From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
To: dahuk@yahoogroups.com; sahannan@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com; inquisitive_sisters@yahoogroups.com; 'lutful bari' <lutfulb2000@yahoo.com>; su_maiya1@yahoo.com
Sent: Saturday, June 16, 2012 9:39 AM
Subject: [Shah Abdul Hannan] Rallies in Dhaka protesting killing of Rohingas in Myanmar
To: dahuk@yahoogroups.com; sahannan@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com; inquisitive_sisters@yahoogroups.com; 'lutful bari' <lutfulb2000@yahoo.com>; su_maiya1@yahoo.com
Sent: Saturday, June 16, 2012 9:39 AM
Subject: [Shah Abdul Hannan] Rallies in Dhaka protesting killing of Rohingas in Myanmar
প্রথম পাতা
মানবিক দিক বিবেচনার দাবি
মিয়ানমারে মুসলমান নিধনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মিয়ানমারে মুসলমান নিধনের প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর রাজধানীসহ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে বক্তারা জাতিসঙ্ঘসহ সব আন্তর্জাতিক মহলকে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পক্ষে সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে এই বিষয়ে সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনির দেয়া বিবৃতির কড়া সমালোচনা করে তারা বলেছেন, নাস্তিক মুরতাদদের মদদপুষ্ট হওয়াতেই এই সরকার রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে না।
১২ ইসলামি দল : শীর্ষ আলেমে দ্বীন মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, নাস্তিক-মুরতাদদের মদদপুষ্ট হওয়ার কারণেই সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করছে না। ঈমান ও দেশ রার স্বার্থেই সরকারকে মতা থেকে হঠাতে হবে। গতকাল বাদ জুমা সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদসহ ১২টি ইসলামি দলের সমন্বিত বিােভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইসলামি দলগুলোর যৌথ উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এ বিােভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মহাসচিব ও ইসলামি সমমনা ১২ দলের সদস্যসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব ও শর্ষীনার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, টেকেরহাটের পীরসাহেব মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
মাওলানা আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় তারা ইসলাম, মানবতা ও মুসলমানদের দুশমন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাস্তিক-মুরতাদদের দোসর। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, রোহিঙ্গা মজলুম মুসলমানদের উদ্ধার করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার মুসলমানদের ধ্বংস করতে চায়। মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশ, সংসদ ও জনগণকে অপমানিত করেছেন, তাকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ সরকার মুসলমানদের দুশমন। ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, মানবিক কারণেই রোহিঙ্গা নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবতা সবার ঊর্ধ্বে। বিােভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে প্রেস কাবে গিয়ে শেষ হয়।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মো: মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আহত-ক্ষুধার্ত এসব নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রতি মানবিক আচরণ না করে তাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানানোর পরও সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের পুশব্যাক করার মাধ্যমে বাংলাদেশীদের বিশ্ব দরবারে নিষ্ঠুর জাতি হিসেবে পরিচিত করাচ্ছে। তিনি সরকারকে মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও তাদের প্রতি মানবিক সাহায্যের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরি উক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মহানগর সেক্রেটারি মো: আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শফিকুল আমিন খান, নুরুজ্জামান সরকার, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, আবদুল আউয়াল, আবুল কাশেম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর সরকারি মদদে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলপূর্ব সমাবেশে আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী বলেন, আরাকানে মুসলমানদের ওপর সরকারি মদদে নিধনযজ্ঞ নতুন ঘটনা নয়। এর পেছনে যে ল্যটি কাজ করছে তা হলো, আরাকান এক সময় মুসলমানদের ঐতিহ্যের লালনভূমি ছিল এবং কবি আলাওলসহ মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের চর্চা ও উৎকর্ষের প্রাণকেন্দ্র ছিল। এ দেশকে মুসলমানশূন্য করার এই ল্েয আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মুসলমানদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে চলে আসার জন্য উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে বাংলাদেশের ওপর শরণার্থী গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলে তা প্রকারান্তরে আরাকানকে মুসলমানশূন্য করার ষড়যন্ত্রকে সহায়তা করা হবে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আমির মোস্তফা বশিরুল হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল শওকাত হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নবী চৌধুরী, মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুর রহমান ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা: এস এম সাখাওয়াত হুসাইন। সমাবেশ শেষে এক বিােভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা: এন এম এ কামরুল আহসান ও জেনারেল সেক্রেটারি ডা: মো: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর যা চলছে তা সভ্য পৃথিবীতে নজিরবিহীন। তারা সেখানে মুসলিম নিধন বন্ধে জাতিসঙ্ঘসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান।
সুশীল ফোরামের সভাপতি মো: জাহিদ, বাংলাদেশ ইসলামিক শ্রমিক সমাজ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, মিয়ানমারে মুসলমান নিধন বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসা এবং শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আরাকানে মুসলমান হত্যা বন্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
এ দিকে মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) প্রদেশে নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতির ওপর জাতিগত নিধন অভিযান চলছে বলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তরুণেরা অভিযোগ করেছেন।
