Banner Advertiser

Friday, April 11, 2014

[mukto-mona] স্বাধীনতাসংগ্রাম : মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের আত্তীকরণ



স্বাধীনতাসংগ্রাম : মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের আত্তীকরণ
ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী
শেয়ার - মন্তব্য (0) - প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তাঁর দেহে বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা প্রবাহিত। বঙ্গবন্ধু তাঁকে প্রতিপালন করে বড় করেছেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী হয়েছেন। বিনিময়ে কন্যা হিসেবে তিনিও পিতার প্রতি তাঁর কর্তব্য যথাযথ পালন করার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু স্বাধীনতার আগে তিনি যখন 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠেননি, তখন যারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছে, সেটা কোনো আত্মীয়তা, কোনো রক্তের সম্পর্ক কিংবা কোনো বৈষয়িক উত্তরাধিকারের কারণে ছিল না। পাকিস্তানি শাসকচক্র যখন তাঁকে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিশালায় আটক রেখে 'গোপন বিচারে' ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে এনেছিল, সেদিন যারা জীবন বাজি রেখে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাঁকে সেই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ছিনিয়ে এনেছিল, তারা তাঁর উত্তরাধিকারের বেনিফিশিয়ারি নয়।

আমার নিজের কথাই বলি। ষাটের দশকে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার পরের দিনগুলো কিভাবে কেটেছে, কোথায় কেটেছে, তার হিসাব নেওয়ার কোনো প্রয়োজন এখন আর কারো নেই। ছাত্রজীবনে পাঁচ দফায় প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে কাটিয়েছি। বাকি সময়টাতেও বেশির ভাগ সময় কেটেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে। ষাটের দশকের সেই দিনগুলোতে এমন হাজার হাজার তরুণ তাদের যৌবনের শ্রেষ্ঠতম দিনগুলো রাজপথে বিসর্জন দিয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে। লেখাপড়ার ইতি ঘটেছে অনেকের। ভারতের দিকে তাকালে দেখা যায়, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা শতবর্ষ আগে উল্লেখযোগ্য কোনো অবদান রেখেছেন, তাঁদেরও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করা হয়। তাঁরা জাতীয় বীর হিসেবে পূজিত হচ্ছেন। আমাদের স্বাধীনতা এসেছে কেবলই একাত্তরের '৯ মাসে'। আরো নির্দিষ্ট করা হলে কেবল একাত্তরের ডিসেম্বরে প্রতিবেশী দেশের '১৩ দিনে'র যুদ্ধে। তার নিচে চাপা পড়ে গেছে ষাটের দশক। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল অধ্যায়টি।

স্বাধীনতাসংগ্রাম : মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের আত্তীকরণ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে যদি আমরা আমাদের স্বাধিকার চেতনার উন্মেষের প্রতীক হিসেবে দেখি, তাহলে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনকে দেখতে হবে আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রত্যক্ষ সূচনা হিসেবে। যা ধাপে ধাপে পত্র-পল্লবে-প্রতিজ্ঞায় বিকশিত হয়ে রূপান্তরিত হয়েছে অপ্রতিরোধ্য গণ-আন্দোলনে ও জনযুদ্ধে। ষাটের দশকের প্রতিটি বছরই যেন আমাদের স্বাধীনতা অভিমুখী অগ্রযাত্রায় সিঁড়ির একেকটি রক্তরঞ্জিত ধাপ।

১৯৬৬ সালে লাহোরে আইয়ুব খানের ডাকা 'গোলটেবিল' বৈঠকে শেখ মুজিবের 'ছয় দফা' দাবি তুলে ধরার ঘটনাটিকে বলা যায় আমাদের সেই স্বাধীনতামুখী অভিযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। শুরুতে এ নিয়ে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছিল। ছয় দফা দাবি পেশ করার আগে শেখ সাহেব দলের কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেননি। এতে দলের সিনিয়র নেতারা ক্ষুব্ধ হন। এমনকি আওয়ামী লীগের 'তাত্ত্বিক নেতা' ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়াও। ছয় দফার ব্যাপারে ইত্তেফাকের 'মুসাফির' কলামে তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পড়ে আমরা খুবই দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম।

