Banner Advertiser

Tuesday, August 26, 2014

[mukto-mona] আমাদের রাজনৈতিক আদর্শের চারটি স্তম্ভ - ওয়াহিদ নবি




বুধবার, ২৭ আগষ্ট ২০১৪, ১২ ভাদ্র ১৪২১
আমাদের রাজনৈতিক আদর্শের চারটি স্তম্ভ
ওয়াহিদ নবি
রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক আদর্শিক ভিত্তি থাকতেই হবে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য হবে আদর্শের পার্থক্য। রাজনৈতিক আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত রাজনৈতিক আদর্শ। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে না। আমাদের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে প্রধানত পারস্পরিক দোষারোপ, যার প্রধান বক্তব্য হচ্ছে দুর্নীতি ও যথেচ্ছাচার। দলীয় নেতাদের মুখে আদর্শের কথা না শোনায় দলীয় কর্মীরাও আদর্শের কথা বলে না এবং যার ফলে তারা কিছু শিখছে না রাজনীতি সম্বন্ধে। এর ফলশ্রুতিতে এমনকি ছাত্র রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি ব্যবসায়িক প্রবণতা। এই প্রবণতা আমাদের পরিহার করতে হবে। বেরিয়ে আসতে হবে আদর্শহীনতার গাঢ় অন্ধকার থেকে। 
আমাদের রাজনৈতিক আদর্শের চারটি স্তম্ভ হচ্ছে (১) জাতীয়তাবাদ, (২) ধর্মনিরপেক্ষতা, (৩) সমাজতন্ত্র ও (৪) গণতন্ত্র। আমরা এই স্তম্ভগুলো সম্বন্ধে অতিসংক্ষেপে আলোচনা করব এই আশায় যে, এগুলো সম্বন্ধে বিস্তৃততর ও গভীরতর আলোচনা হবে।
জাতীয়তাবাদ 
১৮৮২ সালে ফরাসী দার্শনিক আর্নেস্টো রেনাঁ একটি মহামূল্যবান ভাষণ দেন জাতীয়তাবাদ সম্বন্ধে। জাতীয়তাবাদ সম্বন্ধে আলোচনা হলে রেনাঁর এই ভাষণের কথা কেউ না কেউ উল্লেখ করবেনই। অথচ ছাপার অক্ষরে এই ভাষণটি মাত্র ৭২ লাইন। রেনাঁ বলেছিলেন "অতীতে আমাদের পূর্বপুরুষরা যে বীরত্বপূর্ণ গৌরবগাথা সৃষ্টি করেছিলেন তাই হচ্ছে আমাদের জাতীয়তার ভিত্তি। বর্তমানে আমরা যখন অতীতের সেই গৌবের কথা স্মরণ করে সমষ্টিগতভাবে ভবিষ্যতে মহান কাজ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করব তখন আমরা একটা প্রকৃত জাতি গড়ে তুলব।" তিনি আরও বলেছিলেন, ''অতীতের গৌরবের চেয়ে অতীতের শোক ও দুঃখ আমাদের কাছে বেশি মূল্যবান। কারণ দুঃখ আমাদের কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে এবং একত্রে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।'' একাত্তরে বাঙালী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের গৌরবগাথা। আমাদের মুক্তিবাহিনীর বীরত্ব, আমাদের মিত্র ভারতীয় বাহিনীর প্রায় ২০ হাজার সৈনিকের আত্মদান, রাশিয়ার মানুষের সর্বাত্মক সমর্থন-এসব আমাদের মানসনেত্রে চিরজাগরুক থাকবে। কিন্তু এর চেয়েও বড় ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, শতসহস্র নারীর সম্ভ্রম হারানো, অগণিত আহত মানুষের সীমিত জীবনযাপন-এগুলো আমাদের শোকগাথা। আমাদের গৌরবগাথা আর শোকগাথা আমাদের কর্তব্যবোধকে জাগরিত করুক। এই হোক আমাদের জাতীয়তার ভিত্তি। 
রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'আত্মশক্তি' গ্রন্থের 'নেশন কি' প্রবন্ধে জাতি সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইংরেজী 'নেশন' শব্দের কোন বাংলা প্রতিশব্দ নেই। তিনি বলেছেন যে ইংরেজী race ev caste শব্দগুলোর বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে 'জাতি'। এসব কথা চিন্তা করে তিনি 'নেশন' শব্দটিই ব্যবহার করেছেন। দেখা যাচ্ছে জাতীয়তাবাদ বিষয়টি বেশ জটিল। সেক্ষেত্রে ভুঁইফোঁড় কোন রাজনীতিবিদের দেয়া জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা আমরা যেন গ্রহণ না করি। রেনাঁ বলেছিলেন ''মানুষ তার গোত্র বা ভাষার দাস নয়, তার ধর্মেরও দাস নয়। একটি বিশাল মানবগোষ্ঠী যখন সুস্থ মস্তিষ্ক আর উষ্ণ হৃদয় নিয়ে একটি নৈতিক চেতনা গড়ে তোলে তখন একটা জাতি গড়ে ওঠে।'' 
