মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'পুনশ্চ জন্মদিন'
সেবারের পঁচিশে দেবী তুমি বর
দিয়েছিলে
শিরোনামহীন অনুভূতিরাও যেন
ভরিয়ে তোলে
আমার বুভুক্ষু প্রান্তর;
অথচ জন্মান্ধ জাতিস্মরের মত
আমার মহাকালময় অস্তিত্বের
মন্দিরের দরোজারা
অর্গলমুক্ত ছিলনা মুহুর্তময়;
আজ শীতের বসন্তে এক একটি
জানালার এক একটি কপাটের
নি:সংকোচ উন্মোচন
নীল, সবুজ, বেগুনি, হলুদ আলোর
নাটমণ্ডল
বেলী, বকুল, হাস্নাহেনা, মহুয়ার
মৌতাতেরা
প্রথম কুঁড়ির মত অবগুণ্ঠন
মুক্তির লুকোছুপিতে মত্ত।
এই সকল পার্থিবতা ছাপিয়েও
অসংখ্য অনুভূতিরা আজ আছড়ে পড়ে
অনুভবের বেলা [...]
You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=39523
You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.
Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।
------------------------------------
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links
<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/
<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional
<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)
<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com
<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com
<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/
Saturday, February 1, 2014
[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'পুনশ্চ জন্মদিন'
[mukto-mona] বিএনপির ভ্রান্তিবিলাস
ব্যক্তি জীবনের এ হারিয়ে যাওয়াটা শুধুই ব্যক্তিগত। সমাজ-সংসারে এর কোন কারণে কোন বিপর্যয় ঘটে না।
কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের জীবনেও যদি কিছু হারিয়ে বিশেষত যদি পথ হারিয়ে যায় তার অভিঘাত দেশের সমাজ-রাজনীতির ওপর প্রভাব ফেলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো বা তা বুঝে ওঠা যায় না_ কিন্তু আমাদের অগোচরেই সে অভিঘাত কাজ করে যায় গোপনে গোপনে।
সে যাই হোক- আমার শুধুই মনে হয় অর্থ-বিত্ত, সহায়-সম্পদ নয়, বিএনপির হারিয়ে গেছে কিছুটা সময়- বেশ কিছুটা সময়। অন্তত ৭ বছর (কেয়ার টেকার সরকারের সময়সহ) ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে এবং দশম সংসদ নির্বাচনের পর আরও ৫টি বছর হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
একটি রাজনৈতিক দলের জীবনে ৭ অথবা ১২টি বছর যেটাই হোক না কেন হারিয়ে যাওয়া এবং তার তুলনা পাওয়া ভার। আর সেই দলটি যদি এমন হয় যারা দুই-দুইবার পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করেছে এবং আরও একবার স্বল্প মেয়াদে। তাহলে তো ভাববার কথাই বটে।
'সময় গেলে সাধন হবে না' ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনের এ গানটি মানব জীবনে যেমন রাজনীতিক দলও তাদের জীবনেও গভীর তাৎপর্য বয়ে নিয়ে আসে। যে সময়টা হারিয়ে গেল সেই হারানো সময়ের শবদেহ সামনে নিয়ে কোন সাধনা কি ফলবতী হবে না হয়েছে কখনো। যা হারিয়ে যায়, তা হারিয়েই যায়। সময় আর নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষমাণ থাকে না।
বিএনপির বিপুল জনসমর্থন, দেশি-বিদেশি এত বন্ধু (নোবেল বিজয়ী পর্যন্ত) তারপরও কেন বিএনপির এ দলের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী ভক্তের জীবন থেকে এতটি বছর হারিয়ে গেল তার উত্তর কি? কে দেবেন? কেউ কেউ বলতেই পারেন :
'জীবন আমার চলছে যেমন তেমনিভাবে,
সহজ জীবন কঠিন ছন্দে দ্বন্দ্বে কেটেই যাবো'
_রবীন্দ্রনাথ
অথবা
'কি পাইনি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি
আজ হৃদয়ের ছায়াতে আলোতে বাঁশরী উঠেছে বাজি' _রবীন্দ্রনাথ
