Banner Advertiser

Thursday, January 4, 2018

[mukto-mona] প্রসঙ্গ আসামের নাগরিক নিবন্ধন ইস্যু : অমিত গোস্বামী



প্রসঙ্গ আসামের নাগরিক নিবন্ধন ইস্যু

অমিত গোস্বামী

 ০৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:৫২ | অনলাইন সংস্করণ



'এখানে-সেখানে শুরু হয়েছে বাঙাল খেদা। প্রবাসী বাঙালির সেই সব দীর্ঘলালিত শিকড়সমেত উপড়ে ফেলছে বাঙালিকে। বাঙালি প্রবাস থেকে হতমান্য হয়ে ফিরে আসছে স্ববাসে। অথবা আহত মান্য হয়ে সেখানেই পড়ে আছে বাপ-ঠাকুরদার বানানো (ভাঙা) প্রাসাদপুরীতে।' (ঢেউ গুনছি সাগরেরÑ আশাপূর্ণা দেবী)। ভারতের আসাম প্রদেশে বাঙালিবিদ্বেষ নতুন কিছু নয়। প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখায় আমরা অহমিয়াদের বাঙালি বিতাড়নের বর্ণনা পাই। গত রবিবার মধ্যরাতে আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের প্রথম খসড়া প্রকাশ হতেই সেই পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কার উদয় হচ্ছে। অহমিয়া বাঙালি দ্বন্দ্ব। নাগরিক নিবন্ধনের জন্য আসামের ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে তালিকায় নাম উঠেছে ১ কোটি ৯০ লাখের। বাদ পড়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ আবেদনকারী। কারা এরা? এদের মধ্যে প্রায় এক কোটিরও বেশি হচ্ছে বাঙালি। তালিকা প্রকাশের পর আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন, মূলত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিñিদ্র করা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। আমি ওই প্রতিশ্রুতি পূরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আসামে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর আগে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। নাগরিক নিবন্ধনের দাবি জানিয়ে তিনি তখন গোহাটি আদালতে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট নাগরিক নিবন্ধন নবায়নের আদেশ দেন। বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে মামলা, পাল্টা মামলা, আন্দোলন-সংগ্রামের পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নিবন্ধনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। আসামের কট্টরপন্থি রাজনীতিকরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কথিত বাংলাদেশিদের উপস্থিতিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশকে তারা নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনে জেতার পরই সোনোয়াল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সরকারের প্রথম কাজই হবে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্ত সিল করে দেওয়া। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া নেই, আসাম সরকার মনে করে, অনুপ্রবেশকারীরা এ পথ দিয়ে আসামে অনুপ্রবেশ করছে। গত ৩০ বছরে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই 'বাংলাদেশি' বলে ধরা হয়। ৭০ লাখ কথিত বাংলাদেশিদের মধ্যে মুসলিমের সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যে তিন লাখ হিন্দু বাঙালিও আসাম থেকে বহিষ্কারের মুখে রয়েছে।

নতুন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ১৯৮৫ সালে প্রয়াত রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত 'আসাম চুক্তি' বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর যেসব বিদেশি অবৈধভাবে আসামে অভিবাসী হিসেবে ঢুকেছে, তাদের শনাক্ত করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০ বছর পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় অহমিয়াদের মধ্যে জমছিল ক্ষোভ ও হতাশা। এ কারণে কট্টর অহমীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অসম গণপরিষদ ও বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে জেতার পর বিজেপি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারছে না। গত ১৫ বছর আসামের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক ছিল না, এমন ধারণাই বদ্ধমূল ছিল আসামের ভূমিপুত্রদের মনে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল এটাও বলেছেন, এ ক্ষেত্রে হিন্দু বা মুসলিমের কোনো প্রশ্ন নেই। ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব থাকতে হবে। বিষয়টি রাজ্যস্তরীয় নয়, এটা জাতীয় ইস্যু। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। এরপর অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে।

