বিএনপির এখন স্লোগগান হতে পারে -- "কেশ বাঁচাও, ম্যাডাম বাঁচাও!"
বিএনপির জন্ম হয়েছে সোনার চামচ মুখে দিয়ে, বিলাসবহুল ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকে, ব্যয়বহুল সিজারিয়ান অপারেশনের মধ্য দিয়ে।
বিএনপি মোটা ভাত খেয়ে, মোটা কাপড় পরে বড় হয়নি; পাকিস্তানি চিকন চাল খেয়ে আর গোলাপি শিফনের আচ্ছাদনে থেকে বড় হয়েছে।
বিএনপির জন্মদাতা দল জন্ম দেয়ার প্রসববেদনা সহ্য করেননি, ক্ষমতায় আসার জন্যে দলকে লড়াই করতে হয়নি, বরং ক্ষমতায় যাবার 'পর' দলটির জন্ম।
দলটির নেতাদের অনেকে উঠে এসেছেন সরাসরি সেনা ক্যাম্প থেকে, কেউ এসেছেন অন্য দলে থেকে সুবিধে করতে না পেরে।
চর্বিবহুল-মেদবহুল দলটির কোনো সুনির্দিষ্ট আদর্শ কিংবা সুনির্ধারিত এজেন্ডা নেই; এর একটাই আদর্শ, একটাই এজেন্ডা -- আওয়ামি লিগের বিরোধিতা!
জন্মের পর ৬৩ বছরের মধ্যে লিগ ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে মাত্র ৩.৫+৫+৪= সাড়ে বারো বছর, আর বাকি সাড়ে পঞ্চাশ বছর লিগকে কাটাতে হয়েছে সংগ্রাম করে! লিগকে দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম সম্ভব, লিগের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংগ্রামের লোহিত কণিকা।
বিএনপিকে দিয়ে আর যাই হোক, সফল আন্দোলন সম্ভব না, কেবল কাকরাইলে রাস্তা আটকে ঘণ্টা কয়েক 'কল রেডি' মাইকে বক্তৃতাবাহাস, রাজাকারতোষণ, ভারতবিরোধিতা আর শত শতবার 'এনশা আল্লাহ্' বলা সম্ভব। ভারতবিরোধিতার যে জুজু সৃষ্টি করে রেখেছিল বিএনপি, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ ভারতসফরের মধ্য দিয়ে তাও শেষ হয়ে গেছে!
বিএনপির 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' জিকির কখনোই হালে পানি পায়নি, কেননা দেশ বেঁচেই আছে, দেশকে কেউ মারতে আসেনি। বিএনপির এখন স্লোগান হতে পারে -- "কেশ বাঁচাও, ম্যাডাম বাঁচাও!" -আখতারুজ্জামান আজাদ
__._,_.___