Banner Advertiser

Friday, February 21, 2014

[mukto-mona] Memory Lane:Nizami-Khaleda Buys Foreign "Damage Control"



SUNDAY, APRIL 09, 2006

Nizami-Khaleda Buys Foreign "Damage Control"

The Nizami-Khaleda government has now made a contract with two US lobbying firms and an individual to help cover up its atrocities over the last five years. In other words, the Nizami-Khaleda government is trying to do damage control by hiring a public relations firm.

The government will be spending seven crore taka (about $1m) on this from the people's tax revenues.

Read The Daily Star report HERE.
Mon. April 10, 2006
US lobbyists hired for image building, 'positive' reporting
They are to ensure 'balanced reporting on Bangladesh' among a waft of tasks
Star Report

The government has appointed three American lobbyists including an individual and two firms to arrange high-level interactions with the US government and build a "positive and correct image" of Bangladesh among the US policymakers.

The lobbyists have also been assigned to ensure "balanced reporting on Bangladesh" through mainstream media. They will coordinate with the relevant agencies of the US government to facilitate interactions in Bangladesh between the government and the representatives of the US government.

The firms, The Washington Group and Ketchum Washington (TWG/K), will get a monthly retainer fee of at least $45,000 in addition to "certain out of pocket expenditure" that TWG/K will incur in connection with the services. It is not clear from documents how much the individual lobbyist, Richard L Benkin, will get.

The contract signed on October 31 last year for an initial period of six months between the Bangladesh embassy in Washington and the lobbyists however said "efforts will be made" to keep the pocket expenditure within $750 a month. The contract will be evaluated after the expiry of the first 90 days.

The contract, documents of which have been made available to The Daily Star, has been done after months of negotiation in Washington and kept out of public knowledge.

Signed by Shamser M Chowdhury, Bangladesh ambassador to the US and John D Rafaelli, chief financial officer of The Washington Group, the contract said the lobbyists should rebut and contain negative reporting on Bangladesh and its government in the US media, academic circles and think tanks.

"Using the combined talents of TWG/K we would develop and implement a multi-faceted public relations, media and education plan to strengthen the image of Bangladesh in the US. We would seek to dispel misconceptions about alleged human rights abuses, corrupt government practices and Islamist militancy," the lobbyists said in their work objectives.

In its effort to improve Bangladesh's public image, the lobbyists promised placement of positive news and feature articles in newspapers, magazines and national journals and arrangement for the Bangladesh ambassador in US to appear on national television news shows originating in Washington.

The TWG/K while pitching for the task has promised a long list of tasks that include supporting the government in establishing and maintaining the "closest possible" relations with the White House and the Congress.

"The interests and objectives of Bangladesh must be communicated to and understood by the President and his advisors on an ongoing basis," The Washington Group said in its objective that was submitted to the US Department of Justice. The US laws require lobbyists to register with the justice department and disclose their interests.

It also observed that it is important that Prime Minister Khaleda Zia pays an early state visit to the US and promised to provide a full menu of services including comprehensive public affairs/public relations support for the prime minister's visit.

"We would endeavour to have the prime minister address a Joint Session of the Congress, a rare honor, which in turn would stimulate high visibility media opportunities. The latter would certainly include delivery by the prime minister of a major address at the National Press Club in Washington," the objective reads.

Based on their "close relationships" with senior officials in the Bush administration, the lobbyists also promised to endeavour to "convince the President to add Bangladesh to his itinerary" during his visit to India and Pakistan in March this year.

It also promised to work for increased US aid, assisting the government to get funding from the Millennium Challenge Account, debt relief, support the government in its dealings with the World Bank, IMF and the UN, establish free trade arrangement with US, give high priority to arranging for senior level military to military exchanges and exploitation of joint training opportunities, among other things.

The lobbyists would establish informal channels of communication with US officials to enable the Bangladesh embassy to better interpret and understand the US politics.

They said they would be able to 'open doors at the senior levels' of major US corporations such as Bechtel, General Electric, Lockhead Martin and Wal Mart to interest them in projects of importance to the government.

More promises were made in the arena of cultural exchanges and improving visa procedures.

http://archive.thedailystar.net/2006/04/10/d6041001033.htm





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!





