Banner Advertiser

Tuesday, November 6, 2012

[mukto-mona] Desperado Jamaat: Erupts with its death bites




Read details at:

http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2012/11/07/83233.php


জামায়াত বেপরোয়া

সেলিম জাহিদ | তারিখ: ০৭-১১-২০১২

রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গতকাল সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সেই অস্ত্র দিয়েই তাঁকে পেটাচ্ছেন শিবিরের একজন কর্মী

ছবি: শহীদুল ইসলাম

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি পালন করে এলেও হঠাৎ করে যেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গত দুই দিনে টানা সহিংস আচরণ করেছে দলটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, প্রতিটি জায়গায় তারা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা।
জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলাসহ আরও অন্তত দুই নেতার মামলার রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় বিচারের বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। তবে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে, সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ তাদের চলমান কর্মসূচিরই অংশ। পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাকরাইলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আকস্মিক পুলিশের ওপর চড়াও হন। এর আগে থেকে অবশ্য যেকোনো কর্মসূচি পালনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ছিলেন তাঁরা। কাকরাইলের সহিংস ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কার্যত চুপ ছিল জামায়াত-শিবির। কিন্তু গত সোমবার ঢাকাসহ ১২টি জেলায় একযোগে রাস্তায় নেমে শক্তি প্রদর্শন করে জামায়াত। গতকালও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে দলটি।
গত সোমবার সাঈদীর পক্ষের এক সাক্ষীকে আদালত এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তুলে ট্রাইব্যুনাল-১ বর্জন করেন আসামির আইনজীবীরা। এরপর বিকেলে রাস্তায় জামায়াতের কর্মীদের শক্তি প্রদর্শনকে তাই এর সঙ্গেই মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমির গোলাম আযম, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নয়জন নেতা যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাগারে আটক আছেন।
দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রাইব্যুনালকে লক্ষ্য করে চূড়ান্তভাবে মাঠে নামতে বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত ও ছাত্রশিবির। তবে তারা বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার-সমর্থকেরা তাদের কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে অথবা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে—এটা মাথায় রেখে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিয়েই কর্মীদের রাজপথে নামানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, 'আন্দোলনের লক্ষ্যে' জামায়াত-শিবিরের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী বাছাই করা এবং সাংগঠনিক নিয়মে তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। গত মে মাস থেকে শুরু করা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কর্মীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়। রাস্তায় নামলে পুলিশের নির্যাতনসহ সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়। কর্মীদের দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে থাকার মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। 'অর্থ ও জীবন উৎসর্গ' করার মানসিকতা নিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের কাছে একাধিক পুস্তিকাও বিতরণ করা হয়।
আলাপকালে দলের শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, ট্রাইব্যুনালের রায়ে নেতাদের বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হলে তাঁরাও বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাবেন। তবে ডিসেম্বরের আগে 'বড় ধরনের সংঘাতে' জড়ানোর ইচ্ছা নেই বলে জানান এই নেতারা।
জামায়াত মনে করছে, আইনি প্রক্রিয়ায় আটক নেতাদের মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাঠে কর্মসূচি দিলে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল মেরে তা-ও পণ্ড করে দেয় পুলিশ। এ অবস্থায় বিষয়টি রাজপথে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের বিকল্প নেই। গত দুই দিনে বেপরোয়া সহিংসতা, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া বা গাড়ি পোড়ানোর পেছনে এই ভাবনাই কাজ করছে। তবে সামনে আরও বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে বলে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অবশ্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম বলেন, 'আমরা কোনো সহিংসতায় যাইনি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট মেরে সংঘাতের সৃষ্টি করে। এর দায় পুলিশের।'
প্রায় এক বছরের মাথায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, ৫ নভেম্বর সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ করা হবে। কর্মসূচি অনুযায়ী, গতকাল গণসংযোগের কথা থাকলেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের কর্মসূচি কত দিন চলবে, জানতে চাইলে গতকাল ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম (মাসুদ) প্রথম আলোকে বলেন, 'যত দিন এই সরকারের পতন এবং জামায়াতের নেতাদের মুক্তি দেওয়া না হয়, তত দিন কর্মসূচি চলতে থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।'
গতকালের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিল মূলত ছাত্রশিবিরের। আগামী সপ্তাহে তারা নতুন কর্মসূচি দেবে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
জানতে চাইলে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়া স্বীকার করেন, গতকাল সারা দেশে কর্মসূচি ছিল শিবিরের। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ করা এবং জামায়াতের নেতাদের মুক্তি না দিলে তাঁদের আন্দোলন চলবে

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-07/news/303374


ঢাকা, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১২, ২৩ কার্তিক ১৪১৯, ২১ জিলহজ ১৪৩৩

Related:


ivRavbxmn 10 †Rjvq RvgvZ wkwe‡ii nvgjvq AvnZ kZvwaK

http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2012/11/07/83232.php


GmGgGm w`‡q GK‡hv‡M nvgjvi †KŠkj Rvgv‡Zi!

http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2012/11/07/83224.php

জামায়াত-শিবির আরো মারমুখী কালের কণ্ঠ ডেস্ক

রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় গতকাল অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশকে বেধড়ক পেটায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। ছবি : সালাহ উদ্দিন

পাঠকের মতামত:

Nov, 06th (Tue), 2012 (11:38:15 PM)
বিশ্ব এই প্রথম দেখলো একটি গনতান্ত্রিক দেশকে, যেই দেশ স্বাধীন হয়েছে একটি সাহসি, বীরত্বে গাঁথা মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে, প্রাণ দিতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে যাদের বেঈমানীর কারনে..,.. আজ সেই মুনাফিক গোষ্ঠির কাছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসন কতোটা অসহায়। যেই পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আজ সেই পুলিশের নিরাপত্তা কে দিবে
Md.Monir Hossain
Gazipur, Bangladesh
Nov, 06th (Tue), 2012 (10:34:27 PM)
জামাতের আচরণ বজ্রসরিসৃপের মত। জামাতের আচরন দেখে মনে হচ্ছে এটা কোন সভ্য সমাজ নয়।এটা হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের সেই ব্রন্টোরাস নামক ডাইনোসর। বাংলায় যাকে বলে বজ্রসরিসৃপ।কোটি কোটি বছর আগে এই প্রাণী পৃথিবীর বুকে চরে বেড়াতো,প্রায় সাতাশি হাজার পাউন্ড ওজনের বিশাল শরীর টেনে টেনে। তার থপ্ থপ্ পায়ের চাপে থর থরিয়ে কেঁপে উঠতো মৃত্তিকার বুক।যেমনি ভাবে জামাত সদৃশ ডাইনোসরের সহিংসতায় কম্পিত হয়েছে সারা বাংলার বুক। আর এই সমাজটি নিতান্তই ঘিলুশূন্য,ঠিক বিশালদেহী ডাইনোসরের মত। তার মগজ ছিলো একটি মুরগীর ডিমের চেয়েও কম কিন্তু ভয়াবহতা ছিল বিশাল। তাই জামাত নামক এই মাকাল ফলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রয়োজন আছে কিনা তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। কারণ এই দলটি জাতিকে অপমান, লাঞ্চনা ছারা আর কিছুই দিতে পারেনি।স্বাধীনতাপূর্ব থেকে আজ অবদি এই দলটি বাংলাদেশের মানুষের কোন কাজে এসেছে কিনা তা গবেষণার বিষয় নয়। মোটা দাগে বলা যায় 'না'।

গতকাল মতিঝিল বলাকা চত্বরে জাময়াতের তাণ্ডব। ছবি : শেখ হাসান






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Jamaat men on the rampage




জামায়াত বেপরোয়া  সেলিম জাহিদ | তারিখ: ০৭-১১-২০১২

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি পালন করে এলেও হঠাৎ করে যেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গত দুই দিনে টানা সহিংস আচরণ করেছে দলটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, প্রতিটি জায়গায় তারা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা।
জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলাসহ আরও অন্তত দুই নেতার মামলার রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় বিচারের বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। তবে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে, সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ তাদের চলমান কর্মসূচিরই অংশ। পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।    ........................ ............... (সংক্ষিপ্ত)

1  The above report of daily Prothom-alo may be seen. It seems to a neutral reader  that the reporter has taken a one sided stand. It is clearly a partisan view that Jamaat and Shibir are on rampage and they are the first attackers on law enforcing people. In this respect the reports of Daily Amardesh and Nayadiganta may be compared where it is reported that police attacked peaceful meeting and procession without any provocation from Jamaat workers. Their demand included reinstatement of faith on Almighty Allah in the constitution, Care taker Govt., repeal of the farcical trial of its leaders and their unconditional release and others popular national issues.

   The police arrested hundreds of their activists and lodged cases. They are always seen to be beaten on the streets. They had declared a program yesterday in protest against police atrocities on 5th instant. Among so many incidents there may be one or two misgivings, but the arrogant and aggressive cops should also be brought under trial.  We appeal to all concerned to return to reason and restraint. The country as a whole should not be forced to a one party system without any right for other individuals or parties.
   
    জামায়াত-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ রকীবুল হক
রাজধানীসহ সারাদেশে গতকাল জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর মালিবাগ-রামপুরা সড়ক। পুলিশের টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে আহত হন অর্ধশত নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় ১৩ নেতাকর্মীকে। ঢাকার বাইরে রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, বগুড়া, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, পিরোজপুর ও ভোলার চরফ্যাশনসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আহত এবং দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে ঘোষিত এ কর্মসূচি দমনে সকাল থেকেই সারাদেশে কড়া অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ ও র্যাব।
রাজধানীসহ দেশের যেখান থেকেই জামায়াত-শিবির মিছিল করার চেষ্টা করে, সেখানেই বাধা দেয় পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল এগোলেই চলে পুলিশের মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ-শ্রমিক লীগ-যুবলীগ কর্মীরাও শিবিরের ওপর হামলায় অংশ নেয়।
একই ইস্যুতে বিক্ষোভ করতে গেলে সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ শতাধিক আহত ও ৩ শতাধিক নেতাকর্মী আটক হন। ওই ঘটনায় রাজধানীসহ সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে একাধিক মামলা করেছে পুলিশ। চলছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ি, অফিস ও মেসে তল্লাশি এবং গ্রেফতার অভিযান। পুলিশের এই হামলা এবং মামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
মালিবাগ এলাকা রণক্ষেত্র : প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রমতে, ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াত-শিবিরের মিছিল বের করার আগাম খবর পেয়ে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকা থেকে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। তবে আগে থেকেই ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখে পুলিশ। তবে ব্যাপক সংখ্যক শিবিরকর্মীর উপস্থিতির কারণে এক পর্যায়ে পুলিশ বাধ্য হয়ে সরে গেলে মিছিলটি রামপুরার দিকে যায়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি। মিছিলটি কিছুদূর যাওয়ার পর দু'দফা বাধা দেয় পুলিশ। এসব বাধা উপেক্ষা করেও মিছিলটি রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের এক পর্যায়ে পেছন দিক থেকে পুলিশ মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সশস্ত্র হামলার জবাবে শিবিরকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রামপুরা থেকে মালিবাগ সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল। পুলিশের অতর্কিত হামলার শিকার হন অনেক সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত পৌনে ১ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকজন পুলিশ ও অর্ধশতাধিক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। ..................(সংক্ষিপ্ত)