কিন্তু ব্যক্তি জীবনে আর রাজনৈতিক জীবন একই সূত্রে গাঁথা নয়। ব্যক্তি জীবনে পাওয়া না পাওয়া, আনন্দ-বেদনা এবং অশ্রুময় সময় সে শুধু একজন ব্যক্তির নিজস্ব। অন্য কেউই তাতে ভাগ বসাতে যায় না- বা সে অশ্রুজলের খোঁজ নিতে যায় না। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিবেদিত হয় মানুষের জন্য, জনগণের জন্য নিজেদের দলের মানুষের সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিতে হয়, হতাশার সঙ্গেও আলোকবর্তিকা হাতে কম্প্রবক্ষে, নম্রনেত্রে ধীর পদ বিক্ষোপে সামনের দিকে পা বাড়াতে হয়। রাজনীতিবিদ সেভাবেই পথ চলেন।
কারণ রাজনীতি কোন পুতুল খেলা নয়_ ইচ্ছে হলো পুতুলের বিয়ে দেব সখীর পুতুলের সঙ্গে, ইচ্ছে হলো না বিয়ে দেব, না সবকিছু ল-ভ- করে দিয়ে সখীর সঙ্গে আড়ি দিয়ে নিজের সঙ্গে নিজেই ঝগড়া করা।
ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি নিয়ে (কোন অসুয়া বা অশ্রদ্ধা নিয়ে নয়) বলছি আমার মনে হয়েছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতির বিষয়টিকে পুরোপুরি একটা পুতুল খেলার পর্যায়ে নিয়ে ফেলেছেন। শৈশবের সবুজ জীবনের, অবুঝ মনের কালে যা মানায় বর্তমান কালের বেগম জিয়াকে তা মানাবে কেন? রাজনীতি কোন সরল রৈখিক পথচলার বিষয় নয়। রাজনীতিবিদ হওয়ার অভিলাষ যে কারও হতে পারে, অথবা হঠাৎ করে দৈব অনুগ্রহে রাজনীতির পঠন-পাঠন ও দেশের ইতিহাস, সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতির পালাবদল, এ পথ পরিক্রমায় নানা আন্দোলন-সংগ্রাম, আত্মসমর্পণ কত কিছুর সঙ্গে পরিচিত হতে হয় এবং পরিচয়ের মধ্যদিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। কিন্তু দৈবচক্রকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার স্পর্শশূন্য হয়ে কেউ যদি একটি দলের নেতৃত্বে বৃত হন তার পক্ষে রাজনীতিকে পুতুল খেলার বেশি কিছু মনে করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না হয়তো।
তারপরও হয়তো হয়, যদি সেই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে সৎ পরামর্শক ও ধীমান মানুষের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে বিদ্যমান থাকে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের ১৯৬০-এর সময়কালীন সময়ে যারা রাজনীতির পথে পথ পরিভ্রমণ করেছেন এমন দুয়েকজন সম্মানিত ব্যতিক্রম ছাড়া_ তারা কেউই বিএনপির বিগত ১৯৯০-৯১ থেকে শুরু করে এ যাবৎকালের রাজনীতিকে (১৯৭৫ পরবর্তী রাজনীতির অনুকরণে) আধুনিক বিজ্ঞাতসম্মত গণতান্ত্রিক ধারার আদর্শে বিধৃত একটি রাজনৈতিক দলের রাজনীতি হিসেবে গ্রহণ করবে না। এ দলের সঙ্গে যারা জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার পর থেকে যে ঘরানার লোকজন এ দলে ভিড়ে যায় তাদের কেউই পার্টটাইম রাজনীতিবিদও ছিলেন না (দু-চারজন সম্মানিত ব্যক্তি ছাড়া)।
১৯৬১-৬৫ কালীন সময়ে আমার প্রিয় বন্ধু ও সহযোদ্ধা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ১৯৬৫-এর ছাত্র ইউনিয়ন দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে দূরত্ব বেড়ে যায়। মান্নান শিবপুরেই থাকতো বেশিরভাগ। আদ্যান্ত সজ্জন এ বন্ধুটি সেকালের চীনপন্থিদের মতো বিপ্লব করার স্বপ্ন নিয়ে শিবপুর চলে গিয়ে নানা দল-উপদলীয় রাজনীতির স্রোতে হাবুডুবু খেয়ে অবশেষে বিএনপিতে তরী ভেড়ান। চুল থেকে নখ পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন মান্নান_ রাজনীতির কৌশল বুঝতেন। সেই বন্ধুকে খালেদা জিয়ার কারণে প্রায় জোর করে বিএনপি ছাড়তে হয়েছিল।
মৃত্যুর আগে সুদীর্ঘকালের ব্যবধানে গুলশানের 'ন্যাম' ফ্ল্যাটে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। কি করে জামায়াত বেগম খালেদার একক সিদ্ধান্তে বিএনপির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে এবং ক্রমেই বিএনপির রাজনীতিকে বেপথু করেছে এবং যার বিরুদ্ধে বিএনপিতে কেউই কোন কথা বলতে পারছেন না (কারণ ততদিনে জনাব সাইফুর রহমানও প্রয়াত)। মান্নান বলতো এ জামায়াতই খালেদা জিয়াকে শেষ করবে, বিএনপিকে শেষ করবে।
মান্নানের সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়েছে বলবো কি করে?
