মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'মুক্তমনারা কি ইসলামকে আঘাত
করেছে? ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত
করেছে ?'
স্যোশাল মিডিয়া এবং
বাংলাদেশের অনেক সংবাদপত্রেও
প্রচার চালানো হচ্ছে অভিজিত
রায় ইসলাম এবং তার নবীকে নিয়ে
অনেক কটুক্তি এবং
ব্যাঙ্গোক্তি করেছে। তার
সাপোর্টে সদালাপে রায়হান বলে
আমাদের পরিচিত এক ইসলামিস্ট
লেখকের লিংক
(http://insidebd.net/news/2015/02/27/details/12093) সর্বত্র
ছড়ানো হচ্ছে যেখানে হাদিস থেকে
মহম্মদের জীবনী নিয়ে আলোচনা
এবং সমালোচনা দুটোই আছে। কিন্ত
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেই
লিংকেও [...]
You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=44830
You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.
Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।
------------------------------------
------------------------------------
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------
Yahoo Groups Links
<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/
<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional
<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)
<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com
<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com
<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/
Thursday, March 5, 2015
[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'মুক্তমনারা কি ইসলামকে আঘাত করেছে? ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করেছে ?'
[mukto-mona] নজিরবিহীন আন্দোলন, জিম্মি সাধারণ মানুষ -
সহিংস রাজনীতির কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ এখন পথ চলছে আতঙ্ক নিয়ে। এর অর্থনৈতিক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সব ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটানা এত সময় ধরে অবরোধ-হরতালের ইতিহাস নেই। অতীতে এ রকম নাশকতা বা সাধারণ মানুষের প্রাণহানির এত ঘটনাও ঘটেনি। তা ছাড়া আগে কখনোই সাপ্তাহিক ছুটি বা জাতীয় দিবসে আন্দোলন কর্মসূচি থাকত না।
অতীতের সব আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষকে নিশানা করে আগে কখনো হামলা হয়নি। আগে রাজনৈতিক আন্দোলন মানে ছিল পুলিশের হামলা, তাদের সঙ্গে মারামারি কিংবা দুই পক্ষের সংঘর্ষ। কিন্তু এখন রাজনীতির অস্ত্র পেট্রলবোমা আর ক্রসফায়ার ও গ্রেপ্তার-মামলা।
গত ৫ জানুয়ারির 'একতরফা' নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত দুই মাসের আন্দোলনে নিহত হন ১১৫ জন। এর মধ্যে ৬২ জন মারা যান পেট্রলবোমা হামলায়। ৩৬ জন মারা গেছেন কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে। বাকি ১৭ জন মারা গেছেন সংঘর্ষ বা গোলাগুলির মধ্যে পড়ে। এ পর্যন্ত নিহত ৯০ জন সাধারণ মানুষের মধ্যে ৩৩ জন বাস বা অন্য কোনো বাহনের যাত্রী। যাত্রী ছাড়াও চালক মারা গেছেন ১৪ জন। এঁদের মধ্যে নয়জন ট্রাকচালক এবং ১১ জন চালকের সহকারী। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন নয়জন শ্রমিক বা দিনমজুর, একজন পথচারী, পাঁচজন ছাত্র, দুজন প্রবাসী, সাতজন শিশু এবং নয়জন নারী, একজন পুলিশ সদস্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আচমকা বাসে বা ট্রাকে হামলার ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটেছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের গ্রন্থ বাংলাদেশের তারিখ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত সংবাদপত্রে হরতালচিত্র (১৯৪৭-২০০০) বইয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর আগে টানা অসহযোগ কর্মসূচি চলেছে ২০ দিন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বিএনপি সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি দিয়েছিল।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয়েছে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে। আট বছর বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন হলেও ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে চিকিৎসক শামসুল আলম মিলন মারা গেলে এরশাদ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এর পরই টানা আন্দোলনের ঘোষণা আসে। নয় দিনের মাথায় (৫ ডিসেম্বর) এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক আন্দোলন ও সহিংসতার তীব্রতা বাড়ে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচন যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে হয়, সে জন্য '৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে সেটি বন্ধের দাবিতে ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকে আওয়ামী লীগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সময় পুলিশের গুলি ও সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন। এর মধ্যেই নির্বাচন শেষে সরকার গঠন করে বিএনপি।
এরপর বিএনপি সরকারের পতনের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো ৯ মার্চ থেকে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে। টানা ২০ দিন এই অসহযোগ কর্মসূচি চলে। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল আনলে ৩০ মার্চ অসহযোগ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ওই দিন খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এই আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন মারা যান।
