Banner Advertiser

Monday, September 23, 2013

Re: [mukto-mona] দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল



সেখানে সংঘর্ষ বাধিয়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে গৃহহীন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সদস্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দিলি্ল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এবার বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বিজয়ী হয়েছে।

>>>>>>>> Secular India?  I see lot more political game with religion (Against minorities) in it than most countries in the world. It was Modi's "First act" and many more will likely to follow...

Shalom!



-----Original Message-----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Mon, Sep 23, 2013 5:20 pm
Subject: [mukto-mona] দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল

 
দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল
পীর হাবিবুর রহমান, নয়াদিল্লি থেকে ফিরে
দিল্লির মসনদ জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ভোটের রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন। 
রাজনীতির এক শিবিরে মোদি উল্লাস চলছে। কংগ্রেসের হাইকমান্ড বিচলিত। মাতামাতি আর হিসাব চলছে সর্বত্র। নরেন্দ্র মোদির ঝড়ে কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। 
উপমহাদেশের রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধী রাজনীতির ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সামনে নিষ্প্রভ, ধূসর হয়ে পড়ছেন। কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট এখনো আগামী নির্বাচনে গণরায় পেলে ড. মনমোহন সিংয়ের উত্তরাধিকার হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে কে বসবেন, তা এখনো ঘোষণা করেনি। পানি মাপছেন সোনিয়া গান্ধী, এমনটি ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ড. মনমোহন সিং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন না, এ ঘোষণা দিলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেও সোনিয়া এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি। টিভি টকশোগুলোয়ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে সেখানে কংগ্রেসের মুখ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম রাহুল গান্ধীই তাদের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একদিকে নরেন্দ্র মোদির উত্থান, অন্যদিকে কংগ্রেস জোটের জনপ্রিয়তার ভাটার মুখে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর নাম আসবে, না অন্য কোনো চমক দেবেন সোনিয়া গান্ধী- সে অপেক্ষাই চলছে দিল্লির রাজনীতিতে। মে মাসে লোকসভা নির্বাচন। সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। হয়নি তফসিল ঘোষণা। তবু নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠেছে। টানা ১০ বছরের শাসনামলে কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট ভারতকে কী দিয়েছে, তা জনসাধারণের সামনে ঠিকমতো তুলেই ধরতে পারছে না কংগ্রেস জোট। এত দিন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের যে তুরুপের তাস বাজপেয়ি বা আদভানির বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে ছুড়ে দিয়ে গণরায় নিয়েছিল কংগ্রেস, সেই ইস্যুতেও এখন ধার নেই। কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ কিংবা রাহুল গান্ধী জনসমাবেশে নতুন ইস্যু আনতে পারছেন না। পারছেন না ভোটারদের টানতে। যেন ইস্যুহীন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি বা তাদের জোট এনডিএ নেতা নরেন্দ্র মোদি একাই এক শ হয়ে জনসভাগুলোয় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করছেন। জনমত টানছেন। 'নিউ ইন্ডিয়া' বা 'এক নম্বরে ভারত'- এ স্লোগানে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে এক হাতে হিন্দুত্ববাদ অন্য হাতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। সম্প্রতি তার এক জনসভায় ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিংসহ সাবেক সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগদান করেছেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস সরকারকে তুলাধোনা করে ছেড়েছেন। নরেন্দ্র মোদির বাগ্মিতার জবাব দেওয়ার মতো বক্তাই খুঁজে পাচ্ছে না কংগ্রেস। ঘরের সংকট কাটাতে বিজেপিপ্রধানকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। আদভানিকে শান্ত করতে তার কাছে ছুটে গেছেন। অন্যদিকে ঘরের সমস্যায়ও ভুগছে কংগ্রেস। অনেক জায়গায় বিধানসভার নির্বাচনে আসন কমেছে তাদের। পশ্চিমবঙ্গে বাম দুর্গের পতন ঘটলেও ক্ষমতা পায়নি কংগ্রেস। ফসল তুলেছে মমতার তৃণমূল। সংখ্যালঘুদের কংগ্রেস নয়, তিনিই পারবেন নিরাপত্তা দিতে- এ দাবিতে মাঠে নেমেছেন। ভারতের তরুণদের মন জয় করতে চলছে নানা চেষ্টা। দক্ষিণ ভারতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর নানা প্যাকেজ ফর্মুলা উত্থাপন করে তরুণ ভোটারদের ওপর প্রভাব সৃষ্টির জোর চেষ্টা চলছে। ভোট লড়াইয়ের রেসে নরেন্দ্র মোদি যতটা এগিয়ে আছেন ততটা পিছিয়ে আছেন কংগ্রেস জোট নেতৃত্ব বা তাদের কাণ্ডারি রাহুল গান্ধী। দিলি্লর পথে পথে এখন নরেন্দ্র মোদির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। দুনিয়া যাকে জেনেছিল রক্তাক্ত গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক হিসেবে, ভারতের ভোটাররা আজ তাকে চিনছেন এক নতুন গুজরাটের রূপকার হিসেবে। অনেকেই দেখছেন ভাবী প্রধানমন্ত্রীর আসনে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মোদি মেঝেতে ঘুমান এবং সাধারণ জীবনযাপন করেন। কিন্তু তার গতিময় নেতৃত্বে শিল্পায়ন আর উন্নয়নে গুজরাটকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন তেমনি ভারতকে বদলে দিতে পারবেন একমাত্র তিনি- এমন দাবি নিয়ে গোটা ভারতে প্রচারণায় নেমেছেন হিন্দুত্ববাদের তিলক কপালে নিয়ে গায়ে কমলা রঙের সাধুর ওড়না পরা বিজেপি কর্মী ও তার সতীর্থরা। এমনকি বিজেপির অভ্যন্তরে যাকে একসময় কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা মনে করা হতো সেই এল কে আদভানিও পিছিয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ঠাণ্ডা লড়াইয়ে। তাকে এখন অনেক লিবারেল বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বলা হচ্ছে ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি আর গতিহীন নেতৃত্বের কারণে ড. মনমোহন সিং সরকার জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। কয়লা ব্লকগুলো ইজারাদান রাজনীতির ইস্যু।
নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের আড্ডায় বিভিন্ন সংবাদকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ড. মনমোহন সিং উচ্চশিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত ভদ্রলোক ও সৎ নেতা হিসেবে ভাবমূর্তি গড়লেও এখন জনপ্রিয়তায় তলানির দিকে। অন্যদিকে গুজরাটকে উন্নয়নের মডেল বানিয়ে নানা বিতর্কের পরও নরেন্দ্র মোদি উঠে আসছেন। নয়া দিলি্ল থেকে ব্যাঙ্গালুরু এসে হোটেল হায়াতে থাকাকালে সেখানকার তরুণ স্টাফ অর্জিতের সঙ্গে কথা হয়। কলকাতার হাওড়ায় বাড়ি অর্জিতের। জনাদশেক বাঙালি তরুণ এখানে কাজ করেন। অর্জিত বলছিলেন, ড. মনমোহন সিং স্থবির। ভারতকে সামনেও নিতে পারছেন না, পেছনেও না। নরেন্দ্র মোদি সামনের দিকে নিতে পারবেন। দিলি্লর সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরী বললেন, নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের গতিতে উঠে এলেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবেন কি না এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ ভোটের আগে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানই নরেন্দ্র মোদির জন্য কাল হতে পারে। তাকে সামনে নিয়েই ফের ধর্মনিরপেক্ষ উদার গণতান্ত্রিক ভারতের স্লোগান নিয়ে ভোটারদের মন ঘুরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেস। তবে দিলি্লর সাংবাদিকই হোক, সরকারি আমলাই হোক আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলই হোক- সবাই লোকসভা নির্বাচনী ফলাফলের আগাম ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে বলছেন, বিজেপি ও কংগ্রেস কারও পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের সুযোগ তো নেই-ই, এমনকি তাদের জোটেরও নেই। এখানে অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত দিল্লির মসনদ কার- এই ভাগ্য নির্ধারণ করবেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রধান ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের ভাষায়- নরেন্দ্র মোদির নামে যতই আওয়াজ জোরদার হোক না কেন লোকসভার ৫৪৩টি আসনের লড়াইয়ে তিনি ও তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জায়গা থেকে অনেক দূরে। কংগ্রেসের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তো দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। মোদির জনসভায় মানুষের অংশগ্রহণ ও স্বতঃস্ফূর্ততা যত বেশি কংগ্রেস জোট নেতাদের ততটা নয়। ১২০ কোটি মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতে ৮০ কোটি ভোটার। রয়েছে ২৮টি রাজ্য। আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে যাদের নাম ভোটযুদ্ধে ফ্যাক্টর হিসেবে উঠে আসছে পর্যবেক্ষকদের আলোচনায়, তাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর প্রদশের সমাজবাদী দলের নেতা মোলায়েম সিং যাদব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর জয়ললিতার নাম। বাম ফ্রন্ট তো রয়েছেই। সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঠেকাতে বামপন্থিরা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভার ৪২টি আসনের ৩৫টিরও বেশি পাবে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস, এমন ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না মমতার তরী শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে। একসময় তিনি বিজেপির সঙ্গেও ঘর করেছিলেন। হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে ছিলেন। এখন বাইরে। তাকে জোটে ভেড়ানোর গোপন যোগাযোগ করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদও ভারত সফরকালে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন তাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোলায়েম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশ যাদব। বাইরে থেকে তারাও কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিককালে সেখানকার মুজাফফরনগরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে গেছে, এর নেপথ্যে ভোটের রাজনীতির অঙ্ক কাজ করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। উসকানিদাতারা পরিষ্কার করেছেন, যারা মধ্যপ্রদেশ বা কেন্দ্রের ক্ষমতায় তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তাদানে ব্যর্থ। যদি নিরাপত্তা চাও তবে বিরোধী দলের হাতে ক্ষমতা দাও। কংগ্রেস জোটনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাহুল গান্ধী মানবিক হৃদয় নিয়ে মুজাফফরনগর সফর করেছেন। সেখানে সংঘর্ষ বাধিয়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে গৃহহীন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সদস্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দিলি্ল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এবার বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বিজয়ী হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরুর নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেখানেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ছাত্রছাত্রীদের কারও কারও সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, একসময় বাম সমর্থকদের বিজয় ঘটলেও এবার বিজেপি সমর্থক ছাত্র সংগঠনের জয়লাভের সম্ভাবনা প্রবল। পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ এমনটিও বলছেন, নরেন্দ্র মোদি যত জোরেই হাঁটুন না কেন তার হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি বা সাম্প্রদায়িকতার নবউত্থানকে মহাত্মা গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের মানুষ মানবে না- এটিই শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস জোটের নির্বাচনী তুরুপের তাস হয়ে দেখা দিতে পারে। তবে সব কথার শেষ কথা এক সুরে সবাই বলছেন, কেউ জোরে হাঁটুন আর কেউ ধীরে হাঁটুন লোকসভার ভোটের লড়াইয়ে আঞ্চলিক ও ছোট দলগুলোর দিকেই হাত বাড়াতে হবে উভয়কে। তারাই হবেন দিল্লির মসনদের নিয়ামক শক্তি। তেলেগুদেশম পার্টি এখনো কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে আছে। কিন্তু এ পার্টির নেতা বলেছেন, শীঘ্রই তিনি বিরোধী দল বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। রাজনৈতিক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক নাটকীয়তা ও মেরুকরণ ঘটবে দিল্লির রাজনীতিতে। জোটের রাজনীতিতে। ভোটের রাজনীতিতে।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/09/24/17932#sthash.zk34Kige.dpuf





