Banner Advertiser

Friday, February 22, 2013

[mukto-mona] Day 19, Shahbag Movement: Youths rises again to Rally at Rayerbazar today



Day 19, Shahbag Movement: Youths rises again to Rally at Rayerbazar today

As the Jamaat-Shibir and its alliases unleashed a reign of terror targeting the Shahbag movement, protesters returned to the Shahbag intersection yesterday afternoon, about 16 hours after the nonstop movement was wrapped up.

Protesting against the countrywide violence, burning and tearing down of national flag and damaging Shaheed Minars in Dhaka and other districts, the Blogger and Online Activist Network began demonstrating all over the country since 7:00pm.

In Dhaka, Imran H Sarker, convener of the Network, issued an ultimatum to the government to arrest within 24 hours Mahmudur Rahman, acting editor of daily Amar Desh for "publishing motivating stories and instigating the violence".

"We have decided to continue our demonstrations round the clock until our demands are met," he said and added, "Our demand is simple. The organisations liable for war crimes during the Liberation War in 1971 must be banned."

He said the Shahbag protesters demanded exemplary punishment to those who attacked journalists during the violence. "The Jamaat-Shibir carried out attacks across the country to foil our prayer-programme," he said.

At 3:00pm today, protesters will hold a rally at Rayerbazar Baddhabhumi (mass killing ground) as announced on Thursday, but will carry national flags in protest at the Jamaat-Shibir men burning and tearing down the national flag, organisers said last night.

Organisers also urged the people to demonstrate with national flags across the country in protest against the violence.

The mass-signature campaign will resume at 10:00am today before the national museum and will continue till 10:00pm for a second day.

Imran said protesters carrying national flags would resist Sunday's hartal called by the Islamist parties.

He also formally wrapped up yesterday's protests around 11:00pm, saying the movement would continue today as announced on Thursday.

Earlier in the day, people from all walks of life started gathering at the protest venue from around 2:00pm, chanting slogans against Jamaat-Shibir.

In port city Chittagong, thousands of protesters thronged the protest venue chanting slogans against Jamaat-Shibir. An angry mob damaged windowpanes of the offices of Diganta Television and daily Sangram -- two media houses linked with Jamaat -- near Cheragi Pahar Mor, reports our district correspondent.

Shahidul Islam Shamim, a service holder who joined the Shahbag protest yesterday, said as activists of Jamaat and its affiliated organisations attacked police and journalists their politics must be banned.

"Leaders of these parties should be given exemplary punishment," he said.

"We have been here for the last 17 days. We must not leave Shahbag," said Fazle Masudur Rahman, another protester.

Zahirul Islam, a businessman, agrees and says: "It seems they [Jamaat] won't let me live in my own country."

The Shahbag movement began on February 5, hours after Jamaat assistant secretary general Abdul Quader Mollah was sentenced to life in prison for rape, killing and genocide in 1971. Protesters say a life term is too lenient a punishment for Mollah, known as the "Butcher of Mirpur" for his notorious role in the killing of hundreds during the war. Protesters have been demanding capital punishment to Mollah and all other war criminals.

On Thursday, issuing an ultimatum to the government to bring war crimes charges against Jamaat-e-Islami and initiate the legal process by March 26 to ban the party, the Shahbagh protesters announced a series of countrywide programmes beginning yesterday.

The programmes include special prayers at mosques after Juma prayers as well as at churches, pagodas and temples yesterday and holding more grand rallies, demonstrations and cultural programmes at different parts in Dhaka and other divisional cities.

Organisers had also told on Thursday night that although the protesters would not keep the Shahbag intersection occupied for 24 hours from yesterday, they would gather at the venue the day before the war crimes tribunal is to deliver a verdict.

Video:



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু by তোফায়েল আহমেদ




ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু
তোফায়েল আহমেদ


আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি- 'বঙ্গবন্ধু দিবস।' আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯-এর এই দিনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তথা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ইতিহাসের মহামানব জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করার। তিনি যখন বঙ্গবন্ধু উপাধি পান তখন তার বয়স মাত্র ৪৯ বছর। সমকালীন প্রথম সারির নেতারা সবাই ছিলেন তার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তথাপি বাংলার ছাত্র-জনতা কৃতজ্ঞচিত্তে নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকেই বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করে। শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ইতিহাসের যে প্রেক্ষাপটে যুক্ত হয় তা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, বিপ্লবী অরবিন্দ, বাঘা যতীন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, মহাত্দা মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, মজলুম নেতা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, মজলুম নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক বা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ_ এদের কেউই তাদের নামের আগে যুক্ত উপাধিসমূহ শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি পাওয়ার মতো এমন ঘটা করে পাননি। পৃথিবীর খুব অল্পসংখ্যক নেতাই গণমানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে এমন ঘটা করে গৌরবোজ্জ্বল উপাধির অধিকারী হয়েছেন।


এর শুরুটা হয়েছিল '৬৯-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ডাকসু কার্যালয়ে আমার সভাপতিত্বে এবং তিন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম 'সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন এবং জাতির উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি ১১ দফা ঘোষণা করি। ৮ জানুয়ারি সম্মিলিত বিরোধী দল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটটি বিরোধী দলের ঐক্যফ্রন্ট কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে আট দফাভিত্তিক এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। ৯ জানুয়ারি দেশের আটটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ভিত্তিতে 'গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ' ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি সংক্ষেপে 'ডাক' গঠন করে। ১২ জানুয়ারি ডাক প্রাদেশিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আট দফা দাবির ভিত্তিতে ১৭ জানুয়ারি 'দাবি দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৭ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ তথা ডাক-এর এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জমায়েত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি শনিবার ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়। ১৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সফল ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে বটতলায় ছাত্র জমায়েতের পর খণ্ড খণ্ড মিছিল এবং সহস্র কণ্ঠের উচ্চারণ_ 'শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পতন চাই।' সন্ধ্যায় জিন্নাহ হলে (বর্তমানে সূর্যসেন হল) বিনা উসকানিতে ইপিআর ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে। প্রতিবাদে ১৯ জানুয়ারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল, পুলিশের বাধা ও গুলিবর্ষিত হলে ছাত্রনেতা আসাদুল হক আহত হন। ২০ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের মাইলফলক। ১১ দফার দাবিতে ঢাকাসহ প্রদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালন। এর পর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ সার্জেন্টের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান নিহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শোকসভা। শোকসভায় আমার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পর শহীদ আসাদের রক্ত ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ ও ২১ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে শহীদ আসাদের নামাজে জানাজা। জানাজার পর সংগ্রামী জনতার উদ্দেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি : ২২ জানুয়ারি শোক মিছিল, কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মশাল মিছিল, পরে কালো পতাকাসহ শোক মিছিল, ২৪ জানুয়ারি বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল। কর্মসূচি ঠেকাতে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে প্রতিটি দিনের কর্মসূচিতে সর্বাত্দক অংশগ্রহণ করে। জানাজার পরে বিক্ষোভ মিছিলে লাখো মানুষের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে গুলি চালালে সারা দেশে এদিন ছয়জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। ২২ জানুয়ারি ঢাকায় সব বাড়ি ও গাড়িতে কালো পতাকা আর প্রতিটি মানুষের বুকে কালোব্যাজ। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। ২৩ জানুয়ারি ঢাকা শহর মশাল আর মিছিলের নগরী। ইতিহাসের বৃহত্তম মশাল মিছিল। ২৪ জানুয়ারি হরতালে ছাত্র-গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর রহমান নিহত হন। ক্ষোভে ফেটে পড়া বিক্ষুব্ধ মানুষ সরকার সমর্থিত দৈনিক পাকিস্তান, মর্নিং নিউজ এবং পয়গাম পত্রিকা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। শহীদদের তালিকায় যুক্ত হয় আনোয়ার, রুস্তম, মিলন, আলমগীরসহ আরও অনেক নাম। দুপুরে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পল্টন ময়দানে। আমার বক্তৃতার পর সেখান থেকে মিছিল জমায়েত হয় ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) মাঠে। সান্ধ্য আইন অমান্য করে বানের জলের মতো রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। গণরোষে কেঁপে ওঠে তথাকথিত লৌহমানব আইয়ুব খানের মসনদ। দেশব্যাপী গণআন্দোলনের ব্যাপকতা গণমানুষের জাতীয় মুক্তির চেতনায় যে আগুন ধরিয়েছিল তাতে প্রচণ্ড গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয় ২৪ জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থান। ইতিহাসে যা খ্যাত হয়ে আছে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নামে।

