Banner Advertiser

Saturday, June 17, 2017

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} Enjoy :- মুসলমান মেয়েদের বাজি ধরে সবাই এখন পাশা খেলতে চাইছে !!!!



মুসলমান মেয়েদের বাজি ধরে সবাই এখন পাশা খেলতে চাইছে

মইনুল হাসান

 

'তিন তালাক' এখন সবচাইতে পরিচিত শব্দ। যতখানি না মুসলমান'দের তার চাইতে বেশি রাজনীতিবিদদের। ক'দিন আগে বেনারসে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবার সময় তাঁর 'মুসলমান বোন'দের জন্য কেঁদে ভাসিয়ে দিলেন। তিন তালাক-এর জন্য তারা কত খারাপ আছে। তাই তিনি কোমর বেঁধে নেমেছেন এটা বাতিল করতে। তখনই আমার মনে পড়ে গেল ইশরাত জাহানের কথা। গুজরাটে যাঁকে ভুয়ো সঙ্ঘর্ষে খুন করা হয়। তখন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী'র নাম নরেন্দ্র মোদী। মনে পড়ে গেল জাকিয়া জাফরী'র কথা। যিনি এখন তাঁর স্বামী এহেসান জাফরী-সহ কয়েক হাজার শহিদের বিচার চেয়ে যাচ্ছেন। মনে পড়ছে সেই হতভাগ্য মেয়েটির কথা, যাঁর পেট চিরে বাচ্চা বের করে ত্রিশুলের মাথায় করে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল। তখনও মুখ্যমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। তাঁরাও মুসলমান। সেদিন এই 'বোন'দের কথা একবারও মনে হয়নি মোদীজি'র। আজ হচ্ছে। কারণ, আগামী দু'বছরে ১১টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে। ভোট-রাজনীতি-মুসলমান একই সূত্রে বাঁধা। তাই এই তৎপরতা!
এমনই একটা সভা পশ্চিমবাংলায়। রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত। তাঁরা তিন তালাকের পক্ষে। মঞ্চে টুপি মাথায় দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি এবং ফিরহাদ হাকিম। তাঁদের মাঝে সবুজ জামা গায়ে 'হেভি ওয়েট' মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাটি দারুণ কৌতুককর। পার্থবাবুকে দু'জন মন্ত্রী দু'দিক থেকে দু'হাত দিয়ে টেনে তুলছেন। মাইকে তিনি তারপর অমৃতবাণী বিতরণ করলেন- আমার বৌ সম্পর্কে আমি কি করব তা আমার ব্যাপার! তাতে যেন কেউ নাক না গলায়।
মহিলাদের সম্পর্কে এমন কুৎসিত মন্তব্য আমি আগে কখনও শুনিনি। আমার দৃঢ বিশ্বাস তাঁরা নিজেরাও এসব বিশ্বাস করেন না। কিন্তু বলছেন। কারণ, রাজনীতি, সাময়িক লাভ। সবাই মুসলমান মেয়েদের বাজি ধরে পাশাটা খেলতে চাইছেন।
আমার জ্ঞাত কয়েকটি সাধারণ তথ্য জানাচ্ছি। আমাদের পাঠকরা ভেবে দেখতে পারেন-
১। একই সঙ্গে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিচ্ছেদ ঘটানো কোরান ও হাদিসের কোথাও নেই।
২। তালাক ইসলামী আইন সম্মত, কিন্তু সবচাইতে ঘৃণ্য কাজ।
৩। তালাক দেওয়া সহজ কাজ নয়। দীর্ঘ সময় দরকার। এই সময়ের মধ্যে বোঝাপড়া সঠিক করার সুযোগ থাকে।
৪। একতরফা এবং তাৎক্ষনিক তালাক গ্রহণযোগ্য নয়। অন্তত ২২টি মুসলমান দেশ (যে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম) এই পদ্ধতি গ্রহণ যোগ্য নয়।
