Banner Advertiser

Thursday, August 14, 2014

[mukto-mona] যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল - বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বেগম মুজিব



বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বেগম মুজিব
শাহজাহান আকন্দ শুভ 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যামামলার ২ নম্বর সাক্ষি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের গৃহকর্মী আবদুর রহমান (রমা শেখ)। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারকালে তিনি আদালতে দীর্ঘ জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তার সেই জবানবন্দিতে উঠে আসে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের মর্মস্পর্শী তথ্য। বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বেগম মুুজিব বিপথগামী সেনাসদস্যদের বলেছিলেন, 'আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল।'
জবানবন্দিতে আবদুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে আমি ও সেলিম দোতলায় বঙ্গবন্ধুর বেডরুমের সামনে বারান্দায় ঘুমিয়েছিলাম। আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বেগম মুজিব দরজা খুলে বাইরে আসেন এবং বলেন, সেরনিয়াবাতের বাসায় দুষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করেছে। ওইদিন তিনতলায় শেখ কামাল এবং তার স্ত্রী সুলতানা ঘুমিয়েছিলেন। শেখ জামাল ও তার স্ত্রী রোজী এবং ভাই শেখ নাসের দোতলায় ঘুমিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও তার স্ত্রী এবং শেখ রাসেল দোতলায় একই রুমে ঘুমিয়েছিলেন। নিচতলায় ছিলেন পিএ মহিতুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারী। বেগম মুজিবের কথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি লেকের পাড়ে গিয়ে দেখি কিছু আর্মি গুলি করতে করতে আমাদের বাড়ির দিকে আসছে। তখন আমি আবার বাসায় ঢুকি এবং দেখি পিএ রিসেপশনের রুমে, বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে কথা বলছেন। আমি পেছনের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় এসে দেখি বেগম মুজিব দোতলায় ছোটাছুটি করছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ৩তলায় যাই এবং আমাদের বাসা আর্মিরা আক্রমণ করেছে বলে কামাল ভাইকে ওঠাই। কামাল ভাই তাড়াতাড়ি একটা প্যান্ট ও শার্ট পরে নিচের দিকে যান। আমি তার স্ত্রী সুলতানাকে নিয়ে দোতলায় আসি। দোতলায় গিয়ে একইভাবে আমাদের বাসা আর্মিরা আক্রমণ করেছে বলে জামাল ভাইকে ওঠাই। তিনি তাড়াতাড়ি প্যান্ট-শার্ট পরে তার মায়ের রুমে যান। সঙ্গে তার স্ত্রীও যান। এ সময় খুব গোলাগুলি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে কামাল ভাইয়ের আর্তচিৎকার শুনতে পাই। একই সময় বঙ্গবন্ধু দোতলায় এসে রুমে ঢোকেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। প্রচ- গোলাগুলি এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে আবার বাইরে এলে আর্মিরা তার বেডরুমের সামনে চারপাশে তাকে ঘিরে ফেলে। আমি আর্মিদের পেছনে ছিলাম। আর্মিদের ল্য করে বঙ্গবন্ধু বলেন, 'তোরা কী চাস, কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে।' তারা বঙ্গবন্ধুকে তখন সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সিঁড়ির ২-৩ ধাপ নামার পর নিচের দিক থেকে অনেক আর্মি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। গুলি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েন। আমি তখন আর্মিদের পেছনে ছিলাম। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, 'তুমি কী কর?' উত্তরে আমি বলি কাজ করি। তখন তারা আমাকে ভেতরে যেতে বলে। আমি বেগম মুজিবের বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিই। সেখানে বেগম মুজিবকে বলি বঙ্গবন্ধুকে     গুলি করেছে। ওই বাথরুমে শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা, শেখ জামাল ও তার স্ত্রী রোজী, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর ভাই নাসের এবং আমি আশ্রয় নিই। শেখ নাসের বাথরুমে আসার আগে তার হাতে গুলি লাগে। তার হাত থেকে তখন রক্ত ঝরছে। বেগম মুজিব শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে তার রক্ত মোছেন। এর পর আর্মিরা আবার দোতলায় আসে এবং দরজা পেটাতে থাকলে বেগম মুজিব দরজা খুলতে যান। তিনি বলেন, 'মরলে সবাই একই সঙ্গে মরব।' এই বলে বেগম মুজিব দরজা খুললে আর্মিরা রুমের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং শেখ নাসের, শেখ রাসেল, বেগম মুজিব এবং আমাকে নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন সিঁড়িতে বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বলেন, 'আমি যাব না, আমাকে এখানেই মেরে ফেল।' এই কথার পর আর্মিরা তাকে দোতলায় তার রুমের দিকে নিয়ে যায়। একটু পরেই ওই রুমে গুলির শব্দসহ মেয়েদের আর্তচিৎকার শুনতে পাই।
 আর্মিরা নাসের, রাসেল ও আমাকে নিচতলায় এনে লাইনে দাঁড় করায়। সেখানে সাদা পোশাকের একজন পুলিশের লাশ দেখি।
নিচে নাসেরকে ল্য করে জিজ্ঞাসা করে, 'তুমি কে?' তিনি শেখ নাসের বলে পরিচয় দিলে তাকে নিচতলায় বাথরুমে নিয়ে যায়। একটু পরেই গুলির শব্দ ও তার মাগো বলে আর্তচিৎকার শুনতে পাই। শেখ রাসেল 'মার কাছে যাব' বলে তখন কান্নাকাটি করছিল। পিএ মহিতুল ইসলামকে ধরে বলছিল, 'ভাই আমাকে মারবে না তো?' এমন সময় একজন আর্মি তাকে বলল 'চল তোমার মায়ের কাছে নিয়ে যাই।' এই বলে তাকে দোতলায় নিয়ে যায়। একটু পরেই কয়েকটি গুলির শব্দ ও আর্তচিৎকার শুনতে পাই।
এর পর-পরই দেখলাম কালো পোশাক পরা আর্মিরা আমাদের বাসার সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।'
- See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/details_news.php?id=161966&&%20page_id=%2011#sthash.h8PfAKqS.dpuf

 বাংলাদেশ > কামানের গোলায় ১৩ হত্যার বিচার হয়নি ৩৯ বছরেও
কামানের গোলায় ১৩ হত্যার বিচার হয়নি ৩৯ বছরেও

প্রকাশ বিশ্বাস,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-08-14 11:40:05.0 BdST Updated: 2014-08-14 19:21:25.0 BdST

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনে মোহাম্মদপুরের শের-শাহ সুরী রোডে কামানের গোলায় ১৩ জনের নিহতের ঘটনার বিচার হয়নি ৩৯ বছরেও।

......