২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকে। ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তানে গণবিক্ষোভ। করাচি ও লাহোরে সেনাবাহিনী তলব এবং সান্ধ্য আইন জারি। ২৯ জানুয়ারি গুজরাটওয়ালায় সেনাবাহিনী তলব। গুলিবর্ষণে ৩ জন নিহত। ১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খানের বেতার ভাষণ। বিরোধী দল এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রত্যাখ্যান। ৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুবের পূর্ব পাকিস্তান সফর। সংবাদ সম্মেলনে দেশরক্ষা আইন ও অর্ডিন্যান্সের প্রয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা। ৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের ছাপাখানা নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেসের ওপর থেকে বাজেয়াপ্ত আদেশ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। ৯ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পল্টন ময়দানে 'শপথ দিবস' পালন। পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে আমার সভাপতিত্বে পল্টন ময়দানে এক বিশাল সমাবেশে ১০ জন ছাত্রনেতা জীবনের বিনিময়ে ১১ দফা দাবি প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প ঘোষণা করেন এবং শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার শপথ গ্রহণ করেন। এ দিন স্লোগান ওঠে 'শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব', 'শপথ নিলাম শপথ নিলাম মাগো তোমায় মুক্ত করব।' ১১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে ধৃত রাজবন্দীদের বিনাশর্তে মুক্তি লাভ। ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তি লাভ। ১৪ ফেব্রুয়ারি 'ডাক'-এর সারা দেশে হরতাল আহ্বান। পল্টন ময়দানের সভায় জনতা কর্তৃক নূরুল আমিন ও ফরীদ আহমদ লাঞ্ছিত। ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা। ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি। আইয়ুব খানের 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' প্রত্যাহার এবং প্যারোলে মুক্তি দিয়ে শেখ মুজিবসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দকে গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ। ছাত্র-জনতা কর্তৃক প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। ১৬ ফেব্রুয়ারি দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ঢাকা। বাংলা একাডেমী সংলগ্ন স্টেট হাউসে অগি্নসংযোগ। পল্টনে লক্ষাধিক লোকের অংশগ্রহণে সার্জেন্ট জহুরুল হকের গায়েবানা জানাজা। ১৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে পূর্ণ দিবস হরতাল পালন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের রিডার শামসুজ্জোহাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পাকিস্তানি সেনাদের বেয়নেট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে আমার সভাপতিত্বে পল্টনের মহাসমুদ্রে সংগ্রামী ছাত্র সমাজের অগ্রনায়কদের সংগ্রামী শপথ এবং ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রদান। সারা দেশ গণবিস্ফোরণে প্রকম্পিত। প্রচণ্ড জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান কর্তৃক সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দান।

২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯-এর এই দিনে শেখ মুজিবের মুক্তিতে দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম_ 'ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার মুজিবসহ সকলের মুক্তি লাভ : কারাগার রাজবন্দী শূন্য পূর্ব বাংলার মাটিতে অবশেষে বাস্তিলের কারাগার ধসিয়া পড়িয়াছে। জনতার জয় হইয়াছে। গণদাবির নিকট নতিস্বীকার করিয়া দোর্দণ্ড প্রতাপ সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করিয়া পূর্ব বাংলার অগি্ন সন্তান, দেশগৌরব আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানসহ এই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই কুর্মিটোলার সামরিক ছাউনির বন্দীনিবাস হইতে গতকল্য (শনিবার) মধ্যাহ্নে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হইয়াছেন।' সেদিন ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তে আবেগমথিত ভাষায় লেখা হয়_ 'জয় নিপীড়িত জনগণ জয়, জয় নব উত্থান। আজ উৎসবের দিন নয়, বিজয়ের দিন, আজ আনন্দের দিন নয়, স্মরণের দিন। তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহৃত হইয়াছে। দুঃশাসনের কারা কক্ষ হইতে দেশের প্রিয় সন্তান শেখ মুজিব অন্যান্য সহবন্দীর সঙ্গে মুক্ত হইয়া আবার তার প্রিয় দেশবাসীর মাঝে ফিরিয়া আসিয়াছেন। শহীদী ঈদের সেনাদের অভিযান সফল হইয়াছে। গণজাগরণের প্রবল প্লাবনের পলি মাটিতে রক্তাক্ষরে লিখিত হইয়াছে নূতন এক ঊষার স্বর্ণ দুয়ার উন্মুক্ত করার অবিস্মরণীয় কাহিনী। তবুও আজ অহল্যা-প্রতিম পূর্ব বাংলা জাগ্রত। তার অশোক আকাশে ফাল্গুনের রক্ত সূর্যে নূতন প্রাণে পতাকা শিহরিত। মেঘের সিংহবাহনে নূতন প্রভাত আসিয়াছে। এই প্রভাতের সাধনায় তিমির রাত্রির তপস্যায় যাহারা আত্দাহুতি দিয়াছেন আজ বিপুল বিজয়ের ক্রান্তিলগ্নে তাহাদেরই আমরা সর্বাগ্রে স্মরণ করি। তাহাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জানাই আমাদের অবনত চিত্তের অভিনন্দন।'

৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি। শুরুতেই বলেছি এই দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান যারা দেখেননি তাদের বলে বোঝানো যাবে না সেই জনসমাবেশের কথা। আমরা যখন সেখানে পেঁৗছেছি, তখন রেসকোর্স ময়দানে মানুষ আর মানুষ। ১৪ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা নগরীর মানুষই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, লঞ্চ-স্টিমারে বোঝাই হয়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ছুটে এসেছে। ঢাকার মানুষ তো আছেই। অভিভূত হয়ে পড়লাম আমি। এত মানুষ তো একসঙ্গে কোনোদিন দেখিনি। আমার বন্ধুরাও স্তম্ভিত। কিন্তু কত সুশৃঙ্খল তারা। এরাই তো আমাদের শক্তি। অনেকেই পত্র-পত্রিকায় আমাদের নাম শুনেছেন, দেখেননি। তাদের সামনে আজ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দাঁড়াবে। আমার আজও যখন মনে হয় সেদিনের সেই গণসংগ্রামের কথা, কী এক শিহরণে আমার চোখ ফেটে পানি এসে যায়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, শামসুদ্দোহা, সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, মোস্তফা জামাল হায়দার, মাহবুবউল্লাহ, ফখরুল ইসলাম মুন্সী, ইব্রাহিম খলিল, নাজিম কামরান চৌধুরী কার কথা না আজ আমার মনে পড়ে। মনে পড়ে কারাবন্দী শেখ মনি ভাইয়ের কথা। ষাটের দশকের সূচনা থেকে স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর ঐক্যের তিনিই অন্যতম উদ্যোক্তা। আমাদের কাছে তার বিভিন্ন পরামর্শ আসত জেল থেকে। জেলে বন্দী ছিলেন আমাদের রাজ্জাক ভাইও। তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। জেলের বাইরে ছিলেন সিরাজ ভাই, অর্থাৎ সিরাজুল আলম খান। তিনি যথেষ্ট সহায়তা করেছেন আমাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে। কোথাও কোনো জটিলতা কিংবা বিবৃতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

বলছিলাম ২৩ ফেব্রুয়ারির কথা। একজন ছাত্রনেতার জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? বাংলার অবিসংবাদিত নেতা যে মঞ্চে উপবিষ্ট, যার সামনে ১০ লাখেরও অধিক মানুষ, আমি সেই সভার সভাপতি। সেদিন ওই মঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী, ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) মাহবুবউল্লাহ এবং এনএসএফ-এর মাহবুবুল হক দোলন। আগেই বলেছি আমি ছিলাম সভাপতি, নিয়মানুসারে সব বক্তার শেষেই আমার বক্তৃতা দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতা বক্তৃতা দেওয়ার পর আমি বলব এবং আমার ভাষণ কেউ শুনবেন এমন আশা করার ধৃষ্টতা আমি কেন, আমার বন্ধু নেতারাও ভাবেননি। তাই প্রিয় নেতার ভাষণের আগে আমাকে দাঁড়াতে হলো। যাকে গণসংবর্ধনা দিচ্ছি তিনি ভাষণ দেবেন সবার শেষে সেটাই সাব্যস্ত হয়েছিল। আমার জন্য অবশ্য ভাষণ দেওয়াটা তেমন জরুরি ছিল না, এর চেয়ে অনেক বড় একটা দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করা হয়েছিল। সেটা হলো ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে জাতির অনুমোদন নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে একটি উপাধি দেওয়া_ যা তার নামের সঙ্গে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। তখন আর অস্বীকার করার কোনো সুযোগ ছিল না, সবাই যা সত্য হিসেবে চোখের সামনে লক্ষ্য করেছে তা হলো সমগ্র জাতি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। গণসংবর্ধনায় এই অভিধা প্রদান নিয়ে আমরা সব ছাত্রনেতা আলোচনায় বসেছিলাম। আমরা একমত ছিলাম যে, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে, সমগ্র জাতি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা স্থাপন করেছে। সুতরাং, যে মানুষটি শুধু পূর্ব বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা স্বাধিকারের জন্য তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কারান্তরালে কাটিয়েছেন অকুতোভয়ে, যার প্রতিটি উচ্চারণ আপসহীন, যার লক্ষ্য সুস্থির অটল, যিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বার বার_ জাতি যাকে বুকে তুলে নিয়েছে, যাকে নেতা হিসেবে বরণ করে নিয়েছে, যার জন্য রক্ত দিয়েছে, তাকে গণউপাধিতে ভূষিত করার অধিকার আমাদের অবশ্যই আছে এবং ঐতিহাসিক কারণে এটা আমাদের কর্তব্যও_ এবং আমাদের সামনে সেই সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমাদেরই এক ছোট ভাই প্রিয় নেতাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলেন যার নাম ছিল 'বঙ্গবন্ধু'। কবিতায় নেতাকে সে বঙ্গবন্ধু সম্বোধন করেছিল প্রতিটি চরণে। আমরা তো এর আগে 'বাংলার নয়নমণি', 'বঙ্গশার্দুল', 'অবিসংবাদিত নেতা', 'বাঙালির মুক্তিদাতা' প্রভৃতি বিশেষণে সম্বোধন করতাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু অভিধাটি আমাদের সবার কাছেই খুব ভালো লাগল। আমরা একমত হলাম। অবরুদ্ধ বাঙালি যেন সহস্রাধিক বছর অপেক্ষায় এমন একজন বন্ধুর জন্য। চোখের সামনে বন্ধুর অবয়ব ভেসে ওঠে। বন্ধু অর্থ কি? বিশাল ক্যানভাসে সেদিন বন্ধুর ভাবার্থ আমাদের সামনে সুস্পষ্ট ছিল। যিনি ভালোবাসেন। শুধু ভালোবাসেন না, ভালোবাসার জন্য আপসহীন এবং আমৃত্যু সংগ্রাম করে যান। যার ভালোবাসা নির্লোভ, নিঃস্বার্থ। শেখ মুজিব যখন বন্ধু তখন তিনি হয়ে উঠেন বাংলার প্রকৃতির বন্ধু, বাংলার ভাষা কৃষ্টি-সংস্কৃতির বন্ধু, বাঙালি জাতীয়তাবোধের বন্ধু, মুক্তি সংগ্রামের বন্ধু। সুতরাং, একমাত্র শেখ মুজিবই হতে পারেন বঙ্গবন্ধু। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কাউকেই আর বলিনি যে তাকে আজ এরূপ সম্বোধনে ভূষিত করব। সভাপতির ভাষণ দিতে দাঁড়ালাম। জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, যে নেতা তার যৌবন কাটিয়েছেন কারাগার থেকে কারাগারে। মৃত্যুভয় যার কাছে ছিল তুচ্ছ। এমনকি প্রধানমন্ত্রিত্বও ছিল যার কাছে তুচ্ছ। যে নেতা সবসময় বলেছেন আমি ক্ষুদিরামের বাংলার মুজিব, সূর্যসেনের বাংলার মুজিব। যিনি বলেছিলেন, বাংলার মানুষের জন্য আমি হাসিমুখে জীবন দিতে পারি_ সেই নেতাকে আমরা একটি উপাধি দিয়ে বরণ করতে চাই। ১০ লাখ জনতা তাদের ২০ লাখ হাত উঁচিয়ে সমস্বরে সম্মতি জানিয়েছিল। সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করলাম_ বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান, হাজার বছরের মহাপুরুষ, নিপীড়িত-লাঞ্ছিত-প্রবঞ্চিত বাঙালির নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করলাম। আজ থেকে তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। লাখ লাখ কণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হলো_ জয় বঙ্গবন্ধু।

পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল_ 'রেসকোর্সের গণমহাসমুদ্রে বক্তৃতারত শেখ মুজিবুর রহমান, প্রয়োজন হইলে সংগ্রাম করিয়া আবার কারগারে যাইব, কিন্তু দেশবাসীর সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করিব না।' দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ নিবন্ধে লেখা হয়, 'ঢাকার বুকে সর্বকালের বৃহত্তম গণসংবর্ধনা সভায় মুজিবের ঘোষণা। এই দিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে গণমহাসমুদ্রের সভার সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলা ও বাঙালির স্বার্থে অবিচল ও অবিরাম সংগ্রামের কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া ঢাকার ইতিহাসে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশের উদ্দেশে বলেন যে, আমরা বক্তৃতা-বিবৃতিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে নানা বিশেষণে বিশেষিত করার প্রয়াস পাই। কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষণ করিলে যে সত্যটি সবচাইতে ভাস্বর হইয়া ওঠে তা হইতেছে মানব দরদী_ বিশেষ করিয়া বাংলা ও বাঙালির দরদী, প্রকৃত বন্ধু। তাই আজকের এই ঐতিহাসিক জনসমুদ্রের পক্ষ হইতে আমরা তাহাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করিতে চাই। রেসকোর্সের জনতার মহাসমুদ্র তখন এক বাক্যে বিপুল করতালির মধ্য দিয়া ১০ লক্ষাধিক লোক তাদের ২০ লক্ষাধিক হস্ত উত্তোলন করিয়া এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।'

ভাবতে আজ কত ভালো লাগে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম রাজধানী ঢাকার শাহবাগে মিলিত হয়ে '৫২, '৬৯ ও '৭১-এর চেতনায় জাগ্রত হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবিতে গোটা জাতিকে পুনর্জাগরিত করেছে। তরুণ প্রজন্মের জাগ্রত চেতনার সঙ্গে একাত্দতা জানাতে শাহবাগে গিয়েছিলাম। আমি স্বচক্ষে দেখেছি, স্বকর্ণে শুনেছি তাদের স্লোগান। গর্বে আমার বুক ভরে উঠেছে। ষাটের দশকে আমরা যেসব স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেছি_ 'জাগো জাগো বাঙালি জাগো', 'পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা', 'তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি', 'আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ', এবং 'জয় বাংলা'। সেসব রণধ্বনি আজ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নবপ্রজন্মের কণ্ঠে। ছোট্ট সোনামণিরা মা-বাবার কোলে চেপে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূ, প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা, সবাই আজ যুদ্ধাপরাধীদের দাবি আদায়ে সমবেত হয়েছে শাহবাগের রাজপথে। তাদের কপালে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার ব্যান্ড, গালে লেখা এবং দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে 'জয় বাংলা' স্লোগান। হাতের ব্যানারে লেখা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।' এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। একদিন যে স্বপ্ন নিয়ে, যে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনায় হাতিয়ার তুলে নিয়ে ১৯৭১-এ জাতির জনকের ডাকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে সশস্ত্র জনযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম, '৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান তার সবকিছুই ধ্বংস করে দেওয়ার সর্বাত্দক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু সফলকাম হননি। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের সুফল আজ নবপ্রজন্মের চেতনার শোণিতে ধারিত ও প্রবাহিত হয়েছে। কোনো অপশক্তিই আর তাদের পশ্চাৎমুখী করতে সক্ষম হবে না। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সুদীর্ঘকালের সংগ্রামী অভিজ্ঞতার আলোকে আজ আত্দবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, যে অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে সামনে রেখে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক_ সেই স্বপ্নের পতাকা বহনের শক্তি নবপ্রজন্ম অর্জন করেছে। সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত।


লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

ই-মেইল :tofailahmed69@gmail.com





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছিঁড়েছে জাতীয় পতাকা জনতার প্রতিরোধ শুরু সারাদেশে