দুই
রাজনীতি পুতুল খেলা নয় বলে আগেই বলেছি। দাবা খেলার সঙ্গে এর একটা তুলনা টানা যেতে পারে। দাবা খেলায় প্রতিপক্ষকে 'চেকমেট' করার চেষ্টা এর অন্যতম কৌশল বটে। রাজনীতিতেও প্রতিপক্ষকে চেকমেট করার চেষ্টা সব দলই_ যদি তাদের সে ক্ষমতা থেকে থাকে_ করে থাকে। চেকমেট হলে সেস্থানে প্রতিপক্ষের হার হলেও খেলা কিন্তু ফেলে বিজিত পক্ষ উঠে পড়ে না। বরং নতুন দান খেলার জন্য বোর্ড সাজায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস হওয়ার পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত জোট সেই সংশোধনী বাতিল করার দাবিতে সোচ্চার হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো নবম সংসদ চালু হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেত্রী মাত্র দিন দশেক সংসদে এসেছিলেন_ তাও ধারাবাহিকভাবে নয় পদ হারাবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে।
যেজন্য দেশের জনগণ তাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন সেই জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি সংসদে হাজির হওয়া থেকে বিরত থাকলেন এবং নানা ছলে তার দলের অন্য সদস্যরাও। ফলে নানা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে, সংবিধান সংশোধনের মতো ইস্যুতেও বিএনপি স্বেচ্ছায় কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় এবং নানা উছিলায় ওয়াকআউট করে মহাজোট সরকারকে কঠিন ওয়াকওভার দিয়ে দেয়। আর মহাজোট সরকার সেই ওয়াকওভারের পূর্ণ সৎব্যবহার করে।
বিএনপি-জামায়াত বারবার বলে এসেছে সংসদে যথাযথ পরিবেশ নেই বলে তারা ফিরতে পারে না। কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় না ইত্যাদি। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তাদের সংসদীয় এলাকার জনগণের ভোটে, কোন রাজনৈতিক দলের দয়ার দান হিসেবে নয়। বিএনপির সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের নিজ নিজ এলাকায় জনগণের ভোটে, আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে বা দাক্ষিণ্যে নয়, তাদের দয়ায় নয়। সুতরাং যে প্রশ্ন থেকে যায় তা হলো নির্বাচিত সদস্য হিসেবে_ যে সংসদে উপস্থিত হওয়া, সরকারের নানা কার্যক্রমের ওপর সমালোচনা করে নিজেদের বক্তব্য রাখা স্বাধীন ও সার্বভৌম সাংবিধানিক অধিকার সেই অধিকারকে আওয়ামী লীগের সদস্যদের আচরণের কারণে স্বেচ্চায় পরিত্যাগ করে নিজেদের বিবরে আশ্রয় নেবে_ এমন দলের সংসদ সদস্য সংসদে নির্বাচিত হলে অথবা না হলেই বা ক্ষতি কি? যে দল সংসদেই যায় না, সংসদীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে না, সেই দলের সংসদে নির্বাচিত হওয়া না হওয়ার মাঝে কি খুব তফাৎ আছে? সার্বভৌম অধিকার ছেড়ে দিয়ে এবং সরকারকে ওয়াকওভার দিয়ে যারা সংসদের বদলে কেবল রাজপথেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়-জাতি তাদের কাছে কি আশা করবে। 'ঘর কহিনু বাহির, বাহির করিনু ঘর' বৈদিক পদাবলীল পদকর্তারা কখনো স্বয়ং ভাবেননি তাদের সেই পদ বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের একমাত্র অভীষ্ট হয়ে দাঁড়াবে।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে 'তত্ত্বাবধায়ক' সরকারের বিধান বাতিল করে যে আইন পাস হলো তার বিপরীতে বিএনপি শুধু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলতে থাকলেন সংসদে (একবার ছাড়া) নয়, রাজপথে। অথচ এর রূপরেখা কি হবে তার কোন পরিপূর্ণ প্রস্তাবনা পর্যন্ত তারা দিতে পারলেন না।
তাদের এ দাবি সরকার না মানলে বিকল্প কোন সমাধানের পথে বিএনপি গেল না। 'মারি ত গ-ার, লুটি ত ভা-ার' এ মহাজন বাক্য নিয়ে তারা বিকল্প কোন কৌশলের বিষয়ে না ভেবে মহাজোটের পাতা ফাঁদে গলাটা বাড়িয়ে দিল_ তারা নির্বাচনে এলো না। দুষ্ট লোকেরা বলে মহাজোটের নেতারা এটাই চেয়েছিল যাতে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন করা বয়কট করে এবং বিএনপি 'স্বপ্নচারী আপসহীন নেত্রী' ঠিক সে কাজটা করে আওয়ামী লীগের প্ল্যানের বাস্তবায়ন সহজ করে দিলেন।
'আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী বিএনপির স্বপ্নচারিণী আপসহীন নেত্রী' সেটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু সুদূরেরও সীমা আছে, সুদূর ও অসীম নয় সসীম অন্তত মহাজাগতিক তাত্তি্বকরা তাই বলে থাকেন। যদি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখি তা হলে তার 'আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী' এ স্বপ্নচরিতা যে ভ্রান্তবিলাপের নামান্তর তা বুঝতে দেরি হওয়ার কথা নয়।
