Banner Advertiser

Friday, August 22, 2014

[mukto-mona] কালের পুরাণ : খালেদা জিয়া দায় এড়াবেন কীভাবে?



কালের পুরাণ

খালেদা জিয়া দায় এড়াবেন কীভাবে?

সোহরাব হাসান | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ

অলংকরন: মাসুক হেলাল১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিহত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির চেয়ারম্যান। এটি ঐতিহাসিক সত্য।
পরবর্তী দৃশ্যগুলো আমরা যদি এভাবে কল্পনা করি। সে সময়ে বিএনপির স্থলে অন্য কোনো দল ক্ষমতায় ছিল। আর বিএনপি
বিরোধী দলে। বিরোধী দলের নেতা থাকা অবস্থাতেই জিয়াকে আততায়ীরা খুন করে।
পরদিন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হলো, জিয়াউর রহমানকে খুন করেছেন তাঁরই দলের লোকেরা। কেননা, সেদিন সার্কিট হাউসে বিএনপির বাইরের কেউ ছিলেন না। চট্টগ্রাম বিএনপিতে বিরোধ ছিল এবং সেই বিরোধ মেটাতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তদুপরি সার্কিট হাউসে ছিল সশস্ত্র প্রহরা। তাই বাইরের কারও পক্ষে সেখানে গিয়ে তাঁকে খুন করা সম্ভব নয়। সেদিন সার্কিট হাউসে কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরীদের একজনকে দিয়ে এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করা হলো যে বাইরের কেউ জিয়াকে খুন করেননি। দলের কোনো নেতার হাতে তিনি জীবন দিয়েছেন। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় কমিশন হলো। বিদেশি তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারাও এলেন। কিন্তু তদন্ত কমিটি ও কমিশনের নেতারা সার্কিট হাউসে যাওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের আলামত যথা গুলির খোসা, রক্তের দাগ মুছে ফেলা হলো। রক্তমাখা চাদর ও জামাকাপড় পুড়িয়ে ফেলা হলো।
কিছুদিন পর বিচার বিভাগীয় কমিশনের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারেন না। এই হত্যার সঙ্গে সেই বিদেশি রাষ্ট্র জড়িত, যারা একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। আর সেই বিদেশি শক্তির সহায়তায় বিএনপিরই একাংশ জিয়াকে হত্যা করেছে। সরকার আসল ঘটনা আড়াল করতে
আরও কিছু পদক্ষেপ নিল, যার মধ্যে ছিল আসামিদের ধরতে পুরস্কার ঘোষণা, জিয়াউর রহমান ও তাঁর দল বিএনপির বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার।
পাঠক, এতক্ষণ যে কল্পচিত্রের কথা বললাম, সেটি সর্বৈব মিথ্যা। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপিই ক্ষমতায় ছিল এবং সেই মামলা চলতে কেউ বাধা দেয়নি; বরং সরকার জিয়াউর রহমানকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে যা যা করণীয় সবই করেছে। দ্রুততম সময়ে তারা জিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের সামরিক আদালতে বিচার করেছে। ১৩ জন সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। সেনা আইনে হত্যার বিচার হয়নি, হয়েছে বিদ্রোহের। '৮১ সালের সেনা-বিদ্রোহের কুশীলবদের যদি বিচার হতে পারে, পঁচাত্তরের সেনা-বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কেন নয়?
ওপরে '৮১ সালের যে কল্পকাহিনি তুলে ধরলাম, ২৩ বছর পর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তা-ই বাস্তবায়িত হতে দেখি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। সিলেটে বোমা হামলা ও দেশব্যাপী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ওই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে প্রতিবাদ সভার অায়োজন করে, সরকারের অনুমতি নিয়েই। দলে দলে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। দলের অন্যান্য নেতাকে
নিয়ে একটি ট্রাকে এসে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বক্তৃতা শেষ করতেই মুহুর্মুহু
গ্রেনেডের আওয়াজ। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন৷ চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষের চিৎকার ও আর্তনাদ শোনা যায়। রক্তের স্রোতে রাজপথ ভেসে যায়। কারও পা নেই, কারও হাত নেই; কারও শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে স্প্লিন্টারের আঘাতে। কর্মীরা কেউ রিকশায়, কেউ হেঁটে মুমূর্ষু ব্যক্তিদের কাছাকাছি কোনো ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিয়ে ছুটেছেন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রেহাই পেলেও আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং কয়েক শ আহত হন। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের সদস্যরা নির্বিকার। কারও গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি।
এই নৃশংস ঘটনার পর থেকেই বিএনপি নেতারা বলতে লাগলেন, এটি আওয়ামী লীগের কাজ। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দাবি করলেন যে সরকারের সাফল্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভীত হয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতারা সংসদের ভেতরে ও বাইরে বক্তৃতা-বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের ওপরই দায় চাপাতে থাকলেন।
অথচ গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা, তিনি তখন বিরোধী দলের নেতা। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরই তাঁর অবস্থান। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। প্রথমত, সরকার সেই দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, তদন্তের নামে সরকার যা করেছে, তা কেবল কল্পকাহিনি নয়, আজগুবি গল্প। তদন্ত কর্মকর্তারা জজ মিয়া নামে এক যুবকের মুখ দিয়ে মনগড়া জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। জজ মিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখের সঙ্গে তিনি সেদিনের গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু গ্রেনেড কী বস্তু, তা তিনি জানেন না।
এই জবানবন্দির বিনিময়ে সিআইডি পুলিশ জজ মিয়ার মাকে প্রতি মাসে ভরণপোষণের টাকা দিত। মামলার তদন্তে ছিলেন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ও মুন্সী আতিকুর রহমান। তাঁরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই কাজ করেছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, এই পৃষ্ঠপোষকের পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন? বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তদন্তকাজ এভাবেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলাটি পুনঃ তদন্ত করলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে যে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহায়তায় হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলা চালায় এবং সেই হামলায় নেতৃত্ব দেন উপমন্ত্রীর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন। তিনিই পাকিস্তান থেকে গ্রেনেডগুলো নিয়ে আসেন। আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনার পর তাজউদ্দিন ও অন্য জঙ্গিদের বিদেশে পার করে দিতে সহায়তা করেছেন।

