Banner Advertiser

Sunday, March 1, 2015

[mukto-mona] অভিজিতের খুনিরা ফেসবুকে সরব



অভিজিতের খুনিরা ফেসবুকে সরব
তোহুর আহমেদ

প্রকাশ : ০২ মার্চ, ২০১৫ 


খুনিরা মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা-লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার পরিকল্পনা এক মাস আগেই করেছিল। এমন কি তাকে এক বছরের বেশি সময় ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। আর এই খুনের অন্যতম নায়ক ইসলামপন্থী নামধারী উগ্র মতাদর্শের দুই ব্লগার। এদের একজন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেদোয়ানুল ইসলাম রানা ও অপরজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির নেতা ফারাবী সাইফুর রহমান। এদের সার্বিক পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা একরকম নিশ্চিত।

আইনশৃংখলা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, অন্তত এক বছর আগে অভিজিৎকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অভিজিৎ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবস্থানসহ নাম-ঠিকানা বিস্তারিত সংগ্রহ করছিল সন্দেহভাজন খুনিরা। একই সঙ্গে অভিজিতের দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিল তারা। বইমেলা উপলক্ষে কবে অভিজিৎ সস্ত্রীক ঢাকা আসছেন সে খবরও তারা সংগ্রহ করেছিল। আর ১৫ ফেব্র"য়ারি ঢাকায় আসার পর থেকে খুনিরা হত্যা মিশন নিরাপদে সফল করতে সব চেষ্টা চালিয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার যার করুণ পরিসমাপ্তি ঘটে।

a8

যেভাবে হত্যার হুমকি দেয়া হয় : খুনি চক্রের অন্যমত ফারাবী সাইফুর রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিজিৎকে হত্যার প্রত্যক্ষ হুমকি দেয়ার প্রমাণ রয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২৬ ফেব্র"য়ারি অভিজিৎকে হত্যার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফারাবীর ফেসবুকে অভিজিতের রক্তাক্ত লাশের একটি ছবি পোস্ট করে জানতে চান, 'ছবি পাইছেন কি? কি রকম অনুভূতি হচ্ছে আপনার? জবাবে ফারাবী বলেন, হ্যাঁ (ছবি পেয়েছি)। আমি গ্রেফতার হব কাল-পরশুর মাঝে।'

এর আগে গত বছর ২৭ জানুয়ারি ফারাবীর ফেসবুকে মোজাম্মেল হক নামে সন্দেহভাজন এক ব্লগার লেখেন, অভিজিৎ রায়, উমর ফারুক লুক্স, দাঁড়িপাল্লা দমাদম, সাদিয়া সুমি উজ্জা, সুব্রত শুভ, মোশাররফ হোসেন সৈকত ও দিগম্বর পয়গম্বরকে হত্যা করা সময়ের দাবি। এতে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর হবে। ৩১ জানুয়ারি ফারাবীর ফেসবুকে আরেক সন্দেহভাজন ব্লগার আসাদুজ্জামান লেখেন, 'অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা বাংলার মুসলমানদের জন্য ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।' ২৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিটে উগ্রপন্থী ব্লগার সাহাবুদ্দীন ইলিয়াস নিজের ফেসবুক পোস্টে বলেন, মুক্তমনা ওয়েবসাইটের প্রতিটি নাস্তিক ব্লগারকে পাথর মেরে হত্যা করা বাংলার মুসলমানদের জন্য ফরজ। দুপুর ১টায় তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন আরেক চরমপন্থী ব্লগার মুন্না রাহী। রাত ৯টা ১১ মিনিটে মাসুম খান নিলয় নামের সন্দেহভাজন আরেক ব্লগার লেখেন, 'আমাদের ইমানি কাজ হচ্ছে, তাকে (অভিজিৎ)সহ সব নাস্তিককে হত্যা করা।'

রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে ব্লগার ইকবাল বিন আহমেদ লেখেন, 'অভিজিতের বাপেরে (অজয় রায়) আগে মারতে হবে। ওই শালা ইত্যাদিতে (জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি) অ্যাক্টিং করে।' ১০টা ৪৬ মিনিটে রুহিন আহমেদ নামের এক ব্লগার লেখেন, 'কুকুরের বাচ্চাকে খুন করতে হবে।' ১০টা ৫৭ মিনিটে 'তুফান বাবা' ছদ্মনামের ব্লগার লেখেন, 'যদি ওকে পাই, আমি কাঁচা খেয়ে ফেলব। কুত্তার বাচ্চাটাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে আমি ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে চাই।' রাজভীর হোসাইন বিন সাখাওয়াত নামের উগ্রপন্থী এক ব্লগার লেখেন 'ওই ওয়েবসাইটের (অভিজিতের মুক্তমনা ওয়েবসাইট) অ্যাডমিনের খোঁজ লাগান। কই থাকে আর মোবাইল নাম্বারেরও খোঁজ নেন। টাকা দরকার হলে আমি দিব।'

