Banner Advertiser

Monday, May 18, 2015

[mukto-mona] Fw: ক্ষমতায় থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। [1 Attachment]

[Attachment(s) from Muhammad Ali man1k195709@yahoo.com [mukto-mona] included below]



On Monday, May 18, 2015 10:57 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


সোজা বাংলায় একটা কথা বলি ভাই। ধরুন '৭৫ এ বঙ্গবন্ধু মারা যান নি। বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে কি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলাম আর বিএনপি নামে কোনো রাজনৈতিক দল থাকতো ? প্রশ্নই ওঠেনা ! সরকারী দল , বিরোধী দল দুটোই থাকতো স্বাধীনতার  পক্ষের। আর ভোটের লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর দল ছাড়া অন্য কোনো দল ক্ষমতায় আসতো কিনা সন্দেহ। তাই ধরে নিন বাংলাদেশে বর্তমানে সেই অবস্থা বিরাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকবে , সেটাই তো সাভাবিক। 





__._,_.___

Attachment(s) from Muhammad Ali man1k195709@yahoo.com [mukto-mona] | View attachments on the web

1 of 1 Photo(s)


Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] RE: ধর্মান্ধতা ও ধর্মবিদ্বেষের সাঁড়াশিতে মানবতার ত্রাহি মধুসূদন



লেখাটি শেয়ার করলাম। লেখার প্রসাদগুণে। এবার তর্ক হলে হোক
নাস্তিকতা নিয়ে বাড়াবাড়ি



কোন মেসতরী নাও বানাইলো, কেমন দেখা যায়,
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খী নাও ৷