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা : প্রাণ গেল তিন চালকের [জানস না জামায়াতের হরতাল !!!!]



জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা

প্রাণ গেল তিন চালকের

গোলাম মর্তুজা | আপডেট: ০২:৩৮, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

DSC_6629অনেক কষ্টে জমানো টাকা আর ধারদেনা করে একটি বাস কিনেছিলেন চালক নজরুল ইসলাম। বাসের চাকা না ঘুরলে কোনো আয় নেই। ঋণের চাপে তাই হরতালেও গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই তাঁকেই পুড়িয়ে মেরেছে হরতালকারীরা।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালে নোয়াখালীর নজরুলসহ গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া তিন গাড়িচালকই একে একে হেরে গেছেন বেঁচে থাকার যুদ্ধে। বাকি দুজন হলেন বগুড়ার শামসুল ও শরীয়তপুরের সিকান্দার বেপারি। নৃশংস রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়েছেন এই তিনজন খেটে খাওয়া মানুষ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এ হরতাল ডাকা হয়।গত বুধবার হরতালের রাতে বগুড়ার শেরপুরে সারবোঝাই ট্রাকের চালক শামসুল ও সহকারী মো. শাহীনকে ভেতরে রেখেই আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে গত রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান শামসুল। সহকারী শাহীন এখনো বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধুঁকছেন।একই রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রল ঢেলে ট্রাকসহ চালক সিকান্দার আলীর (৪২) গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পাঁচ দিন পরে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বার্ন ইউনিটে মারা যান সিকান্দার। হরতালের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা ভিআইপি পরিবহনের একটি বাস ভোগড়া বাইপাসে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন। ঝলসে যায় বাসচালক নজরুলের শরীর। চার দিন পর গতকাল সোমবার সকাল ছয়টার দিকে মারা যান নজরুল।

গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে দেখা মেলে বাসচালক নজরুল আর ট্রাকচালক সিকান্দারের স্বজনদের। ময়নাতদন্ত শেষ করে মরদেহ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিল স্বজনেরা।

নজরুলের পাঁচ বছরের মেয়ে হায়াতুন্নেসা নিগার বসে ছিল মায়ের কোলে। সামনের পাটির চারটি দাঁত নেই। সেই ফাঁকা মাড়িতে আঙুল দিয়ে কৌতূহলী চোখে চারদিকে তাকাচ্ছিল নিগার। আর মা সাবিনা বিলাপ করে কাঁদছেন। এর মধ্যেই নথি তৈরিতে ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে তাঁকে।

সাবিনা বলেন, 'পাঁচ বছর আগে ছয় লাখ ট্যাকা দিয়া একটা ইসুজু বাস কিনছিল। সেই বাসে আরও ছয় লাখ টাকার যন্ত্রপাতি লাগছে। অর্ধেক টাকাই দেনা করছে। সেই দেনা এখনো শোধ হয়নি। স্ট্যান্ডে আইসা যাত্রী নামানো শ্যাষ না হইতেই বাঘের মতো দেনাদাররা আইসা ধরে। লোকটা পাগল হইয়া গেছিল। দেনার চাপে আর হরতাল দেহার টাইম ছিল না, সকালে গাড়িডা নিয়া বাইরাইছিল। কিছুক্ষণ পরেই আমারে ফোন দিয়া কয়, গাড়িত আগুন দিছে।'

কান্নায় ভেঙে পড়ে সাবিনা বলেন, 'কসাই, একদম কসাইয়ের মতো মারছে তারা। হাতে-পায়ে ধরছে, মাইয়াগো দোহাই দিছে। হরতালে গাড়ি বাইর কইরা ভুল করছে হেই কথাও কইছে। তবু ছাড়ে নাই। ওরে যাইত্যা ধইরা আগুন ধরায়া দিছে গাড়ির মইদ্দে।'

বিলাপ করতে করতে সাবিনা বলেন, 'আমার বড় মাইয়াডাই এখনো বাপের শোক বুজে না। ছোডডা তো এখনো দুধ খায়। আমি ক্যামনে এগো বড় করুম?'

