Banner Advertiser

Monday, January 18, 2016

[mukto-mona] অমর্ত্যসেনের মতে- ‘বাংলাদেশের কাছে ভারতের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।



পনেরোতে প্রাপ্তি অনেক

প্রকাশিত : ১ জানুয়ারী ২০১৬           
  • অপূর্ব শর্মা

অমর্ত্যসেনের মতে- 'বাংলাদেশের কাছে ভারতের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।' এর মূল কারণ বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি। প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অগ্রগতি এই নোবেলজয়ীর কাছে অনুসরণযোগ্য। কেনই বা নয়, একের পর এক সাফল্য অর্জন করে আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি-বাঙালীরা সত্যিকার অর্থেই বীরের জাতি। এসব অর্জন কারও দয়া বা দাক্ষিণ্যে নয়; আমাদের কষ্টে অর্জিত। আর এই অর্জনের খাতায় ২০১৫ সালে সংযোজিত হয়েছে এমন সব বিষয় যা জাতি হিসেবে আমাদের করেছে গৌরবান্বিত, আমরা হয়েছি বিশ্বময় প্রশংসিত। অগ্রগতির জন্য মিলেছে স্বীকৃতিও। তাই ফেলে আসা বছরটিকে অনায়াসেই সাফল্য অর্জনের বছর বলা যায়। আর এই অর্জন অব্যাহত ছিল জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, পুরো বছরজুড়ে। 
গত বছরে আমাদের অগ্রযাত্রার খাতায় সংযোজিত সবচেয়ে বড় খবরটি ছিল- মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি। বিশ্বব্যাংক গত ১ জুলাই নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উন্নীত করে বাংলাদেশকে। স্বাধীনতার পর থেকে নিম্ন আয়ের দেশের তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। স্বভাবতভাবেই এই অগ্রসরতা আমাদের সাফল্যের ভিতকে করেছে শক্তিশালী, মজবুত। আর খবরটি আন্দোলিত করেছে পুরো জাতিকে। 
এগিয়ে যাওয়ার আরও একটি উদ্যোগের সূচনা হয়েছে পনেরোতে। শুরু হয়েছে বহু প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ। এর মধ্যদিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু হলো। 
নিজেদের অর্থে বাস্তবায়নাধীন দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু প্রকল্পটি শুধু নিজস্ব অর্থায়ন বিবেচনাতেই নয়, বৈশ্বিক বিবেচনাতেও একটি বৃহৎ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতিতে এবং প্রবৃদ্ধিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয় এশিয়া ও এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন, বন্দর সুবিধার পুরোপুরি সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যাতে করে খুলে যাবে সম্ভাবনার অনেক দ্বার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-প্রাপ্তি ছিল গেল বছরের আরও একটি অর্জন। ২৭ সেপ্টেম্বর পরিবেশ বিষয়ে জাতিসংঘের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে এক অভিজাত হোটেলের বলরুমে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আশিম স্টাইনার।
আর্থিক খাতে যুগান্তকারী অবদানের স্কীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানকে ২০১৫ সালের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ গবর্নর নির্বাচিত করা হয়েছে। পেরুর রাজধানী লিমায় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠক শেষে এক সেমিনারে তার নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে আতিউর রহমানের হাতে তুলে দেয়া হয় এ পুরস্কার। 
ছিটমহলে স্বাধীনতার সূর্যোদয়, বিদায়ী বছরের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৬৮ বছর পর গত ১ আগস্ট নাগরিকত্ব প্রাপ্তির নতুন জীবন লাভ করে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ। অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি পায় তারা। এরই মধ্যদিয়ে ৪১ বছর ধরে ঝুলে থাকা ইন্দিরা-মুজিব ছিটমহল বিনিময় চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হয়। 
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থলসীমান্ত সমস্যা ১৯৪৭ সালে র‌্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ী সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়ে যায়। আর ছিটমহলের অধিবাসীরা হয়ে পড়েন অবরুদ্ধ। দীর্ঘ চার দশকের টানাপড়েন শেষে ছিটমহলবাসীর স্বাধীনতা লাভ জন্ম দিল অনন্য এক অধ্যায়ের।
বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের দীর্ঘদিনের দাবিটিও পূরণ হয়েছে বিদায়ী বছরে। প্রথম পর্যায়ে একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত ৪১ বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। 
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের 'বীরাঙ্গনা' স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তাঁর নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে। এরই অংশ হিসেবে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়। 
স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশের পথেও গত বছর অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ। গত ১১ নবেম্বর বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) 'বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট' উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। 
মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে এ স্লট। এখানেই উড়বে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। চুক্তি অনুসারে প্রাথমিকভাবে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট কেনা হচ্ছে। 
মানবতাবিরোধী অপরাধে দ-প্রাপ্ত দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে পনেরোতে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। ২২ নবেম্বর তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। এ দুজনের দ- কার্যরের মধ্যদিয়ে কলঙ্কমুক্তির পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাকা চৌধুরী। আপিলের রায়ে তাঁর মৃত্যুদ-াদেশ বহাল থাকে। 
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তৎকালীন আলবদর বাহিনীর নেতা মুজাহিদকে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ। চলতি বছরের ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। 
