Banner Advertiser

Thursday, June 23, 2016

[mukto-mona] অভিজিৎ হত্যা : অনুসরণকারী সাত হামলাকারী পাঁচ



অনুসরণকারী সাত হামলাকারী পাঁচ

প্রধান সন্দেহভাজনের লাল শার্টে মিলতে পারে আরও ক্লু
সাহাদাত হোসেন পরশ

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জড়িতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য। ডিবি বলছে, এবিটি একক কোনো 'অপারেশনে' সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয়জন সদস্য নিয়ে মাঠে নামলেও ব্যতিক্রম ছিল অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। এই প্রথম কোনো হত্যা মিশনে এবিটির অন্তত ১২ সদস্য মাঠে ছিল। তাদের মধ্যে সাতজন ছিল অনুসরণকারী, বাকি পাঁচজন সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। তবে অভিজিৎ হত্যায় সরাসরি জড়িত কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে এক বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে আটকে রয়েছে অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় ১১ আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন। তদন্তে বেশ কিছু অগ্রগতি থাকলেও ওই প্রতিবেদন পাওয়ার আগে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া অভিজিৎ হত্যায় জড়িত অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন মুকুল রানা ওরফে শরিফুলের সেই হালকা লাল রঙের শার্ট খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন অভিজিৎ ও তার স্ত্রী ডা. রাফিদা আহমেদ বন্যার পেছনে পেছনে একজন অনুসরণ করছে। পুলিশ বলছে, অনুসরণকারী ওই ব্যক্তি শরিফুল। যদিও পরে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম মুকুল রানা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ সমকালকে বলেন, এরই মধ্যে অভিজিৎ হত্যার ঘটনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত

পাওয়া গেছে। প্রধান সন্দেহভাজনের একটি শার্ট খোঁজা হচ্ছে।

অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় গতকাল সমকালকে বলেন, 'আমার প্রত্যাশা দ্রুত অভিজিৎ হত্যার রহস্য উন্মোচিত হোক। তবে এরই মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান সন্দেহভাজন মারা গেছে। সব সময় আমি বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছি। পুলিশ না-কি সহযোগীদের গুলিতে অভিজিৎ হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নিহত হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। কেউ হয়ত মূল সন্দেহভাজনের মুখ বন্ধ করতে চেয়েছে।'

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবিটির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিজিৎ রায়কে হত্যার টার্গেট করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিজিৎ দেশে ফেরার পর তারা হামলার জন্য লক্ষ্য চূড়ান্ত করে। ২০১৫ সালে অমর একুশে বইমেলা চলাকালে প্রথমে ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের ওপর হামলার দিন ঠিক করা হয়। ওই দিন তিনি মেলায় না যাওয়ায় হামলাকারীদের প্রথম টার্গেট বাস্তবায়ন হয়নি। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় এবিটির সাত সদস্য অভিজিৎ ও তার স্ত্রীকে অনুসরণ করে। অপারেশনে অংশ নেওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের হাতে ছিল চাপাতি, অন্যজনের কাছে ছিল ক্ষুদ্রাস্ত্র। তবে অভিজিৎকে কুপিয়েছে দু'জন। মুকুল হামলায় মূল কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে। অভিজিতের মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারীরা রাজধানীর কুড়িলের একটি বাসায় জড়ো হয়। এরপর যে যার মতো পরিকল্পা অনুযায়ী পালিয়ে যায়।

দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, অভিজিতের হামলাকারীরা উত্তরার একটি বাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সেখানে তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে হামলার সপ্তাহখানেক আগে টার্গেট করার ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে চূড়ান্ত ব্রিফিং দেওয়া হয়। হামলায় জড়িতদের কয়েকজন এক সময় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত।

সূত্র বলছে, সম্প্রতি সন্দেহভাজন একাধিক এবিটির সদস্যকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অভিজিৎ হত্যার অনেক তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া এবিটির সদস্য শিহাবও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উগ্রপন্থিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। প্রথমে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় মুকুলসহ ছয়জন জড়িত। পরে বেরিয়ে আসে, ওই অপারেশনে ১২ জন সদস্য ছিল। অভিজিতের অপারেশনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা ও আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায়ও সম্পৃক্ত। বইমেলা ঘিরে অনেক লোকজনের সমাগম হওয়ায় এবিটির সদস্যরা তাদের প্রচলিত অপারেশনের বাইরে গিয়ে অধিক সংখ্যক সদস্য নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।

ডিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় ফারাবিসহ সন্দেহভাজন আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলার তদন্তে গ্রহণযোগ্য অনেক তথ্য-উপাত্ত এরই মধ্যে পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া আলামতের ডিএনএ প্রতিবেদন না পাওয়ায় কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলানো যাচ্ছে না। প্রধান সন্দেহভাজনের শার্ট উদ্ধার করা গেলে ডিএনএ প্রতিবেদনের আলামতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে ডিবি। দ্রুত ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য এফবিআইর সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ঘটনাস্থল থেকে দুটি রক্তমাখা চাপাতি ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি চাপাতিতে রক্তের সঙ্গে লম্বা চুল আটকে ছিল। ওই চুল অভিজিতের স্ত্রীর। একটি কালো রঙের ব্যাগের ভেতর দুটি ইনজেকশন, একটি সিরিঞ্জ, কিছু ওষুধ ও পুরনো কিছু পত্রিকা পাওয়া গেছে। ওই ব্যাগের ভেতরে একটি প্যান্টও ছিল। অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশে আসে এফবিআইর একটি প্রতিনিধি দল। তারা মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবির সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইর ল্যাবরেটরিতে অভিজিৎ রায় হত্যাকা ের আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ বলছে, এবিটি অনেক অপারেশনে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। হামলার পর টার্গেট করা ব্যক্তির শরীরে ওই ইনজেকশন পুশ করে উগ্রপন্থিরা। অভিজিতের ওপর হামলার পর 'রোটেক্স' নামে এক ধরনের ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৬

আরও পড়ুন:

হত্যার পর খুনিরা বৈঠক করেছিল রেডিসনে, একবছর আগেই খুনিদের প্রোফাইল তৈরি করেন গোয়েন্দারা

জামাল উদ্দিন ০৭:৫০ , জুন ২১ , ২০১৬

আরও পড়তে পারেন: পরিবার থেকে দীর্ঘদিন 'বিচ্ছিন্ন' ছিল মুকুল রানা

                           'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত যুবক শরিফুল না, মুকুল

http://m.banglatribune.com/others/news/115879/হত্যার-পর-খুনিরা-বৈঠক-করেছিল-রেডিসনে-একবছর-আগেই


ক্রসফায়ার নয়, বিচার 
চান অজয় রায়

অভিজিৎ রায়ের একজন খুনি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হওয়ায় সান্ত্বনা খুঁজলেও আইনি প্রক্রিয়ায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1171570.bdnews


AwfwRZ nZ¨v
Lywb‡`i Qwe I wWGbG †cªvdvBj GKeQi Av‡M cywjk ˆZwi K‡ib: ARq ivq

http://www.amadershomoy.biz/beta/2016/06/21/623428/#.V2lLqNQrJrE

গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে

https://www.dailyjanakantha.com/details/article/198807/গুপ্তহত্যার-তথ্য-মিলছে

২০ জুন ২০১৬, ৬ আষাঢ় ১৪২৩, সোমবার, ঢাকা, বাংলাদেশ


সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'


  গোলাম মুজতবা ধ্রুব  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] ‘রাজনীতির ধর্মীয়করণ’ প্রশ্নে জাতিসংঘ - মিজানুর রহমান খান [2 Attachments]

[Attachment(s) from Jiten Roy included below]

Actually, Prime Minister projects her own faith prominently in public, indicating that her faith comes first. I believe, she thinks such image will bring more support from the religious groups. This type of image displays mixed message about her support for secularism. In many circumstances, she bends backward to show her support for Islamic groups.
When slaughtering of secular bloggers started, Prime Minister did not open her mouth to denounce such unlawful killings. She could easily do that by releasing a neutral statement without passing a judgement about the act itself. I was expecting a statement like – country has law forbidding anyone to take law into his/her own hand, and, therefore, these are unlawful acts and our government cannot tolerate such unlawful acts by some people.
Instead, she blamed the victims, as if when someone in Bangladesh defames religion, it's OK to kill him, instead of bringing him/her to justice. This type of behavior is expected from the government of an Islamic state, and Prime Minister was projecting the image of the head of state of an Islamic country.
I think, Prime Minister is confused .....Her support for religious fanatics will not bring any political gain for her party, let alone any personal gain for her. She received ill advice on this matter, for sure.