গাজীপুরের বড়বাড়ী এলাকায় ভাড়াবাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন নজরুল। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। সেখানেই তাঁকে দাফন করার জন্য নিয়ে গেছে স্বজনেরা।

ট্রাক থেকে নামিয়ে গায়ে আগুন: রাজধানীর শ্যামপুরে থেকে ট্রাক চালাতেন সিকান্দার আলী। ১১ বছরের মেয়ে আয়েশা আর ছয় বছরের ছেলে বিজয় শরীয়তপুরের জাজিরায় গ্রামের বাড়িতে মা রুমা আক্তারের সঙ্গে থাকে। হরতালের আগেই চট্টগ্রামের উদ্দেশে ট্রাক নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু যানজটের কারণে কুমিল্লায় আটকে যান। বুধবার রাতে সেখান থেকে চট্টগ্রামের দিকে যেতেই আমজাদের বাজার মাদ্রাসার সামনে তাঁর গায়ে ও ট্রাকে আগুন দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

নিহতের ভাই আবুল হোসেন বলেন, গাড়িটা চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার সময় তাঁরা সিগন্যাল দিলে তিনি গাড়ি থামান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজা খুলে তাঁর কলার ধরেন জামায়াতের কর্মীরা। ট্রাকে থাকা সহকারী সোহেল আরেক দরজা খুলে দৌড়ে প্রাণ বাঁচান। সোহেলই সেই নারকীয় ঘটনার কথা জানিয়েছেন সিকান্দারের স্বজনদের।

আবুল হোসেন বলেন, সোহেল তাঁদের বলেছেন, সিকান্দারকে নামিয়ে গাড়ির সঙ্গে ঠেসে ধরে তাঁর মাথায় ও গাড়িতে তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পর সোহেল আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিভিয়ে সিকান্দারকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সিকান্দারকে। তাঁর মাথা-মুখসহ শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।

দুই চালকের স্বজনেরাই প্রথম আলোকে জানান, পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের কেউই হাসপাতালে এই দুই চালককে দেখতে আসেননি। কেউ খবরও নেননি।


'আমাকে বাঁচতে দাও, মারা গেলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকবে'

হরতালে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই গাড়ি চালকের মৃত্যু

আবুল খায়ের

'ভাইরে আমাকে মেরো না, আমি না থাকলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে মারা যাবে'। গাড়ি চালকদের এমন আর্তনাদেও মন গলেনি পিকেটারদের। গান পাউডার দিয়ে পিকেটাররা আগুন ধরিয়ে দেয় গাড়িতে। জামায়াতের ৪৮ ঘন্টা হরতালে অগ্নিদগ্ধ সেই দুই চালক অবশেষে গতকাল সোমবার মারা গেলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে। এই নির্মমতার শিকার দুই চালক হলেন, সেকেন্দার বেপারী (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। এর আগে গত রবিবার ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান ট্রাক চালক শামসুল হক সামসু (৫৫)। 
জামায়াত শিবিরের হরতালে পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামা এসব চালক হরতালকারীদের কাছে তাদের জীবন রক্ষা করার অনুরোধ করলে পিকেটাররা জবাব দেয়, জানস না জামায়াতের হরতাল। একথা বলেই গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালকরা যাতে গাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেজন্য দরজার সামনেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল পিকেটাররা। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে। ................. 
Details at


হরতালের সময় চৌদ্দগ্রামে অগ্নিদগ্ধ ট্রাক চালকের মৃত্যু
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালে পিকেটারদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ট্রাক চালক সেকান্দার আলী (৪২) মারা গেছেন।  ......
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/09/23/134881.php#sthash.zcuzhE1t.dpuf

গাজীপুরে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের নাশকতা: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাসচালক নজরুল


নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক


মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হরতালের আগের রাতে দুর্বৃত্তদের নাশকতার শিকার ডা. রকিবুল আলম ডিউকের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। 

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=10dae2db89bc660a12ae0a03ec03a28d&nttl=18032013182396

জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা


সুজন ঘোষ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা
ছবি: সোহেল সরওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ''ও মা, ও মা, মা'রে...।"

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন জামাল উদ্দিন। শিবিরের ছোঁড়া ককটেলে তার ডান পায়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর ক্ষত। ব্যান্ডেজ দিয়েও পায়ের রক্ত ঝরা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। অবিরত রক্তক্ষরণে লাল হয়ে উঠেছিল পরনের সাদা প্যান্টও, এমনকী হাসপাতালের সাদা বিছানাও।

সকাল সোয়া ১১টা। ওই সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা ছিল জামালের। কিন্তু এর বদলে তার ঠাঁই হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শিবিরের ককটেল নিক্ষেপে তার এ পরিণতি। .......

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=e2a18f4099c516315baab17161648dfa&nttl=15072013210706







__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Borkha Ban



সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বোরকা নিষিদ্ধ
 
রেটিং :
 
0%
 
গড় রেটিং:
সমকাল ডেস্ক
সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় টিকিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে জনগণ। রোববার ইতালীয় ভাষাভাষি ওই অঞ্চলের ৬৫ শতাংশ ভোটার জনসমক্ষে পুরো মুখ ঢাকা থেকে বিরত থাকার পক্ষে মত দেন। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে এখনও কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে। এ পদক্ষেপের সমালোচনায় মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলেছে, এটা মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য। বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে ওই অঞ্চলে রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। খবর :আলজাজিরা অনলাইন, এএফপি।
বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারকারী গিওর্গিও ঘিরিংঘিলি এক বিবৃতিতে বলেন, রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে কারও মুখোশ পরে বা মুখ ঢেকে চলা উচিত নয়। এটা মুসলিম মৌলবাদীদের প্রতি একটি বার্তা। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে পুরো মুখ ঢাকা নেকাব পরা নিষিদ্ধ। সুইজারল্যান্ডে এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Re: [chottala.com] জামায়াতের হরতালে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই গাড়ি চালকের মৃত্যু: 'আমাকে বাঁচতে দাও, মারা গেলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকবে' [1 Attachment]

[Attachment(s) from Muhammad Ali included below]



From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: chottala@yahoogroups.com
Sent: Monday, September 23, 2013 2:44 PM
Subject: [chottala.com] জামায়াতের হরতালে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই গাড়ি চালকের মৃত্যু: 'আমাকে বাঁচতে দাও, মারা গেলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকবে'

 

'আমাকে বাঁচতে দাও, মারা গেলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকবে'

হরতালে অগ্নিদগ্ধ আরো দুই গাড়ি চালকের মৃত্যু

আবুল খায়ের
'ভাইরে আমাকে মেরো না, আমি না থাকলে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে মারা যাবে'। গাড়ি চালকদের এমন আর্তনাদেও মন গলেনি পিকেটারদের। গান পাউডার দিয়ে পিকেটাররা আগুন ধরিয়ে দেয় গাড়িতে। জামায়াতের ৪৮ ঘন্টা হরতালে অগ্নিদগ্ধ সেই দুই চালক অবশেষে গতকাল সোমবার মারা গেলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে। এই নির্মমতার শিকার দুই চালক হলেন, সেকেন্দার বেপারী (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। এর আগে গত রবিবার ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান ট্রাক চালক শামসুল হক সামসু (৫৫)।