তা সত্ত্বেও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে কাগজে বিবৃতি দিয়েছি। এক বিকেলে আমরা কয়েকজন আউটার স্টেডিয়ামে ঘাসের ওপর গোল হয়ে বসেছিলাম এ বিষয়ে আমদের সিদ্ধান্ত স্থির করার জন্য। ছাত্রলীগের তখনকার সভাপতি মাযহারুল হক বাকী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ আরো কয়েকজন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মণি, ওবায়দুর রহমান ও সিরাজুল আলম খান ছিলেন। আমি তখন ডাকসুর সহসভাপতি। আমার মত ছিল, সারা দেশ থেকে দলের সিনিয়র নেতাদের ডেকে একটা বড়সড় সভা করে এই সমর্থন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু শেখ মণি চাইলেন বিলম্ব না করে তখনই সমর্থন জানিয়ে দিতে। শেষ পর্যন্ত ওই রাতেই একটা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আমরা কয়েকজন সেখান থেকে আগা মসিহ্ লেনে আমাদের তখনকার ছোট্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাই। আমি একটি বিবৃতি মুসাবিদা করি এবং ওই রাতেই তা বিভিন্ন কাগজে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরদিন তা প্রকাশিত হয়।

এতে মানিক মিয়া বেশ রাগ করেন। কিন্তু আইয়ুব খানের একটি বক্তব্য পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ছয় দফাকে রাষ্ট্ররিরোধী আখ্যা দিয়ে 'রক্তের ভাষায়' তার জবাব দেওয়ার হুমকি দিলেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আইয়ুব খানের এই হুমকির পর মানিক ভাই ভীষণ খেপে গেলেন। তিনি আমাদের সামনে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিলেন এবং পরদিন থেকেই তাঁর কলম ঘুরিয়ে ছয় দফার পক্ষে লিখতে শুরু করেন। কিছুদিন পরই শেখ সাহেব গ্রেপ্তার হয়ে গেলেন। তারপর এক এক করে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সবাইকে জেলে পোরা হয়। কেবল আমেনা বেগম বাইরে থাকলেন (এই ভদ্রমহিলা সেদিন অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সেই চরম দুর্যোগে আওয়ামী লীগের ঝাণ্ডা উঁচিয়ে রেখেছিলেন)।

এই পরিস্থিতিতে ১৯৬৬ সালের সেই ঐতিহাসিক '৭ জুনের হরতাল'। এই হরতালই ছয় দফাকে গণভিত্তি দিয়ে সেদিনের পাকিস্তানের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ডাকসুর সহসভাপতি হিসেবে সেই হরতালের সমন্বয়ের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে (কেউ তা স্মরণ করে না!)। অতঃপর এক এক করে ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয়দের গ্রেপ্তার শুরু হয়। কিন্তু তাদের নির্যাতন যত বেড়েছে, আমাদের আন্দোলন ততই তীব্রতর হয়েছে। ইতিমধ্যে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ১৯৬৬ সালের হরতালের বর্ষপূর্তিতে ১৯৬৭ সালের ৭ জুন বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগের রাতে ফজলুল হক হল ঘেরাও করে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতঃপর সব কিছু ভণ্ডুল হয়ে যায়।

স্মরণীয় কারাস্মৃতি

জেলখানায় নিয়ে আমাকে রাখা হলো 'ওল্ড টোয়েন্টি সেল'-এ। এটা জেলের ভেতরে জেল। ডাবল লকআপ। এখানে সাধারণত দাগি আসামি খুনি-ডাকাতদের রাখা হয়। আমাকে এখানে কেন? খুব মন খারাপ করলাম। কিন্তু পরদিন ভোরেই মনটা ভীষণ ভালো হয়ে গেল।