On Friday, February 21, 2014 4:17 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!
টাইম এশিয়ায় প্রকাশিত সেই 'ডেডলি কার্গো' কাহিনী
বিভাষ বাড়ৈ ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরি ২০০২ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কয়েক মাস অবস্থান করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আশীর্বাদে তখন জাওয়াহিরি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। সে সময় ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এ জাওয়াহিরি। জাওয়াহিরিসহ আল কায়েদা বিশাল একটি প্রশিক্ষিত জঙ্গী গ্রুপকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। আল কায়েদার শীর্ষ নেতাদের গোপন সেই মিশন নিয়ে ২০০২ সালের অক্টোবরে টাইম এশিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল আলোচিত প্রতিবেদন 'ডেডলি কার্গো- বাংলাদেশ হ্যাজ বিকাম এ সেফ হ্যাভেন ফর আল কায়েদা এ্যান্ড তালেবান।' বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা নিয়ে প্রায় একই সময় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতেও। দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী গণমাধ্যম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আল কায়েদা নেতাদের সেই মিশনের পুরো কার্যক্রম তদারকি কয়েছিল তৎকালীন সরকারের অংশীদার জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট। 
আন্তর্জাতিক কিছু গণাধ্যম ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, জাওয়াহিরির চট্টগ্রামে প্রবেশের সেই রাতে ৪০ লোক অস্ত্রের চালানসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা ছিলেন আফগানিস্থান থেকে আসা আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। আল কায়েদা নেতাদের সেই সফরে তাদের সঙ্গে ছিল গোলাবারুদের বাক্স এবং কাঁধে ঝোলানো ছিল একে-৪৭। তবে পরবর্তীতে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশকারী আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য জঙ্গীদের সংখ্যা ছিল শতাধিক। বাংলাদেশের তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার দেশের ভেতরে জিহাদী তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলোর সক্রিয়তা সর্ম্পকিত সে সময়ের সব প্রতিবেদন অস্বীকার করে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কারণ তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক হচ্ছে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই দল ইসলামী ঐক্যজোট ও জামায়াত। তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের হয়ে এসব তথ্যকে ভুয়া বলে দাবি করার আরও একটি কারণ ছিল, এক দিকে খোদ বিএনপির সঙ্গে ঘটনার সম্পৃক্ততা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রর কাছে অবস্থান খারাপ হয়ে পড়ার ভয়। আল কায়েদা, তালেবানসহ আন্তর্জাতিক জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হওয়ায় তৎকালীন সরকার ঘটনাকে অস্বীকার করার কৌশল নিয়েছিল। টাইম এশিয়ায় এ্যলেক্স পেরি তার 'ডেডলি কারগো' শিরোনামের প্রতিবেদনে তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে লিখেছিলেন, মার্চ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে এসে এক মাসেরও বেশি সময় অবস্থান করেছিলেন জাওয়াহিরি। তাকেসহ আল কায়েদার একটি বড় দলকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। এ সময় তিনি এক মৌলবাদী নেতার বাড়িতে অবস্থান করেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশকে একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ঢাকায় আসে আল কায়েদার সেই গ্রুপটি। চট্টগ্রামের জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠকে আল কায়েদা নেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তারা যে পরবর্তী হামলা চালাবে সে জন্য বাংলাদেশকে তারা একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রকে তার কৃত অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে চান তারা। বাংলাদেশের ইসলামী গ্রুপকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদক এলেক্স পেরি লিখেছেন, সে বছরের মার্চ মাসেই জাওয়াহিরি ঢাকায় এসে অবস্থান করেন। মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের কম্পাউন্ডে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। 
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গীদের ব্যাপক তৎপরতার সময়ে আল কায়েদার নেতাদের এখানে আসার মধ্য দিয়ে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের যে বীজ রোপণ করা হয়েছে তা দিনে দিনে মহীরুহে পরিণত হয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বাংলাদেশের ২০০২ সালের দিকে সন্ত্রাসী দল হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ছিল আল কায়েদারই সহযোগী। এ সংগঠনের এক সিনিয়র নেতা জুন মাসে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, জাওয়াহিরির সঙ্গে সেই রাতে যে ৪০ লোক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা আফগানিস্থান থেকে আসা আল-কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। এই খবরের সত্যতাও নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর তিন উর্ধতন কর্মকর্তাও। আল কায়েদা নেতাদের অনুপ্রবেশের পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর ভারতীয় পুলিশ ও বার্মিজ বংশোভূত হুজি সৈনিক ও অস্ত্রবাহক ফজলে করিমকে আটক করা হয়েছিল যখন সে কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ট্রেনে পৌঁছায়। ফজলে করিম স্বীকার করেছিল বাংলাদেশে পলায়নরত ২ হুজির সদস্যের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছিল আগস্টে। সূত্রগুলো বলছে, চার দলীয় জোট আমলে আল-কায়েদার দলটির আগমন বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তখন