Banner Advertiser

Tuesday, October 28, 2014

[mukto-mona] মগবাজার কাজী অফিসের গলি এখন ‘নেমক হারামের গলি' : বিশ্বাসঘাতকের পরিণতি



'মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক' গোলাম আযম 
মগবাজার কাজী অফিসের গলি এখন 'নেমক হারামের গলি'

গোলাম আযম মীর জাফরের মতো মরেও 
বেঁচে থাকবেন,  তবে একটি জঘন্য গালি হিসেবে।
...............খোদা.............হাফেজ ।

Read:

ছেলের নাম 'গোলাম আযম', কেউ রাখে ?

যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর সাংবাদিকরা গোলাম আযমের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে জানা যায়, তিনি অনেক কিছু বিস্মৃত হয়েছেন। ভুলে গেছেন। রোববার ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন দেখে যা বুঝলাম তাতে মনে হলো তিনি বোধহয় আবার স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। সাথে পুরোনো শয়তানটাও তার মাথায় চাপা দিয়ে বসেছে। সম্ভবত ইদানীং তার নামাজ কালাম ঠিকমতো পড়া হচ্ছে না। তাই শয়তানি বুদ্ধি আছর করেছে। তা না হলে তিনি মিথ্যা কথা বলবেন কেন? নেক বান্দাতো মিথ্যা কথা বলে না। তিনি যুদ্ধাপরাধের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, আমি এমন কোন কাজ করিনি যে ক্ষমা চাইতে হবে। যা করেছি মানুষকে বাচানোর জন্যই করেছি ।

প্রশ্ন হতে পারে, তিনি মানুষকে বাঁচালে দুই লক্ষ নারী কিভাবে ধর্ষিত হয়েছে? কার অনুসারীরা অসহায় মেয়েদের ঘর থেকে বের করে এনে হানাদারদের বিছানায় ছুড়ে দিয়েছে?  ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক নেহাত ভদ্রতার বশে এই প্রশ্ন গোলাম আযমকে করেন নি।

সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে গোলামের আযমের সাক্ষাৎকার বিষয়ক সংবাদের পাশাপাশি আরেকটি লেখা পড়লাম সাবেক পাকিস্তানী কর্মকর্তা কর্নেল নাদের আলীর। নাদের আলী একাত্তুরে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধে করেছেন। তিনি অনুতপ্ত। ক্ষমা চেয়েছেন। কারা তাকে সাহায্য করেছেন তাও তিনি লিখেছেন- 'জামায়াতে ইসলামী আমাকে এই স্বেচ্ছাসেবক প্রদান করত। প্রফেসর গোলাম আযম ও চৌধুরী রহমত ইলাহী প্রায়ই আমার অফিসে আসতেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী ও মৌলভী ফরিদ আহমেদের সঙ্গে আমার ঘন ঘন দেখা হতো।'

এসব বিষয় গোলাম আযম কখনোই স্বীকার করেন না। করেন নি। কখনোই তারা ক্ষমা চান না। ভাগ্যের কি পরিহাস, ক্ষমা চাচ্ছেন গোলাম আযমের সাবেক প্রভু ,পাকিস্তানের এক সেনা কর্মকর্তা। হয়তো গোলাম আযম এখন বলবেন তিনি তাকে চেনেন না বা ভুলে গেছেন। তিনি ভেবেছেন অস্বীকার করলেই কি অপরাধ পার পেয়ে যাবেন?

মিথ্যেবাদী গোলাম আযমদের চরিত্র সহজে ধরা পড়ে না। বয়সের ভারে সাদা দাড়িতে তো একেবারেই ধরা পড়ে না। কেননা বৃদ্ধ অবস্থায় সাদা দাড়িতে শয়তানকেও পবিত্র মনে হয়। পুন্যবান মনে হয়। গোলাম আযম তদ্রুপ। ১৯৭১-এ তার যৌবনে তিনি কি পরিমান কু-কর্ম করেছেন তা সকলেই জ্ঞাত। এখন তিনি পূত মানব। এখন রুপবান গোলাম আযমের বয়সের ভারে গন্ডদেশে মেদ জমে নাদুস নুদুস দেখাচ্ছে। শুভ্র দাড়িতে পবিত্র মনে হচ্ছে। মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। তসবিহ জপেন হরদম। তাকে দেখিয়ে শিবির কর্মীরা অন্যদের বলে, এমন পুন্যবান মানুষ হয় না।

যুদ্ধপরাধের বিচারের বিষয়ে তারা বলে, এত বড় অলীর সাথে বেয়াদবি, আল্লাহ বরদাস্ত করবেনা, জাহিলদের উপর গজব নাযিল হবে। কেউ কেউ, বিশেষ করে শিবির কর্মীরা গোলাম আযমের বর্তমান দেখেই শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ছে।

