Banner Advertiser

Saturday, August 8, 2015

[mukto-mona] সেবা নিতে আসা ৮০% শিশুই ছিল ধর্ষণের শিকার



সেবা নিতে আসা ৮০% শিশুই ছিল ধর্ষণের শিকার

মানসুরা হোসাইন | আপডেট:  | প্রিন্ট সংস্করণ

শিশু নির্যাতনগত ১৫ বছরে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে সরকারি সেবাকেন্দ্রে আসা নারী ও শিশুর সংখ্যা ২১ হাজারের বেশি। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু। তাদের ৮০ শতাংশই ধর্ষণের শিকার। বাকি শিশুরা গৃহকর্মী হিসেবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট আটটি সেবাকেন্দ্রে গত জুলাই মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এই আটটি কেন্দ্র ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) নামে পরিচিত। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের এখানে আইনি সুবিধাসহ সমন্বিত সেবা দেওয়া হচ্ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের কার্যক্রমের অধীনে ওসিসি পরিচালিত হচ্ছে।
তবে চিকিৎসাসেবার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও মামলাগুলো ঠিকমতো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অপরাধীর শাস্তি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার প্রাথমিক পর্যায়ে মামলা করতে উৎসাহী হয়। কিন্তু ওসিসি থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার পর পারিবারিক ও সামাজিক চাপে মামলা চালানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায়। বেশির ভাগ দরিদ্র পরিবার ধর্ষকের পরিবারের সঙ্গে টাকাপয়সার বিনিময়ে আপসরফা করে ফেলে।
ধর্ষণসহ শিশুসংক্রান্ত মামলাগুলোর জন্য আলাদা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুপারিশ করেন আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম বলছে, চলতি বছরের জুলাই মাসেই ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬৭ শিশু। আর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৩৪৭টি শিশু। এর মধ্যে শুধু গণধর্ষণের শিকার ছিল ৬১টি শিশু। ৩৪৭টি শিশুর মধ্যে চারটি ছেলেশিশুও এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়।
শিশু ধর্ষণসহ অন্যান্য যৌন সহিংসতার সংখ্যা বাড়ছে। গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার সংখ্যাও বেড়েছে। ফোরামের তথ্য বলছে, ২০১২ সালে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৮৬। বছরটিতে ধর্ষণের চেষ্টাসহ মোট ৯১ জন এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। ২০১৩ সালে ধর্ষণের পর হত্যাসহ সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৩। ২০১৪ সালে শুধু গণধর্ষণেরই শিকার হয় ২২টি শিশু। সব মিলে সংখ্যাটি ছিল ২২৭।
বিভিন্ন ইংরেজি ও বাংলা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ২৬৭টি শিশু অধিকার নিয়ে কর্মরত সংগঠনের মোর্চা শিশু অধিকার ফোরাম গত বছরের শিশু ধর্ষণের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, বছরটিতে ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতার শিকার শিশুর মধ্যে ১ থেকে ৬ বছর বয়সী ছিল ৫৬টি বা ২৫ শতাংশ। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮০টি, অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুছ শহিদ মাহমুদ বলেন, শিশু ধর্ষণসহ যেকোনো ঘটনায় কোনো বেসরকারি সংগঠন হয়তো ১০টি সংবাদপত্র বিশ্লেষণ করছে। আবার কোনো সংগঠন পাঁচটি পত্রিকা বিশ্লেষণ করছে। ফলে সংখ্যার তারতম্য ঘটছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত সংগঠনগুলো অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যগুলো সংরক্ষণ করছে না। এটি করলে সংখ্যার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে সংখ্যা বা পরিসংখ্যানের জটিলতা এড়াতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। একটি তথ্যভান্ডার থাকতে হবে। তাহলে দেশের আসল পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব হবে।
শিশুকে যৌন সহিংসতা থেকে সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোখসানা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, 'ইদানীং পত্রিকার পাতা খুললেই শিশু ধর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘটনা বেশি ঘটে, তখন গণমাধ্যমে এ ধরনের ঘটনাগুলো দেখা যায় না। তখন কি আসলেই ঘটনা ঘটে না? না গণমাধ্যম গুরুত্ব দেয় না? ফলে আসলেই সংখ্যাটি বাড়ছে কি না, তা বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমকে সব সময়ই এ ধরনের ঘটনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচার ও প্রকাশ করতে হবে।'
শিশুর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব: শিশু ধর্ষণের সংখ্যার পাশাপাশি ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার পর শিশুর ওপর যে ভয়াবহভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিশু অধিকার নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, এই বীভৎস স্মৃতি অনেকে সারা জীবন মনে রাখে। ফলে তারা সামাজিক, পারিবারিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বলতে গেলে শিশু বয়সের ঘটনা তার পুরো জীবনটাকেই পাল্টে ফেলে।
নওগাঁর এক আদিবাসী বাবা টেলিফোনে প্রথম আলোকে বাংলা ও সাঁওতাল ভাষার মিশেলে যা জানালেন তা হচ্ছে, তাঁর মাত্র তিন বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে মেয়ের আপন ফুফা। ধর্ষণের ঘটনা ঘটে রোজার শুরুর দিকে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা এখন একটু ভালো। মেয়ের শারীরিক অবস্থার কথা মুখে বলতেও লজ্জা পাচ্ছিলেন ওই বাবা। তিনি বলেন, 'মেয়ের শরীরের ক্ষতি হইছে, তাই তো এক মাস পর আবার অপারেশন হবে।' আর ঘটনার পর মানুষ দেখলেই মেয়ে ভয় পেত বলে জানালেন বাবা।
আদিবাসী বাবার নিজের জমি নেই। মানুষের জমিতে কৃষিকাজ করেন। তিনি বলেন, 'নিজের বলতি আছে, হাত আর পা।' ঘটনার ১৫ থেকে ১৬ দিন পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন আসামি কারাগারে আছে। বোন মামলা তুলে নিতে আদিবাসী ওই ভাইয়ের ওপর চাপ দিচ্ছেন। তবে বাবা বলেন, 'দুলাভাই না, আমার মেয়ে আগে। খারাপ মানুষ সাজা পাক। আমি বিচার চাই, শাস্তি চাই।'
৩০ জুলাই রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে এক কর্মজীবী কিশোরী (১৭) গণধর্ষণের শিকার হয়। রাজধানীর উত্তরায় ওই কিশোরীর এক সহকর্মীসহ কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ওসিসি থেকে তাকে তার দুলাভাইয়ের বাসায় নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার কিশোরীর দুলাভাই প্রথম আলোকে বলেন, 'ঘটনার পর ওর মনের মধ্যে ভয় ঢুকছে। ঘরের ভেতরেই থাকে সারাক্ষণ। জান নিয়া টানাটানি, তাই ও আবার ওর কর্মস্থলে ফিরে যাবে কি না, তা এখনো ঠিক করা হয়নি।'
মামলা আলোর মুখ দেখে না: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ধর্ষণের পর বেশির ভাগ পরিবার মামলা করলেও শেষ পর্যন্ত মামলা লড়তে চায় না। এ ক্ষেত্রে সামাজিক এবং পারিবারিক চাপ থাকে। শিশুরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিচিত জনদের মাধ্যমেই ধর্ষণের শিকার হয়। মেয়েশিশুর ভবিষ্যতে বিয়ে ও অন্যান্য কথা চিন্তা করেও অনেকে মেয়ের ধর্ষণের বিষয়টি চেপে যান। গণমাধ্যমেও যে পরিমাণে শিশু ধর্ষণের খবর প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়, সে পরিমাণে ফলোআপ বা কতজন আসামি সাজা পেয়েছে, সে ধরনের সংবাদ কম থাকে। ফলে শিশু অধিকার ফোরাম বা অন্যান্য সংগঠন যারা গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করছে, তাদের কাছে সে ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/597505/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A7%AE%E0%A7%A6%25-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] খুন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন - প্রভাষ আমিন