ওই ঘটনায় নিহত হন ১৩ জন। আহত ৩৪ জনের মধ্যে কয়েকজন পঙ্গু হয়ে যান সারা জীবনের জন্য।

নিহতরা হলেন- রিজিয়া বেগম, তার ছয় মাসের মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম (প্রথম), ময়ফুল বিবি, ছাবেরা বেগম, আনোয়ারা বেগম (দ্বিতীয়), আবদুল্লাহ, রফিজল, সাফিয়া খাতুন, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ, আমিন উদ্দিন আহম্মেদ ও কাশেদা বেগম .........

Details at:

Related:
কি অপরাধ ছিল এই বালকের ? নির্মমতার চরম হাত 
সেদিন খুন করেছিল তাকেও। শেখ রাসেল ....




জাতীয় শোক দিবস আজ

ফারাজী আজমল হোসেন










__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Malcolm X, Dr. King Jr.& Bangobondhu:Three Great Catalysts of Our Time



Vision Creates Value

Malcolm X, Dr. King Jr.& Bangobondhu:Three Great Catalysts of Our Time

Malcolm X, Dr. King Jr.& Bangobondhu:Three Great Catalysts of Our Time
by Naznin Seamon on Monday, August 15, 2011 at 2:19am ·

"But all the time
I'se been a-climbin'on,
And reachin' landin's,
And turnin' corners,
And sometimes goin' in the dark
Where there ain't been no light.
So boy, don't you turn back.
Don't you set down on the steps
'Cause you finds it's kinder hard." 
                                                        ______"Mother to Son"; Langston Hughes

No, neither Malcolm X, nor Martin Luther King, had given up their dreams. They had encountered numerous obstacles, yet they held their aspirations alive for the freedom and equal rights of the Black people in America. Obviously, there are many differences between them about how they wanted to pursue their goals that mainly enable one to see their distinguished, unique personalities. Despite their polarized points of view, it is important to reconsider and credit the above two icons based on their ethical beliefs that is to attain the absolute right for the African Americans to lead life as human beings rather animals with sense of freedom, dignity and pride.
            Many great souls have had sacrificed their lives to save their nations being oppressed by others. However, few had guided their nations towrads freedom by inflaming the underlying current of anger that had concentrated deep down for a long time, but fear, lack of united effort, and most of all, need of a pioneer who can initiate the backfire, nail the coffin once and forever had held them back. One such leader is Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman who in his own strange way of absolute humanity, humbleness, consideration and undoubted boldness had leaded his nation to respond back to its' oppressors not with violence, rather by reciprocating attitude. His maneuver touched the entire nation offering sparks in their thoughts that guided them to impel independence.
            Though it is a known fact that people with power have exploited other groups of human beings throughout the world, the inhumane brutality against the African Americans is one of the prime examples that points to one's consciousness about how the white power had abused, tortured Black people not only physically, but mentally, economically and socially for centuries. It also had taken countless black souls to rise against this white aggression, to protest and demand their rights. Among them, Malcolm X and Martin Luther King Jr. are two pivotal roles who had contributed to shake white people's kingdom in the Civil Rights era.
            Exactly the same way Pakistan had exploited the Bengali nation; in cases even more drastically. They exhibited their aggression on the nations' language, religion, unique characteristics, economy, social norms and values. Their goal was to paralyze the population by fearful, violent behavior and deprivation of rights. Many great leaders had protested this type of subjection of the nation and encountered tremendous brutality and tormentation of the Pakistani Govt. However, among those leaders Bangobondhu had stood up with his unique quality of love and devotion, fearless resistance power, instant decision making ability. Thus, aided by the support and co-operation of other leaders and the nation in general, he was able to crack the rigid wall of Pakistani ruling system.
            Despite their contributions, unfortunately, one of them is well regarded, and most importantly, well known throughout the world, while the other is not been credited as his work demands. Because of the fact that Malcolm X had exhibited aggressive mood and tone against the injustice done to the African Americans, many had portrayed him as an anti force than a key figure of the Civil Rights Movement. At the same time, some had justified his advocacy for violence pointing out to his childhood.
            Bangobondhu used a firm tone throughout his political carrier though he did not want to choose turbulence. Therefore, he waited to the last minute to announce war against Pakistan until the rights of Bengali nation was pushed to the corner without any home remaining. Despite of winning the majority in the Parliament, raising various vile causes they exhibited reluctance to let him be the Prime Minister of the then East Pakistan, thus the rise of a deprived nation. British had exploited Bengal, India in a great sense for 200 years, but in only 25 years of oppression, Pakistan had employed even the last bit of brutality, barbarism against Bengali people.
            Both Malcolm X and Dr. King criticized the white dominated government for their careless effort to minimize or resolve the issues that had generated the Civil Rights Movements. They blamed the government for not keeping promise given to the African Americans. Malcolm X criticized African Americans for sending the white Presidents saying: "It was the black man's vote that put the present administration in Washington, D.C. Your vote, your dumb vote, your ignorant vote, your wasted vote put in an administration in Washington, D.C., that has seen fit to pass every kind of legislation imaginable, saving you until last, then filibustering on top of that" (27). On the contrary, in an effort to prove the contradictory images provided by the Constitution as well as so called Liberal Presidents, Dr King asked: "So the question is not whether we will be extremists, but what kind of extremist we will be. … … Will we be extremists for the preservation of injustice or for the extension of justice?" (77).

