Banner Advertiser

Saturday, February 1, 2014

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'পুনশ্চ জন্মদিন'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'পুনশ্চ জন্মদিন'

সেবারের পঁচিশে দেবী তুমি বর
দিয়েছিলে
শিরোনামহীন অনুভূতিরাও যেন
ভরিয়ে তোলে
আমার বুভুক্ষু প্রান্তর;

অথচ জন্মান্ধ জাতিস্মরের মত
আমার মহাকালময় অস্তিত্বের
মন্দিরের দরোজারা
অর্গলমুক্ত ছিলনা মুহুর্তময়;

আজ শীতের বসন্তে এক একটি
জানালার এক একটি কপাটের
নি:সংকোচ উন্মোচন
নীল, সবুজ, বেগুনি, হলুদ আলোর
নাটমণ্ডল
বেলী, বকুল, হাস্নাহেনা, মহুয়ার
মৌতাতেরা
প্রথম কুঁড়ির মত অবগুণ্ঠন
মুক্তির লুকোছুপিতে মত্ত।

এই সকল পার্থিবতা ছাপিয়েও
অসংখ্য অনুভূতিরা আজ আছড়ে পড়ে
অনুভবের বেলা [...]

You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=39523

You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.

Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] বিএনপির ভ্রান্তিবিলাস



বিএনপির ভ্রান্তিবিলাস
এএফ মুজতাহিদ
প্রতিদিন মানুষের কত কিছুই না হারিয়ে যায়_ ছিনতাই হয়ে যায়_ ঘর থেকে বেরুলে রাস্তায়। দীর্ঘমেয়াদে অর্থ-বিত্ত, সহায়-সম্পদ, বাড়িঘর হারিয়ে যায়। সুচতুর কৌশলীরা বা অপহরণকারীরা নানা কৌশলে দখল করে নেয় রাষ্ট্রের সম্পত্তি_ ভূমি, খাল, নদী সেও তো হারিয়ে যাওয়া বই আর কিছু নয়- রাষ্ট্রের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া। মৃত্যুও তো এক রকম হারিয়ে যাওয়া_ যেমন রানা প্লাজায় হারিয়ে গেছে কত মানুষ। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীর জীবন থেকেও হারিয়ে যায় প্রেম, ভালোবাসার ধন- যার শুধু সারাজীবন স্মৃতিটুকুই অবশিষ্ট থাকে এবং যা মনের ভিন্ন জানালা দিয়ে কোন প্রশান্ত প্রভাতে, উদাস দুপুরে উদাসী - হাওয়ার সঙ্গে, প্রদীপ জ্বালা কোন মায়াবী সন্ধ্যা বেলায় একরাশ স্মৃতির সুরভী নিয়ে হাজির হয়। 

ব্যক্তি জীবনের এ হারিয়ে যাওয়াটা শুধুই ব্যক্তিগত। সমাজ-সংসারে এর কোন কারণে কোন বিপর্যয় ঘটে না।

কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের জীবনেও যদি কিছু হারিয়ে বিশেষত যদি পথ হারিয়ে যায় তার অভিঘাত দেশের সমাজ-রাজনীতির ওপর প্রভাব ফেলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো বা তা বুঝে ওঠা যায় না_ কিন্তু আমাদের অগোচরেই সে অভিঘাত কাজ করে যায় গোপনে গোপনে। 

সে যাই হোক- আমার শুধুই মনে হয় অর্থ-বিত্ত, সহায়-সম্পদ নয়, বিএনপির হারিয়ে গেছে কিছুটা সময়- বেশ কিছুটা সময়। অন্তত ৭ বছর (কেয়ার টেকার সরকারের সময়সহ) ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে এবং দশম সংসদ নির্বাচনের পর আরও ৫টি বছর হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

একটি রাজনৈতিক দলের জীবনে ৭ অথবা ১২টি বছর যেটাই হোক না কেন হারিয়ে যাওয়া এবং তার তুলনা পাওয়া ভার। আর সেই দলটি যদি এমন হয় যারা দুই-দুইবার পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করেছে এবং আরও একবার স্বল্প মেয়াদে। তাহলে তো ভাববার কথাই বটে।

'সময় গেলে সাধন হবে না' ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনের এ গানটি মানব জীবনে যেমন রাজনীতিক দলও তাদের জীবনেও গভীর তাৎপর্য বয়ে নিয়ে আসে। যে সময়টা হারিয়ে গেল সেই হারানো সময়ের শবদেহ সামনে নিয়ে কোন সাধনা কি ফলবতী হবে না হয়েছে কখনো। যা হারিয়ে যায়, তা হারিয়েই যায়। সময় আর নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষমাণ থাকে না।

বিএনপির বিপুল জনসমর্থন, দেশি-বিদেশি এত বন্ধু (নোবেল বিজয়ী পর্যন্ত) তারপরও কেন বিএনপির এ দলের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী ভক্তের জীবন থেকে এতটি বছর হারিয়ে গেল তার উত্তর কি? কে দেবেন? কেউ কেউ বলতেই পারেন : 

'জীবন আমার চলছে যেমন তেমনিভাবে,

সহজ জীবন কঠিন ছন্দে দ্বন্দ্বে কেটেই যাবো'

_রবীন্দ্রনাথ

অথবা

'কি পাইনি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি

আজ হৃদয়ের ছায়াতে আলোতে বাঁশরী উঠেছে বাজি' _রবীন্দ্রনাথ

কিন্তু ব্যক্তি জীবনে আর রাজনৈতিক জীবন একই সূত্রে গাঁথা নয়। ব্যক্তি জীবনে পাওয়া না পাওয়া, আনন্দ-বেদনা এবং অশ্রুময় সময় সে শুধু একজন ব্যক্তির নিজস্ব। অন্য কেউই তাতে ভাগ বসাতে যায় না- বা সে অশ্রুজলের খোঁজ নিতে যায় না। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিবেদিত হয় মানুষের জন্য, জনগণের জন্য নিজেদের দলের মানুষের সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিতে হয়, হতাশার সঙ্গেও আলোকবর্তিকা হাতে কম্প্রবক্ষে, নম্রনেত্রে ধীর পদ বিক্ষোপে সামনের দিকে পা বাড়াতে হয়। রাজনীতিবিদ সেভাবেই পথ চলেন। 

কারণ রাজনীতি কোন পুতুল খেলা নয়_ ইচ্ছে হলো পুতুলের বিয়ে দেব সখীর পুতুলের সঙ্গে, ইচ্ছে হলো না বিয়ে দেব, না সবকিছু ল-ভ- করে দিয়ে সখীর সঙ্গে আড়ি দিয়ে নিজের সঙ্গে নিজেই ঝগড়া করা।

ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি নিয়ে (কোন অসুয়া বা অশ্রদ্ধা নিয়ে নয়) বলছি আমার মনে হয়েছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতির বিষয়টিকে পুরোপুরি একটা পুতুল খেলার পর্যায়ে নিয়ে ফেলেছেন। শৈশবের সবুজ জীবনের, অবুঝ মনের কালে যা মানায় বর্তমান কালের বেগম জিয়াকে তা মানাবে কেন? রাজনীতি কোন সরল রৈখিক পথচলার বিষয় নয়। রাজনীতিবিদ হওয়ার অভিলাষ যে কারও হতে পারে, অথবা হঠাৎ করে দৈব অনুগ্রহে রাজনীতির পঠন-পাঠন ও দেশের ইতিহাস, সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতির পালাবদল, এ পথ পরিক্রমায় নানা আন্দোলন-সংগ্রাম, আত্মসমর্পণ কত কিছুর সঙ্গে পরিচিত হতে হয় এবং পরিচয়ের মধ্যদিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। কিন্তু দৈবচক্রকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার স্পর্শশূন্য হয়ে কেউ যদি একটি দলের নেতৃত্বে বৃত হন তার পক্ষে রাজনীতিকে পুতুল খেলার বেশি কিছু মনে করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না হয়তো।

তারপরও হয়তো হয়, যদি সেই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে সৎ পরামর্শক ও ধীমান মানুষের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে বিদ্যমান থাকে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের ১৯৬০-এর সময়কালীন সময়ে যারা রাজনীতির পথে পথ পরিভ্রমণ করেছেন এমন দুয়েকজন সম্মানিত ব্যতিক্রম ছাড়া_ তারা কেউই বিএনপির বিগত ১৯৯০-৯১ থেকে শুরু করে এ যাবৎকালের রাজনীতিকে (১৯৭৫ পরবর্তী রাজনীতির অনুকরণে) আধুনিক বিজ্ঞাতসম্মত গণতান্ত্রিক ধারার আদর্শে বিধৃত একটি রাজনৈতিক দলের রাজনীতি হিসেবে গ্রহণ করবে না। এ দলের সঙ্গে যারা জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার পর থেকে যে ঘরানার লোকজন এ দলে ভিড়ে যায় তাদের কেউই পার্টটাইম রাজনীতিবিদও ছিলেন না (দু-চারজন সম্মানিত ব্যক্তি ছাড়া)।

১৯৬১-৬৫ কালীন সময়ে আমার প্রিয় বন্ধু ও সহযোদ্ধা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ১৯৬৫-এর ছাত্র ইউনিয়ন দ্বিধাবিভক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে দূরত্ব বেড়ে যায়। মান্নান শিবপুরেই থাকতো বেশিরভাগ। আদ্যান্ত সজ্জন এ বন্ধুটি সেকালের চীনপন্থিদের মতো বিপ্লব করার স্বপ্ন নিয়ে শিবপুর চলে গিয়ে নানা দল-উপদলীয় রাজনীতির স্রোতে হাবুডুবু খেয়ে অবশেষে বিএনপিতে তরী ভেড়ান। চুল থেকে নখ পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন মান্নান_ রাজনীতির কৌশল বুঝতেন। সেই বন্ধুকে খালেদা জিয়ার কারণে প্রায় জোর করে বিএনপি ছাড়তে হয়েছিল।

মৃত্যুর আগে সুদীর্ঘকালের ব্যবধানে গুলশানের 'ন্যাম' ফ্ল্যাটে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। কি করে জামায়াত বেগম খালেদার একক সিদ্ধান্তে বিএনপির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে এবং ক্রমেই বিএনপির রাজনীতিকে বেপথু করেছে এবং যার বিরুদ্ধে বিএনপিতে কেউই কোন কথা বলতে পারছেন না (কারণ ততদিনে জনাব সাইফুর রহমানও প্রয়াত)। মান্নান বলতো এ জামায়াতই খালেদা জিয়াকে শেষ করবে, বিএনপিকে শেষ করবে।

মান্নানের সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়েছে বলবো কি করে?

দুই

রাজনীতি পুতুল খেলা নয় বলে আগেই বলেছি। দাবা খেলার সঙ্গে এর একটা তুলনা টানা যেতে পারে। দাবা খেলায় প্রতিপক্ষকে 'চেকমেট' করার চেষ্টা এর অন্যতম কৌশল বটে। রাজনীতিতেও প্রতিপক্ষকে চেকমেট করার চেষ্টা সব দলই_ যদি তাদের সে ক্ষমতা থেকে থাকে_ করে থাকে। চেকমেট হলে সেস্থানে প্রতিপক্ষের হার হলেও খেলা কিন্তু ফেলে বিজিত পক্ষ উঠে পড়ে না। বরং নতুন দান খেলার জন্য বোর্ড সাজায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস হওয়ার পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত জোট সেই সংশোধনী বাতিল করার দাবিতে সোচ্চার হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো নবম সংসদ চালু হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেত্রী মাত্র দিন দশেক সংসদে এসেছিলেন_ তাও ধারাবাহিকভাবে নয় পদ হারাবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে।

যেজন্য দেশের জনগণ তাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন সেই জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি সংসদে হাজির হওয়া থেকে বিরত থাকলেন এবং নানা ছলে তার দলের অন্য সদস্যরাও। ফলে নানা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে, সংবিধান সংশোধনের মতো ইস্যুতেও বিএনপি স্বেচ্ছায় কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় এবং নানা উছিলায় ওয়াকআউট করে মহাজোট সরকারকে কঠিন ওয়াকওভার দিয়ে দেয়। আর মহাজোট সরকার সেই ওয়াকওভারের পূর্ণ সৎব্যবহার করে।

বিএনপি-জামায়াত বারবার বলে এসেছে সংসদে যথাযথ পরিবেশ নেই বলে তারা ফিরতে পারে না। কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় না ইত্যাদি। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তাদের সংসদীয় এলাকার জনগণের ভোটে, কোন রাজনৈতিক দলের দয়ার দান হিসেবে নয়। বিএনপির সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের নিজ নিজ এলাকায় জনগণের ভোটে, আওয়ামী লীগের আনুকূল্যে বা দাক্ষিণ্যে নয়, তাদের দয়ায় নয়। সুতরাং যে প্রশ্ন থেকে যায় তা হলো নির্বাচিত সদস্য হিসেবে_ যে সংসদে উপস্থিত হওয়া, সরকারের নানা কার্যক্রমের ওপর সমালোচনা করে নিজেদের বক্তব্য রাখা স্বাধীন ও সার্বভৌম সাংবিধানিক অধিকার সেই অধিকারকে আওয়ামী লীগের সদস্যদের আচরণের কারণে স্বেচ্চায় পরিত্যাগ করে নিজেদের বিবরে আশ্রয় নেবে_ এমন দলের সংসদ সদস্য সংসদে নির্বাচিত হলে অথবা না হলেই বা ক্ষতি কি? যে দল সংসদেই যায় না, সংসদীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে না, সেই দলের সংসদে নির্বাচিত হওয়া না হওয়ার মাঝে কি খুব তফাৎ আছে? সার্বভৌম অধিকার ছেড়ে দিয়ে এবং সরকারকে ওয়াকওভার দিয়ে যারা সংসদের বদলে কেবল রাজপথেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়-জাতি তাদের কাছে কি আশা করবে। 'ঘর কহিনু বাহির, বাহির করিনু ঘর' বৈদিক পদাবলীল পদকর্তারা কখনো স্বয়ং ভাবেননি তাদের সেই পদ বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের একমাত্র অভীষ্ট হয়ে দাঁড়াবে।