বাউল কবি শাহ আব্দুল করিমের গান ৷ বাউলরা এভাবে গান গেয়ে ইশ্বরের উপাসনা করে, ইশ্বর আর সৃষ্টিকে নিয়ে আমাদেরকে ভাবনায় ফেলে দেয় ৷ তাই তো, কোন মিস্তরী বানালো এই নৌকা ! এই মহাবিশ্ব তৈরির পিছনে কোনো কারিগরের হাত আছে কি ? ইশ্বর যার নাম ?
Why there is something rather than nothing ? হাল আমলের কিছু নাস্তিক দাবী করছেন যে এই চরম প্রশ্নের জবাব নাকি তাদের জানা হয়ে গেছে ৷ যুক্তরাজ্যের বিবর্তন-বিশেষজ্ঞ Richard Dawkins এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট পদার্থবিদ Lawrence Krauss এইসব নাস্তিকদের চাঁই ৷ এই দুজনের প্রভাব বিশেষভাবে পড়েছিল অভিজিৎ রায়ের উপরে, যাকে ধর্ম-জঙ্গীরা ঢাকার রাজপথে কুপিয়ে হত্যা করে ৷ "A universe from nothing: Why there is something rather than nothing," নামে একটি বই লিখিছিলেন Krauss ২০১২ সালে ৷ আর Dawkins বলেছিলেন এই বই নাকি মানুষের চিন্তার জগতে Darwin এর বিবর্তণবাদ নিয়ে লেখা বইটির মত যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে ৷ মনে আছে পড়িমরি করে ছুটেছিলাম বইটি যোগাড় করতে ৷ গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পড়ে অবাক হয়ে ভেবেছিলাম এর মধ্যে নতুন কি আছে ? Vacuum-genesis এর খোশ-গল্প ? নতুন বোতলে পুরানো মদ ! দার্শনিক Wittgenstein এর সতর্কবাণী মনে পড়লো: Whereof one cannot speak, thereof one must be silent ৷ চরম প্রশ্নের উত্তরটা অজানাই রয়ে গেল ৷
রামায়নে পড়েছি ইন্দ্রজিত মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করে রাম-লক্ষণকেও কাবু করে ফেলেছিলেন ৷ Krauss যুদ্ধ করেন পদার্থবিদ্যার কিছু জার্গনের আড়াল থেকে: quantum fluctuation, unstable vacuum, ইত্যাদি ৷ এমন সব শব্দ যা সাধারণ লোকের নাগালের বাইরে ৷ শূন্যের মাঝে কনা ও প্রতিকণা ক্ষনিকের জন্যে জন্মায়, আবার যায় মিলিয়ে ৷ তাই বলে মানুষ, পৃথিবী, বিশ্ব ? আমাদের ১৪ বিলিয়ন বছরের ঘর-সংসার ? পদার্থবিদ্যার আইনগুলিই বা কোথায় থেকে এলো ? কোয়ান্টাম field কেন এমন নাচে ? Renormalization এর কথা মনে আছে কি ? অসীম এনার্জি কে কার্পেটের তলায় লুকিয়ে ফেলা ? কোয়ান্টাম সুড়সুড়ি দিয়ে কেন এই মিথ্যে আশার প্রলোভন ? বই কেনার পুরো টাকাটাই গচ্চা গেল ৷ Krauss সাহেব কিছু বই বেচলেন, বাচ্চালোক হাততালি দিল, অভিজিত রায় প্রাণ হারালেন ৷ আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেলাম ৷
আর বলিহারি বিবর্তন-বিশেষজ্ঞ Dawkins ! এই বইটির তুলনা Darwin এর "The Origin of Species ?" এমন কান্ডজ্ঞানহীন কথা তাঁর মত বিজ্ঞানী কেমন করে বলেন ! প্রচন্ড ধর্ম বিদ্বেষে Dawkins বিজ্ঞানীর নিরপেক্ষতাবোধ হারিয়ে ফেলেছেন ৷ তাঁর ভক্তরা তাঁর চেয়েও সোচ্চার ৷ চলছে নাস্তিকতা-activism, ঠান্ডা মাথার বদলে ধর্মীয় আবেগ আর উদ্দীপনা ৷ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি তো চলছে সারাক্ষণ, Dawkins আর তাঁর ভক্তরা এবার শুরু করেছে নাস্তিকতা নিয়ে বাড়াবাড়ি ৷