তারা বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সংখ্যাগুরু রাখাইন জাতি যৌথভাবে এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গণহত্যা বন্ধ না করে শরণার্থীদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। কার্যকর সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আরাকানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরী মিশন মোতায়েনের দাবি জানান তারা। তারা জানান, শান্তিরী মিশন মোতায়েনে বাধ্য করতে শিগগির 'অকুপাই জাতিসঙ্ঘ ঢাকা কার্যালয়' কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোহিঙ্গা সুরক্ষা উদ্যোগের ব্যানারে ফেসবুকে সহমত জানিয়ে সংগঠিত তরুণেরা এসব কথা বলেছেন। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে থেকে 'রোহিঙ্গা সুরা উদ্যোগে'র ব্যানারে একটি বিােভ মিছিল শুরু হয়ে তোপখানা রোড প্রদণি শেষে প্রেস কাবের সামনের সড়কে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে তরুণ সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক ও শিার্থী এবং পেশাজীবীরা যোগ দেন।
১২ ইসলামি দল : শীর্ষ আলেমে দ্বীন মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, নাস্তিক-মুরতাদদের মদদপুষ্ট হওয়ার কারণেই সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করছে না। ঈমান ও দেশ রার স্বার্থেই সরকারকে মতা থেকে হঠাতে হবে। গতকাল বাদ জুমা সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদসহ ১২টি ইসলামি দলের সমন্বিত বিােভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইসলামি দলগুলোর যৌথ উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এ বিােভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মহাসচিব ও ইসলামি সমমনা ১২ দলের সদস্যসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব ও শর্ষীনার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, টেকেরহাটের পীরসাহেব মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
মাওলানা আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় তারা ইসলাম, মানবতা ও মুসলমানদের দুশমন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাস্তিক-মুরতাদদের দোসর। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, রোহিঙ্গা মজলুম মুসলমানদের উদ্ধার করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার মুসলমানদের ধ্বংস করতে চায়। মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশ, সংসদ ও জনগণকে অপমানিত করেছেন, তাকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ সরকার মুসলমানদের দুশমন। ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, মানবিক কারণেই রোহিঙ্গা নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবতা সবার ঊর্ধ্বে। বিােভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে প্রেস কাবে গিয়ে শেষ হয়।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মো: মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আহত-ক্ষুধার্ত এসব নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রতি মানবিক আচরণ না করে তাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানানোর পরও সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের পুশব্যাক করার মাধ্যমে বাংলাদেশীদের বিশ্ব দরবারে নিষ্ঠুর জাতি হিসেবে পরিচিত করাচ্ছে। তিনি সরকারকে মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও তাদের প্রতি মানবিক সাহায্যের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরি উক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মহানগর সেক্রেটারি মো: আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শফিকুল আমিন খান, নুরুজ্জামান সরকার, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, আবদুল আউয়াল, আবুল কাশেম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর সরকারি মদদে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলপূর্ব সমাবেশে আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী বলেন, আরাকানে মুসলমানদের ওপর সরকারি মদদে নিধনযজ্ঞ নতুন ঘটনা নয়। এর পেছনে যে ল্যটি কাজ করছে তা হলো, আরাকান এক সময় মুসলমানদের ঐতিহ্যের লালনভূমি ছিল এবং কবি আলাওলসহ মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের চর্চা ও উৎকর্ষের প্রাণকেন্দ্র ছিল। এ দেশকে মুসলমানশূন্য করার এই ল্েয আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মুসলমানদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে চলে আসার জন্য উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে বাংলাদেশের ওপর শরণার্থী গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলে তা প্রকারান্তরে আরাকানকে মুসলমানশূন্য করার ষড়যন্ত্রকে সহায়তা করা হবে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আমির মোস্তফা বশিরুল হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল শওকাত হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নবী চৌধুরী, মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুর রহমান ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা: এস এম সাখাওয়াত হুসাইন। সমাবেশ শেষে এক বিােভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডা: এন এম এ কামরুল আহসান ও জেনারেল সেক্রেটারি ডা: মো: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর যা চলছে তা সভ্য পৃথিবীতে নজিরবিহীন। তারা সেখানে মুসলিম নিধন বন্ধে জাতিসঙ্ঘসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান।
সুশীল ফোরামের সভাপতি মো: জাহিদ, বাংলাদেশ ইসলামিক শ্রমিক সমাজ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, মিয়ানমারে মুসলমান নিধন বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসা এবং শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আরাকানে মুসলমান হত্যা বন্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
এ দিকে মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) প্রদেশে নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতির ওপর জাতিগত নিধন অভিযান চলছে বলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তরুণেরা অভিযোগ করেছেন।
তারা বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সংখ্যাগুরু রাখাইন জাতি যৌথভাবে এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গণহত্যা বন্ধ না করে শরণার্থীদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। কার্যকর সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আরাকানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরী মিশন মোতায়েনের দাবি জানান তারা। তারা জানান, শান্তিরী মিশন মোতায়েনে বাধ্য করতে শিগগির 'অকুপাই জাতিসঙ্ঘ ঢাকা কার্যালয়' কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোহিঙ্গা সুরক্ষা উদ্যোগের ব্যানারে ফেসবুকে সহমত জানিয়ে সংগঠিত তরুণেরা এসব কথা বলেছেন। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে থেকে 'রোহিঙ্গা সুরা উদ্যোগে'র ব্যানারে একটি বিােভ মিছিল শুরু হয়ে তোপখানা রোড প্রদণি শেষে প্রেস কাবের সামনের সড়কে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে তরুণ সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক ও শিার্থী এবং পেশাজীবীরা যোগ দেন।