Banner Advertiser

Sunday, June 19, 2016

[mukto-mona] শুরু হোক সবুজের অভিযান [1 Attachment]

[Attachment(s) from S M Mukul lekhokmukul@gmail.com [mukto-mona] included below]

শুরু হোক সবুজের অভিযানজুলাই ও আগস্ট মাস গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে কাছের জেলা ও উপজেলার নার্সারি বা বৃক্ষমেলা থেকে চারা কিনে আপনিও ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা লাগান। সরকারের উদ্যোগে গাছ লাগানোর সুযোগ রয়েছে প্রচুর। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকারি অফিস, খাস জমি, রাস্তার দুই পাশে, নদীর দুই পারে, রেল সড়কের দুই পাশে এবং উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর গাছ লাগানো সুযোগ আছে। হাওরে পানিসহিষ্ণু হিজল ও করচ গাছ লাগিয়ে বাগ বা জঙ্গল তৈরি করা যেতে পারে।এসএম মুকুল http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=20-06-2016&type=single&pub_no=1582&cat_id=1&menu_id=19&news_type_id=1&index=1


__._,_.___

Attachment(s) from S M Mukul lekhokmukul@gmail.com [mukto-mona] | View attachments on the web

1 of 1 Photo(s)


Posted by: S M Mukul <lekhokmukul@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ক্রসফায়ারেই সমাধান? [ প্রথম আলো প্রতিবেদন ]



ক্রসফায়ারেই সমাধান?
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০২:১২, জুন ২০, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
      