ঘাতক বা হামলাকারীদের সব সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এ অক্ষমতা ক্ষমা করা যায়। কিন্তু জেনেশুনে যদি কোনো সরকার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ভুয়া ঘাতক ও ভুয়া হামলাকারী আবিষ্কার করে, তাদের দিয়ে মুখস্থ জবানবন্দি দেওয়ায়, সেটি অমার্জনীয়। ২০০৪ সালে ক্ষমতাসীন খালেদা জিয়ার সরকার সেই কাজটিই করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপির কোন কোন নেতা জড়িত ছিলেন, সেটি হয়তো প্রমাণসাপেক্ষ। কিন্তু তৎকালীন সরকার যে ঘাতকদের বাঁচাতে নানা ফন্দিফিকির করেছে, মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে, সেসব মোটেই মিথ্যা নয়। মিথ্যাচারের এই প্রকল্পের দায় সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া এড়াতে পারেন না।
বিএনপি নেতাদের দাবি, এই মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, বর্তমান সরকারের দাবি,
তিনিই ছিলেন মাস্টারমাইন্ড। হাওয়া ভবনে ঘাতকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে প্রমাণিত হবে, কার দাবি সঠিক।
বিএনপি নেতারা তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও নিশ্চয়ই এ কথা বলতে পারবেন না যে এই মামলার অন্যতম আসামি মাওলানা তাজউদ্দিনকে তাঁরা পার করে দেননি। তাঁরা এ কথাও বলতে পারবেন না যে সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় তাজউদ্দিন একাধিকবার সহযোগীকে নিয়ে বৈঠক করেননি। তাঁরা এ কথা বলতে পারবেন না, ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট
করা হয়নি। তাঁরা বলতে পারবেন না যে সরকারের অধীনে কোনো সংস্থার কর্মকর্তারা হত্যাকারীদের সাহায্য করেননি। অন্যরা কী
করেছেন, কী করেননি, সেটি প্রমাণসাপেক্ষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের কোনো মন্ত্রী বা কর্মকর্তা যদি সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করে থাকেন, দায় এড়াতে পারেন না।
বিএনপি নেতারা একটা কথা বেশ জোর দিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা বোঝাতে চান যে শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময়েই জঙ্গিরা বিভিন্ন স্থানে বোমা মেরে মানুষ হত্যা শুরু করেছে। তাঁদের এই যুক্তি মেনে নিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি—যে আমলেই বোমা হামলা হোক না কেন, তার টার্গেট কারা ছিলেন? টার্গেট হলো উদীচী, টার্গেট হলো কমিউনিস্ট পার্টি, টার্গেট হলো রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান, টার্গেট হলো বিভিন্ন গির্জা, মন্দির ও যাত্রা প্যান্ডেল। বিএনপির কোনো নেতা কোনো বোমা বা গ্রেনেড হামলার লক্ষ্যবস্তু হননি। ইতিহাসের এই সত্য কী প্রমাণ দেয়?
এখন বেগম খালেদা জিয়াকে বলতে হবে, ২১ আগস্টের হামলাকারীদের বাঁচাতে সরকারের কারা সক্রিয় ছিলেন। যাঁরা ছিলেন, তাঁর উচিত হবে সাংগঠনিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তাঁর দলের বা সরকারের ভেতরে যদি কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে থাকে, তা-ও পরিষ্কার করা। খালেদা জিয়া একজন ব্যক্তিমাত্র নন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ দলের প্রধান। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। অতএব, তাঁকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে।
খালেদা জিয়াও স্বজন হারিয়েছেন। ৩০ মে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্ত নিয়ে যদি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ রকম কাজ করত, তাহলে সেই ঘটনায় তাঁর হৃদয় যেমন আহত ও রক্তাক্ত হত, তেমনি আজ শেখ হাসিনার হৃদয়ও আহত ও রক্তাক্ত।
নিজের এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য খালেদা জিয়াকে অবশ্যই সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। দলের বা সরকারের যাঁরা ২১ আগস্টের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যাঁরা অপরাধীদের বাঁচাতে চেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে, দল থেকে বের করে দিয়েই সেটি সম্ভব। তাঁকে মনে রাখতে হবে, ১৫ আগস্টের মতো ২১ আগস্টের ঘটনা রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net