            Being aware of Pakistan's wretchedness, Bangobondhu, on March 7th had decided to address the nation where he stood before anxious eyes and uttered the most significant words of behind the birth of a nation. According to Faruque Chowdhury, former High Commissioner of Bangladesh, if Bangobondhu had directly declared the Independence in Racecourse, it might have considered as a segregated effort like Biafra of Nigeria which might offer hindrance getting international support. However, it was a pretty straight forward declaration of Independence maintaining diplomacy not to be too direct, yet not indirect either.  Freedom loving Bengali people knew the meaning of his address where he strongly announced the Independence of Bangladesh. He also had told the nation to get ready with whatever they had to start the fight. In his 18 minutes long speech, he mapped out the nation's future act to earn its' freedom. He also suggested carrying on the fight until they are free if he was unable to direct them further due to Pakistani conspiracy though on March 23rd, from his residence where people from all over the country gathered, he once again affirmed the nation that there was no walking back until or unless freedom has been earned. Before getting arrested two nights later, he finally spoke to the nation mentioning his message be possibly the last contact with the nation and there again, he ordered the nation to do everything to become independent.
            Malcolm X suggested an active, expeditious action to his audience. In contrast, Martin Luther King slowly infused his thoughts to the people so they would have a better grasp to think, rethink and justify. Both of them, however, agreed that there is no time to waste any more. They both demonstrated flashback to the slavery pointing out how their previous generations had toiled themselves. Malcolm X presented a transparent and vivid picture addressing his audience. He stated: "Three hundred and ten years we worked in this country without a dime in return – I mean without a dime in return. … It got rich because you made it rich" ("The Ballot or the Bullet", 32); while King says: "Three hundred years of humiliation, abuse and deprivation cannot be expected to find in a whisper" (2). They both had portrayed the same picture of exploitation of the blacks by the whites, just in slightly different tones.
            Bangobondhu, in his political carrier had pointed out the inequalities offered by the Pakistani Government which made them unsettled and uneasy. Therefore, Pakistani Government's eyes were always on him. He was arrested over and over and spent quite a significant amount of time in jail but without fear, or compromise. There was no concession in his world when it came to Bangladesh and its' people. The greed of power, threat of life, in fact, nothing impacted his saying 'Joy Bangla'. Bangobondhu had sacrificed his entire life fighting for the freedom of Bangladesh and its' people. Though he remained imprisoned the entire period Bangali people have fought and faced tremendous obstacles and unexplainable brutality of Pakistani soldiers and their Bangladeshi collaborators, they kept moving holding the spirit of 'Joy Bangla' and the dream of a free land sketched by Bangobondhu. In fact, 'Joy Bangla' became the motivating slogan of the freedom fighters.
             After being the President of an independent country he on one hand, reached every corner of the world to attain acceptance as a newborn nation from different countries, while on the other hand, closely focused to develop the war-broken country. Unfortunately, he had to start from the scratch. On December 16th, knowing that they had lost the war, Pakistani army even destroyed all the money in the bank. Yet, aided by great devoted leaders and dedicated people he managed to walk towards the progression on the
country. In 1845, Lucius C. Matlock in a review of Frederick Douglass's Narrative of the Life had asserted that "From the soil of slavery itself have sprung forth some of the most brilliant productions, whose logical levers will ultimately upheave and overthrow the system" (African American Literature, preface, 27). Long after slavery had been abolished, such brutality and dehumanization of human beings continued. Fortunately, from the germ of slavery emerged many talents and leaders to overcome these obstacles. Slavery, though abolished, continued to begat more and more brilliant and devoted souls to bring social, political, economical justice to the black people. As a whole, these people sacrificed their time and lives to bring back humanity to the people who were deprived of many human rights. Without any hesitation, it can be asserted that, Malcolm X and Martin Luther King Jr. are two of those great souls in history who suffered from many hindrances to prove the first Amendment to be true: "All men are created equal". Regardless of their different strategies, they are the two true icons of humanity as well as the catalysts of the Civil Rights Movement. 
            The same way, there were many leaders who contributed to the Freedom Fight of Bangladesh. 30 million had sacrificed their lives; more than 2 million women were physically abused. People from top to bottom except for the collaborators had contributed to earn the Independence. Bangobondhu was the driver behind the wheel of this journey. He was the force, the motivation, energy, dream maker of the nation. He is not only the catalyst of '71, he is the father of the nation because of his contribution to the country. He never surrendered to the Pakistani even when they dug his grave next to his cell. He never gave up his dream of free Bengali nation. He never compromised with the hope Bengali people had seen in him. He was the savior whose only dream was to build a independent, proud, educated nation. His goal was to give the nation the rights they had been deprived of since the separation. Thus, Bangladesh and Bangobondhu are equivalent.


নাজনীন সীমন
::
নিউ ইয়র্ক


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Evil Designs on the Fate of Bangladesh after the Assassination of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman





__._,_.___

Posted by: ahmed s <shabbirahmed2000@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [Mukto-Mona Writers' Corner] 'Evil Designs on the Fate of Bangladesh after the Assassination of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman'

Mukto-Mona Writers' Corner has posted a new item, 'Evil Designs on the Fate of
Bangladesh after the Assassination of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman'


By: Shabbir Ahmed


A dark era of killing for power began in the newly independent Bangladesh on
August 15, 1975. A group of disgruntled killers committed a heinous crime by
killing the founding father Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and most of his
family members. These human-like hyenas killed children as little as four-year
old (Mr. Serniabat's [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=3125


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.
Best regards,
Mukto-Mona Writers' Corner




------------------------------------
Posted by: Mukto-Mona Writers' Corner <charbak_bd@yahoo.com>
------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] একটি অসাধারণ আত্মজীবনী





১.