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদ খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখায় নোবেল প্রাইজ বলে খ্যাত বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। ক্ষুধাপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও বণ্টনে অনন্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের জন্য ফজলে হাসান আবেদকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আর্থিক মূল্য হচ্ছে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। 
গত বছর ফুটবলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত ২০ ডিসেম্বর এএফসি অনূর্ধ্ব ১৪ গার্লস রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন কারণে এই শিরোপা জয় বাংলাদেশ বালিকা ফুটবল দলের জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয়। কারণ এটি মেয়েদের ফুটবলের যে কোন পর্যায়ের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম শিরোপা। নেপালের মাঠে তাদের দলকে হারিয়ে ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের নারীরা। শুধু খেলাধুলায়ই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের নারীরা। গেল বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তুর্ভুক্ত হয়েছেন নারী সৈনিক। ২৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ শাহেদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিক্যাল কোর সেন্টার এ্যান্ড স্কুলের শহীদ বীর-উত্তম সিপাহী নুরুল ইসলাম প্যারেড গ্রাউন্ডে মেডিক্যাল কোরের প্রথম মহিলা রিক্রুট ব্যাচ-৭১-এর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথগ্রহণের মাধ্যমে ৮৭৯ জন নারী সৈনিক হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন।
অন্যদিকে, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সফলভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন দু'জন নারী শিক্ষানবিস পাইলট। তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার। এ দুই নারী বৈমানিক ঢাকার তেজগাঁওয়ে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপে সেনা ১৫২ এ্যারোপেক প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে ওড়েন। তারা একক ও দ্বৈত ফ্লাইট পরিচালনা করেন। দেশে নারী বৈমানিক থাকলেও সেনাবাহিনীতে এ দু'জনই প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলেন।
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে এতদিন ধরে কাজ করে আসছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর পুরুষ জোয়ানরা। কিন্তু গত ১ নবেম্বর থেকে সীমান্ত প্রহরায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে নারীদের। এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বিজিবিতে নারী সৈনিক পদায়ন করা হলো। 
অস্ট্রেলিয়ার (ওশেনিয়া) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। গত ১৮ নবেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চল দিয়ে কারস্তনেজ পিরামিড জয় করেন তিনি। 
বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ওয়াসফিয়া সেভেন সামিট অভিযান শুরু করেন। ২০১২ সালে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। এর আগে তিনি আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো, এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, এ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন, ইউরোপের এলব্রুস, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি, দক্ষিণ আমেরিকার এ্যাকোংকাগুয়া পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন। 
প্রবাসেও দ্যূতি ছড়িয়েছেন বাঙালীরা। তিন বঙ্গকণ্যার ব্রিটেন জয় এরমধ্যে অন্যতম। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিন সাহসী কন্যা রুশনারা আলী, টিউলিপ ও রূপা আশা হক। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ। রুশনারা আলী পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। আর লেবারদের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করেছেন ড. রূপা হক। তাদের এই জয়যাত্রা প্রবাসী বাঙালীদের করেছে উজ্জীবিত। 
একবার অস্কার জয় যেখানে স্বপ্নের ব্যাপার সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো অস্কার লাভ করেছেন বাংলাদেশের ডিজিটাল শিল্পী নাফিস বিন যাফর। ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন ইফেক্ট তৈরিতে অসামান্য অবদান রাখায় '২০১২' সিনেমার কারিগরি শাখা থেকে যৌথভাবে ওই পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নাফিসকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এর আগে ২০০৭ সালের 'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান : এ্যাট ওয়ার্ল্ডস এ্যান্ড' ছবিতে এ্যানিমেশনের জন্য প্রথম বাঙালী হিসেবে (সত্যজিৎ রায়েরটা ছিল আজীবন সম্মাননা অস্কার) অস্কার জেতেন নাফিস। সেবার সায়েন্টিফিক এ্যান্ড টেকনিক্যাল এ্যাওয়ার্ডস বিভাগে তাঁকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। একাধিকবার অস্কার জয় করে বাঙালীর অত্যাধুনিকতার পথে অগ্রযাত্রা প্রমাণ রাখলেন তিনি। 
আরও একটি ভাল খবর এসেছে বছরের শেষদিকে। খবরটি আশাজাগানিয়া, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৩ মাস বেড়েছে। ২০১৩ সালের জরিপে যেখানে গড় আয়ু ছিল ৭০ বছর ৪ মাস। বর্তমানে ৩ মাস বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ৭ মাসে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। 
এতসব অর্জন, ইতিবাচক ঘটনার পাশাপাশি অনেক নেতিবাচক ঘটনাও ঘটেছে বছরজুড়ে। বিশেষ করে ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের জন্য বছরটি ছিল বিভীষিকাময়। ফেব্রুয়ারি মাসে খুন হন ব্লগার ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়। এরপর একে একে ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় এবং বছরের শেষদিকে খুন হন প্রকাশক দীপন। সিলেটের শিশু রাজন হত্যাকা-ের ঘটনা ছিল পনেরো সালের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। আর বছরের শেষদিকে এসে একাধিক বিদেশী নাগরিক হত্যাকা-ের ঘটনা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করে জনমনে। তবে, অনেক হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার হওয়ায় 'নীরবে নিভৃতে কাঁদেনি বিচারের বাণী।' থামেনি অগ্রযাত্রাও। আর থামবেও না কোনদিন। কারণ বাঙালীরা হারতে জানে না।