রেনাঁ যে ধরনের জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন তাকে 'সিভিক জাতীয়তাবাদ' বলে বর্ণনা করা হয়। আর এক ধরনের জাতীয়তাবাদের কথা বর্ণনা করেছেন জার্মান চিন্তাবিদ জোহান গটফ্রিড হার্ডার। একই বংশোদ্ভূত মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠে এই ধরনের জাতি। ইচ্ছুক মানুষদের নিয়ে গড়ে ওঠে সিভিক ধরনের জাতি। জাতীয়তাবাদ হিসেবে সিভিক জাতীয়তাবাদ অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী। অনেকে মনে করেন, একটি দেশের প্রয়োজন হয় একটি জাতির। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। কুর্দীরা একটা বিশাল জনগোষ্ঠী। এদের নিজের কোন দেশ নেই। এরা ইরাক, ইরান ও তুরস্কে বাস করে। এই জাতীয় জাতিকে 'ডায়াসুপারা' বলা হয়। কানাডা, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডে একাধিক বংশোদ্ভূত জাতি বাস করে। লেবাননে মুসলিম ও খ্রীস্টানরা বাস করে। পৃথিবীতে এমন দেশ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে একই বংশোদ্ভূত জাতি যাঁরা একই ভাষায় কথা বলেন এবং একই ধর্ম পালন করেন। 
মার্কিন লেখক বেনেডিক্ট এন্ডারসন তাঁর বিখ্যাত বই 'ইমাজিনড কমিউনিটি'তে লিখেছেন যে, জাতিগুলো আসলে কল্পিত। তিনি বলেছেন যে, একটি জাতির স্বল্পসংখ্যক মানুষকে পরস্পরকে চেনে। এন্ডারসন প্রশ্ন করেছেন, 'তবে সেই জাতির জন্য সে প্রাণ দিতে যায় কেন?' 
এন্ডারসন জাতিসত্তার জন্মের কথা আলোচনাকালে বলেছেন, জাতীয়তাবাদের জন্ম হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে পশ্চিম ইউরোপে। এই সময় রাজার প্রতাপ কমে যায় এবং সেই সময় প্রভাব কমে যায় ধর্মভিত্তিক চিন্তাধারার। এর আগে সমাজ ছিল শ্রেণীবিভক্ত। রাজ্য ছিল রাজধানীভিত্তিক। সমস্ত ইউরোপে ধর্মের ভাষা ছিল লাতিন। এই 'পবিত্র ভাষার' মাধ্যমে ক্ষমতাবানরা অক্ষরজ্ঞানহীন প্রজাদের শাসন করত। আমাদের দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে একই চিত্র দেখা যায়। আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় ধর্মচর্চা নিষিদ্ধ ছিল। আমাদের মধ্যযুগের কবি সৈয়দ সুলতান, বদিউদ্দিন, আব্দুল হাকিম প্রমুখ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। 
ইউরোপে রেনেসাঁসের প্রভাবে মানুষ পার্থিবমনা হয়ে ওঠে। রাজা আর পাদ্রীরা প্রভাব হারিয়ে ফেলে। ছাপাখানা আবিষ্কার হওয়ায় বিভিন্ন ভাষায় বাইবেল প্রকাশিত হয়। মানুষ মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়ে শিক্ষিত হয়ে ওঠে।
আমাদের নিজ দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখি-এখানে একে একে এসেছে মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেনরা। ধর্মে ধর্মে যুদ্ধ হয়েছে। পালরা বাঙালী ছিল; কিন্তু তারা ছিল বিহারকেন্দ্রিক। যদিও গণতন্ত্রের ইতিহাসে বলা হয় যে, গোপাল প্রজাদের ইচ্ছায় রাজ্যশাসনভার গ্রহণ করছিলেন কিন্তু; তিনি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জেলের সন্তান দিব্যক-এর নেতৃত্বে প্রজারা বিদ্রোহ করেছিল।
*(অন্য তিনটি স্তম্ভ নিয়ে লেখক পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবেন)
লেখক : রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো
প্রকাশ : বুধবার, ২৭ আগষ্ট ২০১৪, ১২ ভাদ্র ১৪২১

