Banner Advertiser

Saturday, January 17, 2015

[mukto-mona] 'দ্বন্দ্ব নিছক ক্ষমতার নয়, এখানে মৌলিক বিষয় যুক্ত'



প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০:০০আপডেট : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ২২:২১:৫৪
সাক্ষাৎকার : অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ
'দ্বন্দ্ব নিছক ক্ষমতার নয়, এখানে মৌলিক বিষয় যুক্ত'
হারুন-অর-রশিদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন। তার গবেষণার ক্ষেত্রগুলো হলো বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন, ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা-উত্তর বর্তমান সময় পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলা এবং বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন। দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শানজিদ অর্ণব
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রধান দুই দলের দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ

আলোকিত বাংলাদেশ : বর্তমানে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল রাজনীতিতে মুখোমুখি অবস্থানে আছে। বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ কী বলে মনে করেন?


হারুন-অর-রশিদ : বাংলাদেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট রাজনীতিতে মুখোমখি অবস্থানে আছে। এ মুখোমুখি অবস্থান কোনো গতানুগতিক ইস্যুভিত্তিক নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির কতকগুলো মৌলিক বিষয়কে কেন্দ্র করেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন, জনসভা করতে না পারা- এগুলো উপলক্ষমাত্র। আমি সব সময় বলি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল বিভাজন তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও আরও কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির জনককে হত্যা হচ্ছে মেজর ঘটনা। এর সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা প্রচেষ্টা এবং অতিসম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির জনক সম্পর্কে যেসব অসম্মানসূচক, দায়িত্বহীন এবং বিকৃত উক্তি করেছেন, এসবের মাধ্যমে দুই শিবিরের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান মুখোমুখি অবস্থানকে বুঝতে হলে অমাদের একাত্তর এবং পঁচাত্তরকে বুঝতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের একদল সহযোগী জামায়াতে ইসলামী এবং পকিস্তানকেন্দ্রিক আরও কিছু দল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছে এবং তাদের গণহত্যায় শামিল হয়েছে। অর্থাৎ তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, যুদ্ধাপরাধ করেছে। এ যুদ্ধাপরাধীদের কি বিচার হবে, না হবে না? তাদের নিয়ে রাজনীতি হবে, না তাদের বাইরে রেখে রাজনীতি হবে? যুদ্ধাপরাধীরা যখন মন্ত্রী হয়, তাদের গাড়িতে যখন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে, তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামীরা অত্যন্ত আহত হন। একইসঙ্গে তারা ক্ষুব্ধ হন। যারা বাংলাদেশ চায়নি, পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছে, অন্য দলের ওপর ভরসা করে আজ তারা মন্ত্রী হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্মের ৪৩ বছর আগেকার এ ইতিহাস আমাদের স্মৃতিতে এখনও সজীব। মুক্তিযুদ্ধে অনেকে আপনজনকে হারিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সন্তান বা নিকটজনরা কিন্তু এখনও জীবিত। এ জীবিতদের কষ্ট-বেদনা একটা দিক। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং তাদের বিচার চলছে। অন্যদিকে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে আছে। বিএনপি ২০০২ সালে তাদের নিয়েই সরকার গঠন করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য কখনও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে এবং তাদের বিচার চায় না এবং তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এটা দিন এবং রাতের মতোই পরিষ্কার।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানি কায়দায় ঘুরিয়ে দেয়া হলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগী, হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিএনপি রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করেছে। তাদের চাকরি দিয়েছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এখন জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয়দাতাদের প্রতি তার অনুসারীদের অ্যাটিচ্যুড কেমন হবে? সেই জাতির জনকের কন্যাই এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোটের নেত্রী। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে আমি কতটা সহাবস্থানে আসতে পারি- এটাও একটা দিক। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর বোমা হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করা। জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে। এখন সুযোগ পেলে তার কনা্যকে, যিনি এদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির একটা প্রতীক, তাকেও কিন্তু পারলে হত্যা করা হবে। অতিসম্প্রতি পশ্চিম বাংলায় এক ঘটনায় আমরা দেখলাম, বাংলাদেশের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। অর্থাৎ বলা যায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার একটি চেষ্টা এখনও আছে। এদের সঙ্গে জামায়াতের সংযোগ থাকার কথা উঠে এসেছে। যারা একাত্তরে এদেশে গণহত্যা করেছে, পঁচাত্তরে জাতির জনককে হত্যা করেছে, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে এবং এ হত্যাকারীদের যারা আশ্রয় দিয়েছে, তাদের নিয়ে জোট করেছে এবং এখনও তাকে হত্যার চেষ্টা করছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা বা সমঝোতায় যাওয়ার বিষয়টি একটি মনস্তাত্তি্বক প্রশ্নও বটে।

এরপর আসি দুটি পক্ষের স্টেক কী? আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায় কার্যকর হয়। দেশের মানুষের আবেগ ও ন্যায়, সত্য, মানবাধিকারের স্বার্থে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া দরকার। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একাত্তরের কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাকি রয়ে গেছে। একাত্তরে তো আমরা পাকিস্তানিদের সঙ্গে সমঝোতার কথা ভাবতে পারিনি। পাকিস্তানিরা সরাসরি না থাকলেও তাদের প্রতিনিধিরা এখনও রয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ মুখোমুখি অবস্থান, টানাপড়েন চলতে থাকবে।

জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার প্রায় হয়ে গেছে। এ নিয়ে বিভক্তি এখন সাইডলাইনে গেছে বা দূর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেলে বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে একটি নতুন অবস্থার দিকে যাবে, যেখানে সাধারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক চর্চা হয়তো হবে।

বর্তমানে যে লড়াই-দ্বন্দ্ব চলছে, সেটা নিছক ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে নয়; এখানে কিছু মৌলিক বিষয় যুক্ত। আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা মনে করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব ক্ষেত্রে বজায় রাখতে হলে তাদের ক্ষমতায় থাকা দরকার। আর সেটা না হলে ইতিহাস কীভাবে বিকৃত হয়, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধীরা কীভাবে মন্ত্রী হয়, সেটা আমরা চোখের সামনে দেখেছি। এটা বিদেশের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো স্রেফ ক্ষমতা কার হাতে যাবে সে প্রশ্ন নয়; এখানে যে আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তা এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। এগুলো ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত জোট যদি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। গত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি, তাই তারা এখন সংসদের বাইরে। এ অবস্থায় তাদের মধ্যে একদিকে হতাশা এবং অন্যদিকে সর্বাত্মক লড়াই করার মানসিকতা তৈরি হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট মনে করে, এভাবে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা মার্জিনাল হয়ে পড়বে। তাই তারা চেষ্টা করবে যে কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে তাদের দাবি-দাওয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে।

আলোকিত বাংলাদেশ : বর্তমানে দেশে বিরাজমান সহিংস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো উপায় দেখছেন কি?