পঞ্চদশ সংশোধনীতে 'তত্ত্বাবধায়ক' সরকারের বিধান বাতিল করে যে আইন পাস হলো তার বিপরীতে বিএনপি শুধু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলতে থাকলেন সংসদে (একবার ছাড়া) নয়, রাজপথে। অথচ এর রূপরেখা কি হবে তার কোন পরিপূর্ণ প্রস্তাবনা পর্যন্ত তারা দিতে পারলেন না।

তাদের এ দাবি সরকার না মানলে বিকল্প কোন সমাধানের পথে বিএনপি গেল না। 'মারি ত গ-ার, লুটি ত ভা-ার' এ মহাজন বাক্য নিয়ে তারা বিকল্প কোন কৌশলের বিষয়ে না ভেবে মহাজোটের পাতা ফাঁদে গলাটা বাড়িয়ে দিল_ তারা নির্বাচনে এলো না। দুষ্ট লোকেরা বলে মহাজোটের নেতারা এটাই চেয়েছিল যাতে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন করা বয়কট করে এবং বিএনপি 'স্বপ্নচারী আপসহীন নেত্রী' ঠিক সে কাজটা করে আওয়ামী লীগের প্ল্যানের বাস্তবায়ন সহজ করে দিলেন।

'আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী বিএনপির স্বপ্নচারিণী আপসহীন নেত্রী' সেটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু সুদূরেরও সীমা আছে, সুদূর ও অসীম নয় সসীম অন্তত মহাজাগতিক তাত্তি্বকরা তাই বলে থাকেন। যদি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখি তা হলে তার 'আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী' এ স্বপ্নচরিতা যে ভ্রান্তবিলাপের নামান্তর তা বুঝতে দেরি হওয়ার কথা নয়।

২০০৯-২০১৪ এর সময়কালে মহাজোট সরকার বিএনপির আন্তর্জাতিক দুর্গগুলোতে হানা দিয়ে সেগুলোতে নিজেদের অবস্থান সুদূর করেছে। একদা চীন, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং খানিকটা আমেরিকা বিএনপির বন্ধুদেশ হিসেবে পরিগণিত হতো, তাও প্রায় বিশ বছর আগে। বিগত বিশ বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটেছে_ নানা রকম বিচিত্র সব অর্থনীতি-স্বার্থনির্ভর জোট গড়ে উঠছে। রাজনীতিক ভালোলাগা, মন্দ লাগার বিষয়টি এখন প্রায়ই অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই জোটগুলোর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিস্নওটিও) কল্যাণে গড়ে ওঠা উদার বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন দেশে দেশে, অঞ্চলে অঞ্চলে। বিগত ৫ বছরে মহাজোট সরকার সে কাজটি খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে বলে তার বিরোধীরাও স্বীকার করবেন।

তার ওপর চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক প্রকল্পে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, চীন, মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্যিক করিডর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন পর্যায়ের চীনা নেতাদের বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও সরকারি সফর চীন বাংলাদেশ সম্পর্ককে অতীতের বহু বহু দশকের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছেন যা বিএনপির ধারণার অতীত। 

সৌদি আরব যে তাদের রাজনৈতিক ও বাংলাদেশ সম্পর্কে ওদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি পালটেছে তার প্রমাণ তো রয়েছে বাংলাদেশ থেকে আরও বিপুলসংখ্যক গৃহকর্মী ও শ্রমিক নিয়োগে ইচ্ছা প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়কে 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়' হিসেবে ঘোষণা এবং এর বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে কোন মন্তব্য না করা। এসব কিছু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সৌদি আরবের কাজ করার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে বিশ্লেষকরা বিবেচনা করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে জনশক্তির ক্রমবর্ধমান রপ্তানি এই ইচ্ছাকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছে। দূর নীলিমার স্বপ্ন তাই আপাতত অসীমের সীমার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গেছে।

বিএনপি নেতৃত্বের (আমি নিশ্চিত জামায়াত ও পাকিস্তানি দূতদের পরামর্শে) সেই ১৯৯১ থেকে ভারতবিরোধী মনোভাবের একটা প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। আমাদের বৃহত্তম নিকটতম প্রতিবেশীর সঙ্গে যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ধনে-জনে-মনে নিজেদের যুক্ত করেছিল এবং প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, তাদের সেই ত্যাগের বিষয়টিকে একেবারে বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করা এবং পাকিস্তানিদের নাম না করে কেবল 'দখলদার বাহিনী' হিসেবে বিবেচনা করা। ২০০১-০৬ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের অন্তিমলগ্নে ভারত সফরে গিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ২৩ মিনিট পরে হাজির হওয়া এবং তার সেই সময়কালীন সময়ে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, উলফা ও ত্রিপুরায় উত্তর-পূর্ব ভারতের নানা স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বিএনপি জামায়াতের আশ্রয়ে লালন-পালন করা, উত্তর-পূর্ব ভারতের এসব জঙ্গি গোষ্ঠীর (যারা প্রায় সময়ই বাঙালি নিধনকারী ও বিরোধী) আন্দোলনকে 'স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা ও খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতবিরোধী নানা রকম বক্তব্য সব মিলিয়ে ভারতের নীতিনির্ধারক মহল বিএনপি সম্পর্কে যা বোঝার তা বুঝে ফেলে।

তারপরও বেগম জিয়া প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবে ভারত ভ্রমণে গিয়ে সর্বস্তরের নেতানেত্রীর সঙ্গে (সোনিয়া গান্ধী ছাড়া) দেখা করে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন যে, বিএনপি ও ভারতের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হতে চায় এবং সে অনুযায়ী তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ইচ্ছুক। এসব নেতার মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অকৃত্রিম সহৃদয় প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও তিনি দেখা করেন, তাকে বাংলাদেশে সঘরে আসতে আমন্ত্রণ জানান।

ভারতের রাষ্ট্রপতি স্ত্রী প্রণব মুখার্জি যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশে আসেন তখন বিএনপি হরতাল ঘোষণা করল। প্রণব বাবুর কর্মসূচি এগিয়ে গেল তার শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গেলেন সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করা হলো। বিএনপি নেত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রণব বাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের যে সময় নিয়েছিলেন দুই পক্ষের সম্মতিতে, খালেদা জিয়া সে সাক্ষাৎ বাতিল করেন। প্রণব বাবু দিলি্ল ছাড়ার আগেই এ সংবাদ পান কিন্তু একটি বারও দ্বিতীয় চিন্তা করেননি_ তার বাংলাদেশ সফর সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল বিএনপির অসহযোগিতা ও সীমাহীন অবিমৃষ্যকারিতা সত্ত্বেও, সম্ভবত সেদিনই বিএনপির রাজনীতির রাশিচক্রে রাহু এসে ভর করেছিল। তার পর থেকে একটার পর একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে নিতে বিএনপি এখন সংসদের বাইরে।