সকালে ঘুম ভাঙল অতি পরিচিত কণ্ঠের ডাকাডাকিতে, 'তুমি এতক্ষণ ঘুমাচ্ছ, এতক্ষণ ঘুমালে শরীর খারাপ হয়।' চোখে-মুখে কিছু পানি ছিটিয়ে বাইরে ছুটে গেলাম। সেখানে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন 'মুজিব ভাই'! (তিনি সেই নামটাই পছন্দ করতেন)। হাতে একটা বিস্কুটের প্যাকেট। পাশে একজন 'ফালতু' (গণ্যমান্য বন্দিদের কাজের জন্য নিয়োজিত কয়েদি)। তার হাতে একটা চায়ের কেটলি। কনডেমড সেলের কষ্টটা মুহূর্তেই দূর হয়ে গেল। মুজিব ভাই বললেন, 'এখানে তোমার একটু কষ্ট হবে। আমিই ওদের বলেছি তোমাকে এখানে রাখতে।' (ভাবলাম, কষ্ট, না সৌভাগ্য।)

কয়েক দিন পর রাজ্জাককেও পাশে একটা সেলে আনা হলো। রাজ্জাক তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। মাসখানেক ওখানে ছিলাম। প্রতিদিনই মুজিব ভাই একইভাবে এসে দুজনকে ডেকে তুলেছেন। তারপর ঘণ্টাখানেক বাগানে পায়চারি। এই সময়টা আমার কারাজীবনের সবচেয়ে মধুর ও স্মরণীয় সময়। কারাগারের সেই একান্ত নির্জনতায় মুজিব ভাইও কি তাঁর দুই অনুগত শিষ্যকে কাছে পেয়ে সময়টা উপভোগ করেছেন? প্রতিদিনই তিনি তাঁর জীবনের নানা কাহিনী আমাদের শুনিয়েছেন। তাঁর ছোটবেলার গল্প করেছেন। গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীতে লাফিয়ে পড়া, কলকাতার জীবনের নানা স্মৃতি, মুসলিম লীগের রাজনীতির নানা ঘটনা, আওয়ামী লীগের জন্ম, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন, আরো অনেক অনেক বিষয়। সুযোগ পেয়ে আমরা অনেক বেয়াড়া প্রশ্নও করেছি। তিনি উচ্চৈঃস্বরে হেসে উঠতেন। তত দিনে ছাত্রলীগের ভেতরে স্বাধীনতার চিন্তাভাবনার শিকড় বহু দূর বিস্তৃত হয়ে গেছে। আমরা 'আলাদা হয়ে গেলে' কিভাবে দেশ চলবে, সেটা নিয়েই হতো নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মূল এজেন্ডা। কারাগারের সেই সুযোগে আমরা দুজন সেই বিষয়টা বারবার সামনে নিয়ে এসেছি। মুজিব ভাই সংযত উত্তর দিতেন। বলতেন, 'এ নিয়ে এভাবে সব সময় কথা বলবে না। দেয়ালেরও কান আছে।' জেলের বাগানে অনেক শিউলি ফুলের গাছ ছিল। ভোরে পুরো বাগান ফুলে ভরে থাকত। রাজ্জাক একদিন সেই ফুল সাজিয়ে বিরাট করে 'পূর্ব বাংলা' লিখেছে। সেটা দেখে মুজিব ভাই বকা দিলেন, 'এটা জেলখানা। কোথায় কী করতে হবে ভেবে কাজ করবে।' আমি একদিন হঠাৎ করে বলে বসলাম, 'আমরা স্বাধীন হয়ে গেলে আমাদের অর্থমন্ত্রী কে হবেন?' মুজিব ভাই জোরে হাসলেন। কোনো জবাব দিলেন না। আজকাল অনেকে বলতে চেষ্টা করেন, শেখ মুজিব তো স্বাধীনতা চাননি। তিনি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছেন। এসব কথার জবাব দিতে যাওয়াই সময়ের অপচয়।