  
   সারা দেশে শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
আড়াই শতাধিক আহত : গ্রেফতার ৩ শতাধিক; রংপুর অফিসে আগুন, বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
তারিখ: ৭ নভেম্বর, ২০১২
জামায়াত-শিবিরের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে গতকাল রংপুর ও বগুড়ায় র‌্যাব-পুলিশের অ্যাকশন : নয়া দিগন্ত; রংপুরে সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবির কার্যালয়ের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা : নয়া দিগন্ত
'অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও আটক জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি'তে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আড়াই শতাধিক আহত এবং তিন শতাধিক গ্রেফতার হয়েছে। রংপুরে জামায়াত অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট মোড় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিবির। মিছিলটি রামপুরা টিভি স্টেশনের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল শুরুর সময় মালিবাগে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষ হয়। পরে সমাবেশ চলাকালে পুলিশ আবারো শিবির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় কেন্দ্রীয় স্কুলকার্যক্রম সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ ১৩ শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের ৩৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ।
এ দিকে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নির্ধারিত কর্মসূচির ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
রাজধানীতে বের হওয়া মিছিলে অংশ নেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসেন, দফতর সম্পাদক আতিকুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম, প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো: ইয়াহইয়া, শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসাইন, এইচআরডি সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, তথ্য সম্পাদক জাকির হোসেন সেলিম ও গবেষণা সম্পাদক এইচ এম জুবায়ের প্রমুখ।
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে শিবির সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসেন বলেন, সরকারের অন্যায় আচরণ আর সহ্য করা হবে না। নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতেই হবে। তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে ছাত্রশিবিরের লাখো নেতাকর্মী জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের জনগণ মানে না। এই ট্রাইব্যুনালের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। যে ট্রাইব্যুনাল কোনো সাক্ষীর জীবন সংশয়ের মুখে রেখে বিচারকাজ চালায় তাদের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশার কোনো সুযোগই নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবীকে বহিষ্কারের মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যক্কারজনক নজির স্থাপন করেছেন। ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করেছে তারা সরকারের দ্বারা পরিচালিত ও চলমান বিচার একটি প্রহসন মাত্র।
তিনি বলেন, সরকার কালো আইনে বিচার চালানোর কারণে মানুষ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের বিচার দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে। জনতার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা কতটা তীব্র হতে পারে তা সরকারের চিন্তা করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের লাগামহীন বক্তব্য দেশব্যাপী আরো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিরই সূচনা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জামায়াত-শিবিরের মিছিলে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ সত্যিই ন্যক্কারজনক। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া না হলে আপনাদের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
৩০ নেতাকর্মীর ৩ দিনের রিমান্ড
আদালত প্রতিবেদক জানান, রাজধানীতে জামায়াত-শিবিরের আটককৃত ৩০ নেতাকর্মীকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল ও আশপাশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে তিনটি মামলা করে। এ মামলায় আটক ৩২ জনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মতিঝিল থানার এসআই মফিজুর রহমান। মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী শুনানি শেষে ৩০ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি দুইজন তিতুমীর কলেজের অনার্স পরিার্থী হওয়ায় তাদের রিমান্ড শুনানি আগামী ৭ নভেম্বর। ছাত্র দুইজন হচ্ছেন, হাফিজুর রহমান ও আল আমীন। পৃথক চারটি মামলায় হামিদুর রহমানসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো চার শতাধিকের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার জামায়াত-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২২ সদস্যসহ অর্শতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গাড়ি, বিআরটিসির বাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রায় ৪৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়। জামায়াত ও ছাত্রশিবির পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিােভ মিছিল করার সময়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
 
