করে তোলে তা মনে করার কোনো কারণ নেই। সবশেষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ, যার প্রধান রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাকেই দেশের মানুষের পক্ষে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ম্যান্ডেট দেয়। তিনিই ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। মওলানা ভাসানীর মতো সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননেতাও নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, বরং বঙ্গবন্ধুকেই স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান। বাস্তবতার এ প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধের অনুকূল মেরুতে না থাকা একজন অখ্যাত জুনিয়র সেনা অফিসারের 'স্বাধীনতার ঘোষক' বনে যাওয়া হাস্যকরই শুধু নয়, ইতিহাসের চরম বিকৃতিও।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও মেজর জিয়ার অধিনায়কত্বে গৌরবের তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। বরং যুদ্ধক্ষেত্রে তার মতো অপর দুই ব্রিগেড অধিনায়ক শফিউল্লাহ ও খালেদ মোশাররফের চেয়ে তিনি নিষ্প্রভই ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের ঊষালগ্নে কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল এবং খালেদ মোশাররফের চতুর্থ ইস্টবেঙ্গল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একত্রিত হয়ে সিলেটের তেলিয়াপাড়ায় চলে আসে এবং সেখানে সদর দপ্তর স্থাপন করে। ঠিক একই সময়ে মেজর জিয়া তার সেনাদল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রামগড়ে অবস্থান করছিলেন। তার অষ্টম বেঙ্গলের সৈনিকরা নেতৃত্বহীন অবস্থায় পাকিস্তান সরকারের আশ্রয়পুষ্ট বিদ্রোহী ভারতীয় মিজো গেরিলা ও পাকিস্তানি সৈন্যদের যুগপৎ আক্রমণে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশেষে বিএসএফ-এর সহায়তায় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে। এপ্রিলের ৪ তারিখ তেলিয়াপাড়ায় কর্নেল ওসমানীসহ বাঙালি সেনা কর্মকর্তারা যুদ্ধকৌশল নির্ধারণে আলোচনায় বসেন। তারা বাংলাদেশকে ৪টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করেন। জিয়াউর রহমানের দায়িত্বে পড়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার একাংশ। শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ ও আবু ওসমানকেও অনুরূপ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু জুলাই মাস পর্যন্ত জিয়ার নেতৃত্বাধীন অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য কোনো অপারেশন হয়নি। যদিও দেশজুড়ে মুক্তিযোদ্ধারা অসংখ্য বীরত্বপূর্ণ গেরিলা আক্রমণ করেন। প্রবাসী মুজিবনগর সরকার অবশেষে মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করতে কলকাতায় ৮নং পার্ক স্ট্রিটে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। জুলাইয়ের ১১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলন সভায় জিয়া কর্নেল ওসমানীকে বাদ দিয়ে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে 'ওয়ার কাউন্সিল' গঠনের প্রস্তাব করেন। যা কর্নেল ওসমানীকে ক্ষীপ্ত করে ফেলে। তিনি পদত্যাগও করেন। অবশেষে অন্য সামরিক কর্মকর্তারা এ প্রস্তাবকে নাকচ করে দিলে জিয়া আর এগোননি। ওসমানীকেও পদত্যাগ থেকে নিবৃত্ত করা হয়। এখানেও জিয়াউর রহমান জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা প্রদর্শনের ঔদ্ধত্য দেখান। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনাবোধ লালন করতেন না এবং জনআকাঙ্ক্ষা ও জনমতের প্রতিও বিশ্বস্ত ছিলেন না। সেনা নায়কদের ওই সম্মেলনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের জন্য একেকজন সেক্টর কমান্ডারকেও নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনটি ব্রিগেডও গঠন করা হয়। তিনজন অধিনায়কের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে যথা- জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্স, শফিউল্লাহর 'এস' ফোর্স ও খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে 'কে' ফোর্স গঠন করা হয়। এখানে আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, ব্রিগেড পরিচালনার পাশাপাশি খালেদ মোশাররফকে ২নং এবং শফিউল্লাহকে ৩নং সেক্টরের দায়িত্বও দেওয়া হয়, কিন্তু জিয়ার নেতৃত্বে কোনো সেক্টর রাখা হয়নি। তার কর্তত্বাধীন ইতোপূর্বেকার চট্টগ্রাম এলাকা অর্পণ করা হয় মেজর রফিকুল ইসলামের কাছে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এসব ব্রিগেড নয় বরং সেক্টরগুলোই সক্রিয় ছিল। স্বাভাবিকভাবে পুরো যুদ্ধ সময়ে জিয়া 'রিয়াদে' বসেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তেসরা ডিসেম্বর ভারতের সেনাবাহিনী সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে সবগুলো ব্রিগেডই অকার্যকর হয়ে পড়ে। ব্রিগেডগুলো সক্রিয় না হওয়ার অরেকটি বড় কারণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত  মেজরদের ব্রিগেড পরিচালনায় কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, তা থাকার কথাও নয়। র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী একজন মেজর কোনো একটি ব্যাটালিয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে থাকেন। ব্রিগেড থাকে ন্যূনপক্ষে একজন ওয়ান স্টার জেনারেলের নিয়ন্ত্রণে।