৫। বহু মুসলমান দেশে আদালত ছাড়া তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ।
৬। সুতরাং তিন তালাকের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকা বা না থাকা একেবারে অর্থহীন। কারণ, বিষয়টি শরীয়ত সম্মত নয়।
এবার কয়েকটি অন্য কথা-
১। এটা বাস্তব যে তাৎক্ষনিক তালাক দেবার প্রবণতা বাড়ছে। মত্ত অবস্থায় তালাক দিচ্ছে, হঠাৎ ঝগড়া করে তালাক দিচ্ছে, যে কোনও ঘটনায় মেয়েরা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে এবং তালাক হয়ে যাচ্ছে। ইদানীং মোবাইলেও মেসেজ পাঠিয়ে তালাক হচ্ছে, চিঠি পাঠিয়ে তালাক হচ্ছে। এটা ধর্মের নামে চূড়ান্ত অনাচার। অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। ইসলাম এটা মানতে পারে না।
হজরত মহম্মদ (স.) বেঁচে থাকতেই ২/১টা তাৎক্ষণিক তালাকের ঘটনা ঘটেছিল। নবীজি অসম্ভব বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন- ''আমি বেঁচে থাকতেই তোমরা এসব করছ?''
২। তালাক এবং অভিন্ন দে‍ওয়ানী বিধিকে মিলিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বিজেপি সরকারের চালাকি। সব ধর্মের জন্য অভিন্ন দেওয়ানী বিধি দরকার। দেশে ৩০০টি ব্যক্তিগত আইন আছে। সহজে সব কিছু সমান করা যাবে না। বৈচিত্র্যপূর্ণ এই দেশ। বহু বৈচিত্র্য নিয়েই বেঁচে থাকবে। এটার মধ্যেই তার শক্তি নিহত।
সবার মনে প্রশ্ন জাগছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একই রাস্তা ধরল কেন?
দীর্ঘদিন পশ্চিমবাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলতে পারেনি। বিজেপি'র কিছুটা শক্তি ইদানীং বেড়েছে। দুর্গাপুজো, ইদুজ্জোহা, মহরম এ'বছর কিন্তু শান্তিতে পালিত হয়নি। রাজ্যের কম করে ১৬টি জায়গায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের দেখা মেলেনি। তারা তখন রে‌ড রোডে প্রমোদ ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন। এমন অবস্থা আগে দেখা যায়নি।
সেই কারণে রাজ্যের শাসক দলও বিজেপি'র রাস্তা নিয়েছে। তাই তারাও তালাক নিয়ে শোরগোল শুরু করেছে।
সর্বশেষে বলতে চাই, সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছায় সংখ্যালঘুর বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন হবে না। সংখ্যালঘুদের মধ্যে থেকেই পরিবর্তনের উন্মেষ ঘটাতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবে সংখ্যালঘুর মধ্যে পরিবর্তনের উন্মেষ হচ্ছেই। তালাকের প্রশ্নে হাজার হাজার মা বোনেদের ইতিবাচক মনোভাব সেটাই প্রমাণ করছে।
আমার মনে হচ্ছে, পার্থবাবু যা বলেছেন, তাঁর স্ত্রী যদি তাঁকে উল্টে সেটাই বলেন, তা হলে ব্যাপরটা কেমন দাঁড়াবে?
তিনি যে বেকায়দায় পড়বেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