'পথ হারাবো বলে এবার পথে নেমেছি। সোজা পথের ধাঁধায় আমি অনেক বেঁধেছি।' বিএনপির বন্ধুদের অনেকে অমনটা বলতেই পারেন। পথ তারা আজকে হারাননি হারিয়েছেন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের সময় থেকে। অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয় তারা সবাই নিম্নাভিমুখী যে সস্নাইডে চড়ে ছিলেন সেটা ক্রমেই তাদের নিজের দিকে টেনে আরও নিচে নামিয়ে এনেছে এবং অবশেষে ধরার ধুলায় এনে ঠেকিয়েছে। ফুল বলে ধন্য আমি মাটির ঘরে_ বিএনপিও কি তাই মনে করে?

বিএনপির এ নিম্নাভিমুখী অভিযাত্রায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এরপর যা যা ঘটেছে সে সবের সঙ্গে আমরা পরিচিত। আজ যে জামায়াতই ইসলামী-বিএনপির আত্মার আত্মীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার শুরু তখনই জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ জামায়াতকে রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ দলের একক কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। পাঁড় বাংলাদেশ বিরোধীসহ শাহ আজিজুুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগদান করা জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব। তারপর জামায়াতে ইসলামীর পলাতক নেতাদের বীর বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহায়তা দান করা তাও জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব।

সে যাক কিন্তু এখন বিএনপি কি করবে? অন্ধকারে বসে বন্ধ দ্বারে ব্যর্থ আঘাত হেনেই চলবে নাকি এবং ধরার ধুলায় মাটির পরে লুটিয়ে থাকবে নাকি নতুন পথের সন্ধানে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবে? আগামীতে এ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDJfMDJfMTRfMl8yMF8xXzE1NDQ3OQ==



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি রুখতে নারী সমাজের শপথ



ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি রুখতে নারী সমাজের শপথ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর


নারীর অগ্রযাত্রাকে রুখতেই একটি মহল গত ২২ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নূরজাহান বেগমের ওপর হামলা করেছে। নূরজাহানের মতো সব নির্যাতিত ও সহিংসতার শিকার নারী সমাজের পাশে শক্তি হিসেবে থেকে ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিয়েছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নারী সংগঠনের নারী নেত্রীরা। এ সময় তারা হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।

গতকাল শহীদ মিনারে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা ও হিন্দু নারী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে 'ঐক্যবদ্ধ নারী সমাজ' আয়োজিত এক সমাবেশে শপথ নিয়ে এ দাবি জানান নেত্রীরা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ তারানা হালিমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ড. এনামুল হক ও লাকী ইনাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংসদীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মমতাজ বেগম এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ আলম মুরাদ ও বলরাম পোদ্দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ ফরিদা আক্তার হীরা ও মাহফুজা ম-ল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিলকিস ফাতেমা এবং নারী নেত্রী সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা।

আয়েশা খানম বলেন, বর্তমানে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নারীরা রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারিভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কল-কারখানায় কাজ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে। কিন্তু একটি মহল ধর্মের অপব্যবহার করে নারীর এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে চায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে বাস থেকে নামিয়ে ইউপি সদস্য নূরজাহানের ওপর হামলায় তা স্পষ্টতই বুঝা যায়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কুচক্রি ও হামলাকারী মহলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান। তারানা হালিম বলেন, নূরজাহানের ওপর হামলা করছে ছাত্রদল কর্মীরা আর অন্য দিকে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলাকারীরা এতটাই নরপশু যে রগের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর অঙ্গও কর্তন করেছে। এসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি। এছাড়া নারী সমাজকে প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় থাকার আহ্বানও জানান তারানা হালিম।

ড. এনামুল হক বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে ও স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে না তারাই নারী সমাজের ওপর হামলা করছে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশ শেষে সব নারী নেত্রীরা তারানা হালিমের কণ্ঠে এক সঙ্গে শপথ নেন। এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগ, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ বুক ক্লাব, নারী প্রগতি সংঘ এবং স্বাধীনতা শিক্ষক ফোরামও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে।
- See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDJfMDJfMTRfMV8xNF8xXzE1NDUxNg==#sthash.YVujsFWe.dpuf





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] ৩৩তম বিসিএস : সেরাদের সঙ্গী -এগিয়ে চলেছেন আদিবাসী তরুণ প্রজন্ম



৩৩তম বিসিএস

সেরাদের সঙ্গী

আপডেট: ০১:৪৭, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

এগিয়ে চলেছেন আদিবাসী তরুণ প্রজন্ম। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে পাঁচজন আদিবাসী কৃতী শিক্ষার্থীর সাফল্য ও স্বপ্নের কথা শোনা যাক।

লসমী চাকমালসমী চাকমা
৩৩তম বিসিএস ইকনোমিক ক্যাডার
'স্নাতক করার পর পরই নিজের পেশাজীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করি। মনে হলো, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার এবং আমার লক্ষ্য হবে সর্বোচ্চ পর্যায়। তাই, বিসিএস ক্যাডার তথা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করি পেশা জীবনের পড়াশোনা।' কথাগুলো বলছিলেন ৩৩তম বিসিএসে ইকোনমিক ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত লসমী চাকমা। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাগড়াছড়ি শহরের মাজান (মহাজন) পাড়ায়। সেখানে পড়ালেখা করেছেন খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে। এরপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। 
ছোটবেলা থেকেই পড়ুয়া লসমী, পাঠ্যবইয়ের বাইরেও প্রচুর বই ও দৈনিক সংবাদপত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভীষণ কাজে দিয়েছে বলেই তাঁর বিশ্বাস। তাঁর পছন্দের তালিকায় আছে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ও রাজনৈতিক-সামাজিক উপন্যাস। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনসংগ্রাম, আত্মপ্রত্যয় ও কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত সফলতা তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। 
তিনি জানান, লক্ষ্য এখানেই স্থির নয়। দৃঢ়তা, কর্মদক্ষতা, সৃজনশীলতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে শীর্ষ পর্যায়ে যেতে চান তিনি। আর একজন ইকোনমিক ক্যাডার হিসেবে, জন্মভূমি বাংলাদেশকে দেখতে চান উন্নত দেশের তালিকায়।

কীর্তিমান চাকমাকীর্তিমান চাকমা
৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার

শিক্ষাজীবনের প্রতি পদেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে থাকেন কীর্তিমান। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় গোটা রাঙামাটি জেলায় প্রথম স্থান অধিকার, অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ, এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ থেকে বিফার্ম ডিগ্রি, অতঃপর বিসিএস ক্যাডার। ৩৩তম বিসিএসে তিনি পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন।
কিন্তু কীর্তিমানের জীবনটা ছিল নানা প্রতিকূলতায় ভরা। কীর্তিমান বলেন, 'যে বয়সে শিশুরা বেড়ে ওঠে হেসেখেলে, সেই সময়টি আমার কেটেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শরণার্থী শিবিরে, অনেকটা অনাদর-অবহেলায়।'
কীর্তিমানের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, পাহাড়ের বিবাদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর পরিবার ত্রিপুরায় চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে ১৯৯৩ সালে কীর্তিমানকে দেশে রেখে যাওয়া হয়, ভর্তি করা হয় রাঙামাটির মোনঘর শিশুসদনে। আর তাঁর মা-বাবা দেশে ফেরেন ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর।
কীর্তিমান বলেন, 'আমার জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন, যাতে আমি সততার সঙ্গে এই পেশায় নিজের মেধা, সৃজনশীলতা ও সাহসিকতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মঙ্গলে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমি কাজ করতে চাই।'

জেপি দেওয়ান ত্রিপুরাজেপি দেওয়ান ত্রিপুরা 
৩৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার

নিজের স্কুলের ইতিহাসে প্রাথমিকে প্রথম বৃত্তিপ্রাপ্তি, অতঃপর ২০০৩ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সমপন্ন করা। এরপর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে প্রথম শ্রেণীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা। এই হলো জেপি দেওয়ান ত্রিপুরার শিক্ষাজীবনের সারসংক্ষেপ। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা কৃষক, মা গৃহিণী।
সম্মান অর্জনের পর জেপি ঝুঁকলেন মায়ের একটি স্বপ্ন পূরণের দিকে। মা চেয়েছিলেন তাঁর অন্তত একটি ছেলে বিসিএস প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত হোক। সেই অনুযায়ী চেষ্টা এবং সাফল্য লাভ। মায়ের স্বপ্ন তো পূরণ হলো। এবার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান জেপি। কী সেই স্বপ্ন? জেপি বলেন, 'ভবিষ্যতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে চাই। আমার সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকবে আইনের শাসন নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে আমি সচিব হতে চাই।'

থোয়াইঅংপ্রু মারমাথোয়াইঅংপ্রু মারমা 
৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার

খাগড়াছড়ির ছেলে থোয়াইঅংপ্রু মারমা ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন।
কিন্তু তাঁর সাফল্যের পথটা মসৃণ ছিল না। তিনি যে ইউনিয়নে থাকতেন, সেই ইউনিয়নে কোনো ভালো স্কুল না থাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার সূচনা হয়। ফেনী নদীর কূল থেকে প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হতো। রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজে। সেখানে ছিল শিক্ষকস্বল্পতা, ছিল যাতায়াতের সমস্যা। দিন বদলাতে শুরু করে তখন, যখন তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়। সম্মান শেষ করার পর তিনি নেমে পড়েন বিসিএস পরীক্ষার জন্য। অনেক চেষ্টার পর আসে সাফল্য। সেই সাফল্যের মূল্যায়ন করতে গিয়ে থোয়াইঅংপ্রু বলেন, 'সারাটা জীবন মা-বাবা আমাকে সৎভাবে চলার যে শিক্ষা দিয়েছেন, সে শিক্ষাকে মাথায় রেখে আমি মানুষের সেবা করতে চাই।'

পূর্বিতা চাকমাপূর্বিতা চাকমা 
৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডার

রাঙামাটি জেলার মেয়ে পূর্বিতা, বিসিএস সম্পর্কে ধারণা হওয়ার পর থেকেই যাঁর স্বপ্ন ছিল একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার। সেই স্বপ্নকে লালন করে অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ৩২তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে। আর ৩৩তম বিসিএসে সুপারিশকৃত হলেন প্রশাসনে নিয়োগের জন্য।
পূর্বিতার শিক্ষাজীবনের শুরু রাঙামাটিতেই। স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকার শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজে এইচএসসি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ক্যাম্পাসে পদচারণ এবং ধীরে ধীরে মানসিক ও আত্মিক উন্নতি। শামসুন্নাহার হলে থাকাকালীন রুমমেট বন্ধুদের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, পাশে থেকেছেন মা-বাবা, শিক্ষক ও কাছের বন্ধুজন। সবার প্রচেষ্টার মিলিত রূপ আজকের এই সাফল্য—এই বলে পূর্বিতা যোগ করেন, 'আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁদের সবার অবদানই অসামান্য। প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগলাভ করেই একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে দেশের সেবা করার স্বপ্নটি আমার পূরণ হবে।'

নিজের শিকড়কেও ভুলে যাননি পূর্বিতা। জানান, 'আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমার আদিবাসী সমাজ ও পাহাড়ের মানুষের মুখ উজ্জ্বল করার।'

 

গ্রন্থনা: দেব দুলাল গুহ

http://www.prothom-alo.com/education/article/137560/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] A letter of appeal to Mukto-mona friends



In this land, Jamaatis are not the lone scoundrels.  Many otherwise 'religious' persons find plunder of 'minorities' sanctioned by religion though they forbid usury or even bribe.


On Sat, Feb 1, 2014 at 10:18 PM, Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com> wrote:
 

Gandhi and Mandelas were qualitatively different animals than the religious supremacist, Jamat. Those people never imposed their religious wills on others. They were for separating religion from all state matters making all citizens equals and worthy. That was the key of their success. It is a great shame that you are equalizing these great humanists with the damn Jamati scoundrels.
-SD

 
"I speak for the trees, for the trees have no tongues."
-Seuss



On Saturday, February 1, 2014 8:48 AM, QR <qrahman@netscape.net> wrote:
 
Similar things have seen said about Gandhi but his peace loving message won hearts of people from many faith backgrounds. In our times, Nelson Mandela is another fine example.

Before secularists or anyone else wish to confront another ideology, they have to make sure their own platform is filled with HONEST and dedicated people.

For example when a secularist Palestine Liberation Organization lead the struggle of independence, people from all faith background (Even communist/atheist) joined in. However over the time horrible amount of corruption in the leadership and failed policies made them unpopular with many Palestinians.

Later on, Israel encouraged religious parties to counter PLO (Later PA) movement and they flourished. This was after Mosad, CIA, ISI and Saudis hatched the Taleban movement in Afghanistan and moved Soviets out of Afghanistan. So we have seen Hamas became wildly popular among certain parts of Palestine.


So whatever
movement you feel passionately about has to be carried out by honest, dedicated and talented people. We do not have a lot of political leaders with such qualities, so alternatives became more appealing to a lot of people.

It is going to take a lot of time and commitment from a large number of people.

Therefore, once we make ourselves better people, mainstream population will automatically follow. Until then badmouthing and slander will have opposite effect.

Shalom!