প্রসঙ্গ:

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান






__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ (২২ আগস্টের পর)



শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান
মুনতাসীর মামুন
(২২ আগস্টের পর)
গণহত্যা শুরুর আগে ডালিম ঢাকা এসেছিলেন। শেখ কামালের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে ডালিমের সম্পর্ক ছিল। শেখ কামালের সঙ্গে কথা বলার পর তার যা মনে হয়েছিল তা সংক্ষেপে উল্লেখ করছেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিএনপি গঠিত হওয়ার পর বিশেষ করে খালেদা জিয়ার শাসনামল থেকে বঙ্গবন্ধু, তার গ্রেফতার ও স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হয় তার সঙ্গে এর হুবহু মিল আছে। ডালিম লিখেছেন-
"তার এই বক্তব্য থেকেও পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, শেখ মুজিব কিংবা আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার কোন পরিকল্পনা ছিল না। তাদের চিন্তা-ভাবনায় এ ধরনের অসচ্ছতার কারণেই ২৫-২৬ মার্চ রাতের শ্বেতসন্ত্রাসের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছিল সমগ্র জাতি। আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার নেতৃত্বে। 'আমি অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না' বক্তব্য রেখে বন্দী হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন শেখ মুজিব। কোন অনুরোধ, কোন যুক্তিই মানতে রাজি হননি জনগণের 'নয়নের মণি' শেখ মুজিব!! সেই মুজিবই পরবর্তীকালে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং মূল নায়ক সাজাতে দ্বিধাবোধ করেননি, নির্লজ্জের মতো। আগরতলা ষড়যন্ত্রের আর্কিট্যাক্ট হিসেবে বাহবা কুড়াতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। মুজিব চরিত্রের এহেন সুবিধাবাদী বৈশিষ্ট্য তার পতনের জন্য অনেকাংশে দায়ী" [পৃ.৬০]।
পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে হলে কী করতে হবে তার মূল সূত্র ৭ মার্চের জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। ২৫ মার্চ রাত থেকেই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং যেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছিলেন তাদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী/পুলিশ/ইপিআর প্রতিরোধ শুরু করে।
আর্চার ব্লাড, রাও ফরমান আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করে ২৭ মার্চ প্রথম সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। রিপোর্টের চতুর্থ অনুচ্ছেদে তিনি লিখেছেন-বিশ্বস্তসূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন ২৫ মার্চ রাতে [সময়ের হেরফের হতে পারে] তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে সরে যেতে বলেন। বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেন, তারা যদি রক্ত চায় আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেলে প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হবে। সে জন্য তিনি যাবেন না। পাকিস্তানী বাহিনী নিজেদের নাগরিকের ওপর এ ধরনের গণহত্যা চালাবে এটি কারো কল্পনায় ছিল না' [পৃ.১৯৮]।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার টেলিগ্রাম আমি নিজে দেখেছি। সেটি পাঠানো হয়েছিল ওয়্যারলেসে জনৈক ওসির কাছে ২৬ মার্চ। ঐ কপিটি সংরক্ষণ করেছিলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটে।