On Sat, Jun 17, 2017 at 6:43 PM, 'javed helali' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com> wrote:
There was nothing to enjoy the first one. I did not bother to open the others.
You seem to have a distorted, convoluted and depraved mind. sad.
What do you stand to gain by forwarding these evil stuff, unless to satisfy your depraved evil mind.
While u have the right to express your views or forward the views of others, DO NOT FORGET that others have rights too.
Beware.
I am NOT going to open any thing sent by you anymore.
 



From: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>
To: pfc <pfc-friends@googlegroups.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 17, 2017 1:45 PM
Subject: {PFC-Friends} Enjoy



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] দিল্লিতে মসজিদ ভাঙচুর, ভয়ে-আতঙ্কে এলাকার মুসলমান



দিল্লিতে মসজিদ ভাঙচুর ! তীব্র নিন্দা !!
Published on Jun 14, 2017

দিল্লিতে মসজিদ ভাঙচুর ! তীব্র নিন্দা !!
________
Link :http://www.bbc.com/bengali/news-40271...

দিল্লিতে মসজিদ ভাঙচুর, ভয়ে-আতঙ্কে এলাকার মুসলমানরা

  • ১৪ জুন ২০১৭
ভেঙে দেয়া মসজিদ

উত্তর-পূর্ব দিল্লির অম্বে বিহার নামের এলাকায় একটি সদ্য নির্মিত মসজিদ গত সপ্তাহে ভেঙ্গে দেওয়ার পরে সেখানকার মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আনুমানিক চারশো থেকে পাঁচশো লোক বাইরের এলঅকা থেকে এসে ওই মসজিদটি গত বুধবার ভেঙ্গে দেয়।

মসজিদটি ভাঙ্গার ঘটনাটি দেখেছেন মুশতার আহমেদ, যিনি ওই মসজিদের দুটো বাড়ি পরেই থাকেন।

তিনি জানান যে রমজান মাসের শুরু থেকে ওখানে নামাজ পড়া শুরু হলেও সেদিন কিছু লোক এসে মসজিদটা ভেঙ্গে দিয়ে যায়।

তৈরী পোশাক শিল্পে ছোটখাটো কাজ করেন মুশতাক। অনেক কিছু বলতে চাইছিলেন তিনি - তবে হুমকি আসছে নিয়মিত, তাই গোটা পরিবার নিয়ে ভয়ে রয়েছেন মি. আহমেদ।

বিবিসি'র সঙ্গে কথা বলার সময়ে মুশতাক আহমেদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আমিনা।

"মসজিদটা ভেঙ্গে দেওয়ার থেকেও তাঁর বেশী খারাপ লাগছে কোরআনের অসম্মান করাটা।"

ঘটনার দিন সকালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারা অবশ্য এখনও টহল দিচ্ছে ওই এলাকায়।

তবে আমিনা বলছিলেন যে বিষয়টা থিতু হয়ে এলে এর ফল নাকি ভুগতে হবে সবাইকে, এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

ওই এলাকায় গিয়ে বিবিসির সংবাদদাতা জানতে পারেন বেশ কিছু মুসলমান পরিবার অম্বে কলোনি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

শাহরুখ (প্রতীকী নাম) নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর চুল কাটার সেলুন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

বাড়ির মালিক নাকি শাহরুখকে বলেছেন দোকান ছেড়ে চলে যেতে। এখন শাহরুখ নিজের ঘরেই সেলুনটা আবারও চালু করার কথা ভাবছেন।

আতঙ্কে আছেন বাসিন্দারা

ঘটনাটা কিভাবে ঘটলো

পূর্ব দিল্লিতে যমুনার পাড় বরাবর বস্তিগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষেরই বসবাস। সকাল হলে সবাই কাজে বেরিয়ে যান।

গত বুধবারও সবাই কাজে চলে যাওয়ার পরেই ঘটনার শুরু।

মসজিদ যারা ভাঙতে এসেছিল, তাদেরকে দেখেছিলেন বিমলেশ মৌর্য।

"চার-পাঁচশো লোক জড়ো হয়েছিল। ওই লোকগুলো কোথা থেকে এসেছিল বলতে পারবো না। তবে ওরাই মসজিদটা ভেঙেছে," বলছিলেন বিমলেশ।

তিনি এ-ও বলছিলেন যে "মুসলমান ভাইরা কোরআনের শপথ নিয়ে, ভেঙ্গে দেওয়া মসজিদের ওপরেই একটা চাটাই বিছিয়ে নামাজ পড়ছেন।"

