Enter your message here.
পালাবার পথ নেই ঘসেটি বেগমের। বাংলার মাটিতে খুনীদের বিচার হবেই ইনশাল্লাহ: সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্ক, ৬ জুলাই (বিডিএনএন২৪) :বহু ত্যাগ তিতিক্ষা, সংগ্রাম-আন্দোলন, লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতাপ্রিয় বীর বাঙালীর আত্মত্যাগ আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজ পতাকার গর্বিত বাংলাদেশ আজ দ্রুত গতিতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে চলেছে। গত ৫ জুলাই বৃহষ্পতিবার নিউইয়র্কে এক জনাকীর্ন সাংবাদকি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের 'ভিশন ২০২১' বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অচিরেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইমার্জিং টাইগার ও বিশ্বের অন্যতম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ একটি আলোচিত নাম। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বার্ষিক মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি জিডিপির প্রবৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, গড় আয়ু ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি, দারিদ্রতার হার হ্রাস, মানুষের কর্ম সংস্থান ও আয়বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেকর্ড পরিমান রিজার্ভ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রপ্তানী আয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উল্লেখ্যযোগ্য রেমিটেন্স জমা হওয়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে আজ বিশ্বে একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে দেশী বিদেশী কিছু চক্রান্তকারী ও স্বার্থন্বেষী মহল বাঙালী জাতিকে থামিয়ে দেয়ার জন্য চতুর্দিক থেকে উঠে পড়ে লেগেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধীতাকারী একটি পরাশক্তির মদদ ও পরিচালনায় দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমর্জ্জিত (সাম্প্রতিক ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল ও বিশ্বখ্যাত ফোরবস ম্যাগজিনে প্রকাশিত) ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক প্রতিশ্রুত পদ্মা সেতু প্রকল্পের বরাদ্ধ ১.২ বিলিয়ন ডলার বাতিলের সিদ্ধান্ত তারই একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণাদি ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিরদ্ধে অভিযোগ এনে তা তদন্তের ফলাফল প্রাপ্তির আগেই একক সিদ্ধান্তে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোয়েলিক পদ্মা সেতু প্রকল্পের কপালে কলংকের তীলক একে দিতে চাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, যে জাতি মহাপরাক্রমশালী পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, আজ আবার বিশ্বের মন্দা অর্থনীতিতে টিকে থেকে ৬% এর উপরে জিডিপি অর্জনে সক্ষম হয়েছে, প্রয়োজনে নিজেদের অর্থে এবং কারও অন্যায় ও অনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত না করে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের মহাজোট সরকার তাদের দো নির্বাচনী ওয়াদা ও জনগনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে '৭১ এর নরঘাতক, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের জন্যে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শীর্র্ষ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি একজোট হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের নামে দেশে বিদেশে অরাজকতা সৃষ্টি ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার চুক্তির ভিত্তিতে ওয়াশিংটনে লবিষ্ট নিয়োগ করে সরকার উৎখাত ও বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বীর বাঙালী মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইনশাল্লাহ।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙালী জাতির প্রত্যাশিত মহান স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় অসর্তকতার সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়ার পরিকল্পনা ও ইঙ্গিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা করে। জেল খানায় আটক চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে বাঙালীর স্বাধীনতার স্বাদ কেড়ে নিয়ে আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে স্বাধীনতার প্রতিশোধ নেয়। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া সেই কুখ্যাত খুনী ফারুক, রশিদ ও ডালিমদের তার স্বামী জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের পুরস্কৃত করে এবং যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার আলবদরদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের ও প্রহসনের নির্বাচনের নামে ক্ষমতার মসনদে বসে একে একে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার হোলি খেলায় লিপ্ত হয়। শুরু হয় শাহ এ এম এস কিবরীয়া, আহসান উল্লাহ মাষ্টার, মমতাজ উদ্দিন, মঞ্জরুল ইমামসহ একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকল কেন্দ্রীয় নেতাদের হত্যার ঘৃন্য পরিকল্পনাকারীদের আজ বাংলার মাটিতে এই সকল হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়া আজ ভীত সন্ত্রস্থ। পালাবার পথ নেই ঘসেটি বেগমের। বাংলার মাটিতে খুনীদের বিচার হবেই ইনশাল্লাহ।
সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র নতুন নয়। বঙ্গবন্ধুকন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও মহাজোট সরকারের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশ এবার এগিয়ে যাবে। আপনারা সমাজের বিবেক, আলোর পথ প্রদর্শক, সত্য উচ্চারনের সাহসী যোদ্ধা। সরকারের যে কোন অনিয়ম দূনীর্তি প্রমাণ সাপেক্ষে তুলে ধরে ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করুন। ভালো কাজের প্রশংসা ও তোষামোদকারীদের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হউন। আপনাদের লেখনিতে ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সকল গ্লানী ও অপবাদ মুছে ফেলে আসুন আমরা বীর বাঙালী জাতির সৌর্য্যবির্য্যের গৌরব গাথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। কোটি কোটি বাঙালীর হাত হোক কর্মের হাতিয়ার, ধুয়ে মুছে নিপাত যাক সকল ষড়যন্ত্রকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
On his visit to Lazarevo Dobbs remarks that it is mere Serb propaganda that Islamic Bosnia was out to restore Islam with a new Ottoman state in the Balkans. Izetbegovic used the war book of Hezbollah, was in Teheran on more than one occasion, by way of Vienna and Istanbul, in preparation for the renewal of jihad. Izetbegovic wrote in Islamic Declararion: "There can be no coexistence between Islamic social institutions and non-Islamic institutions and must take over as soon as the faithful are numerically strong enough. Islam clearly excludes the right and possibility of activity of non-Islamic ideology in its territory. Therefore, there can be no secularism, and the state should be an expression and support of the moral concepts of the Islamic religion..."