চরমপন্থী ব্লগার খালিদ বিন কালাম লেখেন, 'এই কুত্তাকে চিনিয়ে দিন, আমি তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে রাজি আছি।' ৯ ফেব্র"য়ারি ১০টা ১৭ মিনিটে মান্নান রাহী নামের এক ব্লগার লেখেন, 'থাবা বাবার (খুন হওয়া ব্লগার রাজীব হায়দার) পরিণতির কথা ওকে স্মরণ করে দিলেই তো হয়।' ১০টা ২৬ মিনিটে আবদুল আহাদ হানাফি লেখেন, 'নরকের কীটগুলা আবার নড়াচড়া আরম্ভ করতেছে।' ১০টা ২৮ মিনিটে মূল সন্দেহভাজন ফারাবী সাইফুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার অনুসারী আরেক ব্লগার মান্নান রাহীকে উদ্দেশ করে লেখেন 'অভিজিৎ রায় আমেরিকায় থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে। তাই আমাদের সাথী ভাইয়েরা যারা আমেরিকায় থাকেন তারা ওর ব্যাপারে খোঁজ-খবর লাগান।' এরপর ২৮ জানুয়ারি ফারাবী তার ফেসবুকে অভিজিৎ রায়ের পরিবারের সদস্যদের একটি ছবি আপলোড করেন। সেখানে লেখা হয়, 'এই হল অভিজিৎ রায়, তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ ও তার মেয়ে। এরা সবাই আমেরিকার লুজিয়ানা প্রদেশের নিউ অরলিন্স সিটিতে থাকে।'

এভাবে সন্দেহভাজন উগ্র ইসলামপন্থীরা অভিজিৎকে হত্যার জন্য নানা মন্তব্য করে। ২৬ জানুয়ারি রাত ৩টা ১১ মিনিটে রুবেল নায়েক নামের এক ব্লগার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'অভিজিৎ কুত্তারে কোপানোর মতো মুসলিম নাই? তারে মারা ফরজ।' এর জবাবে তাহমিদ আলাভি রাত ৩টা ২৪ মিনিটে লেখেন অভিজিৎ রায়ের মতো লোক গুলারে কোপায়া থেঁতলায়া শেষ করে ফেলা উচিত।' ব্যোমকেশ বক্সী নামের আরেক ব্লগার লেখেন, 'ধর ধর ধর, ধরে… আল্লাহর নামে জবেহ কর।'

নজরদারিতে ২০ ব্লগার : তদন্তসংশ্লিষ্টরা মূল সান্দেহভাজন ফারাবী ও রানাসহ তাদের মতাদর্শের অন্তত ২০ জনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, টুইটার ও মোবাইল ফোনের ওপর নজরদারি করছে। ইতিমধ্যে এদের ফেসবুক ও ব্লগ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। এই গ্র"পের অন্যরা হলেন, মোজাম্মেল হক, সাকিব আফ্রিদী, রানা মাসুদ, আসাদুজ্জামান, সাহাবুদ্দীন ইলিয়াস, মান্নান রাহী, মমিন মমিনুল হক, দিলওয়ার হুসেন, রুবেল নায়েক, তাহমিদ আলভি, ব্যোমকেশ বক্সী, ইকবাল বিন আহমেদ, রুহিন আহমেদ, সাইফ আল ইসলাম, তুফান বাবা, রাজভীর হুসাইন বিন সাখাওয়াত, তাওহিদুল ইসলাম, খালিদ বিন কালাম ও আবদুল আহাদ হানাফি।

৩০ দিনের সাইট : র‌্যাব সূত্র জানায়, দৃশ্যত হত্যাকাণ্ডের দায় 'আনসার বাংলা-৭' নামের একটি উগ্রপন্থী সংগঠন স্বীকার করেছে। অভিজিৎকে হত্যার পর যে টুইটার অ্যাকাউন্টে এর দায় স্বীকার করে টুইট করা হয় সেটি মাত্র ৩০ দিন আগে খোলা হয়। অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের মাত্র ২ দিন থেকে এটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। আর হত্যাকাণ্ডের পর দায় স্বীকার করে বক্তব্য পোস্ট করার পরপরই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। খুনিদের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ রোববার যুগান্তরকে বলেন, বেশ কয়েকটি 'গুরুত্বপূর্ণ ক্লু' নিয়ে তারা কাজ করছেন। ফারাবী ও রানাসহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। শিগগিরই জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

http://khabor.com/archives/46236

http://www.jugantor.com/first-page/2015/03/02/228380

Avbmviæjøvi Ici `vq Pvwc‡q AwfwR‡Zi nZ¨vKvixiv cvi cv‡"Q!

Avgv‡`i mgq.Kg : 02/03/2015

AwfwRr nZ¨vi cÖavb m‡›`nfvRb dvivex AvUK

ivwKeyj myenvb : gy³gbv eø‡Mi cÖwZôvZv... we¯—vwiZ

   
facabi




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] আমার দ্বিমত : তৌফিক ইমরোজ খালিদী



Videos:

TV talk on Editors' Council statement 1

TV talk on Editors' Council statement 2

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=aqKqX24rDLM

 

 TV talk on Editors' Council statement 3

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=XEEmcllTAHY

 TV talk on Editors' Council statement 4

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=cRCp4o5DuTY

 

 TV talk on Editors' Council statement 5

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=aDz90pLEs6I

 TV talk on Editors' Council statement 6

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=ysSA7omDdvM

 