সারা দেশে শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
এদিকে গতকাল ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ হামলা চালালে রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই শতাধিক আহত ও তিনশরও বেশি গ্রেফতার হয়েছেন। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর পুলিশ বেপরোয়া ধরপাকড় শুরু করেছে।
রংপুরে মিছিলে হামলার পর পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নগরীর শাপলা চত্বরে জামায়াত অফিসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
চরফ্যাসনে জামায়াত অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির পৃথক বিবৃতিতে এ হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্রেফতার ২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলে শিবিরকর্মীদের সাথে পুলিশের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। গতকাল দুপুরে নগরীর কাজিরদেউরি থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের একপর্যায়ে তা এস এস খালেদ রোড, জামালখান এবং গনিবেকারি মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ সদস্যরা শিবিরকর্মীদের সাথে সুবিধা করতে না পেরে একপর্যায়ে পিছু হটে যায়। পরে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ২০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। তবে পুলিশের প থেকে ১১ জনকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ ক'জন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
এ দিকে এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এসে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রাবাসগুলো ঘেরাও করে। সেখানে তল্লাশি শেষে চার নিরীহ ছাত্রকে ধরে নিয়ে যায় বলে কলেজ সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া শিার্থীদের সাথে পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে ও হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম কলেজ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির সন্দেহে আরো ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে চারজন এবং গানি বেকারি এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
বিােভ মিছিলে পুলিশি হামলা ও পরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর ও দেিণর সভাপতি ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাঈল ও মসরুর হোসাইন, মুহাম্মদ মহিউদ্দীন ও সোহায়েল হোসেন। গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জানান।
রাজশাহী রণত্রে আহত ৪০ : আটক ১০
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিপে, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুরো সাহেববাজার এলাকা রণেেত্র পরিণত হয়। গতকাল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। শিবিরকর্মী সন্দেহে আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদিঘি মোড়, গণকপাড়া মোড়, রাজশাহী কলেজ ও লোকনাথ স্কুল এলাকা রণেেত্র পরিণত হয়। এসব এলাকার বেশির ভাগ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ পথচারীরা আতঙ্কে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। বর্তমানে রাজশাহী নগরীতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা নগরীতে বিােভ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে মনিচত্বর থেকে তারা পুলিশের সাথে জোট বেঁধে শিবিরকর্মীদের উদ্দেশ করে ধাওয়া করে। এতে আরো উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমীর আতাউর রহমান ও মহানগর শিবিরের সভাপতি আনিসুর রহমান বিশ্বাস।
পৃথক বিবৃতিতে বলেন, নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ছাত্রশিবিরের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শুরুর আগে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করে। পরে তারা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিপে করে। শিবিরের শান্তিপূর্ণ বিােভ কর্মসূচি শুরুর আগে পুলিশের লাঠিচার্জ ও বাধা দেয়া অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু পুলিশ সদস্য অন্যায়ভাবে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে বাধা দেন, যা কখনো প্রত্যাশিত নয়। পুলিশের লাঠিচার্জে শিবিরের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তারা দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানান।
রাবিসংলগ্ন এলাকা থেকে ১৭ জন আটক
রাবি সংবাদদাতা জানান, কোনো অভিযোগ ছাড়াই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৪ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করেছে মতিহার, বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন আবু জাফর বাবু, তাজ, আবদুল কাদের, আতাউর রহমান, সুজন, মাসুম, সাত্তার, ইসমাইল, বারী, সাইফুল, আলাল হোসেন, মখলেছুর রহমান মখলেছ, নাহারুল ইসলাম, সাজেদুল হক, মুকুল হোসেন, মিজানুর রহমান ও আশিকুর রহমান।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোমবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, মেহেরচণ্ডী, ডাঁশমারি, বুধপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ১৭ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিøষ্ট থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল আরেক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমির আতাউর রহমান রাজশাহীসহ দেশব্যাপী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে প্রজাতন্ত্রের আইনশৃঙ্খলায় কর্মরত পুলিশ বাহিনী কর্তৃক বাধা দান ও গণগ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
গোলাম পরওয়ারসহ ১১ শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় জামায়াতে ইসলামীর বিােভ মিছিলের সময় পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক হাজার ১০০ জনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পৃথক দু'টি মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা সদর থানার এসআই ফকরুল আলম ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এই মামলা করেন। পুলিশ নগরীর খুলনা সদর থানা ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায়।
অন্য দিকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক আবদুল মতিন ও মাস্টার শফিকুল আলম, সাঈদুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ফারাজীসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল রাতে ও দিনে খুলনা সদর থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুসা, সাকিব, সাইফুল ইসলাম, ইয়াসিন, এম এ বাশার ও আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমরান ইবনে ঈশাকে গ্রেফতার করে। অন্যদের ঘটনার পর রাস্তা ও মসজিদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর মধ্যে খুলনা সদর থানায় গ্রেফতারকৃত আক্তারুজ্জামান সুমন, আরিফুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, বাবুল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মশিউদ্দিন আহমেদ, আল-আমিন, মাসুদ, সাইফুল ইসলাম, সাকিব, ইয়াসিন, মুসা, এস এ বাশার, আশরাফুল আলমকে গতকাল পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত এমরান ইবনে ঈশা, মোকছেদ আলী ও আশরাফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে এবং আহত করে উল্টো পুলিশ বাদি হয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে হয়রানি করছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, খান গোলাম রসুল, জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খুলনা সদর থানা আমির অধ্যাপক জি এম শফিকুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আমির জি এম জসিম উদ্দিন ও খানজাহান আলী থানা আমির আজিজুর রহমান স্বপন এক যৌথ বিবৃতিতে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সিলেটে আহত ৫০
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে পুলিশের সাথে শিবিরকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রশিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ার শেল নিপে করে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, সিলেট মহানগর শাখার প থেকে গতকাল বেলা ২টায় নগরীর জিন্দাবাজার থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করা হয়। আগ থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্টে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা এ সময় মিছিলকারীদের ধাওয়া করার চেষ্টা করলে শিবিরকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে উভয়পরে ইটপাটকেল নিেেপ জিন্দাবাজার ও আশপাশের এলাকা রণেেত্র রূপ নেয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিগি¦দিক দৌড়াতে থাকেন। সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হন। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ার শেল নিপে করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, নাশকতার আশঙ্কায় ছাত্রশিবিরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে শিবিরকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের এসিসহ ২০ পুলিশ আহত হয়।
ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু অভিযোগ করেন, তাদের পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ৪০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
অন্য দিকে গত সোমবার জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের গতকাল আদালতে হাজির করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বরিশালে শিবিরের মিছিলে লাঠিচার্জ, আহত ৫
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর বিবির পুকুরের উত্তরপাড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি গির্জামহল্লা অতিক্রম করে ফলপট্টি এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রশিবির কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্রশিবিরের তিন কর্মী ও দুই পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। আহত শিবিরকর্মীরা হলেন শাহাবুদ্দিন, ইলিয়াস ও সোলায়মান। পুলিশ ও র‌্যাব তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন আসাদুল্লাহ, হাফেজ আবদুল কাদের ও মারুফ।
বরিশাল মহানগর শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে পুলিশ পেছন থেকে বেপরোয়া লাঠিপেটা শুরু করে। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করে তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বিনা উসকানিতে শিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, সেক্রেটারি অধ্য আমিনুল ইসলাম খসরু, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান ও অধ্য জহির উদ্দিন মু. বাবর।
