Banner Advertiser

Monday, May 16, 2016

[mukto-mona] অবিশ্বাস্য উত্থান সেই আসলাম চৌধুরীর




অবিশ্বাস্য উত্থান সেই আসলাম চৌধুরীর
চট্টগ্রামে নোমান মোর্শেদ খান আমির খসরুমীর নাছিরের চেয়েও তিনি প্রভাবশালী
ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম


মাত্র কয়েক বছরের রাজনৈতিক জীবনে আসলাম চৌধুরীর অর্জনটা বেশ চমকপ্রদই। বিএনপির রাজনীতিতে ঝানু ও দক্ষ অনেক নেতাকেই পেছনে ফেলে দ্রুতগতিতে তিনি হয়ে গেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব। দলের অন্যতম আকর্ষণীয় পদ এটি। ঢাকা, লন্ডন সব জায়গায় তার ব্যাপক প্রভাব। হয়েছেন অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকও। তার এ আকস্মিক উত্থানে বিস্মিত চট্টগ্রাম বিএনপির প্রবীণ নেতারা। প্রভাব-প্রতিপত্তিতে তিনি যেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এম মোরশেদ খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের চেয়েও উজ্জ্বল। চট্টগ্রামের ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদেরও হাজারো প্রশ্ন— যে আসলাম চৌধুরীকে চট্টগ্রামের নেতারাই চিনতেন না তিনি আজ কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে তো বটেই, দেশ-বিদেশেও বেশ পরিচিত! মোসাদকাণ্ডে গ্রেফতারের পর এখন তিনি সাত দিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক উত্থান আমাদের বিস্মিত করে। আমরা আরও বিস্মিত হয়েছি ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির এক নেতার সঙ্গে তার বৈঠকের খবরে। আমরা ৩০ বছরের রাজনীতিতে যা করতে পারিনি, অল্প সময়ের মধ্যেই তা আসলাম চৌধুরী করে দেখিয়েছেন। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে না করতেই একের পর এক পদ লাভ করে যাচ্ছেন।' দেশের রাজনীতির অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত নাম আসলাম চৌধুরী। এর আগেও তিনি নানা কারণে আলোচিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে বিগত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সীতাকুণ্ড ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নাশকতার নেপথ্য কারিগরের ভূমিকায় ছিলেন এই আসলাম চৌধুরী। এ সময় শুধু সীতাকুণ্ডে ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয় সহস্রাধিক কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। ব্যাপক আগুনসন্ত্রাস সৃষ্টি করায় ঢাকা-চট্টগ্রামের সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের দুর্গে পরিণত হয়েছিল সীতাকুণ্ড। এটা আসলাম চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকাও। জানা যায়, ওই সময় শিবিরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডারদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা ও গোলাবারুদের জোগান দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আসলাম চৌধুরী। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কূটচালে বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। নাশকতার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তার মাথার ওপর ১৭টি মামলার খড়্গ ঝুলছে। নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হলেও প্রায় তিন মাস পর উচ্চ আদালতের রায়ে জামিনে তিনি মুক্ত হন। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার ঝড় তুলে ফেললেন আসলাম চৌধুরী। সূত্র জানায়, আসলাম চৌধুরী ছাত্রজীবনে সরাসরি কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি রাজনীতির চেয়ে সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পছন্দ করতেন বলে যুক্ত হন লায়নিজমের সঙ্গে। এখানে তিনি এমজেএফ পদধারী হয়ে সমাজসেবকের ছাপ লাগিয়ে নিজের নামের আগে যুক্ত করেন 'লায়ন'। পরিচিত হন লায়ন আসলাম চৌধুরী হিসেবে। তিনি জিয়া পরিষদের চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক হয়ে বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন ২০০২ সালে। মূলত এ সময়ই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত হন। পাঁচ বছর পর ২০০৭ সালে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন আসলাম। সূত্রমতে, অনেককেই ডিঙিয়ে তিনি হয়ে যান উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীতাকুণ্ড আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং হেরে যান আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম মাস্টারের কাছে। তার পরও দায়িত্ব পান কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের। ২০১৪ সালে জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পেছনে ফেলে কেন্দ্র থেকে বাগিয়ে আনেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদটিও। এ সময় উত্তরের রাজনীতিতে তিনি হয়ে ওঠেন যেন এক অপরিহার্য চরিত্র। সর্বশেষ দুই মাস আগে তিনি আসীন হন দলের যুগ্ম-মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে বিসিএস পাস করে শিক্ষকতার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন আসলাম চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে এফসিএ করেন। পরে তিনি কবির স্টিল মিল কোম্পানিতে যোগ দেন। এরপর কনফিডেন্স সিমেন্ট কোম্পানির অর্থ ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি নেন। এ কোম্পানিতেই তিনি হিসাব বিভাগের প্রধান হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। পরে চাকরি ছেড়ে 'কনফিডেন্স সল্ট' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু করেন ব্যবসা। জানা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে আবির্ভূত হন। রাইজিং গ্রুপ নামে গড়ে তোলেন বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তার গড়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক লবণ কারখানা, শিপ ব্রেকিং ব্যবসা, এয়ার এভিয়েশন, রিসোর্ট ব্যবসা, আবাসন, ফিশ প্রিজার্ভার্সসহ হরেক রকমের ব্যবসা। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি বিএনপি সরকার আমলে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগরের এক নেতা বলেন, আসলাম চৌধুরীসহ কয়েক নেতার কারণে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। এটা চট্টগ্রামের রাজনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আশা করি, বিএনপি চেয়ারপারসন বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঘোষিত আংশিক কমিটিও পুনর্গঠন করবেন। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/05/17/145262#sthash.s3hei290.dpuf                                                                                           http://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/05/17/145262
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬

