সমকাল প্রতিবেদক
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নতুন মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিলবোর্ড প্রচারের পর এক্ষেত্রে আরও চমক আনতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। আগামী নির্বাচনে দলকে আবারও
ক্ষমতায় আনতে শিগগিরই নানা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এক্ষেত্রে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার, রোড শো, পথসভা, কর্মী সমাবেশ, পোস্টার ও পুস্তিকা প্রকাশ, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, প্রজেক্টরসহ প্রচারের সব রকম মাধ্যমই ব্যবহার করা হবে। এসব প্রচারে সরকারের উন্নয়ন ও আগামীতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচারের জবাবও তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
প্রচারসংশ্লিষ্ট নেতারা আরও জানান, রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টেলিভিশনের প্রাইম টাইম অর্থাৎ যে সময় দর্শক সবচেয়ে বেশি থাকে সে সময়ের 'চাঙ্ক' কিনে কিংবা বিটিভি থেকে সরাসরি সম্প্র্রচার করে একযোগে সব বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সরকারের উন্নয়ন ও বিরোধী দলের ধর্মীয় অপপ্রচারের জবাব সংবলিত বিশেষ 'প্রামাণ্যচিত্র' সম্প্রচার করা হবে। এ ছাড়া দুটি অনুষ্ঠানের মাঝখানের (ফিলার) সময়ে স্বল্প আকারের বিজ্ঞাপন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। ইতিমধ্যে এসব প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করার পাশাপাশি পোস্টার ও লিফলেটের নকশাও তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর মাসের শেষদিকে পুরোদমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে তার ওপর নির্ভর করে প্রচার পদ্ধতি বদল হতে পারে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক এই প্রচার কার্যক্রমে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকালীন প্রচার পদ্ধতিকেই অনুসরণ করা হবে বলে নেতারা জানান। সেখানকার নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছাড়াও অন্য প্রার্থীরা এ পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন।
এদিকে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তরুণ সাংসদ, চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনেতা এবং স্থয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮টি টিম গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে। হেফাজত নিয়ে বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে গ্রাম পর্যায়ে 'গুচ্ছ প্রচার কমিটি' করা হবে। এসব টিম ও প্রচার কমিটিকে যথাযথ প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে দল থেকে।
এর আগে থেকেই অবশ্য প্রচার কৌশল নির্ধারণ ও সুসংহত করতে আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ৫ জন সদস্য কাজও শুরু করেছেন। এই টিমে আওয়ামী লীগের সংস্কৃৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার, সাংসদ রেজা আলী এবং ডিজাইনার তারিক সুজাতসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন। বিদেশ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞও এই প্রচার বিষয়ে দলটিকে সহায়তা করবেন।
নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়কেও বিশেষভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি দেখছেন তিনি। ইতিমধ্যে জয় এক দফা দেশে এসে এসব কার্যক্রম সমন্বয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজও সেরে গেছেন। শিগগিরই আবারও দেশে এসে পুরোমাত্রায় কাজে নামবেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল নির্বাচনী থিম 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' তৈরি ও প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তার।
সূত্রমতে, আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও প্রচার কার্যক্রমের এসব কৌশল নিয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই দিন বিকেল ৫টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন সমকালকে বলেন, নতুন মাত্রায় প্রচার কার্যক্রমে তারা অভিনবত্ব আনার দিকেই বেশি নজর দেবেন।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নতুন মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিলবোর্ড প্রচারের পর এক্ষেত্রে আরও চমক আনতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। আগামী নির্বাচনে দলকে আবারও
ক্ষমতায় আনতে শিগগিরই নানা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এক্ষেত্রে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার, রোড শো, পথসভা, কর্মী সমাবেশ, পোস্টার ও পুস্তিকা প্রকাশ, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, প্রজেক্টরসহ প্রচারের সব রকম মাধ্যমই ব্যবহার করা হবে। এসব প্রচারে সরকারের উন্নয়ন ও আগামীতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচারের জবাবও তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
প্রচারসংশ্লিষ্ট নেতারা আরও জানান, রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টেলিভিশনের প্রাইম টাইম অর্থাৎ যে সময় দর্শক সবচেয়ে বেশি থাকে সে সময়ের 'চাঙ্ক' কিনে কিংবা বিটিভি থেকে সরাসরি সম্প্র্রচার করে একযোগে সব বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সরকারের উন্নয়ন ও বিরোধী দলের ধর্মীয় অপপ্রচারের জবাব সংবলিত বিশেষ 'প্রামাণ্যচিত্র' সম্প্রচার করা হবে। এ ছাড়া দুটি অনুষ্ঠানের মাঝখানের (ফিলার) সময়ে স্বল্প আকারের বিজ্ঞাপন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। ইতিমধ্যে এসব প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করার পাশাপাশি পোস্টার ও লিফলেটের নকশাও তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর মাসের শেষদিকে পুরোদমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে তার ওপর নির্ভর করে প্রচার পদ্ধতি বদল হতে পারে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক এই প্রচার কার্যক্রমে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকালীন প্রচার পদ্ধতিকেই অনুসরণ করা হবে বলে নেতারা জানান। সেখানকার নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছাড়াও অন্য প্রার্থীরা এ পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন।
এদিকে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তরুণ সাংসদ, চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনেতা এবং স্থয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮টি টিম গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে। হেফাজত নিয়ে বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে গ্রাম পর্যায়ে 'গুচ্ছ প্রচার কমিটি' করা হবে। এসব টিম ও প্রচার কমিটিকে যথাযথ প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে দল থেকে।
এর আগে থেকেই অবশ্য প্রচার কৌশল নির্ধারণ ও সুসংহত করতে আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে ৫ জন সদস্য কাজও শুরু করেছেন। এই টিমে আওয়ামী লীগের সংস্কৃৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার, সাংসদ রেজা আলী এবং ডিজাইনার তারিক সুজাতসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন। বিদেশ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞও এই প্রচার বিষয়ে দলটিকে সহায়তা করবেন।
নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়কেও বিশেষভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের বিষয়টি দেখছেন তিনি। ইতিমধ্যে জয় এক দফা দেশে এসে এসব কার্যক্রম সমন্বয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজও সেরে গেছেন। শিগগিরই আবারও দেশে এসে পুরোমাত্রায় কাজে নামবেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল নির্বাচনী থিম 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' তৈরি ও প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তার।
সূত্রমতে, আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও প্রচার কার্যক্রমের এসব কৌশল নিয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই দিন বিকেল ৫টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন সমকালকে বলেন, নতুন মাত্রায় প্রচার কার্যক্রমে তারা অভিনবত্ব আনার দিকেই বেশি নজর দেবেন।
রেটিং দিন :
__._,_.___