অহমিয়াদের বাঙালিবিদ্বেষ নতুন নয়। ১৯৪৮ সালের ১ মে আসামের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়া অহমিয়া ও বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে একটি জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গোহাটিতে বাংলা-মালিকানাধীন দোকানগুলো লুট করা হয়েছিল অহমিয়াদের দ্বারা। ১৯৫৬ সালে, পূর্ব বাংলার অবিভক্ত গোয়ালপাড়া জেলায় ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়, যখন রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন জেলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য জেলা পরিদর্শন করে। প্রায় ২৫০ বাংলা ভাষা মাধ্যমের মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে রাতের অন্ধকারে অহমিয়া ভাষার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৬০ সালের জুনে বাঙালি হিন্দুদের ওপর হামলা শুরু হয়। এটি প্রথম গোহাটির কটন কলেজে শুরু করে এবং তারপর রাজ্যের সব স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। কামরূপ জেলার গোরেশ্বরের ২৫টি গ্রামে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়জন বাঙালি শহীদ হন এবং একশর বেশি আহত হন। হাজার হাজার বাঙালি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে বিতাড়িত হয় এবং পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে স্থানান্তরিত হয়। এক অনুমান অনুযায়ী, পাঁচ লাখ বাঙালি অসম থেকে বাস্তুচ্যুত হয়।

১৯৭২ সালে আসামে বড় বড় জাতিগত দাঙ্গা সংঘটিত হয়, যেখানে লক্ষ্য ছিল বেশিরভাগই বাঙালি। প্রায় ১৪ হাজার বাঙালি পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোয় পালিয়ে যায়।

১৯৭৯ সালে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (অঅঝট) নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন গঠিত হয়। এ সংগঠনটি অত্যন্ত সুবিন্যস্ত। এদের আন্দোলনকে অসম আন্দোলন বলা হয়। এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত হিংসাত্মকরূপ ধারণ করেছিল। এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ব্যক্তিকে আসাম থেকে বহিষ্কার করা। অবশেষে ১৯৮৫ সালে এই আন্দোলনের ফলে আসু (অঅঝট) ও ভারত সরকারের সঙ্গে এক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তি মোতাবেক যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৬ মার্চের আগ পর্যন্ত আসামে বসবাসরত ছিল, তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। এ চুক্তিকে সবাই মেনে নেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিজে এ চুক্তি সম্পাদনের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং পার্লামেন্টে এ চুক্তিটি পাস করিয়ে নিয়ে আইনে রূপান্তর করেন। এরপর সমস্যা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু হয়নি, কেননা রাজ্য সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনে অবহেলা প্রদর্শন করে এবং অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোতে থাকে।

কিন্তু চুক্তি প্রণয়নে এই দীর্ঘসূত্রতার পেছনে ছিল রাজনীতি, যা আসামের আমনাগরিক ভালো চোখে নেয়নি। তাদের এই জাত্যাভিমানকে গত নির্বাচনে উসকে দেয় বিজেপি। আসাম দখলের লক্ষ্যে বিজেপি আলোকপাত করেছিল এই সংবেদনশীল ইস্যুতে। এখন আগের তুলনায় ইস্যু সামান্য পাল্টে গেছে। আগে ছিল বিদেশি অর্থাৎ অহমিয়া বাদে বাকি মানুষজনরা। কিন্তু ইস্যু এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। বাংলাদেশ অভিবাসী ইস্যু নিয়ে তারা প্রচার করেছিল যে, আমরা ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেব। আর তাহলেই কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী ভারতে পা দিতে পারবে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি অভিবাসী সমস্যা শুধু আসামের সমস্যা নয়, এটি গোটা ভারতেরই সমস্যা। আর এই বাংলাদেশি অভিবাসী সমস্যার জন্য তারা সরাসরি কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে বলেছে, শাসক কংগ্রেস দল অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। আর তাই কংগ্রেস অনুপ্রবেশ বন্ধে কোনো চেষ্টা করেনি। তাই তারা এক সময়ের বাঙালি খেদাও আন্দোলনের নেতা সর্বানন্দ সোনোয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল। ফলাফল? ১২৬টি আসনের মধ্যে ৯৭টিতেই জিতেছে বিজেপির জোট। বিপরীতে রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন কংগ্রেস তথা তরুণ গগৈর দল জিতেছে মাত্র ২১ আসনে।

কাজেই সর্বানন্দ সোনোয়াল তো তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখবেনই সে যেভাবেই হোক। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, কোপ পড়ছে মূলত মুসলমানদের ওপর। তিনি তথ্য তুলে বলছেন, ১৯৭১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ওখানে হিন্দু-বাঙালির উপস্থিতি অতি নগণ্য। কাজেই এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশি মুসলমানদের আগমনে এই অস্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

