Banner Advertiser

Tuesday, September 26, 2017

[mukto-mona] বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক চিরঅটুট : অমৃতা পারভেজ, ডয়চে ভেলে



ব্লগ

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক চিরঅটুট

বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের মধ্যে যে সম্প্রীতি তা কি আজ ফিকে হয়ে আসছে? আমরা কি আবারো পারি না ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে সম্প্রীতির বাঁধনে বাঁধতে!

default

মোরা একই বৃন্তে দু'টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান – আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানটি আশির দশকে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সব সময়ই গাইতো৷ উদীচীর হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে এই গানটা প্রায়ই গাওয়া হতো৷

ঠিক এই গানটি যেন দিনাজপুরের তৎকালীন চিত্রটা ফুটিয়ে তুলতো৷ দিনাজপুরের মতো অসাম্প্রদায়িক এলাকা বাংলাদেশে হয়ত খুব কমই আছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে ঘুরতে গিয়ে আমার বন্ধুদেরও একই অনুভূতি৷ দিনাজপুরে মায়ার বাঁধনে হিন্দু মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে যেন মিলে মিশে একাকার৷ সারা বছরই শহরটায় উৎসব লেগে থাকতো৷ বছরে দু'টো ঈদ, শবে বরাত, কালী পূজা, দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজায় যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল হিন্দু-মুসলমান সবার মাঝে, তাতে বোঝা কঠিন ছিল, কোনটা কার উৎসব৷

রোজার ঈদে চাঁদ রাতে বাবার বন্ধুরা দাওয়াত দিতে আসতেন আমাদের বাসায়৷ ঈদের দিন ঘুম ভাঙতেই মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তানু, আমাদের তানু কাকা হাজির হতেন মোটরসাইকেল নিয়ে৷ আমরা দুই বোন তাতে সওয়ার হয়ে রওনা দিতাম তাঁর বাসায়৷ দুপুর পর্যন্ত ওখানেই কেটে যেতো আমাদের৷ কাকিমার হাতের দারুণ সব রান্নার স্বাদ যেন এখনো জিভে লেগে আছে৷ বাবা সেখানে আসতেন দুপুর বেলায়৷ মা মাংস খেতেন না বলে কাকিমা মায়ের জন্য সেমাই দিয়ে দিতেন বাক্সে ভরে৷ কেবল ঈদের দিন না, পরের দু'দিনও বন্ধু বান্ধবদের বাসায় ঘোরাঘুরি৷ আইসক্রিম খাওয়া, আরও কত কি! ঈদ যে আমাদের কোনো উৎসব না, এটা কখনোই মনে হয়নি, বরং রোজা শুরুর অপেক্ষায় থাকতাম আমরা৷

৮০'র দশকে রোজা হতো গ্রীষ্মকালে৷ রোজার সময় রাস্তায় বরফ বিক্রি হতো৷ বসতো আতরের দোকান৷ রাস্তায় রাস্তায় লাচ্ছা বানানো দেখতাম অবাক হয়ে৷ কীভাবে হাতের জাদুতে নিমেষে সুন্দর লাচ্ছা তৈরি হয়৷ আর কখন ইফতারের দোকান বসবে সেই অপেক্ষায় রাস্তায় তাকিয়ে থাকতাম৷ মায়ের কাছে টাকা নিয়ে ছুটতাম ঘুগনি, জিলাপি, চপ এসব কিনতে৷ পাশের বাড়ি থেকে ইফতারের সময় প্রায়ই কিছু না কিছু খাবার আমাদের বাড়িতে আসতো৷ এটা যে শুধু আমাদের বাড়িতে হতো এমন না৷ আমাদের অনেক পরিচিত বাড়িতে গিয়েও শুনতে পাবেন একই গল্প৷ দিনাজপুরে ঈদ যেন সার্বজনীন উৎসব৷ কোরবানি ঈদে আমাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল৷ বাবার বন্ধুরা গরুর পাশাপাশি খাসি কোরবানি দিতেন, যাতে তার হিন্দু বন্ধুরাও কোরবানিতে শামিল হতে পারে৷ এমনকি কোরবানির মাংস আমাদের বাসাতেও পাঠাতেন তাঁরা৷