হারুন-অর-রশিদ : সমঝোতার জন্য দুটো দলের মধ্যে স্পেস লাগে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমি কোনো স্পেস দেখি না। স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন, সরকার গঠন হবে। সেটা যদি হতো, তাহলে একটা স্পেস থাকত। এখানে একটা দল যদি প্রগতিশীল, সেক্যুলার হতো, আরেকটি দল হতো রক্ষণশীল দল- সেরকমটা হতেই পারে। বিদেশে এমন অনেক নিদর্শন আছে। কিন্তু এদেশে যুক্ত হয়ে গেছে একাত্তর, পঁচাত্তর, গ্রেনেড হামলা, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা। এ অবস্থা ব্রেক করতে বিএনপির পলিসি রিশেপ করা দরকার। রিশেপ করা বলতে, যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে তাদের অবস্থান কী, তারা কি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে থাকবে? থাকতেই পারে। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেলে একটা পর্যায় কিন্তু চলে যাবে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার প্রশ্নে এ বিষয়গুলো চলে আসে। এটা বাংলাদেশে একটা অস্বাভাবিক অবস্থা। দুটো পক্ষেরই এখন অবস্থা এমন, যেটা হবে সেটা একশ' ভাগ হতে হবে। আসলেই কিন্তু অবস্থা এখন সেখানে চলে গেছে।

আলোকিত বাংলাদেশ : বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বর্তমান আন্দোলনের ফল কেমন হতে পারে?

হারুন-অর-রশিদ : আমার ধারণা, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না করে বিএনপি একটা ঐতিহাসিক ভুল করেছে। তাদের ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচন বা গণঅভ্যুত্থান করে আসতে হবে। গণঅভ্যুত্থান করতে গেলে তো জনসম্পৃক্ততা লাগবে। আমি তো সে রকম কিছু দেখি না। আজকে বেশ কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া পার্টি অফিসে আছেন, কিন্তু হাজার হাজার জনগণ তো সেখানে গিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন না। সারা দেশে যেখানে বিএনপির অবস্থান ভালো সেখানে চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে, অন্যথায় কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। একটি গণভিত্তিক পার্টি যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই কিন্তু আপনাকে চলতে হবে। আন্দোলন করতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। এখন যেটা হচ্ছে, সেটা নকশালবাড়ি আন্দোলনের মতো চোরাগোপ্তা হামলা। চোরাগোপ্তা হামলা করলে কিন্তু মানুষ পার্টির দিকে না গিয়ে বিচ্ছিন্ন হবে। এখন বিএনপি তো অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধরনের করতে পারবে না। তাদের এ অবরোধ তুলে নিতে হবে। চোরাগোপ্তা হামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পরবর্তীকালে ইলেকশন পলিটিকসের সম্ভাবনাও দূরে চলে যাবে। সম্প্রতি ঢাকা ট্রিবিউনের যে ওপিনিয়ন পোল হলো তাতে দেখা গেল, ৭২ শতাংশ মনে করে, শেখ হাসিনা সঠিকভাবে দেশ চালাচ্ছেন। ৬২ শতাংশ মনে করে, কার্যকরী অপজিশন হিসেবে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কিন্তু চিত্রটি ভিন্ন ছিল। আমার তো মনে হয়, অংশগ্রহণ করলে সে নির্বাচনে বিএনপির জয়যুক্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল।

বর্তমান সঙ্কট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাটবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ দুটি পক্ষের মধ্যে ব্যবধান এত বেশি, এত তিক্ত, স্টেক এত হাই যে, বিষয়টি শুধু সরকার গঠন নয়, এর সঙ্গে অন্য মৌলিক বিষয়ও যুক্ত হয়ে গেছে। এখন বিএনপিকে কোনো এঙ্টি খুঁজতে হবে, হয়তো একটা সমাবেশ বা অন্য কিছু করার মধ্য দিয়ে। আর অন্য উপায় হলো গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না। কারণ বিএনপির চলমান অবরোধের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু দলীয় নেতাকর্মী দিয়ে গণঅভ্যুত্থান করা যায় না। আরেকটি পথ হলো নির্বাচন। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি বড় ভুল করেছে। এখন জনসম্পৃক্ততাহীন সহিংস কর্মকা- দিয়ে বিএনপি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না; বরং জনবিচ্ছিন্ন হবে। একটি মেজর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করতে চায়, তাহলে তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তারা সাময়িক আবেগ বা অ্যাডভেঞ্চারিজম দিয়ে কিছু করতে পারবে না। অতীতে অনেক দল এমন করেছে। প্রচুর সমর্থন এবং সন্ত্রাসী কর্মকা- দিয়ে এগোতে পারেনি। সন্ত্রাসের কোনো স্থান এদেশে নেই। তাহলে বিএনপি কী করতে পারে? বিএনপিকে তাদের পলিসি আবার বিন্যস্ত করতে হবে। অহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাপক মানুষকে তারা সংযুক্ত করবে এবং জামায়াতের বিষয়ে অবস্থান নেবে। এটা তারা পারবে কিনা, সেটা একটা বিষয়। বিএনপি যদি জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করত, যদি একটি সংসদীয় রাজনৈতিক লাইনকে গ্রহণ করত, জাতির জনক ও জাতীয় নেতাদের সম্পর্কে অশ্লীল বাক্য ব্যবহারে বিরত থাকত, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর সবকিছু ধীরে ধীরে একটা মডারেশনের দিকে যাবে, সহনশীল অবস্থার দিকে যাবে। অর্থাৎ আমি যেন বুঝতে পারি, ক্ষমতা হারালেও আমার জীবন বিপন্ন হবে না বা অন্যরা যদি বোঝেন, তারা হারলেও তাদের জীবন বিপন্ন হবে না, তাহলেই একটা রিল্যাঙ্ অবস্থা চলে আসবে। কিন্তু এখন পরাজিত হওয়া মানে জীবন বিপন্ন হওয়া। আদর্শ উল্টেপাল্টে যেতে পারে। তাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মধ্যবর্তী বা স্বল্প সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের সম্ভাবনা আমি দেখি না।

অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বিএনপিকে চাপিয়ে দেয়া অবরোধ থেকে সরে আসতে হবে। জনসভার সুযোগ পাবে, তারা জনগণের কাছে যাবে এবং ২০১৯ সালের নির্বাচন ডিসাইড করবে পরবর্তী সময়ে কারা ক্ষমতায় আসবে। ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন, আলাপ-আলোচনা বা সমঝোতার সম্ভাবনা আমি দেখি না।

আলোকিত বাংলাদেশ : বর্তমানে সরকার বা আওয়ামী লীগের অবস্থানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

হারুন-অর-রশিদ : ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার নিজের অবস্থান অনেক শক্ত করেছে। বিদেশি শক্তিগুলো বুঝছে, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে, যেটা বিএনপি ক্ষমতায় এলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ এটা শুধু গণতন্ত্র, স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রশ্ন নয়, এখানে আরও মৌলিক বিষয় রয়ে গেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলছে, বাংলাদেশের সমস্যা দেশটির জনগণ এবং রাজনীতিবিদরাই সমাধান করবে। তারা কোনো পেসক্রিপশন চাপিয়ে দেবে না। তাদের অবস্থানও কিন্তু সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কারণ এখানে সেটা হলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমার মনে হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানও বদলেছে। রাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এক দল অন্য দলকে কোণঠাসা করতে চায়। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। বিএনপিকে সমর্থন করেন এমন একজন বুদ্ধিজীবী সম্প্রতি একটি পত্রিকায় বলেছেন, শেখ হাসিনাকে রেখেও নির্বাচনে যাওয়া যায়। এটা তো ২০১৪ সালেই হয়েছিল। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপি মন্ত্রিসভায় যোগ দিক, কিন্তু নির্বাচন হোক। কিন্তু বিএনপি সেটা মিস করেছে। এটা তারা একটা বস্নান্ডার করেছে। এখন অপেক্ষা করে গঠনমূলক পদ্ধতিতে এগোলেই তারা জনসমর্থন পাবে। আজকে আওয়ামী লীগ বা মহাজোট সরকারের সবকিছুই যে মানুষ পছন্দ করে, তা কিন্তু নয়। কিন্তু তার সমানে বিকল্প তো নেই। জনগণ বিএনপিকে বিকল্প হিসেবে চায় না; কারণ বিএনপির সঙ্গেই তারা যুদ্ধাপরাধীদের চেহারাগুলো দেখে; যে কারণে মানুষ থমকে দাঁড়ায়। অন্যদিকে এক বছরে সরকার তার অবস্থান শক্ত করেছে। আজকে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। এটা অনেক বড় একটি ঘটনা। আজকে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে, অন্যান্য উন্নয়ন হচ্ছে। এগুলো মানুষ দেখতে পাচ্ছে। শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি তো মানুষ দেখতে পাচ্ছে। মানুষ কখন বিক্ষুব্ধ হয়? যখন গণতান্ত্রিক অধিকার থাকে না, দ্রব্যমূল্য চরম বৃদ্ধি পায়, সমাজে অরাজকতা দেখা দেয়, কিন্তু সে ধরনের পরিবেশ তো বাংলাদেশে বিরাজ করছে না। বিএনপি এবং তাদের জোটকে নিজেদের প্রয়োজনেই বর্তমান কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ তারাই এঙ্টি খুঁজবে; হয়তো একটা জনসভা করে বেরিয়ে আসবে। আমার মনে হয়, নির্বাচনের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া স্বল্প সময়ে নির্বাচন বা গণঅভ্যুত্থান কোনোটারই সম্ভাবনা আমি দেখে না।

আলোকিত বাংলাদেশ : বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনি কী মনে করেন?

হারুন-অর-রশিদ : বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বুঝতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বুঝতে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি ভারতের দিকে তাকলেও চলবে না। বাংলাদেশের সমাজ, এখানকার মানুষ এবং এখানকার সার্বিক বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখানের গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে। বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের কাঠামো এবং চর্চা-পদ্ধতি ভিন্ন। ২০১৪ সালের নির্বাচন না হলে অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসত। তারা এলে একশ' ভাগই গণতন্ত্রের চর্চা থাকত না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি ৪০ শতাংশ ভোট ধরে নিই, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- এগুলো সবই সত্য। কিন্তু বিকল্প কী ছিল? নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। বিএনপি অংশ না নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার কী করতে পারত? সরকার তো নানাভাবে চেষ্টা করেছিল। বিএনপি আজ ভুল বুঝতে পেরেছে বলেই তো তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা বলেন, শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচনে যাওয়া যায়। এটা সেদিন হলে তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। সে সময় একটা অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা নিত, না আওয়ামী লীগের মতো একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে- এ দুটো ছিল বিকল্প। সবচেয়ে ভালো হতো সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে। কিন্তু অবস্থার মুখে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে, তার বিকল্প ছিল অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতা দখল। সেটা থেকে তো দেশ রক্ষা পেয়েছে। দেশ তো এখনও রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে রয়েছে। সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় অনেক নির্বাচনে তো বিএনপি অংশ নিয়েছে। আমরা যদি বলি, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র সীমিত হয়ে গেছে- সেটারও ব্যাখ্যা আছে- কেন সীমিত হয়েছে, সেটা আমি বলেছি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য আমাদের আরও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা যদি এখন ভাবি, বাংলাদেশে ইউরোপ, জাপান বা যুক্তরাষ্ট্রের মডেলে গণতন্ত্রের চর্চা হবে, সেটা কিন্তু হবে না। এ প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগোবে।

আলোকিত বাংলাদেশ : সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

হারুন-অর-রশিদ : আপনাদেরও ধন্যবাদ।

- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2015/01/18/118458#sthash.2KejQyes.dpuf





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বাবা আ. লীগ নেতা, তাই ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা!



