Banner Advertiser

Wednesday, December 20, 2017

[mukto-mona] Re: A must read article from Mina Farah:সম্পূ ;রক প্রশ্নোö 8;্তরের প্রত 94;রণা এবং রওশ&# 2472;ের বেদনা





On Tue, Dec 19, 2017 at 11:06 AM Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net> wrote:

সম্পূরক প্রশ্নোত্তরের প্রতারণা এবং রওশনের বেদনা

 
19 Dec, 2017
 
মিনা ফারাহ
সেনাবাহিনী ও ডাক্তারের মতো সাংবাদিকতাও মহান পেশা। কিন্তু যখন কেউ এটাকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে- বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী বা কর্মীর মতো ব্যবহার করে, সেখানে আসলে সাংবাদিকতা থাকে না। লেখাটির উদ্দেশ্য, গণভবনে সংবাদ সম্মেলন। সম্পূরক প্রশ্নোত্তরের জন্য তো সংসদই রয়েছে। সেখানে ৩০০ অবৈধ এমপি এক প্রকার আজ্ঞাবহের ভূমিকা ভালোভাবেই পালন করছেন। কোনো মহান পেশার মধ্যে এসব যুক্ত করা কি ঠিক? সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতরাই সাংবাদিকতার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছেন। তারা কি আমেরিকার বিরোধী দলের ভূমিকা দেখছেন না? ট্রাম্পের মূর্তি বানিয়ে পশ্চাতে লাথি মারছেন, কিন্তু কোনো ধারাতেই জেলে যেতে হচ্ছে না। আমার অভিযোগটি ঢালাও নয়। বরাবরের মতোই একটি দেশ থেকে ফেরত প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও যতবার দেখি, চোখে যেন 'সাংবাদিকতার কুলখানি' দেখতে পাই।
প্রতীয়মান হয়, সংবাদ সম্মেলনগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য, বিশেষ পরিবারকে আক্রমণ। গুজবভিত্তিক প্রশ্নোত্তর পর্বে যে অভিযোগগুলো মাছরাঙা টেলিভিশনের নারী সাংবাদিকের, প্রমাণ করতে না পারলে মহান পেশা ছেড়ে দেবেন কি না! ৫০ নাকি ৫০০ কোটি কিংবা ১২ মিলিয়ন নাকি ১২ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি, দলীয় সভা নয় বলেই যা-তা বলা যায় না। '৭১-এর সাংবাদিকের ভয়, 'বিশ্বনেত্রী' হয়ে যাওয়ায় বিশ্বমিডিয়া নাকি তাকে কেড়ে নিয়েছে এবং দেশী মিডিয়া তাকে আর পাবে না। ব্যক্তির অনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের কারণেই এ প্রজন্মের সাংবাদিকেরা করে খাচ্ছেন। অন্যরা প্রচার না করলেও একটি টিভি চ্যানেল খালেদার 'দুর্নীতি'র খবর প্রচার করেছে বলে দলীয় কর্মীর সুরে গর্ব। সবচেয়ে বড় আপত্তি, যখন প্যারাডাইস পেপার্সে কোকো-তারেকের নাম এসেছে বলে দাবি করে নিজের টেলিভিশনেও প্রচারের ক্রেডিট নেয়া হলো। তারা সেটা প্রমাণ করতে না পারলে ক্ষমা চাইবেন কি না। বিএনপিও মানহানি মামলাসহ অ্যাকশনে যাবে কি না। তাদের দলে ব্যারিস্টারের অভাব নেই।
পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সের তালিকা তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিংবা বিশেষ নামে সার্চ দিয়ে কোথাও খুঁজে পাইনি নাম দু'টি। ওই নারী সাংবাদিকের সম্পূরক প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকেই বিভ্রান্ত। সৌদিতে টাকা পাচারের বিচার দেশী নাকি আন্তর্জাতিক আদালতে হবে, প্রশ্নটি করার কথা রাজনৈতিক দলের। বললেন, '...তারা যদি ক্লেইম করে থাকে এই টাকা আমাদের ব্যক্তিগত টাকা, যা তাদের স্বভাব, ওরা ক্লেইম করে...' অর্থাৎ যিনি সাংবাদিক, তিনিই বিচারক। প্রসঙ্গত সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।