২০০৯-২০১৪ এর সময়কালে মহাজোট সরকার বিএনপির আন্তর্জাতিক দুর্গগুলোতে হানা দিয়ে সেগুলোতে নিজেদের অবস্থান সুদূর করেছে। একদা চীন, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং খানিকটা আমেরিকা বিএনপির বন্ধুদেশ হিসেবে পরিগণিত হতো, তাও প্রায় বিশ বছর আগে। বিগত বিশ বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটেছে_ নানা রকম বিচিত্র সব অর্থনীতি-স্বার্থনির্ভর জোট গড়ে উঠছে। রাজনীতিক ভালোলাগা, মন্দ লাগার বিষয়টি এখন প্রায়ই অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই জোটগুলোর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিস্নওটিও) কল্যাণে গড়ে ওঠা উদার বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন দেশে দেশে, অঞ্চলে অঞ্চলে। বিগত ৫ বছরে মহাজোট সরকার সে কাজটি খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে বলে তার বিরোধীরাও স্বীকার করবেন।
তার ওপর চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক প্রকল্পে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, চীন, মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্যিক করিডর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন পর্যায়ের চীনা নেতাদের বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও সরকারি সফর চীন বাংলাদেশ সম্পর্ককে অতীতের বহু বহু দশকের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছেন যা বিএনপির ধারণার অতীত।
সৌদি আরব যে তাদের রাজনৈতিক ও বাংলাদেশ সম্পর্কে ওদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি পালটেছে তার প্রমাণ তো রয়েছে বাংলাদেশ থেকে আরও বিপুলসংখ্যক গৃহকর্মী ও শ্রমিক নিয়োগে ইচ্ছা প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়কে 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়' হিসেবে ঘোষণা এবং এর বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে কোন মন্তব্য না করা। এসব কিছু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সৌদি আরবের কাজ করার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে বিশ্লেষকরা বিবেচনা করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে জনশক্তির ক্রমবর্ধমান রপ্তানি এই ইচ্ছাকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছে। দূর নীলিমার স্বপ্ন তাই আপাতত অসীমের সীমার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গেছে।
বিএনপি নেতৃত্বের (আমি নিশ্চিত জামায়াত ও পাকিস্তানি দূতদের পরামর্শে) সেই ১৯৯১ থেকে ভারতবিরোধী মনোভাবের একটা প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। আমাদের বৃহত্তম নিকটতম প্রতিবেশীর সঙ্গে যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ধনে-জনে-মনে নিজেদের যুক্ত করেছিল এবং প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, তাদের সেই ত্যাগের বিষয়টিকে একেবারে বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করা এবং পাকিস্তানিদের নাম না করে কেবল 'দখলদার বাহিনী' হিসেবে বিবেচনা করা। ২০০১-০৬ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের অন্তিমলগ্নে ভারত সফরে গিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ২৩ মিনিট পরে হাজির হওয়া এবং তার সেই সময়কালীন সময়ে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, উলফা ও ত্রিপুরায় উত্তর-পূর্ব ভারতের নানা স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বিএনপি জামায়াতের আশ্রয়ে লালন-পালন করা, উত্তর-পূর্ব ভারতের এসব জঙ্গি গোষ্ঠীর (যারা প্রায় সময়ই বাঙালি নিধনকারী ও বিরোধী) আন্দোলনকে 'স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা ও খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতবিরোধী নানা রকম বক্তব্য সব মিলিয়ে ভারতের নীতিনির্ধারক মহল বিএনপি সম্পর্কে যা বোঝার তা বুঝে ফেলে।
তারপরও বেগম জিয়া প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবে ভারত ভ্রমণে গিয়ে সর্বস্তরের নেতানেত্রীর সঙ্গে (সোনিয়া গান্ধী ছাড়া) দেখা করে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন যে, বিএনপি ও ভারতের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হতে চায় এবং সে অনুযায়ী তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ইচ্ছুক। এসব নেতার মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অকৃত্রিম সহৃদয় প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও তিনি দেখা করেন, তাকে বাংলাদেশে সঘরে আসতে আমন্ত্রণ জানান।