বাংলাদেশের সংবাদপত্রেও একটি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলেছিল, ওসমা বিন লাদেনের দ্বিতীয় হাত মিশরীয় বংশভূত আয়মান আল জাওয়াহিরি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন এবং সে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর মাসের পর মাস বসবাস করছে। জাওয়াহিরি ঢাকায় পৌঁছায় মার্চের প্রথম দিকে এবং সরকারের অংশীদার ইসলামিক দলের নেতার ছত্রছায়ায় অবস্থান করে। তবে গণমাধ্যমের কাছে তখন অস্পষ্ট ছিল যে, কিভাবে জাওয়াহিরি পৌঁছাল বা সে কখন কোথায় অবস্থান করছে। জিডিএফআই সূত্র টাইমকে জানিয়েছিল, জাওয়াহিরিকে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল গ্রীষ্মে এবং পূর্ব সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বার্মার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। টাইম তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রশ্নে তুলেছিল, এটা সত্য যে বাংলাদেশ আফগানিস্থান বা পাকিস্তান নয়। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাসীদের জন্য উর্বর ভূমি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু নিজস্ব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ছিল। দেশটির দক্ষিণের পার্বত্য অংশ ও উত্তরের ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত সীমানা ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং ইসলামিক জঙ্গীরা ও সন্ত্রাসীরা কম্বোডিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা, কাশ্মীর, কেন্দ্রীয় এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যর এ পথকে ব্যবহার করত। বহুবছর ধরে উখিয়ায় ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, কাশ্মীর, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গীদের মদদ পেয়ে এসে। সিএনএন কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে আল কায়েদার প্রশিক্ষণে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ছবি ফুটে উঠেছে। বিন লাদেনের ৫ সহযোগীর (তার পক্ষে স্বাক্ষরকারী) একজন ফাজুল রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার বিরুদ্ধে 'জিহাদের' এর ঘোষণা দিয়েছিল তিনিই 'বাংলাদেশে জিহাদী আন্দোলন' পরিচালনাকারী নামে স্বাক্ষর করেছিলেন। বাংলাদেশে এসে এ বাহিনীর সদস্যরা মূলত নতুন পরিচয় পায় এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আফগাস্তিানে ও ভারতের কাশ্মীরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। 
আরও জানা যায়, এমবি মক্কা ফিরতি ভ্রমণ করেছিল ডিসেম্বরেই। ২০০১ সালের জুনে করাচী থেকে চিটাগং বন্দরে এক বোটে ৫০ জঙ্গী আফগানিস্তানে বিন লাদেনের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব আনার প্রয়াসে আফগান ফেরত বাংলাদেশ মুজাহিদিনের সদস্যরা ১৯৯২ সালে হরকত-উল জিহাদ (হুজি) গঠন করেছিল। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২ বার বোমা হামলার প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ সংগঠনটি এবং একই সঙ্গে জামায়াত ও এর ইসলামী ছাত্রশিবির বোমা হামলা ও হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিয়েছিল। টাইম তার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে জামায়াত সম্পর্কে বলেছে, বিভিন্ন জনসমাবেশে জামায়ত নেতারা প্রকাশ্যে 'ইসলামী জিহাদকে' ছড়িয়ে দেয় এবং সমর্থকরা বিন লাদেন ও হুজির পোস্টার সেঁটে দেয়। এসব পোস্টারের সেøাগান ছিল 'আমরা সবাই হব তালেবান, বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। জামায়াত বহু বছর ধরে অবৈধ মাদ্রাসা বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রধান শক্তি বলয় হিসেবে কাজ করে এসেছে। এক হিসেব মতে, বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা রয়েছে যার ৩০ থেকে ৪০ টিতে 'মুজাহিদন বাংলাদেশ'-এর প্রবীণ সদস্যরা পরিচালনা করে, জঙ্গীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের শরিক দুই ইসলামী দলের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহাযোগিতার প্রশ্নে তারেক জিয়া বলেছিলেন, সরকারে এমনকি বাংলাদেশে কোন 'তালেবান' নাই। 
আল কায়েদার সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের আদর্শিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ২০০২ সালেই ছিল সুস্পষ্ট। তাই সেই সময়েই টাইম এশিয়া লিখেছিল, ডিজিএফআই, বাংলাদেশে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিষয়টি গোপনীয় থেকে যায়। এর প্রতিনিধিরা মূলত পাকিস্তানের আইএসআই ও ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার নেতৃত্বস্থানীয়দের জন্য ঢাকায় নিরাপদ বাসস্থানের সুযোগ করে দেয়। হুজিসূত্র ও বন্দরসূত্র (বন্দরকর্মী) দাবি করে জানায়, এমবি মক্কা থেকে সেই রাত্রে আগত আগন্তুকদের অর্ভ্যথনা প্রদান করে ডিজিএফআইয়ের একজন মেজর। মেজর সাহেব ডেকে সারিবদ্ধ অবস্থায় তাদের নামানুষারে চেক করে। পরবর্তীতে ডিজিএফআইয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশে আল কায়েদার আগমন বিষয়টাকে অস্বীকার কারেন। এমনকি সেই মেজরের অস্তিত্ব ও অস্বীকার করে, যদিও নিবন্ধিত কূটনৈতিক নথিতে প্রমাণ পাওয়া যায় সেই অফিসার (মেজর) দীর্ঘদিনের সদস্য এমনকি যে ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে কলকাতায় নিয়োজিত ছিল। হুজি ও বাংলাদেশে সামরিক সূত্র দেখায়, এ মেজরটি আফগানিস্তানে শুরু হওয়া অপারেশনের সর্বশেষ যোগসূত্র। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই কান্দাহারে তালেবানের সদর দফতর ছেড়ে পাকিস্তানের করাচীতে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে এমবি মেকাতে যাত্রা করে। ঢাকাতে আল কায়েদার উত্থান প্রমাণ করে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী দলগুলো অন্দর থেকে বেরিয়ে আসছে।
aamra technologies