সূত্র: আসকমাদারীপুরে 'বন্দুকযুদ্ধে' সন্দেহভাজন জঙ্গি গোলাম ফয়জুল্লাহ ফাহিম নিহত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ঢাকায়ও একই ঘটনা ঘটল। গতকাল রোববার ভোররাতে ঢাকায় নিহত শরিফুল ওরফে সাকিব লেখক অভিজিৎ রায়সহ অন্তত সাতটি খুনে জড়িত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
এ নিয়ে চলতি মাসে সন্দেহভাজন সাত জঙ্গিসহ ১৪ জন নিহত হয়েছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। তাদের যথাযথ তদন্ত ও বিচারের আওতায় না এনে বন্দুকযুদ্ধের মুখে পাঠানো নিয়ে সব মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় যে ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটল, এর সঙ্গে কারা আছেন, কার নির্দেশে এটি হলো—এগুলো নিয়ে পূর্ণ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভাষ্য, অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে এসব জঙ্গির সহযোগীরাই তাদের হত্যা করছে।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ করে জানা গেছে, সাম্প্রতিক হামলা ও হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে 'ক্রসফায়ারকেই' জঙ্গি সংকট সমাধানের উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার জঙ্গিদের বিষয়ে আর বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় যেতে চাইছে না।
সরকারের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এসব জঙ্গি ধরে বাস্তবে খুব বেশি তথ্য মিলছে না। তাদের কারাগারে পাঠানো হলে পরে জামিনে বেরিয়ে আবার নাশকতায় যুক্ত হয়। তবে সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বিচারব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে 'ক্রসফায়ারের' মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চিন্তাকে তাঁরা সমর্থন করেন না। তবে তাঁরা গণমাধ্যমে এ নিয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বিচার দেশের প্রচলিত আইনেই সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, সন্দেহভাজন এসব জঙ্গিকে বাঁচিয়ে রাখলে দেশব্যাপী বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারত। কিন্তু তাদের কথিত বন্দুকযুদ্ধের মুখে ফেলে জঙ্গিবাদের মূল পর্যন্ত পৌঁছানোর পথটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
অভিধানে বন্দুকযুদ্ধের সংজ্ঞা হচ্ছে, দুটি পক্ষের পরস্পরের দিকে গুলি ছোড়া। আর ক্রসফায়ার হচ্ছে, দুটি পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে হতাহত হওয়া। কিন্তু বাংলাদেশে প্রচলিত ধারণায় ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধ শব্দ দুটিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে হত্যার সমার্থক হিসেবেই ধরা যায়।
অবশ্য দেশে ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু ব্যাপকভাবে এর চর্চা শুরু হয় ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার আমলে। তখন থেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং দেশি–বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর প্রতিবাদ জানিয়েছে আসছে। গত এক যুগের ইতিহাসে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে সরকারগুলো 'ক্রসফায়ার' বা 'বন্দুকযুদ্ধে' বিভিন্ন সংকটের সমাধান খুঁজেছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, বিএনপির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের শেষ তিন বছরে কথিত ক্রসফায়ারে ৭৪৬ জন সন্দেহভাজন অপরাধী নিহত হয়। তখন বিএনপির নেতা-মন্ত্রীরা এর পক্ষে আর আওয়ামী লীগের নেতারা এর বিপক্ষে কথা বলতেন। এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে।
২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে ক্রসফায়ার কমে দাঁড়ায় ২৫৬তে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম চার বছরে একইভাবে 'ক্রসফায়ারে' ৩৩৮ জন সন্দেহভাজন নিহত হয়। এ সময়গুলোতে বেড়ে যায় গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনাও। গুম ও গুপ্তহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের স্বজনেরা নিখোঁজ হয়েছে, পরে কারও কারও লাশ মিলেছে।
অথচ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের কথা বলে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু 'ক্রসফায়ার', 'বন্দুকযুদ্ধ' তো বন্ধ হয়ইনি, সঙ্গে যোগ হয় 'গুম-গুপ্তহত্যা'। আসকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৪৩ জন। কিন্তু এ বছর বিরোধী দলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতা-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় আরও ১৭৯ জন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের ইশতেহার থেকে 'বিচারবহির্ভূত হত্যা'র প্রসঙ্গটি বাদই পড়ে যায়। আসকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ১২৮ জন, ২০১৫ সালে ১৪৬ জন কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে নিহত হয়। আর চলতি বছরের গতকাল (১৯ জুন) পর্যন্ত ৫৯ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন আইনগতভাবে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে থাকা অবস্থায় নিহত হয়।
তবে ধর্মের নামে জঙ্গি তৎপরতায় সন্দেহভাজনদের 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হওয়ার ঘটনা শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বর। ওই দিন রাতে ঢাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক জেএমবি সদস্য, এরপর ১৩ জানুয়ারি আরও দুই জেএমবি সদস্য নিহত হয়। পুলিশের দাবি, তারা সবাই পুলিশ হত্যা এবং গত অক্টোবরে হোসেনি দালানে বোমা হামলায় জড়িত ছিল।
৫ জুন চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যার পর গত দুই সপ্তাহে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, গাইবান্ধা ও মাদারীপুরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আরও সাতজন সন্দেহভাজন জঙ্গি। সব কটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় একই রকম কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে একমাত্র মাদারীপুরে কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়েন ফাহিম (১৯)। তিনি চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের ভাষ্য, ফাহিম হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফাহিম শিবিরের সদস্য।
হাতেনাতে ধরা পড়া এই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর প্রথম দিন সকালেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল কি না, সে প্রশ্ন ব্যাপকভাবে উঠেছে। এরপর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই গতকাল ভোরে ঢাকার খিলগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে একই রকম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন শরিফুল ওরফে সাকিব, যাঁকে ধরতে গত ১৯ মে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ গণমাধ্যমে তাঁর ছবি প্রকাশ করে। পুলিশ দাবি করছে, নিহত শরিফ লেখক অভিজিৎ রায়সহ অন্তত সাতটি হত্যা ও হামলার ঘটনায় জড়িত। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার প্রধান ছিলেন।
ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গি সুমন হোসেন পাটোয়ারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে গতকাল ভোররাতে খিলগাঁও এলাকায় অভিযানে যায় ডিবি। এ সময় সন্দেহভাজন তিন যুবকের সঙ্গে ডিবির গুলিবিনিময় হয়। এতে একজন নিহত হন। তবে বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহুল ব্যবহৃত এই বক্তব্য মানবাধিকারকর্মীসহ সচেতন নাগরিকেরা বিশ্বাস করেন না।
মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, এসব সন্দেহভাজন অপরাধীকে ধরে বিচারে দিলে কোনো লাভ হতো না, কোনো সাক্ষী আসত না—এসব কথা বলা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র যে নিজেই বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থাহীন, সে বার্তাই মানুষের কাছে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষও বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