এরা এতদিন ভারতের নির্বাচন কমিশনের ভাষায় ছিল ভারতীয় 'ডি ভোটার'। ডাউটফুল ভোটার। ভোটার তালিকায় তাদের নামের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি 'ডি' (সন্দেহজনক) শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এবার নাগরিকত্বের প্রশ্নে এই নাগরিকদের নির্মূল করার প্রয়াস চলছে। তাহলে এদের কী হবে? পুশ ব্যাক টু বাংলাদেশ? কঠিন, বড্ড কঠিন। কারণ সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫ থেকে ১১ নম্বর, অর্থাৎ মোট সাতটি ধারায় নাগরিকত্বের প্রশ্নে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ৫ ও ৬ ধারার তিনটি করে উপধারা আছে। ভারতের নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট সাতবার সংশোধন করা হয়েছে। তাতেও এই নাগরিকত্বপ্রাপ্তির ব্যাপারে সমস্যার সমাধান হয়নি। সমস্যা সমাধানের বদলে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই অতিকথা যে, কাতারে কাতারে বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের জন্য দরজা খোলা রাখা শুধু অর্থহীনই নয়, এ দেশের অর্থনীতির জন্য এবং জনবিন্যাসের ভারসাম্যর পক্ষে বিপজ্জনক। বিজেপি প্রত্যাশিতভাবেই এই প্রশ্নে শুধু মুসলিম অনুপ্রবেশের বিপদ দেখছে। কিন্তু পুশব্যাক সম্ভব নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়ে করা একটি জনস্বার্থ মামলা ভারতের সুপ্রিমকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সত্যমেব জয়তে'র করা এ-সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দেন এই বলেÑ 'বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ৩২ ধারার অন্তর্গত নয়। সে জন্য এটি আদালতের বিচারাধীন নয়।' সুপ্রিমকোর্টে আবেদনকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে দুই কোটি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

কাজেই একটা কথা পরিষ্কার যে, রোহিঙ্গা বিতাড়নের মতো বাঙালি বা বাংলাদেশি বিতাড়ন কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাই এখন অসম্ভব। অতএব নাগরিকত্ব নিবন্ধন নিয়ে যা হচ্ছে তা হচ্ছে একান্তভাবেই রাজনৈতিক। কিন্তু তা নিয়ে বিভিন্ন কাগজ যা হুল্লোড় করে শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে আগামীকালই এই অনিবন্ধিত মানুষরা বাংলাদেশে এসে উঠল। কিন্তু তা তো নয়। কেউ আবার বলেছেন যে, দিল্লির উচিত ঢাকাকে আশ্বস্ত করা। কেন? তিব্বত থেকে দুই লাখ অনুপ্রবেশকারী আজ ধর্মশালায় বাস করছে। ৭০ হাজার তামিল শ্রীলংকান, ৪০ হাজার রোহিঙ্গা, ১২ হাজার আফগান ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছে। এরা ভোট দিতে পারে না, পাসপোর্ট পায় না, অন্য বেশ কিছু নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এরা রুটি-রুজির অধিকার থেকে বঞ্চিত নয়। কাজেই আসামের নাগরিক নিবন্ধন নিয়ে বাংলাদেশের একজনেরও সামান্যতম উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

য় অমিত গোস্বামী : সাহিত্যিক ও কলাম লেখক
http://www.dainikamadershomoy.com/opinion/119524/প্রসঙ্গ-আসামের-নাগরিক-নিবন্ধন-ইস্যু



দিল্লিকে মমতার হুঁশিয়ারি :  আগুন নিয়ে খেলবেন না আসামে
কলকাতা প্রতিনিধি
আগুন নিয়ে খেলবেন না আসামে


আসামে বিতর্কিত 'নাগরিক তালিকা'য় বাদ পড়তে পারেন লাখ-লাখ মুসলমান

  • ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
.......প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি গত বছর আসামে ক্ষমতায় আসার পর তাদের ভাষায় 'রাজ্যের অবৈধ মুসলিম বাসিন্দাদের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।  বিজেপি নেতারা দাবি করেন যে ভারতের আসাম রাজ্যে প্রায় বিশ লাখ মুসলিম রয়েছেন যাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের।

১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের আগে থেকেই যে তারা আসামে থাকতেন, সেরকম দলিল-প্রমাণ হাজির করলেই কেবল তাদের ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে। Read details at:

http://www.bbc.com/bengali/news-42526682


আরও পড়ুন: 


মধ্যরাতে তালিকা প্রকাশ, উৎকণ্ঠায় অধীর আসাম





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা : কুয়েত আমিরের পাঠানো টাকা নিয়ে আদালতের প্রশ্ন



জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

কুয়েত আমিরের পাঠানো টাকা নিয়ে আদালতের প্রশ্ন

 প্রকাশ: ৩ ঘণ্টা আগে     আপডেট: ২ ঘণ্টা আগে       
 
 
  ঢাকা    শুক্রবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৮,২১ পৌষ ১৪২৪  

সমকাল প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। ছবি: সমকাল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে সপ্তম দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এতিমদের কল্যাণের নামে কোনো তহবিল ছিল না। জালিয়াতি করে এবং গোঁজামিল দিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে।  যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর কাছে বিচারক জানতে চান, কুয়েতের আমির কত টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দান করেছিলেন? সেটা কীভাবে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ করেছেন?  জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বলেন, এই তহবিল পাবলিক তহবিল কি-না, সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে। এই টাকার উৎস নির্ণয় করা জরুরি। বিচারকের প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে যান। তিনি সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুস সাত্তারের জবানবন্দি ও জেরার অংশ পড়ে শোনান। আদালতকে তিনি জানান, বাংলাদেশে কুয়েত দূতাবাস থেকে যে পত্র দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বলা আছে, কুয়েতের আমির ব্যক্তিগতভাবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকেই টাকা দিয়েছিলেন। সেটা কোনো পাবলিক তহবিল ছিল না। পাবলিক তহবিল তৈরি করার জন্য তারা (দুদক) কারিগরি বিদ্যায় ঢুকে পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, এটা সৌদি আরবের টাকা নয়, কুয়েতের আমিরের টাকা। তবে পাঠানো হয়েছে সৌদি আরবের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে। বাংলাদেশে যেমন বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা রয়েছে, সৌদি আরবেও বিভিন্ন দেশের ব্যাংকের শাখা রয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতে যুক্তি উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এসব কথা বলেন। তার বক্তব্যে শেষ না হওয়ায় আগামী ১০ ও ১১ জানুয়ারি পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।  বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়া বকশীবাজার মাঠে স্থাপিত আদালতে আসেন। তিন মিনিট পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩০ মিনিট বিরতি দিয়ে বেলা সোয়া ৩টা পর্যন্ত চলে। এরপর গুলশানের উদ্দেশে খালেদা জিয়া আদালত ত্যাগ করেন।  যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে বিচারক খালেদা জিয়ার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কুয়েত থেকে কত টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা কোন অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ করা হয়েছিল। জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, এই পত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। আদালত তার কাছে আবারও প্রশ্ন করেন, টাকার অঙ্ক যেহেতু উল্লেখ নেই, তা হলে আপনারা কী জানতে চেয়েছিলেন? আদালত আরও জানতে চান, ওই পত্র কার স্বাক্ষরিত।  জবাবে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটা লিখিত ডকুমেন্টস দাখিল করা হবে। আদালত আবার প্রশ্ন করেন, বুঝলাম এটা কুয়েতের টাকা। সেটা কীভাবে এলো এবং কোন অ্যাকাউন্ট থেকে ভাঙানো হয়েছিল? কুয়েতের আমির যে শহীদ জিয়ার এতিমখানায় টাকা পাঠিয়েছিলেন, তা প্রমাণ করেন। বিচারক আবার বলেন, ধরলাম রাষ্ট্রপক্ষ এটা প্রমাণ করতে পারেনি, আপনারা করেন। এ পর্যায়ে এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, কুয়েত থেকে টাকা আসছে, কিন্তু টাকা বণ্টনে খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে বাইরে খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মূল নথিপত্র পাওয়া যায়নি। সে জন্য রাষ্ট্রপক্ষ জালিয়াতি করে ছায়ানথি সৃজন করেছে। এখানে ছেঁড়া ও গোঁজামিল দেওয়া কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো সব ফলস ডকুমেন্টস। জালিয়াতি হয়েছে- সেজন্য মামলায় এটাই প্রমানিত যে, খালেদা জিয়া নির্দোষ। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, মামলাটি যারা জালিয়াতি করে তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতির কারণে তাদের সাজা হতে পারে। কত কাঁচা হাতে এ কাজটি করেছে তারা! মামলাটি আইনের চোখে সম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন। এই প্রাইভেট ফান্ডকে পাবলিক ফান্ড করার জন্য এ ছলচাতুরি, জাল জালিয়াতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এরপর দুদকের এ মামলার প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত আসামিপক্ষ বলেছে ঘষামাজা ও কাটাকাটি করে মামলা সাজানো হয়েছে। এখন তারা বলছেন, টাকা বণ্টনের সঙ্গে খালেদা জিয়া জড়িত নয়। এখন নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর ওপর দোষ চাপিয়ে খালেদা জিয়া বাঁচার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তার আইনজীবীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ করা গেছে বলে জানান তিনি।

http://samakal.com/bangladesh/article/1801241/-জিয়া-অরফানেজ-ট্রাস্ট-মামলায়-খালেদা-জিয়ার-পক্ষে-যুক্তি-উপস্থাপন-অব্যাহত

