Banner Advertiser

Wednesday, May 25, 2016

Re: [mukto-mona] জিয়া-মঞ্জুর হত্যা, এরশাদের ক্ষমতা দখল এবং নেপথ্যের ষড়যন্ত্র [1 Attachment]

[Attachment(s) from 'Md.Hasibul Hassan Habib' think_tank_habib@yahoo.com [mukto-mona] included below]

বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া হাট্টু খান টাট্টুখান হাল্লু লাল্লু ফাল্লউ ইত্যাদির সাথে একেক সময়ে একেক ভাজ দিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্যে যত পদের অন্যায় অত্যাচার অবিচার করেগেছে । ১০ বছর ক্ষমতায় থাকছে কিন্তু জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেনাই ।
জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার হওয়া উচিত ।।

সরকার যদি এখন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করে তাহলে দেশের মানুষ কি অখুশী হবে নাকি খুশী হবে ??


On Thursday, May 26, 2016 4:49 AM, "'Jamal G. Khan' M.JamalGhaus@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
জিয়া-মঞ্জুর হত্যা, এরশাদের ক্ষমতা দখল এবং নেপথ্যের ষড়যন্ত্র
মোহাম্মদ শাহজাহান

আজ থেকে ৩৫ বছর আগে মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং চট্টগ্রামের জিওসি জে. এমএ মঞ্জুরকে চট্টগ্রামে হত্যা করা হয়। জিয়া-মঞ্জুর দু'জনই একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। কর্নেল তাহের ও জে. মঞ্জুরসহ আরও অনেক সেনা কর্মকর্তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ ১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোরে জে. জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা এখন সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সত্য যে, যারা জিয়াকে হত্যা করেছে, তারাই আবার জে. মঞ্জুরকেও হত্যা করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের লক্ষ্য নিয়েই এই দুই জেনারেলকে হত্যা করা হয়। জিয়া-মঞ্জুর হত্যার ১০ মাস পর দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ৩০ মে সংঘটিত সেনাবিদ্রোহের বিচার হলেও দীর্ঘ ৩৫ বছরে জিয়া-মঞ্জুর হত্যার বিচার হয়নি। জিয়া-মঞ্জুর হত্যায় সবচেয়ে লাভবান ব্যক্তি হচ্ছেন জে. এরশাদ। এমতাবস্থায় জিয়া-মঞ্জুর হত্যা-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জেনারেল এরশাদ যে কোনো না কোনোভাবে জড়িত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


বিগত ৩৫ বছরে জিয়া-মঞ্জুর হত্যার বিচার হয়নি। জে. জিয়ার সহধর্মিণী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দু'বার ১০ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও এই দুটি হত্যাকা-ের বিচার করেননি। গত ৩ দশকে এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে এ হত্যার জন্য একে অপরকে দায়ী করে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ১৯৯৫ সালে মঞ্জুর হত্যার বিচার শুরু হলেও কিছুদিন চলার পর মাঝখানে থেমে গেছে। তবে বিশিষ্ট গবেষক এএসএম সামছুল আরেফিন 'জিয়া-মঞ্জুর হত্যাকা- এবং তারপর' শিরোনামে ১৯৯৮ সালে একটি তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। এ নিবন্ধে উক্ত বই থেকে বেশ কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।


যদ্দূর জানা যায়, যেই জিয়া হত্যার জন্য জে. মঞ্জুরকে দায়ী করা হয়, সেই হত্যাকা- সম্পর্কে জে. মঞ্জুর কিছুই জানতেন না। শুধু জে. মঞ্জুর নন, চট্টগ্রাম বিদ্রোহের দায়ে ফাঁসিতে হত্যা করা ১৩ জনের মধ্যে প্রায় সবাই ছিলেন নির্দোষ। 'জিয়া-মঞ্জুর হত্যাকা- ও তারপর' গ্রন্থে সানাউল্লাহ লিখেছেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যার পর হত্যকারীরা হত্যাকা-ের দায়-দায়িত্ব নিতে জিওসি জে. মঞ্জুরকে এক প্রকার বাধ্য করেন। তিনি আরও লিখেছেন, সুপরিকল্পিতভাবে কিভাবে জে. মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়েছে।