আমাদের স্বাধীনতা হঠাৎ করে নাজিল হওয়া কোনো আসমানি ঘোষণার তেলেসমাতি উপহার নয়। যাঁরা সব কৃতিত্ব এককভাবে নিজেদের ঝোলায় ভরতে চান, দেশটাকে পারিবারিক সম্পত্তি বিবেচনা করে যদৃচ্ছ ভোগ করতে চান, তাঁরা যেমন অমার্জনীয় অপরাধ করে চলেছেন, তেমনি যাঁরা আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের পর্যায়ক্রমিক অগ্রযাত্রার ধাপগুলোকে পাশ কাটিয়ে, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতাসংগ্রামের অপরাপর নায়কদের (এবং 'নির্মাণ শ্রমিকদের') অবদানকে খাটো করার জন্য ইতিহাসের খণ্ডিত উপস্থাপনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের জাতীয় ইতিহাসকে নতুন নতুন বিভ্রান্তির জালে জড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা তার চেয়েও বড় অপরাধ করছেন। উভয় পক্ষই নিশ্চিতরূপেই জ্ঞানপাপীর ভূমিকায় রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন জননেতা। রাজনৈতিক দলের নেতা। রাজনীতির মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর অভীষ্ট সিদ্ধির চেষ্টা করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তিনি কখনো দাবি করেননি যে তিনি বিপ্লবী। আমাদের স্বাধীনতাও কোনো বিপ্লবের ফসল ছিল না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ 'বিপ্লব' ছিল না, ছিল রাজনৈতিক সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ।

রাজনৈতিক সংগ্রাম ও 'যুদ্ধ'

প্রথম মহাযুদ্ধকালীন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী Georges Clemenceau- এর একটি বিখ্যাত উক্তি : 'War is too important to be left to the generals.' অর্থাৎ 'যুদ্ধ ব্যাপারটা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে তা জেনারেলদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।'

জেনারেলদের ছোট করা বা তাঁদের কাজকে খাটো করার জন্য নয়, এটাই যুদ্ধবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম, Rule of the game। যুদ্ধের শুরু ও যুদ্ধের সমাপ্তি- দুটোই একান্তভাবেই রাজনীতির এখতিয়ার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধও একান্তভাবেই আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য পরিণতি। 'Politics precipitates war, Not the other way.' 'রাজনীতিই যুদ্ধ অনিবার্য করে, তার বিপরীত নয়।' যাঁরা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নতুন ইতিহাস 'রন্ধন' করতে চান, তাঁদের সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

প্রুশিয়ার কিংবদন্তি জেনারেল, যিনি পরবর্তী সময়ে দার্শনিক হিসেবে খ্যাতিমান হয়েছেন, Carl Von Clausewitz, তাঁর সেই বহুল উদ্ধৃত বক্তব্যটি এখানে স্মরণ করা যেতে পারে। যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'It is clear that war is not a mere act of policy, but a true political instrument, a continuation of political activity by other means.' অর্থাৎ 'যুদ্ধ কেবলই কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়, যুদ্ধ হচ্ছে যথার্থই একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্য অর্জনের ভিন্নতর পন্থা।'

শেষ কথা

কাজেই কে কখন কিভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা সূচনা নয়, সমাপ্তিও নয়। নিয়ামকও নয়।

সূচনাটা অনেক আগের ও অনেক পর্বের। আর সেখানে রয়েছে-

একদিকে শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি আমাদের স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তর করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। precipitate করতে সফল হয়ে নতুন একটি জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের নায়ক হয়েছেন।

অন্যদিকে জিয়াউর রহমান ও আমাদের সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা, যাঁরা সেই যুদ্ধকে বরণ করে নেওয়ার 'হঠকারিতা' (audacity) দেখিয়েছেন। পুনরায় Clausewitz : '…timidity will do a thousand times more damage than audacity.' 'ভীরুতা হঠকারিতার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ক্ষতিকর।' (Audacity-কে ইচ্ছা করেই 'দুঃসাহস' না বলে 'হঠকারিতা' বললাম)।

অতঃপর সবার ওপরে, এ দেশের জনগণ, স্বাধীনতাসংগ্রামী ছাত্র-জনতা, যে জনতা স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে অকুতোভয়ে লড়েছে এবং পৃথিবীর সব স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুঃখ বরণের ইতিহাস রচনা করেছে।