রংপুরে জামায়াত কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-লুট : আহত শতাধিক
রংপুর অফিস জানায়, রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে হামলা চালায়। শিবির নেতাকর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষের সময় পুলিশ ও র‌্যাবের নির্দেশে যুবলীগ কর্মী রাজিবের নেতৃত্বে জামায়াত কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও নজিরবিহীন লুটতরাজ চালানো হয়। এ সময় কোতোয়ালি থানার ওসি, সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হন। এ ঘটনায় নগরজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এ দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে রংপুর প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান হাবু, বৈশাখী টেলিভিশনের ফটোসাংবাদিক ডালিমকে যুবলীগ ক্যাডাররা তাদের শাসায় এবং পেশাগত কর্তব্য পালনে বাধা দেয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাব হোসেন, এসআই আমিনুল, পিএসআই মহিব্বুল, এএসআই রেজাউল, সাংবাদিক মাহবুব রহমান হাবু, ফটোসাংবাদিক ডালিম, আফজাল, শাকিলসহ শতাধিক শিবির নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ওসি আলতাব হোসেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং শিবির মহানগর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি আল আমিন হাসান, শিবির নেতা জাহাঙ্গীর, রাজিব ও পলাশকে গুরুতর আহত অবস্থায় বেসরকারি কিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা আগুন নেভানোর কোনো চেষ্টা করেননি। বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে জামায়াত কার্যালয় থেকে আগুন যখন পাশের বাসায় যাওয়ার উপক্রম হয় তখন ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে জামায়াত কার্যালয়ের পাশের মৃত ডা: আব্দুস সোবহান, বিটিভির প্রেডাকশন ম্যানেজার নাজিমুল ইসলাম নাজিমের বাসা ও রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে।
এ ঘটনার পর পুলিশ নগরীর বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়েছে। এই সুযোগে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা বিভিন্ন শিবির নিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাসে গিয়ে মোবাইলসহ মালামালও লুট করে নিয়ে গেছে। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে হাফেজ আতাউর রহমান, মইনুল, বুলবুল, ইয়াসিন, বকুল, নাজমুল, মাজেদুল, রফিকুল, আজিনুর, এবাদুর ও আমিনুল নামের ১১ শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও জামায়াত শিবির নেতৃবৃন্দ। রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির মাহবুবুর রহমান বেলাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এতে অন্তত সাত-আট লাখ টাকার মালামালসহ ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জামায়াত কার্যালয়ের। পুড়ে গেছে পবিত্র কুরআন শরিফসহ বহু ইসলামি বই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশে এ ধরনের অগ্নিসংযোগ একাত্তরের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। তিনি আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কোনো সভ্য সমাজে এটা হতে পারে না। তিনি সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, জ্বালাও পোড়াও করে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
মহানগর শিবির সভাপতি মোস্তাক আহমদ বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে যেভাবে মহানগর শিবির অফিসের মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হলো, তা কেবল যুদ্ধ ক্ষেত্রেই সম্ভব। তিনি লুট করা মালামাল ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সেটা কারো জন্যই ভালো হবে না।
বগুড়ায়  গ্রেফতার ৭৭ জন
বগুড়া অফিস জানায়, গতকাল বগুড়ায় আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা পুলিশের সামনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অফিস ও কোচিং সেন্টারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শেষে লুটপাট চালিয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ লাধিক টাকার তি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শহরজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দিনে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে জামায়াত ও শিবিরের ৭৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার জামায়াতের মিছিলে পুলিশের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে জামায়াতকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর গতকাল বিনা উসকানিতে স্বেচ্ছাসবক লীগের তাণ্ডবে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
পুলিশের সামনে তাণ্ডবের ব্যাপারে এএসপি মুনিরা সুলতানা বলেন, আমি শিবির অফিস হামলার সময় বাধা দিলেও তারা বাধা মানেনি।
এ দিকে বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরে লাধিক টাকার তি হয়েছে। অন্য দিকে শিবিরের শহর শাখার প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, শহর শিবির কার্যালয় এবং রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারে প্রায় তিন লাধিক টাকার তি হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা প্রায় অর্ধ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
এসব ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর আমির আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল, শহর শিবিরের সভাপতি হেদাইতুল ইসলাম বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বিনা উসকানিতে এসব হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করার দাবি জানান।
সোমবার পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ জেলা জামায়াতের আমির শাহাবুদ্দিন, সেক্রেটারি অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, শহর আমির আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েলসহ ৩০০ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন।
পাবনায়  জামায়াত ও শিবিরের ২৪ নেতাকর্মী আটক
পাবনা সংবাদদাতা জানান, পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিবিরের জেলা সেক্রেটারিসহ জামায়াত ও শিবিরের ২৪ জন নেতাকর্মীকে রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রহীম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল এ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পইে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো সম্ভব। নিরীহ নেতাকর্মীদের রাতে ঘুম থেকে আটক করে সরকার তাদের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না বলে তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেন।
দিনাজপুরে ৪৪৯ জনকে আসামি করে দু'টি মামলা
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে পুলিশের সাথে জামায়াতে ইসলামীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে দু'টি মামলা করেছে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে শহরের গণেশতলা মোড় থেকে বিােভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পরে মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুলিশ শহরের পাহাড়পুরের পৃথিবী কোচিং সেন্টার থেকে ৯ শিক ও তিন ছাত্রসহ ১২ জন এবং অন্যান্য স্থান থেকে ছয়জনসহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর সোমবার গভীর রাতে দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির, সেক্রেটারিসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাদি হয়ে দু'টি মামলা করে। দু'টি মামলার একটি দ্রুত বিচার আইন অপরটি দণ্ডবিধি আইনে দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরো অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজবাড়ীতে ১১ শিবির নেতাকর্মী আটক
রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, পুলিশ গতকাল  সকালে ও রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১১ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এর মধ্যে রাজবাড়ী শহরের ছয়জন, পাংশার দুইজন ও বালিয়াকান্দির তিনজন ছাত্রশিবির কর্মী রয়েছেন।
রাজবাড়ী শহরে আটক কর্মীরা হলেনÑ ইব্রাহিম তালুকদার, রঞ্জু মিয়া, আবু নাসির জসিম, আকরাম হোসেন, মহাসিন শেখ ও রফিকুল ইসলাম।
নীলফামারীতে ১০১ নেতাকর্মীর নামে মামলা
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে জামায়াত-শিবিরের ১০১ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সদর থানার উপপরিদর্শক নুর আলম বাদি হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় নীলফামারী সদর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু হেলাল ও জেলা শিবিরের সভাপতি নুর ইসলামসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭৫ জনকে আসামি করা হয়। সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেদ জানান, সরকারি কাজে বাধা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াত শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শহরের বড় বাজার থেকে মিছিল বের করে কালিবাড়ি মোড়ে সমাবেশ করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উভয় পরে মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে পুলিশ ২ রাউন্ড টিয়ার শেল নিপে করে। এ সময় পুলিশ মিন্টু শাহ (৪০), রেজাউল করিম (৩৩), ফজলার রহমান (৩২) ও এনামুল হক (২৫) নামের চার কর্মীকে আটক করে। গতকাল তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতার ২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০ জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলা সদরে ছয়জন, শিবগঞ্জে চারজন, গোমস্তাপুরে ছয়জন, নাচোলে দুইজন এবং ভোলাহাট উপজেলায় একজন রয়েছেন। গত সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার মফজুল (২৩), আব্দুল্লাহ আল নোমান, (২৩), আনোয়ার হোসেন (২১), মোবারক আলী বকুল (২৫), তরিকুল ইসলাম (২২) ও রেজাউল করিম (২৫); শিবগঞ্জে আব্দুল মান্নান (২৮), মাসুম বিল্লাহ (২০), আব্দুল মজিদ (২৮), আব্দুস সালাম (৩৮); গোমস্তাপুর উপজেলার তরিকুল ইসলাম (৩৫), নাজমুল হক (২০), জহুরুল হক (৩০), নাহিদ (২৫), রুবেল (১৯) ও আলমগীর (২৫); নাচোলের আনিসুর রহমান (৫০) ও খলিলুর রহমান (৫১) এবং ভোলাহাটে শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
দিনাজপুরে গ্রেফতার ১৮