-----Original Message-----
From: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Fri, Jan 31, 2014 7:48 pm
Subject: Re: [mukto-mona] A letter of appeal to Mukto-mona friends

 
"These Jamaatis can only be held in check by moderate, peace loving secularists like us and other well intention people."....pipe dream!!!


On Sun, Jan 26, 2014 at 3:12 AM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:
 
Dr Avijit Roy
cc. Prof. Ajoy Roy

I must praise and commend Prof Ajoy Roy's dedication and commitment to the cause to help the minorities in Bangladesh. It is indeed an extremely praiseworthy endeavour that Prof Roy had been doing for good many years now. I would feel privileged to support this endeavour financially and, if possible, help propagate this ideal such that it can achieve even greater successes.
Incidentally, I am coming to Dhaka at the middle of February for just one week. If possible, please contact me personally (in my email address) with your phone number so that I can make a donation while I am in Dhaka.

Now I must also say that I read Dr Bain's and Dr Jiten Roy's egregious outburst which disappointed me tremendously. Both of them advocated religious minorities to have guns (in keeping with the gangster mentality they may have developed in America) and start a riot unseen anywhere in the subcontinent recently. These are the people masquerading as mukto-monas preaching blatant parochial behaviour!! Their attitude is particularly hideous when the general atmosphere in Bangladesh is turning towards reconciliation, proper protection of minorities and the punishment of the perpetrators of crimes during the last few months. 

Instead of encouraging this cordial atmosphere and establish a lasting and peaceful coexistence between the communities, these guys think that with few guns they can take revenge on the overwhelming majority. This sort of attitude is utterly condemnable. Hardly do they realise that the 8 per cent of the Hindu minority will have no cats in hell's chance against the violent Jamaatis. These Jamaatis can only be held in check by moderate, peace loving secularists like us and other well intention people. Any flare up of violence, as they advocate from the safety of America, will change the landscape completely!

- Dr A Rahman       


Sent: Friday, 24 January 2014, 18:50

Subject: [mukto-mona] A letter of appeal to Mukto-mona friends [1 Attachment]

 
Attention:
Dr. Avijit Roy
Moderator & members of Mukto-mona Groups 

Dear Avijit,
 
For a long time I have not been not in touch with you. As you know these days I am pretty busy with so called minority persecution almost throughout the year 2013. 2012 year witnessed the devastating communal violence at Ramu, Cox’sbazar on the Buddha Communities and on their monasteries. I myself visited the cite, saw the extent of man-made devastation could be by the fanatics which included not only the Jamatis and BNPs but a section of Awami League followers being influenced by the false propaganda that through a Facebook a Buddhist young man insulted the Prophet of Islam (sm).
 
Recently our team visited the affected areas of Karnai in Dinajpur where thousands of men and women were persecuted, manhandles, women were insulted, houses and business establishments broken, set fire and looted the properties. I have a sent a detail report to Mukto-mona. Now we have to do something positive materially to rehabilitate most affected families say about 100-150. We made an assessment. The programme needs ~ 40-50 lac BD taka.
 
You once hinted that Mokto-mona wants to do some thing positive. 50 lac (5,000,000) BT taka will be around ~ 62,500 US$. Can Mukto-mona Friends come forward to raise the fund for the victims of Karnai village, Dinajpur.
 
I very honestly appeal to Mukto-mona members to come forward to raise the fund for the sake of human sufferings. We did the similar rehabilitation programme at Annada Prasad village and at Khedaimari School, a char Island in River Brahmaputra a few years back.
 
I am enclosing here with the rehabilitation programme of Karnai people.
 
With love to you and very good wishes to your Mukto mona groups    
 
Yours affectionately
Baba
(Professor Ajoy Roy)
DU, Dhaka.
24 January 2014-01-25

Ps: can you send the link in which you wrote about me 'Tini Bridha Holen etc. I lost the article of yours that I and your mom liked very much, and want to preserve it. Do something for it. I am physically passing very hard days. Cost of my own and your mom's treatment plus the domestic expenditure almost became unbearable. Please don't take it otherwise. Some how I am managing.      








__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় - খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে !



People should stand up and fight if they are attacked. Can Jamatis and others annihilate some15-20 million people in Bangladesh in this age? Did not Pakistanis try to do that before? Do you know where the second genocide would lead to? Can Jamatis fight a third World war in Bangladesh? I bet, they wouldn't.
-SD

 
"I speak for the trees, for the trees have no tongues."
-Seuss



On Saturday, February 1, 2014 4:43 PM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:
 
I agree with you what you said here, particularly: they (BNP) need to manufacture communal tension, if there is none. Such strategy is against the spirit of liberation struggle, and it is not good for Bangladesh. With such policies, BNP cannot build peaceful Bangladesh, it will drive the country into a chaos, and  conflict. 

But didn't you put in an earlier posting that Hindus should be armed with guns and fight against the Jamaatis? If the Hindus do follow your prescription and fight back, knowing very well that they will be annihilated, that would be national disaster and there will be tremendous communal tension. Are you not then playing BNP game and helping them to achieve what they want to achieve? 

Sorry to pinpoint such contradictory messages from you.

- AR 

From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, 1 February 2014, 14:04
Subject: Re: [mukto-mona] বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় - খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে !

 

Prime Minister should trust her advisers, but verify everything independently. She should remember – nothing happens in politics without interest. She should follow President Reagan's – trust but verify principle. I wish Bangobondhu followed this principle; apparently he trusted everybody around him.
 
Unlike BNP, Awami League is lucky to have a courageous and principled leader, like Sheikh Hasina. She made mistakes in her previous term by giving too much responsibility to some young unknown and untested individuals, who were incompetent for the positions they were given. I raised this issue many times before. Those young ministers were unable to launch a publicity campaign for the progress their government made.  Only Sheikh Hasina was making the case for it, whenever she could. As a result, most people believed the falsehood BNP/Jamat were propagating.
 
BNP was formed to keep anti-secular, anti-Bangali Pakistani political ideology alive in Bangladesh. So, its political ideology depends on falsehood. BNP can't survive without Pakistani India-phobia propaganda; they need to keep people under constant threat from India, and for that - they need to manufacture communal tension, if there is none. Such strategy is against the spirit of liberation struggle, and it is not good for Bangladesh. With such policies, BNP cannot build peaceful Bangladesh, it will drive the country into a chaos, and  conflict.