লেখক : রাজনীতিক, ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক

shapshin@gtlbd.com

http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2014/04/12/71966



On Thursday, April 10, 2014 8:24 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
তাই , ডি এন এ টেস্টে বাংলাদেশের পিতৃ-পরিচয় !!!!!!
৬ দফার জন্যই 
আগরতলা মামলা ,
আগরতলার জন্যই 
'৬৯ এর আন্দোলন।
'৬৯ এর ফসলই 
'৭০ এর নির্বাচন ,
নির্বাচনের ফলাফলই 
স্বাধীনতার উত্তোরণ।
৬ দফা থেকে স্বাধীনতা 
সব আন্দোলনেই ,
বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে 
বাঙালীর চরম সফলতা।
তাই , ডি এন এ টেস্টে 
বাংলাদেশের পিতৃ-পরিচয় ,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছাড়া 
আর কেউ নয়।
Like ·  · Share





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] পলায়নবাদিতার ব্যাকরণ



পলায়নবাদিতার ব্যাকরণ
জয়া ফারহানা
শেয়ার - মন্তব্য (0) - প্রিন্ট
অ-অ+

গ্রিক ভাষার শব্দ ESCAPEISM এর অর্থ খুঁজতে গিয়ে ডি. কের ডিকশনারিতে দেখা গেল লেখা আছে, কারো হাতে কাপড়চোপড় দিয়ে দৌড়ানো। সিধা বাংলায় 'পলায়নবাদিতা'। অতএব ধরে নিতে পারি, পলায়নবাদী মানসিকতা কোনো দার্শনিক মতবাদ হিসেবে মর্যাদা পায়নি। বরং পলায়নবাদিতা অপবাদের চেয়ে আরো বেশি কিছু। যদিও আইনশাস্ত্র পলায়নপ্রবণতাকে প্রায় অধিকারের মর্যাদা দিয়ে ফেলেছে। প্রাণরক্ষার স্বার্থে আক্রমণকারীকে হত্যা করলে যেহেতু ৩০১ ধারার আসামি করা হয় না, কাজেই ধরে নেওয়া যেতে পারে, নিজেকে রক্ষার জন্য পলায়নবাদিতা, এমনকি আক্রমণকারীকে হত্যা পর্যন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ নয়। যাক! পলায়নবাদিতা অন্তত একটি মাত্রায় জায়েজ তা হলে! মানুষ তার নিরাপত্তার স্বার্থে পালাতে পারে। জায়েজ যখন- খুবই সহি কথা। পালিয়ে গিয়ে কেউ যদি পশ্চিমা সুখে সুখী থাকেন, তাতেও আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা তো ভুলে যেতে পারি না যে মানুষের মতো ইতিহাসেরও নিরাপদ থাকা প্রয়োজন। ইতিহাস বেচারাকে তো আর আমরা পালিয়ে থাকতে দিতে পারি না। ইতিহাসের একটিই পাসপোর্ট, একটিই ওয়েবসাইট, একটিই সত্য। মহাভারতের কৃষ্ণের আচরণ সমর্থন করে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন, 'লোক হিতার্থে যে মিথ্যা আচরিত হয়, তা প্রকৃতপক্ষে মিথ্যাই নয়, বরং বিশেষ প্রয়োজনে তা অবশ্যসমর্থনযোগ্য।' উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, 'কোনোখানেই মিথ্যা সমর্থনযোগ্য নয়। শ্রদ্ধাষ্পদ বঙ্কিম বাবু বলিলেও হয় না, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বলিলেও হয় না। মাতা বলিলেও হয় না। পুত্র বলিলেও না। সত্য থেকে পালিয়ে বাঁচার কোনো উপায় নেই বাবু মহাশয়।' ধারণা করি, সত্যকে গ্রহণ করার ক্ষমতা যাদের কম, তারাই বোধ হয় পালিয়ে বাঁচতে চায়।