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১৮ শিবির সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার বিকেলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরে পৃথিবী কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেলিম, ফারুক, ফজলু, ফয়েজ ও দুলালসহ ১২ জন ছাত্র-শিককে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ছয়জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হবে বলে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান।
জয়পুরহাটে আহত ১৯ : গ্রেফতার ১৮
জয়পুরহাট সংবাদদাতা জানান, জয়পুরহাটে পুলিশ ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে  চার পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের পাঁচুর মোড় থেকে জামায়াত মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত লাঠিচার্জ করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ জামায়াত কর্মীদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের এসআই আসাদ ও কনস্টেবল আকতার ইটের আঘাতে ও নয়া দিগন্তের জেলা সংবাদদাতা রেজাউল করিম, শানশাইনের বিপু, বৈশাখী টিভির তুষার পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হন। পুলিশের হামলা, লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী তোফাজ্জল ইসলাম, শিবির কর্মী বদিউজ্জামান, আমিনুর রহামন, আনিসুর রহমান, সুজাউল ও কামরুল হাসানসহ ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আশঙ্কজনক অবস্থায় শিবির কর্মী বদিউজ্জামানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে পুলিশ জামায়াতের অফিস পূর্ববাজার বড় মসজিদসহ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় তল্লাশি চালিয়ে পূর্ববাজার দোকান থেকে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান (৪৫), মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫), ওষুধের দোকানদার আমিনুল ইসলাম (২৮), পথচারী রফিকুল (২৫), শিবির কর্মী রাশেদুল, চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াত কর্মী শামসুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর (৬০), জুয়েল (২০), সাহজাহান (৩৯), মনসুর (১৯), সাইদুল (৪৫), ফরিদ (৪০), আজাদ (৪০), তাজরুল (৩০) ও মুশফেকুলসহ ১৮ জনকে আটক করে।
নাটোরে শহর জামায়াতের আমিরসহ আটক ৯
নাটোর সংবাদদাতা জানান, নাটোর শহর জামায়াতের আমির আতিকুল ইসলাম রাসেল ও পথচারীসহ ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার মধ্যরাতে শহরের বলারীপাড়ার বাসা থেকে আতিকুল ইসলাম রাসেলকে ঘুম থেকে তুলে পুলিশ আটক করে। এ সময় একই বাসার পাশের ফ্যাটে থাকা বুলবুল নামের ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া শহরের বাসা, ছাত্রাবাস ও রাস্তা থেকে পথচারীসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক (৪১), আব্দুল মোমিন (২৮), মুমিন (৩০), আকতার হোসেন (২৬), হ্যাপি (১৮), বাবু আহমেদ ও জামিলুর রহমান জামিল (১৮)।
এ দিকে গতকাল নাটোরে বিােভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদণি করে চকরামপুর এলাকায় বীজ গোডাউন অফিসের সামনে সমাবেশ করে। সংপ্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা শিবিরের সভাপতি আলী আল মাসুদ মিলন।
নড়াইলে জামায়াতের ২৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
নড়াইল সংবাদদাতা জানান, নড়াইলে জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নূরুন্নবী জিহাদী, সহকারী সেক্রেটারি আয়ুব হোসেন, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ খিয়াম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আবদার, নড়াইল পৌরসভা বর্তমান কাউন্সিলর ইমরুল কায়েসসহ ২৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মামলা দায়েরের পর ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
ফরিদপুরে ছাত্রশিবির নেতা আটক
ফরিদপুর অফিস জানায়, ফরিদপুরে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শিবির নেতার নাম ইউসুফ আলী।
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে গতকাল সাতজন জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে জেলা ছাত্রশিবির শহরে মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর পুলিশ জামালপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াতকর্মী ইদ্রিস আলী, আরজু মিয়া, রাসেদ, খসরু, সিব্বির আহম্মেদ, নবাব ও জুলফিকারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত পাঁচজনকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ ও শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রশিদুজ্জামান এ গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও রাস্তা থেকে সাত জামায়াতকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
চরফ্যাসনে জামায়াত অফিস ভাঙচুর ও লুট
ভোলা ও চরফ্যাসন সংবাদদাতা জানান, ভোলার চরফ্যাসনে উপজেলা জামায়াতের অফিস ভাঙচুর ও লুট করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা। অফিস ভাঙচুরের পর অফিসের মালামাল ও ৯৬ হাজার টাকা লুট করে ক্যাডাররা।
গতকাল বিকেল ৩টার দিকে চরফ্যাসন উপজেলার সদর রোডের খাসমহল মসজিদ এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চিহ্নিত ক্যাডাররা তালা ভেঙে জামায়াতের অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান জামায়াতের নেতারা।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার আমির মাওলানা ফজলুল করিম বলেন, চরফ্যাসন উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মীরা জামায়াত অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
সাতক্ষীরায় ২২ জন আটক
সাতীরা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় গতকাল বিকেলে শিবিরকর্মীদের মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সাতীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড় থেকে কোর্ট চত্বর পর্যন্ত পুলিশের সাথে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। আগের দিনে জামায়াতের সাথে পুলিশের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় সাতীরা সদর ও পাটকেলঘাটা থানায় পুলিশ অ্যাসল্টসহ দ্রুত বিচার আইনে তিনটি মামলা করে। এই তিনটি মামলায় ৮৭ জন জামায়াতকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে গতকাল বিকেলে কোর্ট চত্বর থেকে মিছিল বের করে শিবির। মিছিলটি নিউ মার্কেট মোড়ে এলে পুলিশ মিছিলের ওপর হামলা চালায়। পুলিশÑশিবির সংঘর্ষের কারণে শহরে দোকানপাট ও ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সংঘর্ষের পর পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পথচারীসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গাইবান্ধায় আহত ২৫ আটক ১১
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধায় শিবিরের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে। পুলিশের সাথে শিবিরের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ২৫ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ ১১ জনকে আটক করে।
গতকাল শিবিরের একটি মিছিল বাসটার্মিনাল থেকে এবং অপর একটি মিছিল হকার্স মার্কেটের সামন থেকে বের হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল দু'টি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, গতকাল ভোরে পুলিশ তিন জামায়াতকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জামায়াতকর্মী আব্দুল কুদ্দুস, আফরাজুল ও নঈমুল ইসলাম। তাদেরকে হাজতে পাঠান হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি জাহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, সোমবার বিকেলে জামায়াত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিােভ মিছিল বের করে। পুলিশ তাতে বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জামায়াতের ২০ কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দেড় শতাধিক কর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হন।
নওগাঁয় ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, গতকাল নওগাঁয় জামায়াত-শিবিরের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কেরামত আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তানোর উপজেলার আলমগীর হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, নওগাঁ জেলা সাপাহার উপজেলার খাদ ইমামীর ছেলে সামসুদ্দিন, একই উপজেলার আ: গফুরের ছেলে হাবিবুর রহমান, নিয়ামতপুর উপজেলার হাসিম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, বদলগাছী উপজেলা মজিবর রহমানের ছেলে মেহেদি হাসান, আহাদুল ইসলাম, আব্দুল বারী, আনোয়ার আলম।
ফেনীতে জামায়াত-শিবিরের ৬১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনী অফিস জানায়, ফেনীতে গত সোমবার পুলিশের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা, শহর ও সদর জামায়াত এবং শিবিরের জেলা ও শহর শাখার শীর্ষ ৪৭ নেতার নামসহ ৬১৭ জনকে আসামি করে পুলিশ মামলা দিয়েছে। সোমবার রাতে এসআই হাক্কানী বাদি হয়ে এ মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে শহর জামায়াতের সেক্রেটারি আ ন ম আবদুর রহীমসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া সোমবার বিকেলে আটককৃত ১০ জনকে একই মামলায় গতকাল গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।
এ দিকে সোমবারের ঘটনার পর থেকে পুলিশ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
ছাগলনাইয়া (ফেনী) সংবাদদাতা জানান, ছাগলনাইয়ায় জামায়াতের এক কর্মীসহ সোমবার রাতে সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, গত দুই রাতে দক্ষিণ যশপুর গ্রামের ফরাজীবাড়ী থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন ও মুজিবুল হক ফরাজী নামের দুই জামায়াত কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই রাতে জঙ্গলমিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে মাইক্রোসহ পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন উপজেলার শুভপুরের কৈয়ারা গ্রামের আলীম উল্লাহ, সেলিম, হেন্জু, মিলন ও গাড়িচালক ফেনীর বাসিন্দা মাঈন উদ্দিন।
মাদারীপুরে দুই শিবির কর্মী আটক
মাদারীপুর সংবাদদাতা জানান, সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের অভিযোগে মাদারীপুর শহরের পুরানবাজার এলাকা থেকে দুই শিবিরকর্মীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
পিরোজপুরে জামায়াত নেতা গ্রেফতার
পিরোজপুর সংবাদদাতা জানান, জেলার নাজিরপুর থানা পুলিশ গতকাল নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান মল্লিককে (৪৮) গ্রেফতার করে।
ঝালকাঠিতে  গ্রেফতার ৮