প্রভাষ আমিন : উগ্রপন্থী জঙ্গিদের হাতে একটা তালিকা আছে। পত্র-পত্রিকায় পড়েছি সেই তালিকায় ৮৪ জনের নাম আছে। তাদের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা আছে, তাতে নাম আছে ১৬ জনের। জঙ্গিরা সেই তালিকা ধরে-ধরে একই স্টাইলে একের পর এক খুন করে যাচ্ছে। সরকার নির্বিকার। আমরা ফেসবুকে, ভার্চুয়াল জগতে প্রতিবাদের ঝড় তুলছি, শাহবাগে মিছিল-সমাবেশ করছি; কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। এখন যেটা মনে হচ্ছে, তালিকায় যে ৮৪ জনের নাম আছে, তারা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ খেকে বিদায় নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। বাসার সামনে নয়, বইমেলার সামনে নয়, রাস্তায় নয়; এখন বাসার ড্রইংরুমেও আপনি নিরাপদ নন। হয় এই ৮৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হোক, না হলে তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। এই যেমন নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়েছিলেন নিলয়। পুলিশ তাকে বিদেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই পুলিশকে আমি দোষ দেই না। তিনি নিলয়কে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই পরামর্শেই ফুটে উঠেছে পুলিশের অসহায়ত্ব। পুলিশ জানে, তারা পারবে না, তাই তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পালিয়ে যাওয়ার। সেই পুলিশের পরামর্শ শুনলে নিলয় জানে বেঁচে যেতে পারতো।