Jiten Roy





From: "'Jamal G. Khan' M.JamalGhaus@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, June 22, 2016 10:26 PM
Subject: [mukto-mona] 'রাজনীতির ধর্মীয়করণ' প্রশ্নে জাতিসংঘ - মিজানুর রহমান খান

 
সরল–গরল
'রাজনীতির ধর্মীয়করণ' প্রশ্নে জাতিসংঘ
মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০০:৩৮, জুন ২৩, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
Inline image 2

বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, এখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বা জাতিগত সংখ্যালঘুরা যে যুগ যুগ ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অজানা নয়। আবার তাতে যে ইদানীং বিরাট ঘাটতি পড়েছে এবং সে জন্য উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো দায়ী—এ খবরও তাদের কাছে রয়েছে। তবে তারা এর জন্য সরকারকেও দায়ী মনে করে। গত বছরের ৩১ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর শেষে জাতিসংঘের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যা পোর্টিয়ার যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে, তাতে সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামিদের সঙ্গে আপসের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর সঙ্গে গত সপ্তাহে ইইউ সংসদের বিতর্কে অংশগ্রহণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত মিলিয়ে দেখলে পরিষ্কার হয় যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিষয়টি বাদ দিলেও জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণকারী শক্তির প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমাগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাকে এখন 'বাক্স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিসর সংকীর্ণ' করে ফেলার প্রতিভূ হয়ে ওঠার দিকেও ইঙ্গিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় মেলবন্ধনটা ঐতিহাসিকভাবে বহু মতাদর্শগত এবং তার শিকড় গভীরে বিস্তৃত। ওই র্যা পোর্টিয়ার মুসলিম ও হিন্দুর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে মুগ্ধতা প্রকাশের পর উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের সমাজে বর্তমানের 'অন্যতম বৈশিষ্ট্য' হলো হিন্দুর সংখ্যা কমছে। একাত্তরের ২৩ ভাগ এখন প্রায় ৯ ভাগে নেমেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি সম্পত্তিগত বিরোধ ও তাদের প্রতি সহিংস আচরণকে চিহ্নিত করেন। আর আমরা সবাই জানি যে ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি আইন 'সরকারের ভেতরের সরকার' কার্যকর করতে দিচ্ছে না।
ওই র্যা পোর্টিয়ার ইসলামিদের ওপর মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাব বেড়েছে বলে মত দেন আর হিন্দু স্বার্থ রক্ষায় ভারতের সম্পৃক্ততাকে 'প্রায় প্রাকৃতিক', বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের সঙ্গে অনুরূপ সম্পৃক্ততা যথাক্রমে মিয়ানমার ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে আছে বলেও উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এই বিদেশি যোগসূত্র জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি কোনো হুমকি বা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে কোনোভাবে বিপদাপন্ন করছে বলে প্রতীয়মান হয় না। তবে তাঁর কথায়, এই অঞ্চলের ঘটনাবলির ভিত্তিতে কখনো (ভবিষ্যতে) বাংলাদেশে একটি 'ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা' তৈরি হতেও পারে। কিন্তু এ বিষয়টি তিনি আর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি। ইইউতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ এবং দেশটি তাতে ভেঙে পড়লে তার প্রভাব গোটা অঞ্চলে পড়বে বলেও মত এসেছে। সেখানে অনেকেই খ্রিষ্টানদের নাজুক অবস্থার দিকে দিকনির্দেশ করেছেন।