মাঝে মাঝেই আমার মনে হয় আমাদের কত বড় সৌভাগ্য যে বাংলাদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মানুষের জন্ম হয়েছিল। ঠিক সেই সময়টিতে দরকার হয়েছিল তখন যদি তাঁর মতো একজন মানুষের জন্ম না হত তাহলে কী হত? তাহলে কি বাঙালিরা নিজের একটা দেশের স্বপ্ন দেখতে পারত? সেই দেশের জন্যে যুদ্ধ করতে পারত? অকাতরে প্রাণ দিতে পারত?

যদি আমরা নিজের একটি দেশ না পেতাম, এখনও পাকিস্তান নামের সেই বিদঘুটে দেশটির অংশ হিসেবে থাকতাম তাহলে আমাদের কী হত, সেই কথা চিন্তা করে আমি আতঙ্কে শিউরে শিউরে উঠি।

এই মানুষটিকে পঁচাত্তরে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক মহামানবকে নিজের দেশ কিংবা দেশের মানুষের জন্যে প্রাণ দিতে হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিষয়টি ছিল অবিশ্বাস্য। তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেই হত্যাকারীরা দাায়িত্ব শেষ করেনি, এই দেশের ইতিহাস থেকে তাঁর চিহ্ন মুছে দেওয়ার জন্যে একুশটি বছর এমন কোনো কাজ নেই যেটি করা হয়নি। যে মানুষটির কারণে আমরা আমাদের দেশটি পেয়েছি সেই দেশের রেডিও টেলিভিশনে কোনোদিন তাঁর নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হয়নি।

আমার মনে আছে প্রথমবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, "চল আমরা একটা টেলিভিশন কিনে আনি, এখন নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুকে টেলিভিশনে দেখাবে।" শুধুমাত্র তাঁকে দেখার জন্যে আমরা একটা টেলিভিশন কিনে এনেছিলাম!

আমরা আমাদের চোখের সামনে বাংলাদেশকে জন্ম নিতে দেখেছি, আমরা এই দেশের ইতিহাসের সাক্ষী, ইতিহাসের অংশ। আমাদের চোখের সামনে বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। শৈশব কৈশোরে তাঁর সবকিছুর গুরুত্ব সবসময় বুঝতে পারিনি, এখন বড় হয়ে যখন পিছনে ফিরে তাকাই কখনও বিস্মিত হই, কখনও রোমাঞ্চিত হই, কখনও হতচকিত হয়ে যাই।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে একজন মানুষ হিসেবে অনুভব করার অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে ২০১২ সালে, যখন তাঁর নিজের হাতে লেখা 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটি হাতে পেয়েছি। আমি যখন নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজীবনীটি পড়ছিলাম তখন আমার বার বার মনে হয়েছিল, বছরের হিসেবে আমাদের বঙ্গবন্ধু তো নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে খুব একটা কম সময় জেলে ছিলেন না, অবদান হিসেবে তাঁর অবদান তো নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে কোনো অংশে কম নয়, তাহলে তিনি কেন তাঁর মতো করে নিজের আত্মজীবনী লিখে গেলেন না, আমরা কেন সেটি পড়ে রোমঞ্চিত হবার সুযোগ পেলাম না। তাই শেষ পর্যন্ত যখন বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা আবিষ্কৃত হল, সেটি প্রকাশিত হল আমার আনন্দের সীমা ছিল না।

শিশু-কিশোরেরা যেভাবে রুদ্ধশ্বাসে ডিটেকটিভ বই পড়ে আমি ঠিক সেভাবে রুদ্ধশ্বাসে বঙ্গবন্ধু আত্মজীবনীটি পড়েছি। আমি মনে করি এই বইটি আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। যারা দেশকে ভালোবাসে তাদের সবাইকে এই বইটি পড়তে হবে। যারা রাজনীতি করে তাদেরকে এই বই পড়তে হবে। যারা রাজনীতি করতে চায় তাদেরকে এই বই পড়তে হবে। যারা দেশ শাসন করে তাদেরকে এই বই পড়তে হবে। যারা দেশ শাসন করতে চায় তাদেরকেও এই বই পড়তে হবে। এই বইটি পড়লেই শুধুমাত্র একজন মানুষ বুঝতে পারবে কীভাবে একজন মানুষ একটি জাতি হয়ে উঠে, একটি জাতি কীভাবে দেশ হয়ে উঠে।

বইটিতে অসংখ্য বিষয় আছে, যেমন ধরা যাক বাঙালিদের কথা। তিনি বাঙালিদের কীভাবে দেখেছেন? বইয়ের অনেক জায়গায় তাদের কথা লেখা আছে। আমার পছন্দের একটা অংশ যখন তাদেরকে পাকিস্তানিদের সাথে তুলনা করেছেন (পৃষ্ঠা ২১৪)–

প্রকৃতির সাথে মানুষের মনেরও একটা সম্বন্ধ আছে। বালুর দেশের মানুষের মনও বালুর মত উড়ে বেড়ায়। আর পলিমাটির বাংলার মানুষের মন ঐ রকমই নরম, ঐ রকমই সবুজ। প্রকৃতির অকৃপণ সৌন্দর্যে আমাদের জন্ম, সৌন্দর্যই আমরা ভালবাসি।

বাঙালির চরিত্রের নিখুঁত ব্যাখ্যাও করেছেন অন্য জায়গায় (পৃষ্ঠা ৪৭)–

আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হল আমরা মুসলমান, আর একটা হল আমরা বাঙালি। পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধহয় দুনিয়ার কোনো ভাষাতেই এই কথাটা পাওয়া যাবে না, 'পরশ্রীকাতরতা'। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয়, তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষাতেই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এই জন্যই বাঙালি জাতির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।…. যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজের দোষে। নিজেকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদর মুক্তি আসবে না।

বাঙালিদের নিয়ে এর চাইতে খাঁটি মূল্যায়ন আমার চোখে আর কখনও পড়েনি!