Nothing, শূন্য বা vacuum বলতে যে ঠিক কি বোঝায় তা কেউ জানে না ৷ শূন্যের ভিতরে কোয়ান্টাম ফিল্ডের এলোপাথাড়ি ঝড় বইছে ৷ এনার্জি এবং সময়ের অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে কনা-প্রতিকনার জোড়া ক্ষনিকের অতিথী হিসেবে আসে, আবার মিলিয়ে যায় ৷ ধরুন একজন বিজ্ঞানী পার্কের বেঞ্চিতে বসে আছেন ৷ চারিদিকে গাছ গাছালি, তবে সবই ঝিম মেরে বসে আছে, একটুও বাতাস নেই ৷ ভদ্রলোক চোখের অসুখে ভুগছেন, কোনো কিছু একেবারে স্থির হয়ে থাকলে উনি তা দেখতে পান না ৷ যা নড়াচড়া করে তাই শুধু তাঁর নজরে পড়ে ৷ হঠাৎ উঠলো ঝড় ৷ গাছের ডালগুলি নাচাতে শুরু করলো ৷ ভদ্রলোকের মনে হলো যেন শূন্য থেকে গাছগুলি জন্ম নিলো ৷ বিজ্ঞানীদের চোখে গন্ডগোল আছে আমি তা বলছিনা ৷ এটা শুধুই একটা উপমা ৷ পৃথিবীতে ঝড় কেন হয় তা আমরা জানি, কোয়ান্টাম ঝড়ের উৎস কারো জানা নেই ৷
যে যার খুশিমত আস্তিক, নাস্তিক বা অজ্ঞাবাদী (agnostic) হতে পারে ৷ অন্যজনের পছন্দকে অসন্মান করা কি খুব জরুরী ? আস্তিক মানেই ক্ষীণবুদ্ধি, এমন নির্বুদ্ধিতা Dawkins এর শোভা পায় না ৷ পৃথিবীর খ্যাতিমান দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ অনেকই নাস্তিক ছিলেন, কিন্তু নাস্তিকতা নিয়ে এরা কেউ বড়াই করেছেন বা বিশ্বাসীদের ঘাটো করে দেখেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ আইনস্টাইন বলেছিলেন, "There are only two ways to live your life. One is as though nothing is a miracle. The other is as though everything is a miracle." আইনস্টাইনের সাংসারিক বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে কিন্তু বিজ্ঞানের রাজ্যে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করা মূঢ়তা ৷ তাঁর মতে miracle-বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের অবস্থান সমান যুক্তিযুক্ত ৷ সব miracle এর সেরা miracle হলো ইশ্বর ৷
"মহাবিশ্বের মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে ৷"
সব কিছুর মধ্যে বিস্ময় খুঁজে পাওয়ার একটা আনন্দ আছে ৷ আস্তিকদের মুর্খ ভেবে Dawkins এর মতো নাস্তিকরা যে সুখ পান, এ আনন্দ তার চেয়ে ঢের গভীর ৷ পথের শেষে ইশ্বর যদি নাই বা জোটে, পথের আনন্দ তো জুটলো ৷ "ক্ষতি কি, তাতে ক্ষতি কি ! কেহ বা আপনি স্বাধীন, কাহার নয়নে লেগেছে ঘোর ৷"
সেই আদি প্রশ্নটি আবার ভালোভাবে উত্থাপন করা যাক:
"Nothing" is simpler than "something." Why then there is something rather than nothing ? এই প্রশ্নের উত্তর আজও কারো জানা নেই ৷ পন্ডিতেরা মিছেই জল ঘোলা করছেন ৷ জীবনে এই সব প্রশ্নের উত্তরের আশা ছেড়ে দিয়েছি ৷ এখন প্রশ্নকেই ভালবাসতে শিখেছি ৷