প্রতিবেদনটি খুবই ইতিবাচকভাবে বলেছে, ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয় বলে পাশ্চাত্যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে যেভাবে দেখা হয়, সেটা বাংলাদেশের সংবিধান নেয়নি বরং এতে সব ধর্মের 'অন্তর্ভুক্তি' স্বীকৃত হয়েছে। আবার এটাও পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, 'বাহাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষ ধারণার ভিত সরাসরি গণতন্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছিল দেশটির সংবিধান। একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র ও একটি ধার্মিক সমাজ একসঙ্গে চলতে পারে। কিন্তু সেক্যুলার রাষ্ট্র ও একটি ধর্মীয় রাষ্ট্র একসঙ্গে চলতে পারে না।' বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি কেন এ কথা স্মরণ করাতে গেলেন, সেটা সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। সরকার কি ইতিমধ্যে সেদিকে হাঁটার প্রবণতা দেখাচ্ছে না? তিনি একটা কথা সাফ এবং যথার্থ বলেন যে সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে ধর্মের কারণে বৈষম্যমুক্তির অঙ্গীকার দিয়ে ২(ক) অনুচ্ছেদে ঘোষিত রাষ্ট্রধর্মের প্রভাব অগ্রাহ্য করার দাবি সরকারি মহল করলেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাতে আশ্বস্ত নয়।
'শান্তিপূর্ণ ইসলাম দীর্ঘকাল দেশটিতে শিকড় গেড়ে আছে এটা ঠিক, আবার উগ্রপন্থী ব্যাখ্যার প্রভাবও উদ্বেগজনক পর্যায়ে আছে'—ওই রিপোর্ট এভাবে চিত্রিত করার পর প্রকারান্তরে বলেছে, সরকার ও নাগরিক সমাজ উভয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ সরকার 'ধর্মনিরেপক্ষতা'কে সুরক্ষা দিতে গিয়ে গণতন্ত্রকেই বনবাসে দিয়েছে। তিনি এরপর রীতিমতো রূঢ় হয়ে ওঠেন, সরকার 'সম্ভবত' ক্রমবর্ধমানভাবে 'ইসলামি জঙ্গি'দের তুষ্ট করতে লিপ্ত, তাই তারা তাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এমনভাবে ধর্মীয় উপকরণের মিশেল দিচ্ছে, যাতে বলা যায় সরকার ইতিমধ্যে ইসলামিদের সঙ্গে 'আংশিক আপস' করেছে।
র্যা পোর্টিয়ার প্রফেসর হাইনের বিয়েলেফেল্ট একজন জার্মান দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ। তিনি তাঁর রিপোর্টে এরপর পরিহাসের সুরে বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার যার মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি এবং তারা এখন 'ধর্মের রাজনৈতিকীকরণ' মোকাবিলা করতে গিয়ে 'রাজনীতির ধর্মীয়করণে' নেমেছে। গোটা রিপোর্টের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ তিনি এই ভাষাতেই করেছেন। র্যা পোর্টিয়ার স্মরণ করিয়ে দেন যে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের হত্যার পরে সরকারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদের প্রতি বাক্স্বাধীনতার অনুশীলনে 'সীমা লঙ্ঘন' না করতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
প্রফেসর বিয়েলেফেল্ট বান্দরবান ও রাঙামাটিতে গিয়ে দেখেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড়িদের অনেক বৈষয়িক উন্নতি হয়েছে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে যেসব জমি ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়েছে তা বেহাত হয়েছে। ২০১২ সালে রামুর সন্ত্রাসী ঘটনায় ১৮ মামলা ও ১১টি ক্ষেত্রে বিচার শুরু হলেও কারও শাস্তি হয়নি। পুলিশ ও বিচার বিভাগের গতিহীনতা দায়মুক্তির পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বিদায়ী মানবাধিকার কমিশনার নিরুপা দেওয়ান কমিশনে ছয় বছর ধরে পার্বত্যবিষয়ক সাব–কমিটির প্রধান ছিলেন। অন্তত দশটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট সরকারকে দিয়েছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো সুপারিশ বলুন, যেটা সরকার মেনেছে। তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
ওই র্যা পোর্টিয়ার আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা পরিদর্শন করে ধারণা পেয়েছেন যে 'উগ্র মনোভাবের' বিস্তারে কিছু 'কওমি' মাদ্রাসা ভূমিকা রাখে। আমরা অন্তত জানি কওমি শিক্ষা বোর্ড তাদের পাঠ্যক্রম সংস্কার বা সরকারি নজরদারিতে আসতে রাজি হয়নি। আবার মানবাধিকার কমিশনের বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রসঙ্গক্রমে বিস্ময় প্রকাশ করেই জানালেন, 'সম্প্রতি সরকারের নজরে এসেছে যে আলিয়া মাদ্রাসার সরকারি পাঠ্যপুস্তকে জিহাদকেও ইসলামের একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখানো হয়েছে।' এর আগে জেনেছি, বর্তমান সরকারের আমলে ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রকাশনায় নারীর প্রতি উদ্বেগজনক গোঁড়া ব্যাখ্যা পুনর্মুদ্রিত হয়েছে। এ কাজের দায়িত্বশীলেরা সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন।