এভাবে বন্দুকযুদ্ধ প্রশ্ন ও অবিশ্বাস তৈরি করেছে

রাষ্ট্র নিজেই বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থাহীন 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা 

 ক্রসফায়ার: বিশিষ্ট নাগরিকদের অভিমত            

এভাবে বন্দুকযুদ্ধ প্রশ্ন ও অবিশ্বাস তৈরি করেছে

শফিক আহমেদ,সাবেক আইনমন্ত্রী | আপডেট: ০১:৫৯, জুন ২০, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ      




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে - জনকন্ঠ রিপোর্ট



গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে

প্রকাশিত : ২০ জুন ২০১৬
গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে
  • মূল আসামি শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
  • সরাসরি জড়িত ছিল অভিজিত, তনয়, নীলাদ্রী, মোর্শেদ, দীপন, ওয়াশিকুর, নাজিমউদ্দিন ও টুটুল হত্যায় নির্দেশদাতা সেলিমকে খোঁজা হচ্ছে

শংকর কুমার দে ॥ অভিজিত রায় খুনসহ অন্তত দশটি টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার নেপথ্য নায়ক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশিক্ষক পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী নেতা শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকার বাঁশপট্টি নামক জায়গায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে শরীফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরীফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদি। অভিজিত রায় ছাড়াও জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যা, নীলাদ্রী নীলয়, শান্তা মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছিল শরীফ। অভিজিত রায় হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া ছাড়াও শরীফ বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করত। যে ছয় জঙ্গীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তার অন্যতম শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া ছাড়াও অপর পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী সুমন গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদাধীন আছে। এই সুমনের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার অভিযানে নেমে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় শরীফ।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ব্লগার ও লেখক মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অভিজিত রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় শরীফ। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা ও ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় খুনের সঙ্গেও শরীফ অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র এ দুটি খুনের ঘটনায় তাদের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশে এসে তদন্ত করা ছাড়াও অন্যান্য টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা বন্ধে সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবসহ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখানোর ঘটনার মধ্যেই এসব খুনে অংশগ্রহণকারী একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গী নেতা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো।

ডিবি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সৃষ্ট গণজাগরণ মঞ্চের শীর্ষস্থানীয় কর্মী প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগার রাজীব হায়দারকে পল্লবীতে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে একই কায়দায় কুপিয়ে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু গুপ্তহত্যার ঘটনাগুলো কারা কিভাবে ঘটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে তার রহস্য উদ্ঘাটনে মরিয়া হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা। দুই-একটি ঘটনায় গ্রেফতারের দাবি করা হলেও গুপ্তহত্যা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একের পর এক গুপ্তহত্যার শিকারে পরিণত হতে থাকে বিদেশী নাগরিক, শিক্ষক, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, পুরোহিত, ধর্মযাজক, পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও। গত ৫ জুন চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে খুনের ঘটনার পর টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযানে মাঠে নামানো হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে। সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেই টার্গেট কিলিং ঘটতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার গ্রেফতার অভিযানের জাল আরও বিস্তৃত করা হয়। এরই মধ্যে ধরা পড়ে পুরস্কার ঘোষিত ছয় জঙ্গীর একজন সুমন। তাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার দেয়া তথ্যানুযায়ী গ্রেফতার অভিযানে নামে ডিবি। ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় শরীফ।

শরীফ সম্পর্কে যা বলা হয় ॥ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্মকমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন, অভিজিতসহ সাতজন হত্যার নেপথ্যে ছিল বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফ। এই সাতজনের বাইরেও অন্যান্য খুনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার কথা জানা গেছে। রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকার বাঁশপট্টি নামক জায়গায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরীফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদি নিহত হয়। অভিজিত রায়কে সে নিজেই কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশের দাবি। এছাড়াও বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে সে প্রধান ভূমিকা পালন করত। নীলাদ্রী নীলয়, শান্তা মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নাজিমউদ্দিন সামাদ, জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যা এবং প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছিল শরীফ নিহত শরীফ নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের একজন প্রশিক্ষক ছিল বলেও জানিয়েছেন ডিবির এই কর্মকর্তা। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর ছাত্র শরীফের বাড়ি খুলনা এলাকায়। তিনি একটি বেসরকারী এনজিওতে চাকরি করতেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল।