এই বাঙালিদের জন্যে তাঁর বুকে ছিল গভীর ভালোবাসা। নির্বাচনের সময় একবার হেঁটে হেঁটে প্রচারণার কাজ চালাচ্ছেন, তখন এক হতদরিদ্র বৃদ্ধা মহিলার সাথে দেখা। বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্যে কয়েক ঘণ্টা থেকে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁকে ধরে নিজের কুঁড়েঘরে নিয়ে এক বাটি দুধ, একটা পান আর চার আনা পয়সা দিয়েছেন, বলেছেন, খাও বাবা, আর পয়সা কয়টা তুমি নেও, আমার তো কিছু নেই।

বঙ্গবন্ধু সেই পয়সা না নিয়ে উল্টো তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন, লাভ হয়নি। সেই হতদরিদ্র মহিলার বাড়ি থেকে বের হবার পর, বঙ্গবন্ধু লিখছেন (পৃষ্ঠা ২৫৬)–

নীরবে আমার চক্ষু দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়েছিল, যখন তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। সেইদিনই আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, 'মানুষরে ধোঁকা আমি দিতে পারব না।

আমরা সবাই জানি বঙ্গবন্ধু তাঁর এই প্রতিজ্ঞা কখনও ভঙ্গ করেননি।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' এই পুরো বইটার একটা বড় অংশ হচ্ছে কীভাবে বঙ্গবন্ধু মুসলিম লীগের গুণ্ডা আর পুলিশের নির্যাতন সহ্য করছেন, জেল খাটছেন, পাকিস্তানের জন্যে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু দেশবিভাগের পরপরই খুব দ্রুত মুসলিম লীগের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছেন। আর এই মুসলিম লীগ সরকার তাঁর উপর নির্যাতন করছে, বিনা বিচারে দিনের পর দিন জেলখানায় আটকে রেখেছে। এক জায়গায় বর্ণনা আছে মাওলানা ভাসানিকে নিয়ে শোভাযাত্রা করছেন, তখন পুলিশ আক্রমণ করেছে। বঙ্গবন্ধু লিখছেন (পৃষ্ঠা ১৩২)–

আমার উপর অনেক আঘাত পড়ল। একসময় প্রায় বেহুঁশ হয়ে এক পাশের নদর্মায় পড়ে গেলাম।…. আমার পা দিয়ে খুব রক্ত পড়ছিল। কেউ বলে গুলি লেগেছে, কেউ বলে গ্যাসের ডাইরেক্ট আঘাত, কেউ বলে কেটে গেছে পড়ে যেয়ে।

তারপর কীভাবে তাঁকে ধরাধরি করে পার্টির অফিসে নিয়ে যাওয়া হল তার বর্ণনা আছে। সেখানে একটু চিকিৎসা করে বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন বলে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হল। কিন্তু গভীর রাতে পুলিশ এল তাদের গ্রেপ্তার করতে। মাওলানা ভাসানি খবর দিয়েছিলেন যেন কোনোভাবে গ্রেপ্তার না হন, তাই লিখছেন,

আমার শরীরে ভীষণ বেদনা, জ্বর উঠেছে, নড়তে পারছি না। কী করি! তবুও উঠতে হল এবং কী করে ভাগব তা ভাবছিলাম।… তিনতলায় আমরা থাকি, পাশেই একটা দোতলা বাড়ি ছিল। তিন তলা থেকে দোতলায় লাফিয়ে পড়তে হবে। দুই দালানের ভিতর ফারাকও আছে। নিচে পড়লে শেষ হয়ে যাব। তবুও লাফ দিয়ে পড়লাম।

আমরা হলিউডের ছবিতে এরকম দৃশ্য দেখে অবিশ্বাসের হাসি হেসে থাকি। কিন্তু এটা হলিউডের ছবি নয়, বঙ্গবন্ধুর নিজের জীবনের ঘটনা, নিজের হাতে লেখা!

একবার পাকিস্তান থেকে দিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলায় ফিরে আসছেন, তিনি জানেন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তিনিও প্রস্তুত আছেন, তাঁর ভাষায় (পৃষ্ঠা ১৪৫)–

আমিও প্রস্তুত আছি, তবে ধরা পড়ার পূর্বে একবার বাবা, মা, ভাইবোন, ছেলেমেয়েদের সাথে দেখা করতে চাই।

কারণ (পৃষ্ঠা ১৪৬)–

কয়েক মাস পূর্বে আমার বড় ছেলে কামালের জন্ম হয়েছে, ভাল করে দেখতেও পারি নাই ওকে। হাচিনা তো আমাকে পেলে ছাড়তেই চায় না।

(এই বইয়ে শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু সবসময় হাচিনা লিখেছেন)

এরপর পুলিশের চোখে ধূলা দেওয়ার জন্যে ট্রেনে, স্টেশনে কী করেছেন তার চমকপ্রদ বর্ণনা আছে। সবচেয়ে বিচিত্র বর্ণনা হচ্ছে জাহাজে ওঠার অংশটুকু। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় (পৃষ্ঠা ১৪৬)–

সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পরে আমার পাঞ্জাবি খুলে বিছানার মধ্যে শুয়েছিলাম। লুঙ্গি পরা ছিল, লুঙ্গিটা একটু উপরে উঠিয়ে বেঁধে নিলাম। বিছানাটা ঘাড়ে, আর সুটকেসটা হাতে নিয়ে নেমে পড়লাম। কুলিদের মত ছুটতে লাগলাম, জাহাজ ঘাটের দিকে। গোয়েন্দা বিভাগের লোক তো আছেই। চিনতে পারল না।

বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছিলেন। অল্প কিছুদিন স্ত্রী-পুত্র-কন্যার সাথে কাটাতে পেরেছিলেন। যখন যাবার সময় হয়েছে তখন লিখছেন (পৃষ্ঠা ১৬৪)–

ছেলেমেয়েদের জন্য যেন একটু বেশি মায়া হয়ে উঠেছিল। ওদের ছেড়ে যেতে মন চায় না, তবুও তো যেতে হবে। দেশসেবায় নেমেছি, দয়া-মায়া করে লাভ কী? দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে ত্যাগ তো করতেই হবে এবং সে ত্যাগ চরম ত্যাগও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু যখন এই বাক্যটি লিখেছিলেন তখন কি তিনি জানতেন তাঁর জন্যে একদিন এটি কত বড় একটি সত্য হয়ে দাঁড়াবে!