ডালিম মন্তব্য করেছেন, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠক হয়। ইয়াহিয়া শাসনতন্ত্রের খসড়া দেখতে চেয়েছিলেন। মুজিব বলেছেন, এই খসড়া দেখাবার কিছু নেই, তার কাজ সংসদের অধিবেশন ডাকা। "শেখ মুজিবের এ ধরনের মনোভাবের ফলে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভীষণভাবে মর্মাহত। এতে জান্তার ভেতরেও তার অবস্থান নাজুক হয়ে পড়ে।... ইয়াহিয়া খান মুজিবের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছিলেন" [পৃ. ৬৩]। এ ছাড়া করাচীর শিল্পপতি হারুন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি "অতি কৌশলে জনাব ভুট্টোকে শেখ মুজিবের কাছে সরকারের দালাল হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে বরাবরই শেখ মুজিব জনাব ভুট্টোকে সন্দেহের চোখে দেখে আসছিলেন। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস এবং সন্দেহের কারণেই সব আলোচনা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল" [পৃ.৬৫]।
এই দুই মন্তব্যের অর্থ পরিষ্কার নয়। এটুকু বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানী জেনারেলরা মোটামুটি যা বলতে চেয়েছেন তার সঙ্গে ডালিমের মন্তব্যের অন্তর্নিহিত মিল রয়েছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে আমরা দেখছি- ক্ষমতা হস্তান্তর করা নিয়ে পাকিস্তানী নীতিনির্ধারকরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং নানা টালবাহানা শুরু করছে। নির্বাচন হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে ক্ষমতা অর্পণ করা হবে-এই তো মূল বিষয়। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা-ই হয়। আলোচনার অবকাশ নেই। তারপরও বাঙালী নেতৃত্ব ২৫ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা করেছে। এটাই হচ্ছে বাস্তব সত্য। সেক্ষেত্রে ডালিমের মন্তব্য দেখে মনে হয়, আলোচনাটা চালিয়ে যাওয়াটাই বেহেতর ছিল। এবং আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি সমঝোতা হতো ক্ষমতা ভাগাভাগি করার তা হলে ভাল হতো। ইয়াহিয়া 'মর্মাহত' হয়েছেন এবং ভুট্টোর প্রতি 'অবিশ্বাস ও সন্দেহ' (পরস্পরের প্রতি) এ শব্দ তিনটিতেই তাদের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি পরিলক্ষিত হয়। আমাদের সে ধরনের কোন মর্মবেদনা বা সমবেদনা নেই ইয়াহিয়া বা ভুট্টোর প্রতি।
লিখেছেন তিনি, "৭ই মার্চ শেখ মুজিব ঐতিহাসিক জনসভায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি।" তাতে সমস্যা কী? আসলে ডালিমের সমস্যা হচ্ছে, বাস্তব ঘটনাগুলোকে তিনি অস্বীকার করতে পারছেন না এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাও পছন্দ করছেন না। ফলে, তার মন্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর। যেমন, লিখছেন তিনি ১৯৭১ সালে "বাঙালি জাতীয়তাবাদ তখন তুঙ্গে। সারা পূর্ব পাকিস্তানে তখন স্বাধীনতার দাবি জনগণের মাঝে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবকে সংঘাত বর্জন করার জন্য আকুল আবেদন জানান। বৈঠকে মুজিবকে সিদ্ধান্তহীন মনে হয়। ঘটনা প্রবাহের চরম পরিণতি কি হবে সে সম্পর্কে তিনিও ছিলেন শঙ্কিত। মুখে বিপ্লবী বাণী উচ্চারণ করলেও চারিত্রিকভাবে শেখ মুজিব ছিলেন সুবিধাবাদী, দুর্বল ও ভীরু চরিত্রের রাজনীতিবিদ।" [পৃ.৭০] একদিকে ইঙ্গিত করেছেন ইয়াহিয়ার 'আকুল আবেদনে' মুজিব সাড়া দিচ্ছে না। অন্যদিকে তাকে বিপ্লবী হতে বলছেন। ডালিমের দোষ নেই। পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণের মাজেজা থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেননি, ১৯৭৫ সাল তার প্রমাণ।