ভারতের রাষ্ট্রপতি স্ত্রী প্রণব মুখার্জি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশে আসেন তখন বিএনপি হরতাল ঘোষণা করল। প্রণব বাবুর কর্মসূচি এগিয়ে গেল তার শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গেলেন সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করা হলো। বিএনপি নেত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রণব বাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের যে সময় নিয়েছিলেন দুই পক্ষের সম্মতিতে, খালেদা জিয়া সে সাক্ষাৎ বাতিল করেন। প্রণব বাবু দিলি্ল ছাড়ার আগেই এ সংবাদ পান কিন্তু একটি বারও দ্বিতীয় চিন্তা করেননি_ তার বাংলাদেশ সফর সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল বিএনপির অসহযোগিতা ও সীমাহীন অবিমৃষ্যকারিতা সত্ত্বেও, সম্ভবত সেদিনই বিএনপির রাজনীতির রাশিচক্রে রাহু এসে ভর করেছিল। তার পর থেকে একটার পর একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে নিতে বিএনপি এখন সংসদের বাইরে।
'পথ হারাবো বলে এবার পথে নেমেছি। সোজা পথের ধাঁধায় আমি অনেক বেঁধেছি।' বিএনপির বন্ধুদের অনেকে অমনটা বলতেই পারেন। পথ তারা আজকে হারাননি হারিয়েছেন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের সময় থেকে। অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয় তারা সবাই নিম্নাভিমুখী যে সস্নাইডে চড়ে ছিলেন সেটা ক্রমেই তাদের নিজের দিকে টেনে আরও নিচে নামিয়ে এনেছে এবং অবশেষে ধরার ধুলায় এনে ঠেকিয়েছে। ফুল বলে ধন্য আমি মাটির ঘরে_ বিএনপিও কি তাই মনে করে?
বিএনপির এ নিম্নাভিমুখী অভিযাত্রায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এরপর যা যা ঘটেছে সে সবের সঙ্গে আমরা পরিচিত। আজ যে জামায়াতই ইসলামী-বিএনপির আত্মার আত্মীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার শুরু তখনই জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ জামায়াতকে রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ দলের একক কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। পাঁড় বাংলাদেশ বিরোধীসহ শাহ আজিজুুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদান করা জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব। তারপর জামায়াতে ইসলামীর পলাতক নেতাদের বীর বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহায়তা দান করা তাও জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব।
সে যাক কিন্তু এখন বিএনপি কি করবে? অন্ধকারে বসে বন্ধ দ্বারে ব্যর্থ আঘাত হেনেই চলবে নাকি এবং ধরার ধুলায় মাটির পরে লুটিয়ে থাকবে নাকি নতুন পথের সন্ধানে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবে? আগামীতে এ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDJfMDJfMTRfMl8yMF8xXzE1NDQ3OQ==
__._,_.___
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
__,_._,___
[mukto-mona] ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি রুখতে নারী সমাজের শপথ
গতকাল শহীদ মিনারে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা ও হিন্দু নারী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে 'ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ' আয়োজিত এক সমাবেশে শপথ নিয়ে এ দাবি জানান নেত্রীরা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ তারানা হালিমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ড. এনামুল হক ও লাকী ইনাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংসদীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মমতাজ বেগম এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ আলম মুরাদ ও বলরাম পোদ্দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ ফরিদা আক্তার হীরা ও মাহফুজা ম-ল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিলকিস ফাতেমা এবং নারী নেত্রী সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা।