গোলাম আযম প্রীতি দেখে শিবির কর্মীদের জন্য মায়া হয়। তাদের মস্তিষ্ক, চিন্তা, চেতনা তালা বদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা বুঝতে পারে না তাদের চিন্তা চেতনার বাইরের দুনিয়ায় কিভাবে গোলাম আযমকে মুল্যায়ন করে। শুধু গোলাম আযমই ঘৃনিত নন, তার নামটি পর্যন্ত ঘৃনা ভরে স্মরণ করে মানুষ। কেউ তার সন্তানের নাম রাখে না গোলাম আযম। কোনক্রমে কারো নাম গোলাম আযম হয়ে গেলেও তার ভাগ্যে জুটে সামাজিক লাঞ্ছনা। তেমন একটি ঘটনা দিয়ে লেখা শেষ করছি।

গত কয় মাস আগে আমি বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম ঢাকা ন্যাশনাল পলিটেকনিক-এ। ভর্তি চলছিল। এক শিক্ষক তার ভাগ্নেকে নিয়ে এলেন ভর্তির জন্য। ছেলেটির নাম জিজ্ঞেস করলেন আরেকজন প্রবীন শিক্ষক। ছেলেটি মিন মিন করে জবাব দিল, গোলাম আযম। এক শব্দেই সবাই হকচকিয়ে উঠে। চোখ তুলে তাকায় ছেলেটির দিকে। আমিও তাকাই। ছেলেটি মাথা নিচু এমন ভাবে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে যেন ওদিকে তাকিয়ে থাকতে পারাটাই আজ তার পরীক্ষা। চোখ উঠালেই বহিষ্কার। পুরো কক্ষে শুনশান নীরবতা নেমে আসে।

পরে বড় ভাই-এর মুখে শুনলাম তিনি ছেলেটির বাবাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাকে ভৎর্সনা করেছেন। প্রতিবাদ করেছেন। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন গোলাম আযম নাম রেখে একটি ছেলের ঘাড়ে আমৃত্য লজ্জা তুলে দিয়েছেন? গোলাম আযম এবং মীর জাফর লোকের নাম হয়?  ছেলেটির বাবা ভুল বুঝতে পেরেছেন। লজ্জিত হয়েছেন। খোজখবর নিয়ে নাম পাল্টানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন।

যে দেশে এতগুলো প্রতিবাদী কণ্ঠ আছে সেখানে গোলাম আযমের মতো অপরাধীরা রেহাই পাবে?
কখনোই না।

Uploaded By : Contributorhttp://icsforum.org/mediarchive/2011/12/12/gholam-azam/

যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর সাংবাদিকরা গোলাম আযমের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে জানা যায়, তিনি অনেক কিছু বিস্মৃত হয়েছেন। ভুলে গেছেন। সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেখে যা বুঝলাম তাতে মনে হলো তিনি বোধহয় আবার স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। সাথে পুরোনো শয়তানটাও তার মাথায় চাপা দিয়ে বসেছে। সম্ভবত ইদানিং তার .http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/334564.html

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভূমিকা


​Yahia Khan's MNA Golam Azam !!!

পৃথিবীর যে সকল দেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছে কোথাও যুদ্ধাপরাধীর শেষ যাত্রা এমন আয়োজিত হয়নি



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] আল-বদর প্রধানের রায় আজ : মতিউর রহমান নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল হোতা




বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৪, ১৪ কার্তিক ১৪২১
আল-বদর প্রধানের রায় আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল হোতা
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নরহত্যা ও নারী ধর্ষণের মূল সহযোগী ১৯৭১ সালের হিংস্র আলবদর বাহিনীর প্রধান, জামায়াতের আমির, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি, মতিউর রহমান নিজামীর মামলা প্রথম সিএভি রাখার দীর্ঘ ৩৫৩ দিনের মাথায় আজ রায় ঘোষণা করা হবে। নিজামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২৮ মে তার বিচার শুরু হয়। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার এ দিন নির্ধারণ করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু' সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। আজ সকাল ১০টার মধ্যে আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর নিজামীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে এটি হবে দশম রায়। আর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চতুর্থ রায়। উল্লেখ্য, এর আগে রায় ঘোষণার জন্য চার বার সিএভি রাখা হয়েছিল নিমাজীর মামলাটি। সর্বশেষ নিজামীর অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণা না করে ২৪ জুন সিএভি রাখা হয়। রায় ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর আগে দুটি ট্রাইব্যুনালে ৯টি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মতিউর রহমান নিজামী ছাড়া আরও ৫টি মামলা রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা আছে। 
উল্লেখ্য, মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় ট্রাইব্যুনালের তিনজন চেয়ারম্যান মামলাটি পরিচালনা করছেন। তাঁরা হলেন তৎকালীন দু' চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম ইনায়েতুর রহিম। ২০১২ সালের ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন তৎকালীন চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সিএভি রাখেন বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর। আর বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সময় দু' দফা সিএভি রাখা হয়। 
ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণের আদেশের পর রেজিস্ট্রার (জেলা জজ ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আজ ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর রায় ঘোষণা করা হবে। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে মর্মে আজ সকাল ১০টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু জানিয়েছেন , দীর্ঘ দিন পর রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ভাল লক্ষণ। আশা করব অন্যান্য যে মামলা সিএভি রাখা হয়েছে সে গুলোও দ্রুত রায় প্রদান করবেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন পক্ষের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল জানিয়েছেন আমরা আসামির ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। এই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- প্রার্থনা করেছি ট্রাইব্যুনালের কাছে। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রসিকিউশন পক্ষ কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু মাত্র মিথ্যা রচনা তৈরি করেছেন।
মামলার কার্যক্রম ॥ মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ২৮ মে বিচার শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে একটি মামলায় গ্রেফতার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর গত বছর ১১ ডিসেম্বর জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২৮ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট থেকে প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন শুরু করা হয়। ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৩ নবেম্বর থেকে প্রসিকিউশনপক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু। একই বছরের ৬ নবেম্বর প্রসিকিউশনপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ। ৭ নবেম্বর আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু। ১৩ নবেম্বর আসামি পক্ষের সময়ের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়। একই দিন ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ নবেম্বর মাওলানা নিজামীর পক্ষের সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতে না আসায় মামলার রায় যে কোনো দিন দেয়া হবে মর্মে অপেক্ষমাণ (সিএভি) ২০ রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর ১৪ নবেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ফের যুক্তি উপস্থাপনের সময় দেন। ১৯ নবেম্বর নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ২০ নবেম্বর আসামী পক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর পর ট্রাইব্যুনাল ২০ নবেম্বর আদেশে ১৩ নবেম্বরের সিএভি আদেশই বহাল রাখেন।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি এটিএম ফজরে কবীর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে গেলে এই ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে স্থবিরাত তৈরি হয়। বিচারকাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মতিউর রহমান নিজামীসহ ৫টি মামলার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই থাকে। অবশেষে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি দায়িক্ত গ্রহণ করে পুনরায় নিজামীর মামলায় যুক্তিতর্ক শোনার জন্য নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় দফায় প্রসিকিউশন পক্ষ ১০,১১ ও ১২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর আসামিপক্ষ ১২, ১৯, ২০ ও ২৩ মার্চ চারদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আসামী পক্ষ যুক্ততর্ক উপস্থাপন শেষে ২৩ মার্চ শেষে প্রসিকিউশন পক্ষ পাল্টা যুক্তিতর্ক শুরু করেন। ২৪ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ২৩ জুন রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়। ২৪ জুন অসুস্থার জন্য নিজামীকে আদালতে হাজির করা যায়নি। পরবর্তীতে ২৪ জুন পুনরায় রায় ঘোষণার জন্য সিএভি (চতুর্থ দফা)। আসামির অনুপস্থিতিতে রায়ঘোষণা যুক্তিসংগত মনে না করায় ২৪ জুন ট্রাইব্যুনাল চতুর্থ দফায় নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সিএভি রাখেন। 