সানাউল্লাহ লিখেছেন, '৩০ মে ভোর সাড়ে ৪টার কিছু পরে টেলিফোন বেজে উঠলে ঘুম ভেঙে ফোন ধরেন জে. মঞ্জুর। অন্য প্রান্ত থেকে মেজর মোজাফফর জানান,'The President has been killed'. মঞ্জুর তার দফতরে গিয়ে দেখলেন, তার জন্য সেখানে ৪০ জন সামরিক অফিসার অপেক্ষা করছেন। উপস্থিত অফিসারদের জেনারেল বললেন, 'কিছু সেনা অফিসার প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকা- ঘটার পেছনে অবশ্যই অফিসারদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ কাজ করেছে। সেনাবাহিনীর ভেতরে মুক্তিযোদ্ধা এবং অমুক্তিযোদ্ধাদের একটা দ্বন্দ্ব অনেকদিন থেকে বিরাজ করছে। মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মাঝে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই এ হত্যাকান্ডের অন্যতম কারণ। ঘটনা যখন ঘটে গেছে তখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আপনারা আপনাদের মতামত নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। উপস্থিত ৪০ জন অফিসারই সমর্থন জানালেন হাত তুলে।' উপস্থিত একজন অমুক্তিযোদ্ধা অফিসার উঠে দাঁড়িয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, 'আমাদের শুধু হাত তুলে এ ঘটনার প্রতি সমর্থন জানালে চলবে না, শপথ নিতে হবে।' নিজ উদ্যোগে দফতরে রাখা একটা কোরআন শরিফ নিয়ে এলেন তিনি। মেজর জেনারেল মঞ্জুরের সামনে পবিত্র কোরআর ছুঁয়ে একে একে শপথ নিলেন সবাই। (পৃষ্ঠা ১৯২)।


জে. মঞ্জুরের নির্দেশে একজন ব্রিগেডিয়ার দু'পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্যে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের পর সেনাপ্রধান এরশাদ বিদ্রোহী দলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান প্রস্তাব করেন 'আত্মসমর্পণের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিবারসহ বিশেষ বিমানে বিদেশে প্রেরণ করা হবে।' শুধু তাই নয়, পরের ৬ মাসের মধ্যে তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিলেন তিনি। আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাশে বসে থাকা কর্নেল মতিউর রহমান উত্তেজিত হয়ে ঝট করে টেনে নিলেন রিসিভার নিয়ে চেঁচিয়ে জে. এরশাদকে বলেন, 'আমাদের সারেন্ডার করার প্রশ্নই আসে না। সারেন্ডার যদি করতে হয়_ করবেন আপনারা, আমরা না।' (পৃষ্ঠা ১৯৩)


৩০ ও ৩১ মে দু'দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে যায়। শুভপুর ব্রিজ রক্ষা করার জন্য পাঠানো মেজর কাইয়ুম আর মেজর দোস্ত মোহাম্মদ কুমিল্লা থেকে আগত সেনাদলের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ৩১ মে সন্ধ্যায় ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে বসে তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এ সময় কর্নেল মতিউর রহমান সবাইকে বলেন, 'Gentlemen we have lost the battle আমাদের সামনে এখন দুটো পথই খোলা আছে, হয় আত্মহত্যা না হয় পলায়ন।' এরপরেও জে. মঞ্জুর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সবদিক চিন্তা করে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহকে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিলেন। জে. মঞ্জুরের নির্দেশ মোতাবেক ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ ঢাকায় সেনাপ্রধান জে. এরশাদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেন। ব্যর্থ হলো সর্বশেষ এ আলোচনাও।


সহকর্মীদের প্রস্তাবে সবাইকে ছেড়ে পালিয়ে যেতে রাজি হলেন না জে. মঞ্জুর। অনেকটা জোর করেই মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে টেনে তোলা হলো জিপে। ৩১ মে রাত ১টারও কিছু পর বাসায় ঢুকলেন মঞ্জুর। সঙ্গে মেজর মোজাফফর, সিকিউরিটি অফিসার মেজর রেজা রয়ে গেলেন গাড়িতে। ড্রইংরুমে বসা মোজাফফর জানতে চান, 'স্যার আপনি কি জাতির উদ্দেশে কিছু বলতে চান?' সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন জেনারেল। ওই মুহূর্তে ১৫ মিনিটের একটি ভাষণ রেকর্ড করা হলো। ক্যাসেটে অভ্যুত্থানের প্রারম্ভ থেকে সব ঘটনাই বললেন মঞ্জুর। সেনাবাহিনীর ভেতরে জে. এরশাদ কি ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন, তাও জানালেন। মেজর মোজাফফর দেশবাসীর কাছে প্রচারের জন্য একজন অফিসারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বেতারে ক্যাসেটটি পাঠিয়েছিলেন। ওই ভাষণে জে. মঞ্জুর জানিয়েছিলেন, তার অজান্তে রাষ্ট্রপতিকে হত্যার পর কি পরিস্থিতিতে তিনি জিয়া হত্যার দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। মঞ্জুরের রেকর্ড করা শেষ ভাষণটি বেতার থেকে আর প্রচারিত হয়নি।