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর নানা কৌশলে, নানা ঘটনাপ্রবাহের জন্ম দিয়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথ পরিক্রমায়ও তার চারিত্রিক, স্বভাবজাত ও মননবৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে তিনিই সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পরিকল্পনা তিনি যে জানতেন তা খুনি ফারুকের সাক্ষাৎকারেই জানা যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন তখন জিয়াউর রহমান। হত্যা পরিকল্পনাটি যখন তাকে জানানো হয়, তিনি নিজে জড়িত হতে অপারগতা জানালেও তাদের সাফল্য কামনা করেন। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর আরও নৃশংসতা, ষড়যন্ত্র আর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে জিয়া ক্ষমতায় আসীন হন। আর এ সময়ের সবগুলো দৃশ্যপটের মূল কুশীলব ছিলেন জিয়া। অসম্ভব ধূর্ততায় তিনি তার আসন সংহত করেন। অনৈতিকভাবে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ থেকে রাষ্ট্রকে সরিয়ে আনেন। সেনা আইন পরিবর্তন করে নিজ পদবির জ্যেষ্ঠতা অর্জনসহ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনকে আইনসিদ্ধ করেন। তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের দোহাই পেড়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ্য প্রতিপক্ষসহ সব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে শুধু রাজনৈতিক অধিকার দেননি, ক্ষমতার অংশীদারও করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী দলের ১২ সদস্যকে কূটনৈতিক পদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। দেশের ১১টি বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানি মালিকদের ফিরিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাপ্রধান হন এবং এরপর থেকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এগুতে থাকেন। পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে তিনি চরম নৃশংস হতে কখনো দ্বিধা করেননি। পঁচাত্তরের নভেম্বর বিপ্লবে তাকে রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে লটকাতে তার অন্তর একটুও কাঁপেনি। তার ক্ষমতাকালে সেনা কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার সৈনিককে তার নির্দেশে হত্যা করা হয়। পঁচাত্তরের তেসরা নভেম্বর সংঘটিত জেল হত্যাকাণ্ড তদন্ত করার জন্য খোন্দকার মুশতাক যে কমিটি গঠন করেছিলেন, তা তিনি বাতিল করে দেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদে বসিয়ে সেনাপ্রধান হিসেবে নিজে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন এবং প্রকৃত ক্ষমতা নিজের হাতেই রাখেন। এক বছর পর ১৯৭৬-এর ২৮ নভেম্বর নিজেই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এর কিছুদিন পর ১৯৭৭-এর ২১ এপ্রিল বিচারপতি সায়েমকে বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে দেন। এভাবে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাষ্ট্রপতি পদে জিয়াউর রহমানের অভিষিক্ত হওয়ার মধ্যকার সময়টুকু ষড়যন্ত্র আর নৃশংসতায় ভরা এক বিষাদময় অধ্যায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিছক একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল না। শুধু পাকিস্তানি নিগড় থেকে দেশকে মুক্ত করাই লক্ষ্য ছিল না, এটা ছিল একটি আদর্শিক মুক্তযুদ্ধ। দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের ঈমান, একতা, শৃঙ্খলার মতো নীতি দিয়ে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটি বহুজাতিক রাষ্ট্রকে 'ঈমানী জোশে একতাবদ্ধ' রাখার যে ব্যর্থ প্রয়াস ছিল তাকে সরিয়ে বাঙালি চেতনাবোধে উদ্বুদ্ধ সমতাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন ছিল মুক্তিযুদ্ধের মৌল আদর্শ। জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও এ আদর্শ যে ধারণ করেননি, রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেই তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি তা বুঝিয়ে দেন। তিনি 'বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা' বলে গলাবাজি করা হয়। কিন্তু এ আবরণে তিনি মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। পৃথিবীতে যেসব দেশে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা এসেছে তার কোনোটিতেই শত্রুপক্ষকে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার যেসব দেশে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে সবগুলোতেই একই চিত্র। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দল বা জোট রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছে। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে সংহত করতে এটাই পথ। এর ব্যত্যয় ঘটলে কি হয় তার উদাহরণ বাংলাদেশ এবং এ ধারার স্থপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। 