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন ॥ তদন্ত কর্মকর্তাসহ নিজামীর বিরুদ্ধে ২৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এরা হলেন আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, জহির উদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, রুস্তম আলী মোল্লা, হাবিবুর রহমান, নাজিব উদ্দিন খাত্তাব, শাজাহান আলী, প্রদীপ কুমার দেব, খলিলূর রহমান, মোঃ আইনুল হক, তোফাজ্জল হোসেন, শামসুল হক নান্নু, ডাক্তার রথীন্দ্র নাথ কুন্ডু ,শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মোঃ আব্দুস সেলিম লতিফ, আমিরুল ইসলাম ডাবলু, জানে আলম ওরফে জানু, জামাল উদ্দিন, জহুরুল হক, আবু সামা ফকির, তহুরুল হক, ইউসুফ আলী বিশ্বাস, মোঃ শাজাহান আলী, সৈয়দা সালমা হক, তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজ্জাক খান। অন্যদিকে নিজামীর পক্ষে চার জন সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
যুক্তিতর্ক ॥ প্রসিকিউশন পক্ষে যুক্তিতর্কে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, আমরা এ মামলার নিজামীর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। কাজেই আমাদের পক্ষ থেকে নিজামীর সর্বোচ্চ দ- কামনা করছি। প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ যুক্তিতর্কে বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন, 'একাত্তরের রিং লিডার'। তিনি আসামি পক্ষের যুক্তি খ-ন করে আরও বলেছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যুরেমবার্গের ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানির অভিযোগে দু'জনের বিচার হয়। তাঁরা হলেন নাৎসি নেতা ও ইহুদি বিদ্বেষী পত্রিকা'দের স্টুরমার'-এর প্রকাশক জুলিয়াস স্ট্রাইখার, অন্যজন নাৎসি বেতার বিভাগের প্রধান হানস ফ্রিটশে। মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানির দায়ে স্ট্রাইখারকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়, ফ্রিটশে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় খালাস পান। কিন্তু পরে জার্মানির একটি নািসবাদবিরোধী (ডি-নাজিফিকেশন) আদালত ফ্রিটশের বিচার করে ও শাস্তি দেয়। ওই আদালত ফ্রিটশেকে 'নাৎসি আদর্শ প্রচারক' হিসেবে চিহ্নিত করেন।
যে সমস্ত অভিযোগ 
নিজামী পাবনা জেলা স্কুলের হেড মাওলানা কছিমউদ্দিন আহম্মেদসহ অন্য দুইজনকে ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করার হয়। নিজামীর নির্দেশে রাজাকার আসাদের সহায়তায় পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনী ডেমরা ও বাউশগাড়ী গ্রামে প্রায় ৪৫০ জন নিরীহ নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে। ২৭ মার্চের পর মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকবাহিনী ক্যাম্প তৈরি করে। পরবর্তীতে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারাও উক্ত স্থানে ক্যাম্প করিয়া ট্রেনিং ও অপরাধ মূলক কার্যক্রম চালায়। করমচা গ্রামে হামলা চালিয়ে সুরেন্দ্র নাথ ঠাকুরের বাড়ির লোকজন ও পাশের বাড়ির লোকজনকে ধরে এনে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করা হয়। আড়পাড়া ও ভুতের গাড়ি গ্রামে হাফেজ ওমর আলীসহ ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ । ধুলাউরা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। বৃশালিকা গ্রামের শহীদ সোরহাব আলী প্রামিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিজামী ও পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ পুরাতন এমপি হোস্টেলস্থ আর্মি ক্যাম্পে যান । সেখানে বন্দী জহির উদ্দিন জালাল, বদি, রুমি, জুয়েল আজাদের উদ্দেশ করে গালাগালি করে। বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে প্রায় ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। আগস্ট মাসে সাঁথিয়া এলাকায় এসে জানতে পারে যে, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কারণে মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে স্থানীয় রাজাকার তাদের বাড়িসহ আশপাশের অনেক বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। 
নিজামী ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে পুর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। একাত্তরের ২২ আগস্ট ঢাকার ইসলামী একাডেমিতে আল মাদানী স্মরণে এক আলোচনা সভায় মতিউর রহমান নিজামী বলেন, আল মাদানীর রক্তের প্রতিশোধ নিতে পারলেই আমাদের শ্রদ্ধা বোধ প্রমানিত হবে। নিজামী বলেন যে, পাকিস্তান কোন ভূখ-ের নাম নয়, একটি আদর্শের নাম। এই আদর্শ পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। একাত্তরের ৯ ও ১০ ডিসেম্বর যশোর বিডি হলে এক ছাত্র সংঘের নিজামী বলেন, পাকিস্তানকে যারা আজিমপুর গোরস্তান বলে সেøাগান দিয়েছিল, তাদেরকে পাকিস্তানের মাটি গ্রহন করে নি। তাদের জন্য কোলকাতা আর আগরতলার মহাশ্মশানই যথেষ্ট। ৯ এপ্রিল সকাল অনুমান ১০টার সময় বিমান বহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানি সেনাবহিনীর একটি দর পাবনা যাওয়ার সময় নগরবাড়ি ঘাট হতে কাশিনাথপুর মহাসড়কের দুই পার্শে¦র বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করে। নিজামী পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন। ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে আলবদর বাহিনী, যা প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর প্রাইভেট বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়। যার প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। 
যাদের রায় হয়েছে ॥ সর্ব প্রথম ২১ জানুয়ারি জমায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। এর পর ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ-। ১৭ সেপ্টেম্বর আপীল বিভাগ এ মামলার চূড়ান্ত রায়ে কদের মোল্লাকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করে রায় প্রদান করা হয়। ১২ ডিসেম্বর তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। তৃতীয় রায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। আপিল বিভাগ ১৭ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের দন্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করেন। ৯ মে চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও মৃত্যুদ- দেয়া হয়। জামায়াত আমির গোলাম আযমকে গত ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদ- প্রদান করা হয়। ষষ্ঠ রায়ে ১৭ জুলাই জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকেও মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- প্রদান করা হয়। ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের সপ্তম রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ প্রদান করা হয়। ৯ অক্টোবর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয। এর পর বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ৩ নভেম্বর মৃত্যুদ- প্রদান করে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রকাশ :  বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৪, ১৪ কার্তিক ১৪২১