ভুট্টো ও শেখ মুজিবকে ডালিম একই নিক্তিতে মেপেছেন যা বাস্তবসম্মত নয়। লিখেছেন তিনি, "উচ্চাভিলাষী দুই নেতাই তখন ক্ষমতার লোভে অন্ধ। জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজেদের ক্ষমতাই তখন তাদের কাছে মুখ্য।" [পৃ. ৭২] যতটা পারা যায় শেখ মুজিবকে হেয় করাই তার উদ্দেশ্য। লিখেছেন ডালিম, বঙ্গবন্ধু ৬ দফার প্রশ্নে নমনীয়তা দেখিয়েছিলেন কারণ, "পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার সুস্পষ্ট প্রয়াসও ছিল।" [পৃ.৭৩]
এ কারণেই ডালিম কিছুক্ষণ পরপরই স্ববিরোধী বক্তব্য দেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি বলে যে আক্ষেপ করেছেন, কিছুক্ষণ পরই লিখছেন-৭ মার্চের "ভাষণেই তিনি সর্বপ্রথম স্বাধীনতার কথাটি উচ্চারণ করেন।"... অবশ্য ভাষণের সমাপ্তিতে একই সঙ্গে তিনি স্লোগান দেন, "জয়বাংলা, জয় পাঞ্জাব, জয় সীমান্ত প্রদেশ, জয় পাকিস্তান।"
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রথম বিকৃতায়ন শুরু করেন। কিন্তু, ডালিম তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। ৭ মার্চ ভাষণ, তৎকালীন রেসকোর্সে উপস্থিত থেকে আমিও শুনেছি। ডালিম যেসব শব্দ লিখেছেন আমি তার একটিও শুনিনি।
ব্যক্তিগত আক্রোশ একটি ব্যক্তিকে কত নিচে নামিয়ে দিতে পারে ডালিম তার উদাহরণ। না হলে তিনি কী ভাবে লেখেন একদিকে গণহত্যা চলছে অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস বেগম ফজিলাতুননেসা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পাকিস্তান সরকারের ভাতায় ঢাকা শহরে নিরাপদ জীবন যাপন করেছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবন ধারায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। পিজি হাসপাতালে শেখ মুজিবের বৃদ্ধা মা-বাবার চিকিৎসা হয়েছে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ও শেখ হাসিনা এবং তার মা তাদের দেখতেও গেছেন হাসপাতালে ভিআইপি দর্শনার্থীর মতো। কোন কোন দিন হাসপাতালে রাত্রিও কাটিয়েছেন নির্বিঘেœ।" [পৃ.৭৬]
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে যে রাস্তায় রাখা হয়েছিল সে রাস্তায় আমিও কিছুদিন ছিলাম। প্রথমদিকে ঐ বাড়ির সামনে দিয়ে প্রায় কাউকেও হাঁটতে দেয়া হতো না। পরে, তা শিথিল করা হয়। ফটকেই ছিল পাকিস্তানী প্রহরা। ঐ পরিবারের সদস্যদের বাইরেও বেরুতে দেয়া হতো না। জেলে রাখলে তো সরকারই খাবার দেবে। জেলের জীবন কি ভিআইপি জীবন?
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খালাত ভাই মমিনুল হক খোকার একটি স্মৃতিকথা আছে। [অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, ঢাকা, ২০০০] সে বইয়ে ওই সময়ের মর্মান্তিক বিবরণ দেয়া আছে।
না, এই রুগ্ন মনের এখানেই শেষ নয়। ডালিম লিখছেন, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা পছন্দ হয়নি আইয়ুব খানের। তাই আমেরিকার তৎকালীন শত্রু চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা নেয়। আমেরিকা আইয়ুবকে 'বেয়াদবীর সমুচিত' সাজা দেয়ার চক্রান্ত করে। "তাদের এই প্রচেষ্টায় যোগ দেয় আমেরিকার পুরনো এবং বিশ্বস্ত আস্থাভাজন আলফা ইন্স্যুরেন্সের বেতনভুক্ত [শব্দটি লক্ষ্য করুন' এবং বিদগ্ধ [এ শব্দটিও লক্ষণীয়] হারুন পরিবার। আর ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুরের ঘোষিত ৬ দফা হচ্ছে তারই ফসল।" [পৃ. ৭৮]
