মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা নেকী ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করো। পাপ ও নাফরমানীতে সাহায্য-সহযোগিতা করো না।
পূজা নিঃসন্দেহে পাপ ও নাফরমানীমূলক কাজ।
সংসদে পূজা বন্ধ করে দিয়ে সরকার উত্তম কাজ করেছে।
'পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না'- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে
প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ বাংলাদেশের সসমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পূজা বন্ধ করে দিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূজা-পার্বনের জায়গা নয়, পূজা করতে মন চাইলে মন্দিরে গিয়ে করবে।
স্মরণীয়, প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশের যত্রযত্র পূজামন্ডপ বানিয়ে পূজা করার এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মুসলমানগণ উনাদের পক্ষে বরদাশত করা যেমন সম্ভব নয়; তদ্রুপ বাস্তবায়িত হতে দেয়াও সম্ভব নয়। ইনশাআল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ-অনুকরণ করো না।' আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল-মুহব্বত রাখবে বা যার অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তার হাশর-নাশর তাদের সাথেই হবে।" এসব দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের মুহব্বত করা, তা'যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হিন্দুদের পূজায় যাওয়া, পূজাকে সমর্থন করা, মুসলমান উনাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহে পূজা করার অনুমতি দেয়া সম্পূর্ণ নাজায়িয, হারাম ও কুফরী।
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক সংসদ ভবনে পূজা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা করার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি এসব নছীহত করেন।
পূজা নিঃসন্দেহে পাপ ও নাফরমানীমূলক কাজ। সংসদে পূজা বন্ধ করে দিয়ে সরকার প্রশংসামূলক কাজ করেছে। 'পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না'- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পূজা বন্ধ করে দিতে হবে।
, কেননা- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ আরো যত ধর্মনিরপেক্ষ দাবিদার কাফির রাষ্ট্র রয়েছে, তারা তাদের সংসদে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মুসলমান উনাদেরকে উনাদের ইসলামী পর্বগুলো পালন করার অনুমতি দেয় না এবং কখনো দিবেও না। বরং তারা মুসলমান উনাদেরকে উনাদের প্রতিষ্ঠানসমূহেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালন করতে বাধা দেয়। খোদ ভারতেই অনেক মসজিদকে জোরপূর্বক মন্দির বানানো হয়েছে। আযান ও কুরবানীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
, পূজার স্থান পরিবর্তন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানী স্কুলে করার অনুমতি দিয়ে সরকার আরেকটি ভুল করেছে। স্কুলে কেন পূজা হবে? স্কুল কখনোই পূজা করার জায়গা হতে পারে না। পূজার জন্য হিন্দুদের মন্দির পড়ে আছে, সেখানে গিয়ে পূজা করবে। রাস্তাঘাটে, স্কুলে কিংবা মুসলমানদের কোনো প্রতিষ্ঠানে কেন হিন্দুদের পূজা হবে? মন্দির ব্যতীত অন্য কোথাও পূজা হলে সেটা হবে সীমালংঘন। আর সীমালংঘনকারীকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না এবং এদেশের প্রায় ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারাও তা মেনে নিবেন না। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতিকে আলোর পথ দেখায়, কুসংস্কার থেকে ফিরিয়ে রাখে। কিন্তু খোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি হিন্দুদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন রীতি-নীতি অনুষ্ঠান করে পালিত হয়, তবে এখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কুসংস্কারই শিখবে, তাদের মনে মগজে জ্ঞানের আলোর পরিবর্তে কুসংস্কার প্রবেশ করবে। নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং সরকারকে সংসদের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পূজা অনুষ্ঠান করা বাতিল ঘোষণা করতে হবে।
, মূলকথা হলো- 'পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না'- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পূজা বন্ধ করে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূজা-পার্বনের জায়গা নয়, পূজা করতে মন চাইলে মন্দিরে গিয়ে করবে। স্মরণিয়, প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশের যত্রযত্র পূজামন্ডপ বানিয়ে পূজা করার এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মুসলমানগণ উনাদের পক্ষে বরদাশত করা যেমন সম্ভব নয়; তদ্রুপ বাস্তবায়িত হতে দেয়াও সম্ভব নয়। ইনশাআল্লাহ!