জেলখানায় থাকতে থাকতে তাঁর ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে, অনেক কষ্টে একবার ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসে সকালবেলা বিছানায় বসে স্ত্রীর সাথে গল্প করছেন, তার ছেলেমেয়ে নিচে বসে খেলছে। বঙ্গবন্ধু লিখছেন (পৃষ্ঠা ২০৯)–

হাচু মাঝে মাঝে খেলা ফেলে আমার কাছে আসে আর 'আব্বা', 'আব্বা' বলে ডাকে। কামাল চেয়ে থাকে। একসময় কামাল হাচিনাকে বলছে, 'হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।

বঙ্গবন্ধু তখন বিছানা থেকে নেমে ছেলেকে কোলে নিয়ে বললেন, "আমি তো তোমারও আব্বা।"

তাঁর ছেলে তাঁকে চেনে না, তাই কাছে আসতে চাইত না। এই প্রথমবার বাবার গলা ধরে পড়ে রইল। লেখক সাহিত্যিকেরা বানিয়ে বানিয়ে কত কী লিখে পাঠকদের মন দুর্বল করে ফেলে, কিন্তু এ রকম সত্যি ঘটনা কি তারা লিখতে পারবে?

ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু জেলে, দুই বছর থেকে বেশি সময় বিনা বিচারে জেলে আটকা পড়ে আছেন, তখন ঠিক করলেন মুক্তির জন্যে আমরণ অনশন করবেন। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ তাঁকে এবং তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীকে ফরিদপুর জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। অনশন শুরু করার দুইদিনের ভেতর খুব শরীর খারাপ হলে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হল।

চারদিন পর তাঁদের নাক দিয়ে জোর করে খাওয়াতে শুরু করল। বঙ্গবন্ধুর নাকে ঘা হয়ে গেছে, রক্ত আসে, যন্ত্রণায় ছটফট করেন। যখন বুঝতে পারলেন আর বেশিদিন বাঁচবেন না, গোপনে কয়েক টুকরা কাগজ আনিয়ে বাবা, স্ত্রী এবং তাঁর দুই রাজনৈতিক নেতা সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানিকে চিঠি লিখলেন; কারণ তখন বুঝে গেছেন কয়েকদিন পর আর লেখার শক্তি থাকবে না।

বঙ্গবন্ধু অনশনে কীভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন। চিঠি চারটি ঠিক জায়গায় পৌছানোর ব্যবস্থা করেছেন। লিখছেন (পৃষ্ঠা ২০৪)–

আমাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে এসেছে যে, যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যুর শান্তিছায়ায় চিরদিনের জন্যে স্থান পেতে পারি। সিভিল সার্জন সাহেব দিনের মধ্যে পাঁচ সাতবার আমাদের দেখতে আসেন। ২৫ তারিখ সকালে যখন আমাকে তিনি পরীক্ষা করছিলেন হঠাৎ দেখলাম তার মুখ গম্ভীর হয়ে গেছে। তিনি কোনো কথা না বলে, মুখ কালো করে বেরিয়ে গেলেন। আমি বুঝলাম আমার দিন ফুরিয়ে গেছে।… ডেপুটি জেলর সাহেব বললেন, 'কাউকে খবর দিতে হবে কি না? আপনার ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী কোথায়? আপনার আব্বার কাছে কোনো টেলিগ্রাম করবেন?' বললাম, 'দরকার নাই। আর তাদের কষ্ট দিতে চাই না।' আমি আশা ছেড়ে দিয়েছি, হাত-পা অবশ হয়ে আসছিল।

এভাবে আরও দুদিন কেটে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু লিখছেন (পৃষ্ঠা ২০৫)–

২৭ তারিখ রাত আটটার সময় আমরা দুইজন চুপচাপ শুয়ে আছি। কারও সাথে কথা বলার ইচ্ছাও নাই, শক্তিও নাই। দুইজনই শুয়ে শুয়ে কয়েদির সাহায্যে ওজু করে খোদার কাছে মাপ চেয়ে নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন কিছু শেষ পর্যন্ত অনশনে তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হয়নি, এই জীবন-বাজি ধরা আন্দোলনের কাছে সরকার মাথা নত করে তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।

পুরো বইটিতে এরকম অসংখ্য ঘটনার বর্ণনা আছে। কীভাবে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে একটা রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছেন তার নিখুঁত বর্ণনা আছে। ষড়যন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, বাধা বিপত্তি, ভয়ংকর অর্থকষ্ট, পুলিশের নির্যাতন, বিশ্বাসঘাতকতা সবকিছুকে সামাল দিয়ে কীভাবে একটা রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে হয় সেটি এর চাইতে সুন্দর করে আর কোনো বইয়ে লেখা আছে বলে আমার জানা নেই।

মাঝে মাঝে যে হাস্যরস বা কৌতুক নেই তা নয়। রাতের বেলা নৌকা করে যাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমিয়ে আছেন, তখন ডাকাত পড়েছে। এলাকার সবাই বঙ্গবন্ধুকে চেনে, তাঁকে ভালোবাসে, ডাকাতেরা যখন জানতে পারল নৌকায় বঙ্গবন্ধু শুয়ে আছেন তারা ডাকা না করেই মাঝিকে এক ঘা দিয়ে বলল, 'শালা, আগে বলতে পার নাই শেখ সাহেব নৌকায়'। ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটা শুনে বঙ্গবন্ধু বললেন, (পৃষ্ঠা ১২৫)–

বোধ হয় ডাকাতরা আমাকে ওদের দলের একজন বলে ধরে নিয়েছে!