Date: Mon, 18 May 2015 15:47:04 +0000
From: bangladeshiamericans@googlegroups.com
To: bangladesh-prograssive@googlegroups.com
CC: bangladeshiamericans@googlegroups.com; americanbangladeshi@googlegroups.com
Subject: ধর্মান্ধতা ও ধর্মবিদ্বেষের সাঁড়াশিতে মানবতার ত্রাহি মধুসূদন

ধর্মান্ধতা ও ধর্মবিদ্বেষের সাঁড়াশিতে মানবতার ত্রাহি মধুসূদন

ক্যাটেগরিঃ ধর্ম বিষয়ক
  148
ধর্ম হলো বিশ্বাস- পাপ ও পূণ্যের বিশ্বাস, লৌকিকতা ও অলৌকিকতার বিশ্বাস, নৈতিকতা ও অনৈতিকতার বিশ্বাস, বিশ্বাসযোগ্যতায় বিশ্বাস আবার অবিশ্বাসযোগ্যতায়ও বিশ্বাস; আনুগত্য- বিশ্বাস, প্রার্থনা ও অনুসরণের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য, অবতারগণের প্রতি আনুগত্য, প্রচারকগণের প্রতি আনুগত্য আর অনুচরগণের প্রতি আনুগত্য; লিপিবদ্ধ বা অলিখিত জীবন বিধান-ইহজাগতিক সুখ-শান্তি লাভের উপায়, স্বর্গালোকে সুরক্ষা লাভের উপায়, স্রষ্টা ও সৃষ্টির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উপায়, বিশ্বাস ও আনুগত্যের মোড়কে আবদ্ধ মানবিকতার নির্দেশমালা; রীতিনীতি- ঐ বিধান অনুযায়ি বিশ্বাস লালন-পালনের ঐতিহ্যগত ক্রিয়াকলাপ, ঐ আনুগত্য প্রদর্শনের শৃঙ্খলিত সামষ্টিক কর্মপন্থা, এবং কর্ম- স্রষ্টার সন্তুষ্টিতে ও সৃষ্টির কল্যাণে কর্ম, বিশ্বাসের কর্ম, আনুগত্যের কর্ম ও ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের মাধ্যমে জীবন বিধান নির্দেশিত কর্ম। ধর্মের অস্তিত্ত্ব থাকে বিশ্বাস ও আনুগত্যে এবং প্রথাগত রীতিনীতির মাধ্যমে তা প্রকাশ ঘটে আস্তিক বা ধার্মিকদের গোষ্ঠীগত সার্বিক কর্মকাণ্ডে।
অপরদিকে, নাস্তিক্যবাদ হলো উত্তরবিহীন যৌক্তিক প্রশ্ন সম্বলিত ভাবাদর্শ- স্রষ্টার অস্তিত্ত্বের দর্শন নিয়ে প্রশ্ন, স্রষ্টার অবতারগণের বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন, অলৌকিকতা নিয়ে প্রশ্ন, ধর্মীয় জীবন বিধানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন; বদ্ধমূল সংশয়- ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে সংশয়, ধর্মীয় আনুগত্যের যৌক্তিকতা নিয়ে সংশয় ও ধর্মীয় জীবন বিধান নির্দেশিত রীতিনীতি সম্বলিত ধর্মীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশয়; সংশয়জাত অবিশ্বাস- স্রষ্টায় অবিশ্বাস, স্রষ্টা-সৃষ্টির সম্পর্কে অবিশ্বাস ও অবিশ্বাসযোগ্য সকল বিষ্ময়ে অবিশ্বাস; বিশ্বাস- অবিশ্বাসে বিশ্বাস, স্রষ্টার বিপরীতে প্রাকৃতিক জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বিশ্বাস, প্রার্থনার বিপরীতে সেবায় বিশ্বাস, অলৌকিকতার বিপরীতে যুক্তিবাদীতায় বিশ্বাস, ধর্মীয় রীতিনীতির বিপরীতে মানবতায় বিশ্বাস; এবং কর্ম- প্রার্থনায় স্রষ্টার সন্তুষ্টির পরিবর্তে জ্ঞানের পূজা ও স্বর্গালোকে সুরক্ষার পরিবর্তে ইহজীবনের সেবামূলক কর্মকাণ্ড। নাস্তিক্যবাদের অস্তিত্ত্ব থাকে অবিশ্বাসের বিশ্বাসে ও ঐ বিশ্বাসের আনুগত্যে এবং তা প্রকাশ ঘটে প্রথাবিরোধী রীতিনীতির মাধ্যমে নাস্তিকদের ভিন্ন ভিন্ন কর্মকাণ্ডে।
আস্তিক বা ধার্মিক ও নাস্তিকগণ উভয়ই বিশ্বাসী ও পূজারি। ধার্মিকেরা স্রষ্টায় বিশ্বাসী, নাস্তিকেরা স্রষ্টাহীনতায় বিশ্বাসী। ধার্মিকেরা অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে, পক্ষান্তরে, নাস্তিকেরা যুক্তিবাদিতায় বিশ্বাস করে। এক পক্ষ স্রষ্টার আরাধনা করে, অন্যপক্ষ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পূজা করে, মানবতার পূজা করে। ধর্ম যুক্তি-তর্কের অনেক ঊর্ধ্বে প্রথাগত এক পরম বিশ্বাস বলে ধর্ম সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না বা দেয় না বা দিতে পারে না। উত্তরহীন ঐ সকল প্রশ্ন ধীরে ধীরে সংশয়ের জন্ম দেয়, সংশয় থেকে জন্মে অবিশ্বাসে বিশ্বাস- নাস্তিকতা। আর সব ধর্মের মতো নাস্তিকতাও একটি ধর্ম, অবিশ্বাসে গড়ে ওঠা বিশ্বাসের ধর্ম। ধর্মেই এর জন্ম বলে এটি কখনো ধর্মের উপরে যেতে পারে না। জন্মসূত্রে মানুষ কোন না কোন ধর্মে আস্তিক এবং ধর্মের দুর্বলতার কারণে সে নাস্তিকে রূপান্তরিত হয়। নিয়মিত দাড়ি-গোঁফ-নখ না কাটলে মানুষ যেমন বন্য হয়ে ওঠে, তেমনিভাবে অযত্নে লালিত ধর্ম বিশ্বাসের নিরুত্তর মতবাদ থেকে নাস্তিক্যবাদের জন্ম হয়।