Also read:

উপ-সম্পাদকীয় | কালের কণ্ঠ

আমাদের একঘেয়েমি বোধটাও কি ভোঁতা হয়ে গেছে! 


http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2014/08/26/121133







__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তিযুদ্ধে স্বামীর ভূমিকা জানতে চাওয়ায় তেলে-বেগুনে জ্বললেন দিলারা চৌধুরী



মুক্তিযুদ্ধে স্বামীর ভূমিকা জানতে চাওয়ায় তেলে-বেগুনে জ্বললেন দিলারা চৌধুরী

গণমাধ্যম | ১০ ভাদ্র ১৪২১ | Monday, August 25, 2014

dilara-ptb.jpgমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীর স্বামী কোথায় ছিলেন এবং তাঁর ভূমিকা কী ছিলো- এমন প্রশ্ন তুললেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন দিলারা চৌধুরী। গত শনিবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনে নিয়মিত টক-শোতে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তিনি লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে সেখান থেকে উঠে চলে যান। এ সময় তিনি বলেন, "৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারেন না।"

তবে অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই বেশ মারমুখী ও রুক্ষ ছিলেন এক্তারের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের উপদেষ্টা্র স্ত্রী দিলারা চৌধুরী।

রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ হবে? এমন প্রশ্ন নিয়ে শনিবার রাতে ৭১ সংযোগ অনুষ্ঠানে অপর দুই আলোচক ছিলেন- ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।