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!



জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!
টাইম এশিয়ায় প্রকাশিত সেই 'ডেডলি কার্গো' কাহিনী
বিভাষ বাড়ৈ ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরি ২০০২ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কয়েক মাস অবস্থান করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আশীর্বাদে তখন জাওয়াহিরি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। সে সময় ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এ জাওয়াহিরি। জাওয়াহিরিসহ আল কায়েদা বিশাল একটি প্রশিক্ষিত জঙ্গী গ্রুপকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। আল কায়েদার শীর্ষ নেতাদের গোপন সেই মিশন নিয়ে ২০০২ সালের অক্টোবরে টাইম এশিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল আলোচিত প্রতিবেদন 'ডেডলি কার্গো- বাংলাদেশ হ্যাজ বিকাম এ সেফ হ্যাভেন ফর আল কায়েদা এ্যান্ড তালেবান।' বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা নিয়ে প্রায় একই সময় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতেও। দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী গণমাধ্যম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আল কায়েদা নেতাদের সেই মিশনের পুরো কার্যক্রম তদারকি কয়েছিল তৎকালীন সরকারের অংশীদার জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট। 
আন্তর্জাতিক কিছু গণাধ্যম ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, জাওয়াহিরির চট্টগ্রামে প্রবেশের সেই রাতে ৪০ লোক অস্ত্রের চালানসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা ছিলেন আফগানিস্থান থেকে আসা আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। আল কায়েদা নেতাদের সেই সফরে তাদের সঙ্গে ছিল গোলাবারুদের বাক্স এবং কাঁধে ঝোলানো ছিল একে-৪৭। তবে পরবর্তীতে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশকারী আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য জঙ্গীদের সংখ্যা ছিল শতাধিক। বাংলাদেশের তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার দেশের ভেতরে জিহাদী তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলোর সক্রিয়তা সর্ম্পকিত সে সময়ের সব প্রতিবেদন অস্বীকার করে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কারণ তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক হচ্ছে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই দল ইসলামী ঐক্যজোট ও জামায়াত। তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের হয়ে এসব তথ্যকে ভুয়া বলে দাবি করার আরও একটি কারণ ছিল, এক দিকে খোদ বিএনপির সঙ্গে ঘটনার সম্পৃক্ততা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রর কাছে অবস্থান খারাপ হয়ে পড়ার ভয়। আল কায়েদা, তালেবানসহ আন্তর্জাতিক জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হওয়ায় তৎকালীন সরকার ঘটনাকে অস্বীকার করার কৌশল নিয়েছিল। টাইম এশিয়ায় এ্যলেক্স পেরি তার 'ডেডলি কারগো' শিরোনামের প্রতিবেদনে তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে লিখেছিলেন, মার্চ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে এসে এক মাসেরও বেশি সময় অবস্থান করেছিলেন জাওয়াহিরি। তাকেসহ আল কায়েদার একটি বড় দলকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। এ সময় তিনি এক মৌলবাদী নেতার বাড়িতে অবস্থান করেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশকে একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ঢাকায় আসে আল কায়েদার সেই গ্রুপটি। চট্টগ্রামের জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠকে আল কায়েদা নেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তারা যে পরবর্তী হামলা চালাবে সে জন্য বাংলাদেশকে তারা একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রকে তার কৃত অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে চান তারা। বাংলাদেশের ইসলামী গ্রুপকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদক এলেক্স পেরি লিখেছেন, সে বছরের মার্চ মাসেই জাওয়াহিরি ঢাকায় এসে অবস্থান করেন। মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের কম্পাউন্ডে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। 
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গীদের ব্যাপক তৎপরতার সময়ে আল কায়েদার নেতাদের এখানে আসার মধ্য দিয়ে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের যে বীজ রোপণ করা হয়েছে তা দিনে দিনে মহীরুহে পরিণত হয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বাংলাদেশের ২০০২ সালের দিকে সন্ত্রাসী দল হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ছিল আল কায়েদারই সহযোগী। এ সংগঠনের এক সিনিয়র নেতা জুন মাসে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, জাওয়াহিরির সঙ্গে সেই রাতে যে ৪০ লোক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা আফগানিস্থান থেকে আসা আল-কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। এই খবরের সত্যতাও নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর তিন উর্ধতন কর্মকর্তাও। আল কায়েদা নেতাদের অনুপ্রবেশের পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর ভারতীয় পুলিশ ও বার্মিজ বংশোভূত হুজি সৈনিক ও অস্ত্রবাহক ফজলে করিমকে আটক করা হয়েছিল যখন সে কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ট্রেনে পৌঁছায়। ফজলে করিম স্বীকার করেছিল বাংলাদেশে পলায়নরত ২ হুজির সদস্যের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছিল আগস্টে। সূত্রগুলো বলছে, চার দলীয় জোট আমলে আল-কায়েদার দলটির আগমন বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তখন বাংলাদেশের সংবাদপত্রেও একটি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলেছিল, ওসমা বিন লাদেনের দ্বিতীয় হাত মিশরীয় বংশভূত আয়মান আল জাওয়াহিরি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন এবং সে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর মাসের পর মাস বসবাস করছে। জাওয়াহিরি ঢাকায় পৌঁছায় মার্চের প্রথম দিকে এবং সরকারের অংশীদার ইসলামিক দলের নেতার ছত্রছায়ায় অবস্থান করে। তবে গণমাধ্যমের কাছে তখন অস্পষ্ট ছিল যে, কিভাবে জাওয়াহিরি পৌঁছাল বা সে কখন কোথায় অবস্থান করছে। জিডিএফআই সূত্র টাইমকে জানিয়েছিল, জাওয়াহিরিকে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল গ্রীষ্মে এবং পূর্ব সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বার্মার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। টাইম তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রশ্নে তুলেছিল, এটা সত্য যে বাংলাদেশ আফগানিস্থান বা পাকিস্তান নয়। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাসীদের জন্য উর্বর ভূমি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু নিজস্ব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ছিল। দেশটির দক্ষিণের পার্বত্য অংশ ও উত্তরের ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত সীমানা ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং ইসলামিক জঙ্গীরা ও সন্ত্রাসীরা কম্বোডিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা, কাশ্মীর, কেন্দ্রীয় এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যর এ পথকে ব্যবহার করত। বহুবছর ধরে উখিয়ায় ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, কাশ্মীর, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গীদের মদদ পেয়ে এসে। সিএনএন কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে আল কায়েদার প্রশিক্ষণে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ছবি ফুটে উঠেছে। বিন লাদেনের ৫ সহযোগীর (তার পক্ষে স্বাক্ষরকারী) একজন ফাজুল রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার বিরুদ্ধে 'জিহাদের' এর ঘোষণা দিয়েছিল তিনিই 'বাংলাদেশে জিহাদী আন্দোলন' পরিচালনাকারী নামে স্বাক্ষর করেছিলেন। বাংলাদেশে এসে এ বাহিনীর সদস্যরা মূলত নতুন পরিচয় পায় এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আফগাস্তিানে ও ভারতের কাশ্মীরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। 
আরও জানা যায়, এমবি মক্কা ফিরতি ভ্রমণ করেছিল ডিসেম্বরেই। ২০০১ সালের জুনে করাচী থেকে চিটাগং বন্দরে এক বোটে ৫০ জঙ্গী আফগানিস্তানে বিন লাদেনের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব আনার প্রয়াসে আফগান ফেরত বাংলাদেশ মুজাহিদিনের সদস্যরা ১৯৯২ সালে হরকত-উল জিহাদ (হুজি) গঠন করেছিল। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২ বার বোমা হামলার প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ সংগঠনটি এবং একই সঙ্গে জামায়াত ও এর ইসলামী ছাত্রশিবির বোমা হামলা ও হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিয়েছিল। টাইম তার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে জামায়াত সম্পর্কে বলেছে, বিভিন্ন জনসমাবেশে জামায়ত নেতারা প্রকাশ্যে 'ইসলামী জিহাদকে' ছড়িয়ে দেয় এবং সমর্থকরা বিন লাদেন ও হুজির পোস্টার সেঁটে দেয়। এসব পোস্টারের সেøাগান ছিল 'আমরা সবাই হব তালেবান, বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। জামায়াত বহু বছর ধরে অবৈধ মাদ্রাসা বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রধান শক্তি বলয় হিসেবে কাজ করে এসেছে। এক হিসেব মতে, বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা রয়েছে যার ৩০ থেকে ৪০ টিতে 'মুজাহিদন বাংলাদেশ'-এর প্রবীণ সদস্যরা পরিচালনা করে, জঙ্গীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের শরিক দুই ইসলামী দলের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহাযোগিতার প্রশ্নে তারেক জিয়া বলেছিলেন, সরকারে এমনকি বাংলাদেশে কোন 'তালেবান' নাই। 
আল কায়েদার সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের আদর্শিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ২০০২ সালেই ছিল সুস্পষ্ট। তাই সেই সময়েই টাইম এশিয়া লিখেছিল, ডিজিএফআই, বাংলাদেশে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিষয়টি গোপনীয় থেকে যায়। এর প্রতিনিধিরা মূলত পাকিস্তানের আইএসআই ও ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার নেতৃত্বস্থানীয়দের জন্য ঢাকায় নিরাপদ বাসস্থানের সুযোগ করে দেয়। হুজিসূত্র ও বন্দরসূত্র (বন্দরকর্মী) দাবি করে জানায়, এমবি মক্কা থেকে সেই রাত্রে আগত আগন্তুকদের অর্ভ্যথনা প্রদান করে ডিজিএফআইয়ের একজন মেজর। মেজর সাহেব ডেকে সারিবদ্ধ অবস্থায় তাদের নামানুষারে চেক করে। পরবর্তীতে ডিজিএফআইয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশে আল কায়েদার আগমন বিষয়টাকে অস্বীকার কারেন। এমনকি সেই মেজরের অস্তিত্ব ও অস্বীকার করে, যদিও নিবন্ধিত কূটনৈতিক নথিতে প্রমাণ পাওয়া যায় সেই অফিসার (মেজর) দীর্ঘদিনের সদস্য এমনকি যে ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে কলকাতায় নিয়োজিত ছিল। হুজি ও বাংলাদেশে সামরিক সূত্র দেখায়, এ মেজরটি আফগানিস্তানে শুরু হওয়া অপারেশনের সর্বশেষ যোগসূত্র। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই কান্দাহারে তালেবানের সদর দফতর ছেড়ে পাকিস্তানের করাচীতে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে এমবি মেকাতে যাত্রা করে। ঢাকাতে আল কায়েদার উত্থান প্রমাণ করে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী দলগুলো অন্দর থেকে বেরিয়ে আসছে।
aamra technologies