একই ধরনের ঘটনা ঘটতো পূজার সময়৷ দুর্গা পূজা বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব৷ বিশ্বকর্মা পূজার পর প্রতিমা গড়া শুরু হতো৷ আমি ও আমার অনেক মুসলমান বন্ধুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় পূজা মণ্ডপে শিল্পীর হাতের অপূর্ব কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হতাম৷ পুরো মাস ধরে ধীরে ধীরে কীভাবে প্রতিমা গড়ার কাজ সম্পন্ন হয়, দেখতাম অবাক হয়ে৷ অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, সেসব প্রশ্নের সব উত্তর ছিল রাখাল কাকার  কাছে, যিনি প্রতিমা গড়তেন৷ দিনাজপুরে এক আমাদের এলাকাতেই যে কত পূজা হতো৷ পূজার দিন সকাল থেকেই ঢাক বাজতে শুরু করত৷ সাথে ভেসে আসতো পুরানো দিনের গান৷ নিমতলার পরিবেশটাই ছিল অন্যরকম৷ আজানের সময়গুলোতে ঢাক এবং সাউন্ড বক্স বন্ধ থাকতো৷

সপ্তমীতে সকালে উঠে স্নান করে নতুন জামা পড়ে আমাদের কাজ ছিল বাবার বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে নাড়ু মুড়ি দিয়ে আসা৷ তাদের জন্য আলাদা করে বেশি করে তৈরি করে দিতেন মা৷ এছাড়া আমার বাবার গদিতে তার বন্ধুদের আড্ডায় তো পূজার নানা রকম খাওয়া দাওয়া চলতে থাকতো৷ এরপর আমার বান্ধবীরা এবং দিদির বান্ধবীরা, যাদের কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান আমাদের বাড়িতে বা আমার এক বান্ধবী রুম্পার বাড়িতে জড়ো হতাম৷ সেখান থেকে শুরু হতো আমাদের পূজা পরিক্রমা৷ অর্থাৎ চড়কিতে ঘোরা, কদবেল, বারো ভাজা খাওয়া৷ নবমী পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই দিনেরবেলায় বের হতাম আমরা৷ সন্ধ্যায় যখন ঠাকুর দেখতে বের হতাম, তখন হিন্দুরাই কেবল নন, মুসলমানদেরও নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে দেখতাম৷ শুধু তাই না, অনেক এলাকায় পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন মুসলমানরা৷ এমন ভ্রাতৃত্ব আর সম্প্রীতি উদাহরণ আজকাল খুব কমই দেখা যায়৷

এমনকি ভাসানের সময় সবাই একসাথে বিদায় জানাতে যেতেন মা দুর্গাকে৷ দশমীর দিন আমাদের বাড়িতে বাবার সব বন্ধু এবং তাদের পরিবারের নেমতন্ন থাকতো৷ দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে ছাদে উঠে সবাই ভাসানো দেখতে দাঁড়াতাম৷ সেই দিনগুলোর কথা আজও চোখে ভাসে৷ আমার বাবার মৃত্যুর পর প্রতিবার পূজায় আমাদের নতুন জামা বাদ যায়নি, সেটা কোনো রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় আমাদের হাতে তুলে দেননি, দিয়েছিলেন বাবার বন্ধু তানু কাকা, কখনো আসাদ কাকা৷

ঢাকায় এসে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ দেখেছি সরস্বতী পূজার সময়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে প্রতি বছর সরস্বতীর কৃপা লাভের জন্য হিন্দু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মুসলিম শিক্ষার্থীরাও যোগ দিতেন৷ পূজা মণ্ডপ সাজানো থেকে প্রসাদ বিতরণ পর্যন্ত অনেক কাজেই অংশ নেন তারা৷ ছোটবেলা থেকে এমন পরিবেশে বড় হওয়ায় বরাবর চাইতাম, এমন কি হতে পারে না আমি যদি ঈদ আর পূজা দু'টোর আনন্দই সারাজীবন নিতে পারি? বিধাতা হয়ত তখন মুচকি হেসেছিলেন৷ তাই আমি বিয়ে করলাম একজন মুসলমানকে৷ সাংবাদিকতা যারা করেন, তারা সবাই জানেন, দুই ঈদে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মীরা কখনোই ছুটি পান না৷ আমিও বিয়ের আগে কখনোই পাইনি৷ কিন্তু বিয়ের পর রোজার ঈদে আমাকে ছুটি দেয়া হলো, রোজার ঈদ শ্বশুরবাড়িতে আর পূজার ছুটিতে বাপের বাড়ি৷ আহা কী আনন্দ আমার!