Verdict today

Nizami's War Crimes Trial

Verdict today

The International Crimes Tribunal-1 is set to deliver the long-awaited verdict in the war crimes cases against Jamaat-e-Islami chief Motiur Rahman Nizami today, more than four months after the deferment of the judgment in June. The alleged chief of the infamous Al-Badr force is facing 16 charges, including his role in eliminating the Bangalee...

http://www.thedailystar.net/verdict-today-47850



Nizami verdict now Wednesday

Nizami verdict now Wednesday

A tribunal in Dhaka today fixed tomorrow (Wednesday) for delivering the long-awaited judgement in the war crimes case against Jamaat-e-Islami chief Motiur Rahman Nizami four months after the deferment of the verdict. The 71-year-old former lawmaker and minister is facing 16 war crimes charges for his alleged involvement in the crimes against humanity and...


 আলবদর ! আলবদর !! আলবদর !!!

শান্তি কমিটি আলবদর রাজাকারের সিংহভাগই ছিল জামায়াতী ....

আলবদর বাহিনী প্রধানত জামায়াতের কর্মী দ্বারাই গঠিত হয়েছিল

'ইসলামী ছাত্র সংঘ' নাম পাল্টিয়ে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির'

নামে যাত্রা শুরু করে !

বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে 'জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই'

মিজানুর রহমান খান, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে | তারিখ: ১৪-১২-২০১২

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-14/news/313223


রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম:

http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=794&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=16-02-2012

আলবদর ১-১৬:

আলবদর ১৯৭১  - ১ 

রবিবার, ২৬ আগষ্ট ২০১২, ১১ ভাদ্র ১৪১৯ 
আলবদর ১৯৭১ - 
সোমবার, ২৭ আগষ্ট ২০১২, ১২ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
মঙ্গলবার, ২৮ আগষ্ট ২০১২, ১৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৪
বুধবার, ২৯ আগষ্ট ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৫ 
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগষ্ট ২০১২, ১৫ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ -    
শুক্রবার, ৩১ আগষ্ট ২০১২, ১৬ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১  - 
শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৭ ভাদ্র ১৪১৯
  আলবদর ১৯৭১ 
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৮ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৯
সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৯ ভাদ্র ১৪১৯ 
আলবদর ১৯৭১ - ১০
মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২০ ভাদ্র ১৪১৯


আলবদর ১৯৭১ - ১১
বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২১ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ -১২
শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৩ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ -১৩ : 
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৪ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ -১৪
রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১৫ 
সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৬ ভাদ্র ১৪১৯


আলবদর ১৯৭১ - ১৬ 


মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৭ ভাদ্র ১৪১৯

বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040
জামায়াতের ছাত্র সংগঠনই আলবদর 



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'তিরিশ লক্ষ শহীদ, বাহুল্য নাকি বাস্তবতাঃ ধর্ষিত মা'য়েদের জবানবন্দী'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'তিরিশ লক্ষ শহীদ, বাহুল্য নাকি
বাস্তবতাঃ ধর্ষিত মা'য়েদের
জবানবন্দী'


একাত্তরে আমাদের মা বোনদের ওপর
পরিচালিত পাকিস্তানি সৈন্যদের
যৌন নির্যাতনের কতটা মারাত্মক,
কতোটা ভয়াবহ, কতোটা বীভৎস ছিলো-
যুদ্ধ চলাকালে আমাদের দেশ থেকে
প্রকাশিত কোনো দৈনিক
পত্রিকায়ই তা প্রকাশিত হয় নি।
গনহত্যা, শরণার্থীদের কথা যেমন
বিদেশী সংবাদপত্র গুলোতে
প্রকাশিত হয়েছিলো গুরুত্ব
নিয়ে সে রকম করে ধর্ষণ কিংবা
নারী নির্যাতনের খবরগুলো
প্রকাশিত হয়নি বিদেশী সংবাদ
মাধ্যমে। [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=43594


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] কত কিছু ঘটে যায়



প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০:০০আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:৩৩:১৬
কত কিছু ঘটে যায়
আবেদ খান