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ভোটাররা সিদ্ধান্তে অনড়



ভোটাররা সিদ্ধান্তে অনড়



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( ১১ - ১২ )



শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১০ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী  ( ১১ - ১২ )
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)

১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি সেই বাসে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পে তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহর [বাণিজ্য অনুষদের] বাসায় চলে যান। আমরা জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেই সময় শিক্ষকদের উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। হয়ত এতে মহিউদ্দিনের ও পরামর্শ ছিল। তিনি লিখেছেন, "১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় রচিত হলো। ঢাকার পতন হলো ভারতীয় হিন্দু সৈন্যদের হাতে।"
এই এক লাইনেই কতগুলো বিকৃত তথ্য স্থাপন করেছেন এই রাজাকার। ভারতীয় বাহিনীতে হিন্দু ছাড়া যেন মুসলমান বা অন্য ধর্মের কোন সৈন্য ছিল না। ঢাকার পতন হয় যৌথ কমান্ডের হাতে যার অন্তর্গত বাংলাদেশ বাহিনীও। কিন্তু, রাজাকারের মন থেকে কখনও ভারত বা হিন্দু বিদ্বেষ যাবে না।
মহিউদ্দিন লিখেছেন, "হিন্দু এবং অমুসলমানরা হাততালিতে মুখর হয়ে মিষ্টি বিলাতে লাগল আর মুসলিম বিশ্ব কাঁদতে লাগল। আল্লাহ জানেন কতজন হার্টফেল করে মারা গেছেন।' মহিউদ্দিন ভাল করে জানেন, এ কারণে একজনও হার্টফেল করে মারা যায়নি, এখানে তো নয়ই, পাকিস্তান ও সৌদি আরবেও নয়।
১৬ ডিসেম্বর, মহিউদ্দিন লিখেছেন, একদিকে অট্টহাসি আর উল্লাস অন্য দিকে লুট, হত্যার ভয়। মহিউদ্দিন তখন নিরুপদ্রবে ঘুমাচ্ছেন ডা. হাবিবুল্লাহর বাসায়। ঘুমাবার আগে তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলেন পাকিস্তানীদের বুটের আওয়াজ যারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন্দী শিবিরে।
পাকিস্তানী আদর্শের জন্য ড. হাবিবুল্লাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন 'ওয়ান্টেড পার্সোনালিটি'। পরদিন তিনি বাসা ছাড়লেন। মহিউদ্দিনের শ্যালক কোথা থেকে যেন উদয় হয়ে ড. হাবিবুল্লার বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে মহিউদ্দিনকে নিয়ে গেলেন আশ্রয়ের জন্য। অধ্যাপক তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। পরিচয় জানার পর তিনি অন্য রুমে চলে গেলেন। শাব্বিরও পিছু পিছু গেল। মহিউদ্দিন একা বসে রইলেন। শাব্বির আধঘণ্টা পর এসে বললেন, চলেন আমার এক আত্মীয়ের বাসায়।'
ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে তারা ফুলবাড়িয়ার দিকে গেলেন তার শ্বশুরের এক দূর সম্পর্কের বাসায়। সেখানেও আশ্রয় মিলল না। তারপর তারা গেলেন নার্গিসের মামার বাসায়। দু'দিন পর নার্গিসের মামা এসে মহিউদ্দিনকে বললেন, 'অন্য সময় হলে তিনি খুবই খুশি হতেন কিন্তু এখন তিনি নিরুপায়।
মহিউদ্দিন বুঝলেন তাকে চলে যেতে হবে। নার্গিস তার দু'টি সন্তানকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। তার চার বছরের মেয়ে ছাদে গেছিল। সেখানে সবাই 'জয় বাংলা' বলে সেøাগান দিচ্ছে। সে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলছিল। তারা মামাত ভাই বোনেরা ছাদ থেকে নেমে এই বলে নালিশ করল। তার কন্যা জিজ্ঞেস করল, কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না। মহিউদ্দিন লিখেছেন, 'বাচ্চা মেয়েটি বুঝতে পারছে মুসলিম বিশ্বে কী ট্র্যাজিক বিভ্যুলেশন হয়ে গেছে।'
এর পরের ঘটনা আর তেমন কিছু নয়। মামাশ্বশুরের বাসা ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিলেন। একদিন নার্গিস এসে জানালেন, মামার বাসায় আত্মীয়স্বজন তাকে পাঞ্জাবীদের দালাল বলে। সেখানে থাকা আর সম্ভব নয়। নার্গিস আর সন্তানদের এরপর লক্ষ্মীপুরে তার শাশুড়ির বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। 
নতুন বছরের শুরুতেই মহিউদ্দিনের মা খবর পাঠালেন যেন তার পুত্র দেশ ত্যাগ করে। ২০ মার্চ ১৯৭২ সালে ভোরে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে জড়িত একজনের সাহায্যে তিনি গেদে সীমান্তে পৌঁছান। সেখান থেকে কলকাতা। সেখান থেকে ট্রেনে দিল্লী। দিল্লীর জামে মসজিদের লোকজন তাকে জামায়াতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দিল্লীতে দুই সপ্তাহ থাকার পর ট্রেনে তিনি নেপালের কপিলাবস্তু পৌঁছেন। জামায়াতের কর্মীরাই সব ব্যবস্থা করে দেয়। কাঠমন্ডুতে পাকিস্তানী দূতাবাসে তার সঙ্গে দেখা হয় তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহ ও তার পরিবারের এবং আল বদর নেতা আশরাফুজ্জামানের। সেখান থেকে মহিউদ্দিন যোগাযোগ করে করাচিতে জামায়তের আমির মিয়া তোফায়েল মোহাম্মদকে অনুরোধ জানান হাবিবুল্লাহর পরিবারও তার জন্য টিকেট পাঠিয়ে দিতে। মিয়া তোফায়েল টিকেট পাঠালে তারা করাচি চলে যান।
কিছুদিন পর তার এক শ্যালক, তার নামও মহিউদ্দিন তাকে চিঠি লিখে জানান তিনি নার্গিস ও তার ভাগ্নে-ভাগ্নীকে নিয়ে কাঠমন্ডু পৌঁছেছে। মহিউদ্দিন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হিসেবে আল-বদরে ঢুকেছিল। বড় মহিউদ্দিন জামায়াত নেতাদের সাহায্যে টিকেট পাঠালেন স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য। তারাও নিরাপদে পৌঁছল করাচি। 
তারপর পাকিস্তান পর্ব। সেটির আর প্রাসঙ্গিকতা নেই এই প্রবন্ধের সঙ্গে। 
॥ ১২ ॥
রাজাকারের মন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সে বিচার করে পারিপার্শ্ব ও রাজনীতি তার একটি সংক্ষিপ্ত সার এখানে তুলে ধরছি।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তানের। বাঙালী মুসলমান তাতে পালন করেছিল অগ্রণী ভূমিকা। কিন্তু পঞ্চাশের দশকেই আবার বাঙালী মুসলমানের প্রগতিবাদী অংশ এই তত্ত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
এর বিপরীতে ছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সমর্থন করা দলগুলো। নতুন ভূখ-ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল তারা। হিন্দুদের ফেলে যাওয়া সম্পদ দখল করে বিত্তবানও হয়েছিল তারা।
ফলে নব্য এলিটদের মধ্যে তাদের একটা ভিত্তি তৈরি হয়। ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য একটি 'আদর্শ'-এর প্রয়োজন হয়। কারণ, সাধারণ মানুষকে তো বলা যায় না যে, আমি লুট করার জন্য ক্ষমতায় যেতে চাই। মুসলিম লীগ ও সমমনাদের সেই আদর্শ ছিল। সেটি হলো দ্বিজাতিতত্ত্ব এবং ক্ষমতা যতই পাকাপোক্ত হতে লাগল ততই এর সঙ্গে যুক্ত হতে লাগল নানাবিধ উপাদান।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের একটা ভাব ছিল। আমলা শাসন তখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। ফলে শাসকদের তত্ত্ব জোর করে চাপানো সম্ভব হয়নি। মনোজগতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও ততটা জোরদার হয়নি। (চলবে)
প্রকাশ : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১০ ফাল্গুন ১৪২০