মহান পেশার কথা মাথায় রেখে যে প্রশ্নগুলো করা উচিত ছিল-
ব্যাংকখেকোরাই ব্যাংকগুলোকে খেয়ে ফেলছে। এক লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার দেউলিয়া ঋণ? মিডিয়া খুললেই অর্থসন্ত্রাসীদের খবর। অনেক দিন থেকেই যুগান্তর পত্রিকা এবং যমুনা টিভিসহ কয়েকটি মিডিয়া অর্থ লুটপাটের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট প্রকাশ করছে। ১৩ ডিসেম্বর, যুগান্তর- 'অর্থ লোপাটের তথ্য ফাঁস' প্রতিবেদনে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাচ্চুর লোমহর্ষক তথ্য। দুদকের ৫৬টি মামলায়, অদৃশ্য কারণে বাচ্চুকে আসামি করেনি। সুইফট ঘটনার পরই সাংবাদিকের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য- 'বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তি'র আত্মীয় হওয়ায় অ্যাকশনে যাওয়া সম্ভব নয়। দুই বছর পর বাচ্চুকে ডাকল দুদক। অপর দিকে, জিয়া অরফানেজের বেলায় সর্বশক্তি ক্ষয়। তাহলে চোর কি ওপরতলার কেউ।
- শেয়ার মার্কেট আর জিএমজি এয়ারলাইন্সের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের খবর মিডিয়ায়। রাজনৈতিক উপদেষ্টা হওয়ায় আজ অবধি তাকে ডাকেনি দুদক। -বিবিয়ানা গ্যাস দুর্নীতির মাল্টিবিলিয়ন ডলারের তথ্য সাগর-রুনির ল্যাপটপে থাকায় এই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পরও বিচার বিভাগ নির্বাক। -ব্যাংকগুলো কারা খেয়ে ফেলছে, প্রত্যেকের নাম ও পরিচয় দুদক এবং বিচার বিভাগ জানেন। কারণ তারা পত্রিকা পড়েন।
-বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা লোপাট, প্রথম আলোতে এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি এবং ১০ বছরে পাচার করা টাকার পরিমাণ নিয়ে তথ্য-প্রতিবেদনগুলো বিচার বিভাগ এবং দুদকের নাগালে। আন্ডার ইনভয়েস- ওভার ইনভয়েস করে ব্যাংকগুলোকে খেয়ে ফেলছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় পাওয়া ব্যাংকগুলো।
-বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ডাকাতি এবং তারপরই ওই তলায় আগুন লাগা সত্ত্বেও আতিউরকে ডাকেনি দুদক। ­
-সোহেল রানা এবং দেলোয়ারের বিচার ঝুলছে।
-একটি জুয়েলার্সের গডফাদারদের জামিন দিচ্ছে।
-ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন এবং সাত মার্ডারের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও চিন্তামুক্ত।
-এ দিকে, ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির দড়িতে রকেটের গতি, যেন অবিলম্বে ফাঁসি না দিলে জগৎ উল্টে যাবে। -১৬তম সংশোধনীর রায়ে সংসদ অবৈধ হলে, সরকারও অবৈধ নয় কি? সংসদ ভেঙে দেয়া নিয়ে নির্বাক থাকা কি সাংবাদিকতা? -গণতন্ত্রের বিকল্প বিদ্যুৎ হলে, ওই খাতে কত বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি, এসব প্রশ্ন না করা হলে, সেটা সাংবাদিকতার বদলে অন্য কিছু।