- See more at: 

 ১৯ জানুয়ারী ২০১৬
৬ মাঘ ১৪২২
মঙ্গলবার
ঢাকা, বাংলাদেশ 




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] নীতিহীন ডাক্তারদের বহুমুখী নির্মম বাণিজ্য সেন্টার।দেখার কেউ নেই।



নীতিহীন ডাক্তারদের বহুমুখী নির্মম বাণিজ্য সেন্টার।দেখার কেউ নেই।


চিকিৎসা সেক্টরে টেস্ট বাণিজ্য চরমে। সেবার উদ্দেশ্য ছাড়াই নিছক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতাল। মনগড়া রিপোর্ট তৈরির মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে অহরহ। একই রোগ পরীক্ষায় একেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একেক রকম রিপোর্ট দেয়া হয়। এসব রিপোর্ট নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরা চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকে। তা সত্ত্বেও একশ্রেণীর কমিশনখেকো ডাক্তাদের সহায়তায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের রমরমা টেস্ট-বাণিজ্য চলছে বছরের পর বছর ধরে। অথচ সেদিকে ভ্রƒক্ষেপই করছে না সরকারি কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরবরাহকৃত সিøপে টিক মার্ক দিয়ে দেয় কোন্ কোন্ টেস্ট করাতে হবে। রোগী তার পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেই টেস্ট করালে চলবে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওই ডাক্তার এ রিপোর্ট গ্রহণ করে না। নির্ধারিত সেন্টার থেকে পুনরায় একই টেস্ট করিয়ে আনতে হবে, কমিশন নিশ্চিত হলে পরেই বাকি চিকিৎসা। পরীক্ষার ফি বাবদ ইচ্ছে মাফিক টাকা-পয়সাও আদায় করা হয়। একই ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য একেক প্রতিষ্ঠানে ধার্য আছে একেক ধরনের ফি। স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক রেট চার্ট মানে না রাজধানীর কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারই। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নিজস্ব রেট চার্ট। অনেক ক্ষেত্রে টেস্টের টাকা পরিশোধ করেই সর্বস্বান্ত হয়ে চিকিৎসা না নিয়েই বাসায় ফিরতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রোগীদের। আবার বেশি টাকা দিয়ে টেস্ট করিয়েও সঠিক রোগ নির্ণয়ের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অতিরিক্ত হিসেবেই হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। এ টাকার মোটা অংশ হিসেবে কমিশন চলে যায় ডাক্তারদের পকেটে। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল বিভাগটি অজ্ঞাত কারণে বরাবরই চরম উদাসীন। এসব প্রতিষ্ঠানের সামনে ডাক্তার, বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘ তালিকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হলেও সরেজমিন কাউকে পাওয়া যায় না। রোগী আকর্ষণের জন্যই শুধু বিশেষজ্ঞদের নাম সাইনবোর্ডে লেখা হয় এবং নাম ব্যবহার বাবদ মাসিক ফি দেয়া হয় ওই সব ডাক্তারদের। বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত দক্ষ টেকনিশিয়ান পর্যন্ত নেই। যেখানে জটিল রোগ নিয়ে মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা, সেখানে অদক্ষ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমেই ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে আর ভুলভ্রান্তিও ঘটছে অহরহ। ফলে রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি প্রায়ই রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। 
হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ কোম্পানির মতো সংশ্লিষ্ট সব খাতও নিজেদের ব্যবসায়িক লাভজনক কৌশলের অংশ হিসেবে এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত আছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই চালু রয়েছে কমিশন বাণিজ্য। আর আর্থসামাজিক-নৈতিক অবক্ষয়ের চক্রে পড়ে একশ্রেণীর চিকিৎসক গা ভাসিয়ে দিচ্ছে এ কমিশনের জোয়ারে। এ কমিশন বাণিজ্যের প্রভাবে চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গরিব মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
তবে বর্তমানে ডাক্তাররা আগের মতো কেবল ডায়াগনস্টিক বা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে ছোট, বড় ইস্তিঞ্জা বা কফ-রক্ত পরীক্ষা থেকেই কমিশন নেয় না, এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রযুক্তিনির্ভর সব ধরনের পরীক্ষাই এসেছে কমিশনের আওতায়। ডিজিটাল এক্সরে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইকো, কালার ডপলার, সিটি স্ক্যান, এমআরআইয়ের মতো নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। এসবে কমিশনের হারও বেশি। রোগের বিভাজন অনুসারে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভাগ হয়ে থাকে কমিশন। এছাড়া আছে হাসপাতালে রোগী পাঠানোর জন্য কমিশন। এক্ষেত্রে আইসিইউ বা সিসিইউয়ে রোগী পাঠানোর জন্য রয়েছে বিশেষ কমিশন। আছে অপারেশনের কমিশনও। আরো আছে ক্যান্সার রোগীদের জন্য কেমোথেরাপি, অর্থোপেডিক রোগীদের জন্য ফিজিওথেরাপি, কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালিসিসের কমিশন। অর্থোপেডিক রোগীদের দেহে সংযোজন করা বা হাড় জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহৃত নানা উপকরণ; হৃদরোগীর দেহে সংযোজন করা বাল্ব, রিং বা অন্য উপাদান, চোখের রোগীর চোখে সংযোজন করা লেন্সের মতো উপকরণ; দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নকল দাঁত প্রতিস্থাপন বা অন্যান্য সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত উপকরণ এবং কানের নানা ডিভাইস থেকেও নিয়মিত কমিশন জোটে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ ডাক্তারের। এমনকি ওষুধ লেখার জন্য আগে থেকেই বহুল প্রচলিত ওষুধ কম্পানির কাছ থেকে কমিশনের নামে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী বা চোরাইপথে আসা দামি ওষুধ থেকেও কমিশন পেয়ে থাকে প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসা করা বেশির ভাগ চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে গণ্য করিবে।"
বলাবাহুল্য, স্বাধীনতাউত্তর সব সরকারই সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ কার্যকর করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের প্রতি সব সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতি প্রবণতাই এর মূল কারণ।
এক্ষেত্রে জনগণ শুধু শোষিত আর বঞ্চিতই হয়ে আসছে। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা যালিমও হয়ো না এবং মজলুমও হয়ো না।"
কাজেই সরকারের উচিত- প্রতিটি নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, তেমনি জনগণেরও উচিত নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। চিকিৎসা বাণিজ্য সেন্টার বা তথাকথিত ইসলামী হাসপাতালে না নিয়ে সত্যিকারের শরয়ী হাসপাতলে যাওয়া। সত্যিকারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা।




__._,_.___

Posted by: bijoi sainik <bijoisainik@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} RE: Killer Zia :বঙ্গবন্ধু হত্যায়ও জিয়া জড়িত ॥ 'বিচারের আগেই তাহের হত্যার সিদ্ধান্ত' ॥ হাইকোর্টে লিফশুলজ