এরপর ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। ওই নির্বাচনের পর সে সময়ের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান ২১ জুন রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, 'কিছুদিন সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সীমাহীন অসহিষ্ণুতা আমি দেখেছি, ভবিষ্যতে যেন আর তা দেখতে না হয়। নতুন জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে আপনারা এমন রাজনৈতিক রেওয়াজ গড়ে তুলুন, যাতে আর কোনো দিন রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজপথে যেতে না হয়।'
কিন্তু প্রয়াত এই প্রধান উপদেষ্টার কথা কেউ শোনেনি। যদিও ২০০১ সালের আওয়ামী লীগ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দেয় এবং ১ অক্টোবরে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে। নির্বাচনের আগের দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৬ জন মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৭৯ জনই রাজনৈতিক কর্মী, ১৭ জন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আবার সংঘাতের ঘটনা ঘটে ২০০৬ সালের অক্টোবরে। বিএনপি সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করতে চাইলে আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করে। কে এম হাসান আর শপথ নেননি। ২৭ অক্টোবর এ নিয়ে সংঘর্ষে সারা দেশে ১২ জন নিহত হন। পরদিন মারা যান ২৪ জন। ২৮ অক্টোবর ঢাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম সংসদ নির্বাচনের কথা থাকলেও ৭ জানুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ আবার অবরোধ ডাকে। এই আন্দোলন শুরুর মাত্র চার দিনের মাথায় ১১ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২০০৭ ও ২০০৮ সালে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করার ঘোষণা দিলে আবার ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয়।
২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে টানা আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। মাঝখানে এক বা দুই দিনের বিরতি দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় দফা অবরোধ চলে। এর মধ্যে ২৬ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে ৭৫ জন প্রাণ হারান। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য অনড় থাকলে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ ডাকে বিএনপি। কিন্তু এর মধ্যেই ৫ জানুয়ারি 'একতরফা' নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় প্রাণ হারান ৩৪ জন। ওই নির্বাচনের বর্ষপূতির দিন (৫ জানুয়ারি ২০১৫) থেকে আবারও সংঘাত-সহিংসতা চলছে।\
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, 'আমি তো গত দুই মাসে ক্ষতি ছাড়া কোনো অর্জন দেখি না। বিএনপি মুখে মুখে ঘোষণা দিয়ে হরতাল-অবরোধ করছে, যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমন কোনো খাত নেই, যেটি অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। আর সাধারণ মানুষ তো জিম্মি। এমন পরিস্থিতিতে তো সরকারেরও ক্ষতি ছাড়া লাভ হচ্ছে না। বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ। কাজেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারের যেমন আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত, তেমনি বিএনপিকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিরোধে গত ১৪ মাসে বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের যে হিড়িক পড়েছে, তা-ও নতুন নজির তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গ:
__._,_.___
Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
__,_._,___
Re: [mukto-mona] Re: কী করে একটি হত্যাকাণ্ড বিভৎস মজা হয়ে ওঠে!!!!!
From: "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Thursday, 5 March 2015, 16:57
Subject: Re: [mukto-mona] Re: কী করে একটি হত্যাকাণ্ড বিভৎস মজা হয়ে ওঠে!!!!!
Sent from my iPhone
On Mar 4, 2015, at 8:46 AM, Shah Deeldar shahdeeldar@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:
It is rather odd that PM has nothing to say about this gruesome murder of a great intellectual and freethinker. Her stance is very troubling. It looks like the progressive forces have to fight their own battle without the Awamis?On Tuesday, March 3, 2015 8:20 PM, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:
Pakistan goes through some kind of election every few years, and it has some king of government. But, the ultimate power is always with the military and the religious fanatics. How about Bangladesh?Bangladesh has a government also, but ultimate power is with the military and the religious fanatics. As a result, Government officials and Politicians think many times before taking any step or saying anything against religious fanatics. As you can see - Prime Minister is mum on the gruesome murder of Avijit Roy. So, what can you say about country's academicians, when government appears to be powerless on this issue? The entire country appears to be under seize, and everyone's life is on lease from the religious fanatics.Alas! This is the Sheikh Mujib's Sonar Bangla today.Jiten Roy
From: "Shah DeEldar shahdeeldar@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Cc: Americanbangladeshi <americanbangladeshi@googlegroups.com>; Bangladeshi American Googlegroup <bangladeshiamericans@googlegroups.com>
Sent: Tuesday, March 3, 2015 5:10 PM
Subject: [mukto-mona] Re: কী করে একটি হত্যাকাণ্ড বিভৎস মজা হয়ে ওঠে!!!!!