তবে, শুরু থেকেই দিলারা চৌধুরী মারমুখী থাকলেও আলোচনার এক পর্যায়ে যখন শ্যামল দত্ত প্রশ্ন করেন- জেনারেল ইয়াহিয়া সরকারের কারা যুক্ত ছিলেন, তাঁর ক্যাবিনেটে কারা ছিলেন এবং তাঁদের নাম কী- তখন প্রচণ্ড মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। মুক্তিযুদের সময় বাংলাদেশে গণহত্যা, গণধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান নায়ক তৎকালীন পাক সামরিক জান্তা জেনারেল ইয়াহিয়া। সুতরাং উপদেষ্টাও এই অপরাধের দায় এড়াতে পারেন না। আর এ কারণেই একাত্তর সালে স্বামীর অবস্থান জানতে চাওয়াই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন দিলারা।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শ্যামল দত্ত বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনায় প্রকাশ্যে জনসভায় আপনি ১৬টি গ্রেনেড মারলেন, তারমধ্যে দুটি ফোটে নাই। সে দুটি গ্রেনেড নষ্ট করে ফেললেন। জেলখানার ভেতরে গ্রেনেড পাওয়া গেলো। আপনার ওসমানি উদ্যানের ভেতর গ্রেনেড পাওয়া গেলো। এ সবকটি গ্রেনেডকে নষ্ট করে ফেলা হলো। এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার।

শ্যামল দত্ত, দিলারা চৌধুরীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, তদন্ত হওয়া দরকার, আনফরচুনেটলি তদন্ত হয়নি। আপনি জজ মিয়া বের করলেন। ৭৫'এর খুনিদের চাকরি দিলেন বিভিন্ন মিশনে।

এ পর্যায়ে দিলারা বলেন, কে দিয়েছে মোশতাক। শ্যামল দত্ত বলেন, মোশতাক দিয়েছে। দিলারা প্রশ্ন তোলেন, মোশতাক আওয়ামী লীগ না? শ্যামল দত্ত বলেন, এবং এই চাকরি কন্টিনিউ করেছেন বেগম জিয়া পর্যন্ত। মোশতাক মীরজাফর বেঈমান।

এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী শ্যামল দত্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এমন এক সময়ে এ কথা তুললেন যারা এখনো ক্ষমতায় আছেন এবং তারা মোশতাকের ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলেন। তাদের কথা বলেন, যে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পারবেন তাদের নাম বলতে? শ্যামল বলেন, অবশ্যই আছে। দিলারা ফের তাকে তাদের নাম বলতে বললে শ্যামল দত্ত হেসে বলেন, আমিতো ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে যারা ছিলেন তাদেরো নাম বলব আপা..দিলারা চৌধুরী বলেন, হ্যাঁ নাম বলেন। ওই ক্যাবিনেটে আমার হাজবেন্ট ছিল। শ্যামল এপর্যায়ে বলেন, ইয়েস। দিলারা বলেন, যদি ইতিহাস ঘাটতে হয় তাহলে আমার হাজবেন্ডের বই পড়ে দেখবেন। আপনার হাজবেন্ড'এর বই পড়ে দেখেছি ম্যাডাম। দিলারা বলেন, আমি এখানে আমার হাজবেন্ডকে রিপ্রেজেন্ট করতে আসিনি। আমিতো বলিনি যে আমার হাজবেন্ডের কাসুন্দি ঘাটেন। আমি বলেছি মোশতাকের ক্যাবিনেটে যারা ছিল তাদের নাম বলেন। তার সঙ্গে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটের সদস্যদের নাম বলার কী যোগাযোগ আছে। আপনি কি বলেন, এটা বলে পারসোনালি হিউমিলেট করতে পারবেন আমাকে ?

এসময় তুমুল বিতর্ক শুরু হয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে। শ্যামল দত্ত এক পর্যায়ে বলেন, ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে আপনার হাজবেন্ড ছিল একথা তো বলিনি আমি। দিলারা বলেন, তাহলে আপনি হাসি দিয়ে কেন বললেন যে, তাহলে আমাকে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেট মেম্বারদের নাম বলতে হবে। শ্যামল দত্ত বলেন, যুগে যুগে বিভিন্ন ক্যাবিনেটে বেঈমানরা ছিল। ইয়াহিয়ার ক্যাবিনেটেও ছিল, মুজিবের ক্যাবিনেটেও ছিল।

দিলারা এ সময় শ্যামল দত্তকে বলেন, তাহলে সেই বেঈমানরা যারা এখন পাওয়ারে চলে আসছে তাদের নাম বলেন। কোনো সদুত্তর না পেয়ে দিলারা চৌধুরী এসময় বলেন, আমার বক্তব্য শেষ হয়নি। আমি বলতে চাচ্ছি অন রেকর্ড ৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান এখানে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারে না।

এ পর্যায়ে অনএয়ারে দিলারা চৌধুরী উঠে দাঁড়ান এবং স্টুডিও ত্যাগ করতে উদ্যত হন। এ পর্যায়ে অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে অনুষ্ঠান আমাদের শুরু করতে হচ্ছে। যাবার আগে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ, দিলারা চৌধুরীকে বসতে বললে তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয়ভাবে কথা উঠালে আমি বসব না। শাকিল আহমেদ জানান, সে দায় ৭১ টেলিভিশন কিভাবে নেবে? জবাবে দিলারা চৌধুরী বলেন, ৭১ টেলিভিশনের উপস্থাপকের যে রোল, সে রোলটা হবে মডারেট করা। মডারেট করতে যেয়ে অনেককে অনেক কিছু চান্স দিয়ে ফেলছেন। অনুষ্ঠানে শ্যামল চৌধুরী ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে লক্ষ্য করে দিলারা বলেন, আমি এখানে বসে বসে অতীতে আপনার কোথায় ছিলেন, কোনখান থেকে জাম্প করে এখানে এসেছেন এগুলো বের করি?