                             
Also read:
আসলাম চৌধুরীর বিস্ময়কর উত্থান

মাত্র এক যুগ। এ সময়ের মধ্যে বিস্ময়কর উত্থান ঘটে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত ধরেই তার এ উত্থান। স্বল্প সময়ে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক ও বিএনপির বড় নেতা বনে যান এ আসলাম চৌধুরী। জিয়া পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতির পদ দিয়ে তার বিনপির রাজনীতি শুরু। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক ও সম্প্রতি যুগ্ম মহাসচিবের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।  তার এমন উত্থানে স্বয়ং চট্টগ্রামের অনেক সিনিয়র বিএনপি নেতাও হতবাক। কোন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে গেলেন তার উত্তর মেলাতে পারছেন না অনেকেই। ২০০৪-০৫ সালেও যিনি রয়েল সিমেন্টের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হিসেবে চাকরি করতেন, সেই আসলাম চৌধুরী এ ক'বছরে এক ডজনেরও বেশি কোম্পানির মালিক হন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে স্ব-নামে বে-নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আসলাম চৌধুরী গড়ে তোলেন এসব কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে তার মাথায়। - See more at: 
http://www.jugantor.com/online/politics/2016/05/17/13218/আসলাম-চৌধুরীর-বিস্ময়কর-উত্থান



                     
                     
              
================================================


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] 'অপমানে হতে হবে সবারই সমান--".।








From: "Shah Deeldar shahdeeldar@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Monday, May 16, 2016 3:22 PM
Subject: Re: [mukto-mona] 'অপমানে হতে হবে সবারই সমান--".।

 
Never thought, teaching would be a dangerous business in Bangladesh. Yes, shame on us, all when I witness Awami goon Salim Osman leading the parade.





On Sunday, May 15, 2016 8:57 PM, "Sitangshu Guha guhasb@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:






__._,_.___

Posted by: SITANGSHU GUHA <sbguha@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Fwd: প্রকাশের জন্যে-



https://www.youtube.com/watch?v=msnKNDX74jI

www.youtube.com
প্রধান শিক্ষক শ্যমল কান্তি ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছিল, এমন প্রমান ছাত্র রিফাত, সহকারী ধর্ম শিক্ষক কিংবা এলাকাবাসী কেউ দিতে পারেনি। কথা হলো সেলিম গুসমান এমনি এ...