জামায়াত শিবিরের হরতালে পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামা এসব চালক হরতালকারীদের কাছে তাদের জীবন রক্ষা করার অনুরোধ করলে পিকেটাররা জবাব দেয়, জানস না জামায়াতের হরতাল। একথা বলেই গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালকরা যাতে গাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেজন্য দরজার সামনেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল পিকেটাররা। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে। তাদের সমস্ত দেহ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। আশপাশের বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে তাদের স্থানান্তর করা হয়। 

হরতালের প্রথম দিন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে পিকেটাররা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিলে চালক সেকেন্দার বেপারীর (৪২) সমস্ত শরীর দগ্ধ হয়ে যায়। হরতালের দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে পিকেটাররা বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে চালক নজরুল ইসলামের (৩৫) দেহ ঝলসে যায়। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে তিন ঘন্টার ব্যবধানে ঐ দুই চালক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে আত্মীয়-স্বজন উভয় চালকের লাশ গ্রহণ করেন। মারা যাওয়ার আগে দুই চালক স্ত্রী, সন্তান ও আপনজনদের কাছে বর্ণনা করে যান জামায়াত-শিবির কর্মীদের নির্মমতার কথা। জীবন বাঁচাতে তাদের শেষ চেষ্টার কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রী সন্তানরা। 

জামায়াত-শিবিরের হরতালের দ্বিতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর ভোগড়া পাইবাস সড়কে পিকেটাররা একটি মিনিবাসের (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৭৯২) গতিরোধ করে। ঐ সময় চালক নজরুল ইসলামকে পিকেটাররা গালিগালাজ করে বলে, তুই জানস না, জামায়াতের হরতাল। এ কথা বলে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। দরজা বন্ধ করে পিকেটাররা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে। ঐ সময় নজরুল পিকেটারদের অনুরোধ করে বলেন, ভাই আমাকে বাঁচান, আমি মারা গেলে আমার মেয়েরা না খেয়ে মারা যাবে। নজরুলের আর্তচিত্কার জামায়াত-শিবির কর্মীদের কাছে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গান পাউডার সংমিশ্রণে সৃষ্ট আগুনে পুরো মিনিবাস দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ঝলসে যায় তার শরীর। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। আসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

চালক নজরুলের বড় ভাই ফিরোজ বলেন, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিনিবাস চালাতো নজরুল। পিকেটারদের কাছে দুই হাত উঁচিয়ে বাঁচার আকুতি করেছিল আমার ভাই। নজরুলের বড় মেয়ের নাম নিগার (৭) ও ছোট মেয়ে মীম দেড় বছরের। সেদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নজরুল দুই মেয়েকে আদর করেছিল। এটাই যে তাদের বাবার শেষ আদর তা তারা বুঝতে পারেনি। 

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, নজরুল হত্যাকাণ্ডে গাজীপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। নজরুলের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল থানার নোয়াখোলা গ্রামে। 

হরতালের প্রথম দিন রাত ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে পিকেটাররা একটি ট্রাকের (চট্ট-মেট্রো-১১-১৬৫৯) পেট্রোল ও গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালক সেকেন্দার বেপারী বাঁচার জন্য পিকেটারদের কাছে আবেদন করেছিলেন। তার কোন কথাই না শুনে ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। সেকেন্দারের সমস্ত দেহ ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে বিজয় (৪) ও কন্যা আয়েশা (১০)। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার উত্তর ক্যাবল গ্রামে। তিনি ঢাকা শ্যামপুর থেকে ট্রাকযোগে জেনারেটর নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে গিয়ে পিকেটারদের হামলার শিকার হন। 

কান্না জড়িত কণ্ঠে সেকেন্দারের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, তার আয়ের ওপর সংসার চলতো। এখন পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে হবে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, এ ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, ট্রাক চালক সেকেন্দার হত্যার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর সাহাবউদ্দীন, সেক্রেটারি শাহ মো. মিজানুর রহমান ও পৌর আমির মাহফুজুর রহমানসহ ১০৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

এর আগে হরতালের প্রথম দিন বগুড়া শেরপুর থানার দশ মাইল নামক স্থানে পিকেটাররা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিলে চালক শামসুল হক সামসুর (৫৫) শরীর ঝলসে যায়। তিনি গত রবিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে মারা যান।

হরতালের সময় চৌদ্দগ্রামে অগ্নিদগ্ধ ট্রাক চালকের মৃত্যু
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালে পিকেটারদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ট্রাক চালক সেকান্দার আলী (৪২) মারা গেছেন।  ......
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/09/23/134881.php#sthash.zcuzhE1t.dpuf

গাজীপুরে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের নাশকতা: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাসচালক নজরুল


নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক


মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নাশকতায় দগ্ধ ডা. রকিবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: হরতালের আগের রাতে দুর্বৃত্তদের নাশকতার শিকার ডা. রকিবুল আলম ডিউকের শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। 

জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা


সুজন ঘোষ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
জামায়াত-শিবিরের আগুনে পুড়ে কাতরাচ্ছে ওরা
ছবি: সোহেল সরওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: ''ও মা, ও মা, মা'রে...।"
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন জামাল উদ্দিন। শিবিরের ছোঁড়া ককটেলে তার ডান পায়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর ক্ষত। ব্যান্ডেজ দিয়েও পায়ের রক্ত ঝরা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। অবিরত রক্তক্ষরণে লাল হয়ে উঠেছিল পরনের সাদা প্যান্টও, এমনকী হাসপাতালের সাদা বিছানাও।
সকাল সোয়া ১১টা। ওই সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা ছিল জামালের। কিন্তু এর বদলে তার ঠাঁই হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শিবিরের ককটেল নিক্ষেপে তার এ পরিণতি। .......







__._,_.___

Attachment(s) from Muhammad Ali

1 of 1 File(s)



****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল



দিল্লির মসনদ জয়ে মোদি ঝড়ে নিষ্প্রভ রাহুল
পীর হাবিবুর রহমান, নয়াদিল্লি থেকে ফিরে

