Banner Advertiser

Wednesday, January 29, 2014

[mukto-mona] আকাশে উড়ল ড্রোন : তরুণ গবেষকদের শ্রম সফল : জাফর ইকবাল




আকাশে উড়ল ড্রোন : তরুণ গবেষকদের শ্রম সফল : জাফর ইকবাল
মো. নাসির উদ্দিন, সিলেট
বুধবার বেলা ১২টা। শাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে সাস্টিয়ানদের ভিড়। সবাই অপেক্ষমাণ। শাবির আকাশে কখন উড়বে সাস্টিয়ানদের সাফল্য-প্রথম তৈরি ড্রোন। অবশেষে দুপুর ১টায় শাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আকাশে সফলভাবে উড়ল প্রথম তৈরি মানববিহীন ড্রোন। প্রায় আধা ঘণ্টা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ড্রোনের উড্ডয়নের সূচনা করেন ড্রোন গবেষক টিমের তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। উড্ডয়নকালে প্রায় পঞ্চাশ সেকেন্ড আকাশে উড়ার পর ড্রোনটি সফলভাবে মাঠিতে অবতরণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাস্ট রোবটিক্স, আ্যরোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও গবেষণা দলের প্রধান সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল। টিমের অন্য সদস্য একই বিভাগের ৪র্থ বর্ষের রবি কর্মকার এবং ২য় বর্ষের মারুফ হোসেন রাহাত। এ সময় আগন্তুক সহস্রাধিক দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু করতালিতে আশপাশ ভরিয়ে তুলেন। ড্রোনটি আকাশে ঘুরে সফলভাবে মাটিতে অবতরণ করা পর্যন্ত সবাই আনন্দে ফেটে পড়েন। 

এ বিষয়ে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, 'ড্রোন তৈরি করতে তরুণ গবেষকরা অনেক চেষ্টা ও শ্রম বিনিময় করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা সফল। তিনি বলেন, মূলত সেনাবাহিনীর জন্যই ড্রোন। তবে অন্য কাজেও এটি ব্যবহার করা যাবে। খুবই কম শব্দে চলা ড্রোনটি যেকোন জায়গায় গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলে বা হামলা করে চলে আসতে পারবে।' ড. জাফর ইকবাল বলেন, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক এই ড্রোন বানানোর টাকা নিজের পকেট থেকেই তিনি ছাত্রদের দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ক্লাসভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। তাই থিওরিটিক্যালভাবে ছাত্র নাবিলকে ড্রোন বানাতে বলি। তিনি বলেন, '২০-২৫ লাখ টাকা হলে একটি ভালোমানের ড্রোন বানানো সম্ভব হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। 

যেভাবে তৈরি হলো ড্রোন 

গবেষক দলনেতা সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল জানান, গত বছরের এপ্রিলে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম এ বছরের এপ্রিলে ড্রোন পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হবে। ঘোষিত সময়ের ৩ মাস আগেই মানববিহীন এয়ারক্রাফটের ম্যানুয়াল মুডে ড্রোনের পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন হয়। তবে এটা এখনও ড্রোনের বৈশিষ্ট্যে আসেনি। এটাকে এবার ড্রোনে রূপান্তরের কাজ চলছে। তবে ড্রোনের জন্য যে ডিসিসি (ড্রোন কন্ট্রোল সেন্টার) সেটার সফটওয়্যারের কাজ শেষ হয়েছে। যা দেখতে অনেকটা ফাইটার জেটের ককপিটের মতো। ডিসিরি সঙ্গে বর্তমান এয়ারক্রাফটের ইন্টারফোর্সিং শেষ হলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং প্রয়োজনে ডিসিসির অপারেটরের সাহায্যে চালানো যাবে।

সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল জানান, ড্রোন বানাতে অনেক টাকা লাগে। আর্থিক স্বল্পতার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় আমরা অল্প খরচে এটি ডেভলপ করেছি। যার পুরোটাই বহন করেছেন জাফর ইকবাল স্যার। প্রথম ড্রোন বানানোর জন্য সাফল্য একা নিতে রাজি নন নাবিল। তিনি বলেন, এটা সাস্টিয়ানদের সাফল্য। কারণ এখানে উপস্থিত সহপাঠিদের যেভাবে আগ্রহ আমাদের বানানো ড্রোনের সফল উড্ডয়ন দেখতে, তেমনি অন্য কেউ বানালে আমিও দৌড়ে আসতাম দেখার জন্য।

নাবিল জানান, চলতি বছরের প্রথম দিনেই এপ্রিলে মেনুয়্যাল মোডে ড্রোন উড়াব বলে ঘোষণা দেই। সে অনুযায়ী প্রাকটিক্যাল কাজ শুরু করি। যদিও কাজ শুরুর ২৭ দিনের মধ্যেই আমরা উড়াতে এবং ডিসিসির সফটওয়্যার বানাতে সক্ষম হই। গবেষকরা এতদিন গোপনে বিভিন্ন পরীক্ষা চালান। গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রথম জনসমক্ষে সফলভাবে উড়ানো হয়। নাবিল বলেন, ড্রোনটি আমাদের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবিরাও দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩-এর এপ্রিল থেকে ড্রোনের থিওরিটিক্যাল কাজ শুরু করা হয়। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের তত্ত্বাবধায়নে প্রজেক্টে কাজ করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল, রবি কর্মকার এবং মারুফ হোসেন রাহাত। গবেষকরা আরও জানান, আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ডেভেলপমেন্টের দিকে নজর দিচ্ছি। এর মধ্যে প্লেইন, গ্লাইডার, জেট, মাল্টিকপ্টার। আর্মি এবং এয়ারফোর্স সাহায্য করলে আমরা মিলিটারি ড্রোন বানানোর দিকে নজর দেব। 

কেমন এই ড্রোন 

বর্তমান প্রযুক্তির যুগের উন্নতমানের ড্রোনের মতোই বাংলাদেশি এই চালকবিহীন বিমান যেকোন সময়, যেকোন স্থানে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যে অভিযান চালাতে পারবে। এতে যে মডেলগুলোতে তৈরি করা হয়েছে তার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোর কোন রানওয়ে লাগে না, ল্যান্ডিংয়ের জন্য কোন রানওয়ে লাগে না। শুধু হাত দিয়ে থ্রো করলেই হবে। খুব দ্রুত গিয়ে সংশ্লিষ্ট জায়গায় তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ফেলবে। দ্রুত সময়ে তথ্য পাঠাতে সক্ষম হবে। তাছাড়া শত্রুপক্ষ যদি সেটা ধ্বংস কিংবা খুলে ফেলে বা হ্যাক করে ফেলে, তাহলে ওটার ভেতরে তারা এ ধরনের কোন তথ্য পাবে না। সেখানে ইমেজ প্রসেসর লাগানো হবে। ফলে ড্রোন শত্রুপক্ষ, মিত্রপক্ষ চিহ্নিত করতে পারবে।
- See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDFfMzBfMTRfMV8xM18xXzE1NDI4NA==#sthash.mIkNXsNf.dpuf



  1. Read details at:

  2. [ব্রেকিং] বাংলাদেশের আকাশে উড়ল শাবি'র তৈরি প্রথম ড্রোন! - The ...

    14 hours ago - এর আগে এবছরের শুরু দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয় তারা খুব শীগ্রই সম্পূর্ণ দেশী প্রযুক্তিতে আকাশে উড়ার মনুষ্যবিহীন ড্রোন তৈরিকরবে। তাদের নির্ধারিত ড্রোন তৈরির সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছিল মার্চ এপ্রিল। তবে ঘোষিত সময়ের আগেই এই ড্রোনের ম্যানুয়াল মুড তৈরি করা ...
    1. ড্রোন উদ্ভাবনের প্রথম পদক্ষেপে সফল শাবি | পরিবর্তন

      চালক বিহীনবিমান 'ড্রোন' উদ্ভাবনের প্রথম পদক্ষেপেই সফল হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গবেষণারত দলটি ... ৪/৫ মাস আগে তাদের একটি দায়িত্ব দিয়েছি, এই অল্প সময়ে তারা একটি ফ্লাইং মেশিন তৈরি করেছে যাকে কিছু দিনের মধ্যে পূণাঙ্গ ড্রোনহিসেবে তৈরি করা হবে। এটি ছিল আমার নিজস্ব ... 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Fw: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে



I don't think any one is blaming Islam. People are blaming mostly BNP and Jamat. It makes sense because these two parties were determined to sabotage election. One way to achieve this goal was to terrorize the voters. Hindus are the easy targets. It has been reported that these two parties---particularly Jamat---spent huge money to manufacture terrorism. 