৫ জানুয়ারির ভোট ডাকাতির ফুটেজ আর্কাইভে থাকলেও ওই বিষয়ে নির্বাক। অথচ কয়েক মাস পরই নির্বাচন। ৩০ মে ২০১০ বিবিসি, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ১৫টি দুর্নীতির মামলা খারিজ করা হলো ২০০৯ সালে তার ক্ষমতা নেয়ার পর।' -১/১১-এর রিমান্ডে শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, আবদুুল জলিলসহ অনেকেই দুর্নীতির যে বক্তব্য দিলেন, আর্কাইভে থাকা সত্ত্বেও কী কারণে ধারেকাছে যায় না কেউ! Ñতথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের করাপশন বিষয়ে নির্বাক কেন? -মাসে দুই লাখ ৬০ হাজার ডলার বেতন পেয়েও নির্বাক?
সবচেয়ে বড় অন্যায়, যখন কোনো সাংবাদিক পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হয়ে বিরোধী দলের ওপর গুজবভিত্তিক সরাসরি আক্রমণ চালান। বিষয়টি ঘুষ খাওয়ার মতো মারাত্মক অন্যায়। প্যারাডাইস পেপার্সে বিএনপির যাদের নাম, তাদের ব্যাপারে মানিলন্ডারিং নিশ্চিত না করলেও আওয়ামী সম্প্রদায়ভুক্ত ২০ সদস্যের বেলায় করেছে। এদেরই অন্যতম একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের পরিবার এবং সামিট গ্র"প। -বিদ্যুৎ ব্যবসার সাথে সরাসরি যুক্ত এই গ্র"প। নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের কারণ সাংবাদিকেরা জানেন। সুতরাং সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের মতো না হয়ে, মহান পেশাকেই কি সমুন্নত রাখা উচিত নয়?
৯ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক-এর সম্পাদক তথ্য-প্রমাণসহ লিখেছেন, 'জিয়া পরিবারের দুর্নীতির খবরটি কোনো বিদেশী পত্রিকায় পেলাম না'। একই বক্তব্য টকশোতেও দিয়েছেন। তার দাবি, যেসব সোর্সের নাম বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাননি। আরো বলেছেন, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এ ধরনের তথ্য থাকলে পাওয়া যাবে না, তা হতে পারে না।'
মাছরাঙাকে উদ্দেশ করে মর্তুজা, 'মনে হচ্ছিল তিনি কোনো পারিবারিক দাওয়াতে এসেছেন...। তথ্য উপদেষ্টা সম্পাদিত ডেইলি পেপারে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল ১ ডিসেম্বর।' মর্তুজার বিস্ময়, ছয় মাস আগের দুর্নীতির অভিযোগ এখনো কেন প্রকাশ করা হবে না।
আসলে জনগণের টাকায় গুজব মেশিন খুলে ব্যাপক হারে এসব করাচ্ছে একটি মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীরা। তাদের রয়েছে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ও টেলিভিশন। সৌদি আরবে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সোর্স তারাই। বিশ্বের সৎ রাজনীতিবিদদের কথিত তালিকার সোর্সও তারাই। 'বাংলাইনসাইডার' ছাড়া এসব তথ্য আর কোথাও নেই।
দুই দলই যখন আমাকে এত যন্ত্রণা দিয়েছে, পাঠক বলতেই পারেন, এরপরও বিএনপির ডিফেন্সে লিখছি কেন? কারণ, সবার মতো আমিও গণতন্ত্রকে খুঁজছি। দেরিতে হলেও বুঝেছি- এরশাদ, ১/১১, ৫ জানুয়ারির সাথে আপস না করাই গণতন্ত্র। চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে একদলীয় শাসনের হাত থেকে রক্ষাই গণতন্ত্র। বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তি এবং ১৩তম সংশোধনী এনে ক্ষমতা হারানোই গণতন্ত্র। জনতার মঞ্চ করে জানমাল ধ্বংস না করাই গণতন্ত্র...।