যেভাবে ধরা পড়ে শরীফ ॥ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, সুমন পাটোয়ারী জিজ্ঞাসাবাদে শরীফের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা রাতে মেরাদিয়ায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবক ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শরীফ আহত হয় এবং বাকি দুইজন তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ জনই হচ্ছে শরীফ। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই মোটরসাইকেলে সেলিম ছিল না। পুলিশের কাছে তার শারীরিক বর্ণনা আছে যে, সে দেখতে লম্বা ও মোটাসোটা। কিন্তু যে দুইজন মোটরসাইকেলে ছিল তারা মাঝারি আকৃতির যুবক। এর আগে গত ১৫ জুন একই দলের সদস্য সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে সিহাব ওরফে সাকিব ওরফে সাইফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শরীফসহ অন্যদের গ্রেফতার করতে গেলে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ঘটে। এতে নিহত হয় শরীফ।

অভিজিত রায় হত্যাকা-ে নিশ্চিত কিভাবে ॥ বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফই যে অভিজিত রায় হত্যাকারীদের একজন তা নিশ্চিত হলেন কিভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে ডিবির কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, 'আমরা টিএসসির ভিডিওফুটেজ মিলিয়ে দেখেছি। তাছাড়া আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল শরীফ অভিজিত হত্যাকা-ে অংশ নেয়। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার সাতক্ষীরায়। বন্দুকযুদ্ধের পর ওই সব তথ্য মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শরীফ অভিজিতের হত্যাকারী। অন্যান্য হত্যাকা-ে শরীফের কী কী ভূমিকা ছিল? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, সে মূলত পরিকল্পনাকারী ও প্রশিক্ষক। জুলহাস ও তনয় হত্যাকা-ে তার টিম অংশ নিয়েছিল। ওয়াশিকুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা, তেজগাঁওয়ে ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা এবং সূত্রাপুরে সংঘটিত ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ, কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবেও তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। অভিজিত রায় হত্যাকা-ের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়াও শরীফ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিত। এছাড়া বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করে সে। প্রতিটি ঘটনায় তার সরাসরি উপস্থিতি পাওয়া গেছে তদন্তে। পুলিশ বলছে, সাকিব, শরীফ, সালেহ, আরিফ ও হাদি নাম ব্যবহার করে পরিচয় গোপন করে আসছিলেন শরিফুল। বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

জঙ্গী আস্তানার সন্ধান ॥ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সাতারকুলসহ বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। এসব জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির বিভিন্ন নথিপত্র পান তারা। বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্যও। একজন আধ্যাত্মিক নেতা (বুজুর্গ বলে তারা) সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকেন। তিনি সংগঠনের পক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। তার পরে থাকে সংগঠনটির একজন অপারেশনাল প্রধান। তিনি সব হত্যার পরিকল্পনা করেন ও নির্দেশনা দেন ও সার্বিক মনিটরিং করেন।

সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিত শরীফ। সে বিভিন্ন হত্যার অভিযান সমন্বয়ও করত। হত্যা যেখানে করা হতো ওই এলাকায় অবস্থানও করত শরীফ।

কে এই জঙ্গী সেলিম ॥ সেলিম নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের উচ্চপর্যায়ের এক সদস্য রয়েছেন। এই সেলিম নির্দেশনা দেন যে, কখন কাকে হত্যা করতে হবে, কেন হত্যা করতে হবে, কোন এলাকায় কিভাবে গিয়ে হত্যা করতে হবেÑ তার তথ্য সংগ্রহ করে নির্দেশনা দেন সেলিম। এছাড়া যারা হত্যায় অংশ নেবেন তাদের মোটিভেশনাল ট্রেনিং দেন। নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন ওই লোককে হত্যা করা জরুরীÑ তাও সেলিম ব্যাখ্যা করেন। হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে শরীফ ও সেলিম তাদের একজন অপারেশনাল প্রধানের (বড় ভাই) সঙ্গে বৈঠক করতেন। অপারেশনাল প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে হত্যায় সংগঠনের লক্ষ্য কিভাবে বাস্তবায়ন হবেÑ সেটিও তুলে ধরতেন সেলিম ও শরীফ। এরপর যাকে হত্যা করতে হবে তার গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়াতেন। তার বাসা ও কর্মস্থলের এলাকা তারা সাতদিন আগে রেকি করতেন। এজন্য তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের ভাড়াবাসায় বসতেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এ রকম বেশকিছু ভাড়াবাসার তথ্য সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেলিমকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