I have used the word "mostly" to make it clear that local AL politics was also a culprit in some cases. 

No one will believe that AL high command decided to resort to terrorizing Hindus as this would have been suicidal for AL. But it is believable that BNP and Jamat high commands had terrorizing voters on their agenda. If we do not understand or do not want to understand this, we will be simply fishing in the troubled waters. 

Now it is the responsibility of AL high command to convince people that it is not a communalist party. It has to be tough on the real criminals hiding within the party. 

In a talk show Matia Chowdhury has compared AL and BNP by saying that BNP is accused of commission and AL is accused of omission. In other words when it comes to persecuting Hindus, BNP commits the crime and AL refrains from taking action. Both are painful for the Hindus. Therefore AL needs to be more vigilant and more active in bringing to justice all criminals including those belonging to AL. 

We definitely need to put constant pressure on AL without losing sight of the simple truth that AL is lot superior to BNP-Jamat alliance when it comes to respecting secularism and communal harmony. While BNP-Jamat will shed crocodile's tears for the affected Hindus, AL should come to realization of the importance and urgency of punishing the actual criminals irrespective of party affiliation. 

Sent from my iPhone

On Jan 29, 2014, at 6:21 AM, QR <qrahman@netscape.net> wrote:

 

ফল হয়েছে উল্টো- শুধু জামাত শিবির নয় স্বয়ং প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। উপজেলা প্রশাসক এর নেতৃত্ব দেন।

>>>>>>>> This "administration" is run by our "Secular" government. There are many Hindu and secular Muslims in BAL. Why they are silent about this?

I think the "Unity council" made some progress this time. They should sit with all parties and make this DEMAND. The right to a secure life is a fundamental right of any citizen and it does not matter which religion they belong to.

As I said many times, NO one can justify this with Islam and clearly Islam is AGAINST such violence against innocent civilians.

If this is a result of some old dispute, still our administration took an oath to protect us from thugs, looters and vandals. During election time, there were around 5,00,000 law enforcement personnel to secure us. It is a good time to analyze what went wrong and how we can prevent this for future.

Shalom!


-----Original Message-----
From: Ajoy Roy <roya_k2003@yahoo.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Tue, Jan 28, 2014 5:28 pm
Subject: Re: [mukto-mona] Fw: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে

 
এ নিয়ে আমি নিজে কাজ করেছি, দিনাজপুর চিরিরবন্দরে। হিন্দুরা লাঠি বাহিনী গঠন করে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা নেয় স্তানীয় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে জানিয়ে। ফল হয়েছে উল্টো- শুধু জামাত শিবির নয় স্বয়ং প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। উপজেলা প্রশাসক এর নেতৃত্ব দেন। ফলে শত শত জামাতিরা হিন্দুদের ওপর জাপিয়ে পড়ে- ঘরবাড়ি লুটপাট অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি .. এ ঘটনা সবারই জানা। পরে অবশ্য  শ্রনাবৃত্তির প্রয়োজন নেই। আরও দু'একজায়গায় প্রতিরোধের চেষ্টায় একই ফল হয়েছে। কাজেই বলা বড় সহজ, দয়া করে কাজে এগিয়ে আসুন তো। দিনাজপুর কর্ণাইতেও একই ঘঠেছে, গ্রামবাসীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের ওপর নেমে আসে জামাতি সন্ত্রাস। প্রশাসনও ধমক দেয় ।
- অজয় রায়


On Tuesday, 28 January 2014, 5:07, QR <qrahman@netscape.net> wrote:
 
"সংখ্যালঘুরা যদি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাঠে নামে, তাহলে তাদের পক্ষে অনেক মুসলমানকেও পাওয়া যাবে। তাই এই আন্দোলনে সবার আসার সুযোগও রাখতে হবে"


>>>>>>>>> I have been saying this for a while but many members criticized that as well. I'll also add that, leaders of minority communities have to show some leadership as well. They have to keep rights of minorities out of politics and help our government to punish real criminals.

We have a lot of work to do...

Shalom!


-----Original Message-----
From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Jan 26, 2014 10:44 am
Subject: [mukto-mona] Fw: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে

 
"সংখ্যালঘুরা যদি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাঠে নামে, তাহলে তাদের পক্ষে অনেক মুসলমানকেও পাওয়া যাবে। তাই এই আন্দোলনে সবার আসার সুযোগও রাখতে হবে"

Ganojagoran Mancha is an example of such movement.


On Saturday, January 25, 2014 10:34 PM, Amit Chowdhury <amitbaranc@gmail.com> wrote:


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ - ২




বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৪, ১৭ মাঘ ১৪২
একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ 
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
২. জঙ্গীবাদের উত্থান
জঙ্গীবাদ নিয়েও সরাসরি মিথ্যা বলেছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, 'জঙ্গীবাদের সূচনা আওয়ামী লীগের সময়েই হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলেই উদীচী, পহেলা বৈশাখ, সিপিবি, গোপালগঞ্জের গির্জায় হামলা হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার করেছি। তারা একজনকে ধরে নাই।' [সংগ্রাম। ঐ] এখানেই শেষ নয় কৌতূকের। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে জঙ্গীবাদ সম্পূর্ণরূপে দমন হবে। বিএনপি এ দেশকে জঙ্গীবাদের বিচরণ কেন্দ্র হতে দেবে না।' [যায়যায় দিন, ঐ]
রাজনীতির মানে যদি হয় মিথ্যা বলা বার বার তাহলে খালেদা যা বলেছেন তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু রাজনীতির মানে যদি হয় সততা, তথ্য পুনর্নির্মাণ না করা ও ব্যক্তিগত সততা তাহলে বলতে হবে খালেদা রাজনীতি করছেন না। মস্তানী করছেন মাত্র।
আওয়ামী লীগের আমলে যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল সেগুলো কারা ঘটিয়েছিল? জেএমবি বা গোপন জঙ্গী সংগঠনগুলো। এগুলো যুক্ত ছিল প্রধানত জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে। প্রশ্রয় দিচ্ছিল বিএনপি। ওই সময় প্রায় ১২৫টি জঙ্গীবাদী গোপন সংস্থা গড়ে উঠেছিল। এদের মধ্যে হুজি বা হরকাতুল জেহাদ [মুফতি হান্নান], জামা'তুল মুজাহিদুল বাংলাদেশ বা জেএমবি [শাইখ আবদুর রহমান] এবং জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ [সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই] বা জেএমজেবি। এই ১২৫টি সংগঠন ছিল [আছে] পরস্পরের সহযোগী। এদের উপদ্রব এমন বৃদ্ধি পেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত আমলে যে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ক্লিনটন ঢাকায় এসে কোন প্রকাশ্য সভায় যোগদান করেননি।
জেএমবি ১৭ আগস্ট ২০০৪ সালে একযোগে একই সময় সারাদেশে বোমা বিস্ফোরণ করে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জেএমবি তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় গুলিস্তানে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল যার সঙ্গে ডিজিএফআই ও এনএসআইও যুক্ত ছিল। শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন কিন্তু আইভি রহমানসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
এই আমলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলা ভাইয়ের উত্থান। রাজশাহীতে তারা সরকারী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সহায়তায় নিজেদের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এক সাক্ষাতকারে বাংলাভাই সেটি স্বীকার করেন। ওই সময়ের এসপি মাসুদ মিয়া তাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করেছিলেন। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি নূর মোহাম্মদ জানিয়েছিলেন 'তাদের প্রতি আমাদের সায় আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। পুলিশের সম্মতি না থাকলে তারা মাঠে থাকতে পারে না।' (জনকণ্ঠ ৫.৫.২০০৪)।
তারা কী করছিল সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনÑ 'গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে 'মচমইলে' জেএমবির ধর্মসভায় লুৎফর রহমান মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের [আসলে জেএমবি] হামলায় আহত ড. হুমায়ুন আজাদকে 'কুত্তা' আখ্যা দেয়। জোরপূর্বক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের দিয়ে এসব সভা আহ্বান করা হচ্ছে। স্কুল ও কলেজ প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের কালো পর্দার পাটিশন দিয়ে আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে। মেয়েদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। শিক্ষকদের প্রতিদিন ১০ মিনিট করে ইসলামী আলোচনা করতে হবে। সিগারেট বিড়ি খাওয়া বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে। নামাজ আদায় করা হবে নিয়মিত। পুলিশ কোন কিছু করলে আমরা ব্যবস্থা নেব বলে প্রচার করেছে জঙ্গী ক্যাডাররা।' [সংবাদ, ৭.৫.২০০৪]
জঙ্গীরা ভয়ানক হয়ে উঠলে মিডিয়ার চাপে খালেদা জিয়া আগস্ট ২০০৪ সালে সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেনÑ দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য চারদলীয় জোটে ফাইল ধরানো। ১৫ মার্চ ২০০৫ সালে সঙ্কটে তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন এসব জঙ্গীবাদী কর্মকা-ের পিছে প্রশ্রয় আছে আওয়ামী লীগের। ২২ জুলাই ২০০৪ সালে মতিউর রহমান নিজামী বলেন, 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি।' ২২ জুন তিনি সংসদে বলেন, পুলিশ কাকে গ্রেফতার করবে, বাংলা ভাই বলে তো কেউ নেই। ২৬ জানুয়ারি ২০০৫ সালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও একই ধরনের উক্তি করেন। গ্রেনেড হামলার জন্য জজ মিয়া নামক একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনরোষ চরম হলে শাইখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইকে বিএনপি-জামায়াত সরকার গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। পরে বিচারে তাদের মৃত্যুদ- দেয়া হয়। বাংলা ভাই বা জঙ্গীবাদী সংগঠনগুলো না থাকলে এদের কেনই বা গ্রেফতার করে মৃত্যুদ- দেয়া হলো। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমি পাঠকদের শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই রাজনীতির নামে ধর্মকে হাতিয়ার করে বিএনপি-জামায়াত বা খালেদা জিয়া কি মিথ্যাচার করে ছিলেন।
৩. দুর্নীতি
আওয়ামী লীগের নেতাদের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছেন খালেদা জিয়া। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, 'বিদেশী টাকা পাচার করেছেন আপনারা। কে কোথায় টাকা পাচার করেছেন তার সব তথ্য আমাদের কাছে আছে।' [যাযাদি ঐ] এ বক্তব্য নতুন নয়। তিনি এবং বিএনপি নেতারা বার বার এ কথা বলেছেন, শুধু তাই নয় তিনি ও বিএনপি নেতারা আগে এবং এখনও বলছেন, আওয়ামী লীগ আমলে ডেসটিনি, হলমার্ক প্রভৃতি কেলেঙ্কারি ঘটেছে অর্থাৎ এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা দায়ী।
টাকা পাচার সম্পর্কে তথ্যের কথা দীর্ঘদিন ধরে খালেদা বলছেন, কিন্তু কখনও তথ্য প্রমাণ মিডিয়াকে দিচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বা মন্ত্রীরা দুর্নীতি করেনি এ কথা বলা সত্যের অপলাপ, আমি তা বলব না। কিন্তু একটি পার্থক্য আছে। বিএনপি-জামায়াত আমলে একেবারে থানা থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রথম দুই বছর যেভাবে টেন্ডারবাজি শুরু হয়েছিল শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কারণে তার বিস্তার ঘটেনি। বিএনপি-জামায়াত আমলে যত আর্থিক কেলেঙ্কারি শুরু হয়েছে তার কোন বিচার হয়নি, আওয়ামী লীগ আমলে শেয়ার কেলেঙ্কারির বিচার না করা অন্যায় হয়েছে। কিন্তু ডেসটিনি, হলমার্ক প্রভৃতির কেলেঙ্কারির শুধু বিচার নয়, হোতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তদন্ত দুদক শুরু করেছে সরকারের কেউ তাতে বাধা দেয়নি। পার্থক্যটি এখানেই।