আয়েশা খানম বলেন, বর্তমানে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নারীরা রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারিভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কল-কারখানায় কাজ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে। কিন্তু একটি মহল ধর্মের অপব্যবহার করে নারীর এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে চায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে বাস থেকে নামিয়ে ইউপি সদস্য নূরজাহানের ওপর হামলায় তা স্পষ্টতই বুঝা যায়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কুচক্রি ও হামলাকারী মহলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান। তারানা হালিম বলেন, নূরজাহানের ওপর হামলা করছে ছাত্রদল কর্মীরা আর অন্য দিকে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলাকারীরা এতটাই নরপশু যে রগের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর অঙ্গও কর্তন করেছে। এসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি। এছাড়া নারী সমাজকে প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় থাকার আহ্বানও জানান তারানা হালিম।
ড. এনামুল হক বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে ও স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে না তারাই নারী সমাজের ওপর হামলা করছে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে সব নারী নেত্রীরা তারানা হালিমের কণ্ঠে এক সঙ্গে শপথ নেন। এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগ, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ বুক ক্লাব, নারী প্রগতি সংঘ এবং স্বাধীনতা শিক্ষক ফোরামও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে। - See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDJfMDJfMTRfMV8xNF8xXzE1NDUxNg==#sthash.YVujsFWe.dpuf
__._,_.___
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
__,_._,___
[mukto-mona] ৩৩তম বিসিএস : সেরাদের সঙ্গী -এগিয়ে চলেছেন আদিবাসী তরুণ প্রজন্ম
৩৩তম বিসিএস
সেরাদের সঙ্গী
এগিয়ে চলেছেন আদিবাসী তরুণ প্রজন্ম। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে পাঁচজন আদিবাসী কৃতী শিক্ষার্থীর সাফল্য ও স্বপ্নের কথা শোনা যাক।
লসমী চাকমা
৩৩তম বিসিএস ইকনোমিক ক্যাডার
'স্নাতক করার পর পরই নিজের পেশাজীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করি। মনে হলো, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার এবং আমার লক্ষ্য হবে সর্বোচ্চ পর্যায়। তাই, বিসিএস ক্যাডার তথা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করি পেশা জীবনের পড়াশোনা।' কথাগুলো বলছিলেন ৩৩তম বিসিএসে ইকোনমিক ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত লসমী চাকমা। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাগড়াছড়ি শহরের মাজান (মহাজন) পাড়ায়। সেখানে পড়ালেখা করেছেন খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে। এরপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে।
ছোটবেলা থেকেই পড়ুয়া লসমী, পাঠ্যবইয়ের বাইরেও প্রচুর বই ও দৈনিক সংবাদপত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভীষণ কাজে দিয়েছে বলেই তাঁর বিশ্বাস। তাঁর পছন্দের তালিকায় আছে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ও রাজনৈতিক-সামাজিক উপন্যাস। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনসংগ্রাম, আত্মপ্রত্যয় ও কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সফলতা তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়।
তিনি জানান, লক্ষ্য এখানেই স্থির নয়। দৃঢ়তা, কর্মদক্ষতা, সৃজনশীলতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে শীর্ষ পর্যায়ে যেতে চান তিনি। আর একজন ইকোনমিক ক্যাডার হিসেবে, জন্মভূমি বাংলাদেশকে দেখতে চান উন্নত দেশের তালিকায়।
কীর্তিমান চাকমা
৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার
শিক্ষাজীবনের প্রতি পদেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে থাকেন কীর্তিমান। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় গোটা রাঙামাটি জেলায় প্রথম স্থান অধিকার, অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ, এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ থেকে বিফার্ম ডিগ্রি, অতঃপর বিসিএস ক্যাডার। ৩৩তম বিসিএসে তিনি পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন।
কিন্তু কীর্তিমানের জীবনটা ছিল নানা প্রতিকূলতায় ভরা। কীর্তিমান বলেন, 'যে বয়সে শিশুরা বেড়ে ওঠে হেসেখেলে, সেই সময়টি আমার কেটেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শরণার্থী শিবিরে, অনেকটা অনাদর-অবহেলায়।'
কীর্তিমানের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, পাহাড়ের বিবাদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর পরিবার ত্রিপুরায় চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে ১৯৯৩ সালে কীর্তিমানকে দেশে রেখে যাওয়া হয়, ভর্তি করা হয় রাঙামাটির মোনঘর শিশুসদনে। আর তাঁর মা-বাবা দেশে ফেরেন ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর।