অবশিষ্ট চারজন ॥ প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক ব্লগার হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন যে ছয় জঙ্গী সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ মাসখানেক আগে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দ্বিতীয়জন ছিল শরীফুল। গত ১৯ মে লেখক অভিজিত রায়, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিনসহ (দীপন) অন্তত ১০টি হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে তাদের নাম ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে ডিএমপি। এই ছয়জন হলেনÑ সুমন, শরিফুল, সেলিম, সিফাত, রাজু ও সাজ্জাদ। তাদের ধরিয়ে দিলে দুই লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ বলছে, পুরস্কার ঘোষিত ছয়জনের মধ্যে সুমনকে গত বুধবার রাতে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রকাশক আহমেদুর রশীদকে (টুটুল) হত্যাচেষ্টায় জড়িত। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুমন ধরা পড়ার পর বাকি থাকে পাঁচজন। পাঁচজনের মধ্যে শরীফ নামের একজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো। এখন অবশিষ্ট রয়েছে পুরস্কার ঘোষিত আরও চারজন। এই চারজন হচ্ছেÑ সেলিম, সিফাত, রাজু ও সাজ্জাদ। এই চারজনসহ অন্যদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যে কোন সময় এই চারজনের গ্রেফতারের বিষয়েও চাঞ্চল্যকর খবর চলে আসতে পারে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশাবাদী।

https://www.dailyjanakantha.com/details/article/198807/গুপ্তহত্যার-তথ্য-মিলছে

২০ জুন ২০১৬, ৬ আষাঢ় ১৪২৩, সোমবার, ঢাকা, বাংলাদেশ


আরও পড়ুন:

সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'


  গোলাম মুজতবা ধ্রুব  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] অভিজিতের পিছু নিয়েছিল হত্যাকারী, দেখুন সিসিটিভি’র ফুটেজ



সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'


  গোলাম মুজতবা ধ্রুব  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2016-06-19 22:43:19.0 BdST Updated: 2016-06-19 23:24:40.0 BdST

   Video URL : https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=BzIPBnQh8uchttps://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=BzIPBnQh8uc


সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'

গত বছর একুশের বইমেলা থেকে অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদের বের হওয়ার সময়ে ধারণ করা একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে পুলিশ বলেছে, এতে এই দম্পতিকে অনুসরণ করতে যে তরুণকে দেখা গেছে, সেই শরীফুলই ঢাকার মেরাদিয়ায় 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন।

রোববার ভোররাতে ঢাকার খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে শরীফুল ওরফে 

জানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।


ওই ভিডিওতে ব্যাগ হাতে অভিজিৎ ও বন্যার পেছনে মোবাইল হাতে এক যুবককে হাঁটতে দেখা যায়। অভিজিৎরা একবার থামলে ওই যুবকও থামে। এরপর অভিজিৎরা চলতে শুরু করলে ওই যুবককেও হাঁটতে দেখা যায়। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যার পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করেছিল শরীফ।

"বইমেলায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার দিন তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল শরীফ। অভিজিৎ কোথায় যাচ্ছে, কোন পথ দিয়ে বই মেলায় এসেছে, কোন পথ দিয়ে বের হয়, তা সে মোবাইলে এসএমএস দিয়ে তার সংগঠনের সদস্যদের জানিয়েছিল।"

নিহত শরীফুল নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের 'অপারেশন বিভাগের' 'গুরুত্বপূর্ণ সদস্য' ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ছাত্র শরীফের বাড়ি খুলনা এলাকায়। তিনি একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকরি করতেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ৩০ বছর বয়সী এই যুবক সাকিব, সালেহ, আরিফ ও হাদী নাম ব্যবহার করে পরিচয় গোপন করে আসছিলেন। তাকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা ছিল।

অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে মুক্তমনা ব্লগসাইট পরিচালনাকারী অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। লেখালেখির কারণে জঙ্গিদের হুমকিতে থাকার মধ্যেও গত বছর বইমেলার সময় স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