DW Bengali Redaktion

অমৃতা পারভেজ, ডয়চে ভেলে

আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও শুনেছি তাদের ছোটবেলার কথা৷ দিনাজপুরের মতো তাদের বাড়িতেও পূজার সময় নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি দিয়ে যেতেন প্রতিবেশী হিন্দুরা৷ পূজার সময় প্রতিবেশীদের বাড়িতে যেতেন তারা৷

গ্রামের নওজাওয়ান হিন্দু-মুসলমান মিলিয়া বাংলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম....আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম৷

সত্যিই দিন দিন বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান এবং উপজাতিরা যেভাবে হামলার শিকার হচ্ছে, তাতে এই গানটিই সবার আগে মনে পড়ে৷ পূজা এলেই কোথাও না কোথাও প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়৷ এখনও কিছু কিছু এলাকায় পূজার সময় মুসলমানরা মণ্ডপ পাহারা দেন৷ কিন্তু আগের সেই আনন্দ যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যেন একটা ফাটল ধরেছে৷ হিন্দুদের উপর হামলার কারণে অনেকেই আজ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিচ্ছে৷ কিন্তু নিজের দেশের ভিটেমাটি ছেড়ে ওখানে গিয়ে উদ্বাস্তুর মতো জীবনযাপন যে কী কষ্টের, তা তারাই জানেন৷ একটা দেশ তখনই বেশি সুন্দর, যখন তাতে বৈচিত্র বেশি৷ এই প্রজন্মের কাছে আমার আবেদন, তারা যেন ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তোলে, স্থাপন করে সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত৷

নির্বাচিত প্রতিবেদন

বাংলাদেশে মৌলবাদ 'গভীরভাবে শিকড় গেড়েছে'



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ভারতের দালালি"">২




ভারতের দালালি"">২


ভারতের পাটকলগুলোর স্বার্থেই কি বিএনপি দেশের কয়েক লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী বন্ধ করে দেয়নি? গোটা দেশের বাজার উন্মুক্ত করে দেয়নি ভারতীয় পণ্যের জন্য? ক্ষমতার রাজনীতির স্বার্থে বিএনপি-জামায়াতের মুখে ভারত-বিদ্বেষ! ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ গোপনে বিড়লা, টাটা, আম্মানীদের মতো ভারতের বিগ বিজনেসের কাছে বিকিয়ে দেয়ার চুক্তি কি করেনি হাওয়া ভবন? আওয়ামী লীগের চাইতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও ফারাক্কা বাঁধ সমস্যা সমাধান করে ভারতের কাছ থেকে এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি বিএনপি সরকার।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে, দলের কিছু অংশের বিরধিতার পরও ভারত সফর করেন খালেদা এবং সেখানে ভাল সংবর্ধনাও পায়। সে সময় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস ও বিজেপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। খালেদার ভারত সফরের পর কৌশল পরিবর্তন করে বিএনপি ভারতের গুণগান করতে শুরু করে ।

১৯৯৭ সালে 'ফারাক্কা পানি বন্থন' চুক্তি এবং 'পার্বত্য শান্তি চুক্তি'কে বিএনপি নতজানু, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি ও গোলামী চুক্তি বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। বিএনপি 'পার্বত্য শান্তি চুক্তি'র বিরোধিতা ও মিথ্যা অপপ্রচার করতে গিয়ে এও বলেছিল ফেনী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। যদিও এর পরে বিএনপি জামাত জোট দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ২০০১ -২০০৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে এই ২ টি চুক্তি বাতিল তো দুরের কথা - কোন সংশোধনীর প্রস্তাবও দেয় নাই!

Shafiqur Rahman Anu ভাইয়ের কাছে থেকে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করলামঃ-

১৯. ভারতের ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে বিএনপি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভে বিএনপি দৃষ্টিকটু উচ্ছ্বাস, উল্লাস প্রকাশ করে। দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির আচরণে মনে হয়েছে, ভারতে বিজেপি নয়, যেন ভারতীয় বিএনপি জিতেছে।

২০. বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছে বিএনপি। বিজেপির একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের যোগাযোগের ভিত্তিতেই বিজেপি ও মোদি সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে বিএনপি।

২১. কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বললে বিএনপি আশাহত হয়।

২২. তাই এক সময় চরম ভারত বিরোধী দলটি এখন নতুন করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে। আর এরই অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা এখন ভারতের পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন।

২৩. এককালের চরম ভারত বিরোধী দল বিএনপি ভারতের সংসদে 'স্থল সীমান্ত চুক্তি' পাস হওয়ার পর এটাকে ইতিবাচক বলে স্বাগত জানায়।

২৪. ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং মোদীর সাথে সাক্ষাৎ করার তীব্র বাসনা প্রকাশ করে ভারতকে তোষণ করে এক সময় চরম ভারত বিরোধী বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিতে থাকে ।

২৫. সম্প্রতি বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিএনপির রাজনীতি ভারত বিরোধিতার রাজনীতি নয়। আর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আগেও ভাল ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভাল থাকবে।