খালেদা জিয়া কী ভাবে ভুলে যান তিনি ও তাঁর পরিবারের সবার দুর্নীতির বিচার হচ্ছে। তারেক ও কোকোর অর্থ আত্মসাতের তদন্ত তো করেছে সিঙ্গাপুর ও মার্কিন সরকার এবং সে মামলায় এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে সাক্ষীও দেয়া হয়েছে ঢাকায়। অর্থ আদায়ের জন্য, ব্যবসার জন্য তারেক জিয়া তো আলাদা অফিসই নিয়েছিলেন যা পরিচিত হাওয়া ভবন নামে। খালেদা, তাঁর দুই পুত্র ও সঙ্গী-সাথীদের দুর্নীতির খতিয়ান ও মামলার বিশদ বিবরণ নিয়ে প্রায় ৫০০ পাতার তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রামাণ্য এসব গ্রন্থের মধ্যে দুটির উল্লেখ করছিÑ ২৭৫ পৃষ্ঠার আসলাম সানীর 'বিএনপি জোটের দুর্নীতির খতিয়ান' এবং জয়ন্ত আচার্যের 'খালেদা জিয়া পরিবারের লুটপাট।'
৪. নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলছেনÑ 'মেরুদ-হীন এই কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।' [সংগ্রাম] এবং 'ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে প্রহসন করেছে। এ নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি।' ইনকিলাব ও প্রথম আলো দেখিয়ে তিনি বলেন, 'এসব পত্রিকায় বলেছে ভোটার নয়, কেন্দ্রে কুকুর শুয়েছিল। নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। সরকার এ ভোটকে চল্লিশ শতাংশ দেখিয়েছে।' [ঐ]
বাংলাদেশে প্রতিটি নির্বাচন বিতর্কিত সুতরাং, এ নির্বাচনের পরও বিতর্কিত বলা হবে সন্দেহ নেই। দুঃখজনক হলো রাজনীতিবিদরা পাঁচ বছর শাসন করবেন কিন্তু নির্বাচনের সময় সাংবিধানিক নির্বাচন বা কমিশন চাইবেন না তারা বরং সংবিধান বহির্ভূত ও আমলা নিয়ন্ত্রিত সরকার চাইবেন। তবে নির্বাচন নিয়ে বর্তমান দ্বন্দ্বের সূত্রপাত করেছিলেন খালেদা জিয়া সরকার বিশেষ করে মওদুদ আহমেদ যা বিতর্ককালে সবাই ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও বিতর্কিত করেছেন মওদুদ, হঠাৎ বিচারপতিদের অবসরের সময়সীমা বাড়িয়ে। খালেদার সময় নির্বাচন কমিশন এত বিতর্কিত ছিল যে তারাই বাধ্য হয়েছেন তা বদলাতে। সেই বিচারপতি আজিজকে সরিয়ে দেয়ার পর কেউ আর তাকে দেখেনি। খালেদার আমল ও খালেদা প্রভাবান্বিত লতিফুরের আমলের নির্বাচনগুলো পরিচিত মাগুরা নির্বাচন, ফালু নির্বাচন, সাদেকালি নির্বাচন ও সালসা নির্বাচন নামে। এসব কথা শুধু আমরা নই মিডিয়াস্থ যেন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলে গেছে। খালেদার সময় একতরফা নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছিল? 
সাম্প্রতিক নির্বাচনে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট প্রায় পড়েনি। কারণ এত সন্ত্রাস হয়েছিল যে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ সাহসও করেনি ভোট কেন্দ্রে যেতে। মিডিয়াও এমন প্রচার করেছিল যাতে ভোটার না আসে। তবুও মানুষ গেছেন ভোট দিতে আদর্শগত কারণে। এমনকি হিন্দুদের হুমকি দেয়ার পরও তারা ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ভোটের বাক্সের নিরাপত্তা চেয়েছিল ভোটারের নয়। ভোটারের নিরাপত্তা দিলে ও যৌনবাহিনী ২০০৮ সালে যেভাবে ভোটার সুরক্ষা করেছিল তা করলে ভোট সংখ্যা আরও পড়ত। তার পরও ভোটের হার ছিল চল্লিশ শতাংশের ওপর। ভাইসরয়ের সঙ্গে ব্যবহারকারী যুক্তরাজ্যের দূত গিবসনকে সাংবাদিকরা যদি একটু সাহস করে জিজ্ঞেস করতেন, ক্যামেরন সরকার কত শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত তাহলে খুশি হতাম। ওই হার চল্লিশ শতাংশের কম। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির বিরোধী দল হওয়া ও সরকারে থাকা নিয়ে অনেক বিজ্ঞজন প্রশ্ন তুলেছেন, এখন ব্রিটেনে যে সরকার তাতে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ ও লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করেছে এবং লিবারেল সদস্যরা যথারীতি সরকারের সমালোচনা করছেন। তার পরও বলব বিএনপি নির্বাচনে এলে ভাল হতো। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না এলে গণতন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গেল এ বক্তব্য অনুচিত। কারণ, বিএনপি স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসেনি। বিএনপির শর্তানুযায়ী কিছু না হলে গণতন্ত্র গেল যারা এ কথা বলেন তারা গণতন্ত্রের থেকে বিএনপির বেশি বন্ধু। পাকিস্তানপন্থী, মৌলবাদী, জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধী, একটি দল নির্বাচনে না এলে গণতন্ত্রের তেমন ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করি না। বরং প্রশ্ন তুলব, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা স্বীকার করে না, বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, ত্রিশ লাখ শহীদের অবমাননা করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা তা বিচার্য।
৫. হত্যা, গুম ও যৌথবাহিনী এবং ভারতের ভূমিকা
হত্যা গুম যৌথবাহিনী ও ভারতের ভূমিকা নিয়েও খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন তিনি যৌথবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে বেগম জিয়া বলেন, যৌথ অভিযানের নামে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। যৌথবাহিনীতে সরকারী দলের লোক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ আজ সরকারের কর্মীবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা সরকারের কথামতো বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গুম, খুন এবং হত্যা করছে। তাই এ সরকার জনগণের নয়। তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় যেভাবে যৌথবাহিনীর নামে বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে, গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, গুম, হত্যা করেছে তাতে এটা বলা অনুচিত হবে না যে, এ অভিযানে বাইরের কেউ জড়িত থাকতে পারে। যে সব অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, অভিযানের নামে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে। [সংগ্রাম]
গর্জন সিং ওরফে মির্জা ফখরুল আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, 'সকাল-বিকাল-দুপুরে যাদের দেখবেন, তাদের চেহারা যদি আপনাদের চেহারার সঙ্গে না মিলে, মনে করবেন এরা ভারতের লোক। আওয়ামী লীগের ভাড়াটে।' {ঐ} এ প্রসঙ্গে খালেদা ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশে 'মৃত্যু'র সংখ্যাও উদাহরণ হিসেবে বলেছেন। 
এ বক্তব্যের প্রথমাংশ নিয়ে প্রথমে আলোচনা করা যাক। ক্রসফায়ার, হত্যা, গুমের পক্ষপাতী আমরা নই; অন্তত ব্যক্তিগতভাবে কখনও আমি তা সমর্থন করিনি। বিএনপি আমলে সেনাবাহিনীর ক্লিনহার্ট অপারেশন, র‌্যাবের ক্রসফায়ার বা গুমের সমালোচনা প্রথম ভাষ্যকার হিসেবে আমি এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে আসক করেছিল। শেখ হাসিনার আমলের প্রথম বছরেও ক্রসফায়ার চলেছিল এবং আমরা তার নিন্দা করেছি। এর পর র‌্যাবের ক্রসফায়ারের কথা আর তেমন শোনা যায়নি।