বহুদলীয় গণতন্ত্র ছাড়া, অন্য যেকোনো 'গণতন্ত্র'ই ভুয়া। বহুদলীয় গণতন্ত্র উন্মুক্ত করে ডিভাইড অ্যান্ড রুলের রাজনীতি থেকে দেশকে রক্ষা করেছিল বিএনপি। পরে আবারো সেটাই আনল আওয়ামী লীগ। সেসব কারণেই সুন্দরবন ধ্বংস এবং পদ্মা সেতু নিয়ে নাজেহাল হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারছে। ১৯৮১ সালে দুর্ঘটনা না ঘটলে বহু আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের হতো। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে '৯০-এর দশকেই গাড়ি চলত। জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় ছাড়িয়ে যেত জাতির প্রত্যাশা। বহুদলীয় গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ বাধা না পেলে ৫ জানুয়ারির ঘটনা কখনোই ঘটত না।
'৭০-এ মুজিব বলেছিলেন, ভোট দেয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এবং ৫ জানুয়ারিতে সেই অধিকারই কেড়ে নেয়া হলো। রোহিঙ্গারা হারিয়েছে দেশ, বাংলাদেশীরা হারিয়েছে গণতন্ত্র। ক্ষমতাসীনেরাও জানেন ৫ জানুয়ারির জন্য তারা কতটা নিন্দিত। আর সেই লজ্জা ঢাকতেই খালেদাকে জোরজবরদস্তি সংসদে এনে রওশনকে আউট করতে 'সাঁড়াশি আক্রমণ'।
এবার প্রশ্ন, বৃদ্ধ রওশনকে জোরজবরদস্তি ক্ষমতায় এনে অপমান? তিনি তো ইচ্ছা করে আসেননি। আফটারঅল রওশনই আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধীদলীয় নেতা। তার বহুলালোচিত স্বামী শুধু পার্টির চেয়ারম্যানই নন, হাইকমান্ডের বিশেষ দূতও। অথচ তিনি মিডিয়ায় নেই, আলোচনায় নেই, রাজনৈতিকভাবেও মৃতপ্রায়। বিদেশীরাও হাইকমান্ডের পরই খালেদার সাথে দেখা করেন। একটি ভিজিটিং কার্ড হাতে কেরির সাথে দেখা করতে রওশনের সে জন্যই ব্যাকুলতা। অথচ খালেদাকে মার্কিন দূতাবাসে নিয়ে কেরির সাথে সাক্ষাৎ। রওশনকে কেউ দাওয়াত দেয় না, বিদেশ সফরেও দেখলাম না। এমনকি আনন্দবাজারিদেরও মাথাব্যথা খালেদা ও তারেক নিয়ে। অন্তত ৫ জানুয়ারির পুরস্কার দিতে রওশনকে দিল্লিতে নিয়ে সংবর্ধনা দেয়া যেত। তার দুঃখে আমি দুঃখিত।
বলছি, হাইকমান্ডের ভাষায় যিনি 'অপাত্র', সেখানেই ঘিয়ের টিন খালি করছে দেশী-বিদেশী সবাই। কারণ তিনিই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ঢাক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ঢাক দেশী-বিদেশী সবাই বাজান, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ। মিডিয়াও তাই। সুতরাং 'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।'
নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে হয়তো ৮৫ ভাগ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করবেন খালেদা। এটা প্রমাণিত হয়েছে দেশে ফেরা এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার দিন। এসব দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেছে কোনো কোনো মন্ত্রীর। তাই প্রলাপের মাত্রাও বেড়েছে। 'সে কারণেই ৪ নম্বর মীর জাফর আবিষ্কার।'
সংসদে এবং বাইরে কোথাও নেই। ৯২ দিনের গণতন্ত্রের সন্ধানে গিয়ে, ক্ষমতাসীনদের বোমাবাজিতে নাজেহাল হয়ে, সেই যে ঘরে ঢুকলেন। তারপরও হাইকমান্ডের মুখে সারাক্ষণ শুধুই জিয়া পরিবার কেন? আসল কারণ- ভয়।