দিল্লির মসনদ জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ভোটের রাজনীতিতে ঝড় তুলেছেন। 
রাজনীতির এক শিবিরে মোদি উল্লাস চলছে। কংগ্রেসের হাইকমান্ড বিচলিত। মাতামাতি আর হিসাব চলছে সর্বত্র। নরেন্দ্র মোদির ঝড়ে কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। 
উপমহাদেশের রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধী রাজনীতির ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সামনে নিষ্প্রভ, ধূসর হয়ে পড়ছেন। কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট এখনো আগামী নির্বাচনে গণরায় পেলে ড. মনমোহন সিংয়ের উত্তরাধিকার হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে কে বসবেন, তা এখনো ঘোষণা করেনি। পানি মাপছেন সোনিয়া গান্ধী, এমনটি ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ড. মনমোহন সিং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন না, এ ঘোষণা দিলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেও সোনিয়া এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি। টিভি টকশোগুলোয়ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে সেখানে কংগ্রেসের মুখ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গান্ধী পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম রাহুল গান্ধীই তাদের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একদিকে নরেন্দ্র মোদির উত্থান, অন্যদিকে কংগ্রেস জোটের জনপ্রিয়তার ভাটার মুখে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর নাম আসবে, না অন্য কোনো চমক দেবেন সোনিয়া গান্ধী- সে অপেক্ষাই চলছে দিল্লির রাজনীতিতে। মে মাসে লোকসভা নির্বাচন। সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। হয়নি তফসিল ঘোষণা। তবু নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠেছে। টানা ১০ বছরের শাসনামলে কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট ভারতকে কী দিয়েছে, তা জনসাধারণের সামনে ঠিকমতো তুলেই ধরতে পারছে না কংগ্রেস জোট। এত দিন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের যে তুরুপের তাস বাজপেয়ি বা আদভানির বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে ছুড়ে দিয়ে গণরায় নিয়েছিল কংগ্রেস, সেই ইস্যুতেও এখন ধার নেই। কংগ্রেস জোট বা ইউপিএ কিংবা রাহুল গান্ধী জনসমাবেশে নতুন ইস্যু আনতে পারছেন না। পারছেন না ভোটারদের টানতে। যেন ইস্যুহীন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি বা তাদের জোট এনডিএ নেতা নরেন্দ্র মোদি একাই এক শ হয়ে জনসভাগুলোয় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করছেন। জনমত টানছেন। 'নিউ ইন্ডিয়া' বা 'এক নম্বরে ভারত'- এ স্লোগানে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে এক হাতে হিন্দুত্ববাদ অন্য হাতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। সম্প্রতি তার এক জনসভায় ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ভি কে সিংসহ সাবেক সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগদান করেছেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস সরকারকে তুলাধোনা করে ছেড়েছেন। নরেন্দ্র মোদির বাগ্মিতার জবাব দেওয়ার মতো বক্তাই খুঁজে পাচ্ছে না কংগ্রেস। ঘরের সংকট কাটাতে বিজেপিপ্রধানকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। আদভানিকে শান্ত করতে তার কাছে ছুটে গেছেন। অন্যদিকে ঘরের সমস্যায়ও ভুগছে কংগ্রেস। অনেক জায়গায় বিধানসভার নির্বাচনে আসন কমেছে তাদের। পশ্চিমবঙ্গে বাম দুর্গের পতন ঘটলেও ক্ষমতা পায়নি কংগ্রেস। ফসল তুলেছে মমতার তৃণমূল। সংখ্যালঘুদের কংগ্রেস নয়, তিনিই পারবেন নিরাপত্তা দিতে- এ দাবিতে মাঠে নেমেছেন। ভারতের তরুণদের মন জয় করতে চলছে নানা চেষ্টা। দক্ষিণ ভারতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর নানা প্যাকেজ ফর্মুলা উত্থাপন করে তরুণ ভোটারদের ওপর প্রভাব সৃষ্টির জোর চেষ্টা চলছে। ভোট লড়াইয়ের রেসে নরেন্দ্র মোদি যতটা এগিয়ে আছেন ততটা পিছিয়ে আছেন কংগ্রেস জোট নেতৃত্ব বা তাদের কাণ্ডারি রাহুল গান্ধী। দিলি্লর পথে পথে এখন নরেন্দ্র মোদির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। দুনিয়া যাকে জেনেছিল রক্তাক্ত গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক হিসেবে, ভারতের ভোটাররা আজ তাকে চিনছেন এক নতুন গুজরাটের রূপকার হিসেবে। অনেকেই দেখছেন ভাবী প্রধানমন্ত্রীর আসনে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মোদি মেঝেতে ঘুমান এবং সাধারণ জীবনযাপন করেন। কিন্তু তার গতিময় নেতৃত্বে শিল্পায়ন আর উন্নয়নে গুজরাটকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন তেমনি ভারতকে বদলে দিতে পারবেন একমাত্র তিনি- এমন দাবি নিয়ে গোটা ভারতে প্রচারণায় নেমেছেন হিন্দুত্ববাদের তিলক কপালে নিয়ে গায়ে কমলা রঙের সাধুর ওড়না পরা বিজেপি কর্মী ও তার সতীর্থরা। এমনকি বিজেপির অভ্যন্তরে যাকে একসময় কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা মনে করা হতো সেই এল কে আদভানিও পিছিয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ঠাণ্ডা লড়াইয়ে। তাকে এখন অনেক লিবারেল বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বলা হচ্ছে ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি আর গতিহীন নেতৃত্বের কারণে ড. মনমোহন সিং সরকার জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। কয়লা ব্লকগুলো ইজারাদান রাজনীতির ইস্যু।
নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের আড্ডায় বিভিন্ন সংবাদকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ড. মনমোহন সিং উচ্চশিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত ভদ্রলোক ও সৎ নেতা হিসেবে ভাবমূর্তি গড়লেও এখন জনপ্রিয়তায় তলানির দিকে। অন্যদিকে গুজরাটকে উন্নয়নের মডেল বানিয়ে নানা বিতর্কের পরও নরেন্দ্র মোদি উঠে আসছেন। নয়া দিলি্ল থেকে ব্যাঙ্গালুরু এসে হোটেল হায়াতে থাকাকালে সেখানকার তরুণ স্টাফ অর্জিতের সঙ্গে কথা হয়। কলকাতার হাওড়ায় বাড়ি অর্জিতের। জনাদশেক বাঙালি তরুণ এখানে কাজ করেন। অর্জিত বলছিলেন, ড. মনমোহন সিং স্থবির। ভারতকে সামনেও নিতে পারছেন না, পেছনেও না। নরেন্দ্র মোদি সামনের দিকে নিতে পারবেন। দিলি্লর সাংবাদিক জয়ন্ত চৌধুরী বললেন, নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের গতিতে উঠে এলেও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবেন কি না এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ ভোটের আগে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানই নরেন্দ্র মোদির জন্য কাল হতে পারে। তাকে সামনে নিয়েই ফের ধর্মনিরপেক্ষ উদার গণতান্ত্রিক ভারতের স্লোগান নিয়ে ভোটারদের মন ঘুরিয়ে দিতে পারে কংগ্রেস। তবে দিলি্লর সাংবাদিকই হোক, সরকারি আমলাই হোক আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলই হোক- সবাই লোকসভা নির্বাচনী ফলাফলের আগাম ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে বলছেন, বিজেপি ও কংগ্রেস কারও পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের সুযোগ তো নেই-ই, এমনকি তাদের জোটেরও নেই। এখানে অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত দিল্লির মসনদ কার- এই ভাগ্য নির্ধারণ করবেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রধান ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের ভাষায়- নরেন্দ্র মোদির নামে যতই আওয়াজ জোরদার হোক না কেন লোকসভার ৫৪৩টি আসনের লড়াইয়ে তিনি ও তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জায়গা থেকে অনেক দূরে। কংগ্রেসের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তো দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। মোদির জনসভায় মানুষের অংশগ্রহণ ও স্বতঃস্ফূর্ততা যত বেশি কংগ্রেস জোট নেতাদের ততটা নয়। ১২০ কোটি মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতে ৮০ কোটি ভোটার। রয়েছে ২৮টি রাজ্য। আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে যাদের নাম ভোটযুদ্ধে ফ্যাক্টর হিসেবে উঠে আসছে পর্যবেক্ষকদের আলোচনায়, তাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর প্রদশের সমাজবাদী দলের নেতা মোলায়েম সিং যাদব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর জয়ললিতার নাম। বাম ফ্রন্ট তো রয়েছেই। সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঠেকাতে বামপন্থিরা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভার ৪২টি আসনের ৩৫টিরও বেশি পাবে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস, এমন ধারণা পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না মমতার তরী শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে। একসময় তিনি বিজেপির সঙ্গেও ঘর করেছিলেন। হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে ছিলেন। এখন বাইরে। তাকে জোটে ভেড়ানোর গোপন যোগাযোগ করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদও ভারত সফরকালে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন তাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোলায়েম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশ যাদব। বাইরে থেকে তারাও কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিককালে সেখানকার মুজাফফরনগরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটে গেছে, এর নেপথ্যে ভোটের রাজনীতির অঙ্ক কাজ করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। উসকানিদাতারা পরিষ্কার করেছেন, যারা মধ্যপ্রদেশ বা কেন্দ্রের ক্ষমতায় তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তাদানে ব্যর্থ। যদি নিরাপত্তা চাও তবে বিরোধী দলের হাতে ক্ষমতা দাও। কংগ্রেস জোটনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাহুল গান্ধী মানবিক হৃদয় নিয়ে মুজাফফরনগর সফর করেছেন। সেখানে সংঘর্ষ বাধিয়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে গৃহহীন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সদস্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দিলি্ল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এবার বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বিজয়ী হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরুর নামে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেখানেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ছাত্রছাত্রীদের কারও কারও সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, একসময় বাম সমর্থকদের বিজয় ঘটলেও এবার বিজেপি সমর্থক ছাত্র সংগঠনের জয়লাভের সম্ভাবনা প্রবল। পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ এমনটিও বলছেন, নরেন্দ্র মোদি যত জোরেই হাঁটুন না কেন তার হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি বা সাম্প্রদায়িকতার নবউত্থানকে মহাত্মা গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতের মানুষ মানবে না- এটিই শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস জোটের নির্বাচনী তুরুপের তাস হয়ে দেখা দিতে পারে। তবে সব কথার শেষ কথা এক সুরে সবাই বলছেন, কেউ জোরে হাঁটুন আর কেউ ধীরে হাঁটুন লোকসভার ভোটের লড়াইয়ে আঞ্চলিক ও ছোট দলগুলোর দিকেই হাত বাড়াতে হবে উভয়কে। তারাই হবেন দিল্লির মসনদের নিয়ামক শক্তি। তেলেগুদেশম পার্টি এখনো কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটে আছে। কিন্তু এ পার্টির নেতা বলেছেন, শীঘ্রই তিনি বিরোধী দল বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। রাজনৈতিক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক নাটকীয়তা ও মেরুকরণ ঘটবে দিল্লির রাজনীতিতে। জোটের রাজনীতিতে। ভোটের রাজনীতিতে।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/09/24/17932#sthash.zk34Kige.dpuf