হত্যা, গুম কি সব সরকারী বাহিনীই করে? বিএনপির নেতা কিন্তু সমাজে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতদের কি ক্রিমিনাল প্রতিদ্বন্দ্বী নেই? দুটি উদাহরণ দেই। চৌধুরী আলম টোকাই থেকে কোটিপতি হয়ে বিএনপির নেতা বলে যান। তারপর তিনি গুম হন। এর আগে তিনি নিজেও অনেক গুম, খুন করেছিলেন। ইলিয়াস আলীর পরিচয়ও ছিল সন্ত্রাসী হিসেবে এবং এক সময় বিএনপিই তাকে বহিষ্কার করেছিল পরে তিনি বিএনপি নেতা হন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাকশনের মারাত্মক শত্রুতা ছিল। এদিক থেকে কিন্তু কেউ তেমন বিচার করেন না।
বিএনপি আমলে আমি বা শাহরিয়ারের মতো লেখক ছাড়াও তোফায়েল আহমেদ থেকে সাবের চৌধুরীÑ কে গ্রেফতার হয়নি? মতিয়া চৌধুরী থেকে শুরু করে আসাদুজ্জামান নূরÑ কে পুলিশের লাঠির বাড়ি খাননি? সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে তো বিএনপি জোটের সাফল্য প্রচুর। তারা ঘরে ঘরে সন্ত্রাস পৌঁছে দিতে পেরেছে। 
খালেদার আমলে খুন হয়েছে ১৩,৭১৩ জন, দাঙ্গা ৩০,৮৯০টি, ডাকাতি ৪,৬০৮টি, নারী নির্যাতন ৫,০৬০টি, অপহরণ ৭,৮৩২টি। বিশেষ ক্ষমতা আইনে অন্তরীণ হয় ১৮,০০৪ জন। বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ধর্ষণ, গণধর্ষণের সংখ্যা ৬৫৯টি, এগুলো হচ্ছে সংবাদপত্র প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। এ ছাড়া আরও ধর্ষণ হয়েছে যা প্রতিবেদন আকারে আসেনি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৪১ জনকে। গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪৪ জনকে। এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৫০ জন। ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এ হিসাব মহিলা পরিষদের। এর সঙ্গে ২০০৫ ও ২০০৬ এর হিসাব ধরলে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ক্রসফায়ারে মারা গিয়েছিল ১৪০০ জন। খালেদা নিজের আমলের কথা ভুলে যেতে পারেন, আমরা তো পারি না।
বিএনপি-জামায়াত তাদের কর্মকা-ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। গত দু'বছরে তারা পেট্রোলবোমা ছুড়ে কতজন হত্যা করেছে? দোকানপাট ভাংচুর ও লুট করেছে। সাতক্ষীরায় তারা যা করেছে তা যদি সাতক্ষীরায় কেউ না যান তাহলে বুঝতে পারবেন না। আরও আছে। আসলে বিএনপি-জামায়াত আমল সন্ত্রাসে এত ভরপুর ছিল সব মনে রাখাই কঠিন। ১০ ট্রাক অস্ত্রের কথা তোলা যায় কী ভাবে? ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দৈনিক সংবাদের শিরোনাম ছিল 'অস্ত্র কিনতে দাউদের সঙ্গে ডিল করেন খালেদা পুত্র [তারেক]।
হেফাজত নিয়ে খালেদা সব সময় মিথ্যাচার করেছেন, এখনও করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি মিডিয়াকেও মিথ্যাবাদী বানিয়েছেন। এদিন রাতে মিডিয়ার কর্মীরা সারাক্ষণ ছিলেন মতিঝিলে, তাঁরা কোন মৃত্যুর সংবাদ দেননি। নির্মূল কমিটি দুই খ-ে যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেখানেও দেখা গেছে ওই রাতে কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু গায়ের জোর বলে কথা!
আসলে খালেদা জিয়া সব সময় আদেশ দিতে অভ্যস্ত। তাঁকে কখনও আদেশ দেয়া হয়নি। তাঁর যে কোন বক্তব্যই তাঁর ও বিএনপি পার্শ্বচরদের কাছে আদেশ। সে বক্তব্যের কেউ সমালোচনা করলেই তার অভিধা জোটে বেয়াদব। এটি যে এক ধরনের বেয়াদবী এটি তাঁর কখনও মনে হয়নি। কারণ যে পারিবারিক আবহে তিনি বড় হয়েছেন সেখানে সুসংস্কৃতির চর্চা ছিল কিনা সন্দেহ। থাকলে, তিনি অনবরত মিথ্যা বলতে পারতেন না। তাঁর কাছে রাজনীতি মানে গায়ের জোর, মিথ্যাচার, শঠতা। তিনি ন্যায়-অন্যায়ের কথা বলেন। তাঁর আমলে জনাব এবিএম কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারও দেয়া হয়নি। আহসান উল্লাহ মাস্টারের বুক ঝাঁজরা করে দেয়া হয় গুলিতে। কারও বিচার হয়নি। এই মহিলা আমাদের বলেন সন্ত্রাসের কথা যার স্বামী সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন যার পুত্ররা সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, অন্যদের সন্ত্রাসী বলা ঠাট্টার মতোই বটে।
তিনি আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে, সংসদ নিয়ে সবক দেন। তাঁর এ কথা বলার যোগ্যতা নেই। তাঁর দলে কখনও প্রায় নির্বাচন হয় না। নবম সংসদে ৪১৮ কার্যদিবসে তিনি উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১০ দিন। বেতন-ভাতা কিন্তু নিয়মিত নিয়েছেন। সপ্তম সংসদে ৩৮২ কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ দিন। নবম সংসদে উপস্থিত না হয়ে তিনি মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা বেতন ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করেছেন [আমাদের সময়, ২৫.১.২০১৪]
সবশেষে আসি ভারত প্রসঙ্গে। বিএনপি-জামায়াতের পররাষ্ট্র নীতি ও দলের মৌল নীতিই হলো ভারত বিরোধিতা ও ভারতের প্রতি বিদ্বেষ জ্ঞাপন। নির্বাচনকালে মজেনা, গিবসন, হানা তাঁর পক্ষে যে রকম ভূমিকা রেখেছিলেন তা তাঁর স্থায়ী কমিটিরও কেউ রাখতে পারেনি। এতে তিনি আশান্বিত ছিলেন নির্বাচন হবে না। ভারত এককভাবে সংবিধানের পক্ষ নিয়েছিল। খালেদা ভাবেননি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিই জয়ী হবে। এটি তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন এবং নানাভাবে ভারতের বিশেষ করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন। হয়ত তাঁর গোপন বাসনা, সেনাবাহিনী ১৯৭৫ সালের মতো, শেখ হাসিনার পরিবারকে হত্যা করুক তারপর তিনি ক্ষমতায় আসবেন যেটি তাঁর স্বামী করেছিলেন। বিডিআরের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে নিহত হয়েছেন এমন ইঙ্গিতও তিনি করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। আর গত কয়েক মাসে তাঁর ও তাঁর নেতাদের নির্দেশে তার ও জামায়াতের ক্যাডাররা খুন করেছে ১১ জন পুলিশ, জখম করেছে কতজনকে তার ইয়ত্তা নেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি কথাও আজ পর্যন্ত খালেদা বা ফখরুলের মুখ দিয়ে বেরোয়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁদের কানেকশন যে কত গভীর তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে কয়েকদিন আগে তিনজন তেহরিকী তালেবানের সদস্য গ্রেফতার হওয়ায়। তারা স্বীকার করেছে তাদের একটি বড় দল বাংলাদেশে এসেছে সন্ত্রাস ঘটাবার জন্য। খালেদার পুরো রাজনীতিই উস্কানিমূলক। তাঁর নাম উস্কানি বেগম রাখাই বরং যুক্তিযুক্ত।
তিনি ও ফখরুল বলছেন, সাতক্ষীরায় জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে এ্যাকশনে নেমেছিল ভারতীয় বাহিনী। আমাদের চারপাশেও ভারতীয়রা ঘোরাফেরা করছে। এই উক্তি আমাদের সেনাবাহিনীর জন্যও চরম অবমাননাকর। একজন রাজনীতিবিদ হয়ে এ ধরনের মিথ্যাচার তিনি কী ভাবে করলেন। এই নারী ক্ষমতায় আসা কতটা বিপজ্জনক তাঁর এসব বক্তব্য ও মিথ্যাচারই তা প্রমাণ করে। বার বার মিথ্যাচার কোন বক্তব্যকে সত্য বলে প্রমাণ করে না বরং বক্তাই সমাজে রাষ্ট্রে নির্লজ্জ বলে প্রতিভাত হন। খালেদা জিয়ার বক্তৃতা ও সাম্প্রতিক উক্তিসমূহ একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, মানসিক যন্ত্রণা ও ক্রোধের বহির্প্রকাশ মাত্র, শুদ্ধ রাজনীতি দূরে থাকুক, রাজনীতিও নয়। (সমাপ্ত)
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-01-30&ni=162063
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৪, ১৭ মাঘ ১৪২