TV talk on Editors' Council statement 7

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=G4UIQIGrWso



আমার দ্বিমত : তৌফিক ইমরোজ খালিদী

তৌফিক ইমরোজ খালিদী

Published: 2015-03-01 23:39:22.0 BdST Updated: 2015-03-02 01:25:01.0 BdST

সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আমি একমত নই। বাংলাদেশের কয়েকটি মুদ্রিত সংবাদপত্রের প্রধান নির্বাহী বা সম্পাদকদের এই সংগঠনটির বক্তব্যের সঙ্গে সবিনয়ে দ্বিমত পোষণ করছি

এই সংবাদপত্রগুলো বেশিরভাগই প্রকাশিত হয় রাজধানী থেকে। তাদের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা বিবৃতিটি ভণ্ডামি, দ্বৈতনীতি ও ব্যক্তিস্বার্থপ্রসূত কর্মকাণ্ডের আরেকটি জাজ্বল্যমান উদাহরণ। এ কথা কেন বলছি তার ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। আমরা যারা গণমাধ্যমে কাজ করছি তাদেরকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে কেন সচেষ্ট হতে হবে তাও ব্যাখ্যা করছি।

এই সম্পাদকদের কেউ কেউ সত্যিকার অর্থে কখনোই পেশাদার সাংবাদিকতা করেননি। এদের কারও কারও সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। বেশিরভাগকেই ব্যক্তিগতভাবে জানি বেশ কিছুদিন ধরে।

এদের অনেকেই আবার সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন 'নোয়াব' এর সদস্য। বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, 'বিএসপি' থেকে বেরিয়ে 'নোয়াব'-এর জন্ম। এদের অনেকে দুই সংগঠনেরই, 'সম্পাদক পরিষদ' ও 'নোয়াব'-এর নেতৃত্বে রয়েছেন। স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নটি তাই এসেই যাচ্ছে। আমি জানি না এ নিয়ে আলোচনা করব কিনা। খুব বেশি প্রসঙ্গান্তরেও যেতে চাই না।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক 'ডেইলি স্টার' পত্রিকার মালিক-সম্পাদকমাহফুজ আনাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পরিষদের সভাপতি দৈনিক 'সমকাল' সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। তিনি সম্পাদক, তবে মালিক-সম্পাদক নন। কয়েক দশকের পেশাদার সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ তিনি। বৈঠকের দু'দিন আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান জনাব সারওয়ার। বিবৃতিটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে এর বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন তিনি। গোলাম সারওয়ার  বলেন, বিবৃতির বিষয়ে তিনি জানেন না। কী প্রক্রিয়ায় বিবৃতিটি তৈরি হয়েছে এবং প্রকাশ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন।

২৪ সদস্যের পরিষদের অনেকেই প্রকাশ্যে বলেছেন, তারা সভায় যাননি। আসলে ক'জন সেদিন উপস্থিত ছিলেন?

সভাটি কোথায় হয়েছিল বিবৃতিতে তারও উল্লেখ নেই। এখন আমরা জানি যে, সভাপতির অবর্তমানে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভাটি হয়েছিল ৩০,০০০ প্রচার সংখ্যার 'ডেইলি স্টার' পত্রিকার নতুন ভবনে। মুদ্রণ প্রমাদের কথা কেউ ভেবে থাকলে বলছি, তিনের পর শূন্যের সংখ্যা চারটিই।

বিবৃতি প্রকাশ ও সভার সময়টি খেয়াল করুন। বিষয়বস্তু নিয়ে পরে আসছি। উসকানিমূলক বিষয়বস্তু সম্বলিত পোস্টারের ছবি ছাপানোর অভিযোগে 'ডেইলি স্টার'-এর বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর দায়ের করা মামলার কয়েক দিন পর সভাটি করা হয়।

পত্রিকাটির মালিক-সম্পাদক তার নিজের অফিসে বসে সভায় সভাপতিত্ব করেন। মনে করা হয়, তিনি নিজেই বিবৃতিটি প্রণয়ন করেছেন এবং সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন।

আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, ৩০ হাজার প্রচার সংখ্যার (কোনো কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থা এ সংখ্যা আরও কম বলে দাবি করে) পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ছবিটি পোস্টারের উদ্দিষ্ট জনগণকে প্রভাবিত করতে পারবে বলে মনে হয় না। আইনজীবী তার আর্জিতে বলেছেন, 'ডেইলি স্টার' প্রকাশ না করলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী সংগঠনটির পোস্টার মানুষের অগোচরেই থেকে যেত। সঙ্গত কারণে ওই আইনজীবীর বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই।

এ নিয়ে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গেও আমি দ্বিমত পোষণ করছি। ছবি ছাপানোর জন্য 'ডেইলি স্টার'কে শাস্তি দেওয়া হবে বলে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। ছবিটির উপরে দেওয়া পত্রিকার ক্যাপশনই পরিষ্কারভাবে বলে দেয় যে, তারা পোস্টারটির বার্তাকে দুষেছেন। "উগ্রবাদীরা আবার তাদের কুৎসিত মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।" এই ক্যাপশনের 'কুৎসিত' শব্দটিই বলে দেয় যে, পত্রিকাটির উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না।