Short, crisp and elegant writing! People like Abhijit was born in a wrong country where idiotic ideas and beliefs have more value than critical thinking. Shame on us!2015-03-03 15:10 GMT-05:00 'Bishawjit saha' via Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com>:--কী করে একটি হত্যাকাণ্ড বিভৎস মজা হয়ে ওঠে
লেখক: কুলদা রায়
হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করার পর ১১ বছর কেটে গেছে। রাজীব হায়দারকে মারা হয়েছে ২ বছর আছে। অভিজিতের মৃত্যুর পরে তিন দিন কেটে গেছে।সরকার চুপ করে আছে। তারা কিছু বলে মৌলবাদীদের বিরাগভাজন হতে চায় না। বিএনপি কিছু বলবে না। তারা মৌলবাদীদের মিত্রদল। জামায়াত মৌলবাদীদের মূল হোতা। এরশাদ কোনো দলের মধ্যে পড়ে না—স্রেফ পুঁতি দুর্গন্ধময় জীবাণুমাত্র। আনু স্যার তেল গ্যাস থাকলে আছেন। তিনি খুব দ্বিধায় থাকেন—কোনটা আবার ভারতের পক্ষে চলে যায়। কোনটা আবার হিন্দুপক্ষের কথা হয়ে পড়ে। কোনটা আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি জোগায়। এগুলো ঠিক তিনি পছন্দ করেন না। শুধু তেল গ্যাস—আর গ্যাস তেল হলে তিনি আছেন।সিপিবি-বাসদের এখনো বাল্যদশা ঘোচেনি। এর আগেই তারা জবুথবু বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। বাড়তি একটা লেপ তোষক দরকার। ড. কামাল হোসেনের সবার আগে দরকার জামাইকে বাঁচানো। বেচারা একটু বেয়াদ্দপ। কিন্তু তবু তো জামাই। খুশি রাখা দরকার। কাদের সিদ্দিকী মাসখানেক অফিসের সামনে কোলবালিশে হেলান দিয়ে আছেন। তিনি তার দিগন্ত টিভির চাকরিটা ফেরত চান। তিনি এ জগতে টাকা চান। পরজগতেও টাকা চান। টাকা ছাড়া আর কোনো কথা নেই। দিগন্ত টিভি মরজগৎ ও পরজগতের টাকা প্রাপ্তির একমাত্র পরীক্ষিত উপায়। ড. ইউনূস বেচারার নোবেল ছাড়া মনে আর কিছু নেই। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ পণ্ডিত মানুষ। পণ্ডিতদের বাণী দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ থাকতে পারে না।আনিসুজ্জামান স্যারের অনেক কাজ। অনেক মিটিং সেমিনারের সভাপতিত্ব করা বাকি আছে। সবার উপরে আছে প্রথম আলোর দায়। ফলে তিনি এই বুড়ো বয়সে এতোটা সময় দিতে পারবেন না। সৈয়দ শামসুল হক সাহেব সবার উপরে কবি। শেষ বয়সে সময় নষ্ট না করে খেলা রাম খেলে যা'র আরেকটা সিক্যুয়াল লিখতে পারলে মন্দ হয় না। বাংলা একাডেমির চাকরি চলে গেলে প্রথম আলোর চাকরিটা নিশ্চিত করতে শামসুজ্জামান খানকে একটু বেশি সময় দিতে হচ্ছে। মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ঠিক কবি না মাইকম্যান সেটা এখনো ঠিক করতে পারেননি।নাসিরুদ্দিন বাচ্চুকে সন্ধ্যার পরে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে একটু আড্ডায় বসতে হয়। লোকটা পুরনো বন্ধু। এখন হেফাজতের গুরু। তাকে হাতে রাখা দরকার। আবার পোলাপানের সঙ্গেও না থাকলে চলে না। একটা জগাখিঁচুড়ি অবস্থা। এখন আবার বয়স বাড়ছে।