এক রাজাকারের আত্মজীবনী (১-)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩০ মাঘ ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( -  )
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১ ফাল্গুন ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী  (৫  - )
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৭ - ৮)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩ ফাল্গুন ১৪২
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( ৮-৯)
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ :মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৯-১০)
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৭ ফাল্গুন ১৪২
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৮ ফাল্গুন ১৪২
এক রাজাকারের আত্মজীবনী  ( ১০-১১ )
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৮ ফাল্গুন ১৪২








__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল —২১: মুজিবকে দণ্ড দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান



বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—২১

মুজিবকে দণ্ড দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:৩৯, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেলরা সবাই বাংলা ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য ভূমিকা চিত্রিত করেছেন। এর মধ্যে মার্কিন পলিটিক্যাল অফিসার কিলগোর ওয়াশিংটনকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত মুজিবকে দোষী সাব্যস্ত করতে পাকিস্তান সরকার বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকাকে বিবেচনায় নিতে পারে। পাকিস্তানি শাসকেরা জানেন মুজিব পিন্ডিকে অবজ্ঞা করেন। পাকিস্তানের অখণ্ডতায় তিনি নিষ্ঠাবান নন।
১৯৬৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু মার্কিন পলিটিক্যাল অফিসার এন্ড্রু আই কিলগোরের কাছে বলেছিলেন যে তাঁকে (মুজিবকে) হত্যার জন্য দুজন আততায়ীকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে ১৯৬৮ সালের ২৬ জুন কিলগোর কেন মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ড দেওয়া হতে পারে তার কারণ বিশ্লেষণ করে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন।
কিলগোর লিখেছিলেন, মুজিব একজন আন্দোলনপ্রবণ জাতীয়তাবাদী। তাঁর রয়েছে আইনবহির্ভূত রাজনৈতিক কার্যক্রমের দীর্ঘ ইতিহাস। ১৯৩৯-৪১ সালে তিনি যদিও একজন ছাত্র ছিলেন কিন্তু ওই সময়ে কলকাতার 'ব্ল্যাক হোলে' নিহতদের স্মরণে গঠিত স্মৃতিসৌধ অপসারণের জন্য যে আন্দোলন হয় মুজিব ছিলেন তার অন্যতম নেতা।
উল্লেখ্য, ১৭৫৬ সালে ফোর্ট উইলিয়ামের 'ব্ল্যাক হোল' কারাগারে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যরা শতাধিক ব্রিটিশ সৈন্যকে বন্দী করেছিল। পরে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এদের স্মরণে ওই স্মৃতিসৌধ হয়েছিল।
কিলগোর লিখেছেন, 'কলকাতায় মুজিব ছিলেন 'রশীদ আলী' উপদলের নেতা। এই উপদলটি সাবেক ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সদস্যদের নিয়ে গঠিত। যাঁরা দেশভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টি চেয়েছিলেন।' উল্লেখ্য, কর্নেল রশীদ আলীর গ্রুপটি ব্রিটিশদের তাড়াতে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছিল। 
কিলগোরের বর্ণনায়, 'বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা নিয়ে ঢাকার প্রথম আন্দোলন হয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৪৮ সালের মার্চ। আর মুজিব ছিলেন ওই আন্দোলনের নেতা। ১৯৪৯-৫৪ সালে মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ যে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে মুজিব ছিলেন এর অন্যতম সংগঠক। পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের প্রতি মুজিবের গভীর বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগতাড়িত অঙ্গীকার রয়েছে। সে কারণে তিনি অব্যাহতভাবে পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন সয়েছেন। সুতরাং মনমানসিকতা এবং আদর্শগতভাবে পূর্ব পাকিস্তান সরকার উৎখাতে তাঁর সামর্থ্য রয়েছে।'
কিলগোর মন্তব্য করেন, 'তাই এটা সন্দেহ করার কারণ রয়েছে যে মুজিব আগরতলা ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলেন কিংবা সমর্থন দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকেই তিনি স্বায়ত্তশাসন আদায়ের উপযোগী মনে করেছেন। প্রতীয়মান হয় যে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ মুজিবকে দণ্ড দেবে।'
১৯৫৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মার্কিন কনসাল গিনি ক্যাপ্রিও লিখেছেন, প্রাদেশিক সাবেক পাঁচ মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁরা জামিনে ছাড়াও পেলেন। কিন্তু আটকে রাখা হলো মুজিবকে। ২০ অক্টোবর ১৯৫৮ থেকে মুজিব বন্দী। অনেকেই ভাবেন যে সরকার যেকোনো বাঙালি রাজনীতিকের চেয়ে মুজিবকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। বিনা বিচারে তাই তাঁকে জেলে রাখা হয়। মার্কিন কনস্যুলেট মনে করেন যে একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী হিসেবে মুজিবের শক্তিশালী আবেদন রয়েছে। এটা সোহরাওয়ার্দী ও আতাউর রহমান খানের সঙ্গে তুলনীয়। কিন্তু সাংগঠনিক সামর্থ্য এবং দলীয় কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মুজিবই সেরা। তাই পাকিস্তান সরকারের চোখে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি শেখ মুজিবুুর রহমান। 
১৯৬৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মার্কিন কনসাল মিসেস ডরিস মেটকাফ লিখেছেন, সোহরাওয়ার্দীর স্বর্ণযুগে ১৯৫৫ সালের অক্টোবরে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুসলিম শব্দটি ফেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণ করে। এই আওয়ামী লীগই উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে সরকারি ভাষা করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। মুজিবই ছিলেন সে আন্দোলনের প্রধান নেতা।
১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মার্কিন কনসাল লিখেছিলেন, 'মুজিব একজন সত্যিকারের "মাটির সন্তান" হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন। দেশভাগের পরে মুসলিম লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন। এসব কারণে ঢাকার আইন স্কুল থেকে মুজিবকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।'
১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন কনসাল স্কয়ার্স ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি পিন্ডি যাচ্ছেন। তবে যাওয়ার আগে ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিহত ছাত্রদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার এবং সাম্প্রতিক কালে নিহত ছাত্রদের সমাধিস্থল আজিমপুরে যাবেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছেন। ওই কূটনীতিক তখন মুজিবকে জিজ্ঞেস করেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কি তাহলে শেষ হয়ে যাচ্ছে? দৃপ্ত মুজিব পুনঃ পুনঃ বলেন, শেষ শেষ। 
সংশোধনী: ভাসানীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ৩১ জানুয়ারি ১৯৫২। গতকাল ভুলক্রমে তা ২১ ফেব্রুয়ারির পরে গঠিত হয় বলে ছাপা হয়েছে।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/152425/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1_%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