১ জুন দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে জে. মঞ্জুরকে আটক অবস্থায় প্রথমে ফটিকছড়ি ও পরে হাটহাজারী থানায় নিয়ে আসা হয়। মুহূর্তে মঞ্জুরের ধরা পড়ার খবর প্রচার হয়ে যায়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় পেঁৗছেন। কিছুক্ষণ পর আর্মির জলপাই রঙের একটি ভ্যান আসে থানায়। ক্যাপ্টেন এমদাদসহ (পরে মেজর) ১০-১২ জন ভ্যান থেকে নামেন। মঞ্জুরকে চোখ-হাত-পা বেঁধে ওই গাড়িতে এবং স্ত্রীসহ অন্যদের আলাদা গাড়িতে উঠানো হয়। তৎকালীন ডিআইজি (পরে আইজি) এসএম শাহজাহানসহ পুলিশ সদস্যরা বন্দীদের রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসকর্ট করে সেনানিবাসের গেট পর্যন্ত পেঁৗছে দেন। গাড়িতে উঠার আগে মঞ্জুর ডিআইজির উদ্দেশে বলেন, 'শাহজাহান, আমরা তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। আমাদের তুমি সেনানিবাসে পাঠাতে পার না।'


জে. মঞ্জুরকে ঢাকার নির্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে কিভাবে হত্যা করা হয়, তার বর্ণনাও রয়েছে 'জিয়া-মঞ্জুর হত্যাকা- এবং তারপর' গ্রন্থে। ১ জুন সন্ধ্যার কিছু আগে ক্যাপ্টেন এমদাদকে ডেকে পাঠান ব্রিগেডিয়ার আজিজুল ইসলাম ('৯২ সালে তিনি মারা যান)। সিওর কক্ষে ঢুকে দেখতে পান ব্রিগেডিয়ার (পরে জেনারেল) লতিফকে। এমদাদকে দায়িত্ব দেয়া হয় হাটহাজারী থানা থেকে জে. মঞ্জুরকে নিয়ে আসার পথে অথবা সেনানিবাসে এনে হত্যা করতে হবে। এ সময় ব্রিগেডিয়ার আজিজ ব্রিগেডিয়ার লতিফকে বলেছিলেন, 'বিষয়টি আর একবার ভেবে দেখবেন স্যার?' লতিফ জানান, 'সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে, এটা এখন কার্যকর করতে হবে।' এ সময় ঢাকা থেকে ব্রিগেডিয়ার আজিজের কাছে ফোন আসে। এমদাদকে বাইরে যেতে বলে প্রায় ১৫ মিনিট আজিজ ফোনে কথা বলেন। ... হাত-পা-চোখ বাঁধা জে. মঞ্জুর থানা থেকে সেনানিবাসে আসার পথে বুঝতে পারছিলেন তার শেষ পরিণতির কথা। জিপের পেছনে বসা জেনারেল সেই অবস্থাতেই বলছিলেন, 'সামরিক বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের কথা, সামরিক বিদ্রোহের ঘটনা, প্রেসিডেন্ট জিয়ার হত্যাকা- এসবে তার সংশ্লিষ্টতার কথা। বলছিলেন, প্রেসিডেন্টকে হত্যার কোনো পরিকল্পনাই তার ছিল না। তবুও ঘটনা যখন ঘটেই যায়, তখন সব দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তাকে নিতে হয়েছে। (পৃষ্ঠা ২০৯, ২১০ ও ২১১)।


