সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আমাদের অর্থনীতি :
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে আতঙ্ক বিরাজ করছে তা কাটানোর জন্য সরকারকে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্যোগ নিতে হবে। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া নির্যাতন এখনো বন্ধ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে নির্যাতন আজ ২৭ বছর ধরে চলে আসছে বিভিন্ন জায়গায় এই নির্যাতনের ঘটনা এতটা বাড়ত না যদি যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যেত। কিন্তু সেই ব্যবস্থা যথাযথভাবে নেওয়া হয়নি আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকেও নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব ছিল সব নির্বাচনের আগে এমনভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যেন তাদেরকে কোনো পক্ষ হুমকি দিতে না পারে। ভারতে সংখ্যালঘুদের সমস্যা চিহ্নিত করা, দেখা ও এর সমাধানের জন্য এই সংক্রান্ত কমিশন ও মন্ত্রণালয় রয়েছে। এখানে তা প্রয়োজন বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতাগ্রহণ করার পর গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেও তাদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়েও হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, নাসিরনগরের ঘটনায় নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই এখনো ভয়ে আছে। কেউ কেউ দেশ ছেড়েছে। কিন্তু এমনটি গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন সংখ্যালঘুদেরকে
কোনো দল ও তাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতন করতে না পারে। ভোটদানে বাধ্য করা কিংবা ভোট দান থেকে বিরত রাখতে না পারে। নির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনায় নিয়ে আরো বেশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনকালীন ছাড়াও এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও রামু, নাসিরনগরসহ এ পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তিও হতে হবে কঠিন। যেন ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের অপরাধ না করে।
সিনিয়র আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত আমাদের প্রতিবেদক জান্নাতুল ফেরদৌস পান্নার কাছে তাদের দাবির কথা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা নিষিদ্ধ করতে হবে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ কোনো উপাসনালয়কে নির্বাচনি প্রচার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো সাম্প্রদায়িকমূলক বক্তব্য, বিবৃতি কোনো প্রার্থী কেউ দিতে পারবে না। তা করলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা তৎক্ষণাৎ বাতিলসহ তাকে অনূর্ধ্ব ১ বছর কারাদ-ের বিধান করে নির্বাচনি আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনের আগেই লঘুদের মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী
http://amaderorthoneeti.net/
__._,_.___