ঝালকাঠি ও রাজাপুর সংবাদদাতা জানান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি ও অবৈধ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে ঝালকাঠিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রশিবির। সাধনার মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের মধ্যে প্রবেশ করার সময় পুলিশ ধাওয়া করে।
এ দিকে গতকাল সকালে নলছিটি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদসহ পাঁচ ও রাজাপুরে তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত অন্যরা হলেন রাজাপুরের জামায়াত কর্মী মাওলানা আবুল কাশেম, শামসুর রহমান, আরেফিন কবির ও কাঁঠালিয়ার জামায়াত কর্মী নিজাম উদ্দিন।
রাজাপুরে জামায়াতের তিন নেতাকর্মীকে উপজেলার ডাকবাংলো মোড় থেকে গতকাল সকালে পুলিশ আটক করে। আটকরা হলেন- উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম (৪২), জামায়াতকর্মী শামসুর রহমান (২৫) ও মো: আরেফিন (২৫)। রাজাপুর থানার ওসি মো: আতাউর রহমান জানান, আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনায় ছাত্রশিবিরের ২ নেতা গ্রেফতার
বরগুনা সংবাদদাতা জানান, বরগুনা জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে আদালতপাড়া থেকে ডেকে নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ঈশ্বরদীতে গ্রেফতার ৮
ঈশ্বরদী সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরদী উপজেলায় জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে চারজন এবং দুপুরে মিছিল শেষে দাশুড়িয়া থেকে আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন তারেকুজ্জামান বিশ্বাস (৩৬), তবিবুর রহমান (৪০), আবু তাহের (৫০), ইসমাইল হোসেন (২৮), আব্দুল জব্বার (৪৫), মতিয়ার রহমান (৩৫), মনিরুজ্জামান (২৪) ও রমজান আলী (৪৫)।
আদমদীঘিতে ৪ শিবিরকর্মী গ্রেফতার
আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়া ও আদমদীঘি থানা পুলিশ গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে আদমদীঘির গোড়গ্রাম রাস্তার পাশে মাদরাসার ছাত্রাবাস থেকে চার শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামুন হোসেন (১৯), হানজালা হোসেন (১৮), রেজওয়ানুল হক (২০) ও সোহেল হোসেন (১৮)।
গফরগাঁওয়ে জামায়াত নেতা গ্রেফতার
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে গফরগাঁও পৌর শহরের ইমামবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পৌর জামায়াতে ইসলামীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো: একরাম উল্লাহকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে তাকে ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কাহালুতে ৩ জামায়াতকর্মী গ্রেফতার
কাহালু (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, পুলিশ গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কাহালু উপজেলা সভাপতি দলিলুর রহমান (২৫) সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসেনকে (২১) মেস থেকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে গত রাতে আবুল কালাম (৩২) নামে এক জামায়াতকর্মীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জামায়াত-শিবির কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
উল্লাপাড়ায় ২ জন গ্রেফতার
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, গতকাল বিকেলে উল্লাপাড়ায় ছাত্রশিবিরের বিােভ মিছিল ও দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন। এরা হলেন শিবিরকর্মী মজনু ও শাহবাজ।
পাঁচবিবিতে ৩ জন আটক
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা জানান, গতকাল ভোরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিন জামায়াতকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন বড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস ছামাদ (৩৭), শহরের টেক্সটাইল মিল এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে জাহিদুর রহমান (২৩) এবং পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামের তাইজুল ইসলামের ছেলে সহিদুল ইসলাম (২৩)। আটককৃতদের সকালে জয়পুরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়ায় গ্রেফতার ৩
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, গত সোমবার সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াকে কেন্দ্র করে দণি জেলা জামায়াত আমির জাফর সাদেক ও উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা আবুল ফয়েজসহ জামায়াত-শিবিরের ৩৯ জন নেতাকর্মীকে এজাহারনামীয় ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে সাতকানিয়া থানা পুলিশ একটি মামলা করে। এ মামলায় মো: হারুন, সাজিদ ও ছবুর নামের তিন জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিরসরাইয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ আব্দুল মতিন, বেলায়েত হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।
মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার উপজেলার বারইয়ারহাটে শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল করায় ২৩ জনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়।
সীতাকুণ্ডে ৪ শিবির নেতা গ্রেফতার
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা  জানান, সীতাকুণ্ডে চার শিবির নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে সীতাকুণ্ডের একটি হিফজুল মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে বিনা কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পার্বতীপুরে একজন গ্রেফতার
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, পার্বতীপুরে গভীর রাতে পুলিশ সাবেক শিবির সভাপতি মো: আবু সায়েম শাহকে (৩৫) নিজ বাড়িতে ঘুম থেকে ডেকে আটক করেছে। আটক সায়েমকে ১৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৬ নভেম্বর দিনাজপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরে ৪ জন গ্রেফতার
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে চার জামায়াত নেতাকে আটক করা হয়েছে। শেরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা জামায়াত বিােভ মিছিল বের  করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ভেড়ামারায় শিবিরের ২ কর্মী গ্রেফতার
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভেড়ামারা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির খন্দকার আব্দুর রফিকের দুই ছেলে শিবিরকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলোÑ খন্দকার মহসীন (২০) ও খন্দকার জাবেদ (১৮)। গতকাল ভোরে পূর্ব বামনপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায় ।
জামায়াত ও শিবিরের নিন্দা
জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী ছাত্রলীগের হামলা-নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান।
আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া, নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে পুলিশের হামলা, জেলা আমির আবদুল মোনেমকে গ্রেফতার, সারা দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া, নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে পুলিশের হামলা, জেলা আমির আবদুল মোনেমকে গ্রেফতার, সারা দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও র‌্যাবের সামনে রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। অফিসে রতি কুরআন-হাদিস, বিভিন্ন দলিলপত্র, আসবাবপত্র ও কম্পিউটার পুড়িয়ে দেয় তারা। কিন্তু পুলিশ ও র‌্যাব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করেছে। গতকাল জামায়াত নেতা বলেন, নোয়াখালীতে পুলিশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিলে হামলা করার পর জামায়াতে ইসলামীর অফিসে হামলা করেছে এবং জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল মোনেমের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেছে। নোয়াখালী শহর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ সারা দেশে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মতায় থাকার চেষ্টা করছে। সরকার বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার এভাবে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে মতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাই সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
৫ ও ৬ নভেম্বর সারা দেশ থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য ড. শফিকুর সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শিবিরের বিবৃতি : শিবিরের মিছিলে পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলা, গ্রেফতার, অফিস ভাঙচুরের নিন্দা
অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে ছাত্রশিবিরের দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলা, গ্রেফতার, রংপুর ও বগুড়ায় পুলিশের পাহারায় জেলা অফিসে ছাত্রলীগের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল মো: আবদুল জব্বার বলেন, গতকাল সারা দেশে শিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীতে শিবিরের মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ রাজশাহী, সিলেট, ঝিনাইদহ, নরসিংদী, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ন্যক্কারজনক আক্রমণ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারের এই স্বৈরাচারী অবস্থান দেশবাসীকে হতবাক করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের প্রত্য মদদে গত রাতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রংপুরে ও বগুড়ায় জামায়াতের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের এ আচরণ লজ্জাজনক। এভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সরকার নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। দেশ ও জাতি সরকারের স্বৈরাচারী অবস্থান সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত আছেন। সরকার যত নির্যাতন করবে, আন্দোলন ততই তীব্র আকার ধারণ করবে।
নেতৃবৃন্দ এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আচরণ থেকে বিরত থাকতে এবং গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আরো নিন্দা : এ ঘটনায় আরো নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উপদেষ্টা সাবেক সচিব ব্যারিস্টার হায়দার আলী, চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও মহাসচিব মিলন মল্লিক। জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচিতে হামলা সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব বলে উল্লেখ করেন তারা। একই সাথে তারা আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন এবং হামলা-মামলা বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