২৬. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাই সে দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতেই হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবসময়ই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। তবে বিভিন্ন কারণে তা হয়নি। আশা করি এখন আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। নরেন্দ্র মোদির ভারত সফরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের কাছে বহুল প্রত্যাশিত এ সফর।

২৭. ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'গণতন্ত্রের প্রবক্তা' অভিহিত করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। মোদিকে স্বাগত জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, মোদি তৃণমূল থেকে গণতান্ত্রিকভাবে উঠে এসে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

২৮. টানা অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে ৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ খালেদাকে ফোন করেছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে ফলাও করে যে প্রচার করা হয় তাতে এ দলটির প্রতি নাখোশ হয় বিজেপি। পরবর্তীতে অমিত শাহর পক্ষ থেকে এ খবর ডাহা মিথ্যা বলে জানালে খালেদা ও বিএনপি রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে। খালেদা ও বিএনপির পক্ষ থেকে অমিত শাহকে নিয়ে এভাবে মিথ্যাচার করার বিষয়টিকে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদির সরকার এবং ভারতবাসীরা ভালভাবে নেয়নি।

বাঁশ মারা এখানেই শেষ করবোনা। এবার Latiful Kabir ভাইএর কিছু মন্তব্য যোগ করি।এবার কিছু সত্যিকারের লাভের খতিয়ান দিচ্ছি। দেখা যাক, উর্বর মাথার বিএনপি এসব বুঝে কি-না:-

১) ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেনি। অন্ততঃপক্ষে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করলে কয়েক বিলিয়ন ডলারের মতো অতিরিক্ত গার্মেণ্টস রপ্তানী হতো। এটাকে অর্থনীতির ভাষায় 'লস্ট অপরচুনিটি' বলে। এই গার্মেণ্টস এর অর্ডার নিশ্চয়ই ভারত পেয়েছিল। দেশে অনেক কল-কারখানা হতে পারতো। না হওয়ার কারণে কয়েক বিলিয়ন ডলারের পণ্য নিশ্চয়ই ভারত থেকে আমদানী করা হয়েছিল। তারমানে বিদ্যুত উৎপাদন না করার পুরো বেনিফিট পেয়েছিল ভারত। টাকার হিসাবে তা লক্ষ কোটির মতো।

২) ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার সময় শেখ হাসিনার সরকার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে এক বছরের মাথায় আবার ২০ লক্ষ মে.টন ঘাটতি। সার এবং ডিজেলে সংকট সৃষ্টি করে এই ঘাটতি তৈরী করা হয়েছিল। ফলে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মে.টন খাদ্য ভারত থেকে আমদানী শুরু হলো। দেশে ঠিকমত সার, বিদ্যুত এবং ডিজেল না দেওয়ার বেনিফিট পেল ভারত। টাকার হিসাবে তা কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। (এই হিসাবটি বের করা সহজ। খাদ্য আমদানীতে যে টাকা খরচ হতো সেটাই। পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত সনওয়ারি প্রতিবেদন দ্রষ্টব্য)

এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। আকলমন্দ কে লিয়ে ইশারা কাফি হায়।

বাংলাদেশে এক মেগাওয়াট কম বিদ্যুত উৎপাদনের বড় বেনিফিসিয়ারি হলো ভারত। তাহলে রামপালের বিরোধীদের/বি এন পি কে কি বলা হবে? দেশ-প্রেমিক অথব ভারতের দালাল? সখি তুমি কার?




__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] রোহিঙ্গা ষড়যন্ত্র



This is very close to reality - - despite the official denial of any attempt . . .


<< অনেকেই মনে করে, এটি ছিল লন্ডন পরিকল্পনার অংশ। তারা জানত, সশস্র আক্রমণের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করবে এবং রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেবে। এখানেই তারেক জিয়ার নীলনকশার সূচনা। তারেক জিয়া আশা করেছিল বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানাবে। এতে হেফাজতসহ চরমপন্থী ইসলাম পছন্দ দলগুলো ক্ষোভে ফেঁটে পড়বে। দ্রুত জনপ্রিয়তা হারিয়ে সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। মিয়ানমারে সন্ত্রাস করে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারেক এবং তাঁর সমমনা যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা এআরএসএ কে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল বলে জানা যায়। এজন্য রোহিঙ্গা ইস্যু শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি মাঠে নামে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। নীলনকশার প্রথম অংশটি ভেস্তে যায়। >>  


https://www.banglainsider.com/feature/7553/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE-%E0%A6%B7%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0





__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___