বঙ্গবন্ধু হত্যায়ও জিয়া জড়িত ॥ হাইকোর্টে লিফশুলজ
'বিচারের আগেই তাহের হত্যার সিদ্ধান্ত'
স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও পরবর্তী ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী কু্য, পাল্টা কু্যর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন জিয়াই। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের সামরিক আদালতে গোপন বিচার ও তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো_ সবই জিয়াউর রহমানের ইচ্ছাতেই হয়েছিল। তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত জিয়াউর রহমান নিজেই নিয়েছিলেন। সোমবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বক্তব্য দিতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লিফশুলজ বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে চিহ্নিত করে ভিন্নমতাবলম্বীদের সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। যার ফলে গণহারে বিচারে সোপর্দ করে ফাঁসি দেয়া হয়। এ সময় প্রায় দুই হাজার সেনা কর্মকতা ও সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় মওদুদ আহমদ একজন তরম্নণ মানবাধিকার আইনজীবী ছিলেন। মওদুদ আহমদ আমাকে বলেছিলেন, পাকিস্তানফেরত ৪৬ জন সামরিক অফিসারের সঙ্গে জিয়া আলোচনা করেছেন তাহেরের বিচারের বিষয়ে। ট্রাইবু্যনালে যারা ছিল তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। জিয়া যাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন তাদের প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য ছিল তাহেরকে ফাঁসি দেয়া। ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে জিয়া কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়ার মতো ঘটনা ঘটান। জিয়া অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন, ইতিহাস কোনদিন তা ভুলবে না। বিশ্বে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জিয়া। তাহের হত্যা ছিল অবৈধ, অসাংবিধানিক। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার ট্রাইবু্যনালে তিনি যেতে পারেননি। কেননা ওই সময় তাঁকে আটক করে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তিনি শুনেছেন, তাহের হত্যার সিদ্ধানত্মটি ছিল জিয়াউর রহমানের নিজেরই। পরে উর্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়ন করা হয়। তিনি বলেন, ওই সময় দেশে সামরিক সরকার বহাল ছিল। 
মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ সকাল পৌনে ১১টায় আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে তিনি অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমানের চেম্বারে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ ছাড়াও অন্য অনেকের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মামলার অন্যতম রিটকারী কর্নেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও কর্নেল তাহেরের ছেলে যিশুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। ১২ মার্চ তিনি বাংলাদেশে আসেন। 
দুপুর দুটোয় লরেন্স লিফশুলজ আদালতে বক্তব্য পেশ করতে যান। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে লরেন্স লিফশুলজ মূলত তাঁর লিখিত বক্তব্য ছাড়াও আদালতের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। শুরম্নতেই বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আপনি এ মামলায় সঠিক তথ্য দিতে পারবেন। আমরা পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাব। জবাবে লরেন্স লিফশুলজ বলেন, এ মামলা দেশ, জাতি ও সভ্যতার জন্য একটি মাইলফলক। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে এসে আমি নিজেও আনন্দিত। 
এ সময় আদালত তার কাছে গোপন বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে লিফশুলজ বলেন, আমি এই বিচার কভার করতে তখন এ দেশে এসেছিলাম। কিন্তু তৎকালীন সামরিক সরকার আমাকে আটক করে ফেরত পাঠায়। এমনকি এদেশের সাংবাদিকদেরও ওই বিচার সম্পর্কে জানতে দেয়া হয়নি। কাজেই আমি ওই বিচার সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে পরে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের কাছে জানতে পারি জিয়াউর রহমান ৪৬ উর্ধতন সামরিক অফিসারকে নিয়ে এক জায়গায় বসে এ বিচারের সিদ্ধানত্ম নেন। তিনি আদালতে বলেন, তাহের হত্যার জন্য জিয়াউর রহমান এককভাবে সিদ্ধানত্ম নিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করার জন্য বিচার শুরম্নর আগেই সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। এই হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান ছিলেন মাস্টারমাইন্ড। আদালত তাঁর কাছে জানতে চায়, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সুবিধাভোগী ছিল কিনা? এর জবাবে লিফশুলজ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান শ্যাডো হিসেবে কাজ করেছেন। 
আদালত তাঁর কাছে জানতে চায়, আপনি কেন এ মামলা কভার করতে এসেছিলেন। লরেন্স লিফশুলজ বলেন, আনত্মর্জাতিক অঙ্গনে এ মামলাটি অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ ছিল। এ কারণেই এটি কভার করতে ঢাকায় আসি। আদালত তাঁকে জিজ্ঞেস করে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে ও পরে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা দেখে কি মনে হয় না যে, জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। জবাবে লিফশুলজ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। আদালতের আরেক প্রশ্নের জবাবে লিফশুলজ বলেন, যারা তাহেরের বিরম্নদ্ধে অপরাধ করেছে, তারা আমার বা আপনার (আদালত) মতো সাধারণ লোক নন। এ ধরনের লোক অতীতে জন্মায়নি, ভবিষ্যতেও জন্মাবে কিনা সন্দেহ। 
লরেন্স লিফশুলজ শুনানিতে বলেন, এই মামলার ধারাবাহিকতায় এখানে এসেছি। আগেও একটি বক্তব্য পাঠিয়েছিলাম। পরিবারের দুর্ঘটনা ঘটায় আমি তখন আসতে পারিনি। এবার আসতে পেরেছি । এটা আমার জন্য বড় সম্মান। আমি একটি পুরনো ম্মৃতির বর্ণনা দিতে এসেছি। তিনি আদালতে বলেন, কর্নেল তাহেরকে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এই সময়ের জন্য বহুদিন অপেৰা করেছি। তাহের হত্যা মামলার বিচারটা নিরপেৰ ও বস্তুনিষ্ঠ হয়নি। এই বিচার ছিল তাঁর (তাহের) বিরম্নদ্ধে একটা ক্রাইম। যারা তাহেরের বিরম্নদ্ধে ক্রাইম করেছিল তারা আমাদের মতো লোক ছিল না। এমন লোক অতীতেও জন্ম নেয়নি। ভবিষ্যতেও জন্ম নেবে না। এই অপরাধ যারা করেছে তারা আমার আপনার মতো লোক নয়। 
উলেস্নখ্য, 'ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউর' তৎকালীন বিশেষ প্রতিনিধি লরেন্স লিফশুলজ ১৯৭৬ সালে কর্নেল তাহেরের বিচার পর্যবেক্ষণ এবং এ সংক্রানত্ম প্রতিবেদন তৈরির জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সামরিক কর্মকর্তারা তাঁকে বিচারের সংবাদ কভার করতে দেননি। বরং কারাগারের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে এক কাপড়েই বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে এলে ২০ জানুয়ারি আদালত লরেন্স লিফশুলজকে আদালতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে অনুরোধ করে। ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে ছেলের অসুস্থতার জন্য আদালতে উপস্থিত হতে না পারলেও তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি বক্তব্য পাঠান। অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান ৩ ফেব্রম্নয়ারি তা আদালতে হলফনামা আকারে পেশ করেন। পরে ১৩ ফেব্রম্নয়ারি আদালত ২ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় লিফশুলজ বাংলাদেশে আসবেন বলে নিশ্চিত করায় রায়ের তারিখ পেছানো হয়। সোমবার শুনানিতে তিনি নয় পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। এর বাইরেও আদালতের প্রশ্নের উত্তর দেন। 
শুনানির আগে ও পরে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। সকালে অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমানের চেম্বারে বসে তিনি বলেন,? ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউর রহমান। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রক্রিয়ায় তিনি কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক, কর্নেল ফারম্নক, কর্নেল রশীদসহ অন্যদের যোগসূত্র ছিল। জিয়াউর রহমান সব সময় পেছনে থেকে কাজ করেছেন। সামনে আসেননি। লরেন্স লিফশুলজ সাংবাদিকদের আরও বলেন, 'লন্ডনে আমাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রশীদ বলেছিলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের আগে তাঁর (জিয়াউর রহমান) সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল। এরপর জিয়া ৭ নবেম্বর স্বরূপে আবির্ভূত হন।' 
১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার তাহেরসহ ১৭ জনকে বিশেষ সামরিক ট্রাইবু্যনালের গোপন বিচারে সাজা দেয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ভোরে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাহেরসহ অন্যদের গোপন বিচার চলাকালে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লৎফা তাহের এবং সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ আগস্ট তাহেরের বিচারের জন্য সামরিক আইনের মাধ্যমে জারি করা আদেশ এবং এর আওতায় গোপন বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রম্নল জারি করে হাইকোর্ট। একই আদালত তাহেরের সঙ্গে গোপন বিচারের মুখোমুখি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়াউদ্দিন, হাবিলদার আবদুল হাই মজুমদার, কর্পোরাল শামসুল হক ও আবদুল মজিদের গোপন বিচার নিয়ে ১ ফেব্রম্নয়ারি রম্নল জারি করেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সহসভাপতি রবিউল আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও গোপন বিচার ও দ-_প্রশ্নে রম্নল জারি করে আদালত। 
এ পর্যনত্ম আদালতে ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ মহিবুল হক, কর্পোরাল আব্দুল মজিদসহ তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম এ শওকত আলী, কর্পোরাল সামসুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রবিউল আলম, ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর আলী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ও সার্জেন্ট (অব) সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক ও তাহেরের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সাৰ্য দিয়েছেন। এমনকি বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও এ বিষয়ে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন। এখন বিদেশী সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ আদালতে তাঁর বক্তব্য পেশ করলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের বিচারিক হত্যার শিকার হয়েছেন বলে লিফশুলজ তাঁর বক্তব্যে উলেস্নখ করেন। আদালতে লিফশুলজ জানান, সর্বশেষ তিনি ঢাকায় আসেন ২০০৭ সালে ফেব্রম্নয়ারিতে। এর আগে ২০০৬ ও ২০০৭ সালেও এসেছিলেন। প্রথম আসেন ১৯৭০ ও পরে ১৯৭৩ সালে। 
শুনানি শেষে লরেন্স লিফশুলজ সাংবাদিকদের কাছে তাহের হত্যার বিচার প্রসঙ্গসহ অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি সেখানে বলেন তাহের হত্যার বিচারে কোন নিয়মকানুন বা আইন মানা হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি আদালতে বলেছিলেন, তাহের হত্যাটি ছিল গুপ্তহত্যা। আদালতে আজ আবার মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজ আদালতে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন।