এটা লক্ষণীয় যে আমরা যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাটাই বাতিল করতে পারি না, আর সেখানে ওই র্যা পোর্টিয়ার কিনা বাক্স্বাধীনতার স্বার্থে ২০০৬ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মতো কালাকানুনগুলো বিলকুল বাতিলের সুপারিশ করেছেন। তবে তিনি তার ২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে যেভাবে সুপারিশ নির্দিষ্ট করেছেন, তাতে সরকারের মুখ চুন হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এর উত্তর কীভাবে কী সরকার জমা দেয়, সেটা সত্যি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হবে বটে। সরকারকে লক্ষ্য করে তাঁর দেওয়া যেসব সুপারিশ প্রণিধানযোগ্য তার মধ্যে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ধর্ম ব্যবহার না করা'র কথাটাও আছে। এই অভিযোগে আমরা জেনারেল জিয়া ও এরশাদকে অভিযুক্ত করেছি। অন্যান্য সুপারিশ হলো, আন্তধর্ম সম্পর্ক বাড়ানো এবং সেই সম্পর্ক আরও জোরালো করার চেষ্টা দ্বিগুণ করা, অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বক্তৃতার পরম্পরা রক্ষা করা, উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন জোগানো, হামলার শিকার হওয়াদের নিন্দা করে জঙ্গিতুষ্টি অর্জন বন্ধ করা, দুর্নীতির সংস্কৃতির লাগাম টানা, বক্তৃতা–বিবৃতিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ (হেট স্পিচ) ছড়ানো বন্ধে ২০১২ সালে মরক্কোর রাবাতে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভূসম্পত্তি নিশ্চিত করা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিকতা চর্চায় সুরক্ষাদান, কমিউনিটি পুলিশ কার্যকর করা এবং পার্সোনাল ল-এ সংস্কার আনা। অন্যদিকে ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, আন্তধর্ম সংলাপে যাতে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। অবশ্য কিছুকাল আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, আন্তধর্মবিষয়ক একটি প্রকল্প তাঁরা কোনোমতে চালু করেছিলেন। কিন্তু টাকার সংকুলান করতে না পারায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে হামলার পরপরই দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্য শুনেছিলাম। সেদিন সিএনএন লাইভে হিলারি যা বলেছিলেন তাই বোধ করি সব থেকে প্রণিধানযোগ্য। হিলারি বলেছিলেন, এখন সময় এসেছে 'বিষাক্ত হওয়া মন' মোকাবিলা করা, এসব মানুষ কোনো সংগঠন করে বা করে না, সেটা বড় ব্যাপার নয়। আমরাও মনে করি, বিষাক্ত মনের কোনো সীমানা নেই। ব্রিটিশ সাংসদ জোয়ের সন্দেহভাজন খুনি থমাস ম্যায়ার ভেতরে ভেতরে নাৎসিবাদে আচ্ছন্ন হয়েছিলেন অন্তত ১৭ বছর, কেউ টের পায়নি। অরল্যান্ডোর ঘাতক মতিনের জন্ম আমেরিকায়, তিনি কখনো আলিয়া বা কওমি মাদ্রাসায় যাননি, তাই বলে তাঁর জঙ্গি হতে বাধেনি। সম্ভবত সব থেকে অপ্রয়োজনীয় তর্ক, আইএস আছে কি নেই। আমাদের 'বিষাক্ত মনের' মানুষ আছে, তাদের মোকাবিলায় উপযুক্ত কৌশলগুলোর ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। আর এসব কৌশলের মধ্যে গণতন্ত্র ও মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন অন্যতম।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷

mrkhanbd@gmail.com
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/896185/'রাজনীতির-ধর্মীয়করণ'-প্রশ্নে-জাতিসংঘ
Inline image 1
জুন ২৩, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন:

প্রফেসর হাইনের বিয়েলেফেল্ট রিপোর্টে:

Preliminary findings of Country Visit to Bangladesh by Heiner Bielefeldt, Special Rapporteur on freedom of religion or belief - See more at: http://www.ohchr.org/EN/NewsEvents/Pages/DisplayNews.aspx?NewsID=16399&LangID=E#sthash.FaX5uMzJ.dpuf







__._,_.___

Attachment(s) from Jiten Roy | View attachments on the web

2 of 2 Photo(s)


Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___