ইতিহাসের কিছু ঘটনা তুলে ধরি। অতি সম্প্রতি হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের যে আন্দোলনটি অকস্মাৎ বিশ্ব শিরোনাম হয়ে উঠল তার সূচনা ফেসবুক সংযোগ, মূল শক্তি নতুন প্রজন্ম এবং এ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় যার নাম বারবার উঠে আসছে সে ১৭ বছরের এক কিশোর, নাম ওয়াং, কৃশকায়, মাথাভর্তি চুল, চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা। ১৯৯৭ সালে ওয়াংয়ের জন্ম। কেমন করে এ কিশোর এমন একটা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রূপান্তরিত হলো, তা নিয়ে শুধু হংকং বা চীন নয়, বাইরের অনেক তুখোড় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞও মাথা ঘামাচ্ছেন। প্রথম আট-দশ দিন আবেগের যে বহিঃপ্রকাশ পরিলক্ষিত হচ্ছিল, তা এখন আর নেই বলতে গেলে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে আন্দোলনের সঙ্গে তাদের সংস্রব ত্যাগ করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরে গেছে। আর কেউ কেউ ওয়াংয়ের আকস্মিক উত্থানের পেছনে কোনো রহস্যজনক কারণ আছে কিনা- তা নিয়ে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। তাদের সন্দেহ, ওয়াংয়ের কৈশোরিক অপরিপক্বতা এবং গ্রহণযোগ্যতাকে পুঁজি করে কোনো বিশেষ মহল আন্দোলনকে ব্যবহার করছে কিনা কিংবা অন্য কোনো মহল নিঃশব্দে তাকে উসকে দিয়ে আন্দোলনের সূচিমুখ পাল্টানোর চেষ্টা করছে কিনা- এসব ভাবনা বিশ্লেষকদেরও কপালের কুঞ্চনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকল।

এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় বিনীতভাবে বলতে চাই। দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে বিলম্বটি আলস্যজনিত কারণে নয়। হংকংয়ের পরিস্থিতির সর্বশেষ পরিণতি পর্যবেক্ষণ এ নিবন্ধটির জন্য অতীব প্রয়োজন ছিল। হংকংয়ের আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি যে কীভাবে ঘটেছে, তা এখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অতিশয় অমনোযোগী ছাত্রও অনায়াসে বলে দিতে পারবে। শক্তিহীন অক্ষম আস্ফালনও একসময় নিস্তেজ হয়ে গেছে। অর্থহীন বুঝেও আন্দোলনকারীদের অতি ক্ষুদ্র এক অংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে জনসাধারণের কাছে অধিকতর হাস্যাস্পদ হয়েছে। এখন নির্দ্বিধায় বলা যায় হংকংয়ের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে, ওয়াংয়ের ভাবমূর্তি বিস্মৃত হওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে অতি দ্রুততার সঙ্গে।

দুই

বিদগ্ধ পাঠক, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান ও বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী আন্দোলনের আকৃতিগত কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও প্রকৃতিগত দিক থেকে কোনো মিল নেই। হংকংয়ের আন্দোলন বুদ্বুদের ভঙ্গুর ফেনার জন্ম দিয়ে নিশ্চিহ্ন হওয়ার মতো; কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতি প্রবাহের একটি অমোঘ সঙ্কেত- যা ইতিহাসের জলধারায় কিছুটা হলেও কম্পন তুলবে।

আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে আরব উত্থানের কথা। নতুন প্রজন্মের জাগরণ চিহ্নিত হয়েছিল কায়রোর ওই তাহরির স্কয়ারে। যে উত্থান সমগ্র বিশ্বে ঝড় তুলেছিল, তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি মিসরে অথবা অন্য কোথাও; কিন্তু আরব বিশ্ব এর ফলে যুগপৎ চমকিত এবং শঙ্কিত হয়েছিল- এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জাগরণের ভেতর দিয়ে নতুন একটি সত্তার এবং সত্যের উদ্বোধন ঘটে গেছে পৃথিবীজুড়ে। প্রাচীনরা হয়তো নবীনের উত্থানের সঙ্কেত ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন না কিংবা বুঝতে পারলেও মানতে চাইছেন না; কিন্তু যারা এ সত্যকে অনুভব করে তার সঙ্গে সমঝোতা করতে পেরেছেন সময় তাদের পক্ষেই গেছে।