Jiten Roy



On Saturday, February 1, 2014 7:02 AM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২
বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায়
বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
মুক্তিযুদ্ধের অর্থ : বাংলাদেশে সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, সেক্যুলার সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সেক্যুলার জীবন দর্শন প্রতিষ্ঠা করা। কলোনি কালে, পাকিস্তান আমলে, পাকিস্তান রাষ্ট্র, পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিচালক রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং মুসলিম লীগ ও সেনাবাহিনীর সহযোগী জামায়াতে ইসলাম সেক্যুলার রাজনীতির বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য : যারা সেক্যুলার রাজনীতি করে তারা হিন্দু, আর যারা নন সেক্যুলার রাজনীতি করে তারা মুসলমান। মুসলমানের শত্রু : হিন্দু এবং হিন্দুদের বাসভূমি ভারত। বিএনপি রাজনীতির দিক থেকে মুসলিম লীগের উত্তরসূরি এবং সশস্ত্র জঙ্গী রাজনীতির দিক থেকে একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামের উত্তরসূরি। 
মুসলিম লীগ মরে গেছে কিন্তু মুসলিম লীগের মতাদর্শ বিএনপি ধারণ করে আছে। এই মতাদর্শের অর্থ : নন সেক্যুলার রাজনীতিকে দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী করে রাখা এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদ ব্যবহার করা। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি হচ্ছে মুসলমানদের রাজনীতি, মুসলমানদের রাজনীতির ক্ষেত্র বাংলাদেশ এবং সংখ্যালঘিষ্টের অর্থ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের রাজনীতির মধ্যে অধস্তন হয়ে থাকা। বিএনপির মধ্যে দু'ধরনের রাজনীতি যুক্ত। প্রথমটি হচ্ছে মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে উত্থিত সন্ত্রাসী রাজনীতি।
এই দুই রাজনীতি বিএনপির রাজনীতির বাস্তবতা তৈরি করেছে। এই রাজনীতির বাস্তবতার একদিকে আছে মনোলিথিক জাতিক ভৌগোলকিতা তৈরি করা; মিয়ানমারের যে অংশ মুসলিমপ্রধান, বাংলাদেশে একটি একক জাতির প্রাধান্য তৈরি করা, ভারতে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জাতীয়তা তৈরি করা, পাকিস্তানে একটি একক জাতীয়তা তৈরি হয়ে আছে, এই সব অঞ্চল নিয়ে একটি একক মুসলিম জাতি নির্মাণ করা। 
খালেদা জিয়া ভোটের সময় এবং ভোটপরবর্তী সময়ে বলতে থাকেন, যেমন বলেছেন পূর্ববর্তী একটি নির্বাচন সময়ে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ফেনী থেকে সব অঞ্চল ভারতের অঙ্গরাজ্যে পর্যবসিত হবে এবং মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে জামায়াত-বিএনপি একত্রে দেশের বিভিন্ন অংশে সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী সমর্থকদের, বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, সংখ্যালঘু জনসমর্থের নারীদের ওপর তাদের উদ্যোগে নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতাবেন করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া, সাতক্ষীরা গিয়ে বলেছেন যৌথবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে এমন সব চেহারার মানুষ, যারা এদেশের বাসিন্দা নয়।
খালেদা জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা আছে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে বহুজাতির দেশ বলে বিশ্বাস করেন না। তাঁর বিশ্বাস মোতাবেক বাংলাদেশে একটি একক জাতি বাস করে, তারা মুসলমান, বাকি সব জাতি; হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান পাহাড়ী এবং তারণ্যক জনসমষ্টি মুসলমান জাতির কাছে অর্ধস্তন, সেদিক থেকে অধস্তন জনসমষ্টির মৌলিক অধিকার নেই। 
যারা অধস্তন তারা নাগরিক নয়। যারা নাগরিক নয়, তাদের ভিন্ন ধর্ম পালনের অধিকার নেই, তাদের জমিজমা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর অধিকার নেই। একটি একক জাতির আধিপত্য বিস্তার করতে হবে এবং একক জাতির আধিপত্য শক্তিশালী করতে হবে সন্ত্রাস ও সশস্ত্র শক্তির মাধ্যমে। তাহলেই মুসলমান জাতির রাজনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী করা সম্ভব হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমান জাতির রাজনীতির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম উম্মার রাজনীতির মেলবন্ধন সম্ভব হবে। মুসলিম উম্মার রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্যে মুখথুবড়ে পড়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমাগত সন্ত্রাসী রাজনীতিতে পর্যবসিত হচ্ছে : এ সম্বন্ধে খালেদা জিয়ার ধারণা অস্পষ্ট। মুসলিম উম্মার কনসেপ্ট এখন খ-বিখ- : মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম উম্মার কনসেপ্টের মধ্যে এখন আল কায়দার অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম উম্মার কনসেপ্টের মধ্যে জামায়াতে ইসলামের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
যে কোন সমাজ ব্যবস্থায় আত্মঘাতের পথ তৈরি হয় সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে। খালেদা জিয়া, বাংলাদেশে, এই আত্মঘাতের পথ তৈরি করেছেন বিএনপি-জামায়াতের মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়ে। খালেদা জিয়া তাঁর কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গুডবাই জানাচ্ছেন। তাঁকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। যারা বাংলাদেশে অনবরত আল কায়েদা (আল কায়েদার অপর নাম জামায়াত) তৈরি করে তাদের রাজনীতিকে বিদায় জানাবার সময় এসেছে। খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২









__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় - খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে !




Dr. Rahman,

What I said is about self-defense, which is a God given fundamental human right for everybody. Why would do you think that is so bad for Hindus? What would you do – if someone enters into your home and start beating everybody, or try to burn your home or try to violate women in your home? Would you not try to defend your family members? Please think about it.

Resistance movement is against criminals and criminality. It was not against any political party, be that Jamat or BNP or Awami League. Why would that make Hindus more vulnerable?

Recently, some local Jamat leaders even said that they will stand alongside Hindus to resist future attacks on them. They said they are being blamed for the crimes committed by others. And, my belief is – if Hindus appeal to them for protection, they will come forward and help them in times of need. Hindus just need to take initiatives to organize such resistance movement.

You said - Hindus will be annihilated if they try to defend their basic human right, which is self-defense. I do not understand what you are trying to say here. Historically, Hindus have not resisted any attacks on them ever. That did not stop their annihilation (Hindus were ~32% in 1947, 18% in 1971, ~10% 2011).

It is hard for me to imagine that - these crimes are sanctioned by any political party. It can't be. I believe - it is mostly driven by personal interests, which could be personal political interest also. As long as such events are not sanctioned by the political ideology of a party, they should not be considered as political issue. Resistance movement by Hindus is against criminals, and everybody should encourage it, help them, and stand alongside Hindus in that fight.

In the civilized countries, there are neighborhood watch groups, vigilante groups, etc. against local criminal activities. In Bangladesh, Hindus are vulnerable and weak; please encourage them and help them to protect themselves from criminals and thugs.


Jiten Roy



On Saturday, February 1, 2014 4:43 PM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:
 
I agree with you what you said here, particularly: they (BNP) need to manufacture communal tension, if there is none. Such strategy is against the spirit of liberation struggle, and it is not good for Bangladesh. With such policies, BNP cannot build peaceful Bangladesh, it will drive the country into a chaos, and  conflict. 

But didn't you put in an earlier posting that Hindus should be armed with guns and fight against the Jamaatis? If the Hindus do follow your prescription and fight back, knowing very well that they will be annihilated, that would be national disaster and there will be tremendous communal tension. Are you not then playing BNP game and helping them to achieve what they want to achieve? 