তাহলে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাই পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য সচেষ্ট ছিল। তা হলে প্রশ্ন জাগে ১৯৭১ সালে আমেরিকা পাকিস্তান রক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ করল কেন?
এর ঠিক এক পৃষ্ঠা পর ডালিম শাহজাহান সিরাজের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানাচ্ছেন, শেখ মুজিব ৬ দফার সঙ্গে আপোস করে ক্ষমতা গ্রহণে উদগ্রীব ছিলেন এবং ১ মার্চ [১৯৭১] বঙ্গবন্ধুকে হুমকি প্রদান করে বলেন, যদি এখন তিনি স্বাধীনতার দিকে না যান তা হলে বিপদ আছে।
আওয়ামী লীগ ও নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
"তাদের এই নাজুক ও অসহায় অবস্থার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে অতি চতুরতার সঙ্গে সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতার মোক্ষম টোপটি ফেলছিল ভারত ও রাশিয়া। তাদের দেশীয় দালালরা মুমূর্ষু রোগীর মতো শেখ মুজিবকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচতে হলে এই টোপ গলধঃকরণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বরাবরই স্ববিরোধী ও দোদুল্যমান সুবিধাবাদী চরিত্রের অধিকারী শেখ মুজিব স্বীয় ও দলীয় স্বার্থের খাতিরে ২১ মার্চ বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।" [পৃ.৮০]
তার পরের অনুচ্ছেদে ডালিম উল্লেখ করেছেন মুজিব ইয়াহিয়ার বিশেষজ্ঞদের কাছে খসড়া গঠনতন্ত্র পেশ করেন যেখানে কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেয়া হয়। আর "এভাবেই প্রেসিডেন্টের কাছে তথা সমগ্র জাতির কাছে তার দেওয়া কথার বরখেলাপ করে তিনি পাকিস্তানকে অখ- রাখার সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন। প্রেসিডেন্ট মুজিবের প্রতারণায় হতাশ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তার এক সহকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উক্তি করেন, ওরা সৈনিক নয়। তারা চতুর রাজনীতিবিদ। তাদের কথার কোন দাম নেই। স্বার্থের জন্য তারা সবকিছুই করতে পারে।" [পৃ.৮১] ইয়াহিয়ার এই বানোয়াট উক্তিটি করেছেন একথা বোঝাতে যে সৈনিকরা মোমিন, সরল যারা কথা রাখে, বাকিরা ফালতু। উল্লেখ্য, কয়েক পৃষ্ঠা আগেই তিনি উল্লেখ করেছিলেন, মুজিব ইয়াহিয়াকে শাসনতন্ত্রের খসড়া দিতে অস্বীকার করেন।
এই যে উদ্ধৃতগুলো দিলাম তাতে কী কিছু বোঝার উপায় আছে? পরস্পর বিরোধী উক্তি সত্ত্বেও সৈনিক ডালিমের চিন্তার রূপরেখাটি বোঝা যায়। পাকিস্তানীদের মতো পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে দায়ী করতে চান। পাকিস্তান ভাঙ্গাটা তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। ইয়াহিয়ার প্রতি তার বিলক্ষণ সমবেদনা আছে এবং ইয়াহিয়াকে উদ্ধৃত করে তিনি বোঝাতে চান যে, রাজনীতিবিদরা খারাপ, সৈনিকরা সৎ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সৈনিকদের সম্পর্কে এমন মনোভাব সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে তা মেনে নেয়া কঠিন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সর্বনাশের জন্য সেনিকরা দায়ী-এটি বাস্তব সত্য।
(চলবে)
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-08-23&ni=182921
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১



জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন

প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                                                    
মুনতাসীর মামুন

প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়া-ডালিমের পদক কেড়ে নাও ।।



লে. কর্নেল ডালিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বীরউত্তম উপাধি পেয়েছেন। কিন্তু এটি নিয়েই তিনি আজীবন সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি ক্ষমতান্বেষী হয়েছেন। খুনের জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন, এ কারণে পুরস্কার হিসেবে তাকে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছিল, যা তার কাছে গৌরবের। তিনি আমাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর খুনী মেজর ডালিম হিসেবে পরিচিত। খুনের দায়ে তার বিচার হয়েছে। শাস্তি হিসেবে ফাঁসির হুকুম হয়েছে। এখন তিনি পলাতক।
তার গলায় কি মুক্তিযোদ্ধার পদক থাকা উচিত ?? 



__._,_.___

Posted by: "Md.Hasibul Hassan Habib" <think_tank_habib@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] VIDEO TELLS THE TRUTH !!!!!!



যেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা।
- সৌজন্যেঃ এটিএন নিউজ । 
http://bit.ly/XzzqRQ
ভয়াল ২১ শে আগস্ট যেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। - সৌজন্যেঃ এটিএন বাংলা ।
YOUTUBE.COM




__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Bangladesh-Zindabad] BNP is a party of terrorist !!!!!





On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Friday, August 22, 2014 8:16 AM, "Muhammad Ali manik195709@yahoo.com [Bangladesh-Zindabad]" <Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com> wrote:


 
9 mins  · 


We agree with the comments of Sajeeb Wazed Joy . We need to put BNP on trial for their ongoing  heinous activities . Their hands are stained with the blood of pro-liberation forces specially Awami League and the family members of Bangabandhu . BNP-Jamat don't have rights to do politics in Bangladesh .

Dr. Muhammad Ali Manik,
Vice President , US Awami League .
Sajeeb Wazed
বাঙালী জাতি এবং আমার পরিবারের ইতিহাসে আগস্ট একটি অন্ধকার মাস। ১৫ আগস্ট তারা হত্যা করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৫০০ স্থানে একই সময়ে বোমা হামলার মাধ্যমে পুরো জাতির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। ২১ আগস্ট তারা আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তারা আমাদের ২৩ জন কর্মীকে হত্যা করেছে, আহত করেছে ৪০০ এর বেশী জনকে।
সবক'টা হামলার সাথে জড়িত খুনীদেরকে বিএনপি রক্ষা করার চেষ্টা করেছে । তারা ১৫ আগস্টের খুনীদেরকে ইনডেমনিটির মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে এবং বিদেশে চাকরী দেয়ার মাধ্যমে পুরষ্কৃত করেছে । গত মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় ১৭ আগস্টে যারা দেশজুড়ে মুহুর্মুহু বোমা হামলা চালিয়েছে বিএনপি তাদেরকেও রক্ষা করেছে। ২১ আগস্টের হামলার পরিকল্পনাও হয়েছিলো খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের কার্যালয়ে খালেদার রাজনৈতিক সচিব এর উপস্থিতিতে।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে এই আগস্টে যারা প্রাণ হারিয়েছেন আসুন তাদেরকে স্মরণ করি। তাদের অনেকেই ছিলেন আমার পরিবারের সদস্য।
আমি বার বারই বলে এসেছি, বিএনপি হলো সন্ত্রাসীদের দল। তাদের বিচারের সম্মুখীন করা প্রয়োজন।







__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___