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] কাদের মোল্লারও ফাঁসি



কাদের মোল্লারও ফাঁসি

23 September 2013, Monday


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] কাদের মোল্লার রায় কি আসলে ন্যায়ভ্রষ্ট?



প্রাসঙ্গিক ভাবনা-মোঃ নূরুল আমিন

কাদের মোল্লার রায় কি আসলে ন্যায়ভ্রষ্ট?

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা আপিলেট ডিভিশনের রায়ে মৃত্যুদ- পেয়েছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিলেন। তার যাবজ্জীবন রায়কে কেন্দ্র করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণমঞ্চ তৈরি হয়েছিল এবং ঐ মঞ্চ থেকে তাকে ফাঁসি দেয়ার দাবি উঠেছিল। মঞ্চের নেতারা আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন এবং তারা উভয়ে তাদের দাবির যৌক্তিকতার কথা স্বীকার করে এই দাবিা পূরণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। আইসিটি আইনে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার কোন বিধান ছিল না এবং এ প্রেক্ষিতে জাগরণ মঞ্চের দাবি পূরণের জন্যে সরকার ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় সরকার একটি অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দেন এবং জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণার পর আইন সংশোধন করে সরকার পক্ষের আপিলের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাদের মোল্লার শাস্তি বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ফাঁসির দাবি করে আপিল করেন এবং কাদের মোল্লার তরফ থেকে যাবজ্জীবন শাস্তি মওকুফের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশন সরকারের আপিল গ্রহণ এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আদেশ দেন। জনাব কাদের মোল্লার এই ফাঁসির আদেশ নিয়ে দেশ-বিদেশের আইন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও সংস্থা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে এই রায়কে ন্যায়ভ্রষ্ট বলেছেন এবং তাদের দৃষ্টিতে ফৌজদারী অপরাধজনিত যে কোন মামলায় বিচারের মানদ- হিসাবে ৩টি বিষয় অবশ্যই দেখতে হয় এবং এই বিষয়গুলো হচ্ছে- প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং দালিলিক প্রমাণ, জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অনুকূলে কোন প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের প্রায় সকলেই শোনা কথার ভিত্তিতে, প্রসিকিউশনের শেখানো ভাষায় অথবা ভয়-ভীতি, প্রলোভনের ভিত্তিতে ২য়, ৩য়, ৪র্থ এমনকি ৫ম ব্যক্তির কাছে শোনা কথার ভিত্তিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলায় দালিলিক প্রমাণাদি গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করা হয়নি এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের যে চাহিদা তাও পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার এই ফাঁসির রায়কে ইনসাফ না বলে কেউ কেউ জুডিশিয়াল কিলিং বলে অভিহিত করেছেন। বিচারিক আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে। আপিল আদালত সাক্ষীদের তলব করেননি। অভিযোগের সমর্থনে গৃহীত দলিল-দস্তাবেজও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন বলে জানা যায়নি। তারা পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পার্যালোচনা করেছেন বলেও পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট আসেনি। বিচারিক আদালতের রায় সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে তারা তাকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ একটি নতুন রায় এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোন সুযোগ নেই। আসামীপক্ষ থেকে রায় পর্যালোচনার কথা উঠেছিল। কিন্তু এটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন, বলেছেন আইনে এর কোন সুযোগ নেই। আবার এটর্নী জেনারেল এও বলেছেন যে, আপিল আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ের ভিত্তিতে ফাঁসির আদেশ তারা কার্যকর করতে পারবেন। এজন্য পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষা করতে হবে না। একট্ িকথা তারা ঠিকই বলেছেন যে, বিদ্যমান আইনে আপিলের সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল না। কেননা আইন তাদের এই অধিকার দেয়নি। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের দাবি প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা আইনসংশোধন করে সরকারের আপিলের বিধান সংযোজন করেছেন। যদি তখন সেটা করতে পারেন এখন আইনসংশোধন করে আসামীপক্ষের জন্য আপিলের বিধান করতে পারবেন না কেন? এই প্রশ্নে অনেকে এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
আব্দুল কাদের মোল্লা প্রচলিত অর্থে কোন মোল্লা নন। আমাদের দেশে একশ্রেণীর লোক আছেন যারা ধার্মিক ব্যক্তিকে মোল্লা বলে গালি দেন। তাদের দৃষ্টিতে মোল্লারা অপদার্থ, অযোগ্য এবং সভ্য দুনিয়ার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা মাদরাসা শিক্ষিতদের মোল্লা বলেন। এই আব্দুল কাদের মোল্লা ঐ ধরনের ব্যক্তি নন। তিনি আগাগোড়া একজন আধুনিক শিক্ষিত ব্যক্তি, কুরআন-হদীসের ব্যুৎপত্তি তার স্বপণোদিত। তিনি পদার্থবিদ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রি নিয়েছেন এবং পরে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রথমে ডিপ্লোমা ও পরে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএড ডিগ্রি গ্রহণ করেন। কুরআন-হাদীস, ফিকাহ উসূলসহ ইসলামী সাহিত্যে তার অগাধ পা-িত্য ও বিচরণ ছিল। রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। সাংগঠনিক যোগ্যতা ছিল তার অসাধারণ। তিনি ছিলেন সদা হাস্যময় একজন দায়ী।
তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে এ নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষক কয়েকদিন আগে আমাকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করেছেন। তার মতে যাহা রটে কিছু বটে। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন একজন নিরপেক্ষ সাংবাদিক হিসেবে এই অভিযোগগুলোকে আমি কিভাবে দেখি? ১৯৭১ সালে আমি পূর্ণাঙ্গ একজন সাংবাদিক এবং শিক্ষক হিসেবে ঢাকায় কর্মরত ছিলাম। ঐ সময়ে আমি অবজারভার গ্রুপের বাংলা দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক এবং ঢাকাস্থ তৎকালীন কায়েদে আজম কলেজে (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) অধ্যাপনা করতাম। মুক্তিযুদ্ধকালীন বহু ঘটনা-দুর্ঘটনা দেখার আমার সুযোগ হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবি করার পর ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে যে হরতাল, অবরোধ ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছিল তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। ঐ সময়ে সারা প্রদেশে আওয়ামী লীগের তা-ব ও অবাঙ্গালী বিহারীদের ওপর তাদের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ তথা উঅঈ আপ্রাণ চেষ্টা করছিল। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও এই সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইয়াহিয়া খান এবং ভুট্টো গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন এবং গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হয়। এর আগে তেসরা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারা প্রদেশ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শেখ মুজিবের কথায় সরকারি প্রশাসন তখন উঠ-বস করত। ঐ সময়ে সেনাবাহিনীর রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। মার্চ মাসের ১৫ তারিখে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক শাহজাহানপুর বাজারে গোশত ও তরিতরকারি কিনতে আসা সেনাবাহিনীর পাঁচ জওয়ানের একটি করে কান কেটে দিতে আমি দেখেছি। তারা বিনা প্রতিক্রিয়ায় কান রেখে চলে গিয়েছিল। ২৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জ থেকে অবাঙ্গালী মহিলা ও শিশুদের নিয়ে একটি ট্রেন ঢাকা অভিমুখে আসার পথে চাষাড়াতে তার ওপর হামলা হয় এবং মেয়েদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলে। যুবতী মেয়েদের কারুর কারুর ব্রেস্ট কেটে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে তা আমরা দেখেছি। বিহারীরাও বাংগালীদের ওপর তাদের সুবিধামত এর প্রতিশোধ নিয়েছে। আমারই সহকর্মী কায়েদে আজম কলেজের বাংলার অধ্যাপক রফিকউদ্দিন আহমদকে তারা টুকুরো টুকরো করে কেটে কুয়াতে ফেলে দিয়েছিল। ২৫ মার্চ কালো রাতের পর এই অবাঙ্গালীরা পাকিস্তান আর্মির সাথে একত্রিত হয়ে তাদের ওপর অত্যাচারের প্রতিশোধের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখনকার এই হিংসা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমরা জামায়াতের বা তৎকালীন ছাত্রসংঘের কোন নেতাকে অংশগ্রহণ করতে দেখিনি। আমি ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রথমত ছাত্র হিসেবে পরে শিক্ষক সাংবাদিক হিসেবে ঢাকার রাজনৈতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত ছিলাম। কিন্তু কাদের মোল্লা নামের কোনও ব্যক্তিকে আমি জামায়াত বা ছাত্রসংঘের হয়ে কাজ করতে দেখিনি। মিরপুরে কসাই কাদের নামে একজন কাদের মোল্লা ছিলেন তার নাম আমরা শুনেছি। তিনি পেশায় কসাই ছিলেন এবং মানুষ হত্যায়ও পারদর্শী ছিলেন। তার একভাই বহুদিন পর্যন্ত কাওরান বাজারে গোশত বিক্রি করতো। তার কাছে শুনেছি কসাই কাদের তথা মিরপুরের কাদের মোল্লাকে স্বাধীনতার পর হত্যা করা হয়েছে। আগেই বলেছি জামায়াতের কাদের মোল্লাকে ৭১ সালে আমি কখনো দেখিনি। তার বাড়ি ফরিদপুর; তিনি কখনো মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন না। এই অবস্থায় আমি নিশ্চিত যে কাদের মোল্লা সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং সম্ভবত কসাই কাদেরের সকল অপরাধের দায় সরকার জামায়াতের কাদের মোল্লার ওপর চাপিয়ে তাকে হত্যা করতে চান। এতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ইসলামী আন্দোলনকে দুর্বল করার উভয় লক্ষ্যই হাসিল হবে। যেহেতু জামায়াতের কাদের মোল্লা কখনো মিরপুরে ছিলেন না, কোনও অপরাধ করেননি সেহেতু স্বাধীনতার পর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোথাও কোনও জিডি হয়নি, দালাল আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি।
এখন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে সেগুলোও অত্যন্ত হাস্যকর। অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী নি¤œরূপ ঃ
এক নং অভিযোগ : ঘটনার দিন ৫ এপ্রিল ১৯৭১- ঘটনার সময় যে কোন সময়। ঘটনার স্থান-মিরপুর ১২নং সেকশনের ঈদগাহ ময়দান থেকে শাহ আলীর মাজার পর্যন্ত। আসামী আব্দুল কাদের মোল্লা মিরপুরের সাধারণ মানুষের কাছে কসাই নামে পরিচিত। তিনি শিয়ালবাড়ি রূপনগর এবং সমগ্র মিরপুর এলাকায় হাজার হাজার বাঙ্গালী হত্যার জন্য দায়ী। ১৯৭১ সালের বিহারীদের সহযোগিতায় তিনি এ হত্যাযজ্ঞ চালান। স্বাধীনতার পর শিয়ালবাড়িতে সর্ববৃহৎ গণকবর আবিষ্কৃত হয়। ১১নং এর বাসিন্দা বাংলা কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা পল্লবকে আব্দুল কাদের মোল্লার নির্দেশে রাজাকার আল বদররা দড়ি দিয়ে বেঁধে মিরপুর ১২নং সেকশন থেকে এক নম্বরের মাজার পর্যন্ত টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যান। তারা পল্লবের শরীর বেঁধে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তার আঙ্গুল কেটে নেয়া হয়। দুইদিন পর অর্থাৎ ৫ এপ্রিল আব্দুল কাদের মোল্লার ডানহাত বলে কথিত আলবদর আক্তার তাকে গুলী করে হত্যা করে। তার দুইদিন পর তার মৃতদেহ কালাপানির ঝিলের পাশে অন্যান্য ৭ জনের পাশে দাফন করা হয়।
দুই নং অভিযোগ : ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের যে কোন দিন। সময়- যে কোন সময়। ঘটনাস্থল : মিরপুরের ৬নং সেকশন। আব্দুল কাদের মোল্লা এবং তার সহযোগীরা মিরপুর ৬ নম্বরের বাসিন্দা মহিলা কবি মেহেরুননিসাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। এই নিষ্ঠুরতা দেখে মিরাজ নামে এক ব্যক্তি তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তিনি এখনো জীবিত আছেন।
তিন নং অভিযোগ : ঘটনার দিন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত। ঘটনার সময় : যে কোন সময়। ঘটনাস্থলÑমনিপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুর ১২নং সেকশনের বিভিন্ন ব্লক ও বাড়ি। কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধকালে মিরপুর ১২ নং সেকশনের মনিপুর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার নিরীহ হাজার হাজার বাঙ্গালীকে তার সহযোগী রাজাকার, আলবদর ও স্থানীয় বিহারীদের সহায়তায় বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে অপহরণ ও হত্যা করে এবং তাদের মৃতদেহ শিয়ালবাড়ি, রূপনগর এবং বালুর মাঠে কবর দেন।
চার নং অভিযোগ : ঘটনার তারিখ ২ এপ্রিল ১৯৭১ সাল। ঘটনার সময় ঐদিনের যেকোন সময়। ঘটনার স্থান মিরপুর, কল্যাণপুর ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা। আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী রাজাকার, আলবদর এবং বিহারীদের সাথে নিয়ে মিরপুর, কল্যাণপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নিরপরাধ বাঙ্গালিদের হত্যা এবং মহিলাদের ধর্ষণ, নির্যাতনের মাধ্যমে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেন এবং এ জন্যে তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা কসাই নামে অভিহিত করত।