পলায়নবাদিতার ব্যাকরণ

খ্রিস্টের জন্মের আগের কবি লুক্রেসিয়াস আত্মহত্যার আগে লিখেছিলেন, 'প্রত্যেকে নিজের কাছ থেকে পালাতে চায়, কিন্তু পারে না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেবল নিজেকে ঘৃণা করে করে সে বেঁচে থাকে।' তার মানে, যিনি বহাল তবিয়তে বেঁচেবর্তে আছেন, তিনি পালিয়েই বেঁচে আছেন! দেখুন ঠিক তার বিপরীত কথাটি লিখেছেন ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে এমিল দুখাইম তাঁর 'সুইসাইড' গ্রন্থে। তিনি লিখেছেন, 'সামাজিক বিধিগুলো কঠোর এবং অপরিবর্তনীয় হলে কিংবা সমাজে কোনো নিয়ম না থাকলে ব্যক্তি নিজের জন্য নিয়মের একটা জগৎ তৈরি করে নেয়। ফলে সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যমান বিধিব্যবস্থা থেকে। তখন তার অন্তর্জগতের সঙ্গে বহির্জগতের সম্পর্ক হয় তুমুল সংঘর্ষসংকুল। এতে একদিকে যেমন তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়, তেমনি তার মধ্যে জন্ম নেয় পলায়নপর মনোবৃত্তির। যার চূড়ান্ত প্রকাশ হচ্ছে আত্মহত্যা।' পলায়নবাদিতার প্রসঙ্গ উঠলে অনিবার্যভাবেই আসবে 'ওয়েটিং ফর গডোর' ভ্লাদিমির আর এস্টাগনের নাম। আর ব্যক্তিসর্বস্বতার এই দুনিয়াতে কাফকার 'আরশোলা' চরিত্রের মতো লুকিয়ে আছি আমরা সবাই। সব পলায়নপর মানুষ। সংস্কৃত ভাষার বহুল প্রচলিত একটি উক্তি 'যঃ পলায়তি স জীবতি।' অনুগত, বিশ্বস্ত, কৃতজ্ঞ আমলাদের জন্য নিশ্চিতভাবেই এটি মোক্ষম পন্থা। কিন্তু মির্জা গালিবের জন্য? তাঁর শায়ের 'আমি এমন কোথাও পালাতে চাই, যেখানে প্রেম আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।' প্রেমিক বটে! প্রেম বেশি থাকলে পালিয়ে বাঁচার জায়গা যে জোটে না গালিবের শায়ের থেকে বুঝলাম, আবার মোটেই প্রেম না থাকলেও মানুষ পালাতে চায়। অপ্রেমের কারণে আমরা যত্রতত্র পালাই। বারিধারায় থেকে সেলফোনে অবলীলায় বলে ফেলি আছি মিরপুর কিংবা ফোনই রিসিভ করি না। এক পক্ষের কাছে যে কর্মকাণ্ড পালিয়ে বাঁচা, অন্য পক্ষের কাছে হয়তো সেটাই মৃত্যুর কারণ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দুর্ধর্ষ হ্যাটট্রিকের পরও পালাতে পারছি না আমরা ১৬ কোটি মানুষ। প্রশ্নটি তো হেরে যাওয়া কিংবা করুণ পারফরম্যান্সের নয়, প্রশ্নটি যখন দেশ নিয়ে আর হাতে যখন কোনোই