আজ ভাবা দরকার দুনিয়াব্যাপী নতুন প্রজন্মের উত্থানটি এখন হলো কীভাবে। এ কথা সন্দেহাতীতভাবে সত্য, যে আধুনিক প্রযুক্তি ও ভার্চুয়াল সংযোগ ব্যবস্থা নতুন প্রজন্মকে দূরে থেকেও কাছে টানার একটা অনবদ্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে, সেটাই এ জাগরণে এক বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। তবে স্বতঃস্ফূর্ত উত্থানের একটি সঙ্কট হলো, সেখানে আবেগ থাকে বটে; কিন্তু সাংগঠনিক বাঁধুনি থাকে না। যে আন্দোলন, যে লড়াই স্বতঃস্ফূর্ততার লেজুড়বৃত্তি করে- সে লড়াই অনিবার্যভাবে ক্ষণস্থায়ী। যারা মনে করেন এ লড়াইকেই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারবেন, তাদের ভ্রান্তিবিলাসকে করুণা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। কারণ ভার্চুয়াল সংযোগ কখনও সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করতে পারে না, সেখানে থাকে স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ। দ্বিতীয়ত, যে কোনো সংগ্রামকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে কিছু শর্ত পূরণের আবশ্যকতা থাকে। পরিবর্তনের প্রতি সামগ্রিক গণসম্মতি পক্ষান্তরে সরকার কাঠামোর পৌনঃপুনিক ব্যর্থতা, একইসঙ্গে পরিবর্তনের অনুকূলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির অবস্থান এবং সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে পূর্ববর্ণিত শর্তগুলোর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনে পারঙ্গম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানই শুধু বিপ্লব সুসম্পন্ন করতে পারে। এগুলো ছাড়া কখনোই যৌক্তিক পরিণতি আসে না।

এ দেশের ইতিহাসও এরই প্রমাণ বহন করে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তিল তিল করে, ২১ ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করল এবং ওই দিনই গুলিবর্ষণের পর তা জনসম্পৃক্তি পেল; কিন্তু তদানীন্তন মুসলিম লীগ সরকারের প্রবল নির্যাতনের কারণে ছাত্রদের আন্দোলন স্থায়িত্ব পায়নি। অথচ এর সফল পরিণতি অর্জিত হলো যখন রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ আন্দোলনকে নিজস্ব আন্দোলনে পরিণত করল। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের সম্পূর্ণ ভরাডুবি এবং সমন্বিত রাজনৈতিক শক্তি যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয়ের পেছনের কারণটি হলো রাজনৈতিক কর্মসূচি ২১ দফা।

তিন

আমরা যদি সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস দেখি তাহলেও দেখব, ছাত্রসমাজের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত সংগ্রামী রূপ পরিগ্রহ করেছিল প্রথম ১৯৬৬ সালের ৬ দফা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৯ সালে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের কর্মসূচি ১১ দফাকে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত দূরদর্শিতার সঙ্গে '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরিণত করতে পেরেছিল বলেই তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। '৯০-এর ঐতিহাসিক স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিরোধী সামরিকতন্ত্রের পুনরাবির্ভাব প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছিল। অর্থাৎ সামগ্রিক বিবেচনায় আলোড়ন যত স্বতঃস্ফূর্তই হোক এবং আবেগ যত তীব্রই হোক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক দর্শন এবং ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বাধীনে পরিচালিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা সফল পরিণতির দিকে যাবে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ ধরনের আলোড়নের ফসল ভুল এবং অনাকাঙ্ক্ষিত শক্তির গোলায় চলে যায়।

গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তারা এ জায়গায় গুরুতর ভুল করেছেন। যে সময় রাশ টানার প্রয়োজন ছিল সেটি তাদের দৃষ্টির অন্তরালে থাকার কারণে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তার ফলে তাদের চলার শকট দ্রুত ভুল ঠিকানায় ধাবিত হতে হতে ঊষর মরুভূমিতে পথভ্রষ্ট হয়েছে। আর তার সুযোগ গ্রহণ করেছে ধর্মান্ধ ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি।

আমি অবশ্যই গণজাগরণ মঞ্চের উত্থানকে ব্যর্থ মনে করি না। কারণ ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির জাগরণ এ জাতিকে বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন উপহার দিয়েছে। যেমন-

এক. নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে;

দুই. নতুনভাবে এবং নতুন প্রেক্ষাপটে মানুষের কাছে ফেরত এসেছে;

তিন. শক্তির প্রতি মানুষের আস্থার পুনর্বাসন ঘটেছে;

চার. শুধু একটি অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত থাকেনি বরং তা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তেও গিয়ে পৌঁছেছে;

পাঁচ. হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিশু-কিশোর স্তরকেও উজ্জীবিত করেছে;

ছয়. তা বিরোধী শক্তির অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিচরণের স্থানগুলোও প্রকাশিত এবং প্রচারিত হতে পেরেছে;