Sorry to pinpoint such contradictory messages from you.

- AR 

From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, 1 February 2014, 14:04
Subject: Re: [mukto-mona] বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় - খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে !

 

Prime Minister should trust her advisers, but verify everything independently. She should remember – nothing happens in politics without interest. She should follow President Reagan's – trust but verify principle. I wish Bangobondhu followed this principle; apparently he trusted everybody around him.
 
Unlike BNP, Awami League is lucky to have a courageous and principled leader, like Sheikh Hasina. She made mistakes in her previous term by giving too much responsibility to some young unknown and untested individuals, who were incompetent for the positions they were given. I raised this issue many times before. Those young ministers were unable to launch a publicity campaign for the progress their government made.  Only Sheikh Hasina was making the case for it, whenever she could. As a result, most people believed the falsehood BNP/Jamat were propagating.
 
BNP was formed to keep anti-secular, anti-Bangali Pakistani political ideology alive in Bangladesh. So, its political ideology depends on falsehood. BNP can't survive without Pakistani India-phobia propaganda; they need to keep people under constant threat from India, and for that - they need to manufacture communal tension, if there is none. Such strategy is against the spirit of liberation struggle, and it is not good for Bangladesh. With such policies, BNP cannot build peaceful Bangladesh, it will drive the country into a chaos, and  conflict.

Jiten Roy



On Saturday, February 1, 2014 7:02 AM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২
বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায়
বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
মুক্তিযুদ্ধের অর্থ : বাংলাদেশে সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, সেক্যুলার সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, সেক্যুলার জীবন দর্শন প্রতিষ্ঠা করা। কলোনি কালে, পাকিস্তান আমলে, পাকিস্তান রাষ্ট্র, পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিচালক রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং মুসলিম লীগ ও সেনাবাহিনীর সহযোগী জামায়াতে ইসলাম সেক্যুলার রাজনীতির বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য : যারা সেক্যুলার রাজনীতি করে তারা হিন্দু, আর যারা নন সেক্যুলার রাজনীতি করে তারা মুসলমান। মুসলমানের শত্রু : হিন্দু এবং হিন্দুদের বাসভূমি ভারত। বিএনপি রাজনীতির দিক থেকে মুসলিম লীগের উত্তরসূরি এবং সশস্ত্র জঙ্গী রাজনীতির দিক থেকে একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামের উত্তরসূরি। 
মুসলিম লীগ মরে গেছে কিন্তু মুসলিম লীগের মতাদর্শ বিএনপি ধারণ করে আছে। এই মতাদর্শের অর্থ : নন সেক্যুলার রাজনীতিকে দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী করে রাখা এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদ ব্যবহার করা। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি হচ্ছে মুসলমানদের রাজনীতি, মুসলমানদের রাজনীতির ক্ষেত্র বাংলাদেশ এবং সংখ্যালঘিষ্টের অর্থ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের রাজনীতির মধ্যে অধস্তন হয়ে থাকা। বিএনপির মধ্যে দু'ধরনের রাজনীতি যুক্ত। প্রথমটি হচ্ছে মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে উত্থিত সন্ত্রাসী রাজনীতি।
এই দুই রাজনীতি বিএনপির রাজনীতির বাস্তবতা তৈরি করেছে। এই রাজনীতির বাস্তবতার একদিকে আছে মনোলিথিক জাতিক ভৌগোলকিতা তৈরি করা; মিয়ানমারের যে অংশ মুসলিমপ্রধান, বাংলাদেশে একটি একক জাতির প্রাধান্য তৈরি করা, ভারতে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জাতীয়তা তৈরি করা, পাকিস্তানে একটি একক জাতীয়তা তৈরি হয়ে আছে, এই সব অঞ্চল নিয়ে একটি একক মুসলিম জাতি নির্মাণ করা। 
খালেদা জিয়া ভোটের সময় এবং ভোটপরবর্তী সময়ে বলতে থাকেন, যেমন বলেছেন পূর্ববর্তী একটি নির্বাচন সময়ে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ফেনী থেকে সব অঞ্চল ভারতের অঙ্গরাজ্যে পর্যবসিত হবে এবং মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে জামায়াত-বিএনপি একত্রে দেশের বিভিন্ন অংশে সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী সমর্থকদের, বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, সংখ্যালঘু জনসমর্থের নারীদের ওপর তাদের উদ্যোগে নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতাবেন করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া, সাতক্ষীরা গিয়ে বলেছেন যৌথবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে এমন সব চেহারার মানুষ, যারা এদেশের বাসিন্দা নয়।
খালেদা জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা আছে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে বহুজাতির দেশ বলে বিশ্বাস করেন না। তাঁর বিশ্বাস মোতাবেক বাংলাদেশে একটি একক জাতি বাস করে, তারা মুসলমান, বাকি সব জাতি; হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান পাহাড়ী এবং তারণ্যক জনসমষ্টি মুসলমান জাতির কাছে অর্ধস্তন, সেদিক থেকে অধস্তন জনসমষ্টির মৌলিক অধিকার নেই। 
যারা অধস্তন তারা নাগরিক নয়। যারা নাগরিক নয়, তাদের ভিন্ন ধর্ম পালনের অধিকার নেই, তাদের জমিজমা ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর অধিকার নেই। একটি একক জাতির আধিপত্য বিস্তার করতে হবে এবং একক জাতির আধিপত্য শক্তিশালী করতে হবে সন্ত্রাস ও সশস্ত্র শক্তির মাধ্যমে। তাহলেই মুসলমান জাতির রাজনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী করা সম্ভব হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমান জাতির রাজনীতির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম উম্মার রাজনীতির মেলবন্ধন সম্ভব হবে। মুসলিম উম্মার রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্যে মুখথুবড়ে পড়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমাগত সন্ত্রাসী রাজনীতিতে পর্যবসিত হচ্ছে : এ সম্বন্ধে খালেদা জিয়ার ধারণা অস্পষ্ট। মুসলিম উম্মার কনসেপ্ট এখন খ-বিখ- : মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম উম্মার কনসেপ্টের মধ্যে এখন আল কায়দার অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম উম্মার কনসেপ্টের মধ্যে জামায়াতে ইসলামের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
যে কোন সমাজ ব্যবস্থায় আত্মঘাতের পথ তৈরি হয় সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে। খালেদা জিয়া, বাংলাদেশে, এই আত্মঘাতের পথ তৈরি করেছেন বিএনপি-জামায়াতের মেলবন্ধনের মধ্যে দিয়ে। খালেদা জিয়া তাঁর কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গুডবাই জানাচ্ছেন। তাঁকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। যারা বাংলাদেশে অনবরত আল কায়েদা (আল কায়েদার অপর নাম জামায়াত) তৈরি করে তাদের রাজনীতিকে বিদায় জানাবার সময় এসেছে। খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২









__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___