From: mukto-mona@yahoogroups.com <mukto-mona@yahoogroups.com> on behalf of Sitangshu Guha guhasb@gmail.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, May 17, 2016 2:14 AM
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Subject: [mukto-mona] Fwd: প্রকাশের জন্যে-
 
 


শিক্ষকের কান ধরে ওঠা-বসা 

আমাদের লজ্জা দিতে পারেনি

ঢাকার একটি পত্রিকার কিছু অংশ: "ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশের মসজিদেরে মাইকে এমন প্রচারণা চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের পিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করেছেন এমপি সেলিম ওসমানের অনুসারীরা। এতে এমপির হাত রয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে এই লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।" আমেরিকায় বসে শনিবার এসংবাদ দেখার পর থেকে মনে হচ্ছিলো মিথ্যা প্রচার অপমানের শিকার হলেন আর একজন সন্মানিত শিক্ষক। তাকে জনতা মারধর করেছে শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভেবে পেলাম না কিভাবে একজন এমপি সর্বসমক্ষে একজন শিক্ষককে কান ধরে 'ওঠ-বস' করাতে পারেন। প্রধান শিক্ষক শ্যামলবাবু বিবিসি বাংলাকে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনস্কুল পরিচালনা কমিটি' বিরোধের জের হিসাবে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাদের দেশে আগে শিক্ষকরা ছাত্রদের মাঝেমধ্যে কানেধরে উঠ-বস করাতেনডিজিটাল বাংলাদেশে এখন এমপি'রা শিক্ষকদের কান ধরে ওঠ-বস করাচ্ছেন। আগে শিক্ষকের কথায় ছাত্র শাস্তি পেতএখন ছাত্রের কথায় এবং এমপি'র ইচ্ছায় শিক্ষক শাস্তি পায়

পত্রিকা আরো বলেছে: " সময় সেলিম ওসমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। জনৈকা পারভীন আক্তারকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে বসানোর জন্য বেশ ক'বছর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু শ্যামলবাবু ১৭বছর স্কুলের হেডমাস্টার, তিনি ছাড়বেন কেন? করে আসছিলেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, কমিটির সদস্য ইউএনও অফিসের পিয়ন মিজানুর রহমানমতিউর রহমান মিজুমোবারক মিলে গুজব রটায় যে রিফাতকে মারার সময় প্রধান শিক্ষক ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করেছেন। বুদ্ধি করে তাকে শুক্রবার মিটিং-এর কথা বলে স্কুলে আনা হয়, অন্যদিকে পাশের মসজিদে বলা হয় তিনি আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। মসজিদের মাইকে সাধারণ মানুষকে দেকে আনা হয় এবং তাদের উত্তেজিত করা হয়। জনতা স্কুলে ঢুকে ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় তাকে গণপিটুনি দেয়। মিডিয়ায় এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, "'আমি জানতে পারি যে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হচ্ছে। আমি সেখানে পুলিশ পাঠাই।পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করলেও বাইরে নিয়ে আসতে পারছিল না। জনতা তাদের ঘিরে রেখেছিলো। পরে আমি ওখানে গিয়ে জনতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধান শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে তাকে উদ্ধার করি। 

মিডিয়ায় এ সংবাদ ব্যাপক প্রচার পায়, একাধিক ভিডিও-তে শ্যামলবাবুর লাঞ্ছনার চিত্র বেশ পরিস্কার। শাস্তি শেষে এমপি সাহেবের হুকুমে জনতা বিদায় নেয়। প্রশ্নটা এখানেই, করা ছিলো এই জনতা যে এমপি'র কথামত বিদায় নিলো?  এঘটনায় এমপি সেলিম ওসমান কতটা দায়ী, এপ্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তার ভাই শামিম ওসমান আমায় বলেছেন, সেলিম ভাইয়ের কাছে মনে হয়েছে ঐসময় ওই শিক্ষককে রক্ষায় কান ধরে ওঠ-বস করানোটাই একমাত্র উপায়, তিনি হয়তো তাই করেছেন। জিজ্জাসা করলাম, ওই শিক্ষক যদি তার বাবা বা ভাই হতেন, তবে তিনি কি করতেন?  বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেছেন,জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিতে বাধ্য হয়েছেন। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে কি ঘটনাকে এতই সহজ মনে হয়? নারায়নগঞ্জে ওসমান পরিবার এবং ওসি একসুরে কথা বললে জনতার সাধ্য আছে তা অমান্য করে? তাই মনে হয়, এখন এমপি-ওসি যা বলছেন, সব সাজানো অজুহাত। ভুলে গেলে চলবেনা যেমাত্র 'দিন আগে একজন মেজিস্ট্রেট দু'জন শিক্ষককে তাত্ক্ষনিক বিচারে ছয়মাসের জেল দেন এবং তিনিও একই অজুহাত দিয়েছিলেন।   