আবারও বলছি, এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। এ বিষয়ে এখনও আদালতে শুনানি শুরু হয়নি। রাষ্ট্রের খুব ক্ষমতাশালী পদে বসে কারও মামলার এই পর্যায়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তার ওপর প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করেছেন তার সংসদীয় সুবিধা। যদিও একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন।

২৪ সদস্যের 'সম্পাদক পরিষদ' নিজেদের ভেতরের বিবাদ কীভাবে মেটাবেন সেটা তারা জানেন। তাদের সাধারণ সম্পাদক নিজে সংশ্লিষ্ট আছেন এমন একটি বিষয়ে তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি তারা কীভাবে সামলাবেন সেটিও তাদেরই ব্যাপার। কিন্তু আমরা যারা বাকি সংবাদ মাধ্যমে কাজ করছি, আমাদের জন্য তার বিবৃতি ভাবনার বটে। কারণ তাতে আমাদের পাঠক, শ্রোতা ও দর্শকদের মধ্যে এমন একটি উপলব্ধি জন্মাতে পারে যে, পরিস্থিতির হঠাৎ মারাত্মক অবনতি ঘটেছে বলেই সম্পাদকদের এমন একটি বিবৃতি দিতে হয়েছে।

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার পরিবেশ কখনোই খুব ভালো ছিল না। আমাদের জেলা সংবাদদাতারা প্রায় প্রতিদিনই হুমকি পান। যদিও পেশাগত সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকায় যারা খবর সংগ্রহে নিয়োজিত আছেন তাদের জীবন সত্যিই খুবই কঠিন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের পরিবার তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের অপেক্ষায় আছে বছরের পর বছর।

তারপরও এ কথা বলতেই হবে যে, পরিষদের বিবৃতির বিষয়বস্তুতে এবং পরিবেশনায় পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গির অভাব রয়েছে।

'ডেইলি স্টার'-এর ঘটনা বাদেও বিবৃতিতে 'নিউ এইজ'-এর একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট ছাড়াই পত্রিকাটির কার্যালয়ে জঙ্গিদের কথিত সভার খবর পেয়ে সেখানে তল্লাশি করতে যান। খবর হল, পুলিশ কর্মকর্তাটি কার্যালয়ে প্রবেশ করেননি। বিবৃতিতে এই দুটি ঘটনার কথা তুলে ধরে এমন এক চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, যেন এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।

একে বাস্তবসম্মত ও সৎ প্রচেষ্টা বলা যাবে না। বাংলাদেশে অনেক বিষয়কে বড় করে দেখানোর প্রবণতা আছে, বিশেষ করে গণমাধ্যমে।

নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাই বলি। ২০১২ সালের ২৮শে মে আমার দুই তরুণ সহকর্মীকে আমাদের কার্যালয়ের নিচেই ছুরিকাহত করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অংশ একে আমাদের সাংবাদিক ও বার্তাকক্ষের ওপর হামলা বলে প্রকাশ করেছিল। হামলার পর এই দুজনসহ অন্যরা তাড়া খেয়ে বার্তাকক্ষে উঠে যায়। তাতে বার্তা কক্ষের মেঝে রক্তে ভেসে যায়। মাসখানেক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে।

সাংবাদিক ইউনিয়ন, এমনকি 'রিপোর্টার্স সঁ ফ্রঁতিয়ে'-এর মতো সংগঠন তখন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। তাদের সেই বিবৃতি ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে ধরেছিল কি? এটা একটি অপরাধমূলক ঘটনা মাত্র, সাংবাদিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই তা সংশ্লিষ্ট নয়। আমার সহকর্মীরা কর্মরত অবস্থায় প্রায়শই আক্রমণের শিকার হন, মাঝে মাঝে সে সব হামলা মারাত্মকও হয়। কখনও কখনও দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মামলা মোকাদ্দমার মধ্যেও পড়েন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশে, অন্যান্য অনেক উন্নয়নশীল দেশে এবং আরও অনেক দেশে আমাদের প্রিয় এই পেশার হাল এমনই। আমরা লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি, চালিয়ে যাব।

২৪শে ফেব্রুয়ারির বিবৃতিতে তোলা অভিযোগগুলো ঢালাও। আমি বিশ্বাস করতে চাই, কোনো পেশাদার সাংবাদিক এটি তৈরি করেননি। আর ফোন কলের কথা বলছেন? পাঠকদের সামনে যদি এর তালিকা তুলে ধরতাম তাহলে সেটা বইমেলার সবচেয়ে মোটা বই হত। সবাই নিজ নিজ জনসংযোগ চর্চার অধিকার সংরক্ষণ করেন। তাদের কথা আমাদের শুনতেই হবে এমন কথা নেই।

সহিংসতাপ্রবণ অবরোধের সময় কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হবে বা হরতালের খবরের সময় কী করতে হবে সে বিষয়ে মন্ত্রীরা আমাদের সবক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কি তাদের কথা শুনেছে? এমনকি তাদের আহ্বানে সবাই কি বৈঠকে গেছেন?

আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, আমরা ভুল করি। জবাবদিহির জন্য আমাদেরকেও রাজি থাকতে হবে। সন্দেহভাজন কাউকে ধরতে কোনো পত্রিকা অফিসে তল্লাশি চালানো যাবে না এমন কোনো বেদবাক্যের কথা কেউ বলতে পারবে না। তবে পুলিশ যেভাবে দৈনিক 'ইনকিলাব'এর বার্তাকক্ষ থেকে পত্রিকাটির সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গেছে, আমরা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা করি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই পত্রিকা সাংবাদিকতার নামে যে অনৈতিক কাজ করেছে, আমরা কি তার নিন্দা জানিয়েছি? অথবা অন্য অনেক ক্ষেত্রে দৈনিক 'আমার দেশ' যা করেছে? রুপার্ট মারডক, তার 'সান' অথবা 'ফক্স নিউজ', তাদের চেয়েও খারাপ কাজ করেছে আমার দেশ। বন্ধ হওয়ার আগে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' যেসব কুকীর্তি করেছে, তার চেয়েও জঘন্য। পশ্চিমে গণমাধ্যম ও রাজনীতির মধ্যে যে আঁতাত নিয়ে সবসময় সমালোচনা হয়, এসব বিষয় তার চেয়েও নিকৃষ্ট।

আমাদের সংকোচনশীল মুদ্রণ মাধ্যমের 'সম্পাদকদের' একটি অংশ যে পঁচিশটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমের ওপর আরোপিত কথিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে উদ্বিগ্ন, সেটা ভালো খবর। কয়েক জন সম্পাদক বলেছেন, 'একুশে টিভি'র আবদুস সালাম, 'এনটিভি'র মোসাদ্দেক আলী ফালু সরকারি হস্তক্ষেপের শিকার। 'আমার দেশ'-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এখন সম্পাদক পরিষদের বড় উদ্বেগের নাম।

আমি ভুল না জানলে, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, 'নোয়াব'-এর একটি সভায় মাহফুজ আনাম 'আমার দেশ' পত্রিকাকে ছোট এই সংগঠনের সদস্যপদ দিতে জোর গলায় অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। আমি বুঝতে পারি কেন তিনি এর বিরোধিতা করেছেন; কীভাবে কথা বলেছেন তাও যেন কল্পনায় দেখতে পাই। সে সময়কার বহুল প্রচারিত 'আমাদের সময়' পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান 'নোয়াব'-এর সদস্য হতে চেয়েছিলেন।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মাহফুজ আনামের উপস্থিতিতে একটি টিভি অনুষ্ঠানে নাঈমুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে দু' দু'বার সদস্যপদ দিতে অস্বীকার করা হয়। সংগঠনটি সরকারের কাছে নিউজপ্রিন্টের শুল্ক কমানোর মতো বিষয়ে দরকষাকষি করে থাকে। মাহফুজ আনাম হাসতে হাসতে ঐ অনুষ্ঠানে নাঈমুল ইসলাম খানকে বলেন, "ভাই, বিষয়টা তুমি এখানে তুলছ কেন?"

২০০৬ সালে দৈনিক 'ইত্তেফাক'-এর তদানীন্তন মালিক মঈনুল হোসেন ও তার সঙ্গীদের  নিয়ন্ত্রণাধীন 'বিএসপি' (বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ) ভেঙে ২০০৬ সালে কয়েকজন মালিক মিলে 'নোয়াব' গঠন করেন। মাহফুজ আনাম এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এখন দৈনিক 'প্রথম আলো' সম্পাদক 'নোয়াব'এর সভাপতি, যিনি আবার 'সম্পাদক পরিষদ'এর নির্বাহী কমিটির সদস্য।

মাহমুদুর রহমান যদি 'সম্পাদক পরিষদ'-এর সদস্যপদের জন্য আবেদন করতেন এবং আমি যদি এর অংশ হতাম, অবশ্যই নানা কারণে জনাব আনামকেই সমর্থন করতাম। কোনোভাবেই আমি জনাব রহমানকে 'সম্পাদক' মনে করি না এবং সম্ভবত কখনোই করব না।

মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারের পর একটি টিভি  অনুষ্ঠানে তিন জ্যেষ্ঠ সম্পাদকের (আবেদ খান, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ এবং আমানুল্লাহ কবীর, যাদের সবাই সাংবাদিকতায় পঞ্চম দশক পার করছেন) সঙ্গে কারণগুলো বর্ণনা করেছিলাম আমি। যুক্তিগুলো সোজা-সাপটা। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নেই।

কর্পোরেট নির্বাহী থেকে ব্যবসায়ী বনে যাওয়া জনাব মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে তার এক সাবেক নিয়োগকর্তা একবার আমাকে বলেছিলেন, কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ার কারণেই কর্মক্ষেত্রে তার দ্রুত উন্নতি হয় এবং আর "এই প্রক্রিয়ায় তিনি উদ্ধত হয়ে উঠে থাকতে পারেন।"

