সভায় বক্তব্য রাখেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আকতার হোসেন, আজম আযাদ, নুরুন নাহার মেরি, যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সোহেল, রোমিও হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারন সম্পাদক খিজির হাসান টিটু, যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু, সহ সভাপতি রাশেদ জামান, সাধারন সম্পাদক সর্বজিৎ দাস তুর্য, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহসিনা জান্নাত রিমি, সহ সভাপতি শাহেদা পারভিন লিপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেন শাহ, নাসরিন আজিজ, উপদেষ্টা জিয়াউদ্দীন খান, রাশেদুল হাসান খান রজত, বিশিষ্ট সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তারাই একুশে আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মন্তব্য করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, "একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। যে অপশক্তিটি একাত্তরে হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠন করেছে, সেই অপশক্তিটি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এই গ্রেনেড হামলা করেছিল।"সভায় বক্তারা বলেন, "সেদিন আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিল। এসব গ্রেনেড তখন একমাত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনীই ব্যবহার করত। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কারা সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে দেশের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করতে চেয়েছিল।" পঁচাত্তরের পনের আগস্ট, একুশে আগস্টসহ দেশব্যাপী মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার মানুষ ও ধর্মযাজক-পুরোহিত-ইমামদের হত্যার ঘটনা 'একই সূত্রে গাঁথা' ।
বিএনপিকে পাকিস্তানের দল হিসাবে আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, রক্তাক্ত একুশে আগস্টের নারকীয় ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় অনেককে। ঘটনার দশ বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ সময়গুলো। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় গ্রেনেডের বীভৎস আওয়াজ, নিহতদের লাশ, আহতদের আর্তচিৎকার আর সহকর্মীদের বিলাপের স্মৃতির তাড়নায়।সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ'র আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী এবং আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ দলের তৎকালীন ২৪ জন নেতা-কর্মী সেদিন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন কিংবা কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। বক্তারা বলেন, হীম শীতল মৃত্যুর স্পর্শ থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে এখনও বিশ্বাসই করতে পারেন না আসলে তারা জীবিত আছেন কি-না। মৃত্যুর এতো কাছাকাছি গিয়ে আবার ফিরে আসায় হয়তো তারা নতুন জীবন পেয়েছেনÑ কিন্তু যতদিন তারা বেঁচে থাকবেন ততদিন তাদের বহন করে যেতে হবে সেই দুঃস্বপ্নের মত তাড়িয়ে বেড়ানো স্মৃতিকে, হঠাৎ করে গভীরÑ গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার সেই ঘটনাকে। বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দায়ী ব্যক্তিদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের দাবী জানান।