On Mon, Jan 18, 2016 at 2:38 PM, RANU CHOWDHURY <ranu51@hotmail.com> wrote:
Who the hell this Larry Lifschultz to comment on Bangladesh judicial system? And why should we quote him as bed bakya?

Larry lovers may read his book "Bangladesh: Unfinished Revolution" and find out what he has to say about Sheikh Mujibur Rahman.


From: farida_majid@hotmail.com
To: jukhan@gmail.com; bipulnahar@yahoo.com
CC: kazi4986@yahoo.com; qamruddinc@yahoo.com; mgani69@gmail.com; farahmina@gmail.com; druhfarida@gmail.com; akhtergolam@gmail.com; nurannabi@gmail.com; zoglul@hotmail.co.uk; amsmel@aol.com; srbanunz@gmail.com; quazinuru@yahoo.com; abhuiya@comcast.net; mostofadrgholam@gmail.com; nazrulislampbl@gmail.com; mfariha123@aol.com; asifraih@gmail.com; delwar71@hotmail.com; captchowdhury@yahoo.ca; asifnazrul@gmail.com; drmohsinali@yahoo.com; em.pannah@americatech.us; farhadmazhar@hotmail.com; farzana.ahmed48@yahoo.com; jhelali2000@yahoo.com; khondkar.saleque@gmail.com; nafisanoorahmed@yahoo.com; saokot_nccbl@yahoo.com; zainul321@yahoo.com; ranu51@hotmail.com; abid.bahar@gmail.com; rezaulkarim617@gmail.com; shahadathussaini@hotmail.com; msahmed21@yahoo.co.uk; bdmailer@gmail.com; sakhter1015@gmail.com; serajul7@gmail.com; rashedanam1971@gmail.com; rashedanam@yahoo.com; pfc-friends@googlegroups.com; noa@agni.com; siddiquelondonuk@gmail.com
Subject: Re: Killer Zia
Date: Mon, 18 Jan 2016 16:01:22 +0000

Killer Zia -- oh yes, and how .  .



জিয়ার একক সিদ্ধান্তেই তাহেরের ফাঁসি হয় - kalerkantho


Mar 15, 2011 - এসব কথা হাইকোর্টে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ। গতকাল সোমবার ঢাকায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন হংকং থেকে প্রকাশিত ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউয়ের সাবেক দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিনিধি লরেন্স লিফশুলজ। জিয়াউর রহমানের এ পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন  ..