Previous:
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২

একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ -
মুনতাসীর মামুন
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২
Also Read:
বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় -  
খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ - ১



Politicians are not intellectually smart people, because smart people do not go to politics anywhere in the world. Therefore, do not think so highly of European and American politicians; for proof look at their policies in Middle East, Afghanistan, Africa, etc.

American politicians always talk about promoting democracy around the world. They think - solution to every problem in the world is democracy. They do not understand that - democracy cannot survive among vastly ignorant religious people; democracy there will only establish religious autocracy that easily; the proof is Egypt.

Democracy needs a vast secular mass; that environment needs to be created first. I do not think these foreigners understand that at all; if they did, they could not support BNP/Jamat in Bangladesh.

Anyway, Khaleda Zia is shedding her crocodile tears; religious minorities cannot trust her at all. She has revealed her own image in 2001.
 
Jiten Roy


On Wednesday, January 29, 2014 6:51 PM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২

একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ
মুনতাসীর মামুন
পরিস্থিতির এত নাটকীয় পরিবর্তন হবে তা নির্বাচনের দিনও ভাবা যায়নি। আমরা যাঁরা আশঙ্কা করছিলাম, নির্বাচনের পরদিন থেকে আবার জ্বালাও পোড়াও শুরু হবে, তা হয়নি। মুখ রক্ষার জন্য ১৮ দল অবরোধ হরতাল ডেকেছিল তারপর তারা ভুলে গিয়েছিল। এখন দেশের পরিস্থিতি ঠিক আগের মতো। অর্থাৎ, অবরোধ হরতালের আগে যে অবস্থা ছিল। এত দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কল্পনায়ও ছিল কিনা সন্দেহ। 
বিএনপি-জামায়াত এবং ১৬ দল বা একত্রে ১৮ দল কখনও ভাবেনি নির্বাচন হবে। প্রতিদিন মানুষ পুড়িয়ে কুপিয়ে একটি ত্রাসের রাজত্ব তারা তৈরি করতে পেরেছিল। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বার বার হুমকি দিচ্ছিলেন। আমেরিকা ইউরোপ যেখানে জামায়াতের পক্ষে ছিল সেখানে নির্বাচন হওয়াই ছিল কষ্টকর। যাক, নির্বাচন হলো। বিএনপি-জামায়াতের ও সুশীল বাটপাড়দের মুখপাত্র প্রধান প্রধান [দুইবার প্রধান ব্যবহার নিশ্চয় ব্যাকরণ শুদ্ধ নয় তবুও গুরুত্ব বোঝাবার জন্য দুবার শব্দটি ব্যবহার করা হলো] পত্রিকা ও চ্যানেলগুলো এই কথাই বোঝাতে চাইল ৫ ভাগের বেশি ভোট পড়বে না। ভোট পড়েছে ৪০ ভাগ। বিষয়টি তাদের হতাশ করেছে। ভাবা হয়েছিল। ঠিক আছে নির্বাচন হয়েছে, যাক সংবিধান রক্ষা হয়েছে, আবার নির্বাচন ঘোষণা করা হবে। তা' না হয়ে মন্ত্রিসভা হলো। ফেসবুক বা সাধারণ মানুষ মনে করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বহিস্থ সদস্য। এতদিন এসব রাষ্ট্রদূত ছোট ছোট দেশে বড় বড় ভূমিকা রেখেছেন। এখানেও বিএনপি-জামায়াত সে কারণে তার ওপর ভরসা রেখেছিল। যে কারণে, নির্বাচনের পর পর দুদিন বোধহয় তিনি বললেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন নতুন নির্বাচন নিয়ে কথা হোক। কিন্তু সরকারী দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, কিসের নির্বাচন? সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। সেটি শেষ হোক। মজেনা এসব দেখেশুনে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তাঁর ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, আমেরিকার মটো এক টি ডেশ-কে এভাবে ট্রিট করা বেঠিক। এ গ্রেডের রাষ্ট্রদূত হলে মজেনা জানতেন, পৃথিবীর বহুদেশ এখন আর আমেরিকাকে ওইভাবে ট্রিট করতে চায় না। 
মজেনা স্তব্ধ হওয়ার পর আমেরিকার দুটি উপনিবেশ, একটিও বলা যায়, ইংল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও বার বার নির্বাচনের কথা বলছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত গিবসন খানিকটা বাড়াবাড়িই করছেন। আসলে, তাঁর বোধহয় ধারণা তিনি রাষ্ট্রের ভাইসরয় হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ এখনও একটি উপনিবেশ। আবার আমেরিকা তাঁদের উপনিবেশ ছিল এক সময়। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কটা এখন মনিব-ভৃত্যের। সেই জ্বালা থেকে বোধহয় গিবসন ভাবতে চাচ্ছেন, এখনও এই দেশটা তাঁদের উপনিবেশ। অবশ্য স্বদেশ রায় এর একটা ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন ব্রিটিশদের একটা গুণ আছে তাঁরা কোন বিষয় নিয়ে খুব বিশদ কাজ করে। আবার তাঁদের আরও একটি গুণ আছে তাঁদের কেউ কেউ কোন বিষয়ের গভীরে যান না। তাঁদের জীবনটা কেটে যায় ফুটবল আর ক্রিকেট নিয়ে। যে কারণে ইউরোপের অনেক দেশে একটি রসাত্মক কথা চালু আছে, ব্রিটিশ কেউ পিএইচডি করলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার সাবজেক্ট ফুটবল বা ক্রিকেট নয় তো? ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক কিছু কথাবার্তা কিন্তু ওই ফুটবল ক্রিকেট নিয়ে কাটানো ব্যক্তির মতোই মনে হচ্ছে। তিনি বলছেন, এখনই আলোচনা শুরু করুন? তাঁকে প্রশ্ন করতে হয়, কার সঙ্গে আলোচনা করবে? এবং আলোচনার বিষয় কি? [জনকণ্ঠ ২৩.১.২০১৪]
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত হানাও একই ধাঁচের কথাবার্তা বলছিলেন। এখন অবশ্য, দাপট খানিকটা কমেছে। এরা মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা করছেন। জানি না কোন মন্ত্রীর সাহস হবে কিনা বলতে যে, দেশটা এখন আর ইউরোপের উপনিবেশ নয়। আমাদের সাংবাদিকরা হয়ত জানেন না, ইউরোপ আমেরিকা বাংলাদেশে কখনও বি গ্রেডের রাষ্ট্রদূতও পাঠায় না। সি গ্রেড নিয়ে সাংবাদিকরা যা মাতামাতি করেন এ গ্রেডের রাষ্ট্রদূতের সামনে দাঁড়ালে বোধহয় তাঁদের হাত-পা কাঁপবে। পৃথিবীতে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাই একমাত্র সি গ্রেডের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এতো মাতামাতি করেন। এবং তা দেখে এসব রাষ্ট্রদূত নিজেদের নিজ দেশের নীতিনির্ধারক মনে করেন। অবাক হব না, এসব রাষ্ট্রদূতদের অনেককে যদি টার্ম ফুরোবার আগেই ডেকে নেয়া হয়। কারণ, তাঁরা সব বিভ্রান্তিকর সংবাদ পাঠিয়েছেন নিজ নিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সন্ত্রাসী, তালেবানী দল। গ্রুপগুলোকে তাঁরা গণতন্ত্রে জোর জবরদস্তিমূলক অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের পরিচ্ছন্ন ইমেজ তৈরি করতে চেয়েছেন। এতে নিশ্চয় লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বার্থরক্ষার ব্যাপার আছে। অনুমান করে নিতে পারি, নিজেদের জিঘাংসা চরিতার্থ করতে এরা ১৮ দলকে আবার জ্বালাও পোড়াওর রাজনীতি আনার প্ররোচনা যোগাবেন। 
এসব দেখেশুনেই খালেদা জিয়ার পাগল পাগল লাগছে। আরও পাঁচ বছর ক্ষমতার বাইরে! তাহলে একযুগ ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়। তাঁর জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের বয়স তখন আশির কাছাকাছি হবে। তিনি নিজেও হাঁটবেন আশির পথে। ছেলেকেও ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না অথচ নিশ্চিত ছিলেন তাঁকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন। আরও পাঁচ বছর শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে হবে, তাঁর বক্তৃতা শুনতে হবে। আসলে এই চিন্তাটাই তাঁকে শারীরিকভাবে অবসন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলছে। না'হলে ২০ জানুয়ারি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে এ ধরনের বক্তৃতা দিলেন কিভাবে?
তার বক্তৃতার সম্পূর্ণ বিবরণ যথাযথভাবে অধিকাংশ পত্রিকায়ই নেই। তবে, বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে নির্যাসটুকু পাওয়া যায়। এ নির্যাস বলে দেয় তার পুরনো বক্তব্যের সঙ্গে নতুন এই বক্তব্যের তেমন অমিল নেই। মনে হয় কেউ ভাঙ্গা একটা রেকর্ড বার বার বাজাবার চেষ্টা করছে। বক্তৃতায় কয়েকটি বিষয়ের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। 

১. হিন্দুদের ওপর আক্রমণ 

খালেদা বলেছেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর সরকার পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে। এ হামলার সঙ্গে সরকারী দলের লোকজন জড়িত... যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে' (সংগ্রাম, ২১.১.১৪) 'নির্বাচনে মানুষের সমর্থন না পেয়ে ব্যর্থতা ঢাকতেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, হিন্দু ভাইদের বাড়িঘরে হামলা করছে, তাদের ওপর নির্যাতন করছে, বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে, দখল করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায়-দায়িত্ব সরকারের।' [যায় যায় দিন ২১.১.১৪]
হিন্দুদের তিনি ভাই বলাতে হাসি পাচ্ছে। গয়েশ্বর-নিতাইকে তিনি ভাই-বেরাদর যা বলুন আপত্তি নেই, কিন্তু হিন্দুরা তার ভাই এ কথা, তার ভাষায় কোন শিশু ও গাপলও বিশ্বাস করবে না। বিএনপির রাজনীতির মূলই হলো পুরনো দ্বিজাতি তত্ত্ব যা জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেছিলেন। এ তত্ত্বে হিন্দুরা থাকবে, তবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে থাকবে। হিন্দুদের জন্য তার সমবেদনা, মাছের মায়ের কান্নার মতো, হিন্দুদের জন্য অপমানজনকও। 
এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য। ডেইলি স্টার ২১ তারিখে খালেদার বক্তৃতার ওপর একটি প্রতিবেদন ছেপেছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে এর একটি প্রতিবাদও ছাপা হয় ২৪ তারিখে। স্টার হিন্দুদের সম্পর্কে তার বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করেছিল। বিএনপির প্রতিবাদলিপিতে স্টার উল্লিখিত সব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালেও হিন্দুদের সম্পর্কে স্টারের সমালোচনার কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি। 
খালেদা জিয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতা ঘটেছে। এই সহিংসতাকে স্রেফ নির্বাচনী সহিংসতা বলা ঠিক হবে না। এর একটি প্যাটার্ন আছে যার ভিত্তি জাতিগত বিদ্বেষ। গয়েশ্বর-নিতাই বা এরকম আরও যারা বিএনপি করে খালেদারা তাদের ঠিক হিন্দু মনে করেন কিনা সন্দেহ। তবে, ইংরেজীতে কী বলে যেন 'প্লুরাটি'র খাতিরে দু'একজন হিন্দু প্রয়োজনে টাকা দিয়ে রাখতে হয়। রাখাও হয়েছে। 
বিএনপি-জামায়াতের ইতিহাস হচ্ছে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু দলনের ইতিহাসে। এর উদ্দেশ্য দুটি- এথনিক ক্লিনজিং এবং সম্পত্তি দখল। এথনিক ক্লিনজিংয়ের অর্থ এ দেশ হিন্দুশূন্য করা। কারণ, তারা মনে করে হিন্দুরা থাকবে হিন্দুস্থান বা ভারতে, মুসলমানরা পাকিস্তান ও আগের পূর্ব পাকিস্তানে। সম্পত্তি দখলে অবশ্য শুধু জামায়াত বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ ও অন্য দলও জড়িত। রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া মানেই আজকাল কিছুর দখল নেয়া। তবে এথনিক ক্লিনজিংয়ের ওপরও জোর দেয়া হয় বেশি। শাহরিয়ার কবির ২০০৫ সালে লিখেছিলেন হিন্দুশূন্য করার কারণ '১. আওয়ামী লীগের ভোট কমবে এবং ২. বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মনোলিথিক মুসলিম রাষ্ট্র বানানো সহজ হবে।' 
১৯৯২ সালে, বিএনপির তৎকালীন নেতা সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর ভোয়াতে প্রেরিত এক খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়। বিএনপি প্রভাবান্বিত লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা থাকার সময়ই তার সরকার বিএনপির জেতার পথ সুগম করার জন্য হিন্দু দলন শুরু করে। খালেদা নিজামী সেটিকে কী মাত্রায় নিয়ে যায় তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৮৪ জন নারী ধর্ষিত ও ৪৬ জনকে অপহরণ করা হয়। ৩৮,৫২১টি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়। হত্যা করা হয় ৩৮ জন, হুমকি দেয়া হয় ৮০৬ জনকে। নির্যাতন করা হয় ২২৬১ জন পুরুষ ও ১৪৯৬ জন নারীকে। বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ২৮০০ হামলা হয়। আগুন দেয়া হয় ১৮৬৩টি স্থান/বাড়ি/ দোকান/স্থাপনার। ১০১টি মন্দিরে হামলা হয়। চাঁদা ও টাকা দেয়া হয় ১,৯২,৪৭,৫০০ টাকা। লুট করা হয় ৩,৪৯,৮৫,০০০ টাকা। বিবস্ত্র করা হয় ১৮ জন নারীকে। 
[জাতীয় পত্রিকা থেকে সংকলন] খালেদা জিয়া যদি মাছের মা না হতেন তাহলে প্রথম বছরে সেই হিন্দু বিধবার আর্তি শুনে নিজে এসব পশুগুলোকে শেকলে বেঁধে রাখতেন। ঘটনাটি ছিল এরকম। একটি গ্রাম। নিশুতি রাত। খালেদার সোনার ছেলেরা এক গরিব হিন্দু বিধবার বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। বিধবা টের পেয়ে লণ্ঠন হাতে কপাট খুলে মিনতি করে বললেন, বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, তোমরা একজন করে আসো। বিধবার মেয়েটার বয়স ছিল ১৩ কী ১৪।
গত দুই বছর ক্রমাগত হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এখনও। তিনি বক্তৃতায় বললেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগের লোকেরাই হামলা করছে।' এখানেই হিন্দুদের নিয়ে বিএনপির তামাশার শেষ নয়। এ বিষয়ে তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা দিনাজপুরে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ঘোষণা করেছে, ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক। প্রশ্ন নির্বাচন তো শেষ তা'হলে এখনও কেন জামায়াত-বিএনপি হিন্দুদের আক্রমণ করছে? আমাদের অনুমান খালেদা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ০ থেকে ১ ভাগের বেশি রাখা হবে না। গয়েশ্বর-নিতাইদেরও বাপ বাপ করে চলে যেতে হবে। (চলবে)
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২
Also Read:
বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় -  
খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: FW: The Forgotten Plagiarism of Tagore