আরেকবার জনসভায় মাওলানা ভাসানিকে নিয়ে বক্তৃতা করতে গিয়েছেন, পুলিশ তখন ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছে, কেউ আর বক্তৃতা করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু তেজস্বী মানুষ, বললেন (পৃষ্ঠা ১২৮)–

'মানি না ১৪৪ ধারা, আমি বক্তৃতা করব।' মাওলানা সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন– '১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আমাদের সভা করতে দেবে না। আমি বক্তৃতা করতে চাই না, তবে আসুন আপনারা মোনাজাত করুন, আল্লাহ আমিন।' মাওলানা সাহেব মোনাজাত শুরু করলেন। মাইক্রোফোন সামনেই আছে। আধা ঘণ্টা চিৎকার করে মোনাজাত করলেন, কিছুই বাকি রাখলেন না, যা বলার সবই বলে ফেললেন। পুলিশ অফিসার ও সেপাইরা হাত তুলে মোনাজাত করতে লাগল। আধা ঘণ্টা মোনাজাতে পুরা বক্তৃতা করে মাওলানা সাহেব সভা শেষ করলেন। পুলিশ ও মুসলিম লীগওয়ালারা বেওকুফ হয়ে গেল!

পুরো দৃশ্যটা কল্পনা করে এতদিন পরেও আমরা হেসে কুটি কুটি হই।

২.

এই অসাধারণ বইটি সম্পর্কে লিখে শেষ করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমি বই থেকে নানা বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর কিছু কথা তুলে দিই। যেহেতু তিনি আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ, তাই তার রাজনীতি নিয়ে কথাগুলো সবচেয়ে সুন্দর। রাজনীতিটা কখনও দলবাজি হিসেবে দেখেননি। লিখেছেন (পৃষ্ঠা ২৩৯)–

ম্যানিফেস্টো বা পোষণাপত্র না থাকলে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।

আমলাতন্ত্র দুই চোখে দেখতে পারতেন না, তাই বলেছেন (পৃষ্ঠা ২৩৫)–

রাজনৈতিক দল ছাড়া গণতন্ত্র সফল হতে পারে না।

আবার একই সাথে অযোগ্য রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে এভাবে সতর্ক করেছেন (পৃষ্ঠা ২৭৩)–

অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কোনো কাজে নামতে নেই।

বামপন্থী রাজনীতি সম্পর্কে বলেছেন, (পৃষ্ঠা ২৩৪)–

আমি নিজে কমিউনিস্ট নই। তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না।

আমাদের দেশে বামপন্থী রাজনীতি কেন কখনও বেশি সুবিধে করতে পারেনি বঙ্গবন্ধু সেটি অর্ধশত বছরেরও আগে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর বামপন্থী বন্ধুদের উল্লেখ করে বলেছেন, (পৃষ্ঠা ১০৯)–

জনসাধারণ চলছে পায়ে হেঁটে, আর আপনারা আদর্শ নিয়ে উড়োজাহাজে চলছেন। জনসাধারণ আপনাদের কথা বুঝতেও পারবে না, আর সাথেও চলবে না। যতটুকু হজম করতে পারে ততটুকু জনসাধারণের কাছে পেশ করা উচিত।

অতিপ্রগতিবাদীদের সম্পর্কেও তাঁর কথাটা তখনও সত্যি ছিল, এখনও সত্যি! বঙ্গবন্ধু বলেছেন (পৃষ্ঠা ২৪৫)–

অতি প্রগতিবাদীদের কথা আলাদা। তারা মুখে চায় ঐক্য। কিন্তু দেশের জাতীয় নেতাদের জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলে, চেষ্টা করে সেজন্যে!

তবে বঙ্গবন্ধুর কাছে রাজনীতির বিষয়টি ছিল খুবই স্পষ্ট, সেটি ছিল একটা মহৎ কাজ। বার বার বলেছেন (পৃষ্ঠা ১২৮)–

যে কোনো মহৎ কাজ করতে হলে ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন। যারা জীবনে ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয় তারা জীবনে কোনো ভাল কাজ করতে পারে নাই।

রাজনীতি করে তাঁর জীবনে এক ধরনের পূর্ণতা এসেছিল, কারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগকে পুরোপুরি ধরাশায়ী করে লিখছেন (পৃষ্ঠা ২৫৭)–

আমার ধারণা হয়েছিল মানুষকে ভালবাসালে মানুষও ভালবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্যে জীবন দিতেও পারে।

বঙ্গবন্ধু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলেন, একবার নয় বার বার।

৩.

এই লেখার শুরুতে আমি বলেছিলাম 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটি সবার পড়া উচিত, যারা দেশ চালাচ্ছে তাদেরও। আমার কেন জানি মনে হয় যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের সবাই এই বইটি পড়েননি, কিংবা তার চাইতেও দুঃখের ব্যাপার হয়তো বইটি পড়েছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কথাগুলো বিশ্বাস করেননি। আমার এরকম মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে এই বইয়ে সবচেয়ে বেশিশীবার যে কথাটি লেখা হয়েছে সেটি হচ্ছে (পৃষ্ঠা ১২৬)–

শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র চলতে পারে না।

কিংবা (পৃষ্ঠা ১২০)–

বিরোধী দল সৃষ্টি করতে না পারলে এ দেশে একনায়কত্ব চলবে।

শক্তিশালী বিরোধী দল দূরে থাকুক আমরা কি এই দেশে কোনো বিরোধী দল দেখতে পাচ্ছি? দেশে আসলে কোনো বিরোধী দল নেই, একটা গৃহপালিত বিরোধী দল আছে, তাদের থাকা না থাকাতে কিছু আসা যায় না। জামায়াতে ইসলামীর সাথে রাজনীতি করে এবং বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বলে আমি মনে করি এই দেশে বিএনপির রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

এখন বাকি আছে সংবাদমাধ্যম। যতই দিন যাচ্ছে আমরা দেখছি সংবাদমাধ্যমকে কেমন জানি গলা টিপে ধরা হচ্ছে। মন্ত্রীরা কারণে অকারণে আজকাল সাংবাদিকদের গালাগাল করেন, ভয়ভীতি দেখান। গণজাগরণ মঞ্জ যখন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করল তখন তাদেরকেও দুই টুকরো করে দেওয়া হল। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে আমি যখন চেঁচামেচি করছিলাম তখন আমাকে নানাভাবে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল, আমি যেন সরকারকে বিপদে না ফেলি।

বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন সরকারকে ঠিক রাখতে হলে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আমি এই দেশে তাই একটা বিরোধী দল খুঁজে বেড়াই। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটা বিরোধী দল। সেটি কোথায়?

লেখক ও অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল

কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক, শাবিপ্রবি।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/08/15/96146.html#sthash.iUB93OOg.dpuf


- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/08/15/90688#sthash.RTiplXZf.dpuf


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ৩৮টি বছর কেটে গেলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার দিনটির ঘটনা জানতে মানুষের আগ্রহের কিন্তু একটুও কমতি নেই। বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে সেই মহান ব্যক্তি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর...বিস্তারিত




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জাতীয় শোক দিবস আজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত্বার্ষিকী



জাতীয় শোক দিবস আজ

ফারাজী আজমল হোসেন

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশ ও বাঙালির সবচেয়ে হদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী শোকের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত্বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনের কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হচ্ছে জাতির জনকের শাহাদাত্বার্ষিকী। বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ।

নৃশংস ওই ঘটনায় বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরো যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা হলেন: জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। খুনিদের বুলেটে সেদিন আরো প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। আর আগস্ট মাস বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে আজকের এই দিনটির জন্যই। 

ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেও সেদিন আল্লাহ'র অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সে রাতে কি ঘটেছিল তা স্মৃতিতে আনলে আঁতকে উঠতে হয়। কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় স্বাধীনতার স্থপতির বাসভবনে। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে ছিলেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়ি সংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবীর ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের লাশ। 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে তা অনুমোদন দেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একুশ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে সংসদ ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। কিন্তু এখনও বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনি বিদেশে পলাতক। সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পলাতক ছয় খুনির মধ্যে দুই পলাতক আসামি নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্টে অবস্থান করছেন। অপর চারজনের মধ্যে দু'জন ভারতে, একজন পাকিস্তানে এবং একজন আফ্রিকার উগান্ডায় রয়েছে বলে সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতার শোক:জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাবিধূর ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি বলেন, জাতির পিতার সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল 'সোনার বাংলা' গড়ার। আমাদের দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ বাঙালি জাতির অন্তরে প্রোথিত হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করি। ক্ষুধামু্ক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি তার বাণীতে জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, মানব ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর এ হত্যাযজ্ঞ বঙ্গবন্ধুকে তাঁর প্রিয় বাংলাদেশ কিংবা বাঙালি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি বরং দিনে দিনে বিশাল থেকে বিশালতর হয়ে তিনি বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক হয়ে আছেন। 

জেপি'র শোক:জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবং মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আর এই অর্জনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনগণের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং দেশপ্রেম আজও নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ব হয়ে নেতৃদ্বয় বিনম্র শ্রদ্ধায় ও অকৃত্রিম ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করেন।

কর্মসূচি: আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে আজ। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। দিনের শুরুতে সকাল পৌনে ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সুসজ্জিত দল বঙ্গবন্ধুর প্রতি 'গার্ড অব অনার' প্রদান করবেন। পরে সেখানে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়ে ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে সকাল ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষপার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সেখানে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে তাত্পর্যপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়ার আয়োজন করবে। বাদ জুম্মা দেশের সর্বত্র মসজিদে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশের সকল মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবসের অনুষ্ঠানসমূহ সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: জাতির পিতার ৩৯তম শাহাদাত্ বার্ষিকী পালনে আওয়ামী লীগ আজ সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবে। সকাল পৌনে ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শোক মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল, সকাল ১০টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত, মিলাদ, বিশেষ দোয়া মাহফিল প্রভৃতি কর্মসূচি রয়েছে। 

এছাড়া বাদ আছর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা আগামীকাল শনিবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। 

জেপির দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি: জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি (জেপি) দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় দলের সকল কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করবেন। সকাল ৮টায় জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ৯টায় বনানীস্থ কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের মাজারে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং বাদ জুম্মা বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। 

১৬ আগস্ট বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলীয় চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। আলোচনা সভায় বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবিগণ অংশগ্রহণ করবেন। 

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপির সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় সফরসঙ্গী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ভাইস চেয়াম্যান মোহাম্মদ হোসেন রেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তপন, যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ বৈরাগী প্রমুখ রয়েছেন।

প্রেস ক্লাবে সর্বধর্ম প্রার্থনা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদত্ বরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আজ সর্বধর্ম প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে সাংবাদিক সমাজ। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এই প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। 

বিনামূল্যে চিকিত্সা: এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির শাহবাগ ও সেগুনবাগিচাস্থ বারডেম হাসপাতালের বহির্বিভাগে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রোগীদের বিনামূল্যে পরামর্শ দেয়া হবে।

http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDhfMTVfMTRfMV8xXzFfMTUyOTcx





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home