 From: Jalal Uddin Khan <jukhan@gmail.com>
Sent: Saturday, January 16, 2016 12:16 PM
To: bipul kamal
Cc: Muazzam Kazi; qamruddin chowdhury; Mohammad Gani; Mina Farah; Farida Majid; Farida Hossain; Golam Akhter; Nuran Nabi; Zoglul Husain; Sameer Syed; Shafiq Bhuiyan; Quazi Nuruzzaman; Akram Bhuiya; Dr.Gholam Mostofa; Nazrul Islam; Atiqur Rahman Salu (; Bana Mali; delwar71@hotmail.com; Munmun Chowdhury; asif nazrul; Dr. M. Mohsin Ali; Dr. Em Pannah; farhadmazhar@hotmail.com; Farzana Ahmed; Javed Helali; Khondkar Saleque; Nafisa Noor; saokot hossain; zainul abedin; ranu51@hotmail.com; Abid Bahar; Rezaul Karim; Hussain Suhrawardy; Muhammad Ahmed; Isha Khan; S akhter; Serajul Islam; rashed Anam; Rashed Anam; pfc-friends@googlegroups.comnoa@agni.com; Syed Siddique
Subject: Re: Killer Zia
Any criminal deserves to be punished. Golam A Nizami Mujahid were once AL's friends, against the BNP.
Let us debate the issues in a cool-headed manner, not in a "wrong-headed" or "hot-headed" manner. After all, this is not ICT, but "friendly fire" email exchanges. So, how about those muktibahini members who killed many innocents in their locality in 1971 out of political or personal village politics? 
On Sat, Jan 16, 2016 at 9:03 PM, bipul kamal <bipulnahar@yahoo.com> wrote:
Shathia Pilot High School Pabna, Nizami killed almost 150 Muktijoddha in 1971.

Sent from my iPhone

On Jan 16, 2016, at 7:39 AM, Jalal Uddin Khan <jukhan@gmail.com> wrote:

Nobody murdered your name. There is no connection between yr name and "Baper Nai Porichoy". 

On Sat, Jan 16, 2016 at 7:30 PM, bipul kamal <bipulnahar@yahoo.com> wrote:
According to Our high court verdict and observation Zia was a killer. Pls respect the law and order. If you murder my name I can file a law sue against you and you have to pay for it.

I am cautioning  you pls do not murder my name  and or practice hate against me.

I cautioned MD Goni, he stopped now you started. 


Sent from my iPhone

On Jan 16, 2016, at 7:14 AM, Jalal Uddin Khan <jukhan@gmail.com> wrote:

Would you like the name of the BAL (you know what I mean) or AL (Amai Leak) distorted and defamed? Would you like bi-fool-camel to be disfigured and dismantled?  

On Sat, Jan 16, 2016 at 6:20 PM, bipul kamal <bipulnahar@yahoo.com> wrote:
By our High court it is cleared that Zia was a killer so every time we write zia's name please don't forget to write killer before his name. And since 7 Th amendment has been declared illegal by our high court so BNP and zia's all work during 1976 till his death was illegal, so BNP is called "Baper Nai Porichoy" killer of founding father.

Sent from my iPhone

On Jan 15, 2016, at 9:40 AM, Muazzam Kazi <kazi4986@yahoo.com> wrote:
Dear Mr. Khan,

Please keep touch with me.
I live in West of Boston, town name Lexington.
My phone number: 781-354-2369
We need like minded people to work together.
I would like to add you in your group NABDC.
Please give your consent and let me know your phone number or address,
whatever continent to you.
Muazzam Kazi

From: Jalal Uddin Khan <jukhan@gmail.com>
To: qamruddin chowdhury <qamruddinc@yahoo.com>; Mohammad Gani <mgani69@gmail.com>; 
Sent: Friday, January 15, 2016 11:58 AM
Subject: The B. Military

In response to our like-minded Mr. Qamruddin Chy's "But don't you ask yourself why our half a million military remain numb and slaves too to India?  Cadet colleges were built to create patriotic leaders; but alas! it has only created elite Indian slaves - see so called military leaders Nasim, and his followers ending with Iqbal Karim; all from so called cadet colleges!," here is a portion from my book project:

We need a practical minded civilian or a military leader with a good grasp of ground realities. Professor Abdullah Abu Sayeed, out of frustration with the continuous bad governance of the alternately "elected" parties, rightly said that whatever good governance there was in Bangladesh in the past was during the period of the British rule and then at the time of the military rule.[2] 
Khaleda Zia, as the former prime minister and one of the top leaders of the country, was right in speaking about the internal military indiscipline, if there was any, during her public meeting in Chittagong a few years ago (2012?) and then again about the role the half a million-strong military should play if and when the occasion demanded during her Bogra meeting later. In this context she had to endure, as she always does, a serious criticism from the Hasina-AL, whereas she should not have faced any criticism from any quarters whatsoever for what was her patriotically-imbued, leader-like, and statesmanlike comments and statements. 
The idea was also put forward by Dr. Moeen Khan of her party BNP, in his own way, echoing the U.S. Republican Rep. Matt Salmon of Arizona's concern that the current political unrest "may lead to a further breakdown of order that could open space for Islamic militancy or for the military to take power"[3]. Dr. Moeen said that following the legendary example of the great Zia, leadership should/might come out of the military cantonment to save the nation from the horror and terror it has currently been facing.[4] 
At the same time, those who broke the young Tarique Rahman's bones must be brought to justice just as those who caused the forced and shameful ouster of Khaleda from her old (Cantonment) home denying her rights and without giving her a civic and civilized chance for a dignified exit through negotiation befitting a three time former prime minister, who was also and still is the de facto opposition leader, must be reinvestigated as well.[5]



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Bernie Is Not the New Barry




<< The Sanders campaign, if it succeeds, will build both a movement and a cohort -- a political generation -- around the ideas and policies of this new American socialism. The voters, the networks and above all, the ideas that the campaign is cultivating will remain for other candidates to tap and develop, at all levels of government, from city councils and state legislatures to presidential elections. >>


http://www.huffingtonpost.com/jedediah-purdy/the-sanders-difference_b_9005332.html

Bernie Is Not the New Barry -- And That's a Good Thing

Posted: Updated: 
BERNIE SANDERS AND BARACK OBAMA



__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] মতিউর র��



I do agree with you that parents bear a huge responsibility in giving a strong dose of religion to their children at their very early ages. There are other causes also which play equally important roles in brainwashing the newer generation. In fact I am planning to write an article addressing this issue and then publish it in a newspaper.