প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সবিতা হালদার বলছেন, তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এও বলেন, "তারা এমনভাবে গুজব রটিয়েছে যেআমরা আবারো হামলার শিকার হতে পারি"। রোববার শ্যামলবাবু'র সাথে আমার কথা হয়েছে।শিক্ষক শ্যামলবাবু একেবারে ভেঙ্গে পড়েছেন। তিনি বললেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি তাকে বলেছি, "দাদা, লজ্জা-অপমান আপনার নয়, আমাদের সবার, পুরো জাতির। মানিক চন্দ্র সরকার নামে একজন সাংবাদিক তখন তার সাথে ছিলেন, তিনিও আমার সাথে কথা বলেন, তার বক্তব্য হলো আমরা সাহায্য করতে চাইলেও পারছিনা, সরকার এগিয়ে এলে ভালো হয়। ঢাকার আইউবিএটি' অধ্যাপক চন্দন সরকার এরআগে আমায় অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলো যে শিক্ষক শ্যামলবাবুর অবস্থা একেবারে নাজুকবাইরে থেকে আমরা কথা বললে হয়তো তিনি বাঁচার অবলম্বন খুঁজে পাবেন। আমি তাকে আশ্বস্থ করেছি একথা বলে যে, আমরা তার পাশে আছি। এমপি শামীম ওসমানের সাথেও আমার কথা হয়েছে। তাকেও আমি ওই শিক্ষকের পাশে দাড়াতে অনুরোধ করেছি। 

যে জাতি একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করতে পারে, সেজাতি নিজেদের সভ্য বলে দাবী করতে পারে কি?  আমার কিছু সাংবাদিক বনধু জানায় যেবাইরের লোক তেমন হেডমাস্টার শ্যামলবাবুর সাথে যোগাযোগ করতে সাহস পাচ্ছেনা। আমি তাই ভ্রাতৃ যুগলের সাথে কথা বলার চেস্টা করি! এমপি সেলিম ওসমানকে আমি কখনই চিনতাম না, শামীম ওসমান বিএনপি' তান্ডবে পালিয়ে থাকা অবস্থায় একবার ভারত থেকে আমেরিকা এসেছিলেন, তখন আমরা তাকে সাথ দিয়েছিলাম। শামীম ওসমান কথা দিয়েছেন তিনি শ্যামলবাবুর সাথে দেখা করবেন এবং বিষয়টি দেখবেন। আমি তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবার সম্পর্কে উচ্চ মন্তব্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। এ এলাকায় প্রধান শিক্ষক নিগৃহিত হয়েছেন সেটা শামীম ওসমানের এলাকা নয়, তবু তিনি এগিয়ে এসেছেন এজন্যে তাকে ধন্যবাদ জানাই। 

ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে হাজার হাজার মন্তব্য আসছে। ফেইসবুকে একজন লিখেছেন, আপনি কি কোন হিন্দুকে বা সংখ্যালঘুকে টার্গেট করতে চান? বা জমিজমা বা তর্কাতর্কি নিয়ে সাইজ করতে চান? তাহলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে দিন যে, 'উনি ইসলামের অবমাননা করেছেন'! ব্যাস, 'গ্যারান্টেড সাকসেস' ফেইসবুকে চিত্রা পাল লিখেছেন, 'একজন শিক্ষকের কানে ধরার ছবি দেখে যতটা দু: পেয়েছি, ততটা বিদ্রোহী কি হতে পারছি?' আর একজন লিখেছেন, 'এটি একটি সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার নীলনক্সা' একজন বললেন, সাম্প্রতিককালে শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের হুঙ্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্র থেকে হিন্দুদের বিদায় করার জন্যে এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। এক ভদ্রলোক লিখেছেন এক মজার মন্তব্য,' স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলছেন দেশে আইএস নাই, সেলিম ওসমানের মত এমপি থাকলে আর আইএস লাগে'? সর্বশেষ বরিশাল বোর্ডে 'হিন্দু ধর্ম' বিষয়ে ফেল করা দুই হাজার শিক্ষার্থীকে নুতন করে পাশ দেখানো হয়েছে, এরমধ্যে ৭৯জন জিপিএ পেয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি ষড়যন্ত্র, না ভুল? যে দু'একজন ছাত্র-ছাত্রী ফেল করে আত্মহত্যা করেছেন, এর দায় কে নেবে?    

বান্দরবনে বৌদ্ধ ভিক্ষু গলা কেটে জবাই; টাঙ্গাইলে দর্জি হত্যা; নড়াইল- এমপি' বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ; কালিয়ায় নৌকায় ভোট দিয়ে সংখ্যালঘুরা বিপাকে; বরিশালে ব্যাপটিস্ট মিশনের জমি নিয়ে সংষর্ষ; ভালুকায় প্রতিমা ভাংচুর; ইমাম হত্যা, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী জঙ্গি গ্রেফতার; পাবনায় শিব মন্দিরের মূর্ক্তি ভাংচুর; বগুড়ায় ১১বছরের বালিকা অপহরণ, সংখ্যালঘু শিশু ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা আটক; শত বছরের বুড়িতলা কালীমন্দিরে ভাংচুরজঙ্গীরা অচিরেই দেশের গ্রামগুলো দখল করবে বা সর্বশেষ শিক্ষকের কান ধরে উঠ-বস নিশ্চিতভাবে একটি দেশ বা জনগোষ্ঠীর জন্যে কোন শুভ সংবাদ নয়।   আমরা তো এই বাংলাদেশ চাইনি, বাংলাদেশের চেহারা যদি পাকিস্তান বা ইরানের মত হয় তবে কি দরকার ছিলো দেশ স্বাধীনের? ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান আর বাংলাদেশের চেহারাটা তো এখন একই। যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের লম্বা লম্বা বুলি আওড়াতে পছন্দ করেনতাদের আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার অনুরোধ রইলো। তবে এসম্পর্কে ভালো কথা বলেছেন গণজাগরণের ইমরান সরকার, তিনি বলেছেন, মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার খই ফোটাবেন, আর মুর্ক্তি-মন্দির ভাঙ্গবেন তা তো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নমুনা হতে পারেনা

ধর্মের নামে একজন শিক্ষকের লাঞ্ছনা বা মানবতার অপমানের শেষ কোথায়? টার্গেটেড কিলিং আমরা দেখছি, এখন ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে অন্যদের টার্গেট করে হয়রানিও আমরা হামেশাই দেখছি। এতে ব্যক্তিগতভাবে কিছু লোকের কিছু সময়ের জন্যে লাভ হলেও ধর্ম বা সমাজের কোন লাভ হয়না। রাষ্ট্রযন্ত্র তাই এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো দরকার। দু:খের বিষয়, আমরা তাও দেখছিনা। ওই অপমানিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল ভক্তের কাহিল অবস্থা শুনে আমার সিরাজদ্দৌলা নাটকের ডায়লগের মতই বলতে ইচ্ছে করেছিলো, 'জাতির এই দুর্যোগে কে দেবে তারে আশা, কে দেবে তারে ভরসা।" এই শিক্ষক শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নন, তিনি শিক্ষক সমাজের একজন প্রতিনিধি, এই অপমান পুরো শিক্ষক সমাজের। শিক্ষকরা যদি এর প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হন, তবে কবির ভাষায় বলতে হয়, 'অপমানে হতে হবে তাদের সবারই সমান--".  

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।

নিউইয়র্ক। ১৫মে ২০১৬। 



__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___