মুশতাক আহমেদ আর কলোনির অন্য মুসলমান বাসিন্দারা বলছিলেন যে মসজিদটা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগেই, তবে নামাজ পড়া শুরু হয় রমজান মাস থেকে।

একটা ছোট মাদ্রাসাও চালানো হয় ওখানে, যাতে বাচ্চাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যায়।

মি. আহমেদ জানিয়েছেন মসজিদের জমির জন্য এলাকারই বাসিন্দা আকবর আলী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়েছিল, আর বলা হয়েছিল যে তাঁর প্রাপ্য টাকা-পয়সা ধীরে ধীরে মিটিয়ে দেওয়া হবে।

কৃষ্ণপাল শর্মা কিছুদিন আগেই বাগপত থেকে ছেলের কাছে থাকতে এসেছিলেন।

তিনি স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জেনেছেন যে "ওই জমিটা কোনো সাধুবাবার ছিল। একটা শিবলিঙ্গও নাকি ছিল ওখানে। তবে ওই সাধু হরিদ্বারে গেছেন আর সেই সময়েই নামাজ পড়া শুরু হয়।"

ওই এলাকায় মসজিদ হোক তা চাইতোনা সেখানকার লোকজন-বলেছেন বিমলেশ মৌর্য
Image captionওই এলাকায় মসজিদ হোক তা চাইতোনা সেখানকার লোকজন-বলেছেন বিমলেশ মৌর্য

তবে সাব্বির নামে একজন বলছিলেন, "যদি আমাদের হিন্দু ভাইদের আপত্তি থাকতো, তাহলে তো তারা সেটা আগেই বলতে পারতেন। ভেঙ্গে দেওয়া হলো কেন?"

বিমলেশ মৌর্য অবশ্য স্পষ্টই বললেন যে এলাকার লোকজন চাইছিলো না যে ওখানে একটা মসজিদ হোক।

আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে এমন মেসেজও ছড়ানো হচ্ছে যে অম্বে কলোনীর ওই জায়গায় ৮-১০ ঘর মুসলমান থাকে, তাই সেখানে কেন একটা মসজিদ বানানো হবে।

সেসব মেসেজের মাধ্যমে হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে 'ইসলামিকরণের প্রক্রিয়া' যেন সবাই মিলে বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়।

উত্তরপূর্ব দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র আর্য বলছেন, "পাহারা দেওয়া ছাড়াও বিকেলের দিকে ইফতারের সময়টায় প্রত্যেক রাস্তা আর গলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী।"

পুলিশ জমির মালিক আকবর আলীর অভিযোগ অনুযায়ী আট জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে।

দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অন্যদিকে, মসজিদের পাশেও বসেছে পুলিশী পাহারা।

http://www.bbc.com/bengali/news-40271295?ocid=socialflow_facebook


আরো পড়ুন:

NJ Town That Denied Mosque Permit Must Pay Islamic Group $3.25M

After 4-Year Battle Comes To A Close, Mosque Will Be Built In Bernards TownshipMay 30, 2017 2:53 PM


Bernards Township agrees to build mosque, will pay $3.25M settlement

May 30, 2017
... 39 public hearings over four years, denied the application to build the mosque in December 2015 ...

Bernards Township agrees to build mosque, will pay $3.25M settlement

▶ 0:59
May 30, 2017
... 39 public hearings over four years, denied the application to build the mosque in December 2015 ...



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুর 'হিন্দুত্ব' বাঁচাতে তোড়জোড় - মালবী গুপ্ত [3 Attachments]

[Attachment(s) from Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] included below]

An interesting write-up! But there is almost no conclusion.

Almost 28 years back, when I did not clearly say that I was not a Hindu, but a Human, there was a Bangladesh conference in Boston. A decent religious Muslim gentleman called me, and asked if I could recite from the Gita at the opening of the conference, as the organizing committee had decided that the conference would open with recitations from the Koran, the Gita and the Bible. I replied to him by saying that I did not consider it appropriate to recite from religious books to open the conference, and that someone was a serious Muslim (musolli) was no reason for me to be a serious Hindu (sadhu). I declined to do it.