বাংলা না এলে
home sitemap rss
শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯
জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব
০ ছিঁড়েছে জাতীয় পতাকা 
০ ভেঙ্গেছে শহীদ মিনার ও গণজাগরণ মঞ্চ
০ নিহত ৪
০ বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি 
০ টার্গেট সাংবাদিকরাও 
০ জনতার প্রতিরোধ শুরু সারাদেশে
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংস হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, শহীদ মিনারে হামলা, গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর, প্রেসক্লাবে আক্রমণ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলি, বোমাবাজি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, ইটপাটকেল বিনিময়ে সহিংস হামলা ঘটিয়েছে। এতে গাইবান্ধায় ২ জন, সিলেটে ১ জন, ঝিনাইদহে ১ জনসহ ৪ জন নিহত এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫ সাংবাদিক, পুলিশ, জামায়াতÑশিবিরের কর্মীসহ তিন শতাধিক আহত হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে সহিংস হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে তারা। রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, বরিশাল, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, পাবনা, ফেনী, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী ও সিলেটে শহীদ মিনার ভাংচুর করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে মনগড়া ও মিথ্যা অভিযোগ করে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলো শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর পর তারা রবিবার 
সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চে হামলার জন্য জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম, চানখাঁর পুল, কাঁটাবনসহ চতুর্দিক থেকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে জামায়াতÑশিবিরের নেতৃত্বে তাদের সমমনা দলগুলো। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে জামায়াতÑশিবির সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহে জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত হয়েছেন কর্তব্যরত সাংবাদিকরা। সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়ায় গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করেছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলা থেকে শুরু করে পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে হাইকোর্ট এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এতে গুলিবিনিময়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রবার বুলেট, কঁাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটে রাজধানীর কাকরাইল, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, মিরপুর ও পান্থপথ এলাকায়। প্রতিটি স্থানেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে 
সংঘর্ষ ॥ বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে তাদের সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলোর কর্মীরা শাহবাগ অভিমুখে স্লোগানমুখর মিছিল বের করে। প্রেসক্লাবের দিকে এগোনোর সময় তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তৈরি তোরণ ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় একযোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় জামায়াত-শিবির ও উগ্রপন্থী কর্মীরা। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ১০ সাংবাদিকসহ পুলিশের এক এসি ও শাহবাগ থানার ওসি আহত হন কাঁটাবনে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট ও কাঁদানেগ্যাস ছুড়তে থাকে। এ সময় হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ শটগানের ছররা গুলি ব্যবহার করে। সাংবাদিকদের ওপর হঠাৎ করেই হামলা করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকসহ ক্যামেরাম্যানদের ওপর মারমুখী হয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আহত সবাইকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুপুর থেকেই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী দলগুলোর বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। জুমার নামাজের আগে বন্ধ রাখা জাতীয় মসজিদের বেশ কয়েকটি গেট ভেঙ্গে ফেলে ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর জামায়াত-শিবির উগ্রপন্থী নেতাকর্মীরা চড়াও হয়। এ সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। আবারও মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে হাইকোর্টের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন মাছরাঙার সিনিয়র রিপোর্টার আবদুল্লাহ তুহিন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিন ও এটিএন নিউজের সাংবাদিক ফেরদৌস। এছাড়া একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হামলায় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ সাংবাদিকদের রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় তারা। কাঁটাবনে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামলায় আহত হয়েছেন। জোট বেঁধে জামায়াত-শিবির সমর্থকরা মসজিদের ভেতর থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াতের রাজনীতিকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা শুক্রবার সব ধর্মের উপাসনালয়ে প্রার্থনা ও দোয়ার কর্মসূচী দেয়ার পর জামায়াতের নেতৃত্বে তাদের সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলো মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জুমার পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করে। এই কর্মসূচী ঘোষণা করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়। সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ। 
বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে যা ঘটেছে ॥ বায়তুল মোকাররম মসজিদের লাল গালিচার কার্পেটে আগুন এবং মসজিদের ভেতর থেকে গুলি ও জুতা নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর দিকে রাস্তার ওপর মুসল্লিরা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জুমার নামাজের খুৎবা চলাকালীন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান জাহিদুজ্জামান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিনকে মারধর করে। জুমার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরসহ ১২টি সমমনা ইসলামী দল উত্তর গেট দিয়ে মিছিল বের করে প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে পল্টনে মিছিলকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে বাধা উপেক্ষা করে জঙ্গী মিছিল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙ্গে শাহবাগের দিকে এগোতে থাকে তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ রবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে। রবার বুলেটের বিপরীতে জামায়াতের কর্মীরা হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। এ সময় মিছিলকারীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে কিছু অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে পড়ে। পরে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা মসজিদের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের ভেতর থেকে শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র উঁচিয়ে পুলিশকে গুলি করতে থাকে। এদের হাত থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাননি। এ সময় বায়তুল মোকাররমের উত্তর দিকের সিঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় পাতা নামাজের গালিচায় আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াতঘেঁষা ইসলাম আশ্রয়ী দলগুলোর নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা বিক্ষোভরতদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ঘটনার পর মসজিদের খাদেমরা দ্রুত ছুটে এসে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর ফলে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের কবল থেকে রক্ষা পায় জাতীয় মসজিদ। এদিকে পল্টনে মিছিলটি ছাত্রভঙ্গ করে দেয়ার পরও মিছিলের বিরাট অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে দিকে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ আবার মিছিলকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মিছিলকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় মিছিলকারীরা অলিতে-গলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মিছিলকারী ও পুলিশের মধ্যে মুহুর্মুহু গুলিবিনিময় চলতে থাকে। এ ঘটনায় ৮ সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশসহ ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