... হাটহাজারী থেকে সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে জিপ থামল। জেনারেলকে নামানো হলো জিপ থেকে। শেষ কথাগুলো বললেন মঞ্জুর, ক্যাপ্টেন এমদাদ ও জওয়ানদের। 'আমার স্ত্রীকে বলবেন আমাকে মাফ করে দিতে। স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারলাম না। যারা আমার উদ্দেশ্য জানে, তাদের বলবেন দয়া করে জানাতে।' একটু থেমে জেনারেল আবার বললেন, 'আমার পকেটে একটি ছোট কোরআন শরিফ আছে, একটি ফরমেশন সাইন আছে, এগুলো রেখে দেবেন।' ক্যাপ্টেন এমদাদ ও জওয়ানরা ক্ষমা চাইলেন মঞ্জুরের কাছে। দোয়া-দরুদ পড়লেন সবাই। প্রথমে কেউই গুলি করতে রাজি হলেন না। শেষ পর্যন্ত হাবিলদার আবদুল মালেক বস্ন্যাংক রেঞ্জে মঞ্জুরের মাথায় একটি মাত্র গুলিতে তাকে হত্যা করে। রাত ১২টা বাজতে তখনও কিছু সময় বাকি। (পৃষ্ঠা ২১২)।


জিয়া-মঞ্জুর হত্যার পর মাত্র সাড়ে ৩ মাসের মাথায় '৮১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮ দিনের গোপন বিচারে ১৩ মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে হত্যা করা হয়। আরও বহু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে চাকরিচ্যুত এবং চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়। অনেককে গুরুত্বহীন পদে বদলি, আবার কাউকে কাউকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জিয়া-মঞ্জুর হত্যার পর সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও জওয়ানদের ভবিষ্যৎ একেবারেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।


জিয়া-মঞ্জুর হত্যার ১০ মাসের মাথায় সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। ৯ বছর স্বৈরশাসনের পর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হয়।'


এটা এখন স্পষ্ট, জিয়া-মঞ্জুর হত্যা-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জে. এরশাদের ক্ষমতা দখল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই দুটি হত্যায় সবচেয়ে বেশি লাভবান ব্যক্তি হচ্ছেন জে. এরশাদ। জিয়া-মঞ্জুরকে হত্যা করা না হলে এরশাদ কোনোদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না। অমুক্তিযোদ্ধা এরশাদের ক্ষমতা দখলের পথ প্রশস্ত করার জন্যই মাত্র ১৮ দিনের গোপন বিচারে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসিতে হত্যা করা হয়।


উচ্চ আদালতের রায়ে মোশতাক, জিয়া, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেনা বিদ্রোহের বিচার হলেও জিয়া-মঞ্জুর হত্যার বিচার ৩৫ বছরে হয়নি। বর্তমান সরকার রাজনৈতিক কারণে হয়তো জিয়া হত্যার বিচার করবে না। অবশ্য বিএনপিও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জিয়া-মঞ্জুর হত্যার বিচার করেনি। মঞ্জুর হত্যার বিচার মাঝপথে থেমে রয়েছে। কাকে বাঁচানোর জন্য মঞ্জুর হত্যার বিচার বন্ধ রয়েছে, দেশবাসী তা জানে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জে. মঞ্জুর হত্যার বিচার সম্পন্ন করা উচিত। ফাঁসিতে নিহতদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু আসল সত্য উদ্ঘাটিত হলে নিহতদের পরিবার-পরিজন, সন্তানাদি তাদের হারানো সম্মান ফিরে পাবেন। ফাঁসিতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন না, এটুকু প্রমাণের জন্য হলেও জিয়া হত্যা-ষড়যন্ত্রের পুনঃতদন্ত হতে পারে।


২২ মে ২০১৬।


[লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাবার্তা]

Inline image 2




__._,_.___

Attachment(s) from 'Md.Hasibul Hassan Habib' think_tank_habib@yahoo.com [mukto-mona] | View attachments on the web

1 of 1 Photo(s)


Posted by: "Md.Hasibul Hassan Habib" <think_tank_habib@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ধর্ম কেন কোনও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পার্টির ভিত্তি হতে পারে না?



ধর্ম কেন কোনও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পার্টির ভিত্তি হতে পারে না?

উত্তরটা অনেকেই গুছিয়ে বলতে পারে না -- তাই ধর্ম-ব্যাবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা।
উত্তরটা আসলে সহজ-সরল।
ধর্ম হলো সর্বজনীন -- কোন একটি গ্রুপের বাপের সম্পত্তি নয়। 
যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করে তাদের ভাবখানা যেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতা'লা একমাত্র তাদের পার্টির বান্দা, আর কোন পার্টির নন - -
কী ভয়ঙ্কর জঘন্য শেরেকী!
God does not belong to any political party!
 