I am sure that the increasing Islamic fanaticism in Bangladesh and in West Bengal is a reason for some Bangalee Hindus to try to show that they are Hindus. In fact, I have seen in my village in Bangladesh that Hindus seem to be more religious now than they used to be.

The writer of this article, Malabi Gupta, is right when she says that most Hindus do religious activities for fun than out of serious belief in the religion. That is actually my reason to like the average Hindu more that the average Muslim. But clearly, when their humanly life with religion in the careless background is threatened by a different group's religious fanaticism, some of them are trying to be serious about their own religiosity. It is bad, and it needs to be stopped by serious humanists by opposing both Islamic fanaticism and Hindu fanaticism.

Sukhamaya Bain

====================================


On Saturday, June 17, 2017 2:10 PM, "'Jamal G. Khan' M.JamalGhaus@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুর 'হিন্দুত্ব' বাঁচাতে তোড়জোড়

  • ৫ মে ২০১৭

Inline image 1


আমরা যা নই, তা হওয়ার জন্য হঠাৎই দেখছি অনেকে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছি। এটা ঠিকই যে, পশ্চিমবঙ্গে আমরা অনেকেই এখন পাঁচমিশেলি বাঙালি। তবু এতদিন এখানে 'বাঙালি হিন্দু' হিসেবে আমাদের কোনও বিশেষ পরিচিতির খোঁজ পড়েনি। এবং যে ধর্মীয় পরিচয়ের জামাটি সম্পর্কে আমরা এতদিন উদাসীন ছিলাম, আমাদের ভাঁড়ারে না থাকা সেই জামাটি বাইরে থেকে আমদানি করতে হঠাৎই যেন বেশ তৎপর হয়ে উঠেছি।
দেখে শুনে তো আমার মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা সহসা যেন আত্মপরিচয়ের গভীর সঙ্কটে পড়ে গেছে। যে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের ধর্ম।
অন্তত রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা আমাদের সে কথা বিশ্বাস করাতে সচেষ্ট হচ্ছেন। অথচ কে না জানে, যে নিজেদের স্বার্থে, থুড়ি জনগণের স্বার্থে, তাঁরা ধর্মকে চিরকাল‍ই ব্যবহার করে এসেছেন। এবং এখন তো দেখা যাচ্ছে ধর্মকে একেবারে কমোডিটিই বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।
যেমন হঠাৎই দেখছি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের (হিন্দু বাঙালি) মধ্যে 'হিন্দুত্ব' জাগিয়ে তোলার একটা চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি ‍ 'হিন্দুত্ব'র সংজ্ঞা বা তার ব্যাখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছেন।
টেলিভিশনের চ্যানেলে চ্যানেলে তাঁরা হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রতিপক্ষকে একেবারে বুঝিয়েই ছাড়তে চাইছেন - হিন্দু ধর্ম কি?