আরও পড়ুন



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] আগুন নিয়ে খেলবেন না আসামে : দিল্লিকে মমতার হুঁশিয়ারি



দিল্লিকে মমতার হুঁশিয়ারি
আগুন নিয়ে খেলবেন না আসামে
কলকাতা প্রতিনিধি
আগুন নিয়ে খেলবেন না আসামে

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আসাম রাজ্যে 'বাঙালি খেদাও' প্রক্রিয়া জঘন্য কাজ। তিনি বলেন, 'আগুন নিয়ে খেলবেন না। পরিণতি ভালো হবে না।' মমতা ব্যানার্জি মঙ্গলবার বীরভূম জেলার আমোদপুরে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। মমতা বলেন, আমি সব রাজ্যকে ভালোবাসি, সব রাজ্যেই অন্য রাজ্যের মানুষ থাকে। কারণ এটা তাদের অধিকার। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে লোক কাজের জন্য যায় এবং কাজকে ভালোবেসেই সংসার তৈরি করে... অথচ গত ত্রিশ-চল্লিশ বছর ধরে যারা আসামে আছে, আজকে তাদের সবাইকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। নাগরিকত্ব আইনের নামে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।'

দলের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'সারা ভারতে আগুন জ্বালাবেন না। বিভেদের রাজনীতি করবেন না। শান্তি রক্ষা করুন। আর যদি লোকেদের গায়ে হাত পড়ে, মানুষের গায়ে হাত পড়ে-সে বাঙালি হোক, পাঞ্জাবি, বিহারি, রাজস্থানী, দলিত, তফসিলি জাতি বা সাধারণ মানুষই হোক আমরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।'

মমতার প্রশ্ন 'আজ যদি ১ কেটি ৩০ লাখ মানুষকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তবে তারা কোথায় যাবে? তাছাড়া আমি যদি এ কথা না বলি আর কে বলবে, কারণ আসামের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। আসামে কোনো গণ্ডগোল হলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়বে। তেমনই এখানে কোনো গণ্ডগোল হলে আসামেও তার প্রভাব পড়বে। আমরা চাই সব রাজ্য শান্তিতে থাকুক।'

মমতার অভিমত 'আসামের কোনো মানুষ যদি বাংলায় থাকে তবে আমরা বুকে করে স্থান দেব, তেমনি বাংলার কেউ যদি অসমে থাকে তাকেও বুকে করে স্থান দিতে হবে— এটাই নিয়ম। কিন্তু বাংলার মুর্শিদাবাদ, মালদা, বর্ধমান, বীরভূমের ভোটার যারা অসমে কাজ করতে গিয়েছে-তাদের বলা হচ্ছে সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হবে'।

মমতা ঘোষণা করেন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আগামীকাল দিল্লিতে সংসদের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপিরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

উল্লেখ্য, আসামে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের চিহ্নিত করতে গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রথম নাগরিক তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় নামভুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখের নাম এসেছে। অনিশ্চয়তায় ঝুলছে বাকি ১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ।


আসামে বিতর্কিত 'নাগরিক তালিকা'য় বাদ পড়তে পারেন লাখ-লাখ মুসলমান

  • ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
.......প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি গত বছর আসামে ক্ষমতায় আসার পর তাদের ভাষায় 'রাজ্যের অবৈধ মুসলিম বাসিন্দাদের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।  বিজেপি নেতারা দাবি করেন যে ভারতের আসাম রাজ্যে প্রায় বিশ লাখ মুসলিম রয়েছেন যাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের।

১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের আগে থেকেই যে তারা আসামে থাকতেন, সেরকম দলিল-প্রমাণ হাজির করলেই কেবল তাদের ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে। Read details at:

http://www.bbc.com/bengali/news-42526682


আরও পড়ুন: 


মধ্যরাতে তালিকা প্রকাশ, উৎকণ্ঠায় অধীর আসাম




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___