যেভাবে মুক্ত হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদ ॥ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ধর্মীয় সমমনা দলগুলোর ব্যানারে জামায়াত-শিবির ও অন্যান্য জঙ্গী সংগঠন শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমসহ দেশব্যাপী তা-ব চালাবে এমন আশঙ্কায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশে গতকাল বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীর উপস্থিতি থাকা সত্ত্বে¡ও জামায়াতী ক্যাডারদের তা-ব রুখতে পারেনি। পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে ভিন্ন কৌশলে জামায়াত-শিবিরের অস্ত্রধারীরা মসজিদে প্রবেশ করে। সেখানে কর্তব্যরত এক পুলিশ জনকণ্ঠকে জানান, মূলত অন্য যে কোন শুক্রবারের তুলনায় এদিন বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের সংখ্যা ছিল কম। ফলে ধারণা করা হয়, নামাজ শুরুর বেশ আগে থেকেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মসজিদে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। বিপত্তি ঘটে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে। মসজিদে প্রবেশ করার সময় কয়েকজন তরুণের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের উত্তর গেটে পুলিশ চেক করতে চায়। পুলিশ দেহতল্লাশি করতে চাইলে তাদের একজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। 'আপনারা কি এদেশে শান্তি মতো ধর্মকর্ম করতে দেবেন না- মন্তব্য করে এক যুবক জোরে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসেন আরেক মুসল্লি। পুলিশের তল্লাশি দেখে তিনিও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, নামাজ শেষ হওয়ার পরই পরই গোলযোগের আশঙ্কায় শান্তিকামী সাধারণ মুসল্লিরা দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে আসতে থাকেন। হঠাৎ মসজিদের ভেতর থেকে শোনা যায় সেøাগান। মুসল্লিবেশী জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মুরতাদের ফাঁসি চেয়ে সেøøাগান দিতে থাকলে পুলিশসহ সব নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক অবস্থান নেয়। এ সময় পূর্বদিক থেকে পুলিশ পশ্চিমে আসতে থাকলে মসজিদের ভেতর থেকে তাদের ওপর ইটপাটকেল মারতে থাকে জামায়াতীরা। তারপর মুহূর্তেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মসজিদ থেকে বের হয়েই তারা মিছিল আকারে শাহবাগের যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই অতর্কিতে হামলা চালায়। শুরু হয় ওদের তা-ব। দেড় ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের ওপর তা-ব চালায় তারা। এ সময় দেখে দেখে মিডিয়ারকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়। নির্বিচারে তাদের ওপর চালানো হয় গুলি। পল্টন থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বায়তুল মোকাররমে কাল যারা নামাজ পড়তে গিয়েছিল তাদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবির ও বিভিন্ন উগ্র ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক। তারা পরিকল্পনা মতো মসজিদের ভেতর থেকেই পুলিশকে টার্গেট করেই চতুর্মুখী হামলা চালায়। উত্তর গেটে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে যারা ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছে তারা ছিল তরুণ। বেপরোয়া মনোভাবে তারা নির্বিচারে গোলাগুলি, ককটেল নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল মেরেছে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা মসজিদের নিচে থাকা হকারদের রেখে যাওয়া চৌকি ও চেয়ার-টেবিলে আগুন ধরিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে হোটেলের উত্তর গেটের তোপখানা রোডের বাসিন্দা ফখরুল বলেন, মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে নিয়মিত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ছি। কখনও দেখিনি নামাজ শেষে কোন মুসল্লিকে মসজিদের ভেতরের সীমানায় আগুন দিতে। ওদের সহিংস তা-ব রুখতে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এতে হামলাকারীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে মসজিদের ভেতর থেকে মুহুর্মুহু গুলি চালায়। বার বার মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশও মসজিদের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। মসজিদের ভেতর আটকে পড়া মুসল্লি মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, বেলা দুটোর পরও মসজিদ থেকে কিছুতেই হামলাকারীদের বের করে আনতে পারেনি পুলিশ। এরপর বেলা আড়াইটায় পুলিশ মাইকে ঘোষণা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে মসজিদ থেকে বাইরে আসার আহ্বান জানায়। তারপর মসজিদের ভেতর থেকে ঢিল ছোড়া বন্ধ হয়। পুলিশ জানায়, বেলা আড়াইটা থেকে মসজিদের উত্তর দিকের গেট থেকে পুলিশ কিছুটা দূরে সরে আসে। এতে হামলাকারীরা পূর্বদিকে মার্কেটের বিভিন্ন গলি দিয়ে যে যার মতো করে বের হতে থাকে। এভাবে পৌনে পাঁচটার আছরের নামাজের পর মুসল্লিদের সঙ্গে জামায়াতীরাও বের হয়ে আসে। এক পর্যায়ে মসজিদের আশপাশের এলাকা শান্ত হয়ে এলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। 
তবে পল্টন থানার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাগরিবের আজানের পরও বেশ কয়েকজন জামায়াত-শিবির কর্মী মসজিদে মুসল্লিবেশে অবস্থান করছিল। তারা মসজিদের ভেতরে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। 
কাঁটাবন মসজিদ থেকে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা ॥ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার আগে মাওলানা শেখ নুরে আলম হামিদি নামের হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনের ১৫ জন একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে কাঁটাবন মসজিদের সামনে নামে। পরে মসজিদে ঢুকে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেয়, নামাজের পর মিছিল বের করা হবে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় ওই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশকে গালাগাল করতে থাকে। মিছিলের প্রস্তুতির এক পর্যায়ে তারা অদূরে দাঁড়ানো রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান, শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামসহ কয়েক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছাত্রভঙ্গ করে দেন। পরে কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ ওই এ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে হেফাজতে ইসলাম কমিটির মৌলভীবাজার জেলার আহ্বায়ক মাওলানা শেখ নুরে আলম হামিদি, হুসাইন আহমেদ খান, আহমেদ বিন কাসিমসহ চারজনকে আটক করেছে। পরে পুলিশ তাদের কাছ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য সংবলিত অবৈধ লিফলেট উদ্ধার করে। আটককৃতদের শাহবাগ থানায় আনা হয়েছে। পরে কাঁটাবন এলাকা থেকে আরও ১২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সটি রেকারিং করে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা সেটি ভাংচুর করেছে। এর কিছুক্ষণ পরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে আরও কিছু বামপন্থী সংগঠন মিলে মিছিল বের করে শাহবাগ থেকে কাঁটাবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
কামরাঙ্গীরচর মসজিদ ॥ স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, তিন শতাধিক মসজিদের জনপদ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন জামায়াতপন্থী। জুমার নামাজের আগে পূর্বরসূলপুর ৩ নম্বর গলির বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, ৮ নম্বর গলির মাস্টারবাড়ি মসজিদ, রনি মার্কেটের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, খলিফাঘাট আল আমিন ইসলামিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি মজজিদ থেকে উস্কানিমূলক বয়ান করা হয়। সেখান থেকে জেহাদের নাম করে মিছিলে যোগ দেয়ার জন্য মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করে ইমামরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েক মুসল্লি জানান, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম অথচ ইসলামের নাম ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির মুসলমানের ওপর হামলা চালিয়েছে। বহু গাড়ি ভাংচুর করেছে। এটি কিসের ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে ইমামরা কিছু বলেন না। এসব ইমামের বিরুদ্ধে তদন্ত করা দরকার বলে মনে করেন তারা। পরে জুমার নামাজ শেষে হুজুরপাড়া হাফিজি হুজুরের মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। প্রথমে পুলিশ মিছিলকারীদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা ॥ শুক্রবার জামায়াত সমর্থক দলগুলোর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত কনস্টেবল, সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষকসহ ৩৫ জনকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে আনসার আলী (৩০) নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিকেলে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। জানা গেছে, পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আহত ওয়ারী থানা পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল আজিজ, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গুলিবিদ্ধ জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক শেখ মামুন রশিদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির আমিনুল হক ভুঁইয়া, চ্যানেল ৭১-এর ক্যামেরাম্যান আরিফুজ্জামান পিয়াস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাম্যান নুরুল ইসলাম, আমার দেশের চীফ ফটোগ্রাফার মীর আহম্মেদ মীরু, জিটিভির মাসুদুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান জাহিদুজ্জামান ও নিউএজের নিতাই দাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন প্রথম বর্ষের ছাত্র গুলিবিদ্ধ সুমন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান, হাইকোর্ট মোড়ে ইটের আঘাতে আহত গাজীপুরের মাওনার কলেজ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, আল আমিন, আসিম, হাসান, ফজলে রাব্বি, বিল্লাল হোসেন, সুমন, রফিক, সেলিম, ইমরান, জাকির, মহিউদ্দিন, মাইনুদ্দিন, মোঃ জাকির, ইফনুছসহ অজ্ঞাত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হন। আহতদের দেখতে যান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক।