Now, read this disgusting piece of sophistry by Firoz Kamal :


১৯৭০'য়ের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ; স্থানটি ছিল পুরোন পল্টনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের দো'তালায়। [.. .] কেউ কেউ তার সাথে বাসায় একান্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চাইছেন। সামনে নির্বাচন, ফলে শেখ মুজিবের সাথে তাদের আলোচনার মূল বিষয়গুলো ছিল নির্বাচনী বিষয়াদি।এক ব্যক্তি শেখ মুজিবের বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে তাকে খবর দিলেন, জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা মফস্বল থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করছে। সম্ভবতঃ সে ব্যক্তি ১৮ই জানুয়ারি পল্টনে অনুষ্টিতব্য জামায়াতের জনসভায় লোক সংগ্রেহর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন।সে খবর শুনে শেখ মুজিব বেশ উত্তেজিত হলেন এবং যা বল্লেন সেটি কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক চেতনা-সম্পন্ন মানুষের কথা মনে হয়নি। মুখের পাইপ থেকে তামাকের সাদা ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে রাগতঃ স্বরে বল্লেন, "লাহোর-করাচীর ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে মওদূদী বাঙ্গালী কিনতে আসছে। দেখে নিব কি করে মিটিং করে।"  উল্লেখ্য,১৯৭০'য়ের ১৮ই জানুয়ারি পল্টন ময়দানে ছিল জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জনসভা।এবং সে মিটিংযে জামায়াত নেতা মাওলানা মওদূদীর বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল।

শেখ মুজিবের কথা শুনে আমি তো অবাক। তিনি বলছেন, মওদূদী বাঙ্গালী কিনতে আসছেন। তা হলে প্রশ্ন হলো, বাঙ্গালী কি তবে গরু-ছাগলের ‌ন্যায় বিক্রয়যোগ্য পণ্য? মুজিবের চোখে এটিই কি বাঙালীর মূল্যায়ন? তাছাড়া তিনি কি করে বলেন, "দেখে নিব কি করে মিটিং করে?" এটি কি গণতন্ত্রের ভাষা? মাওলানা মওদূদী পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা।দেশের যে কোন স্থানে জনসভা করার অধিকারটি তাঁর নাগরিক অধিকার।সে অধিকারকে খর্ব করার কোন অধিকার শেখ মুজিবের ছিল না। সেটি তো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। . . . >>> একাত্তরের ইতিহাস

অধ্যায় আঠাশ

শেখ মুজিবের অপরাধনামা

(বইটি প্রকাশনার পথে, পেতে ইচ্ছুক হলে ইমেল যোগে জানাবেন)

http://www.drfirozmahboobkamal.com/.../1152-chapter-28...

Dr Firoz Mahboob Kamal's website
drfirozmahboobkamal.com|By firozkamal

 আমরা একটা প্রত্যক্ষ প্রমান পেলাম যে মওদুদীর রাজনীতির স্বরূপ কি তা শেখ মুজিব হাড়ে হাড়ে জানতেন।
<< মুখের পাইপ থেকে তামাকের সাদা ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে রাগতঃ স্বরে বল্লেন,"লাহোর-করাচীর ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে মওদূদী বাঙ্গালী কিনতে আসছে।দেখে নিব কি করে মিটিং করে।" উল্লেখ্য,১৯৭০'য়ের ১৮ই জানুয়ারি পল্টন ময়দানে ছিল জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জনসভা।এবং সে মিটিংযে জামায়াত নেতা মাওলানা মওদূদীর বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল। >>
তা হলে মওদুদীর প্রতি শেখ মুজিবের বিরাগ নিতান্ত রাজনীতিগত - - ধর্মগত  নয় -- জামাতী ইসলামের চালিকা শক্তি কোন ঐশ্বরিক ওহি নাজেল নয় -- "লাহোর-করাচীর ব্যবসায়ীদের টাকা "।

Farida Majid সত্যি, ভাবলে দুঃখ লাগে। শেখ মুজিব মওদুদীকে ১৯৭০ সালে ঢাকায় মিটিং করতে দেননি জামাতের কুপ্রভাব বিস্তার করা থেকে বাঙালী মুসলমানকে রক্ষা করতে। আর আজ স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা হিমশিম খাচ্ছি জামাত নিষিদ্ধ করতে!

 



__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Infrastructure Development Under Awami League Government !!!!




Infrastructure Development Under Awami League Government
3 Mega Projects To Be Complete In 3 Years
- Construction of Padma Bridge
- Construction of BRT Lane (elevated position)...
See More
Bangladesh Awami League's photo.


__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___