পরে জনাব রহমান বিদেশি পুঁজি আকষর্ণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থার প্রধান হন। তারপর কিছুদিন তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। এই 'উদ্ধত' লোকটি বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান থাকার সময় সিপিডির রেহমান সোবহানসহ নাগরিক সমাজের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচিত হয়ে ওঠেন। আরও অনেকের সঙ্গে ব্যবসায়ী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছিলেন। প্রায়ই টেলিভিশনের নানা টকশোতে তাকে সরকারের নীতির পক্ষে কথা বলতে দেখা যেত। সহ-আলোচকদের থামিয়ে দিতে গিয়ে খুব ভদ্রোচিত ভঙ্গিতে তা করতেন তাও বলা যাবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও 'এনটিভি'র মালিক মোসাদ্দেক আলী ফালুর কাছ থেকে ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেকে 'আমার দেশ' পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ঘোষণা করার পর মাহমুদুর রহমানের চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যের প্রকাশ ঘটে। পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রায়ই মন্তব্যের নামে যা লিখতেন, সেগুলো আমরা যাকে সাংবাদিকতা বলে জেনেছি, তার ধারেকাছে ছিল না। মন্তব্য প্রতিবেদন নামে যেগুলো ছাপা হত, সেগুলো আসলে ছিল একজন রাগান্বিত মানুষের চিৎকার-চেচামেচি, তর্জন-গর্জন। সবচেয়ে জঘন্য ছিল প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা প্রতিবেদন ও শিরোনামগুলো। এর সবই ছিল সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদে উসকানি দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর নিকৃষ্ট উদাহরণ।

সেদিন ঐ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে 'আমার দেশ' পত্রিকার শিরোনামগুলো পর্যালোচনা করে আমরা চারজনই একমত হয়েছিলাম যে, তার কাজগুলো সাংবাদিকতার অনুমোদিত সীমার মধ্যে পড়ে না। এ ধরনের সাংবাদিকতার নিন্দা জানিয়ে 'সম্পাদক পরিষদ' কোনো বিবৃতি দিয়েছিল কি? "শুধুমাত্র একবার," এক সহকর্মী আমাকে শুধরে দিয়ে জানিয়েছেন, "চব্বিশে ফেব্রুয়ারির বিবৃতির পৃষ্ঠাপোষকদের একজন, পত্রিকাটির আক্রমণের শিকার হওয়ার পর।"

আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা উচিৎ- মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করার সময় বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি সে রকম কাভারেজ পায়নি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তখন প্রায় প্রত্যেক মুহূর্তের খবর প্রচার করেছে।  'আমার দেশ' পত্রিকার সমর্থকরা আমাদের ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যারা এই 'গ্রেপ্তার নাটকের' খবরে তেমন গুরুত্ব দেননি, তাদের মধ্যে পরিষদের সর্ব-সাম্প্রতিক বিবৃতির কয়েকজন সমর্থকও আছেন।

এবার আবদুস সালামের প্রসঙ্গ। তাকে নিয়ে কথা না বলাই ভালো। তাকে জানার এবং কীভাবে তিনি কাজ করেন তা দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। বন্ধ হয়ে যাওয়া টিভি চ্যানেলটি যখন আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, বছর দশেক আগে, তখন আমাকে তার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল, আর আবদুস সালাম কোম্পানির একক বৃহত্তম অংশীদার হবার চেষ্টা করছিলেন। (নানান উপায়ে তিনি তা হতেও পেরেছিলেন।)

তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মতো লোকদের সঙ্গে তার একটা অন্যরকম যুদ্ধ চলছিল। সালাম তখন সরকারি দমনের শিকার বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন চাচ্ছিলেন (এবং পেয়েওছিলেন)।

২০০১-২০০৬ সময়কালের বিএনপি সরকারের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া একুশে টেলিভিশন আবার চালু করার জন্য আমরা চেষ্টা করছিলাম। লন্ডনে বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি সংবাদমাধ্যমের কাজ ছেড়ে এসে সেখানে আমি মাত্র কয়েক সপ্তাহ টিকতে পেরেছিলাম। জনাব সালামের বিরুদ্ধে এখন যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা সবারই জানা; তাই এখানে আর বলার দরকার নেই।

মোসাদ্দেক আলী ফালু সব সময়ই আলোচিত ব্যক্তি। তবে এখনকার প্রশ্ন হল, 'এনটিভি'র চেয়ারম্যান-কাম-মালিককে কেন গ্রেপ্তার করা হল? তার চ্যানেলে প্রচারিত কোনো কিছুর জন্য কি? কেউ কি বলতে পারবে যে, 'এনটিভি' তার অনুপস্থিতিতে তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলেছে? অথবা জনাব সালামের গ্রেপ্তারের পর 'ইটিভি'ই তা করেছে? ওইসব 'ক্রাইম শো'র একটিও কি আপনারা দেখেছেন? তাহলে বুঝতে পারতেন কেন প্রশ্নটা করেছি। ইউটিউবে আমি কিছু কিছু দেখেছি।

এই সম্পাদকদের অনেকেই আবার মালিক হিসেবে তাদের সুবিধামতো প্রকাশ্যেই নিজেদের রূপটা বদলে ফেলেন। প্রতি বছর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাজেটপূর্ব যে আলোচনাগুলো হয়, তার একটি সেশনে  সম্পাদকদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেখানে সম্পাদকদের মধ্যে যারা 'নোয়াব'এর সদস্য, তারা সে বৈঠকে জাতীয় অর্থনীতির চেয়ে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্কের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন। ব্যবসায়ী হিসেবে যখন আপনি তদ্বির করবেন, তখন সম্পাদক হিসেবে আপনি আপনার ধার হারাবেন, যদিও বাংলাদেশে সম্পাদক হলেই সম্পূর্ণ দায়মুক্তি পাওয়া যায়, যদি না আপনি জঘন্য ধরনের একজন ভূমিদস্যু হয়ে থাকেন, এবং এক কপিও বিক্রি হয় না এমন এক পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক হন।