৫নং অভিযোগ : ঘটনার তারিখ ২৯ মার্চ ১৯৭১ সাল। ঘটনার সময় বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ঘটনার স্থান মিপুর ১০নং বাসস্ট্যান্ড ও মিরপুর জল্লাদ খানা। মিরপুর ১০নং সেকশনের বি-ব্লকের ২নং সড়কের ১৩নং প্লটের মরহুম খন্দকার আব্দুর রউফের পুত্র খন্দকার আবু তালেব ঢাকার আরামবাগ থেকে ২৯.০৩.১৯৭১ ইংরেজি তারিখে তার ঘর-দুয়ারের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্যে মিরপুরে আসেন। তিনি দেখতে পান যে, তার ঘরদুয়ার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে তিনি আরামবাগ ফিরে যাওয়ার জন্যে ১০নং সেকশনের বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখান থেকে আব্দুল কাদের মোল্লা এবং তার সহযোগীরা অপহরণ করে দড়ি দিয়ে বেঁধে জল্লাদ খানা পাম্প হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
৬নং অভিযোগ : ঘটনার তারিখ ২৫.১১.১৯৭১। ঘটনার সময় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১১টা। ঘটনার স্থান কেরানীগঞ্জ থানার শহীদনগর। পাকিস্তানী সৈন্যরা ঐদিন ও ঐ সময়ে রাজাকার, আল বদর ও আল শামসদের সাথে নিয়ে ভাওয়াল খান বাড়ি, ভাটারার চর (শহীদনগর) এবং পার্শ্ববর্তী দুইটি গ্রামের নিরপরাধ, নিরস্ত্র লোকের ওপর ব্রাশ ফায়ার করে।
তারা আব্দুল কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের নির্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং মোজাফফর আহমদ খানের বাড়িসহ দুটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, তারা শহীদনগর ও ভাওয়াল বাড়ির ১০ জন লোকসহ বহুলোককে হত্যা করে। তিনি পাকিস্তানী সৈন্যদের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
৭ নং অভিযোগ : ঘটনার তারিখ : ২৪-৪-১৯৭১ সাল। ঘটনার সময় : ভোর প্রায় সাড়ে ৪টা। স্থান-আলমদী, মিরপুর (পল্লবী)। ঘটনার দিন-ফজরের নামাযের পর তুরাগ নদীর পাড়ে আলমদী গ্রামে পাকিস্তানী সৈন্যরা হেলিকপ্টার যোগে অবতরণ করে। পুর্বদিক থেকে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে ৫০ জন রাজাকার ও বিহারীরা এসে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে যোগ দেয় এবং গ্রামকে ঘিরে ফেলে। এরপর তারা বেপরোয়াভাবে গুলী চালায় এবং ৩৪৪ জন লোক এতে নিহত হয়। অভিযোগপত্রে ২৩ জনের একটি তালিকা দেয়া হয়। এই ২৩ জনের মধ্যে তিনজনের বাপের নাম আছে আর কারোর বাপের নাম বা ঠিকানা নেই। জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে এই হত্যাকা-ের জন্য দায়ী করা হয়েছে।
উপরোক্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এর মধ্যে কোনটিই সুনির্দিষ্ট নয়। কাদের মোল্লা কাউকে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করেছেন অথবা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন সরাসরি এমন কোন অভিযোগ নেই। বলা হয়েছে যে, তার নির্দেশনায় ও পরামর্শে রাজাকার আল-বদররা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই অপরাধগুলো করেছে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেয়া যায় যে, তিনি মিরপুরে ছিলেন তাহলেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং রাজাকার আলবদরদের কমান্ড করার অথরিটি তিনি পেলেন কোথায়? সেনাবাহিনী কেন তার কথা শুনল? তিনি কি সেনাবাহিনীর জেনারেল বা ফিল্ড মার্শাল ছিলেন? ৫ এপ্রিল (চার্জ নং-১); ২ এপ্রিল (৪ নং চার্জ); ২৯শে  মার্চ এবং ২৪ এপ্রিলের যে অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তিনি তার সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল শামস এবং সেনাবাহিনীকে বর্ণিত অপরাধসমূহ সংঘটনে নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করেছেন এর বাস্তবতা খুঁজে পাওা যায় না। কেননা ঐ সময়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস গঠিতই হয়নি। রাজাকার বাহিনী প্রথম গঠিত হয়েছিল ময়মনসিংহ জোনের সামরিক প্রশাসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ারের নির্দেশনায় নেত্রকোনা মহকুমায় এবং এর বহু দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। এই ব্যাপারে প্রথম সিদ্ধান্ত হয় কর্নেল সারোয়ারের নেতৃত্বে নেত্রকোনায় মহকুমা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২৫ শে মে তারিখের একটি সভায়। কেউ কেউ জামায়াত নেতা মাওলানা ইউসুফকে রাজাকার বাহিনীর প্রথম সংগঠক হিসেবে অপপ্রচার করে থাকেন এটি ডাহা মিথ্যা। যে তারিখে যেই বাহিনীর অস্তিত্বই ছিল না সেই তারিখে যে বাহিনীকে হত্যা, অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি হাস্যাস্পদ। আবার ২৯ মার্চ, ২রা এবং ৫ এপ্রিল (চার্জশিট অনুযায়ী আসলে অপরাধটি হয়েছিল ৩ এপ্রিল) জনাব কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে অপরাধ করার কথা বলা হয়েছে সেগুলোও অবাস্তব। কেননা ২৯ শে মার্চ অপরাধের যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে ঐ সময়ে মিরপুরসহ সারা ঢাকায় কারফিউ বলবৎ ছিল। একই অবস্থা ছিল এপ্রিলের ২ ও ৩ তারিখে। এই অবস্থায় কাদের মোল্লার বিচারকে যারা ন্যায়ভ্রষ্ট বলেন তারা অন্যায় কিছু বলেন বলে আমার মনে হয় না। কাদের মোল্লাসহ যে সমস্ত জামায়াত নেতাকে মানবতা বিরোধী তথাকথিত অপরাধের দায়ে সরকার যে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছেন তা আসলে বিচারের জন্যে নয়, ফাঁসি দেয়ার জন্যই। এটা তাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া ও বিচার প্রক্রিয়াতেই বোঝা গেছে। কাদের মোল্লাকে যেদিন গ্রেফতার করা হয়েছে সেদিন তার ছেলে এবং মেয়ের জামাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তার বিচারের রায় সম্পর্কে সরকার যখন আগেভাগেই বুঝতে পারলেন যে, বিচারকরা ফাঁসির রায় দেবেন না তখনই তারা গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি করে যেখানে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মুখেও ফাঁসির শ্লোগান দেয়ালেন। আপীলেট ডিভিশনের একজন বিচারক আপীল রায়ের পাঁচদিন আগে লন্ডন গিয়ে বলে আসলেন কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে এবং রিভিউর সুযোগ থাকবে না। সাথে সাথে ফেসবুকে আমরা খবর পেলাম এবং পাঁচদিন পর দেখা গেল যে, তার কথাই সত্য। এই অবস্থায় কেউ কি বলবেন যে এই রায় ন্যায়ভ্রষ্ট নয়?


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___