ধর্মের পদসোপানে যেমন ধার্মিকের নীচে থাকে ধর্মভীরু, তেমনি নাস্তিকতার ক্ষেত্রে থাকে সংশয়বাদী। ধর্মভীরুরা ধর্মের বিতর্কিত প্রশ্নকে ভয় পান, উত্তর দিতেও ভয় পান। এরা চাঁদে কারো মুখের ছায়াকে বিশ্বাস করে না, তবে এর বিরুদ্ধবাদকে ধর্মচ্যুতি বলে মনে করে। সংশয়বাদীরা সন্দেহের দোলাচালে দুলতে থাকে- তাঁরা ধর্মকে বিশ্বাস করে না আবার নাস্তিকতাকেও ভয় পায়। এরাও চাঁদে কারো মুখের ছায়াকে বিশ্বাস করে না, তবে সামাজিক সুখ-শান্তি-শৃঙ্খলার দায়বদ্ধতায় উদ্ধত প্রতিবাদকে যৌক্তিকতার মাপকাঠিতে করণীয় বলে ভাবতে পারে না। মধ্যবিত্তের মতো আমাদের সমাজে ধর্মভীরু ও সংশয়বাদীদের সংখ্যাই বেশী।
সমাজে ধর্ম ও নাস্তিকতার যমজ বেজন্মা রয়েছে- ধর্মের বেজন্মা ধর্মান্ধ আর নাস্তিকতার ধর্মদ্বেষী। এর ধর্মের ক্যান্সার, নাস্তিক্যবাদের টিউমার। এরা সমাজের ক্ষত, রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব। এক পক্ষ কলমের মাথায় সূচ বসিয়ে ধর্মের পশ্চাৎদেশ রক্তাক্ত করছে, আরেক পক্ষ চাপাতি দিয়ে রক্তের বিনিময়ে মস্তক কেড়ে নিচ্ছে। একজন ভূমিকম্পকে ধর্ম দ্বারা ব্যাখ্যায়িত করছে আর অন্যজন অবিশ্বাসের বিষাক্ত দাঁত দিয়ে বিশ্বাসের ধমনী কামড়ে ধরছে। ধর্মান্ধরা স্বীয় ধর্মকে সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণের জন্য, অন্য ধর্মের উপরে নিজ ধর্মকে আসীন করার জন্য, নিজ ধর্ম দ্বারা অন্য ধর্মকে প্রতিস্থাপনের জন্য মরিয়া হয়ে গেছে; অন্যদিকে ধর্মবিদ্বেষীরা নিজের যুক্তি দিয়ে ধর্মকে হীন প্রতিপন্ন করার জন্য, নিজের বিশ্বাসকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য, নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করে সস্তা প্রচার লাভের জন্য বারংবার নিরীহ ধর্মকে আঘাত করে চলেছেন। এরা ভুলে গেছে এখনও বিশ্বের ৮৪ শতাংশ (৫.৮ বিলিয়ন) মানুষ কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাস করে, ভুলে যায় বিশ্বে কোন ধর্মই এককভাবে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকে পৌঁছুতে পারেনি, অর্থাৎ, অবিশ্বাসে বিশ্বাসীরা এখনও অতি নগন্য এবং পৃথিবীতে কোন ধর্মেরই একক কোন আধিপত্য নেই।
আস্তিক্য ও নাস্তিক্যের মাঝে রয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িকতা। ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো এমন একটি মতবাদ, চিন্তাধারা ও বিশ্বাস যা কোন ধর্মাশ্রিত বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা বা পবিত্র-অপবিত্রতার দায়ভার নিয়ে গড়ে ওঠে না। বায়ুর ধর্ম, জলের ধর্ম, সূর্যের ধর্ম ধর্ম নিরপেক্ষতার ধর্ম। এদের কাছে সমগ্র জাতির একটি ধর্ম, মানব কল্যাণের ধর্ম। ব্যবহারিক অর্থে, ধর্ম নিরপেক্ষতা সমাজের অন্তর্গত সব মানুষের সকল ধর্মের সাম্যাবস্থা নির্ধারণ করে ও ধর্মের ভিত্তিতে শ্রেণিবিণ্যাস রোধ করে। তাই অন্য যে কোন ধর্মের মতো নাস্তিক্য ধর্মও সমাজে টিকে ছিল, আছে, থাকবে। অনেকে এক ও অভিন্ন মনে করলেও ধর্ম নিরপেক্ষতা নাস্তিক্যবাদ নয়, হতে পারে না।
সাম্প্রতিক একটি প্রবণতা লক্ষণীয়- নাস্তিক্যবাদের মোড়কে ধর্মবিদ্বেষকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে চালিয়ে দেয়া। এরই লেজে ঝুলতে আরো কয়েকটি ধারণা- ধার্মিক মানে ধর্মান্ধ আর ব্লগার মানে নাস্তিক, নাস্তিক মানে মুক্তমনা, প্রগতিশীল, বিজ্ঞান-মনষ্ক। যেমন কিছু নাস্তিক ব্লগার হলেও সব ব্লগার নাস্তিক নয়, তেমনি সব ধার্মিক ধর্মান্ধ নয়। যেমনিভাবে ইসলামী বই হলেই জিহাদী বই হয়ে যায় না, তেমনি ধর্মদ্বেষী হলেই মুক্তমনা, বিজ্ঞান-মনষ্ক নাস্তিক হওয়া যায় না। কারণ 'ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, আর বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ' (আলবার্ট আইনস্টাইন)।
আমরা ধামির্ক চাই, ধর্মান্ধ নয়; নাস্তিক চাই ধর্মদ্বেষী নয়।


--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___