উর্দুর লাল ঝান্ডা 

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:২২, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখেছে, তার প্রমাণ মেলে ওই সময়ের কিছু গোপন দলিলে। এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম কিস্তি আজ

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/136801/%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE


বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

পাকিস্তানের ঐক্য ঝুঁকিতে পড়ল 

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:৪৮, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
      

মার্কিন জাতীয় মহাফেজখানা থেকে প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে বায়ান্নর মার্কিন দলিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা এসব গোপন দলিলের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দ্বিতীয় কিস্তি

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/137752/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%90%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF_%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%B2


বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

বিদেশি চক্রান্তের ধুয়া

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:২৯, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

নূরুল আমীনের মধ্যরাতের পদত্যাগ

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:০৯, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মার্কিন জাতীয় মহাফেজখানা থেকে প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে বায়ান্নর মার্কিন দলিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা এসব গোপন দলিলের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ চতুর্থ কিস্তি


বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল 

কমিউনিস্টরাই ছাত্রদের খেপিয়ে তুলেছে





বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

৩ গোষ্ঠীর পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - ৭ 

রক্তমাখা শার্টের ভয়ে ভিসি অপসারিত হননি

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল-

ভারত ও হিন্দুদের দোষারোপ 

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০১:২৩, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
      

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল: মার্কিন জাতীয় মহাফেজখানা থেকে প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে বায়ান্নর মার্কিন দলিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা এসব গোপন দলিলের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ অষ্টম কিস্তি

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/142147/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4_%E0%A6%93_%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA


বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - 

জিন্নাহ বাংলাকে প্রাদেশিক ভাষা করতে চেয়েছিলেন

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:০০, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ



বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল -১০

সোহরাওয়ার্দীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০১:৪৫, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ



বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - ১১

মর্নিং নিউজের নেতৃত্বে উর্দু চাপানোর চেষ্টা

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল-১৩

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের চোখে জিন্নাহর ভাষা ভাবনা

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—১৪

আইয়ুবের স্বপ্নে ছিল 'পাকিস্তানি ভাষা'

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:২৪, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ



বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল ১৫

ভাষার প্রশ্ন স্থগিতে ৮০ দৈনিকের সম্পাদক রাজি

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল - ১৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের চেষ্টা

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:০২, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—১৭

রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে নজরুলকে ব্যবহার

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:০২, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—১৮

'বাংলা দেশ' নামেরও বিরোধিতা করেছিল জামায়াত

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০৬:৫৮, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—১৯

১৯৫৮ থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের তোষামোদি

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল—২০

উর্দুর পক্ষে মন্তব্য ভাসানী বিব্রত!

বায়ান্নর গোপন মার্কিন দলিল-১৩



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home