এই স্থানেই খুন হন অভিজিৎ রায়

এই স্থানেই খুন হন অভিজিৎ রায়

অভিজিৎ ও বন্যা এবং তাদের অনুসরণকারী

অভিজিৎ ও বন্যা এবং তাদের অনুসরণকারী

২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। তার সঙ্গে থাকা বন্যাও হামলার শিকার হয়ে একটি আঙুল হারান।

পুলিশ কর্মকর্তা মাশরুক বলেন, আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের ছয় সদসের একটি দল অভিজিতের উপর হামলায় জড়িত ছিল।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই এক চা দোকানি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, তিনি দুজন হামলাকারীকে অভিজিৎ ও বন্যাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে দেখেন। হামলাকারী দুজনকে দুদিকে পালিয়ে যেতেও দেখেছিলেন তিনি।

শরীফ

শরীফ

মাশরুক বলেন, "শরীফ ও তার সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে বই মেলায় গিয়ে হত্যার ঘটনাটি কিভাবে ঘটাবে, কোথায় অভিজিৎ রায় আসতে পারে আর কীভাবে তারা পালিয়ে যাবে, সে পরিকল্পনা করে রেখেছিল।"

পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফ ছাড়া তাদের কেউই হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়নি বলে অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা।

শরীফ ছাড়া বাকি পাঁচজনের বিষয়েও গোয়েন্দারা তথ্য পাচ্ছেন জানিয়ে মাশরুক বলেন, "একজন মোটা লোক সেখানে ছিল। সে সম্ভবত পুরনো ঢাকার বাসিন্দা। ওই যুবকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখে। বাকি চারজনের শারীরিক বর্ণনাসহ কিছু তথ্যও পেয়েছে গোয়েন্দারা।"

বাকিদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও আশাবাদী এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অভিজিৎ রায়

অভিজিৎ রায়

অভিজিতের পর বেশ কয়েকজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুন হন, যার সবগুলোতে শরীফের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে দাবি করেন উপ-কমিশনার মাশরুক।

"ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল শরীফ। প্রকাশক টুটুল হত্যাচেষ্টার দিন লালমাটিয়ায় বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিল এবং ওয়াশিকুর বাবু হত্যা, আশুলিয়ায় রিয়াজ মোর্শেদ বাবু হত্যারও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিল সে।"

গত ১৫ জুন আনসারুল্লাহ সদস্য সুমন হোসেন পাটোয়ারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1170835.bdnews


আরও পড়ুন

উগ্রপন্থিদের রুখতে তারুণ্যে ভরসা অজয় রায়েরhttp://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1170628.bdnews
RELATED STORIES

গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে

গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে শংকর কুমার দে ॥ অভিজিত রায় খুনসহ অন্তত দশটি টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার নেপথ্য নায়ক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশিক্ষক পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী নেতা শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকার বাঁশপট্টি নামক জায়গায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে শরীফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরীফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে ...

বিস্তারিত
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/#sthash.UR4XP7jk.dpuf
https://www.dailyjanakantha.com/details/article/198807/


সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'
অনলাইন ডেস্ক
Published : Sunday, 19 June, 2016 at 11:27 PM

সিসি ক্যামেরায় অভিজিতের 'খুনি'












Video : Avijit killer follows his victim :                           


- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/06/19/135377.php#sthash.SR3Z74uw.dpuf


অভিজিতের পিছু নিয়েছিল হত্যাকারী, দেখুন সিসিটিভি'র ফুটেজ

https://youtu.be/KFY1M86FN-8

সিটিভির এক ফুটেজে দেখা গেছে, বইমেলা থেকে ফেরার সময় অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রীর পিছু নেয় এক যুবক। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হত্যাকারী ওই যুবকের নাম শরিফ ওরফে হাদি। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিনি নিহত হন।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত যুবক পুরস্কার ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য শরিফ। সে লেখক-ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। লেখক-ব্লগার হত্যাকাণ্ডে পুলিশ যে ছয়জন সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ এবং পুরস্কার ঘোষণাকরেছিল তার মধ্যে শরিফও ছিল।

http://www.priyo.com/video/2016/Jun/19/222572-bl-ব্লগার-অভিজিতের-পিছু-নিয়েছিল-হত্যাকারী-দেখুন-সিসিটিভি'র-ফুটেজ-ভিডিও





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___