সাত. আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর বিভ্রান্তিকর তথ্য ও তত্ত্বের ফলে প্রচ- ধাক্কা খেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যম অনেকখানি অনুকূল আচরণ করছে।

এটা হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন কিংবা আলোড়নের একটা দিক। অন্যদিকটা অবশ্যই চিন্তিত হওয়ার মতো। যেমন-

এক. আলোড়ন যখন আন্দোলনে পরিণত হওয়ার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল তখন উচিত ছিল উপযুক্ত সময় বিবেচনা করে এটাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে সমর্পণ করা। গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বের অপরিপক্বতাজনিত ভুল ছিল এ কাজটি না করা;

দুই. ইমরান এইচ সরকার তার 'দ্রোহে-প্রতিবাদে-অর্জনে গণজাগরণ মঞ্চের এক বছর' শীর্ষক নিবন্ধের এক স্থানে বলেছেন, '...১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের সুযোগ, ভিক্টিমদের আপিলের সুযোগ এবং ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির কথা উল্লেখ করে আইন সংশোধন করা হয়। এ আইন সংশোধন ছিল আমাদের এ আন্দোলনের এক মাইলস্টোন বিজয়।'

আমার মনে আছে, ওই ১৭ ফেব্রুয়ারিতেই শাহবাগের পিজি হাসপাতালের দোতলার ক্যান্টিনে রাতের বৈঠকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম এ অর্জনের পর নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক শক্তির হাতে পরবর্তী কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে অবস্থানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা; কিন্তু সে প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। অথচ এর আগেই রাজীব হত্যার ভেতর দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হামলা চালানোর পূর্বাভাস অনুভূত হচ্ছিল;

তিন. আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি ছিল সরকার এবং সরকারি দল; কিন্তু অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি রাখার জন্য সহায়ক রাজনৈতিক শক্তিগুলো এবং সেসব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তরুণ ও যুবশক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখার ভেতর দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের অপরিপক্ব নেতৃত্ব যেমন নিজেদের নিঃসঙ্গ করে ফেললেন, তেমনি অপরাজনীতির প্রবক্তাদের আঘাত হানার সুযোগটিও অবারিত করে দিলেন;

চার. উপর্যুপরি প্রচারাভিযান এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ হামলায় গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিরোধহীন হয়ে পড়ছিল। আর মুখে তীব্র আবেগ প্রকাশ করলেও প্রায়ই অবস্থান থেকে পশ্চাদপসরণ করে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছিল। এটা ছিল আরেকটি ভুল। এ পরিস্থিতিতে দেখা গেল, তারা নিজেদের ব্যর্থতা এবং হতাশা ঢাকার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হচ্ছেন। এ কারণে তারা সহায়ক শক্তিকে প্রতিপক্ষ শক্তিতে পরিণত করলেন এবং স্বাধীনতার শত্রুদের নতুন নতুন আক্রমণ পরিকল্পনার সুযোগ দিয়ে ফেললেন। আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করতে গিয়ে তারা সমগ্র উত্থানকে বিতর্কিত, আশ্রয়হীন, হতাশাগ্রস্ত, লক্ষ্যভ্রষ্ট ও খর্বকায় করে ফেললেন। এটা ছিল প্রচন্ড রকমের ভুল;

পাঁচ. মঞ্চে হতাশাদৃষ্ট অবস্থার কারণে আত্মবিরোধ ঘটেছে এবং এ আত্মবিরোধ মঞ্চ নেতৃত্বকে কয়েক খন্ডে বিভক্ত করেছে। এ বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আশার প্রদীপটিকে শুধু নির্বাপিতই করেনি, রাস্তায় বেরিয়ে আসা লাখোকোটি আবালবৃদ্ধবনিতাকে আবার পাঠিয়ে দিয়েছে কুসংস্কারের আলো-বায়ুহীন অন্ধ প্রকোষ্ঠে।

চার

এত বিশ্লেষণের পরও শেষ কথাটি এভাবে বলা যায়- গণজাগরণ মঞ্চের আবেদন আপাতত কমে গেছে বটে; কিন্তু গণজাগরণ মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থায়ী আসন রচনা করে ফেলেছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'হঠাৎ দেখা' কবিতার শেষদিকে বলেছেন, 'রাতের সব তারাই থাকে, দিনের আলোর গভীরে'। তেমনি গণজাগরণ মঞ্চ অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঠিকই অক্ষত আছে বাঙালির মর্মমূলে। একদিন প্রয়োজনের মুহূর্তে তা ফুটে বেরোবেই।

আবেদ খান


সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক জাগরণ।

- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/10/29/104110#sthash.K5FUl3Wf.dpuf
Alokito Bangladesh Logo


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___