বাবা আ. লীগ নেতা, তাই ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা!

আম বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে 

জামায়াত শিবিরের হামলার শিকার রকি
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী ও আহসান হাবিব আঞ্চলিক প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম রাজন আলী রকি (১৪)। তার বাবা রুহুল আমিন শিবগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এলাকাবাসী ও পরিবারের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রকিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। -

রকির বাড়ি উপজেলার শেখটোলা গ্রামে। অবরোধে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের ধরতে গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেদিন দুপুরে বাড়ির কাছে একটি আম বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গেলে হামলার শিকার হয় রকি।

গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রকি মারা যায়।

রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. জোবাইদুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, রকির মাথার সামনে ও পেছনের অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন আছে। আঘাতের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা রকির এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছে না। রামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে যখন মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়, তখন পুরো এলাকায় নামে শোকের ছায়া। সজল নয়নে, নত মস্তকে প্রতিবেশীরা ভিড় জমায় রুহুল আমিনের বাড়িতে। থমথমে মুখগুলো থেকে ঠিকরে পড়ছিল ক্ষোভের আগুন।

গতকাল সকাল ১১টার দিকে রকিদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, অন্তত শপাঁচেক লোক ভিড় করেছে। ঘরের বারান্দায় বিলাপ করছিলেন রকির মা নাজমা বেগম। শুক্রবার রাতে ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। মাঝেমধ্যে জ্ঞান ফিরলে শুধু বলছেন, 'আমার ব্যাটা অ্যাসেছে। আমি ওকে একবার দেখতে চাই। আমাকে ওর কাছে নিয়ে যাও। আমাকে রেখে ও কই গেল?'

বাড়ির এক কোনায় বুক চাপড়ে আহাজারি করছিলেন বাবা রুহুল আমিন। চিৎকার করে বলছিলেন, 'যারা আমার রকিকে খুন করল, তাদের আমি বিচার চাই। তাদের ফাঁসি চাই। ওই পশুরা কেন আমার ছেলেকে মারল, তারা কেন আমাকে মারল না?'

রুহুল আমিন জানান, আহত রকির সঙ্গে তিনি ও নাজমা রাজশাহী গিয়েছিলেন। কিন্তু রকির অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁদের দুজনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে ছেলের সুস্থতা কামনায় তাঁরা শুধু প্রার্থনা করে গেছেন। তবে কিছুতেই কিছু হলো না, চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল রকি।

রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, সম্প্রতি রকিকে শিবগঞ্জের উজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। নিয়মিত স্কুলে যেত সে। বৃহস্পতিবারও স্কুলে গিয়েছিল। ওই দিন সকাল ১১টার দিকে শিবগঞ্জে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযান শেষ হওয়ার পর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে রকি। এরপর পাড়ার কয়েকজন ছেলের সঙ্গে খেলতে বের হয়। তারা গ্রামের একটি আমবাগানে গেলে জামায়াত-শিবিরের সাত-আটজনের একটি দল রকিকে ধরে ফেলে। তারা বাগানের ভেতরেই রকিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা তাকে ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেয়। এরপর রকিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নিজেদের প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে জানান, রকির ওপর হামলার ঘটনার আগে যৌথ বাহিনীর লোকজন ওই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। হামলাকারীরা হয়তো ধারণা করেছিল, রকি হয়তো যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওই বাড়িগুলো চিনিয়ে দিয়েছে। এ সন্দেহেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।

রকির ভাই রুবেল হোসেন দাবি করেন, 'যৌথ বাহিনীর লোকজনকে সহায়তা করার সন্দেহে অথবা আমার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় হয়তো রকির ওপর হামলা করেছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। হামলার সময় যারা ছিল, রকি তাদের বেশির ভাগকেই চিনে ফেলেছে। মৃত্যুর আগে সে কয়েকজনের নামও বলে গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিপ্লব হোসেন, হাবিল উদ্দিন, পল্লব, জাহিদুল ইসলাম, আল-আমিনসহ আরো কয়েকজন। এরা সবাই স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে শিবগঞ্জ থানায়।

শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কারিবুল হক রাজিন বলেন, 'রকিকে নিমর্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের লোকজনই জড়িত। ২০১৩ সালেও তারা রকিদের বাড়িতে আগুন দিয়েছিল।'

শিবগঞ্জ থানার ওসি এম এম মইনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রকিকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টির সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এখনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিতে মাঠে নামবে প্রশাসন।'

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নাশকতায় জড়িত সন্দেহে ২৫ জনকে আটক করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মতিউর রহমানও ছিলেন। পরে র‌্যাব দাবি করে, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' মতিউর নিহত হয়েছে।

মতিউরকে 'ধরে নিয়ে হত্যা' করা হয়েছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আজ রবিবার সকাল থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।