এ পর্যায়ে স্টুডিও থেকে দিলারা চৌধুরী বের হয়ে গেলে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় বিরতিতে যাওয়া ছাড়া .. ধন্যবাদ আমরা একটা বিরতির পর ফিরে আসছি। বিরতির পর উপস্থাপক শাকিল আহমেদ দিলারা চৌধুরীকে ছাড়াই বাকি দুই অতিথি শ্যামল দত্ত ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে নিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যান।

বিশেষ প্রতিনিধি, পিটিবিনিউজ২৪.কম।
সম্পাদনা: শেখ সিরাজ আহমেদ।



Also read:
মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১

কেঁচো খুঁড়তে সাপ
বাক্যবাণ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১


dila
Video:








__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] দেখুন "প্রথম আলো কার্টুন"





http://epaper.prothom-alo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2014-08-26

Related:

 

বিএনপিকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ







__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Last journey.



'গাঁধী'

লন্ডন, ২৬ অগস্ট, 
1

সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। —ফাইল চিত্র

যুদ্ধ, রক্ত, মৃত্যু বড় কাছ থেকে দেখেছিলেন তিনি। হয় তো সে কারণেই মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর অহিংসার আদর্শ এত মুগ্ধ করেছিল তাঁকে। না হলে কেন তীব্র প্রতিকূলতা সত্ত্বেও 'গাঁধী' ছবিটি বানানোর জন্য জীবনের কুড়িটা বছর দিয়েছিলেন রিচার্ড অ্যাটেনবরো? প্রযোজক নেই, একটার পর একটা বাধা, তবু টলেননি। অবশেষে সাফল্য এসেছিল। আটটি অস্কার ও বহু সম্মান। রিচার্ড হেসে বলেছিলেন, "এ ছবির জন্য বাড়িও বন্ধক রাখতে হয়েছিল।"
দুর্দান্ত সাফল্যের পরে সামান্য প্রতিক্রিয়া এমনই ছিলেন রিচার্ড অ্যাটেনবরো। তাই বোধহয় এই পরিচালক, প্রযোজক তথা অভিনেতার মৃত্যুর খবরও খুব সাধারণ ভাবেই জানিয়ে দিলেন তাঁর ছেলে মাইকেল। রবিবার রাতে খবর এল, প্রয়াত রিচার্ড। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এটুকুই। কেন, কী ভাবে, কিছুই জানা গেল না। আর পাঁচ দিন পরে একানব্বইতে পা দিতেন এই ব্রিটিশ তারকা।
জীবনের শুরুটা অবশ্য মোটেও তারকাসুলভ ছিল না। তিন ভাইয়ের সব চেয়ে বড় রিচার্ড লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন না। তবে অভিনয়ের দিকে ঝোঁক ছিল ছেলেবেলা থেকেই। অল্প বয়সে নাটকে হাতেখড়ি হয়েছিল। লন্ডনের মঞ্চে নিয়মিত অভিনয়ও করতেন। দিব্যি চলছিল সব। কিন্তু সে জীবনে ছেদ পড়ল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। পাইলট হিসেবে ব্রিটেনের 'রয়্যাল এয়ার ফোর্স' (আরএএফ)-এ যোগ দিলেন তরুণ রিচার্ড। বোমারু বিমান ইউরোপকে কী ভাবে ক্ষতবিক্ষত করছে, তা ক্যামেরাবন্দি করাই ছিল তাঁর কাজ। যুদ্ধের ভয়াবহতা সে সময়ই টের পান তিনি। গাঁধীর সঙ্গে 'পরিচয়' হতে তখনও বহু দেরি। সত্যজিৎ রায়ের 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি'ও ভবিষ্যতের গর্ভে।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই ব্রিটেনে বেশ খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। আমেরিকায় অবশ্য পরিচিতি মেলে ষাটের দশকে। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পেল "দ্য গ্রেট এস্কেপ।" এক ব্রিটিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রিচার্ড। সেই অফিসারের পরিকল্পনায় জার্মানির ক্যাম্পে আটক যুদ্ধবন্দিরা কী ভাবে পালিয়েছিলেন, সেটাই ছবির গল্প। 'ওয়ার ফিল্ম'-এর ইতিহাসে আজও খুবই জনপ্রিয় ছবিটি। দুর্দান্ত অভিনয় রিচার্ডের। একের পর এক 'দ্য ফ্লাইট অব দ্য ফিনিক্স', 'দ্য স্যান্ড পেবেলস', এবং 'ডক্টর ডুলিটল'। মারকাটারি অভিনয় একের পর এক সম্মান এনে দিল তাঁর ঝুলিতে। তবে শুধু সাফল্যই নয়। যে চার্লি চ্যাপলিনকে দেখে অভিনয়ে আকৃষ্ট হয়েছিলেন, তাঁর জীবনী নিয়ে তৈরি 'চ্যাপলিন' মুখ থুবড়ে পড়ে। রিচার্ডের জীবনের সব চেয়ে বড় 'ফ্লপ'।