অপশন নেই। হংকং কিংবা আফগানিস্তান কেন, উজবেকিস্তানের কাছে হারলেও সবাই আছি। ঘোষণা দিয়ে বলার বিষয় নয় যে, হে বাংলাদেশের ক্রিকেটারগণ, তোমরা হারো-জেতো আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। সঙ্গে আছি বলেই তো ১৬ কোটি মানুষ ক্রিকেট বুঝে কিংবা না বুঝে অথবা অর্ধেক বুঝেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হয়ে যাই! বিবিধ উপদেশের বন্যা বইয়ে দিই। বাংলাদেশ আমাদের সঙ্গে রক্ত-মাংস, হাড়-মজ্জায় মিশে আছে বলেই তো এত পরামর্শ, উপদেশ। পাকিস্তান টিমকে তো আর পরামর্শ দিতে যাচ্ছি না। নিঃসহায় মানুষের স্বপ্নই সম্বল বলে হয়তো যেখানে স্বপ্ন দেখেছি বাংলাদেশের ফাইনালে যাওয়ার, সেখানে টি-টোয়েন্টি ধারার ম্যাচে বাংলাদেশ যদি ৯ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ভারতের কাছে হারে..., তখন আমাদের পালাতে ইচ্ছে হওয়াটা অন্তত আবেগগত বিচারে দোষণীয় নয়। বাংলাদেশের প্রতি প্রেমটা ১৬ কোটি মানুষের একটু বেশি বলেই পালাতে চাই। এমন কোথাও পালাতে চাই, যেখানে বাংলাদেশ ছুঁয়ে থাকবে না। কিন্তু বাংলাদেশ তো ছুঁয়েই থাকে পল-অনুপল। গালিবের মতো আমাদেরও পালানোর জায়গা নেই তাই। ভালো হতো যদি এমএইচ৩৭০-এ পালানো যেত। সংসার থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ। সাত দিন ধ্যানস্থ থাকার পর অবশেষে এই সিদ্ধান্তে এলেন- জরা, রোগ, মৃত্যু থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। নির্বাণেই মুক্তি কেবল। সেই যে বৃদ্ধ বয়সে এসে বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধি হলো দুঃখ যদি না পাবে তো দুঃখ তোমার ঘুচবে কিসে? মানে দাঁড়াল এই যে দুঃখ পাওয়া ছাড়া দুঃখ থেকেও মুক্তি নেই। পালানোর কিংবা ফিরে যাওয়ার দরজা খোলা নেই। বধূ এবং শিশু শুয়ে থাকার পরও জ্যোৎস্নায় যারা ভূত দেখে, তারাই কি কেবল পলায়নবাদী? নাকি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মতে সে-ই পলায়নবাদী, যে মানুষ আপাত বিচারে ঘোরতর সংসারী! পরমহংসের মতে, ভ্রষ্টা নারীর মন পড়ে থাকে প্রেমিকের কাছে। পাছে সে ধরা পড়ে যায়, সেই ভয়ে সে সংসারে খুবই মনোযোগী থাকে। সংসারে থেকেও তার মন সহস্র আলোকবর্ষ দূরে। একটি ঝুঁকিহীন নিরুপদ্রব জীবনের আকাঙ্ক্ষায় সংসারে থেকেও সে সংসারবিবাগী।