এ ধরনের আর যারা আছেন বা থাকছেন অথবা যাদের থাকা দরকার, তাদের জন্য মাঝে মাঝে 'লড়াই লড়াই লড়াই চাই' বলে গলা সাধাটা নিয়তি। ফলে অভিজিতের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। রাজীবের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। হুমায়ুন আজাদের রক্ত ইটের মতো শক্ত। এই ইট দিয়ে একটা পোক্ত বাড়ি বানাবো। সেখানে কম্বলমুড়ি দিয়ে ঘুমাবো। আর উঠে এক ফাঁকে চেঁচিয়ে বলবো—সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। মানি না মানবো না ইত্যাদি। অভিজিৎ পর্বটা মিলিয়ে গেলে আরেকজন এক্স ওয়াই জেডের লাশ পড়বে। তখন আবার মিটিং মিছিল মানববন্ধন করা যাবে। এই এক বিভৎস মজা। মজা ছাড়া এ জীবন বৃথা!ফলে অভিজিৎ হত্যার বিচার হলো কি হলো না, সেটার ব্যাপারে কারো কোনো দায় নেই। ওটা অভিজিতের বুড়ো বাবার দায়। রাজীবের হত্যার বিচারের ব্যাপারে উকিল, কোর্ট কাচারির ঝামেলা রাজীবের বাবার ঝামেলা। হুমায়ুন আজাদের মামলার কি হলো কি হলো না সেটা অনন্য আজাদ ছেলেটার দেখার দায়িত্ব। বিচার যে থমকে আছে, বিচার যে হচ্ছে না সে ব্যর্থতা রাষ্ট্র, রাজনীতিক, সংস্কৃতি কর্মী, কবি, শিল্পী বা মানবাধিকার কর্মীদের নয়—ব্যর্থতা আজাদ স্যারের ছেলেমেয়েদের অথবা ওয়াইফের। সো অভিজিৎ, আপনি মৌলবাদের বিরুদ্ধে লিখেছেন। আপনি মৌলবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। পারিবারিক বিষয়। আপনি মরেছেন বলে আমরা মাঠ গরম করার একটা ইস্যু পেয়েছি। এটা আমাদের বিষয়। আর কি? এবার ধরা যাক দুএকটা ইঁদুর আবার।তাহলে এই সব ধানাই পানাইয়ের কোনো মূল্য আছে? আছে। তবে সেটা খুবই সামান্য। বড়জোর তিন থেকে এক সপ্তাহ। একটু সা রে গা মা পা ধা নি সা।কথা হলো, অভিজিৎকে হত্যা করা করা হয়েছে। এটা একটা খুনের মামলা। তিনি কেনো খুন হয়েছেন সেটা নিয়ে শুধু হৈচৈ করার মধ্যে দিয়ে কর্তব্য সমাধা করা মানে আরেকজন অভিজিৎ, রাজীব কিংবা হুমায়ুন আজাদের খুনের পথ করে দেওয়া। তাহলে কী করতে হবে?করতে হবে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার সমাধা করার ব্যবস্থা গ্রহণ। সেজন্য মিটিং মিছিল বিবৃতি কলাম লেখার পাশাপাশি একটা শক্তিশালী আইনজীবী সেল গঠন করা দরকার যারা সর্বাত্মকভাবে লেগে থাকবেন কোর্টের পিছনে। মামলার পিছনে। কার্যকর আইনী লড়াই করে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আদায় করে ছাড়বেন। সেই রায় কার্যকর করার জন্য কাজ করে যাবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইনজীবী, লোকবল, অর্থ, সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। এই কাজটি আছে আমাদের দেশে? নেই। যারা মাঠ গরম করছেন তাদের কি কোনো পদক্ষেপ আছে এই বিষয়ে? নেই রে ভাই—নেই। ওটা পশ্চিমী সংস্কৃতি।হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা গেলে অভিজিৎদের মৃত্যু সত্যিকারে ঠেকানো যাবে। হত্যার বিচার না হওয়ার হত্যাকাণ্ডে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। এটা এক ধরনের অসুস্থতা। এইভাবে অসুস্থ করে তোলাও মৌলবাদীদের একটি পরিকল্পনা। এটা মৌলবাদীরা জানে—আমরা জানি না।
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
__._,_.___
Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
__,_._,___