আমাদের দেশে যদি কোনো সম্পাদক বিকালে হাঁটতে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়েন, তাহলেও গোটা কমিউনিটি তাকে মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর আক্রমণ হিসেবে দেখাতে সব বন্দুক তাক করবে। 'নোয়াব'-এর সদস্য হিসেবে, এরাই আবার সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন-ভাতা প্রদানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ লড়াই চালান।

কোনো সাংবাদিক বা কর্মচারী যে কোম্পানিতে কাজ করেন তার মালিকানার অংশীদার হওয়াতে দোষের কিছু দেখি না, কিন্তু স্বার্থের সংঘাত ভিন্ন একটি বিষয়। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংসদীয় কমিটির প্রধানরা যে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি করেন, সে ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকলে স্বার্থের সংঘাতের ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করি। স্বার্থের সংঘাত অথবা অন্য কোনো ধরনের অনৈতিক কাজকর্মের জন্য জবাবদিহি থেকে দায়মুক্তি 'সম্পাদক' নামের এই অতিমানবদের জন্য বিশেষ কোনো অধিকার হতে পারে না।

যেমন, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে জনাব মাহফুজ আনাম ও ড. কামাল হোসেনকে ব্র্যাকেটবন্দি করার ও তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য নিয়ে কোনো সমস্যা দেখি না। এই বক্ততব্য তিনি দিতেই পারেন, সে অধিকার তার রয়েছে৤ তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে জনাব আনামের সংশ্লিষ্টতার পরিষ্কার প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়া তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বক্তব্য সমর্থন করি না। আমরা সাধারণ মানুষ যা জানি, তার চেয়ে বেশি তথ্য জয়ের কাছে হয়তো থাকতে পারে।

২০০৭-২০০৮ এ এই সম্পাদকদের কয়েকজন সামরিক বাহিনীর দায়িত্বগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাদের কমপক্ষে দুজন একই সঙ্গে 'নোয়াব' ও 'সম্পাদক পরিষদ'-এর সদস্য। এই দু'জনই জরুরি অবস্থার আবরণে সামরিক শাসন আনার কাজ তরান্বিত করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। এই 'অর্জন' নিয়ে প্রকাশ্যে গর্ব করতেও দেখা গেছে তাদের। 

২০০৭ সালের শুরুর দিকে কয়েক ডজন সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতিতে এক সভায় এই সম্পাদকদের একজন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার কথা থামিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। "এটা আমাদের সরকার এবং আমরাই এই সরকার এনেছি," সভায় উপস্থিতদের কাছে এটা অনেকবার শুনেছি।

এই সম্পাদকদের নাম প্রায় সবাই জানেন বলে আমি আর এখানে উল্লেখ করলাম না। দু'বছরের এই জরুরি আইনের আমলে গণমাধ্যম ও অনেক মৌলিক অধিকারের ওপর সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এই সম্পাদকদের মধ্যে কোনো অস্বস্তি ছিল না। তারা আমাদের সংবাদ মাধ্যমের ইতিহাসের জঘন্যতম উদাহরণগুলোর কয়েকটি সৃষ্টি করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে এমন কিছু প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করেছেন তারা যেগুলোতে সূত্র উল্লেখ থাকত না; এভাবে ওইসব ব্যক্তির মানহানি করা হয়েছে অন্যায়ভাবে। তারা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চালানো তথাকথিত শুদ্ধি অভিযান সমর্থন করেছেন। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের অনেকে যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তা স্বীকার করতে আমার আপত্তি নেই। তবে এসব ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। গণমাধ্যমের কাজ ছিল সঠিক প্রক্রিয়ার পক্ষে কথা বলা।

ওইসব প্রতিবেদনের ওয়েবলিংকগুলো এখন আর নেই। আগ্রহীরা 'হার্ড কপি' পড়ে দেখতে পারেন। বহু বছরের মধ্যে এই প্রথম 'হার্ড কপির' পক্ষে কথা বলছি আমি। এর কিছু আমার কাছেও আছে।

রাজনীতিতে জড়ানো গণমাধ্যমের কাজ নয়- বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সব নষ্টের মূলে রয়েছে সম্পাদকদের ওই দোষ। এই সম্পাদকদের অন্তত কয়েকজনের বিষয়ে সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, আর তা কেবল তাদের এক-এগারোর ভূমিকার জন্য নয়। 'সুশীল সমাজের' অনির্বাচিত সদস্যদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা দেখতে চান- তারা সর্বত্র সক্রিয়। যে কোনো মূল্যে দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করতে তারা তৎপর। সেই অনুরণন ২৪ ফেব্রুয়ারির বিবৃতিতেও রয়েছে। 

