ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসে বাংলাদেশের অন্তত ৮০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। এদের অধিকাংশই আরব দেশগুলোতে গৃহকর্মী এবং নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলেও কাজ করছেন। তবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীকে জর্ডান ও লেবাননের মতো দেশগুলোতে পাঠানোর কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত সিরিয়ায় নেয়া হচ্ছে। এদিকে,সিরিয়ায় পৌঁছানোর পর এসব নারী কোথায় যাচ্ছেন সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের কয়েকজন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পাচার করা হয়েছে। এরপর সেখানে তাদেরকে গার্হস্থ্য বা যৌন কাজে বাধ্য করা হচ্ছে।
র্যাবের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় পাচার হওয়া নারীদের কাছ থেকে ৪৫টি অভিযোগ পেয়েছেন। এসব নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
র্যাব-৩-এর কমান্ডার খন্দকার গোলাম সরোয়ার ওই বার্তা সংস্থাকে বলেন, শাহিনুর নামের একজন নারী সম্প্রতি সিরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছেন। ওই নারী তার মায়ের সাহায্যে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। শাহিনুরসহ আরো পাঁচ নারীকে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সিরিয়ায় তাকে কয়েকজনের কাছে বিক্রি করা হয়। সেখানে তাকে কিছু দিন গৃহকর্মী ও কিছু দিন যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সিরিয়ায় এ রকম আরো অনেক নারী যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
সারোয়ার আরও জানান, ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং চলাফেরা করতে পারছিলেন না। পরে তাকে সিরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা ঢাকায় ফিরিয়ে আনেন।
র্যাব-৩-এর কমান্ডার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ওই মহিলাদের ২০০ ডলারের মাসিক এবং এক বছরের চুক্তি অনুযায়ী ৩০০০০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হত।
আইএস জঙ্গিদের যৌনদাসী হিসেবে বাংলাদেশি নারীরা বিক্রি হচ্ছে
__._,_.___