__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ISIS Aims to Occupy Mecca



 
http://www.newsweek.com/islamic-state-aims-occupy-mecca-300205
 
 
ISIS Aims to Occupy Mecca
 
By William Young 1/17/15 at 4:06 PM
Opinion
The recent early morning clash between a Saudi border patrol and extremists trying to enter Saudi Arabia from Iraq appears to be the latest indicator of the Islamic State's (ISIS) intent to expand its influence and control from its stronghold in Syria and Iraq south into Saudi Arabia, Kuwait and the rest of the Arab Gulf where there is oil and what ISIS leader Abu Bakr al-Baghdadi and his followers would consider the ultimate prizes: the holy cities of Mecca and Medina.
The armed engagement dovetails with al-Baghdadi's call for increased attacks inside the Saudi Kingdom. It is likely he realizes that no one can claim to be the Islamic State without controlling the holy sites in and around Mecca and Medina and the wealth that comes with them.
In recent months, al-Baghdadi has issued calls for attacks inside Saudi Arabia. Violence against Shia residents in the Eastern Province town of al-Awamiya in Saudi Arabia confirms that Sunni extremists in this area have heard al-Baghdadi's message. The Eastern Province is home to the majority of Saudi Shia and most of the Saudi Kingdom's oil.
Kuwait and the other Gulf states, particularly Bahrain, also have large Shia populations, which are prime targets for ISIS to attack. The enmity between Sunnis and Shia in these areas is likely to draw more radically inclined Sunnis to al-Baghdadi's virulent form of Islam.
The governments in the Gulf may have a hard time maintaining control if they cannot tamp down these sectarian tensions and instill solidarity within their borders—something that so far has eluded both the Saudis and Bahrainis.
The more time ISIS has to build, establish itself and govern, the harder it will be to dislodge its troops from the region and its ideology from the minds of the people, especially the young. The conflict has hardened the minds of people in Syria and Iraq and these radicalized attitudes will likely spread with the passage of time.
The geography of the region already has been reshaped, perhaps forever, by the conflict. But the trust between communities that has been lost could be regained—given enough time and effective leadership now.
To help re-instill trust throughout the region and to protect its allies from the instability, the United States, NATO and others should consider providing significant equipment and know-how to shore up the border defenses of Saudi Arabia, Kuwait, Jordan and others. Although the Saudis and other governments in the region have much to do to bolster the sense of loyalty and community among their citizens, both Sunni and Shia, a show of overwhelming military strength and solidarity within the region might be enough to deter further outside aggression.
Short of direct, on-the-ground military involvement by the United States and NATO, a more intensive bombing campaign against strategic Islamic State military and infrastructure targets in Syria, particularly in and around its capital Raqqa, and Western Iraq would help degrade al-Baghdadi's operational planning and ability to govern. This would go a long way toward taming the Islamic State's ambitions and perhaps force it to surrender some of the territory it has taken over the past year.
The current U.S. plan to focus on training more capable units within the Iraqi Armed Forces over the next two years, however, is likely to be inadequate by itself—too little too late to contain and push back the gains made by the Islamic State.
The faster the Muslim world can be shown that ISIS is not invincible and does not have a divine mandate to rule the Islamic world, the quicker young Muslims and others will stop listening to its messaging.
Al-Baghdadi's messages have resonated with Sunnis in the region, North Africa, Europe and the United States primarily because he appears successful. He looks powerful. No amount of warning or counterargument will suffice if he continues to take and hold territory.
As he suffers repeated defeats and is unable to govern, however, it will be clear to his audiences that his path is misguided and that they would do better following a different one.
William Young is a senior policy analyst at the nonprofit, nonpartisan Rand Corporation.


__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বিএনপি নেতারা কী ভাবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে



বিএনপি নেতারা কী ভাবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে
তারিখ: ১৮/০১/২০১৫
  • ওয়াহিদ নবি
নাম ধরে কোন রাজনৈতিক নেতা সম্বন্ধে আলোচনা মানেই এই নয় যে, তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হলো। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ ও কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা আসলে রাজনৈতিক আলোচনা। অবশ্য অনেকে মনে করেন যে জাতীয় নেতাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই। আমরা এখানে আলোচনা করব বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সাহেব সম্বন্ধে দুইজন বিএনপি নেতা কী লিখেছিলেন সেই সম্বন্ধে।
বিএনপির এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা মওদুদ আহমদ সাহেব লিখেছিলেন যে, জিয়াউর রহমান সাহেবের নির্দেশ ছিল প্রতিটি মন্ত্রীর প্রতি যে প্রতিমাসে তিন লাখ করে টাকা দিতে হবে তাঁকে। এটা মওদুদ সাহেব লিখেছেন কোন প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতা লেখেননি। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে যাঁর নাম জড়িত ভাঙ্গাবাক্স আর ছেঁড়া গেঞ্জির সঙ্গে। তাঁর এ কেমন নির্দেশ! জানি যে তাঁর সমর্থকরা বলবেন যে এই টাকা তিনি নিজে নেননি। এই টাকা দলের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইত্যাদি। যে যাই বলুন না কেন এটা স্বীকার করতেই হবে যে সরকারী অর্থের এমন ব্যবহার বড় ধরনের বেআইনী কাজ।
সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীতে প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধের সংকলন শফিক রেহমান সাহেবের বই 'যায়যায়দিন' যেটা ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। শফিক রেহমান সাহেব বিএনপির একজন প্রথম সারির বুদ্ধিজীবী নেতা। এই বইয়ের কিছু কিছু কথার উল্লেখ করব আমরা। কথাগুলো তিনি লিখেছেন। বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কেউ লেখেননি। শফিক সাহেব লিখেছেন যে, 'মার্কিনদের মন জয় করার ব্যাপারে খন্দকার মোশতাকের চেয়ে জিয়া সাহেব এগিয়ে।' আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিনদের ভূমিকার কথা আমাদের সবার জানা। এই মার্কিনদের মন জয় করা জিয়া সাহেব সম্বন্ধে জনগণের কী ভাবা উচিত। বইটার আর এক অংশে শফিক সাহেব লিখেছেন যে 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগান সাহেব বলেছেন যে, তিনি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার বেশি মূল্য দেবেন অর্থাৎ আমাদের প্রেসিডেন্ট জিয়ার পৌষ মাস।' কোন মন্তব্য না করাই ভাল।
শফিক সাহেব জিয়া সাহেবের আমলে বিজয় দিবস সম্বন্ধে লিখেছেন। সরকার পরিচালিত ও সরকার অনুগত কোন পত্রিকায় বা রেডিও-টেলিভিশনে উল্লেখ করা হতো না যে, পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল। তিনি পরিহাস ছলে বলেছেন যে, আমরা যদি বিজয়ী হয়ে থাকি তবে পরাজিত হয়েছিল কে? পাকিস্তান যাতে মনঃক্ষুণœ না হয় এ জন্য জিয়া সরকারের প্রচার মাধ্যম পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করত না পরাজিত শক্তি হিসেবে। তিনি আরও লিখেছেন যে, যতদিন বিজয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে ততদিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে আসেনি। পাকিসস্তানকে খুশি করার জন্য জাতীয় দিবসকে বিজয় দিবস থেকে আলাদা করা হয় এবং সেটা করা হলে পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেন। শফিক সাহেবের ভাষ্যানুযায়ী জিয়া সাহেব ছিলেন মার্কিনদের প্রিয়পাত্র এবং তিনি পাকিস্তানীদের খুশি করার জন্য নিজ জাতির অহঙ্কারকে ভূলুণ্ঠিত করতে দ্বিধাবোধ করেননি। একটি পত্রিকায় দাবি করা হয়েছিল যে, তারা একজন পাকিস্তানী জেনারেলের একটা চিঠি পেয়েছিল যেখানে জিয়া সাহেবকে প্রশংসা করা হয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষে ভাল কাজ করার জন্য। এখন কথাটা হচ্ছে এই যে, শফিক সাহেবের বই পড়ার পরে কেউ যদি পত্রিকাটির দাবি বিশ্বাস করে তবে তাকে দোষ দেয়া যায় কি? তাহলে প্রকৃত অবস্থাটা কী দাঁড়াচ্ছে। মার্কিনদের প্রিয়পাত্র ও পাকিস্তানীদের তোষামোদকারীদের সম্পর্কে যদি কেউ ভাবে যে, এরা পাকিস্তানীদের স্বার্থে ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল তবে কি তাদের দোষ দেয়া যাবে? যদি কেউ ভাবে যে, পাকিস্তানীদের স্বার্থেই এরা জামায়াত ইত্যাদি শক্তিদের পুনর্বাসিত করেছিল তবে ওরা যে ভুল ধারণা করেছিল তা কি বলা যাবে? বঙ্গবন্ধু হত্যাÑ এসব পরিকল্পনার অংশ এমন যদি কেউ ভাবে তবে বলা যাবে ওরা ভুল ভেবেছিল! 
শফিক সাহেব লিখেছেন যে, আওয়ামী লীগের ডাকে অনুষ্ঠিত সফল হরতাল সম্বন্ধে সরকারী প্রচার মাধ্যম লিখেছে ও বলেছে হরতাল হয়নি। শফিক সাহেবের ভাষ্যানুযায়ী সরকারী সংবাদ মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছিল যেজন্য জনগণ বিবিসির সংবাদ শুনত। আরও হাসির ব্যাপার এই যে, সরকারী সংবাদ মাধ্যমগুলো আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ না করে বলত 'একটি দলের আহ্বানে।' মেয়র হাসনাতের লোকেরা হকিস্টিক হাতে বিএনপির হয়ে হরতাল নষ্ট করার চেষ্টা করত। হরতালের সময় দেখা যেত রিক্সার কনভয়। কয়েকটি রিক্সা একসঙ্গে চলত আর প্রতিটি রিক্সায় থাকত তিনজন করে ষ-ামার্কা লোক। এরা হরতাল নষ্ট করার চেষ্টা করত। জিয়াউর রহমানের সমর্থকরা তাঁকে 'বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা' বলে পরিচিত করার চেষ্টা করেন। বিএনপিরই বুদ্ধিজীবী নেতা শফিক সাহেবের লেখায় জিয়া সাহেবের গণতন্ত্র চর্চার যে বর্ণনা পড়লাম তাতে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে দিতে হয়। আর তাঁর নিজের দলের মানুষদের সঙ্গে তিনি কী আচরণ করতেন? শফিক সাহেব লিখেছেন যে, নিজের দলের লোকদের তিনি রেফ্রিজারেশনে রাখতেন। আওয়ামী লীগ হরতাল ডাকলে তিনি তাদের রেফ্রিজারেশনের বাইরে আনতেন। হরতাল শেষ হয়ে গেলে তিনি তাদের আবার রেফ্রিজারেশনে নিয়ে যেতেন। আদর্শ গণতান্ত্রিক আচরণই বটে।
শফিক সাহেব লিখেছেন, কিভাবে পুলিশের সাহায্যে একদল তরুণ লোকের গাড়ি আটকিয়ে হেডলাইটের কাঁচের অর্ধেক কালো রং করার জন্য টাকা আদায় করত। সরকারী আদেশেই নাকি এসব করা হচ্ছিল। কাগজের অস্পষ্ট লেখায় সরকারের আদেশ দেখাচ্ছিল যুবকরা। এভাবে জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট নওজোয়ানরা পয়সা উপার্জন করছিল। এই পয়সার কোন হিসাব ছিল না। এভাবেই তরুণদের দুর্নীতির পক্ষে নামানো হয়েছিল। এর অগ্রণী জিয়া সাহেব। আজ তরুণ আর ছাত্রসমাজ কোথায় নেমে গিয়েছে। সবাই কি ভুলে গেছে যে এর শুরু কিভাবে হয়েছিল!
ফেরদৌস কোরেশীর দল কিভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন শফিক সাহেব। দল বলতে ফেরদৌস কোরেশী একাই। এমনি সব দল যোগ দিয়েছিল বিএনপিতে। অবশ্যই এই দলে যোগ দিয়েছিল ডানপন্থী মুসলিম লীগ আর বামপন্থী বলে পরিচিত ভাসানী ন্যাপ। এঁরা একসঙ্গে হলো কী করে? মনে পড়ে জর্জ হেগেলের সেই অমৃত বাণী 'টু এক্সট্রিমস উইল অলোয়েজ গেট টুগেদার।' এদের একতার কারণ ভারতবিরোধী জিগির আর আওয়ামী বিরোধিতা। ১৯ দফা কে পড়েছিল? কোন রকমের ইতিবাচক মনোভাব ছাড়াই শুধু নেতিবাচক জিগির তুলেই এরা অনেকদিন টিকে থাকল। তারেক রহমানের বঙ্গবন্ধুবিরোধী বক্তব্য দল ধরে রাখার প্রচেষ্টা কিনা কে জানে। এসব বক্তব্যের পেছনে কোন সত্যতা নেই। কিন্তু আবেগ সৃষ্টি হয়েছে অনেক। খন্দকার সাহেবের মন্ত্রিত্ব হারানোর প্রলাপ আবেগ সৃষ্টি করেছিল। শফিক সাহেবের বক্তব্য অনেকদিন আগের কিন্তু জাতির জন্য শিক্ষণীয় । কিন্তু মানুষ এসব কথা ভুলে গেছে, শফিক রহমানও সবই ভুলে গেছেন। মনে পড়ে ফ্রেডারিক নিচির (ঋৎরবফৎরপয ঘরবঃুংপযব) মূল্যবান উক্তি' 'মানুষের স্মৃতিশক্তি স্বল্পস্থায়ী।' 