[মূল ইংরেজি থেকে ভাষান্তরিত। লেখক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।] 

http://bangla.bdnews24.com/media_bn/article932717.bdnews

Why I do not agree with Editors Council

There are reasons for one to be suspicious of at least some of these editors, and not just for their 1/11 role

http://bdnews24.com/media-en/2015/03/02/why-i-do-not-agree-with-editors-council

RELATED STORIES


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] পোস্টে কমেন্টস সমস্যা





মুক্তমনা এডমিন, আমার পোস্টে অটমেটিকলি কমেন্টস অপসনটি বন্ধ হয়ে আছে। আমি সম্পাদনায় গিয়ে দেখেছি কোন অপসন বন্ধ করা আছে কিনা- না নেই। বিষয়টি সম্ভবত কারিগরি ত্রুটি। তাই  এডমিন প্যানেলকে সমস্যাটির কথা জানিয়ে আশু সমাধান কামনা করছি।

-সুষুপ্ত পাঠক

http://mukto-mona.com/bangla_blog/?author=377



__._,_.___

Posted by: =?UTF-8?B?4Ka44KeB4Ka34KeB4Kaq4KeN4KakIOCmquCmvuCmoOCmlQ==?= <susupto@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Jordan's King Abdullah: ISIS Fight is 'Third World War'






Jordan's King Abdullah: ISIS Fight is 'Third World War'
Sunday, 01 Mar 2015 09:09 PM
By Sandy Fitzgerald
Close 
More ways to share...
Stumbled
LinkedIn
Vine
Reddit
Delicious
Newstrust
Tell my politician
Technocrati
  Get Link |
  Comment  |
   Contact  |
  Print   |
    A   A  
  
·          
·          
·          
·         5
inShare
  •  
  •  
  •  
  • The fight to defeat the Islamic State group (ISIS) is a "third World War by other means," Jordan's King Abdullah II said Sunday, but "it's not a Western fight," and he does not want to see American boots on the ground as part of the battles.

    The Jordanian leader, in an exclusive interview with CNN's Fareed Zakaria on his Global Public Square show, said he has told leaders in both the Islamic and Arab world and to the world in general that the fight brings "Muslims, Christians, and other religions together in this general fight that all of us have to be in together."

    Story continues below video.
     

    But it is a "fight inside of Islam where everybody comes together against these outlaws together," said the king, and the military aspect is only part of the issue.

    "There's the medium part, which is the security part to it," said Abdullah. "There's a long-term element to this, which is obviously the ideological one. That's the one more complicated and more difficult."

    Meanwhile, Syria and Iraq must also deal with their own issues, he said, and while that "doesn't mean they can't be aided by air, possibly special forces types of operations in the future," there are many in the Middle East who look at the fight against Islamic extremists "being sort of our fight."

    "Trying to keep Western boots off the ground is, I think, an essential part of how we move forward. I think this is why most of us are looking at it that way," he continued.

    Further, there is always the perception that ISIS would use the issue of outside forces as "the wrong issue."

    "They will obviously always use the idea of this is a crusade, which it is not," Abdullah said. "Actually, this is our fight. At the same time when you look at Syria and also Iraq, it's the integrity and sovereignty of those countries."

    Abdullah's interview was his first since the death of a Jordanian pilot who was videotaped being burned alive in a cage, which the king said he has not watched.

    "Many of us refused to see what I think is propaganda," he said. "I had a detailed brief of what happened. We couldn't escape seeing, obviously, pictures in the newspapers."

    And he believes that the video was made in an attempt to intimidate Jordanians, but it had the opposite effect.

    "If you look at our history, we're a country that's used to being outgunned and outnumbered," said Abdullah. "It just motivated Jordanians to rally around the flag, and the gloves have come off."

    And as for ISIS, or Daesh, as Abdullah and others in the Middle East prefer to call the militants, the group tries to work by intimidation and through a link to Islam that does not exist, said the king.

    "They are trying to invent links to caliphates, to our history in Islam, which has no truth or bearing to our history," he said.

    "To bring in deluded young men and women who think this is sort of an Islamic nation, it has nothing to do with our history. Actually the barbarity with the way they executed our brave hero shocked the Muslim world, specifically Jordanians from this region. It had nothing to do with Islam."

    And while the Jordanian government has planned an "earth-shattering" response to the execution of its pilot, "earth shattering from all military capabilities is not something that happens overnight," said Abdullah. "There are continued operations going on in Syria. We are coordinating with our friends in Iraq. There is a long-term approach to this issue."

    The king took offense to the militants asking why Jordan is becoming involved in the war.

    "It is our war," he said. "It has been for a long time. Against these people for lack of a better term, these are outlaws, in a way, of Islam trying to use expansionist policy."

    And when they set up this "irresponsible caliphate" to expand their dominion over Muslims, they tried to make themselves look like victims and that Muslims are preying on them, he said.

    "What about the hundreds if not thousands of Muslims they have killed in Syria and Iraq over the past year and a half?" the king said. "We have a moral responsibility to reach out to those Muslims to protect them and to stop them before they reach our border."

    Meanwhile, Abdullah said he agrees with President Barack Obama, when he says that he does not want to call ISIS or Daesh Islamic extremists, as he doesn't want to acknowledge they are Islamic.

    "I think this is something that has to be understood on a much larger platform," the king said. "They are looking for legitimacy they don't have inside of Islam...they are in a way outlaws that are on the fringe of Islam."

    And by calling them Muslim, said Abdullah, it gives the terrorists what they want.

    "No, we are Muslims," said Abdullah. "I don't know what they are. They definitely do not have any relationship to our faith."

    Related Stories:


__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___