- AR


On Sunday, 17 January 2016, 1:38, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 

"I hope I have given you the inner reasons why Muslims, despite their education, are unable to break away from their childhood knowledge."
It will be an interesting subject to study - why most Muslims, despite their education, are unable to break away from their childhood teaching.
Education and knowledge are two different things; education is just fulfilment of a set of requirements and/or acquisition of a set of skills, but, knowledge is what we acquire throughout our lives. Religion is one such knowledge that most people start (thanks to parents) perhaps in the womb. In most people, especially Muslims, start formal religious teachings much before the start of the formal education, which is intentional, so that formal education cannot override the childhood religious teachings. The question is - is it helping in the lives of the younger generation?   
I have been trying to understand - why so many first generation Muslim youngsters, even after being born and brought up in the Western societies, are becoming much more radicalized than most of their immigrant parents?
The conclusion I have drawn is the following. Intense childhood religious brainwashing at home and at the mosque are making these youngsters misfit in the society, in which they grow up. They cannot do things their other school mates do, and soon they become isolated and frustrated. Unfortunately, they do not know what caused them to be as such. Obviously, they wrongfully blame the society for their plights, and, right at that point, religious political interests come forward to channel that anger and resentment against the society along their religious political interests. So, who do we blame for this?
I would blame parents for the fact that their children become religious radicals. After all, they are the ones who made those kids learn religious education before they are ready for the regular education at school. So, they made them societal misfit.
Won't you agree?
 
Jiten Roy



From: "ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Saturday, January 16, 2016 12:58 PM
Subject: Re: [mukto-mona] মতিউর র��

 
Jiten Roy,

You tend to forget that human minds (read brains) are conditioned right from childhood. A person who grows up in an environment where everybody or nearly everybody says the same thing - for Muslims, Allah is almighty, all powerful etc or for Jews, Yahweh is the creator of everything etc - he is likely to believe that. Once that singular religious virus gets into the mind, it becomes extremely difficult to get rid of even when he grows up. Only if a man lives or grows up in a multicultural environment, does he give up such singular view.

In a multicultural society, you would find many moderate, secular or atheist people. You would not find that in extremely sectarian religious country. Now one might ask why Muslims living in Western societies still cling on to their religious believes? The reason is that although they live in a secular western society, they surround themselves by religious people, they live in ghettos and they get perpetual dose of religion from the mosques. That's why I had been saying for quite a while that mosques and ghettos are the breeding ground of fundamentalism.

I hope I have given you the inner reasons why Muslims, despite their education, are unable to break away from their childhood knowledge.

- AR     


On Saturday, 16 January 2016, 17:06, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
[Attachment(s) from Jiten Roy included below]
People of Bangladesh amaze me always. Today they support Awami League, tomorrow they will support BNP. It also amazes me to see the support for BNP, in spite of what BNP has done to Bangladesh by rehabilitating all anti-Bangladesh elements.
Yes, Bongabondhu pardoned those anti-Bangladesh elements form treasonous acts against Bangladesh, but did not relieve them from their genocidal acts against the people of Bangladesh. Also, that did not qualify those anti-Bangladesh elements to be rewarded, as BNP did.  
If intellectuals in Bangladesh still have some senses, they should stop talking nonsense to support BNP; instead, they should advise BNP to come clean publicly with past misdeeds before getting a second chance in politics.

Jiten Roy




From: "SyedAslam Syed.Aslam3@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Friday, January 15, 2016 7:21 PM
Subject: [mukto-mona] মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় প্রসঙ্গে

 

মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় প্রসঙ্গে

বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬
দেশের সর্বোচ্চ আদালত একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলবদর নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি বহাল রেখেছেন। এতে দেশবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এমন একজন জল্লাদও খালেদা জিয়ার মন্ত্রী ছিলেন। সেই খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ চান। শুনতে ভালো লাগলেও মন থেকে মানতে পারি না খালেদা জিয়ার প্রস্তাব।
আজ যদি জিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাজাকার শাহ আজিজ বেঁচে থাকত তাহলে তারও বিচার হতো, ফাঁসিও হতো। রেহাই পেত না সে। সবুর খানরা বেঁচে থাকলে তাদেরও বিচার হতো। এরা প্রত্যেকে বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। এসব দাগি রাজাকাররা পরবর্তীকালে জিয়ার হাত শক্তিশালী করেছে, বিএনপি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। জিয়ার কল্যাণে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতে বসেছিল। স্বাধীনতার শত্রুরা যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে দেশটির কী অবস্থা হতে পারে, তা আমরা দেখেছি ২১ বছর ধরে।
যে বদর নেতার ফাঁসির রায় বহাল রইল, সে ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিল। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল। তখন আলবদর বাহিনী ছিল সবচেয়ে দুর্ধর্ষ। এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাক হানাদারদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে। এরা বুদ্ধিজীবী হত্যারও নীলনকশা প্রণয়নকারী ছিল। আলবদরের সহযোগিতা ছাড়া পাকি সেনারা বাংলাদেশের এত মানুষ হত্যা করতে পারত না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারতের মতো যুদ্ধ ছিল না। মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলাযুদ্ধে পাক হানাদারদের পর্যুদস্ত করেছিল। একমাত্র আলবদর বাহিনী বাংলাদেশের নদী-নালা-খালবিল, বাড়িঘর, মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানা, ঠিকানা চিনিয়ে দিয়েছে। আলবদর বাহিনীর জল্লাদরা শহীদ রুমীকে জাহানারা ইমামের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কবি, সাংবাদিক সেলিনা পারভীনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরীসহ অগনিত বুদ্ধিজীবীকে নিজামীর নেতৃত্বে উঠিয়ে নিয়ে রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে হত্যা করে। যিনি ছিলেন চোখের ডাক্তার তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, যিনি ছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তার হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলা হয়েছিল, যিনি ছিলেন দাঁতের ডাক্তার তার দাঁত তুলে ফেলা হয়েছিল। আর কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষকদের নির্দয়ভাবে হাতের পাঞ্জা কেটে ফেলা হয়েছিল। এরা নাকি ইসলামের ধ্বজাধারী, এই ধ্বজাধারীরা মিথ্যা কথা বলে বুদ্ধিজীবীদের ঘর থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রচনাবলি পড়ার সময় আমি বিস্মিত, স্তম্ভিত হয়েছি, কী সাংঘাতিক মেধাবী ছিলেন তারা। অনেকে বিশ্ব স্বীকৃত পণ্ডিত ছিলেন। এই দেশবরেণ্যদের হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে দেয়ার জন্য। এ জন্যই তো এখন দেশে মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন জমে ওঠে না। আলবদরের ঘাতকরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চট করে অদৃশ্য হয়ে যায়, কেউ তাদের ধরতে পারেনি; এতই ধূর্ত জামায়াত-শিবিরের ঘাতকরা! আড়ালে আডালে থেকে এরা বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে প্রখর ধর্মীয় অপপ্রচার চালিয়েছে। তারপর জিয়ার আমলে তারা বুক টান করে তাদের খাস তালুকে ফিরে আসে। ২১ বছর পর্যন্ত এরা নির্বিচারে বাংলাদেশের ছাত্র-বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধাদের পায়ের রগ কেটেছে, হাতের কব্জি কেটেছে, মাথার খুলি চূর্ণ করেছে। এরা চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে পাকিস্তান আমলের মতো উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল। চট্টগ্রামের শহীদ মিনারে কেউ ফুল দিতে পারত না শিবিরের অত্যাচারে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে না এলে এত দিনে আলবদরের ঘাতক-নিজামীরা এ দেশকে পাক ওয়াতান বানিয়ে ফেলত। এত দিনে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'পাকসার জমিন সাদবাদ' গাওয়া শুরু হয়ে যেত। বদর প্রধান, ঘাতক নিজামীর ফাঁসির রায় বহালের খবর পেয়ে সারা জাতি উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে দুঃখ পেয়েছেন বেগম জিয়া ও তার সুজন-কুজন মার্কা সুশীল মজুমদাররা।
নিজামীর অপরাধের ফিরিস্তি প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ জাতীয় পত্রিকায়। সেটা নিয়ে চর্বিত চর্বন করতে চাই না। নিজামী যখন খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার শিল্পমন্ত্রী ছিল, তখন অলৌকিকভাবে ১০ ট্রাক অস্ত্র এসে পৌঁছেছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। এই ঘটনা নিয়ে তখন তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। বাঙালির চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল, ১০ ট্রাক অস্ত্র, এটা কি মুখের কথা নাকি? কোন উদ্দেশ্যে ১০ ট্রাক অস্ত্র আনা হয়েছিল? বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিনাশ করার জন্য? নিয়াজী রাও ফরমান আলীদের পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য? নাকি আরেকটি ১৫ আগস্টের জন্ম দেয়ার জন্য? এ ব্যাপারে এখনো সঠিক তদন্তের পরিসংখ্যান আমরা পাইনি। এর মোটিভ জানা দরকার। এই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া দরকার।
এ পর্যন্ত যে কজন শীর্ষস্থানীয় ঘাতকের ফাঁসি হয়েছে তাদের মধ্যে নিজামী পয়লা নম্বরের। কারণ সে জামায়াতের আমির। ১৯৭১ সালে নিজামী বলেছিল, 'আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী সেখানেই আলবদর। যেখানে দুষ্কৃতকারী সেখানেই আলবদর। ভারতীয় চরদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল।' এই একটি মাত্র বিবৃতির জন্য নিজামীর ফাঁসি হতে পারত। মুক্তিযোদ্ধাদের সে 'তথাকথিত; 'ভারতীয় চর' এবং 'দুষ্কৃতকারী' বলেছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? শেখ হাসিনা আজ ক্ষমতায় আছেন বলেই এতবড় জল্লাদের বিচার হলো, না হলে এরা জিয়া ও তদীয় পতœী খালেদা জিয়ার ঘাড়ে চড়ে এ দেশকে ইমরান খানদের কাছে বিক্রি করে ফেলত।
বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিজামীর মিথ্যাচারের পাপ কলুষিত করে ফেলেছে। ধর্মের আচকান গায়ে দিয়ে, জোব্বা পরে, পরস্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ফটো তুলতে এদের ধর্মীয় বিধানে আটকায় না। প্রতি মিনিটে এরা যত মিথ্যা কথা বলেছে, সমগ্র ইউরোপ এক বছরেও এত মিথ্যা কথা বলে না। এরা পাক দস্যুদের দস্যুবৃত্তি, নারী ধর্ষণ দেখেও ওদের পক্ষে হাদিস খাড়া করেছে। জামায়াত-শিবিরের পাণ্ডারা আজ ইসলামের মতো মানবতাবাদী, শান্তির ধর্মকে জঙ্গিবাদের ইশতেহারে পরিণত করেছে। ভাবখানা এমন যে, ইসলাম ওদের পৈতৃক সম্পত্তি।
রাজশাহীর বাগমারায় যখন বাংলা ভাইরা মুক্তিযোদ্ধাদের গাছের ডালে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে তখন নিজামী বলেছিল, 'বাংলাভাই বলে কেউ নেই। এসব মিডিয়ার সৃষ্টি।' এটা জ্বলজ্যান্ত মিথ্যা কথা না? পরে দেখা গেল বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। একটা মিথ্যা প্রমাণিত হলেই তো যথেষ্ট। বিষ এক বালতি খাওয়ার প্রয়োজন হয় না, এক ফোঁটা খেলেই মানুষের মৃত্যু হয়।
নিজামী বলেছিল বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী বলে কেউ নেই। এ কথা বলা আর দেশদ্রোহিতা করা সমান কথা। নিজামী-মুজাহিদের এই একটি ধৃষ্টতামূলক উক্তির জন্য আরো কয়েক বার ফাঁসি হওয়া দরকার।
বরাবরের মতো বেগম জিয়ার উকিলরা জল্লাদ নিজামীর পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য আদালতে দাঁড়িয়েছেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন কী বলেছেন শোনেন, 'আমার ক্লায়েন্ট নিজামী সাহেব যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবেই ব্যবস্থা নেব। আদালতে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তা সাজানো সাক্ষ্য। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর যারা এ অপরাধে জড়িত ছিল তাদের বিচার না করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের সহযোগী হিসেবে আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না।'
নিজামী সাহেব? আহারে! কত সম্মান, কত মধুর কণ্ঠে 'সাহেব' বলা হয়েছে। এরাও আবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ডাকে। আদালত পাড়ায় বিএনপির উকিলদের অভব্যতা দেখে বাঙালি জাতি স্তম্ভিত হয়েছে। বিএনপিও একটি যুদ্ধাপরাধী দল। এই দলের সঙ্গে ৩০ লাখ শহীদের স্বজনদের কোনো আপস হবে না।
মাহমুদুল বাসার : কলাম লেখক।
Inline image 1










__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___