Banner Advertiser

Thursday, October 9, 2014

[mukto-mona] Please read



http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/10/10/200382.php

Kv‡iv Kv‡iv †cŠlgvm, Kv‡iv me©bvk

†fv‡ii KvMR : 10/10/2014

UK gv‡b K_v, ÔUKgvivbxÕ K_vi A_© n‡Z cv‡i, ÔK_vÑ gv ivbxÕ| Lvivc wKQy bq| A‡b‡KB GKUz †ewk K_v e‡jb, UK‡kv‡Z wKQy‡jvK meRvšÍv n‡j ¶wZ Kx? ÔUKgvivbxÕ kãwU evsjv fvlvq bZzb ms‡hvRb n‡Z cv‡i| KviY eo eo †jv‡Kiv hv e‡jb, fvlvq A‡bK mgq Zv M„nxZ nq| †hgb, KvRx bRiæj KweZvq wj‡L‡Qb, ÔevZvqb cv‡k ¸evK Ziæi mvwiÕ| Ô¸evKÕ gv‡b mycvwi MvQ| bRiæj e‡j‡Qb, ZvB IB kãUv evsjv fvlvq ¯'vb K‡i wb‡q‡Q| Avgv‡`i gš¿x ej‡j †mUv n‡e bv †Kb?

ওই মন্ত্রীর কথা আর বলে লাভ নেই। একেই বলে 'সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।' তার 'আম ছালা' দু'টোই গেছে। লতিফ সিদ্দিকী-কে নিয়ে কতজনে কত কথা বলছেন; সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও বলেছেন এবং তার মন্ত্রীত্ব যাবার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। পাদটিকায় একজন লিখেছেন, 'দাদা, উনি গেলেও ওই পোর্টফোলিও  আপনার ভাগ্যে জুটবেনা।' আসলে লতিফ সিদ্দিকী আমার লেখার বিষয় ছিলোনা, বরং কমরেড মেনন-ইনু পবিত্র হজ্বে গেছেন এই দারুন সংবাদটি দেখার পর কিছু লেখার জন্যে হাত নিশপিশ করছিলো। মধ্যখান থেকে লতিফ সিদ্দিকী ঝামেলা পাকিয়ে সব গড়বড় করে দেয়। একজন মুসলমান হজ্বে যাবেন, সেটা স্বাভাবিক। নামে মেনন-ইনুও মুসলমান, কাজেই তারা তো হ্জ্ব করতেই  পারেন। কিন্তু ওনারা হ্জ্ব করে আসার পর এখনকার সময়ের মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন, 'মতিয়া যাবেন কবে?'

 

কমরেডরা আগে হজ্বে যেতেন বলে শুনিনি, এখন যান। বাংলাদেশের বাম-রাজনীতিতে এটা নুতন সংযোজন। আগে বাম-রা আমেরিকা যেতেন না, এখন যান। ছেলেমেয়েকে ইউরোপ-আমেরিকায় পড়ান, নিজে অবশ্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বলে গালি দেন, কিন্তু আস্তে, আগের মত ততটা উচ্চস্বরে নয়। চীন-রাশিয়া-কোরিয়া বা ভিয়েতনাম পন্থী সব কম্যুনিস্ট এখন মোজাফফর আহমদের 'ধর্মকর্ম সমাজতন্ত্রে' বিশ্বাসী। বাম-রা যখন হজ্বে যান তখন তা নিউজ।এজন্যে হয়তো মিডিয়া দুই কমরেডের নিউজ বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে। এমনকি হজ্বের কাপড় পড়া ছবিও এবং দুই কমরেড একসাথে। আরো 'জন মন্ত্রী এবার হজ্বে গেছেন, মিডিয়া তাদের পাত্তাই দেয়নি। কম্যুনিস্ট হবার এটাই লাভ, গাছেরটাও খাওয়া যায়; তলারটাও কুড়ানো যায়। রাশিয়া-চীনও যাওয়া যায়, আবার ইউরোপ-আমেরিকাও ঘোরা যায়।

 