লেখক : রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো

মন্তব্য :

Dr.Ali : ১৮/০১/২০১৫ ১২:২৬ এ. এম.
Dr. Ali : ১৮/০১/২০১৫ ১২:২৫ এ. এম.
Many thanks for this scholarly article. It substantiatesthe false politics of BNP and it is composed of all the false elements , and their mask is now in the process of unveiling both at home and abroad .
reza : ১৮/০১/২০১৫ ০১:০৪ এ. এম.
Thanks. We will be very happy, if write this type of information and its source again and again to educate our generation who doesn′t know too much about the original history of the culprit. Thanks again.
Mustaq Ahmed : ১৮/০১/২০১৫ ০১:৩৭ এ. এম.
We know and have seen how the Mirzafor Ziaur Rahman started corruption and made the youngsters characterless / Killers/Looters.
Ziaur Rahman completely responsible for Present situation of Peoples Characterlessness/ corruption/ Killing. We all must agree that Ziaur Rahman was not a patrotic at all but was Mirzafor and selfish

Muzzammil Hoque : ১৮/০১/২০১৫ ০৪:৪১ এ. এম.
Shafique Rahman is a sinner of knowledge and prostitute of politics. He is a characterless greedy and immoral person. For his self interest he will not hesitate to call his father is his brother in law and his mother is his sister in law. However he is doing the right thing to destroy BNP (bastard notorious pakis) by using his evil knowledge. He is the person behind discovering of an illiterate historian of the history of the independence of Bangladesh. The the ink of this scholar is unholy-er than pig meat for the 90% of the Muslim population of Bangladesh.

​Related:
 'হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল - মিনা ফারাহ

স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি
মিনা ফারাহ         বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১

"   বিএনপি যে স্বাধীনতাবিরোধী দল একথা তারা দলের জন্মের আগেই প্রমাণ করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা যে কথা আমি বহু তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে 'হিটলার থেকে জিয়া' বইটিতে প্রমাণ করেছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন পাকিস্তানপন্থী এবং এর দলপাকিস্তানপন্থী।  ..........২০০১ সালের সংসদে খালেদা জিয়ার পাশে মতিউর রহমান নিজামী, সাঈদী, আল মুজাহিদ এবং জিয়াউর রহমানের সংসদে শাহ্ আজিজুর রহমান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন বলেন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের কি সত্যিই দরকার আছে? স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহ্ আজিজুর রহমান এবং নিজামীর ভূমিকা একটি শিশুও জানে। ........জিয়াউর রহমান শাহ্ আজিজকে তার প্রধানমন্ত্রী করেছিল। বেগম জিয়া বড় যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে বসিয়েছিল। জিয়াউর রহমান এদের জেল থেকে বের করে এনে রাজনীতিতে ঢুকিয়েছে। ......." মিনাফারাহ
বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১৭ প্রকাশিত স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি -মিনা ফারাহ


"জিয়া থেকে হিটলার"
এই বইটির তিনটি অংশ। 
প্রথম অংশটি-"জিয়া কেন মুক্তিযোদ্ধা নয়-১৭৮টি কারণ"। 
দ্বিতীয় অংশটি-"সংবিধান সন্ত্রাসী জিয়া"। 
তৃ্তীয় অংশটি-"বইয়ের কাঠগোড়ায় জিয়া"


wRqv‡K †jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV:


ˆmq` †evinvb Kexi : GKwU `yj©f wPwV Avgv‡`i nv‡Z G‡m‡Q| wPwVwU 1971-Gi 29 †g †jLv| wPwV wj‡L‡Qb ZrKvjxb K‡b©j †eM, wj‡L‡Qb, †gRi wRqvDi ingvb‡K| cÖ_‡gB cvVK‡`i Rb¨ wPwVwU ûeû Dc¯'vcb KiwQ:-
Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca
We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.
DonÕt worrie about your family. Your wife and kids are fine. You have to be more carefull about major Jalil.
Col. Baig Pak Army, May 29. 1971

(†gRi wRqvDi ingvb, cvK Avwg©, XvKv †Zvgvi Kv‡R Avgiv mevB Lywk| Avgv‡`i Aek¨B ej‡Z n‡e Zzwg fv‡jv KvR Ki‡Qv| Lye wkMwMiB Zzwg bZzb KvR cv‡e|†Zvgvi cwievi wb‡q DwØMœ n‡qvbv| †Zvgvi ¯¿x I ev"Pviv fv‡jv Av‡Q| †Zvgv‡K †gRi Rwjj m¤ú‡K© Av‡iv mZK© _vK‡Z n‡e| K‡b©j †eM, cvK Avwg© †g 29, 1971)....
Details at:
According to Pro-BNP writer এবনে গোলাম সামাদ
in মুজিবনগরের বাখানি- আত্মপক্ষ published in

নয়াদিগন্ত, তারিখ২২ এপ্রিল২০১৩

"জিয়াউর রহমান  দেশ ছেড়ে ভারতে যান, কিন্তু 
ভরতে যেয়ে তিনি ছিলেন গৃহবন্দী ....http://www.dailynayadiganta.com/?p=169150

This is because General Osmani became very suspicious about Ziaur Rahman's deceptive activities... 

জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃত পাকিস্তান প্রেমিক 

He is the hero of Khemkaran sector !!!!!
In Pakistan Army he received commando training specializing in infiltration and  won the Hilal-e-Jurat for his performance in 1965-war. His transfer to East in  October 1970 was a part of Paki Military's
grand plan ....! Later on, during his regime, he started the process of Pakistanization of Bangladesh. ......!!!!!!
SA



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'ধর্ম কেন ভাইরাসের সমতুল্য? (প্রেক্ষিত : পেশোয়ার এবং শার্লি এবদো)'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'ধর্ম কেন ভাইরাসের সমতুল্য?
(প্রেক্ষিত : পেশোয়ার এবং
শার্লি এবদো)'


"Religion, a medieval form of unreason, when combined with modern weaponry
becomes a real threat to our freedoms" ~ Salman Rushdie.
আমি একটা বই লিখেছিলাম
'বিশ্বাসের ভাইরাস' নামে[1]।
তেমন বিরাট কোন কাজ বা মৌলিক
কিছু নয়, মূলত আধুনিক
মেমেটিক্সের দৃষ্টিকোণ থেকে
ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ
করা হয়েছিল এ বইয়ে। সেই বিগত
সত্তরের দশকে রিচার্ড
ডকিন্সের সেলফিশ জিন [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=44188


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'ত্রিনিদাদের পুজা এবং কানাডা অভিবাসি এক বাঙালির জীবন উপাখ্যান [অবৈধ পথে ক্যানাডা গিয়ে যেভাবে স্থায়ী হলেন ‘পাগলাবাবা’]'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'ত্রিনিদাদের পুজা এবং কানাডা
অভিবাসি এক বাঙালির জীবন
উপাখ্যান [অবৈধ পথে ক্যানাডা
গিয়ে যেভাবে স্থায়ী হলেন
'পাগলাবাবা']'


ব্লগে লেখালেখির সূত্রে
টরেন্টো প্রবাসি 'পাগলা
বাবা'র সাথে পরিচয় হয় আমার গত
বছর নেটে। সেই সূত্রে ২-মাস আগে
বাংলাদেশে এলে আমার বাসায়
অবস্থান করে 'পাগলাবাবা'।
অনেক গল্প, অনেক কথা, অনেক
হাসি-কান্নার অভিজ্ঞতা আর জীবন
সংগ্রামের এক নাটকিয় কাহিনি
শোনায় আমার প্রিয় বন্ধু
'পাগালাবাবা'। কেমন করে প্রায়
১-বছর ধরে নানা অবৈধ পথে
আমেরিকা ঢুকতে না পেরে, [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=44185


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] Liberation Songwriter freedom fighter Govinda Halder (1930-2015)



Dear All - let us pay our sincere homage and pray for the eternal peace of the departed soul of famous songwriter Govinda Halder. 


The songsmith who inspired freedom fighters

Govinda Halder (1930-2015)

Star Report

The lyricist whose powerful lyrics ignited the freedom fighters' passion to emerge victorious against the Pakistan occupation forces during our Liberation War is no more.

Govinda Halder, most known for his lyric of Mora Ekti Phulke Bachabo Bole Juddho Kori, breathed his last at a clinic in Kolkata yesterday at the age of 84.

His other notable songs include "Ek Sagor Rokter Binimoye, Banglar Swadhinata Anlo Jara", and "Purbo Digonte Surjo Uthechhe, Rokto Lal".

These songs, broadcast on Swadhin Bangla Betar Kendra during the war, spurred the whole nation to take up arms against the Pakistan army. They indeed served as the biggest morale-booster when the freedom fighters' spirits sank low due to the loss and brutalities they had endured at the hands of a well-equipped occupation force.

Halder, who had always kept a low profile, had been suffering from kidney disease and other age-old complications. As his health deteriorated, he was admitted to the Jitendra Narayan Roy Polyclinic on December 13 last year.Learning about his illness, Prime Minister Sheikh Hasina called him and took the responsibility of his treatment as his family was struggling to bear the cost.

During his visit to India last month, President Abdul Hamid met him at the hospital and enquired about his health and treatment.

"He is one of us. He is a Muktijoddha, a brave soldier," Hamid told reporters.

Successive governments failed to give him due recognition until Halder was conferred the Friends of Liberation War Award in Dhaka in 2012. Unfortunately, he was not able to receive the honour on his own for his feeble health. His daughter, Gopa Halder, received the award to a standing ovation.

When there was a need for new inspirational songs to motivate the resisting freedom fighters after the Pakistan army launched its genocide campaign in March 1971, Halder appeared like a saviour. Kamal Lohani, then news editor of Swadhin Bangla Betar Kendra, found him out in Kolkata.

Mora Ekti Phul Ke Bachabo Bole Juddho Kori was aired in the first week of June. His other masterpiece – Ek Shagor e Rokter Binimoye –  was broadcast on December 20, which, to this day, is regarded as the greatest tribute to our martyrs.

There was a rule during the war that no foreigner could write or perform songs for the Swadhin Bangla Betar Kendra. Halder's name was thus removed from the title list. Even after Bangladesh gained independence, his name remained absent from the credit list.

"In June 1972 I went to Bangladesh to inform the Bangladesh Betar authorities about my concerns. After a bilateral agreement, they signed me on as an official lyricist and finally my name appeared on the title list of the songs," wrote Halder in an article published in Tarokalok in 1985.

In his article he lamented that even though the Betar made an agreement with him, he didn't get any royalties from the authorities concerned. "They sent me vouchers from 1972 to 1973. I signed them. But despite that, they deprived me of the modest remuneration," he wrote.

Halder, who had visited Bangladesh once in 1972, had penned nearly 3,500 semi-classical, folk, baul, kirtan and modern Bengali songs before glaucoma claimed his sight and ended his writing capacity.

Artists from All India Radio and Doordarshan did also sing some of his songs from other genres but Halder was never acknowledged in a befitting manner. Most of his works, both songs and poetry, remain unpublished and unknown.

Halder's first book on poetry had been a success. The 500-odd copies that the writer had managed to print in 1989 were sold out. Unfortunately, he did not have the means to reprint 'Door Digante', a collection of his poems.

His daughter Gopa Halder informed The Daily Star that about 3,000 songs of his father were yet to be published.

Halder was born in India's Bongaon in August 1930. After schooling in Bongaon, he did his graduation and post-graduation in Bangla from Calcutta University. Later, he joined the income tax department and retired in July 1988, said Gopa.

Both President Abdul Hamid and Prime Minister Sheikh Hasina expressed their profound shock at the death of Govinda Haldar. They prayed for the eternal peace of his departed soul and conveyed deep sympathy to the bereaved family.

Halder, who is survived by his wife Parul Halder and daughter Gopa, was later cremated at Neemtola crematorium, reported our New Delhi correspondent.

Halder is no more. But his songs will remain in our hearts forever and they will continue to inspire us whenever we as a nation will be beset with turbulent times.

Kind regards,

Sulata Mojumder





__._,_.___

Posted by: Sulata Mojumder <s.mojumder@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home