রাজশাহী ॥ আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, ইসলামী দলগুলোর হামলায় রাজশাহীজুড়ে রণক্ষেত্র পরিণত হয়। গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করে জামায়াত- শিবির ক্যাডাররা। অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরের খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় আগুন দিয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। সংঘর্ষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়। নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে গণকপাড়া পর্যন্ত লাঠিসোটা ও বোমা ককটেল নিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির। এ সময় বিপুল পরিমাণ বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শুক্রবার বেলা দেড়টার পর জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেব বাজার, কুমারপাড়া, আলুপট্টি, গণকপাড়া, লক্ষ্মীপুর ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নগরীর আলুপট্টি মোড়ে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতেও হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। লক্ষ্মীপুর এলাকায় ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বজলুর রহমান নামের এ ছাত্রলীগ কর্মীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারশেল, রবার বুলেট ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। 
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেব বাজারের আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ইসলামী সমমনা দলের ব্যানারে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে লোক আসতে থাকে সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে। বেলা পৌনে দুটোর দিকে তারা সেখানে জমায়েত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে সামনে অগ্রসর হলে বিপুল পরিমাণ পুলিশও তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা রাস্তায় দোকানপাট ও ছোট ছোট যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর শুরু করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে মিছিলকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সমমনা দলের সদস্যরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে জবাবে পুলিশও লাঠিচার্জের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল, রবার বুলেট নিক্ষেপ করা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে।
এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে নগরীর গণকপাড়া, আলুপট্টি ও কুমারপাড়া এলাকায় ভাংচুর শুরু করে। একটি দল নগরীর আলপট্টি মোড়ে গিয়ে সেখানে 'গণজাগরণ' মঞ্চে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিটি মেয়র তাঁর গাড়িতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া সাহেব বাজার এলাকার উত্তরা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংকের বাইরের কাচ ভাংচুর করে এবং রূপালী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এটিম বুথেও ভাংচুর চালানো হয়।
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরের খবর পেয়ে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে আলুপট্টিতে ইসলামী ব্যাংকে হামলা ও জ্বালিয়ে সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশের জলকামানের গাড়ির সাহায্যে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব ঘটনায় নগরীজুড়ে আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করেছে। এরা সবাই জামায়াত- শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এর আগে নগরীর কোর্ট স্টেশন জামে মসজিদের ইমাম শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে মুসল্লিরা মসজিদের মধ্যে হৈ চৈ শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া একই সময় নগরীর লক্ষ্মীপুর, এলাকায়ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে চারঘাটের নন্দনগাছিতে জামায়াত কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান জানান, নগরীর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

জরুরি সংবাদ
 ❖ জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব   ❖ প্রজন্ম চত্বরে ॥ 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার এখনই সময় !!!!!



জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার এখনই সময়
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
প্রথমেই একটা প্রস্তাব দিতে চাই জামায়াতের সঙ্গে 'ইসলাম' শব্দটি ব্যবহার না করার জন্য। কারণ এটি কোন ধর্মীয় বা ইসলামী সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান একটি পুরোপুরি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল। সন্ত্রাসী শক্তি। পবিত্র ইসলাম শব্দটি ব্যবহার করে ইসলাম ধর্মেরই অবমাননা করছে। কেউ কেউ বলেন, ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিষিদ্ধ করতেÑকথাটা এভাবে না বলে, বলা দরকার শুধু জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার কথা।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য যে যে কারণ দরকার তার সবই জাতির সামনে এসেছে। এই জামায়াত-শিবির রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, যে রাষ্ট্র পুরোপুরি স্বাধীন সার্বভৌম এবং রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থাও গণতান্ত্রিক। বর্তমান যে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে তারা পুরোপুরি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত। এই সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যখন জামায়াত-শিবির প্রকাশ্যে এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে তখন আর কি কোন সন্দেহ আছে যে, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। গত ২-৩ মাস যেভাবে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে করে আর ভাববার কিছু নেই, সরকারকে এখনি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জামায়াত-শিবির বাঘ-ভল্লুক কিছুই নয়। এটি বড়জোর চোখ লাল করা বিড়াল। বলা হয়, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এটিও একটি কাগুজে ভয়। হিজবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহ্্রীর নিষিদ্ধ করার পর কি হয়েছে, ম্যানহোলের (আন্ডারগ্রাউন্ডে) ভেতরেই নিঃশেষ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবিরের অবস্থাও তা-ই হবে। তাছাড়া হিজবুল মুজাহিদীন বা হিযবুত তাহ্রীরও ছিল জামায়াত-শিবিরেরই সংগঠন। বিগত নির্বাচনের সময় জামায়াত-শিবিরের ভোট বা সমর্থন ছিল চার শতাংশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবার পর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে এদের সমর্থন দুই শতাংশে নেমে এসেছে। সবচে বড় কথা হলো এরা পবিত্র ইসলাম ধর্মকে যেভাবে নোংরা ব্যবহার করেছে, যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এবং এখনও কোথাও কোথাও চালাচ্ছে তাতে করে তাদের গণভিত্তি বলতে কিছুই নেই। এদের হিংস্ররূপ জনগণ দেখেছে।
সবচে বড় কথা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার অঙ্গীকার করায় যে প্রজন্ম ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোটকে চার-পঞ্চমাংশ আসন দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় পাঠিয়েছে, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি রায় তাদের ক্ষুব্ধ করেছে এবং তারা ব্লগের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাখো জনতার সমাবেশ ঘটিয়েছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে বা শাহবাগ গণজারণ মঞ্চে। এখান থেকে তারা মাত্র ৩টি দাবি উত্থাপন করেছে :
১. মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন নয়, ফাঁসির সাজা দিতে হবে। সেই সকল যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দিতে হবে।
২. জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
তরুণ প্রজন্মের এই দাবি কথার কথা বা রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি নয়। শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম আজ ১৬-১৭ দিন যাবত শীত এবং রোদ-বৃষ্টির মধ্যে তাদের দাবির পক্ষে সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে, এতটুকু ক্লান্ত হয়নি বা এতটুকু ক্লান্তি তাদের দুর্বল করতে পারেনি। লাকি আখতারসহ সেøাগানকন্যা তথা অগ্নিকন্যাদের দিন নেই রাত নেই সেøাগানে-গানে আবৃত্তিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। আমরা যারা শিক্ষা আন্দোলন, বাঙালী মুক্তি সনদ ৬ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিতে ৬+১১ দফাভিত্তিক ছাত্র-গণঅভ্যত্থান দেখেছি, অংশগ্রহণ করেছি, মিছিলে মিছিলে সেøাগান দিয়েছি, সর্বোপরি অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি, '৭৫-এ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার পর যেভাবে দেশটাকে মিলিটারি জিয়া ও তার অনুসারীরা মুক্তিযুদ্ধের ধারার বিপরীতে পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে গিয়েছিল, তরুণ প্রজন্ম তা থেকে আবার মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। ঊনসত্তর, সত্তর ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেøাগানগুলোর দিকে তাকালে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেমন :-
ক. তুমি কে আমি কে - বাঙালী বাঙালী
খ. পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তোমার আমার ঠিকানা
গ. জয় বাংলা
অবশ্য তখন আরও কতগুলো সেøাগান ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ায় যেগুলোর প্রেক্ষিতে পাল্টে যাওয়ায় এখন আর বলা হয় না। তবে জয় বাংলার সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার রণধ্বনি। এসব সেøাগান কোন দল বা গোষ্ঠীর সেøাগান নয়। বরং তরুণ প্রজন্ম আমাদের মতো বুড়োদের চোখে আঙুল দিয়ে এবং কানে ছিদ্রি করে বলে দিয়েছি, তোমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পর এই সব সেøাগান পরিত্যাগ করেছো, তোমরা ভুল করেছো, তোমরা জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছো। সবচে বড় কথা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বামপন্থীদের মুখে একটা অভিযোগ সব সময় শোনা যায়, তা হলো আওয়ামী লীগ 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' সেøাগান দুটিকে দলীয়করণ করেছে। এখন প্রশ্ন হলো তোমরা পরিত্যাগ করেছো, আওয়ামী লীগ করেনি, এটা কি তোদের দোষ? এটা কি দলীয়করণ করা? শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম চত্বর আজ তা সবার মুখে তুলে দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেছে, যা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে শাহবাগ থেকে বন্দর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তরে, জনপদে, মানুষের মনে। ইতিহাস না কি এভাবেই প্রতিশোধ নেয়। যারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল তারাই আজ ইতিহাসের কাঠগড়ায়, আস্তাকুঁড়ে।
তরুণ প্রজন্মের এই অবিস্মরণীয় উত্থানে বিএনপি ও তাদের বশংবদ বুদ্ধিজীবী-গলাজীবীদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে। এতদিন গোলাপি মুখের কুলুপ আঁটা ছিল। কত কর্নার থেকে উচ্চারিত হয়েছে 'গোলাপি একটা কিছু কও' কিন্তু গোলাপি কোন কথা বলেন না। যেই প্রজন্ম চত্বর থেকে দুই মধ্যরাতের গলাজীবী ও এক নিজে নিজে বুদ্ধিজীবীকে অতিরিক্ত জামায়াত-শিবির প্রীতির কারণে বর্জনের আহ্বান জানানো হলো, তখনি গোলাপি মুখ খুললেন। এই দুই গলাজীবী আসিফ নজরুল এবং পিয়াস করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার হওয়ার সুবাদে অর্থাৎ পদাধিকার বলে বুদ্ধিজীবী, আরেকজন মাহমুদুর রহমান নিজে নিজে বুদ্ধিজীবী। এরা তিনজনই জামায়াত-শিবিরের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রবক্তা। জামায়াত-শিবির যখন পুলিশের ওপর হামলা করে, রাজপথে প্রকাশ্যে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সেই অস্ত্র দিয়ে পেটায়, তখন গলাজীবীরা টক শোর নামে জামায়াতকে ডিফেন্ড করে, বলে ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করায় তারা এসব করছে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করায় পুলিশ পেটানো তাদের মৌলিক-গণতান্ত্রিক অধিকার-দিনের পর দিন এরা টিভির পর্দায় জাতিকে এই জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করেছে। নিজে নিজে বুদ্ধিজীবী মাহমুদুর রহমান তো তার কাগজে তরুণ প্রজন্ম উত্থানকে 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদী সমাবেশ' এই শিরোনাম দিয়ে (৮ কলাম) প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অথচ তরুণ প্রজন্ম জামায়াতের মতো এই সব গলাজীবী পদাধিকার বলে বুদ্ধিজীবীদের বর্জনের ডাক দিয়েছে। কোন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রজন্ম চত্বর থেকে দেয়া হয়নি। কেবল এই তিনজন নয়, আরও আছেন, যেমন প্রবীণ হওয়ার যোগ্যতায় জাতির বিবেক এবিএম মূসা, ব্যারিস্টার রফিকুল হকও রয়েছেন। আরও রয়েছেন পত্রিকার সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মধ্যরাতের গলাজীবী নুরুল কবির বা মাহফুজুল্লাহ এবং তাদের প্রমোটার অঞ্জন রায়। প্রজন্ম চত্বর থেকে তাদের কারও বিরুদ্ধেই কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়নি। অঞ্জন রায় তো ভুল পাল্টে এখন প্রজন্ম চত্বরে প্রতিদিন চেহারা দেখাচ্ছে।
এমনকি রাজীব হত্যার পরও প্রজন্ম চত্বর থেকে কারও বিরুদ্ধে কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়নি, বিষোদ্গার করা হয়নি। অথচ তাদের নাম তরুণ প্রজন্ম। তরুণ প্রজন্মের রক্ত একটু গরম থাকার কথা। কিন্তু তারা শান্ত এবং সবকিছুই করছে ধীর স্থির এবং শান্ত মস্তিষ্কে। এ এক অবিশ্বাস্য বিশ্বাস তারা জাতির কাছে প্রমাণ করেছেন বা করতে পেরেছেন এ জন্য যে তাদের সামনে একটা আদর্শ আছে এবং তা হলো আমাদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, যে আদর্শ সৃষ্টিতে ৩০ লাখ শহীদ এবং ৬ লাখ মা-বোন নির্যাতিত ও ধর্ষিত হয়েছিলেন, এভাবে বেশির ভাগই শহীদ হন। এর ওপর কোন আদর্শ কি বাঙালী জাতির আছে? তরুণরা সে আদর্শ ধারণ করেছে বলেই কোন বাড়াবাড়ি করছে না। এই যে ১৬টি দিন (বুধবার পর্যন্ত) চলে গেল আজ পর্যন্ত একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, এমনকি একটি পকেটমার বা মোবাইল চুরির ঘটনাও ঘটেনি, এসবই সম্ভব হয়েছে সেই আদর্শের কারণেই। নইলে এই যে জামায়াত-শিবির বানানোর কারখানা ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ল্যাব, ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, আল-আমীন একাডেমী, ইকরা, নূরানী এমনি শত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক মুনাফা হাজারো কোটি টাকা এবং যে টাকা দিয়ে জামায়াতীরা জঙ্গী-স্কোয়াড বানায়-প্রজন্ম চত্বর থেকে এগুলোও বর্জন করতে বলা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে কোন রকম আত্মীয়তা না করতেও বলা হয়েছে-অর্থাৎ সামাজিকভাবে বয়কট। এই পর্যন্তই। এ রকম একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন আমরা করেছিলাম ৬ দফা পরবর্তী বাংলাদেশে। এসব আন্দোলন সুশৃঙ্খল হবার পেছনে কারণ হলো এও এক রকম যুদ্ধ এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে একে অপরের বন্ধু, সহযোদ্ধা, সহযাত্রী এবং পরম আপনজন।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার পক্ষে আগেই বলেছি এটি ধর্মীয় কোন সংগঠন না, এটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক শক্তি, এরা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের নষ্ট কর্মকা-ের বাস্তবায়ন করতে চায়। বাধা দিলে হিংস্র হয়ে ওঠে। আগেই বলেছিল, এদের ভয় পাবার কিছু নেই। নষ্টরা সব সময় মানসিকভাবে দুর্বলই থাকে। ধর্মপ্রাণ মানুষ ওদের দলের নামে ইসলাম শব্দটি থাকায় অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়। তবে ওদের রিক্রুটমেন্ট বা তরুণদের ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা বলে দলে ভেড়ানোর হার অনেক কমেছে, এখন কেবল জামায়াত-শিবির পরিবারের সন্তানরাই ওই নষ্ট আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয় বা এখনও হচ্ছে। তবে বাতি নিভে যাবার আগ মুহূর্তের মতো নিভু নিভু। অর্থ দিয়ে নষ্ট আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা যায় না, সে যত অঢেলই অর্থ হোক। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর ওই নষ্টদের সামাজিক ভিত আরও নাড়িয়ে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বা তার নেতারা যত আস্ফালনই করুন, যত মিথ্যা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুন, কোন কিছুতেই কাজ হবে না। সরকারের মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার যে আলোচনা চলছে, খালেদা জিয়া বরং তা সমর্থন করলেই ভাল করবেন, রাজনীতিতে বেঁচে থাকবেন। নয়তো জামায়াত-শিবিরের মতোই নষ্টদের কাতারে চলে যাবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রজন্ম চত্বরের অভূতপূর্ব জাগরণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক'দিন আগে সংসদে যে ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়েছেন, তা জাতির জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেছেন, 'এখন শান্তিতে মরতে পারব, আমরা না থাকলেও তরুণ জন্ম দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় অর্থাৎ সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
লেখক : ফিল্যান্স সাংবাদিক



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___