ছেড়ে দিন সংসারে বসবাসকারী সংসারসন্ন্যাসীদের কথা। সমাজে তাদের কোনোকালেও মূল্য ছিল না, এখনো নেই। কিন্তু আপনি যদি হন সমাজের কেউকেটাদের একজন, তাহলে আপনার পলায়নবাসনা কোনোকালেই পূরণ হওয়ার নয়। যেখানেই হোক আপনার ঠিকানা পাড়াতুতো আত্মীয়, বন্ধুর বন্ধু তস্য বন্ধু আপনাকে ঠিকই খুঁজে বের করে তদবিরের প্রাথমিক আলাপ সেরে নেবে। অসহায় তদবিরকারীর আকুল আরজিতে বিরক্ত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বদলে পালিয়ে বাঁচবেন? পালিয়ে থাকা যদি বৃক্ষ হয়, এড়িয়ে যাওয়া তবে সেই বৃক্ষের বীজ।

এপ্রিল ১৯৭১। বাংলাদেশের আকাশে তখন ট্রেসারের আগুন। মাটিতে পাকিস্তানি সেনাদের ট্যাংক। পাকিস্তানের সাচ্চা মুকাম শান্তিবাহিনী গঠনের তোড়জোড় চলছে। সেই শ্বাপদসংকুল পথে পালিয়ে বর্ডার পার হওয়ার লক্ষ্যে লাখো মানুষের মাঝে সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণও ছিল। উদ্দেশ্য ওপারে গিয়ে যুদ্ধের ট্রেনিং নেওয়া। বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আগরতলায় তখন মিটিংও চলছিল। সেই মিটিং থেকে একজন পালিয়ে বাঁচতে চাইলেন। বললেন, তোমাদের সঙ্গে আমি নেই। আমাকে মক্কা পাঠিয়ে দাও। যুদ্ধের চেতনা থেকে তবে সেই দিনই পালিয়েছিলেন খন্দকার মোশতাক! ৩ মে ১৯৭১। জাহানারা ইমামের জন্মদিনে ছেলে রুমী বলল, 'তোমার জন্মদিনে একটা সুখবর দিই, আম্মা। আমার যাওয়া ঠিক হয়ে গেছে। ঠিকমতো যোগাযোগ হয়েছে। পালিয়ে যুদ্ধে গেলে আরো এক মাস আগেই যেতে পারতাম। এখন তোমার মত নিয়ে যাচ্ছি। দেশের জন্য যুদ্ধে যাচ্ছি। পালিয়ে যাব কেন? পালাবই বা কেন? প্যারাডঙ্, এই যে রুমী এবং লক্ষ্মণ সেন- দুজনেই একই মাটির সন্তান, এমনকি মোশতাকও!

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, কিংবদন্তি মিডিয়া

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2014/04/12/71968#sthash.q3mdfqsZ.dpuf





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] GOLD



FACTS:

1. USA has always been printing more Currency because only once in a Blue Moon US Budget is balanced or it has a surplus. 

2. Only if USA prints lesser Currency than her some White Race rich Ally country, Dollar rises against Currency of that country.

3. If Reverse takes place, Dollar devalues against that country's currency.

4. Presently, Dollar has been devaluing against British Pound and Euro because USA has been printing more Currency than UK and EU plus its feared that China and Russia may pull their money out of USA by selling US Treasury Bonds back to USA.
China owns $1.2 trillion worth and Russia $ 200 billion worth.

5. Currencies of USA and her rich White Race Ally countries never face devaluation against Currencies of rest of world unless a country has Foreign Exchange Reserves more than IMF Loans like China, Japan, Saudi Arabia, Russia etc.

6. IMF has been creating Loans out of thin air to give to USA and her rich White Allied Countries constantly for decades because none of them have been earning more Foreign Exchange than they have been spending every year through impots.

7. USA and her rich White Race Allies, population 12% of world, owe 82% of all IMF Loans that it has created since its birth while rest of world owes on 18% of IMF Loans.

8. IMF only forces poor countries to devalue their currencies, when they need a Loan even when their Loans are less than 30% of their GDP but it never even suggests any Monitory Reform to USA and her rich White Race Allies though on the average their Loans are 110% of their GDP. 

9. Currency Exchange Rate of the richest Western countries has been rigged to buy Imports cheap and sell Exports at a high Price to rest of world but despite, it has failed to earn them more amount of money than they spend on Imports and their Military Ventures. 

This is why US Dollar can only devalue against Yen, Yuan, Euro, Pound, Canadian Dollar, Australian Dollar, Swiss Franks, etc and Gold, never against currencies of Poor Needy Countries. 

S U Turkman

From: SAIF Davdas <islam1234@msn.com>

Obama is following Mugabe's path and printing money like there is no tomorrow. People De-Coupling of paper money and Gold is a reality. Remember gold will never be worthless but the almighty $$$ will soon be. Inflation is about to turn American Dream into a American nightmare-taking down the entire world with her. It is just a matter of time before the Chinese and the Indians pull the liquidity--there will be run on the banks by the depositors. To prevent this Obama will declare national emergency and Seize peoples money. Be prepared- EXCHANGE YOUR CASH FOR GOLD or SILVER RIGHT NOW and become a member of NRA. Buy your semi automatic gun now. 3000 years ago Mr.Moses opined, "he who has Gold writes the Golden Rules". Ex-Fed Chairman Mr.Allen Greenspan says, " he who has Gold will always have money". To protect your assets and your family and For the ride of your life-Join the golden revolution of the German Company, THE KARATBARS. Please find out how by viSITING WWW.DEVDAS24K.COM.

SaifDevdas





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___