08082015_03_PROVASH_AMIN

আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খুব সক্রিয়। লেখালেখি করি বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, অনলাইনে। প্রচুর লিখি, নিশ্চয়ই তাতে অনেক লোক বিরক্ত হয়। কিন্তু ব্লগ সম্পর্কে আমার ধারণা হেফাজতের সেই কর্মীর মতো, যে বলেছিল- ইন্টারনেট দিয়া ব্লগ চালায়। রাজীব থেকে শুরু করে নিলয়- কাউকেই মৃত্যুর আগে আমি চিনতাম না। গ্লানিবোধ হয়, নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়, এত বড় জগতের কাউকেই চিনি না, এটা কেমন কথা। নিজেকে আমি সত্যিকারের মুক্তমনা লেখক মনে করি। তাই না চিনলেও ব্লগে যারা লেখালেখি করেন, তাদের অনুভূতির প্রতি, তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি আমার অনকে শ্রদ্ধা। মৃত্যুর আগে না চিনলেও মৃত্যুর পর তাদের বিভিন্ন লেখালেখি দেখেছি। তাদের অনেক লেখার সঙ্গেই আমি একমত নই। বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে তাদের অনেকের অবস্থানের সঙ্গে আমার প্রবল দ্বিমত। বাংলাদেশে একটা প্রচলিত ফ্যাশন আছে, ইসলাম বিরোধিতাই এখানে মুক্তমনা, প্রগতিশীলতার সাইনবোর্ড যেন। কিন্তু ইসলাম বিরোধিতাকে আমি প্রগতিশীলতা মনে করি না। কিন্তু আমি সবসময় মতপ্রকাশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ব্লগারদের অনেক মতের সঙ্গে আমার ভিন্নমত থাকলেও তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত। মতপ্রকাশের অপরাধে মৌলবাদীরা রীতিমত তালিকা করে-করে মানুষকে খুন করে ফেলবে, এ কেমন কথা। বারবার একই স্টাইলে তালিকাভুক্ত মানুষদের খুন করে, খুনের পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে মৌলবাদীরা সরকারকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকারের নির্লিপ্ততা দেখে মনে হচ্ছে, তারা সেই যুদ্ধে আগেই হেরে বসে আছে। তাহলে কি এখন তালিকার বাকি ব্লগাররা মৃত্যুর জন্য তৈরি হয়ে বাসায় বসে অপেক্ষা করবে?

কাল যখন টেলিভিশনে ব্লগার নিলয় হত্যার খবর দেখাচ্ছিল, আতঙ্কিত প্রসূন এসে আমাকে বললো, বাবা তুমি ফুল-পাখি নিয়ে লেখো, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে আর লেইখো না। প্রত্যেকবার ব্লগার খুন হলে প্রসূনের মধ্যে এই আতঙ্ক তৈরি হয়, বাবাকে বাঁচাতে কান্নাকাটি করে। আমি হেসে উড়িয়ে দেই বটে, কিন্তু লেখালেখির অপরাধে বাসায় ঢুকে খুন করে গেলে আতঙ্ক আমাকেও গ্রাস করে। আমি ভাবি, আমার লেখায়ও তো কেউ না কেউ ক্ষুব্ধ হন। মতে না মিললে কমেন্টে, ইনবক্সে অনেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এতদিন পাত্তা দেইনি। এখন দেখছি মতপ্রকাশই এই দেশে সবচেয়ে বড় অপরাধ। হয় চুপ থাকতে হবে, নয় পালিয়ে যেতে হবে।