       Inline image 2       
DIBYANGSHU SARKAR/AFP/GETTY IMAGESImage captionকলকাতায় প্রতিমা বিসর্জন: পূজা পার্বণ যতটা না ধর্মীয়, তার থেকে বেশি সামাজিক উৎসবের রূপ নিয়েছে।
দেখে শুনে মনে হচ্ছে কেউ রামের হাত ধরে, কেউ বা হনুমানের লেজ ধরে প্রবল হিন্দু হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতায় মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছে। এবং ধর্ম নিয়ে রীতিমতো যেন কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে একটা হাস্যকর পরিস্থিতি।
কিন্তু এই সব তর্ক বিতর্কের মাঝে আমরা একেবারেই মনে রাখি না গ্রামীণ বাংলার কথা। যেখানে বেশিরভাগ বাঙালির (হিন্দু, মুসলিম) বাস।
হয়তো অনেকে জানিই না বা খেয়ালও করি না যে, বৃহত্তর অর্থে বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে যে দেশজ ও লোকায়ত সংস্কৃতি ওতপ্রোত, সেখানে হিন্দু - মুসলমানের আচার ব্যবহারের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ‍ঐতিহ্যের একটা ফল্গু ধারা মিশে ছিল। আজও যা একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি।
সেটাই স্বাভাবিক। কারণ বাঙলার বেশিরভাগ মুসলমানরা তো একদা হিন্দু সমাজ থেকেই ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তাই যেখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কখনও নিভৃতে, কখনও দলগত বা সামাজিক ভাবে পালিত হয়ে এসেছে, সেখানে আচার আচরণে পারস্পরিক বিরূপতা বা অসহিষ্ণুতা সেভাবে প্রকাশ পায়নি।
অবশ্য এমন নয় যে কখনও কোথাও কদাচৎি কোনও উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠেনি। যে উত্তেজনায় রসদ জুগিয়েছে রাজনীতির কারবারিরা, তবে তা অচিরে নিভেও গেছে। এবং সেই হিসেবে দেখতে গেলে সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে ধর্ম নয়, বরং রাজনৈতিক দাঙ্গায়, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে কি পশ্চিমবঙ্গে, কি বাংলাদেশে হিংসা ও মৃত্যু ঘটেছে অনেক বেশি। আজও ঘটে চলেছে।
কলকাতার নাখোদা মসজিদে ঈদের জামাতছবির কপিরাইটDIBYANGSHU SARKAR/AFP/GETTTY IMAGESImage captionকলকাতার নাখোদা মসজিদে ঈদের জামাত: বিশ্বে বাঙালি হিসেবে যে জনগোষ্ঠী পরিচিত, তার বেশিরভাগই মুসলমান
আমার মনে হয় শহরে বিশেষত কলকাতায় বসবাসকারী মুসলমানদের হয়তো বেশিরভাগই উর্দুভাষী। যাঁদের পূর্বপুরুষরা একদা কোনও সুলতানদের প্রতিনিধি বা নবাবদের হাত ধরে এসেছিলেন। যাঁদের ভাষা বা অন্যান্য কিছু ব্যবহারিক কারণে পারস্পরিক একটা দূরত্ব থেকে গেছে।
তাই কয়েক প্রজন্ম বাংলার বাসিন্দা হয়েও 'বাঙালি' নয়, 'ওরা মুসলমান' কেবল এই পরিচয়টাই বহন করে চলেছে।
অথচ আমরা ভুলে যাই বিশ্বে বাঙালি জাতি হিসেবে যে জনগোষ্ঠী পরিচিত (বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে) তার বেশিরভাগই মুসলমান ধর্মের মানুষ। হিন্দু বাঙালি সেখানে সংখ্যালঘু।
কি জানি হয়তো সংখ্যালঘুর হীনমন্যতা থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের হিন্দুত্ব জাগিয়ে তোলার ঐকান্তিক বাসনা আজ রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মধ্যে জেগে উঠেছে।
এমনিতে বাঙালি হিন্দুরা কোনও দিনই ঠিক গর্বের সঙ্গে 'হিন্দুত্ব' প্রকাশে তেমন ব্যাকুলতা দেখায়নি। আমার তো মনে হয় পুজো পার্বণকেও যতটা না ধর্মীয়, তার থেকে বেশি সামাজিক উৎসবের রূপ দিয়ে তাতে মেতে ওঠাই বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে চিরকাল প্রাধান্য পেয়েছে।
পুরোহিততন্ত্র বাঙালি মানসকে মনে হয় কখনও সেভাবে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। পারলে হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেব দেবী নিয়ে অনেক বাঙালি‍ যেভাবে ঠাট্টা তামাশা করে তা পারত না, ভারতের অন্যত্র তার জুড়ি মেলা ভার।

এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে ছোটবেলায় দেখতাম, মাটির সরা বা থালায় কিছু ফুল বেলপাতা আর সিঁদুর মাখানো কোনও অস্পষ্ট ছবি নিয়ে কেউ হয়তো 'মা শীতলা', 'মা মনসা', 'রক্ষাকালী' বা 'ওলাই চণ্ডী'র নাম করে বাড়িতে পয়সা চাইতে এসেছেন। বড়দের কেউ কেউ তখন বেশ ঠাট্টার সুরেই তাঁদের বলতেন, ''এমনি সাহায্য চাইলেই তো পারো বাপু, খামখা ও‍ই বেটি'দের নাম করা কেন? বেটি'রা যে বিষম খাবে।'' বা হয়তো বলতেন ''তোমাদের মা শীতলার এমনই দয়া যে, তাঁর কৃপা দৃষ্টিতে গায়ে বসন্ত হচ্ছে?''
এখনও বর্তমান প্রজন্মের বহু ছেলে মেয়েকেই, বিশেষত মেয়েদের দেখি সকালে কোনও না কোনও দেবদেবীর ছবি বা মূর্তিকে নিয়মিত ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করে। বছরে ব্রতও পালন করে দু'চারটে। খুব যে ভয় ভক্তিতে তেমনটা নয়, বরং অনেকেই একটা পারিবারিক রীতি বজায় রাখতে অভ্যাস বশত মা ঠাকুমাদের অনুসরণ করে চলেছে।
আবার বেশ আধুনিকাদেরও দেখছি, পরিবারে যেসব বার ব্রত পালনের কোনও দিন কোনও চল ছিল না, তারাও হঠাৎই সেই সব ব্রত উদযাপন শুরু করেছে, যা মূলত অবাঙালিদের অনুকরণে। সে কারণ যাই হোক না কেন, মনে হয় না সেই সব আচার অনুষ্ঠানেও ধর্ম'র কোনও দূরাগত বাতাসের ঝাপটা এসে কখনও লাগে।
আসলে এতদিন বাঙালি হিন্দুর প্রাত্যহিক জীবন চর্যায় ধর্ম'র প্রায় নিঃশব্দ বহমানতা তেমন ভাবে টের পাওয়া যেত না। ‍হঠাৎই বোধহয় কারও কারও মনে হচ্ছে হিন্দু সমাজে বাঙালি হিন্দুরা যেন ব্রাত্য হয়ে পড়েছে।
তাই কি কাড়া নাকাড়া বাজিয়ে তার ধর্মীয় পরিচিতিকে রাস্তায় বার করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? কিন্তু সে‍ই উদ্যোগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এত সক্রিয়তা কেন?

সম্পর্কিত বিষয়

                     Inline image 3                                                                                     



আরো পড়ুন:


পহেলা বৈশাখের 'হিন্দুয়ানী' নিয়ে চুলকানি

 0

                          
                   https://womenchapter.com/views/20139


বাংলাদেশে মোডারেট মুসলিমরা কিছু দিন ধরে... - আয়েশা সুলতানা আঁখি ...

বাংলাদেশে মোডারেট মুসলিমরা কিছু দিন ধরে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে।বিভিন্ন লেখকের বই থেকে ... মজার ব্যাপার হল,এই মোডারেট গুলোকে এবার দেখলাম পহেলা বৈশাখকে হিন্দু উৎসব হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইভেন্ট খুলেছে। কিন্তু সেটা তে সুবিধা ... আপনার আশেপাশের কোন মোডারেট মুসলমান বা ছাগু যারা পহেলা বৈশাখ নিয়ে চুলকানি দেখায় তাদের কে বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানে দেখা মাত্র পুলিশকে জানান।আর যদি ..
                                       


                                       




__._,_.___

Attachment(s) from Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] | View attachments on the web

3 of 3 Photo(s)


Posted by: Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___