'মুক্তি' শব্দটার প্রতিই জিয়ার অনীহা ছিল। তাই ক্ষমতায় এসে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে তিনি সংবিধানে উল্লিখিত 'জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম'-এর জায়গায় 'জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ' সন্নিবেশ করেন। বাংলাদেশ বেতার পাকিস্তানি আদলে রেডিও বাংলাদেশ এবং জয় বাংলাকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করা হয় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরপরই। জিয়া এগুলোকে বহাল রাখেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেন। পতাকার মধ্যকার লাল সূর্যকে কমলা রঙের করতে 'পাইলট কর্মসূচি' হিসেবে ১৯৭৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর কয়েকটি সরকারি ভবনে 'সবুজ জমিনে কমলা রঙের বৃত্ত' সম্বলিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু পতাকার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদের পর জিয়া আপাতত ওই পরিকল্পনা বাদ দেন (সানরাইজ, লন্ডন, এপ্রিল-মে সংখ্যা ১৯৭৯)। বিপ্লবের প্রতীক লাল রঙকে জিয়ার ভয় ছিল। ১৯৭১ সালে কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্রে গিয়ে তিনি 'বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র' নাম থেকে 'বিপ্লবী' শব্দটি তুলে দিতে অনুরোধ করেন। 
 
খোন্দকার মুশতাক চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে মুসলিম বাংলায় রূপান্তর করতে। চেষ্টাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি যাওয়ার সময় পাননি। তবে ওই আদলেই জিয়াউর রহমান 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' প্রবর্তন করেন। ১৯৭৭-এর ২১ এপ্রিলের সামরিক ফরমান বলে তিনি সংবিধানে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ অন্তর্ভুক্ত করেন। এর অবশ্য একটা 'শানে নযুল' আছে। এ সময় ইত্তেফাক পত্রিকায় খন্দকার আব্দুল হামিদ 'স্পষ্টভাষী' ছদ্মনামে উপসম্পাদকীয় লিখতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর এই ব্যক্তিটি শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি। একাত্তরে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচরণ করেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে তিনি বিবর থেকে বেরিয়ে আবার তার পুরনো কর্মস্থল ইত্তেফাকে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ওপর একটা ক্ষুদ্র নিবন্ধ উপস্থাপন করে জিয়াউর রহমানের সুদৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। এদিকে প্রায় একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বসন্ত চ্যাটার্জি তার 'ইনসাইড বাংলাদেশ টুডে' গ্রন্থে বাংলাদেশের মানুষকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিত হওয়াটাই সঙ্গত বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সন্তোষ কুমার ঘোষও তার কয়েকটি নিবন্ধে একই অভিমত ব্যক্ত করেন। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সুস্পষ্ট বিভেদ রাখাই ছিল তাদের (সন্তোষ-বসন্তের) মুখ্য উদ্দেশ্য। বাঙালি জাতীয়তাবোধের ঐকতানের ঢেউ পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়লে তা ভারতীয় সংহতির জন্য হুমকি হতে পারে, এ ভীতি তাদের মধ্যে কাজ করেছে বলে দুই বাংলার বাংলাভাষীদের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক বিভেদ সৃষ্টি করে রাখা ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কাকতালীয়ভাবে এ উদ্দেশ্যটি মিলে যায় মন-মননে দ্বিজাতিতত্ত্ব লালনকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও এবং পরিণতিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে' রূপলাভ করে। এমনকি বাংলাভাষাও হয়ে যায় বাংলাদেশি ভাষা। জিয়ার রাজাকার প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজ ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে আলোচনাকালে বাংলাকে বাংলাদেশি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেন। তো যাহোক, জিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু তার প্রতি দেশবাসীর সহানুভূতি বাড়িয়ে দেয়। ব্যাপারটা ওখানেই যদি থেমে থাকত তাহলেই ভালো হতো। কিন্তু তার স্ত্রী-পুত্র এবং অনুসারীরা গত দুই দশক ধরে তাকে যেসব অতিরঞ্জিত বিশেষণে ভূষিত করে চলেছেন তাতেই দেখা দিয়েছে যত বিপত্তি।
গ্রিক মিথোলজি অনুযায়ী দেবতা জিউস তার প্রথম রমণী প্যানডোরাকে একটি বাক্স দিয়ে তা খুলতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু কৌতূহল দমন করতে না পেরে তিনি বাক্স খুলে ফেলেন। বাক্স থেকে বেরিয়ে এল জরা, মৃত্যু, লোভ-লালসা, দুঃখ-কষ্ট, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি। সুন্দর পৃথিবী অসুন্দরে ছেয়ে গেল। এ পুরাণ কাহিনী অনুসরণে বলা যায়, উনিশ শ একাত্তর থেকে একাশি পর্যন্ত জিয়ার কর্মকালীন এক দশকের বাক্সটির ঢাকনা না খুললেই ভালো, অন্তত তার আত্মার মঙ্গল কামনায় হলেও।
আনোয়ারুল কাদির
অধ্যাপক, কলাম লেখক
সৌজন্য : এই সময়।





__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home