এই সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গেই চলছিল 'গাঁধী' ছবির প্রস্তুতি। ১৯৬২ সালে রিচার্ডকে ছবিটি বানানোর অনুরোধ জানিয়ে ফোন করেছিলেন লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের কূটনীতিক মতিলাল কোঠারি। সে সময় অবশ্য গাঁধীজির সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতেন না রিচার্ড। তথ্য সংগ্রহের জন্য তাঁকে দু'টি বই পড়তে বলেছিলেন মতিলাল। পড়া শেষ হতে না হতেই লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেনের (ভারতের শেষ ভাইসরয়) মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন উত্তেজিত রিচার্ড। নেহরু সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬৪ সালে তাঁর মৃত্যু হলে আটকে যায় ছবির কাজ। এর মাঝেই পরিচালক ডেভিড লিন জানান, গাঁধীজিকে নিয়ে তিনিও একটি ছবি করতে চলেছেন। বিষয়টি নিয়ে রিচার্ডের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। কিন্তু তার পর অন্য ছবিতে কাজ শুরু করে দেন ডেভিড। সে সময় মতিলালেরও মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে জোড়া বাধা।
দমেননি রিচার্ড। সিদ্ধান্ত নেন নিজেই প্রযোজনা করবেন ছবিটি। সে জন্য গাড়ি, মূল্যবান আসবাব বিক্রি করে দেন। বাড়িও বন্ধক রাখেন। সাহায্যের হাত বাড়ান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। তত ক্ষণে অবশ্য অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। তার পর গাঁধী চরিত্রের জন্য বেন কিংসলের নির্বাচন, শু্যটিংয়ের আয়োজন এবং শু্যটিং সব মিলিয়ে ছবি শেষ হতে হতে আশির দশকের শুরু। তখনও অনেকে কটাক্ষ করে চলেছেন, ধুতি পরা হাতে লাঠি এক বৃদ্ধের কাহিনি দেখতে কেউ আসবে না। কান দেননি রিচার্ড।
ভাগ্যিস দেননি! ১৯৮২ সালে মুক্তি পেল 'গাঁধী'। তুমুল প্রশংসা, অবিশ্বাস্য সাফল্য। প্রযোজনার কুড়ি গুণ অর্থ আয় করেছিল ছবিটি। দুনিয়া নতুন করে চিনল গাঁধীজিকে। রিচার্ড চিনলেন ভারতকে। সেই শুরু। যত দিন শরীর দিয়েছে, তত দিন পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনের নানা অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন রিচার্ড।
তবে 'গাঁধীর' আগেই সত্যজিৎ রায়ের 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি'তে (১৯৭৭) তাঁকে দেখেছিল ভারত। দোর্দণ্ডপ্রতাপ ব্রিটিশ জেনারেল জেমস আউট্রামের চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভোলার নয়। ভারতের সঙ্গে এ ভাবেই জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই বোধহয় ব্যতিক্রমী ভাবে এক ব্রিটিশ অভিনেতার মৃত্যুতে এতটা শোকাহত বলিউড। অনিল কপূর, অনুপম খের থেকে শুরু করে 'গাঁধী'তে কাজ করা অলোক নাথ পর্যন্ত অনেকেই টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন।
শোকাহত স্টিভেন স্পিলবার্গও। ১৯৯৩ সালে এই হলিউড পরিচালকের ছবি 'জুরাসিক পার্ক'-এই ফের দেখা যায় রিচার্ডকে। হাসিতে শিশুসুলভ সারল্য, ধবধবে সাদা চুল-দাড়ির সেই 'জন হ্যামন্ড'কে আজও দেখে মুগ্ধ হন আবালবৃদ্ধবনিতা। তাঁর তৈরি 'জুরাসিক পার্ক'-এই তো দাপিয়ে বেরিয়েছিল দানবীয় ডাইনোসররা। ছিলেন জুরাসিক সিরিজের পরের ছবি 'দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড'-এও। একটা প্রজন্ম, যারা 'গাঁধী'র পরিচালককে চেনে না, তাদের কাছে অ্যাটেনবরো মানে জুরাসিক পার্কের জন হ্যামন্ডই। হাসিখুশি, সরল এক মানুষ। ব্যক্তিজীবনেও সরল সোজাই ছিলেন। বলতেন, "আমি মহান পরিচালক হতে চাই না। শুধু গুছিয়ে গল্প বলতে চাই।"
জীবনের গোটাটাই অবশ্য গল্পের মতো সুন্দর কাটেনি। ২০০৪ সালের সুনামিতে এক মেয়ে ও নাতনিকে হারিয়েছিলেন রিচার্ড। প্রায়ই আক্ষেপ করতেন, "ওদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারিনি। আসলে জীবনে কাজই ছিল একমাত্র অগ্রাধিকার।"
ভুল বলেননি রিচার্ড। কাজ নিয়ে পাগলামি না থাকলে কেউ কি নিজের বাড়ি-ঘর বন্ধক রেখে ছবি বানাতে পারেন? দুর্দান্ত সাফল্যকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন সামান্য হাসি দিয়ে? বাধার পাহাড় পেরিয়ে গল্প বলতে পারেন এত সুন্দর করে?
নীরব বিদ্রোহের নাম রিচার্ড অ্যাটেনবরো যে।