আমার সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন দেখি ব্লগারদের খুন করার জন্য খুনিরা ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। নিলয়কে খুন করার সময়ও 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবর' বলেই চাপাতি চালানো হয়েছে। কিন্তু ইসলামের কোথায় ভিন্নমতের মানুষকে খুন করার কথা বলা বা লেখা আছে? এই খুনিরা, এই উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ইসলামকে সন্ত্রাসীদের ধর্ম বানিয়ে ফেলছে। এই প্রবণতা শুরু হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর। তারপর আল কায়েদা, তালেবান, সাম্প্রতিক আইএস'এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আসলে বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসেবে বিশ্বের মোড়লরা ইসলামকে ভুলভাবে সন্ত্রাসের সমার্থক করে ফেলেছে। আপনার নামে আহমেদ, মোহাম্মদ থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও বিমানবন্দরে আপনাকে নিরাপত্তা চৌকি পেরুতে হবে।

বৈশ্বিক এই প্রবণতা থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও। গণজাগরণ মঞ্চ দিনের পর দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও তাদের কাউন্টার হিসেবে যাদের মাঠে নামানো হলো, সেই হেফাজতে ইসলাম মাঠে নেমেই আগুন জ্বালিয়ে দিলো। ইসলামকে হেফাজত করতে নামলো তারা সহিংস কায়দায়। এখন যে তালিকা ধরে ধরে ব্লগারদের খুন করা হচ্ছে, সেও ইসলামের নামেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, ব্লগাররা নয়, এই খুনিরাই ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু, ইসলামের ভাবমূর্তি তারাই ধ্বংস করছে। ইসলাম ধর্ম নিশ্চয়ই এত ঠুনকো নয় যে কোথায় কোন বাংলাদেশে, কোন ব্লগার, ব্লগে কী লিখলো তাতেই ইসলাম হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে। আর এই উগ্রপন্থীদের কে দায়িত্ব দিয়েছে ইসলাম রক্ষার? ব্লগারদের লেখার জবাব আপনি পারলে লেখা দিয়ে দেন। কলমের জবাবে চাপাতি কেন?

ব্লগারসহ, সকল মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব পালনে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে সেটা সরকার ঘোষণা দিয়ে দিক, যে তারা পারবে না। আমরা হয়, পালিয়ে যাবো, নয় খুন হবো। কিন্তু আমার খুব অবাক লাগে, ব্লগার হত্যার ব্যাপারে সরকার এমন নির্লিপ্ত, নির্বিকার কেন? কেন এখন পর্যন্ত কোনও ব্লগার হত্যার সুরাহা হলো না? ব্লগারদের যারা খুন করছে, তারা তো ভিনগ্রহ থেকে আসা নয়। এই দেশে, এই সমাজেই বাস করে এই ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা। ক্রসফায়ারের ব্যাপারে কলঙ্ক থাকলেও এলিট ফোর্স র‌্যাবের তো অনেক সাফল্যও আছে। তারা দাবি করে জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক তারা ভেঙ্গে দিয়েছে। তাহলে কারা এই তালিকা করছে, কারা এই খুন করছে? ক্লুলেস অনেক খুনের রহস্য উদঘাটন করে ফেলে র‌্যাব। আর দিনে-দুপুরে পাঁচতলা বাসায় ঢুকে খুন করে চলে যায় খুনিরা, যাওয়ার সময় চাপাতি ধুয়ে যায়, কাপড় বদলে যায়, গিয়ে আবার দায় স্বীকার করে বিবৃতি পাঠায় আর সরকার বসে বসে আঙ্গুল চুষে। এটা হতে পারে না।

আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। জীবনের নিরাপত্তা চাই।

লেখক: অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ।

http://khabor.com/archives/63636

Also read:

http://khabor.com/archives/63639

ফেসবুকে নিলয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
অনলাইন ডেস্ক

- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/08/08/56492.php#sthash.GE7blDMZ.dpuf

http://www.manobkantha.com/2015/08/08/56492.php




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Fwd: মুসলমানগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং প্রতারণাযুক্ত শুভেচ্ছা বিবৃতি



Very well said, Subimal.





On Saturday, 8 August 2015, 0:05, "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
No. Islamists have their own agenda and they know exactly what they are doing. I do not treat Muslims and Islamists as synonymous the same way as I do not equate Hindus with Hindutvabadis. Obama's message is great and so is Modi's. Our goal is to bolster the ties between all the religious communities and make sure that we do not let people fall victims of the Islamist or Hindutvabadi propaganda. We are passing through a critical juncture in history. 