জনগণকে ভয়। খালেদা-তারেককে ভয়। রাস্তাকে ভয়। জনসমাবেশকে ভয়। ভয়ে এক্কেবারে ভিডিও কনফারেন্সের ক্যামেরার পেটের মধ্যে সিঁধিয়ে যেতে হয়। অতিকথক কাদেররা জানেন, সব সময় সবাইকে একসাথে বোকা বানানো যায় না। এ কারণেই তাদের সব কর্মকাণ্ডের ফল শূন্যতে এসে ঠেকেছে।
প্রফেসর আবু সাঈদের অত্যন্ত মূল্যবান বক্তব্য- 'সক্রেটিস ছিলেন বলেই প্লেটো। প্লেটো ছিলেন বলেই অ্যারিস্টটল। অ্যারিস্টটল ছিলেন বলেই মহামতি আলেকজান্ডার।' অর্থাৎ উপযুক্ত শিক্ষকেরা তৈরি করে দেন সোনার ছেলে। আমরা বলি, জায়গাগুণে কেঁচো মোটা।
ক্ষমতাসীনেরাও জানেন, খালেদাকে জোরজবরদস্তি নির্বাচনে না আনলে মুসলিম লীগের অবস্থা হবে। তাদের ডিভাইড অ্যান্ড রুল থিওরি ফেল করেছে। তাই আরো কয়েক টার্ম ক্ষমতা দখলে রাখতে, প্রয়োজনে মৌলিক অধিকার হরণ করে গুম-খুন-ক্রসফায়ারের তাণ্ডব চালাতেও দ্বিধা নেই। ২০১৯ ম্যানেজ করতে বিএনপি এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে সরব গুজব মেশিন। গুজব মেশিনের খবর, নাকি আবারো তথ্য এসেছে, আওয়ামী লীগই আবারো ক্ষমতায় আসবে। লীগকে হারানোর মতো দল নাকি এ দেশে নেই। আনন্দবাজারিরাও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে আরো বড় গুজব মেশিন নিয়ে মাঠে। আসল কথা, মুসলিম লীগ হওয়ার ভয় তাদেরই। আর সেই ভয়েই ক্ষমতায় থাকতে অনড়। সহজ কথাটি বুঝতে এত কষ্ট।
গণতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র। এ দফায় আর কোনো ৫ জানুয়ারি হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েই নির্বাচন। বাকি সব ধানাইপানাই বাদ। অন্যথায় ৫ জানুয়ারিতে যেভাবে ভোট ডাকাতি হলো, এবার আরো বেশি হবে। এর কারণ, বিশেষ মন্ত্রণালয়ের ভয়ঙ্কর গুজব মেশিন, যা গোয়েবলসকেও লজ্জা দেয়।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম পার্টি- নিরপেক্ষ মিডিয়া। মহান পেশার তারাই জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করে যান। এমনকি ৫ জানুয়ারিতেও অনেক সাংবাদিকই লাঞ্ছিত হয়েও ভোট ডাকাতির খবর প্রচারে ছাড় দেননি। এ জন্য কয়েকজনকে মেরেও ফেলা হয়েছে। তবে ৫ জানুয়ারির পর বুঝি সাংবাদিকতার মানচিত্র পাল্টে গেছে। গণভবনের সংবাদ সম্মেলনগুলো দেখে সন্দেহ হয়, যা বুঝলাম, 'ভোট চুরির তথ্য ধামাচাপা দিয়ে হয়তো বলা হবে, শতভাগ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।' রাজনৈতিক মদদ এখন কতটা প্রভাবশালী, একটি প্রমাণ কম্বোডিয়াফেরত সংবাদ সম্মেলন।
নিজের অজান্তেই অপাত্রে এত বেশি ঘি ঢেলে ফেলেছেন, না নেচে রাধার উপায় নেই। চেষ্টা করলেই পা পিছলে মুসলিম লীগের অবস্থা হতে পারে। ড্রেনের মুখে ঢাকনা দেয়ার সাধ্য যাদের নেই, তাদের মুখে উন্নতির প্রলাপ, তীর্থের কাকের মতো। সুতরাং যেকোনো মূল্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধ্য করতে অনড় থাকতে হবে 'জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশকে'। এর বাইরে সব কিছুই নাকচ।
 
 


____________________________________________________________
1 Simple Trick Removes Eye Bags & Lip Lines in Seconds
Fit Mom Daily
http://thirdpartyoffers.netzero.net/TGL3242/5a3938df9ad8938df3c43st03duc
SponsoredBy Content.Ad
--
Sitanggshu Guha


__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___