From: Shah Deeldar <shahdeeldar@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Cc: alochona <alochona@yahoogroups.com>; Sayeda Haq <sayedahaq@yahoo.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; chottala yahoogroups <chottala@yahoogroups.com>; saokot hossain <saokot_nccbl@yahoo.com>; Mohammad Gani <mgani69@gmail.com>; Farzana Ahmed <farzana.ahmed48@yahoo.com>; Bazlul Wahab <bazlul@yahoo.com>; Rukshana Niloofar <grambangla2000@gmail.com>; farida <farida_majid@hotmail.com>; Zainul Abedin <zainul321@yahoo.com>; "kazi4986@yahoo.com" <kazi4986@yahoo.com>; neawamileague NE <neawamileague@gmail.com>; "manik195709@yahoo.com" <manik195709@yahoo.com>; diagnose <diagnose@yahoogroups.com>; Salim Afsar <salimafsar@gmail.com>; Bangladesh American <baainews@yahoogroups.com>; Nakib Uddin <md.uddin@comcast.net>; Akram Bhuyian <abhuiya@comcast.net>; Rezaul Karim <rezaulkarim617@gmail.com>; Mohammad Aleem <aleem53@yahoo.com>; Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>; Shahadat Hussaini <shahadathusaini@hotmail.com>; syed aslam <syed.aslam3@gmail.com>; saiyeda 176 <saiyeda_176@yahoo.com>; Sohrab Khan <sohrabkhan16@yahoo.com>; Abdul Momen <abdul_momen@hotmail.com>; Suhas Barua <suhasboston@gmail.com>; Bhin-Golardho <golardho@yahoo.com>; Anwar Kabir <akabir60@gmail.com>
Sent: Tuesday, January 28, 2014 10:41 PM
Subject: [mukto-mona] Re: FW: The Forgotten Plagiarism of Tagore
 
The problem with certain imbeciles is that they do not understand what the word, plagiarism really means. They do not even read what they are cutting and pasting. The snippet that this congenital liar posts here has nothing do with Tagore plagiarizing somebody else' works. It is self explanatory that it was rather a confusion and not plagiarism. A prolific writer needs to plagiarize? For what and from whom?
Plagiarism
is the "wrongful appropriation" and "purloining and publication" of another author's "language, thoughts, ideas, or expressions," and the representation of them as one's own original work. (Wikipedia)"In the meantime, a very good friend of mine told me—"You have written so many small poems in the past. I request you to use this opportunity to preserve them."

I knew I had the propensity to write and forget, and there had always been a self-deprecating anger in me for this forgetfulness. So with my consent, my friend collected a few small poems and brought them to me.

"I cannot remember if all of these are my writings," I said.

"There's no doubt about that," he replied.

There had been instances in the past when I had often forgotten about my own poems… Thus, I had to agree that the few poems he had collected were mine. When I read them, I thought I had written them very well…
"A person like Tagore has written/composed so many thousands of poems and songs that he might not have remembered what he had written/composed just a year before. So, if there was a mix up with somebody else' poem, how can one blame a genius like Tagore? Is that the poem that gave him the fame and Nobel prize? Of course not! He did not need to plagiarize, period! If he really committed the crime, the big dadas across the border would have killed him long time ago because they are damn good critics of their own and Tagore works. You know that little secret. Don't you?
-SD 
On Tue, Jan 28, 2014 at 2:52 PM, Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com> wrote:
 
Date: Mon, 27 Jan 2014 11:31:47 +0600Subject: The Forgotten Plagiarism of TagoreFrom: bdmailer@gmail.comTo:
The Forgotten Plagiarism of Tagore

How he 'inadvertently' put another poet's works in his collection and why the episode remained unknown

BY Arindam Mukherjee

It's not known what Tagore  said to (inset) Priyambada Devi,  but he acknowledged the  'error' in an essay that was  published in Probasi in  November 1928
It's not known what Tagore said to (inset) Priyambada Devi, but he acknowledged the 'error' in an essay that was published in Probasi in November 1928

In the late 1990s, a 17-year-old youth in north Calcutta inherited an olive green trunk from his maternal uncle. The small and heavy iron chest bore no insignia and was sealed with a sturdy egg-shaped lock. The key to the lock was missing. He was told the trunk was a gift to the family from Nandita Kripalini, granddaughter of Rabindranath Tagore. It had changed a few hands through the generations.

The mention of Tagore aroused his curiosity. Having failed to break the lock after several attempts, he hired a locksmith from across the Ganga in Hooghly district. Inside the trunk, there were a few ancient clay coins, an English punching machine dated 1835, old British stamps, a small silver aphrodisiac container from the reign of Bengal ruler Ballal Sen (1159- 79 CE), an antique copper kosha (water dispenser), a one-mouthed rudraksh bead, the first printed edition of Tagore's poems, Sphoolinga, a rare Pashmina shaaler-sari (shawl sari), a printed 1903 edition of Abraham Lincoln's autobiography, an old Bengali edition of Omar Khayyam's Rubaiyat in colour, a kushti stone plate with a footprint of Vishnu and the second edition of Alice in Wonderland printed in London in 1946.