Sent from my iPhone

On Aug 5, 2015, at 9:22 PM, Dristy Pat dristypat5@gmail.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Will all these good messages bring Muslims any closer to non-Muslims? I don't think so. No smooth talk will erase ideological divide. Ideological battle, once started, will go on until one side is weakened so much that it can't raise it's head again. That will take time. Communism did not die overnight. So, Islamists will not give up overnight also.

2015-08-05 5:51 GMT-05:00 মাওলানা আহমদ শফী sipahi13@gmail.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>:
 
Subject: মুসলমানগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং প্রতারণাযুক্ত শুভেচ্ছা বিবৃতি


মুসলমানগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং  প্রতারণাযুক্ত শুভেচ্ছা বিবৃতি

পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ১৮ জুন-২০১৫ ঈসায়ী, ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস শুরু হয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় শুরু হচ্ছে ইয়াওমুল জুমুয়াবার থেকে। ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবার এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছে, 'নতুন চাঁদ পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ নিয়ে হাজির হয়েছে। এ উপলক্ষে মিশেল (ফার্স্ট লেডি) এবং আমি যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে রোযাদার মুসলিমদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।' সে বলেছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ এমন এক সময় যখন পরিবার এবং কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ ইফতার এবং নামাযের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশে একত্রিত হন। এটা মুসলিম সমাজ ও সংস্কৃতিরসমৃদ্ধ একটি দিককেই সামনে নিয়ে আসে। ওবামা বলেছে, আমার পরিবার থেকে আপনাদের পরিবার- সবার জন্য 'রমযানুল কারীম'!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেছে, এই ত্যাগের মাসে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা সংঘাত, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং রোগে জীর্ণ মানুষের সহায়তায় ছুটে যান। আমেরিকাতেও অন্য নাগরিকদের সাথে মিলে অভাগা মানুষদের ভাগ্যন্নোয়নে মিলেমিশে কাজ করেন। সে প্রতিবছরের মতো এবারও হোয়াইট হাউজে ইফতার আয়োজনের জন্য মুখিয়ে আছে বলেও বিবৃতিতে জানায় ওবামা। 
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনও ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছে, পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নিজেদের বিশ্বাসের ভিতকে শক্ত করতে এই সময় ব্রিটেন ও বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উচিত এক হয়ে কাজ করা। এসময় ব্রিটেনে মুসলমানদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি আলোকপাত করে। সে বলেছে, 'প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও ব্রিটিশ যোদ্ধাদের সঙ্গে বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে যুদ্ধ করেছেন মুসলিমরা।' এসময় সে আরো বলে যে, ব্রিটেনে দাতব্য সংস্থাগুলোতে সর্বাধিক অবদান মুসলমানদের। এজন্য তিনি মুসলিম জাতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবার থেকে শুরু হওয়া পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আশা প্রকাশ করে বলেছে, এই পবিত্র মাস সমাজে ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যের চেতনাকে সুদৃঢ় করবে, সবার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত বলার অপেক্ষা রাখে না, টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন কর্মকর্তারা, দেশটির গণমাধ্যম ও উগ্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো জ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাতসারে মুসলিমবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালায় এবং মুসলমানগণকে সহিংসকামী, উগ্র মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালায়। 
এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলমানগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এমনকি কেবল মুসলিম নামসম্পন্ন হওয়ার অপরাধে অনেককে বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি অথবা বিনা কারণে ও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অনেক মুসলমানের বাড়িতে এখনো তল্লাশী চালানোর নামে মহা হয়রানি করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মুসলমানগণের সম্মানে এ ইফতারীর আয়োজন এবং ওবামার ভাষণ কতটা সঙ্গতিপূর্ণ অথবা প্রতারণাযুক্ত তা অবশ্যই নির্ণয়ের বিষয়।
উল্লেখ্য, মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে সম্প্রীতিমূলক ভাষণ ওবামা প্রায়ই দিয়ে থাকে এবং তাতে তার অনিচ্ছায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার স্বীকৃতিও এসে যায়।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে ইফতার পার্টিতে সে বলে যে, মুসলিম বিশ্ব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরিতে সে বদ্ধপরিকর। বারাক ওবামা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মুসলিমগণের অবদানের তালিকা অনেক দীর্ঘ। দেশ ও সমাজ গঠনে নিবিড় ভূমিকা রয়েছে তাদের। পবিত্র দ্বীন ইসলাম ধর্মকে ন্যায় বিচার ও উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক মহান ধর্ম বলে অভিহিত করে সে। 
ওবামা বলেছে, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের জন্য আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য দেশে ও বিদেশ উভয় ক্ষেত্রেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার প্রতিশ্রুতিগুলির অন্যতম হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন।
২০১১ সালের গত ১৯ মে হোয়াইট হাউসে ওবামা অনুরূপ বিষয়ে বক্তৃতা করেছিল। এর আগে ১০ নভেম্বর ২০১০ ঈসায়ী বারাক ওবামা ইন্দোনেশিয়া সফরকালে বলেছে, মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো অনেক কাজ করে যেতে হবে। তারও আগে ২০০৯ সালের শেষে কায়রোয় মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে অনেককেই আপাত মুগ্ধ করেছিলো সে। নির্বাচিত হওয়ার পর সেটাই ছিল তার প্রথম বিশ্বমাপের বক্তৃতা। তার পাশে ছিলো স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক। সেই বক্তৃতা শুনে এক লেফাফা দুরস্ত মহানুভব সম্রাটের প্রতি সম্মানে কেবল উপস্থিত শ্রোতারাই নয়, অনেকেই মঞ্চের মধ্যে খাড়া হয়ে তাকে অভিবাদন জানিয়েছিলো। তারপর সে পেলো নোবেল পুরস্কার। বিশ্বের দেয়া সম্মান গায়ে মেখে এবং শান্তির মেডেল গলায় ঝুলিয়ে সে বিশ্বত্রাতার ভাব নিলো! এদিকে ইরাক আগ্রাসন প্রসারিত হতে থাকল ইরান ও সিরিয়ার দিকেও, আর আফগান যুদ্ধ সীমান্ত ডিঙিয়ে ঢুকে পড়লো পাকিস্তানেও।
অতি সম্প্রতি লাদেনের নামে পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন মুসলমানগণের জন্য অবমাননামূলক ঘটনা। কিন্তু ৬ই জুন/২০০৯ তারিখে ওবামার মিশরের কায়রো ভাষণ আজো মুছে যায়নি। সাধারণ মুসলমানগণের খ্রিস্টান তথা ওবামাদের প্রতারণা বুঝে উঠার লক্ষ্যে নিম্নে হুবহু উল্লেখ করা গেল-
বারাক ওবামা: শুভ বিকেল। অনন্তকালের এই কায়রো নগরীতে আসতে পেরে এবং দুটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অতিথি হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে 'আল আজহার' ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষার প্রতীক হয়ে আছে; এবং এক শতকেরও বেশি সময় ধরে মিসরের অগ্রসরতার উৎসভূমি হয়ে আছে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়। একত্রে এ দুুইটিকে মিলিয়ে আপনারা ঐতিহ্য এবং প্রগতির মধ্যে সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমি আপনাদের এবং মিসরের জনগণের আতিথেয়তায় কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে মার্কিন জনগণের এবং আমার দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা নিয়ে আসতে পারায় আমি গর্বিত: 
আসসালামু আলাইকুম!
যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমগণের মধ্যে মহা-উত্তেজনার এক কালে আমরা মিলিত হয়েছি --। এই উত্তেজনার শিকড় ঐতিহাসিক শক্তিগুলোর মধ্যে প্রোথিত, যা আজকের দিনের যে কোনো নীতিনির্ধারণী বিতর্কের অনেক উর্ধ্বে। ইসলাম এবং পশ্চিমের সম্পর্কে শত শত বছরের সহাবস্থান এবং সহযোগিতা ছিল, কিন্তু একইসঙ্গে সংঘাত ও ধর্মযুদ্ধও ছিল। নিকট অতীতে উপনিবেশিকরণের মধ্য দিয়ে আবারও উত্তেজনা উসকে উঠেছে, যে উপনিবেশিকরণ বহু মুসলিমের অধিকার এবং সুযোগকে অস্বীকার করেছিল এবং একটি স্নায়ুযুদ্ধ যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর আশা-আকাঙ্খার মূল্য না দিয়ে তাদের কেবলই একটি বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে। তদুপরি আধুনিকতা এবং বিশ্বায়নের বল্গাহীন পরিবর্তনের ধারা অনেক মুসলিমের মধ্যে এমন ধারণার জন্ম দিয়েছে যে পশ্চিমারা ইসলামী রীতিনীতির প্রতি বৈরী।
সহিংস চরমপন্থীরা এসব উত্তেজনাকে ব্যবহার করে মুসলিমগণের একটি ক্ষুদ্র হলেও শক্তিমান অংশের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা এবং বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতায় লিপ্ত হতে এসব চরমপন্থীর লাগাতার চেষ্টা আমার দেশের কিছু মানুষকে এমন ভাবতে শিখিয়েছে যে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম আবশ্যিকভাবে শুধু আমেরিকা কিংবা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি বৈরী নয়, বরং মানবাধিকারের বিষয়েও বৈরী। এসবই আরো ভীতি এবং অবিশ্বাস জন্ম দিয়েছে।
যতোদিন পর্যন্ত আমাদের পার্থক্য দিয়ে আমাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হবে, ততোদিন আমরা কেবল তাদেরই শক্তিশালী করে যাব-যারা শান্তির বদলে ঘৃণার বীজ বপন করেছিল, যারা সহযোগিতার বদলে সংঘাত উসকে দিয়েছিল; যেই সহযোগিতা আমাদের সব জনগণকে ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারতো। সন্দেহ এবং বিরোধের এই পরিক্রমার অবসান হতেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমগণের মধ্যে সম্পর্কের এক নব-সূচনা চাইতে আমি এখানে এই কায়রোতে এসেছি, যে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক স্বার্থ এবং শ্রদ্ধার এবং যা এই সত্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে যে, আমেরিকা ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম একরোখা নয় এবং তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজন নেই। বরং তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই মৌলনীতিতে বিশ্বাসী ও ন্যায়বিচার এবং প্রগতির নীতি; সহিষ্ণুতা এবং সব মানুষের মর্যাদার নীতি।
আমি এটা স্বীকার করি যে, রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমি জানি আজকের এই ভাষণ নিয়ে অনেক প্রচার হয়েছে, কিন্তু একটিমাত্র ভাষণে বহু বছরের অবিশ্বাস দূর করা যায় না। আর যেসব জটিল প্রশ্ন আজকে আমাদের এখানে মুখোমুখি করে দিয়েছে তার উত্তরও আমি আজকের এই বিকেলে আমার হাতে যতোটুকু সময় আছে তাতে দিতে পারবো না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, অগ্রসর হতে হলে আমাদের অবশ্যই একে অন্যের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে হবে, সেইসব কথা যা আমরা প্রায়শই বুকের মধ্যে পুষে রাখি কিংবা দরজা বন্ধ করে ফিসফিস করে বলি। একে অন্যের কথা শোনার জন্য, একে অন্যের কাছ থেকে শেখার জন্য, একে অন্যকে শ্রদ্ধা করার জন্য এবং একটি ঐকমত্য খোঁজার জন্য আমাদের লাগাতার চেষ্টা থাকা উচিত। যেমনটা 
পবিত্র কুরআন শরীফ আমাদের বলেছে, "মহান আল্লাহ পাক উনাকে মনে রাখ এবং সর্বদা সত্য কথা বল।" আজকে আমি সেই চেষ্টাই করবো ---যতোটা সম্ভব সত্য বলবো, আমাদের সামনে যে কাজ পড়ে আছে তার প্রতি ঐকান্তিক থেকে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে শক্তি আমাদের বিভক্ত করে রাখে তার চেয়ে মানব সন্তান হিসেবে আমাদের সাধারণ স্বার্থ অনেক বেশি শক্তিশালী।
এই বিশ্বাসের অনেকটাই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত। আমি একজন খ্রিস্টান, কিন্তু আমার বাবা একটি কেনীয় পরিবারের সন্তান, যারা বংশানুক্রমিকভাবে মুসলিম। শৈশবে আমি ইন্দোনেশিয়ায় বহুবছর কাটিয়েছি। ভোরের আলো ফোটার আগে আর সন্ধ্যা নেমে আসার সময় আজানের ধ্বনি আমার কানে গিয়েছে। যুবক বয়সে আমি শিকাগোতে এমন সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে কর্মজীবন পার করেছি, যেখানে অনেকেই মুসলিম বিশ্বাসের মধ্যে নিজেদের আত্মমর্যাদা ও শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)






__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___