৮০-এর দশকে যখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রথম আমেরিকা যান, তখন তাকে অনেক বাক্যবান সহ্য করতে হয়েছে। কম্যুনিস্ট হয়ে একবারে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের খপ্পড়ে! দাদার বলয়ের একজন শফি আহমদ তদীয় পত্নী শফিনাজ বেগম-এর স্নেহধন্য ছিলাম বলে জানি যে, ঐসময় দাদার বন্ধু কমরেডরা দাদার ওপর মস্ত ক্ষ্যাপ্পা ছিলেন এবং সবাই মিলে দাদাকে কম আক্রমন করেননি। দাদা ঐসময় যে ব্যাখ্যাই দেন না কেন কাজটা যে তিনি ঠিক করেছিলেন তা আজকাল কমরেডদের আমেরিকা আসার লাইন দেখে সহজেই বোঝা যায়। শফি আহমদ ডাকসু' জিএস ছিলেন। বাম তো বটেই। সব বামের মত তারাও আজীবন 'সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক' শ্লোগান দিয়ে জীবনের স্বর্ণসময় অতিক্রান্ত করেছেন। সুতরাং সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমেরিকা গেলে তাদের তো রাগ হবারই কথা! শফি আহমদ ছিলেন এক চমত্কার ব্যক্তিত্ব। ওপরওয়ালায় বিশ্বাস করতেন কিনা তা জানিনা, কিন্তু ভাবী সর্বক্ষণ স্বামীর পরপারের রাস্তাটা পরিস্কার রাখার জন্যে সবকিছুই করতেন। একইভাবে সুরন্জিত্দার ঈশ্বরে আস্থা আছে কি নাই তা না জানলেও বৌদিকে দেখেছি সারাদিন পূজা-অর্চনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে, বিশেষত: 'জয়  সন্তোষী মা-' পূজা! কবি হয়তো এজন্যেই গেয়েছেন, 'সতীর পুন্যে পতির পুণ্য (উল্টো করে)'

 

একসময় মস্কো বা পিকিং- বৃষ্টি হলে যারা ঢাকায় ছাতি ধরতেন, মেনন-ইনু-সুরন্জিত্দা বা শফিভাই তাদের অন্যতম। শফিভাই গাড়ী কেনার আগে একটি হোন্ডা চালাতেন। ভাবির কাছে শুনেছি, একবার শফিভাই সিলেটে এক বন্ধুসহ হজরত শাহজালালের মাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, হটাত তার হোন্ডাটি বিকল হয়ে যায়। দুই বন্ধু তখন ভাবতে বসেন, কেন এমন হলো! একটু ঠেলাঠেলি করতেই হোন্ডা আবার চালু হয়। ঘটনা তাকে কতটা প্রভাবিত করেছিলো জানিনা, কিন্তু আমৃত্যু তিনি কমরেড- ছিলেন। তার সময়ে আওয়ামী বন্ধুদের কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে বলতেন, 'আমি আমি লীগ', যদিও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ওপর ছিলো তার অগাধ শ্রদ্ভা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর অসম্ভব বিশ্বাস। সময়ের সাথে সাথে অনেকের অনেক পরিবর্তন হয়। তাই হয়তো আমরা দেখেছি বা দেখছি কবি আল মাহমুদ; মেজর জলিল, কাদের সিদ্দিকী, কবি শহীদ কাদরী বা মেনন-ইনুর পরিবর্তন। এসব দেখে সুরঞ্জিতদা-কে বলতে ইচ্ছে হয়, 'দাদা, আপনিও গয়া-কাশী অথবা মথুরা-বৃন্দাবনটা ঘুরে আসুন না কেন?' ইন্টারনেটে অবশ্য একজন চমত্কার প্রশ্ন করেছেন, তা হলো: 'তসলিমা নাসরিনকে কি আপনি আপাদমস্তক হিজাব পরা চিন্তা করতে পারেন?' উত্তরও তিনিই দিয়েছেন, 'কিছুই অসম্ভব নয়।' 

 

যারা হ্জ্ব করে আসেন তারা হাজী এবং অনেকেই নামের আগে 'আলহাজ্ব' বিশেষণ বসাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। মেনন-ইনু কি করবেন? আলহাজ্ব মেনন নাকি কমরেড মেনন? মার্কিন দেশে ছোটকাল থেকেই শেখানো হয়, 'শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং।' আলহাজ্ব কমরেড শেয়ার করে আলহাজ্ব কমরেড রাশেদ খান মেনন বা আলহাজ্ব কমরেড হাসানুল হক ইনু বললে কেমন হয়? নিউইয়র্ক-এর সাপ্তাহিক জন্মভূমি লিখেছে, দুই নাস্তিককে হজ্বে পাঠানোর কৃতিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি তাদের শুধু মন্ত্রীই বানাননি, বরং নাস্তিক থেকে আস্তিক বানিয়েছেন। সদ্য কোথায় যেন দেখলাম, এক সাক্ষাত্কারে শাহরিয়ার কবির বলেছেন, 'আমাকে নাস্তিক বললে আমি মামলা করবো।' অবস্থাদৃস্টে মনে হচ্ছে, দেশে এখন নাস্তিকদের বড়  দূর্দিন যাচ্ছে। এরমধ্যেই পত্রিকান্তরে দেখলাম, লতিফ সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালে হ্জ্ব করেছেন। কিন্তু এই বুড়ো বয়সে তার এমন ভীমরতি কোথা থেকে এলো তা বোঝা মুশকিল। তিনি তসলিমা নাসরিন হতে চান? মনে হয়না, এই বয়সে সেটা সম্ভব নয়। তবে লোকে বলছে, মেনন-ইনুর পৌষমাস, লতিফ সিদ্দিকীর সর্বনাশ।

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ৮ই অক্টোবর ২০১৪






__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___