There was also an undated tear-out from a Bengali magazine Desh. It was an essay by Partha Basu titled Byartho Raater Tara which made a critical assessment of the works of Priyambada Devi, a contemporary litterateur of Tagore. The essay, which appeared in the 25 January 1997 edition, mentioned Tagore including a few poems by Priyambada among his own notebook of poems Lekhan. Along with the essay, in the trunk was a small withering lithographic manuscript bearing a signature of Tagore in gold ink. The cover read 'Lekhan [by] Sri Rabindranath Thakur' in Bengali. Inside, there were 70- odd pages (some left blank to serve as separators) of fragile yellowing paper, and Tagore's unmistakable handwriting in Bengali and English, neatly arranged in his unique way of writing verses, with animal-like pen-and-ink doodles running over his corrections. The opening page read the same as the cover but this time in black ink with the addition— 'Budapest, 26 Kartik, 1333' (10 November 1926 in the English calendar). There was one more thing in the trunk—a black- and-white photograph of Tagore dated November 1926, Balatonfüred, Hungary, on the obverse side in black ink.

At the time, the 17-year-old did not pay much attention to it. The trunk was closed and stowed away. Thus, it rested for 15 years.

+++

In 1926, Rabindranath Tagore visited Balatonfüred, Hungary, where he developed a heart ailment. The doctor advised him rest for a week in the salubrious environs of Lake Balaton. It was during this period that he wrote Lekhan in a notebook. There were 388 small English and Bengali verses in it. Most of them were a collection of past thank-you notes to admirers. In the introduction, Tagore wrote: 'The lines in the following pages had their origin in China and Japan where the author was asked for his writings on fan or pieces of silk.'

Lekhan was first published in Berlin in 1927 through a new technique that reprinted handwritten words on aluminium plates. Tagore sent a facsimile 'personal' edition to Priyambada Devi, herself a poetess of note in India. On reading it, she noticed a few verses as her compositions. Alarmed, she immediately wrote a letter to Tagore, subtly letting him know about his 'mistake'. It is not known what Tagore's reply to her was, but he acknowledged the error in an essay that was published in Probasi in November 1928. He wrote (translated from the Bengali):

'Upon reaching Germany, I learnt that there was a way handwritten words in a book could be printed in the same form using a special ink and aluminium plates…

I was very unwell then, and thus had plenty of time to sit down and put down these English and Bengali writings...

In the meantime, a very good friend of mine told me—"You have written so many small poems in the past. I request you to use this opportunity to preserve them."

I knew I had the propensity to write and forget, and there had always been a self-deprecating anger in me for this forgetfulness. So with my consent, my friend collected a few small poems and brought them to me.

"I cannot remember if all of these are my writings," I said.

"There's no doubt about that," he replied.

There had been instances in the past when I had often forgotten about my own poems… Thus, I had to agree that the few poems he had collected were mine. When I read them, I thought I had written them very well…

alt
When I read—Tomaare bhulite mor holo na je moti, / E jagote kaaro taahe nei kono khoti. / Aami taahe deen nohi, tumi naho rhinee, / debotaar ansho taao paaiben tini(I could not set my mind to leave you,/ no one in this world loses from this / It does not make me poor, nor you debtor / One gets even God's share)—I saw this as my writing. I had to agree that the poem had fulfilled its fullness in its brevity. I felt like expanding it to 25-30 lines for greedy readers. It could even be easily written in bigger text to fill up space. But I restrained myself…Another poem after that:Bhor hotey neelakaash dhaake kalo meghe/ bhije bhije elomelo baayu bohe bege/ Kichhuee naahi je haay e buker kaache/ ja kichhu akaashe aar bataashete aachhe(The azure of the sky gets covered with black clouds at daybreak/wet scattered breeze blows fast / O! There is nothing near my bosom / Only the sky and the breeze have everything!)Well done, I said to myself again. The way the emptiness of the heart, and the sky and air outside together have erupted in laughter —who else in Bengali literature can say this with such facility? The fact that a common reader will not be able to grasp the beauty of this was the reason I resisted emphasising it further…Another poem:Aakashe gahono meghe gobheer garjon / shraboner dharapaate plabito bhubono. / Keno eto tuku naame sohaager bhore / daakile aamaare tumi? Purno naam dhore / aaji daakibaar din, e heno somoy / shorom sohaag haasi koutuker noi. / Aandhaar ombor prithibi pothochinhoheen / elo chirojiboner porichoy din(Darkening clouds roar deep in the sky / Sravan's deluge inundates the earth / why did you caress me by my sobriquet? / Today is the day when I need to be called by my full name / at such a time, reticence, fondness and mirth are not to be ridiculed / darkening sky and earth appear pathless /  here comes the day for the introduction of a lifetime)While writing Manasi (his 1890 collection of poems), which is not talking about a recent period but a distant past, I remembered having written a couple of verses in the same vein. But unknowingly, the feelings here have found the same light even in its brevity.Another small poem:Probhu, tumi diyechho je-bhaar / Jodi taaha matha hote ei jeeboner pothe / namaiya rakhi baar baar/jeno ta bidroho noi, kheenshranto e hridoyo, boloheen poraan amaar(O Master! The burden Thou hast given; if that I droppeth my head in the journey of life, time and again, knoweth thou that it is not a rebellion, my heart is weak and wary my soul layeth defenceless)The writing is so candid and that's the reason the tumult inside has found a vent through the rain-weary juhi flowers in full bloom. With contentment and pride, I copied these few poems on the special aluminium plates in my own hand- writing. At that time, these poems got included with my other poetry and got published in my book of poems entitled Lekhan.A few months ago, I had sent a volume of Lekhan to Srimati Priyambada Devi. Let me reproduce her letter here: 'I read Lekhan. Some small poems in it are wonderful— complete in just two or four lines. They shone like dazzling gemstones. I also noted four of my poems printed in their entirety on page 23 of Lekhan, and the first two lines of another poem. These verses are:1. Tomaare bhulite mor holo nako moti2. Bhor hotey neelakaash dhaake kalo meghe3. Aakashe gohono meghe gobheer gorjon4. Probhu, tumi diyechho je-bhaar5. Shudhu eituku mukh oti sukumar (first two lines)These have all been published in Patrolekha in 1908. But, please do not share this matter with anyone else.'It was then that I remembered when I first read the manuscript of Patrolekha, Priyambada's non-ornamental and non-exaggerated poems came in for praise from me. I realised that those poems had not been given their due respect. My mistake in writing the poems from Patrolekha in my own handwriting and giving it place with my own poetry to project my respect makes me happy.'Probasi, Karthik 1335 (November 1928)+++When Lekhan was reprinted by Visva Bharati University in 1961, these rogue verses were removed. Referring to this, Tagore expert William Radice writes in the introduction of The Jewel that is Best, Collected Brief Poems: '[When Visva-Bharati reprinted Lekhan], by mistake, one of Tagore's own poems was removed too, probably because it was on the same page as the five rogue poems. It was restored in the Rabindra Rachnabali.Lekhan is Tagore's only bilingual book. It contained 142 poems both in English and Bengali, 47 in Bengali only and 88 in English only. Tagore was already well experienced at writing English versions of his brief poems, or sometimes writing directly in English, for in 1916 Macmillan in New York published Stray Birds, a collection of 326 English aphorisms.'In the first modern printed edition of Lekhan, published by Pulinbehari Sen, Visva Bharati, a note in the beginning says: '…there have been requests from many to reprint Lekhan's collection of poems. On this popular demand, we are printing an incomplete book of the first edition. In this book, there are pages missing from the original edition. We hope that this edition will nevertheless be liked by you because of the 'hints of personal identity' of the author.'Dated: 7 Poush, 1358 (21 December 1951)+++Last October, the inheritor, who is now 32 and also an avid philatelist, decided to take stock of his collection. It was then that he revisited the contents inside the trunk. He read the Lekhan notebook and the magazine tear-out. He came from a family where Tagore was deified, and to him, it seemed that the inclusion of Priyambada Devi's verses in Lekhan under Tagore's signature and byline was plagiarism by modern standards.But it did not diminish his family's love of and respect for Tagore. He says, "He is there in every aspect of our daily lives. This incident was a minor aberration, which, as they say in Latin, was either lapsus memoraie (a slip of the memory) or lapsus calumni (slip of the pen). Tagore's greatness lies in the letter of apology to Priyambada Devi." With that, he partly closes his eyes and bows his head lightly toward Tagore's photo hanging in his visitor's room.+++(Verses translated by Bina Biswas; other translations by Arindam Mukherjee)
http://www.openthemagazine.com/article/art-culture/the-forgotten-plagiarism-of-tagore

--
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.
 
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to mailto:bangladesh-progressives%2Bunsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
-- "Religion is not going to come up with any new arguments." CH


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___