__._,_.___

Posted by: Nurul Bachchu <bachchuhaq13@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'ভারতীয় পুরাণে উর্বশী ও পুরূরবার প্রেম কাহিনি'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'ভারতীয় পুরাণে উর্বশী ও
পুরূরবার প্রেম কাহিনি'




পুরাকালে ভগবান শ্রীহরির
অংশম্ভূত নর-নারায়ন নাম দুই
যুগলঋষি ছিলেন। তাঁরা বহুতর
কৃচ্ছ্রসাধন করে বহু বছর ধরে
তপস্যা চালিয়ে যাওয়ায়
স্বর্গের দেবতাদের মনেও ভয়
দেখা দিল। দেবরাজ ইন্দ্র তো
ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েলন, এবার
কী তার দেবরাজের
র্স্বগসিংহাসনটাই চলে যাবে? এত
সব ভেবে দেখে ইন্দ্র বহুভাবে এই
যুগলঋষির তপস্যা ভঙ্গ করার
চেষ্টা করলেন। কিন্তু
কোনভাবেই [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=42375


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] নমনীয় হচ্ছে পশ্চিমা সুর



নমনীয় হচ্ছে পশ্চিমা সুর
শাহাব উদ্দিন সাগর
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐকমত্যের সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার সাত মাসের মাথায় অনেকটা 'নমনীয়' 'পশ্চিমা সুর'। গত ৫ জানুয়ারির পর পশ্চিমা দেশগুলো নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে এক ধরনের নীরবতা বা মন্তব্যহীন থাকলেও ধীরে ধীরে তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ  কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বক্তব্য থেকে এ 'নমনীয়তা' পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের গেল সাত মাসের কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর এ নমনীয় সুর। এ ছাড়া গেল কয়েক মাসে পূর্বের দেশগুলো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এগিয়ে আসার বিষয়টিও 'নিয়ামক' হিসেবে কাজ করছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গেল কয়েক বছর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব দেখা দিয়ে তা পরে সংকটে পরিণত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জানুয়ারি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশে অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐকমত্যের সরকার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হয় 'এ সরকার একঘরে হয়ে যাবে, বিশ্বের কোনো দেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না।' এ বক্তব্যের পর সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর। এরই অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব অনুবিভাগ সরকারের এ সিদ্ধান্তে গভীর মনোনিবেশ করে। 
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে ২১ আগস্ট সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন। ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে সাক্ষাতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়নসহ নিকট প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। জবাবে বিসওয়াল ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। 
সূত্র মতে, এর আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেও নিশা দেশাই বলেছিলেন, ওয়াশিংটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কম ভোট পড়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
এদিকে ১১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত আলোচনায় কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সাত মাস পর সুশাসন, সরকারের কাজের মূল্যায়ন ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে বলেছেন, সহিংসতার অবসান হওয়ায়  হাঁপ ছেড়ে বাঁচা গেছে। 
হাইকমিশনার বলেন, এখন থেকে আমাদের প্রত্যাশা, কোনো একপর্যায়ে গিয়ে দুই দল আলোচনায় বসবে। তবে এই আলোচনা শুধু আগামী নির্বাচন নয়, পাঁচ বছর পর কোনো প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, সেই ফ্রেমওয়ার্কও ঠিক করতে হবে।
বাংলাদেশ ও তার অর্থনীতির জন্য ঘন ঘন নির্বাচন অনুষ্ঠানকে প্রতিবন্ধক উল্লেখ করে ক্রুডেন বলেন, নির্বাচনের আয়োজন শুরু হলে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়, লোকজন হতাহত হয়, লোকজন বাড়ির বাইরে বের হতে পারেন না আর সহিংসতা হয়। তাই আমরা চাই এ চক্র বন্ধ হোক।
কানাডার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মাঝে আমরা আস্থার সংকট দেখতে পাই। আমরা চাই রাজনৈতিক এ সংস্কৃতির অবসান হোক এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক।
১৮ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশের নজরকাড়া সাফল্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠবে।
এছাড়া ২২ আগস্ট চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে মজিনা আগামীতেও বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে আমেরিকা সরকার সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান।
এর আগে ৫ আগস্ট সফররত যুদ্ধাপরাধবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশংসা করে গেছেন।   
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রেও আছে, বাংলাদেশেও আছে। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশই মৃত্যুদণ্ড তুলে দিয়েছে। 
র‌্যাপ বলেন, আমি পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশে আসলাম। যুদ্ধাপরাধের বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানে হয় সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই আমি সরকারের কাছে কিছু পরামর্শ রেখেছি। 
৫ জুন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন প্রেসক্লাবে ডিকাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা জোরদার করার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি পরবর্তী নির্বাচনে যাওয়ার আগে আস্থা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপরও জোর দেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচনী সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার যে পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা নিরসনের জন্য সব দলকে একযোগে কাজ করতে হবে। 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্র্তারা বলেন, গেল মাসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয় লন্ডনে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারী জাগরণে যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তাতে ব্রিটেন বিস্মিত। বিস্ময়কর এ অগ্রযাত্রার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাকে ব্রিটেন সম্মান এবং মর্যাদার চোখে দেখে। এ জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সিলেটেও ভ্রমণের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছেন। 
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ সরকার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন ওই নির্বাচন এখন অতীত। ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি। 
সাবেক কয়েক কূটনীতিক দায়িত্ব নিয়ে বলেন, আমরা পশ্চিমা দেশগুলোর বক্তব্য থেকে বুঝে নিচ্ছি তাদের সুর নরম হচ্ছে। তাদের অনেকে বছরের শুরুতে মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে এক প্রকার 'ইতিবাচক' মনোভাব দৃশ্যমান করলেও তা এখন ভিন্ন। তারা এখন বলছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই দলকে একমত হতে হবে। 
কেন এ নমনীয়তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, মনে রাখতে হবে পূর্বের দেশ বিশেষ করে জাপান ও চীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসছে। ফলে পশ্চিমারা বিষয়টি বুঝছে। আর মজিনা, ক্রুডেন, গিবসন তো সব সময় বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাই বলছেন।
জানতে চাইলে সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ চলবে নিজস্ব আইন বা নীতি নিয়ে। বিদেশিরা তা চাপিয়ে দিতে পারেন না। গেল ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কেউ বলতে পারে না কতদিন পর নির্বাচন হবে। আর গ্লোবাল যুগে কোনো দেশ গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না তা ভাবাও যায় না।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2014/08/26/187844.html#sthash.bmWpDimT.dpuf