১০টি মন্তব্য

  1. আর.এইচ.মামুন says:
    গণ গ্রেফ্তার, মামলা, হামরা করে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। চাই চাপা আগুন জ্বলে উঠছে যখন আর থামনো যাবে না এ আগুন।
  2. Saleh Ahmed says:
    দেশ মুলত এখন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তবে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী আচরণ তাদের পতনকে তরান্বিত করবে।
  3. Jahangir says:
    জামায়াত-শিবিরের কর্মসূচিতে হামলা সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব
  4. Jahangir says:
    পুলিশ সারা দেশে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মতায় থাকার চেষ্টা করছে
  5. M Salahuddin says:
    আমরা করব জয় –আমরা করব জয়–আমরা করব জয়…….এক দিন ……ইনসআললাহ ।
  6. কাজী খোরশেদ আলম says:
    আন্দোলন করে এই জালেম সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জালেমদের ক্ষমতা বেশি দিন থাকে না। তারা তো সয়তানের পুজা করে। তাই তাদের স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী।
  7. Rayhan says:
    ধর ধর শিবির ধর, বাকশাল আবার কায়েম কর।
  8. বাংলার জনগন says:
    গনতন্ত্র মুক্তি পাক হাসিনাতন্ত্র নিপাত যাক। আল্লাহুম্মা আমিন।
  9. abu jarir says:
    বেচারা পুলিশ!
    এতদিন ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়েছে। এমিপির থাপ্পর খেয়েছে। কিন্তু তাতে কোন আফসোস ছিলনা। কারন সবদিক থেকে মার খেলেও জামায়াত শিবিরকে পিটিয়ে হাতের সুখ মিটাতে পারছিল। কিন্তু কিসে যে কি হল? ভিতুর ডিম জামায়াত শিবিরও এবার ঘুড়ে দাড়িয়েছে!! এখন তারাও ছেড়ে কথা বলছেনা!!!
    পেশাদারিত্ব হারিয়ে সরকারের পেটয়া বাহিনি হয়েছে বলেই ঘাটে পথে তাদের এখন নাকানি চুবানী খেতে হচ্ছে।
    পুলিশের কাজ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কারও গণতান্ত্রীক অধিকারে হস্থক্ষেপ করা তাদের কাজ নয়। তারা যখন অনধিকার চর্চা করছে তখন নিজেরাও চর্চিত হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না।
    ৬৯ এর গণ অভ্যুথ্যানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল, ৯০ এর গণ অভ্যূথ্যানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে আজও সেই জনতাই মাঠে শুধু সাইনবোর্ড বদলিয়েছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল হয়ে এখন শিবিরের হাতে চলে আসছে নেতৃত্ব।
  10. AZAD says:
    Government should relished the circumstance and avoid violation.






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___