কীর্তিমান বলেন, 'আমার জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন, যাতে আমি সততার সঙ্গে এই পেশায় নিজের মেধা, সৃজনশীলতা ও সাহসিকতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মঙ্গলে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমি কাজ করতে চাই।'
জেপি দেওয়ান ত্রিপুরা
৩৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার
নিজের স্কুলের ইতিহাসে প্রাথমিকে প্রথম বৃত্তিপ্রাপ্তি, অতঃপর ২০০৩ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সমপন্ন করা। এরপর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা। এই হলো জেপি দেওয়ান ত্রিপুরার শিক্ষাজীবনের সারসংক্ষেপ। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা কৃষক, মা গৃহিণী।
সম্মান অর্জনের পর জেপি ঝুঁকলেন মায়ের একটি স্বপ্ন পূরণের দিকে। মা চেয়েছিলেন তাঁর অন্তত একটি ছেলে বিসিএস প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত হোক। সেই অনুযায়ী চেষ্টা এবং সাফল্য লাভ। মায়ের স্বপ্ন তো পূরণ হলো। এবার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান জেপি। কী সেই স্বপ্ন? জেপি বলেন, 'ভবিষ্যতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে চাই। আমার সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকবে আইনের শাসন নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে আমি সচিব হতে চাই।'
থোয়াইঅংপ্রু মারমা
৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার
খাগড়াছড়ির ছেলে থোয়াইঅংপ্রু মারমা ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন।
কিন্তু তাঁর সাফল্যের পথটা মসৃণ ছিল না। তিনি যে ইউনিয়নে থাকতেন, সেই ইউনিয়নে কোনো ভালো স্কুল না থাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার সূচনা হয়। ফেনী নদীর কূল থেকে প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হতো। রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজে। সেখানে ছিল শিক্ষকস্বল্পতা, ছিল যাতায়াতের সমস্যা। দিন বদলাতে শুরু করে তখন, যখন তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়। সম্মান শেষ করার পর তিনি নেমে পড়েন বিসিএস পরীক্ষার জন্য। অনেক চেষ্টার পর আসে সাফল্য। সেই সাফল্যের মূল্যায়ন করতে গিয়ে থোয়াইঅংপ্রু বলেন, 'সারাটা জীবন মা-বাবা আমাকে সৎভাবে চলার যে শিক্ষা দিয়েছেন, সে শিক্ষাকে মাথায় রেখে আমি মানুষের সেবা করতে চাই।'
পূর্বিতা চাকমা
৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডার
রাঙামাটি জেলার মেয়ে পূর্বিতা, বিসিএস সম্পর্কে ধারণা হওয়ার পর থেকেই যাঁর স্বপ্ন ছিল একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার। সেই স্বপ্নকে লালন করে অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ৩২তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে। আর ৩৩তম বিসিএসে সুপারিশকৃত হলেন প্রশাসনে নিয়োগের জন্য।
পূর্বিতার শিক্ষাজীবনের শুরু রাঙামাটিতেই। স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকার শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজে এইচএসসি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ক্যাম্পাসে পদচারণ এবং ধীরে ধীরে মানসিক ও আত্মিক উন্নতি। শামসুন্নাহার হলে থাকাকালীন রুমমেট বন্ধুদের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, পাশে থেকেছেন মা-বাবা, শিক্ষক ও কাছের বন্ধুজন। সবার প্রচেষ্টার মিলিত রূপ আজকের এই সাফল্য—এই বলে পূর্বিতা যোগ করেন, 'আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁদের সবার অবদানই অসামান্য। প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগলাভ করেই একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে দেশের সেবা করার স্বপ্নটি আমার পূরণ হবে।'
নিজের শিকড়কেও ভুলে যাননি পূর্বিতা। জানান, 'আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমার আদিবাসী সমাজ ও পাহাড়ের মানুষের মুখ উজ্জ্বল করার।'
গ্রন্থনা: দেব দুলাল গুহ
__._,_.___
****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585
****************************************************
VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/
****************************************************
"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe
__,_._,___