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কেঁচো খুঁড়তে সাপ : বাক্যবাণ



মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১

কেঁচো খুঁড়তে সাপ
বাক্যবাণ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলে পরিচিত তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। এখন বেসরকারী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ হিসেবে তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর কাছ থেকে দেশপ্রেম, দেশের সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করার প্রত্যাশা করা খুবই স্বাভাবিক। ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হবেন সোচ্চার। এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা যদি উল্টো হয়? তাহলে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে। স্রোতের বিপরীতে হাঁটা মানেই সমালোচনার জন্ম দেয়া। বলা হচ্ছে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীর কথা। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ছয় দফা দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় তিনি দিগন্ত টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের সকল মানুষ নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি চায়। জাগরণ মঞ্চের কারণে হেফাজতের উত্থান ও তাদের দেশব্যাপী তা-ব যৌক্তিক বলেও দাবি করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। 
ফের একটি বেসরকারী টেলিভিশনে অংশ নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক হত্যার ঘটনা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পক্ষ নিতে গিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। চেষ্টা করেন ইতিহাস বিকৃতির। শনিবার রাতে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া টক-শো বাহাসে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান থেকে চলে যান দিলারা চৌধুরী! 
যাওয়ার আগে তিনি বলেন, '৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারে না। অনুষ্ঠানে দিলারা বলেন, 'সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না জামায়াত কোনো বায়বীয় ব্যাপার নয়, একটা বড় ফোর্স। তাদের একটা বড় সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো থেকে দেখা গেছে বামদলগুলোর চেয়ে জামায়াতের সমর্থন অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী বা দল রাজনীতি করতে পারবে না। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতেও তো বিজেপি, শিবসেনা, আরএসএস রাজনীতি করতে পারছে। কাউকে তাদের রাজনৈতিক তথা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বিরত রাখার কোন সুযোগ সংবিধানে নেই। তাছাড়া জামায়াতের মতো একটি বড় শক্তিকে তাদের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার পরিণতি ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত স্বনামে রাজনীতি করতে না পারলে দলটি দুটি পথ বেছে নিতে পারে। হয় তারা নতুনভাবে অগ্রসর হবে, অন্যথায় তারা ভিন্ন পন্থা নিতে পারে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছর গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে থাকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে দেশের জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, '২১ আগস্টের ঘটনায় প্রকাশ্যে জনসভায় আপনি ১৬টি গ্রেনেড মারলেন, তার মধ্যে দুটি অবিস্ফোরিত ছিল। সে দুটি গ্রেনেড নষ্ট করে ফেললেন। জেলখানার ভেতরে গ্রেনেড পাওয়া গেল। ওসমানী উদ্যানের ভেতর গ্রেনেড পাওয়া গেল। এ সব কটি গ্রেনেডকে নষ্ট করে ফেলা হলো।' উল্লেখ্য, তখন বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় সরকার ছিল ক্ষমতায়। 
এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী বলেন, 'এসব ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। তখন শ্যামল দত্ত দিলারা চৌধুরীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, 'তদন্ত হওয়া দরকার, আনফরচুনেটলি তদন্ত হয়নি।' তিনি বলেন, 'আপনি জজ মিয়া বের করলেন। '৭৫-এর খুনিদের চাকরি দিলেন বিভিন্ন মিশনে...' এ পর্যায়ে দিলারা বলেন, কে দিয়েছে, মোশতাক। শ্যামল দত্ত বলেন, মোশতাক দিয়েছে। দিলারা প্রশ্ন তোলেন, মোশতাক আওয়ামী লীগ না? শ্যামল দত্ত বলেন, 'এবং এই চাকরি কন্টিনিউ করেছেন বেগম জিয়া পর্যন্ত। মোশতাক মীরজাফর বেঈমান।'
এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী শ্যামল দত্তকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি এমন এক সময় এ কথা তুললেন যারা এখনও ক্ষমতায় আছেন এবং তারা মোশতাকের ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলেন। তাদের কথা বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পারবেন তাদের নাম বলতে?' শ্যামল বলেন, অবশ্যই আছে। দিলারা ফের তাকে তাদের নাম বলতে বললে শ্যামল দত্ত হেসে বলেন, 'আমিতো ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে যারা ছিলেন তাদেরও নাম বলব আপা..'। দিলারা চৌধুরী বলেন, হ্যাঁ নাম বলেন। ওই ক্যাবিনেটে আমার হাজবেন্ড ছিল। শ্যামল এ পর্যায়ে বলেন, ইয়েস। দিলারা বলেন, 'যদি ইতিহাস ঘাটতে হয় তাহলে আমার হাজবেন্ডের বই পড়ে দেখবেন।' 'আপনার হাজবেন্ডের বই পড়ে দেখেছি ম্যাডাম। দিলারা বলেন, 'আমি এখানে আমার হাজবেন্ডকে রিপ্রেজেন্ট করতে আসিনি। আমি তো বলিনি যে আমার হাজবেন্ডের কাসুন্দি ঘাটেন। আমি বলেছি মোশতাকের ক্যাবিনেটে যারা ছিল তাদের নাম বলেন। তার সঙ্গে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটের সদস্যদের নাম বলার কী যোগাযোগ আছে? আপনি কি বলেন, এটা বলে পারসোনালি হিউমিলেট করতে পারবেন আমাকে?'
এ সময় তুমুল বিতর্ক শুরু হয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে। শ্যামল দত্ত এক পর্যায়ে বলেন, ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে আপনার হাজবেন্ড ছিল একথা তো বলিনি আমি। দিলারা বলেন, তাহলে আপনি হাসি দিয়ে কেন বললেন যে, তাহলে আমাকে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেট মেম্বারদের নাম বলতে হবে? শ্যামল দত্ত বলেন, যুগে যুগে বিভিন্ন ক্যাবিনেটে বেঈমানরা ছিল। ইয়াহিয়ার ক্যাবিনেটেও ছিল, মুজিবের ক্যাবিনেটেও ছিল।
দিলারা এ সময় শ্যামল দত্তকে বলেন, 'তাহলে সেই বেঈমানরা যারা এখন পাওয়ারে চলে আসছে তাদের নাম বলেন। এ সময় দিলারা চৌধুরী বলেন, 'আমার বক্তব্য শেষ হয়নি। আমি বলতে চাচ্ছি অন রেকর্ড '৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান এখানে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারে না।'
এ পর্যায়ে অনএয়ারে দিলারা চৌধুরী উঠে দাঁড়ান এবং স্টুডিও ত্যাগ করতে উদ্যত হন। এ পর্যায়ে অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। যাবার আগে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ, দিলারা চৌধুরীকে বসতে বললে তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয়ভাবে কথা উঠালে আমি বসব না। অনুষ্ঠান সঞ্চালক শাকিল আহমেদ বলেন, সে দায় '৭১ টেলিভিশন কিভাবে নেবে? জবাবে দিলারা চৌধুরী বলেন, '৭১ টেলিভিশনের উপস্থাপকের যে রোল, সে রোলটা হবে মডারেট করা। মডারেট করতে গিয়ে অনেককে অনেক কিছু চান্স দিয়ে ফেলছেন। অনুষ্ঠানে শ্যামল দত্ত ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে লক্ষ্য করে দিলারা বলেন, 'আমি এখানে বসে বসে অতীতে আপনারা কোথায় ছিলেন, কোনখান থেকে জাম্প করে এখানে এসেছেন এগুলো বের করি?'
এ পর্যায়ে স্টুডিও থেকে দিলারা চৌধুরী বের হয়ে গেলে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় বিরতিতে যাওয়া ছাড়া ... ধন্যবাদ আমরা একটা বিরতির পর ফিরে আসছি। বিরতির পর উপস্থাপক শাকিল আহমেদ দিলারা চৌধুরীকে ছাড়াই বাকি দুই অতিথি শ্যামল দত্ত ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে নিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যান।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি জামায়াতের দেশব্যাপী তাণ্ডবের ঘটনাকে দিলারা সমর্থন জানিয়ে বলেন, আন্দোলনে সহিংসতা হবেই। এক পর্যায়ে বেরিয়ে এলো তিনি ইয়াহিয়া মন্ত্রিসভার সদস্য জিডব্লিও চৌধুরীর স্ত্রী। উনার স্বামী ডব্লিও চৌধুরীর লেখা 'দ্য লাস্ট ডেজ অব ইউনাইটেড পাকিস্তান' বইতে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায়, '১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অপমৃত্যু এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় পাকিস্তানী আর্মি জেনারেলদের 'জাতীয় স্বার্থে অভিভাবকের ভূমিকা' পালনের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার এবং দুইজন অতি উচ্চাভিলাষী রাজনীতিক, বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান এবং পাকিস্তানের জেড এ ভুট্টোর বিবেকবর্জিত কাজের ফসল।
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১


dila
Video:







__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home